গেম খেলার সময় ল্যাপটপ ঠান্ডা রাখার উপায়

সত্যি কথা বলতে গেলে ল্যাপটপ হচ্ছে একটি কমপ্লেক্স মেশিন, একটি সম্পূর্ণ কম্পিউটারকে ওইটুকু ছোট স্থানে ফিট করাটা অবশ্যই প্রসংশার যোগ্য। তবে এটির যেমন সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমন অসুবিধাও রয়েছে। একটি নরমাল কম্পিউটার নস্ট হলে সেটা সারিয়ে নেওয়া একটি নস্ট ল্যাপটপের থেকে বহুগুণে সহজ। আবার কম্পিউটারের সকল কাজ আপনি স্বাধীনভাবে একটি ল্যাপটপে করতে পারবেন না। যেমন গেমিং এবং গ্রাফিক্সের কাজ বা ভিডিও এডিটিং অর্থাৎ হেভি ডিউটি কাজগুলো আপনি একটি কোর আই ৩ কম্পিউটারের যতটা স্বাচ্ছন্দ্যে করতে পারবেন সেটা কিন্তু আপনি একটি কোর আই ৩ ল্যাপটপে করতে পারবেন না। এর মূল কারণ হচ্ছে ল্যাপটপের GPU তেমন শক্তিশালি হয়ে থাকে না এবং ল্যাপটপের CPU ক্লক স্পিড কে স্লো করে রাখা হয়। কিন্তু বর্তমানে গেমিং ল্যাপটপ চলে আসায় সেগুলো নিয়ে তেমন চিন্তা করতে হয় না তবে গেমিং ল্যাপটপের চড়া মূল্য থাকায় সবার পক্ষে সেটা কেনার সাধ্য থাকে না। তাই বলে আমার বসে নেই কিন্তু! যেকোনো মানের ল্যাপটপেই আমরা সেটা পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করে থাকি। মুভি দেখা, গান শোনা, অফিসের ডকুমেন্টের কাজ করা হয় গেমিং, ফটোশপের কাজ সবই টুকটাক আমরা ল্যাপটপে করে থাকি। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখবেন যে গেমিংয়ের সময় বা হেভি ডিউটি কাজ করার সময় ল্যাপটপটা বেশ হিট হয়ে পড়ে। এর কারণ হচ্ছে একটি ল্যাপটপের অনান্য সকল যন্ত্রাংশের মতোই ল্যাপটপের ভেতরকার কুলিং ফ্যানটিও সাইজে ছোট হয়ে থাকে; যার কারণে ছোট ফ্যান = অল্প কুলিং সিস্টেম! তবে নরমাল কার্যক্রমের জন্য ল্যাপটপের কুলিং ফ্যানই যথেষ্ট! আজকের পোষ্টে দেখানো হবে কিভাবে আপনি হেভি ডিউটি বা গেমিংয়ের সময় আপনার ল্যাপটপকে কুল বা ঠান্ডা রাখবেন!

ল্যাপটপ বসানোর সঠিক স্থান!


ল্যাপটপ! Lap Top অর্থ্যাৎ কোলের উপর নিয়ে যাতে কাজ করতে পারেন সেই উদ্দেশেই ল্যাপটপগুলোকে বানানো হয়ে থাকে। এখন কোলের উপর ল্যাপটপ রেখে যেকোনো কাজ নিমিষেই সেরে ফেলতে পারেন কিন্তু কোলের উপর রেখে হেভি কাজ বা গেমিং করলে দেখা যায় ল্যাপটপ দ্রুত গরম হয়ে যায়! কিন্তু কেন? সহজ কথায় ল্যাপটপের কিবোর্ডের নিচেই কিন্তু মূল পেরিফেরালসগুলো বসানো থাকে, আর সেখানে কুলিং সিস্টেমও থাকে। কোলের মধ্যে অথবা সঠিক স্থান মোতাবেক ল্যাপটপকে বসানো না হলে দেখা যায় যে ফ্যান থেকে বাতাসটি ভালোমতো বের হতে পারে না। এই কারণে ল্যাপটপটি দ্রুত গরম হয়ে যায়। তাই হেভি লোডের সময় ল্যাপটপকে অবশ্যই সমতল মসৃণ ভূমিতে (যেমন টেবিল) রাখতে হবে।

ময়লা!

সঠিক স্থানে বা যেকোনো স্থানে ল্যাপটপ রাখার বেশ কিছুদিনের মধ্যেই যে করেই হোক ল্যাপটপে ময়লা জমবেই! ময়লা জমা থেকে পরিত্রাণ নেই তবে আপনি নিয়মিত ল্যাপটপ পরিস্কার করলে এটা কোনো সমস্যা হবে না। তবে ল্যাপটপের কুলিং সিস্টেমে অর্থ্যাৎ যে অংশ দিয়ে ল্যাপটপটি বাইরের ঠান্ডা হাওয়াকে টেনে নেয় সেখানে ময়লা জমে রাস্তাকে ব্লক করে দিতে পারে। এতে করে কুলিং সিস্টেমটি পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ করবে না। তাই আমাদের উঠিত নিয়মিত মাসে একবার করে ল্যাপটপকে পরিস্কার করা!

অতিরিক্ত কুলিং সিস্টেম!


আপনি যদি ল্যাপটপে নিয়মিত হেভি ডিউটি বা গেমিং করে থাকেন তাহলে বলা যায় যে ল্যাপটপের নিজস্ব কুলিং সিস্টেম আপনার এই হেভি লোডকে বেশিদিন সামলাতে পারবে না। তাই আপনি যদি ল্যাপটপের হেভি ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অতিরিক্ত কুলিং সিস্টেমের ব্যবস্থা করতে হবে। যেমন রূমে AC থাকলে হেভি ডিউটি কাজ করার সময় এসিকে ছেড়ে দিতে পারেন। এছাড়াও বাজারে বেশ সুলভ মূল্যেই আপনি ল্যাপটপ কুলার পেয়ে যাবেন। এটি কিবোর্ডের নিচের অংশে রেখে দিলে ল্যাপটপে এডিশনাল কুলিং ফিচার আপনি সহজেই যোগ করে ফেলতে পারবেন। একে কুলিং প্যাড বলা হয়ে থাকে।

সঠিক ব্যবহার

গেমিং ল্যাপটপ কিংবা একটু উচ্চমানের ল্যাপটপে ডেডিকেটেড GPU এর বদলে AMD বা Nvidia এর গ্রাফিক্স কার্ড দেওয়া থাকে। আর এই জাতীয় কার্ডগুলো বেশ বিদ্যুৎ টানবে এবং একই সাথে আপনার ল্যাপটপকে হিট করতে পারে। এক্ষেত্রে সঠিক ব্যবহার মানে প্রয়োজন ছাড়া গ্রাফিক্স কার্ডে লোড কম করে রাখতে পারেন। এটা GPU ড্রাইভার অ্যাপ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আর অনান্য ল্যাপটপে দেখবেন ব্যাটারি মোড দেওয়া থাকবে, সেখানে Performance > Battery Life সেটিংস দেওয়া থাকবে। শুধুমাত্র গেমিং বা হেভি ডিউটি কাজের সময়ই পারফরমেন্স মোডে দিয়ে রাখলে সবসময় ল্যাপটপটি ১০০% গতিতে থাকবে না এবং এতে করে অনান্য সময়ও ল্যাপটপটি কম হিট হবে।

এক্সটারনাল ডিভাইস


প্রয়োজন না পড়লে ল্যাপটপের পোর্টগুলোতে এক্সটারনাল ডিভাইস (যেমন USB ডিভাইস, প্রিন্টার, স্ক্যানার, স্মার্টফোন) দিয়ে রাখবেন না। এই ডিভাইসগুলো ল্যাপটপের সাথে যুক্ত থাকলে ডিভাইস সহ ল্যাপটপও সেটার থেকে হিট জেনারেট করতে পারে। আর কখনোই স্মার্টফোনকে ল্যাপটপের সাথে USB ক্যাবল দিয়ে চার্জ দিবেন না। এটা ল্যাপটপের ব্যাটারির জন্য বেশ ক্ষতিকর।

লাইটিং

রাতের বেলা কিংবা আলোকজ্জল রূমে থাকে ল্যাপটপের ডিসপ্লে ব্রাইটনেস এবং কিবোর্ডের ব্যাকলাইট (যদি থাকে) তাহলে সেটাকে অফ করে রাখতে পারেন। কারণ এই ডিসপ্লে ব্রাইটনেস এবং লাইটিংয়ে বেশ বিদ্যুৎতের ব্যবহার হয়ে থাকে এবং একই সাথে ল্যাপটপটি লোডে থাকে আর হিট জেনারেট হয়ে থাকে। তবে একটা কথা মনে রাখা উচিত যে, কখনোই ল্যাপটপের ডিসপ্লে ব্রাইটনেস পূর্ণাঙ্গভাবে বাড়িয়ে ইউজ করা উচিত নয়।

ফ্রি PUBG Lite ইন্সটল করার সিস্টেম!

Share This Article

Search
kampungbet kampungbet kampungbet toto slot link gacor kampungbet kampungbet kampungbet toto slot kampungbet link slot kampungbet kampungbet kampungbet situs toto situs togel situs slot rtp slot situs judi bola situs slot gacor link slot resmi slot gacor hari ini
toto togel monperatoto situs toto toto togel slot resmi toto togel bandar togel togel online bandar togel slot 4d toto slot toto slot