বিষয়টি নিয়ে আজ কথা বলছি কারণ বিষয়টি আমার কাছে মাত্র কিছুদিন আগেই ধরা দিয়েছে। সম্প্রতি কিছুদিন আগে এলাকার এক বড়ভাইকে নিয়ে ঢাকা থেকে একটি ল্যাপটপ কিনে আনি। আর কেনার ২/৩ দিন পর ভাই আমাকে মেসেজ দিয়ে বলে যে এখানে সিমকার্ড ঢুকানোর ব্যবস্থা রয়েছে এবং তিনি ল্যাপটপে সিমকার্ডটি ঢুকিয়েছেনও! কিন্তু পিসিতে কিভাবে কি কনফিগারেশন করতে হয় সেটা উনার জানা নেই!
আর আমি তো শুনে অবাক! ল্যাপটপে সিমকার্ড ব্যবহার করা যায় সেটা আমি এই প্রথম শুনলাম। তাছাড়া দোকানদারও এই বিষয়ে কেনার সময় আমাদেরকে কিছু বলেন নি।
পরবর্তীতে নেট ঘেঁটে এবং ইউটিউব মামার সহযোগীতায় উনার ল্যাপটপে সফলভাবে রবি সিমকার্ড কনফিগার করতে সমর্থ হই! তাই ভাবলাম আপনাদেরকেও এই বিষয়ে একটু জানিয়ে যাই!
এই ফিচারটি আমার ওই বড়ভাইয়ের খুব কাজে লেগেছে। উনি আইফোন ব্যবহার করেন। আর জানেনই তো আইফোনে সিঙ্গেল সিম সিস্টেম, এখন ২য় সিমটি তিনি ল্যাপটপে ব্যবহার করতে পারছেন!
কিছু বেসিক ধারণা:
১) সাধারণত ল্যাপটপে সিমকার্ড ব্যবহার করা যায় না, আর ল্যাপটপে সিমকার্ড ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয় নি। হ্যাঁ কিছু কিছু নোটবুক রয়েছে আল্ট্রা হাইব্রিড সেখানে আপনি সিমকার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
২) এছাড়াও সাধারণ ল্যাপটপে সিমকার্ড স্লট থাকলেও ৯০% ক্ষেত্রে দেখা যায় যে WWAN কার্ড থাকে না কিংবা থাকলেও সেটা লোকাল ম্যানুফেকচার খুলে রেখে দেয় ল্যাপটপের স্লট বাঁচানোর জন্য। সিমকার্ড স্লট থাকলেও যদি আপনার ডিভাইসে WWAN কার্ড দেওয়া না থাকে তাহলে আপনি কোনো ধরণের সিমকার্ড ব্যবহার করতে পারবেন না।
এটা চেক করার জন্য Device Manager এর গিয়ে Network Adapters ক্যাটাগরিতে গিয়ে দেখতে পারেন।
৩) WWAN কার্ড না থাকলেও আপনি Dongle দিয়ে আলাদা ভাবে USB পোর্ট এর মাধ্যমে পিসিতে সিমকার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। ২০১০ / ২০১১ সালের Grameephone এর ৩জি মোডেমগুলোর কথা মনে আছে আপনাদের? হ্যাঁ সেগুলোকেই Dongle বলা হয়, আর মনে করে দেখুন সেখানে আলাদা করে মেসেজ সেন্ড / রিসিভ আর কল রিসিভ / সেন্ড করারও সুযোগ ছিলো! Dongle থাকলে আপনার ডিভাইসে আলাদা করে সিমকার্ড স্লট থাকার প্রয়োজন নেই।
ধাপসমূহ
১) প্রথমে দেখে নিন আপনার পিসিতে সিমকার্ড ঢুকানোর স্লট আছে কিনা। পুরাতন মডেলের ল্যাপটপগুলোতে ব্যাটারির নিচে এই স্লট থাকে। নেট সার্চ দিয়ে দেখে নিন আপনার ল্যাপটপের মডেলে স্লটটি কোথায় রয়েছে।
২) এবার Device Manager য়ে গিয়ে দেখে নিন WWAN কার্ডটি ইন্সটল রয়েছে কিনা!
৩) তারপর আপনার ল্যাপটপে সিমকার্ডটি ঢুকিয়ে নিন। মডেল ভেদে সিমকার্ড স্লট বিভিন্ন স্থানে থাকবে। ইউটিউবে আপনার ডিভাইস মডেলটি লিখে সার্চ দিয়ে দেখে নিন কিভাবে ঢুকাবেন। নিচে একটি উদাহরণ ভিডিও আমি শেয়ার করে দিচ্ছি:
৪) এবার সেটিংস থেকে Network & Internet সেকশনে চলে আসুন। এখানে Status ট্যাব থেকে নিচের দিকে স্ক্রল করে Network reset অপশনে ক্লিক করে পিসির নেটওর্য়াক রিসেট করে নিন।
৫) এভাবে করলে দেখবেন যে WiFi এর পাশে Celular নেটওর্য়াক নামের আরেকটি অপশন আসবে। এইটাই আপনার মোবাইলের নেটওর্য়াক। আর এটা না আসলে উইন্ডোজ আপডেট দিন।
৬) সেটিংয়ে গিয়ে IMEI , মোবাইল নাম্বার আর সিম ক্যারিয়ার ঠিক ঠাক আছে কিনা সেটা নিশ্চিত হয়ে নিন।