অন পেজ এসইও, এস ই ও এর দুটো ভাগের একটি। একটা আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করানোর জন্য একে সার্চ ইঞ্জিন এর জন্য তৈরি(অপ্টিমাইজড) করতে হবে, যাতে সার্চ ইঞ্জিন লেখাটিকে ভালভাবে র্যাঙ্ক করে। প্রশ্ন হতে পারে, কষ্ট করে অপটিমাইজেশন কেন করবেন? কারন নো র্যাঙ্ক = নো ট্র্যাফিক। আপনার লেখা যদি কাকে’ও না পড়ে তাইলে হুদাই লিখে লাভ কি? Search Engine Optimization(SEO/এসইও) দুই প্রকার
-
-
অন পেজ এসইও
-
লেখাটিকে এমন ভাবে সাজানো যাতে সার্চ ইঞ্জিন সহজেই বুঝতে পারে আপনি কি নিয়ে লিখছেন। যদি গুছিয়ে অন-পেজ অপ্টিমাইজশেন না করেন তবে ফল পাবেন না। দেখা যাবে লিখেছেন কাকের ঠ্যাং এর উপরে আর র্যাঙ্ক করেছে বকের ঠ্যাং এ। সহজ কথায় আর্টিকেল টিকে এমন ভাবে সাজানো যাতে সার্চ ইঞ্জিন সহজেই আপনার লেখার টপিক টা বুঝতে পারে এবং সে অনুযায়ী লেখাটিকে র্যাঙ্ক করে।
-
-
অফ পেজ এসইও
-
অফ-পেজ এর নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এখানে যতো জারিজুরি তার সবটাই নিজের পেজের বাইরে মানে অন্যের ওয়েবসাইটে। কিভাবে পরের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে নিজের লেখা র্যাঙ্ক করতে হয় সেটা নিয়ে অন্য কোন দিন আলোচনা হবে। আজ নিজের মাথা(পড়ুন পেজ) আর নিজের কাঁঠাল নিয়েই আলোচনা করা যাক।
সঠিক কি ওয়ার্ড এর জন্য র্যাঙ্ক করতে প্রোপার অন-পেজ অপটিমাইজেশন এর কোন বিকল্প নেই। মানুষ আপনার লেখাটি তখনি পড়বে যখন আপনি এমন কিছু লিখছেন যা তিনি খুজছিলেন। সার্চ ইঞ্জিন এর এলগরিদম দীর্ঘ দিনে এমন ভাবে গড়া হয়েছে যাতে এটি বুঝতে পারে কোন লেখা কোন বিষয়ে আর এটার র্যাঙ্কিং কেমন হওয়া উচিত। আর্টিকেলকে সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি করে সাজানোর জন্য কয়েকটি বেস্ট প্রাক্টিস নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ ধারনা দেয়া হবে নিচে।
#১ টাইটেলের শুরুতেই কি ওয়ার্ড ব্যবহার (Start Title with Keyword)
যে কোন লেখা বা ওয়েব কন্টেন্ট এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর হচ্ছে এর টাইটেল। যত শুরুর দিকে কি-ওয়ার্ডটা ব্যাবহার করা যায় ততই ভাল, সুযোগ পেলে দু বার ও ব্যাবহার করা যায়। যেমন আমার টাইটেল এমনও হতে পারত ‘অন পেজ এসইও: কিভাবে শুধু অন পেজ এসইও দিয়ে র্যাঙ্ক করবেন?’। উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন আমি মেইন বা ফোকাস কি-ওয়ার্ড টি টাইটেলের একদম শুরুতেই ব্যাবহার করেছি। কারন সার্চ ইঞ্জিন যে কোন টাইটেলের শুরুর দিকের কি-ওয়ার্ড গুলোকে সবচেয়ে বেশি গুরুতব দিয়ে থাকে। একটা উদাহরন দেই
প্রথম আলো থেকে নেয়া এই লেখাটির আসল উদ্দেশ্য এবং বিষয় বস্তু হচ্ছে ‘হালদা’ ছবির প্রোমোশন। কিন্তু সাংবাদিক ভাইটি ব্যাবহার করছেন জাহিদ হাসান এবং ওনার দাঁড়ি কে কি-ওয়ার্ড হিসেবে। ফলাফল স্বরূপ একটি শক্তিশালী ওয়েবসাইট এর লেখা হওয়া সত্ত্বেও ‘হালদা’ গুগল সার্চে প্রথম দশ পেজে লেখাটি খুজে পেলাম না।
#২ সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি ইউ-আর-এল (Using SEO Friendly URLs)
একটা সময় ছিল যখন ডোমেইনে কি-ওয়ার্ড থাকলে তা ভাল র্যাঙ্ক করত। যা এখন আর অতটা ইফেক্টিভ নয়। তবে ইউ-আর-এলে কি অয়ার্ড ব্যবহার করা ভাল। ছোট ইউ-আর-এল র্যাঙ্কিং এর জন্য ভাল বলে মনে করেন Rand Fishkin এবং Brian Dean এর মত এস ই ও এক্সপার্টরা। ওয়ার্ডপ্রেসে বাই ডিফল্ট পার্মালিঙ্ক স্ট্রাকচার থাকে অনেকটা এরকম, “http://domain.com/month-date-year/category/article-title/”। যা অতিরিক্ত লম্বা এবং দেখতেও অসুন্দর। এর থেকে এভাবে প্র্যাকটিস করা র্যাঙ্কিং এর জন্য ভাল,”http://domain.com/your-keyword/”। আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা অনেকটা এভাবে ব্যাবহার করি। চাইলে আপনারা এই ফরম্যাটও ব্যাবহার করতে পারেন, “https://pcbuilderbd.com/reviews/best-monitor”.
লেখাটি মাত্র আট ভাগের এক ভাগ শেষ হয়েছে। লেখাটিতে আপনার আর্টিকেলটিকে র্যাঙ্কিং এর জন্য কীভাবে বেষ্ট পসিবল অপ্টিমাইজ করবেন তা ধাপে ধাপে দেখানো হবে। রেগুলার আপডেট পেতে আর্টিকেলটি বুকমার্ক করে রাখতে পারেন। কোন বিষয়ে কিন্তু বা মতভেদ থাকলে কমেন্ট করতে পারেন। চেষ্টা করব উত্তর দেয়ার, ধন্যবাদ।