Sony X900C 4K LED TV Review Bangla

পিসি বিল্ডার এর সেটে আজ আমরা রিভিঊ করতে যাচ্ছি পৃথিবীর ন্যারয়েস্ট ৪ক আলট্রা এইচডি টীভি সনি ব্রাভিয়া এক্স ৯০০সি ৬৫”। এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত প্রথম টিভি। চলুন দেখে নেওয়া যাক সনির তৈরি এই এক্সপেন্সিভ মর্ডান ডে জাদুর বাক্সটিকে।

ডিজাইন

জাদুর বাক্স বললেও টিভিটির সাথে আগেকার বাক্স টিভিগুলর আকাশ পাতাল তফাত। এই মুহুর্তে এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে ন্যারো টিভি, ০.৫ সীএম। টিভিটি একদমই স্লিম, কিন্তু নিচের দিকে টিভিটির ব্যাক সাইড অন্যান্য টিভির মতই। স্ট্যান্ড তৈরি স্টিল দিয়ে, যা টিভিটিকে বেশ ভালো স্টাবীলীটি দেয়। তবে ওয়ালে ণা লাগীয়ে টেবীলে রাখতে চাঈলে একটু বড়সড় টেবিল দরকার হবে। ৬৫” টিভিটির ওজণ স্ট্যান্ড সহ ২৪ কেজি, স্ট্যান্ড ছাড়া ২৩.২ কেজি।
বেজেল খুবি ন্যাড়, যেটা বেশ এণজয়াবল হয়ে ঊঠবে টীভি দেখার সময়, বিশেষ করে ৩ডি কণ্টেণ্ট দেখার ক্ষেত্রে। এছাড়া সনি লোগোটির নিচে একটি লাইট দেয়া আছে। ওভারল বলা যায় যে সনি এই টীভীটীকে দিয়েছে একটি ইউনিক ইনোভেটীভ লুক।

রিমোট কনট্রোল

কনভেনশনাল রিমোটের পাশাপাশী দেয়া আছে একটি স্মাড়ড়ট রিমোট। স্মাড়ড়ট রিমোটটির উপরের দিকে দেয়া আছে টাচ প্যাড, যেটা দিয়ে কনট্রোল করতে হবে ইন্টারফেস টিকে। মোটামুটি ডিসেন্ট এর ইউজ কিন্তু মোশণ সেন্সর দেয়া থাকলে রিমোটটির সাথে ইঊজার এক্সপেরিয়েনস আরও ভালো হত বলে আমি মণে করি।
এক নজরে দেখে নেয়া যাক আইও পোর্ট গুলোকে
পিছনের দিকে একী সাথে দেয়া আছে ল্যাং পোর্ট , ডিজিটাল অপটিক্যাল অডিও পোর্ট এবং কম্পণেণ্ট পোর্টগূলো। সাইডে দেয়া আছে প্রথমে ২.০ পোর্ট , তারপরে হেডফোন জ্যাক, এরপরে আর একটি ২.০ পোর্ট, তারপরেই চারটি এইচডিএমআই ২.০। দেখা যাচ্ছে একটি ৩.০ পোর্ট, তার নিচে ভিডিও পোর্ট এবং সব শেষে এন্টেনা পোর্ট টিকে দেখা যাচ্ছে।

প্যানেল

গর্জীয়াস ৬৫” প্যানেলটিকে পাওয়ার আপ করছে সনি ট্রাইলুমিনাস ডিসপ্লে, যা সবকিছুকে ভিজুয়ালি রিয়েলিস্টীক করে তুলবে এবং কালারগুলোকে আরও ন্যাচারাল ভাবে ফুটিয়ে তুলবে। এছাড়াও সনির এক্স ওয়ান প্রসেসরটি যথেষ্ট শক্তিশালী গ্রাফিক্স প্রসেসিং এ, সাথে সনির স্পেশাল ফিচার ৪কে এক্সরিয়েলিটি প্র তো থাকছেই যেটা ্যেকোণ কন্টেন্ট কে ৪কে তে আপস্কেলিঙ করবে এবং ছবিকে আরও জীবন্ত করে ফুটিয়ে তুলবে। পিকচার মোডে বেশ কিছু প্র সেটিং দেয়া আছে, যেটা আপনারা পছন্দমতো কাস্টমাইজ করতে পারবেন। এগুলোর মধ্যে আমরা পরীক্ষা চালিয়েছি শুধুমাত্র গেম মোড, স্পোর্টস মোড এবং ভীভীড মোডে। এককথায় কালার হচ্ছে OUTSTANDING THANKS TO TRILUIMINOUS DISPLAY। ৪কে কনটেন্ট গুলোকে টীভীতে দেখা হয়েছে, ১০ বিট কালার ডেপথ যথেষ্ট ভালো কাজ করছে বোথ ৪কে এবং ১০৮০পী ব্লু রে কনটেন্ট এ। এক্স ৯০০সি ইউজ করছে আইপিএস এলসিডি প্যানেল, যার ব্ল্যাক লেবেলটি হচ্ছে যথেষ্ট দূর্ব্ল, যে কারণে কন্ট্রাস্ট কিছুটা লো। গ্লাস প্যানেলটিতে সেমি গ্লশ স্ক্রিন দেয়া সত্ত্বেও ডে লাইটে বেশ রিফ্লেকশণ আসে বিশেষ করে জানালার কাছে রাখা হলে। ওভাড়ল এটাই বলা যায় মোশণ এবং কালার দুটি অণ্টয়ণ্ট ভাইব্রাণ্ট। আমাদের মডেলটির সাথে দেয়া আছে চারটি পোলারাইজড ৩ডি গ্লাস। যদিও ৩ডি টেকনলজি সব টিভিতেই যথেষ্ট ম্যাচিউরড, এক্স ৯০০সি ও এর ব্যতিক্রম নয়। ৩ডি ভিডিও দেখার এক্সপেরিয়েন্সটি ছিল বেশ এক্সাইটিং।

মর্ডান টিভি টেকনলজিতে একটি নতুন যুগের সৃষ্টি করেছে এই সনি এক্স ৯০০ সি। পৃথিবীর প্রথম এন্দ্র্যেড অপারেটিং সিস্টেম সমৃদ্ধ টিভি এটি। এন্ডয়এড এর সকল ফিচারগুল পেয়ে যাবেন ইনক্লুডিং গেমসগুলো। বেশ ভাল রকম টেস্ট করেছি আমরা এই আন্দ্রেদ ওএস এর উপরে। ইন্টারফেসটি বেশ ভাল ভাবে সাজান হয়েছে যাতে খুব সহজ ভাবে এক্সপ্লোর করা যায়।
এন্দ্যেদ এর কিছু গেমস খেলে দেখা হয়েছে যেগুলোতে কোন ধরনের ল্যাগ পাওয়া যায়নি। ল্যাগ পাওয়ার কথাও না, কেননা এটি প্লেস্টেশন ৪ নেটয়ার্ক এর মাধ্যমে প্লেস্টেশন ৪ এর গেমসগুলো কেও চালাতে পারবে। কারন এতে দেয়া হয়েছে অত্ন্যন্ত শক্তিশালী এক্স ওয়ান প্রসেসর। ইন্টারফেসটি ব্যাবহারের সময় কিছুটা ল্যাগ পাওয়া গেছে, তবে সনির ভাষায় নিয়মিত আপডেট বের হচ্ছে, যা হয়ত সময়ের সাথে ল্যাগ কমিয়ে আনবে। আমরা আর একটু অপ্তিমাইজড ইন্তারফেস আশা করছিলাম। তবে অভারল টিভির জন্য এটি ডিসেন্ট, ইউটিউব এপটি যথেষ্ট অপটিমাইজড এবং আমার মনে হয় আপ্নারা যথেষ্ট এঞ্জয় করবেন ভিডিওস গুলোকে। এক্ষেত্রেও মোশন সেন্সর এর অভাব বোধ করেছি রিমোট কনট্রোল এ, যা হয়ত ইউজার এক্সপেরিয়েন্স আরেকটু বারাত।

সাউন্ড

টিভি তুলনায় এর সাউন্ড কোয়ালিটি একটু বেশিই ভাল। বেস খুব বেশি না থাকলেও সাউন্ড কোন ডিস্ট্ররশন ছারাই অনেক লাউড।কিছু প্রি সেতিংস দেয়া আছে, যেগুলো ব্যাবহার ক্রে দেখা গেছে যথেষ্ট ভাল। অভারল সাউন্ড কোয়ালিটি নিয়ে কমপ্লেন করার কোন স্কোপ নেই।

গেমিং

গেমিং এর জন্য টিভিটি ওসাধারন এর লো ইনপুট ল্যাগ জন্যে। গেমস খেলার সময় কালার অনেক রিচ ও ভাইব্রান্ট। যেটা একটি গেমসকে যথেষ্ট এঞ্জয়াবল করে ফেলতে পারে। স্ক্রিন টি যথেষ্ট রেস্পন্সিভ গেমস খেলার জন্য। গেম খেলার জন্য গেম মোড অবশ্যই অন করে নেবেন। এতে লো ইনপুট ল্যাগের সুবিধাটি পুরপুরি উপভোগ করতে পারবেন। এখানে আমরা পিসিতেই গেমসটা চালাচ্ছি ফুল ৪কে তে, এক কথায় অসাধারণ ট্রাইলুমিনাস ডিসপ্লের বদান্যতায়।

সবশেষে বলা যায় কিছু দুর্বলতা থাকা সত্ত্বেও এটি একটি ডিসেন্ট টিভি। টিভি দেখা, গেমিং এবং মুভি দেখার এক্সপেরিয়েন্সকে এটি অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে সক্ষম। তবে এন্দ্র্যদ এর সুফল উপভোগ করতে আরও কিছু আপডেট এর প্রয়োজন যেটা হয়ত ভবিষ্যতে আসবে।

Share This Article

Search