চলতি মাসের শুরু দিকেই বাংলাদেশের মোবাইল ফ্যাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের জগতে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটি ঘটনা ঘটে যায়। কয়েকটি ই-কমার্স থেকে আসা রিফান্ড টাকা গ্রাহকের একাউন্টে ঢুকতেই গ্রাহকদের একাউন্ট সব ধরনের লেনদেন স্থগিত করে দেয় নগদ কর্তৃপক্ষ। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাহকেরা তাঁদের ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে থাকে। অন্যদিকে নগদ কর্তৃপক্ষ প্রথম কয়েকদিন দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নিলেও ধীরে ধীরে একাউন্ট থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া শুরু করে। যদিও ১৮ হাজারের বিপরীতে তা খুবই নগন্য বলে জানাচ্ছিল ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকেরা। অবশেষে, 22 দিন পর সব একাউন্ট থেকে স্থগিতাদেশ তুলে দেওয়া হয়ে হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো একটি বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যৌথভাবে যাচাই বাঁচাই করা পর বন্ধ হওয়া ১৮ হাজারের একাউন্টের মধ্য মাত্র ৮টি নগদ একাউন্ট বাদ সব একাউন্ট পুনরায় সচল করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ঐসব একাউন্ট হোল্ডাররা এখন নগদ একাউন্ট দিয়ে সব স্বাভাবিক সেবা উপভোগ করে পারছে বলে জানিয়েছে। এখনও স্থগিত ৮টি একাউন্টগুলো হল সিরাজগঞ্জশপ ডটকমের সিইও জুয়েল রানার অ্যাকাউন্ট এবং তার পরিবারের সদস্য, ব্যবসায়ীক সহযোগী এবং কর্মচারীদের নামে থাকা ‘নগদ’ অ্যাকাউন্ট। বলে রাখা ভাল, সিরাজগঞ্জশপডটকম হচ্ছে সেই দুইটি ইকমার্সে একটি যাদের কাছ থেকে রিফান্ড পাওয়া গ্রাহকদের একাউন্টে সবধরনের লেনদেনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে যায়।
যারা জানেন না তাঁদের জন্য, ই-কমার্সের জন্য নতুন নীতিমালা অনুযায়ী যে পেমেন্ট মেথডে পেমেন্ট করে অর্ডার দেওয়া হয়েছিল সেই পেমেন্ট মেথডেই রিফান্ড করতে হবে। এইদিকে একইসাথে সিরাজগঞ্জশপ এবং আলাদীনের প্রদীপ নামে দুইটি ই-কমার্স থেকে প্রচুর পরিমাণ গ্রাহক তাঁদের পূর্ববর্তী অর্ডারের রিফান্ড পেতে শুরু করে। কিন্তু নগদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স সেইসব লেনদেনে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করে রিফান্ড পাওয়া সব একাউন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করে দেয়। কিন্তু সাধারণ গ্রাহকের এইখানে কোনো রকম দোষ না থাকলেও নগদের সিস্টেমে শুধুমাত্র রিফান্ড পাওয়া অর্থ ফ্রিজ করে দেওয়ার মত ব্যবস্থা না থাকার কারনে তাঁদের একাউন্ট আগের টাকা থাকলেও তা ব্যবহার করতে পারছিল না।
তবে ভুক্তভোগী সব একাউন্টহোল্ডাদের একাউন্টে ইতিমধ্যে ১০০ টাকা মোবাইল রিচার্জ রিওয়ার্ড পৌঁছে দেওয়া হয়েছে নগদের পক্ষ থেকে। সাথে সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে যে রিফান্ড এমাউন্ট নিয়ে এত কান্ড কারখানা গ্রাহকেরা সেই অর্থও ধীরে ধীরে পেতে শুরু করেছে গ্রাহকেরা।