বাংলাদেশ ইতিমধ্যে বেশ কিছু সনামধন্য ব্রান্ডের 11th gen ল্যাপটপ মার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে। এদের মধ্যে সর্বপ্রথম MSI তারপর ASUS এবং HP.
আমাদের দেশে একটা ট্রেন্ড চলে সেটা হলো জেনারেশন এবং প্রসেসর নাম্বার যত বেশি সে ল্যাপটপের পারফরম্যান্স সকল কাজে ও তত বেশি। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।
বর্তমানে 11th gen ল্যাপটপ গুলো তে বেশ কিছু নতুন ফিচারস দেওয়া হয়েছে। এবং 11th gen রেগুলার সিরিজের ল্যাপটপ গুলোর প্রাইসিং হয়েছে ৭২,০০০ থেকে ১০৫,০০০ মধ্যে। অথচ বেশ কিছু ল্যাপটপে নতুন ফিচার গুলো না থাকা সত্ত্বেও আপনাকে বার্তী ৫,০০০-৮,০০০ টাকা দিয়ে কিনিতে হচ্ছে। আপনি যদি আসলেই বেস্ট পারফরম্যান্স এর ল্যাপটপ খুঁজে থাকেন তাহলে এই বাজেট রেন্জের গেমিং ল্যাপটপ গুলো নেওয়াটা বেস্ট অপশন হবে।
11th Gen Laptop গুলোর প্রধান ফিচারস গুলো নিয়ে আগে আলোচনা করি।Intel 11th Generation “Tiger Lake” Architecture এর ল্যাপটপ গুলোই নতুন যে ফিচার গুলো সকল ল্যাপটপে থাকছে সেগুলো হলো :
Intel iRIS Xe Graphics:
Connectivity:
AI Noise-Canceling Audio:
Wireless Connectivity:
- Wifi Smart Connect: এটি ল্যাপটপটির ওয়ারলেস রেঞ্জ এর ভেতরে থাকা সবচাইতে
ফাস্ট কানেক্টেড রাউটার বা রিপিটার এর সাথে কানেক্টে করবে।
- WiFi Stabilizer: এটি ল্যাপটপ কে সবচাইতে স্টেবল কানেকশন এর সাথে কানেক্টেড
রাখবে।
- WiFi Range Booster: এটি ওপেন করলে ল্যাপটপ এর ওয়ারলেস রেঞ্জ ৩০%
বারিয়ে দিবে।
তবে কিছু ব্রান্ড ১১ জেনারেশনের ফিচার দিচ্ছে না এর পাশাপাশি কনফিগারেশনও অন্যদের থেকে কম, আবার দাম সবার থেকে বেশি।
এদের মধ্যে একটি ব্রান্ড হলো HP. তাদের Pavilion ল্যাপটপ গুলো তে থাকছেনা 11th Gen এর নতুন ফিচার গুলোর সুবিধা এর পাশাপাশি কিছু দিক দিয়ে কনফিগারেশনও অন্যদের থেকে কম। অথচ সবার থেকে বেশি দাম দিয়ে তাদের ল্যাপটপ কিনতে হবে। যেটা টাকা নষ্ট ছাড়া আর কিছু না।
আপনাদের যাতে ডিসিশন নিতে এবং কোনটা বাজেটে বেষ্ট বুঝতে সুবিধা হয় সে জন্য নিচে সাইউ বাই সাইড কমপেয়ার করে দেখানো হলো। নিচের সকল ল্যাপটপের ডিটেইলস তাদের অফিসিয়াল সাইট যথাক্রমে MSI, ASUS, HP থেকে নেওয়া হয়েছে। টেবিলের নিচে লিংক গুলো দেওয়া হয়েছে।
যারা ফোন এ দেখছেন সম্পুর্ন চার্টটি দেখতে স্ক্রীন রোটেট করুন।
Model | MSI Modern 14 B11SB Core i7 11th
|
Asus VivoBook S15 S533EQ Core i7 11th
|
HP Pavilion 15-eg0113TX Core i7 11th Gen
|
Processor | Intel Core i7-1165G7 | Intel Core i7-1165G7 | Intel Core i7-1165G7 |
RAM | 16GB(Up to 32GB) | 16GB(No Upgrade Option) | 8GB(Up to 16GB) |
Storage | 512GB Pcie Gen4 Nvme | 512GB Pcie Gen3 Nvme | 512GB Pcie Gen3 Nvme |
Graphics | Iris Xe + MX 450 2GB | Iris Xe + MX 350 2GB | Iris Xe + MX 450 2GB |
11th gen Connectivity | Thunderbolt 4 | Thunderbolt 4 | No Thunderbolt |
Special Feature | AI-Noise Cancellation Microphone | AI-Noise Cancellation Microphone | Normal Microphone |
Price | 97,000 | 99,800 | 103,000-105,000 |
Model |
Asus VivoBook S15 S533EA Core i5 11th Gen
|
Asus VivoBook 15 X513EP Core i7 11th Gen
|
HP Pavilion 15-eg0078TU Core i7 11th Gen
|
Processor | Intel Core i7-1165G7 | Intel Core i7-1165G7 | Intel Core i7-1165G7 |
RAM | 8GB(No Upgrade Option) | 8GB(Up to 16GB) | 8GB(Up to 12GB) |
Storage | 512GB Pcie Gen3 Nvme | 512GB Pcie Gen3 Nvme (Upto 1TB SSD+ 1TB HDD) | 512GB Pcie Gen3 Nvme (Upto 1TB SSD) |
Graphics | Intel Iris Xe | Iris Xe +MX 330 2GB | Intel Iris Xe |
11th gen Connectivity | No Thunderbolt | No Thunderbolt | No Thunderbolt |
Special Feature | AI-Noise Cancellation Microphone | AI-Noise Cancellation Microphone | Normal Microphone |
Price | 78,000 | 91,000 | 93,000 |
উপরোক্ত ৩টি ব্রান্ডের মধ্যে HP বাদে, Asus & MSI এর প্রাইস ন্যায়সঙ্গত মনে হয়েছে । Msi এর ল্যাপটপ গুলো বাজেটের মধ্যে বেস্ট ফিচারস ও কনফিগারেশন দিচ্ছে।
তবে কনফিগারেশন অনুযায়ী Asus এর প্রাইস MSi এর থেকে আরও কিছুটা কম হওয়া উচিত ছিল। আবার এদিকে ASUS 15″ Display & MSI 14″ Display. আমার ধারনা Asus Display এর দিকে বেটার করতে গিয়ে জিপিউ এর দিক টা ডাউনগ্রেড করে ফেলেছে। বাট তার পরও প্রাইস কিছুটা কম করা উচিত ছিল। তবে MSI & ASUS এ 11th gen এর পারফরম্যান্স + ফিচারস এর ফুল এডভান্টেজ নিতে পারবেন। তাই ১১ জেনারেশনের ল্যাপটপ নেওয়ার সময় MSI & ASUS Recommended করব।
কিন্তু HP তে পাচ্ছেন না কোনো ১১ জেনারেশনের ফিচার এর সুবিধা, বাজেটের দিক দিয়ে দেখলে অন্যদের তুলনায় কনফিগারেশন ও আপগ্রেড অপশন কম। তাই বার্তি ৫,০০০-৮,০০০ দিয়ে HP এর 11th gen laptop কেনা টাকা নষ্ট ছাড়া আর কিছু না।
দিন শেষে একটা কথায় বলবো টাকা আপনার ল্যাপটপ কেনার সময় নিজে না জেনে না দেখে অন্যের কথা শুনে ল্যাপটপ কেনা বোকামো আর নিজের টাকা নষ্ট ছাড়া আর কিছু না। তাই ল্যাপটপ কেনার সময় সবসময় অফিসিয়াল সাইট এর ইনফরমেশন দেখে ৩-৪টা ল্যাপটপের সাথে কম্পেয়ার করে কিনবেন। আর কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের গ্রুপে আর্টিকেলটির লিংক সহ পোস্ট করতে পারেন।