গেমারদের জন্য কিন্তু কিবোর্ডের গড়ে সবগুলো কিবোর্ডই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে! বিশেষ করে WASD কিগুলো তো আমাদের জন্য লাগবেই! কিন্তু ধরুন আপনার কিবোর্ডের কোনো Key নস্ট হয়ে গেল কিংবা মিসিং হয়ে গেল! তাহলে কি করবেন? ডেক্সটপ ইউজার হলে তো নতুন কিবোর্ড কিনতে পারেন কিন্তু ল্যাপটপের কিবোর্ড তো সহজেই পরিবর্তন করতে পারবেন না। এখন নতুন কিবোর্ড কেনা ছাড়াও আপনি সফটওয়্যারের দিক থেকে কিবোর্ডকে রিম্যাপ করেও সেই কিবোর্ডকে ব্যবহার করতে পারবেন। গেমার ছাড়াও আপনি যে কী কে বেশি ব্যবহার করেন (যেমন স্পেসবার) কেও আপনি রিম্যাপ করে নিতে পারবেন। আর এটা উইন্ডোজের সকল ভার্সনেই করতে পারবেন! (Windows Vista To 10)
থার্ড পার্টি টুলস
প্রথমেই বলে রাখি যে, কিবোর্ড রিম্যাপ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই আলাদা থার্ড পার্টি টুলসের উপর ভরসা করতে হবে, কারণ উইন্ডোজের নিজস্ব কোনো কিবোর্ড রিম্যাপ সার্ভিস এখনো দেওয়া হয়নি। এখন আবারো বলছি কি কারণে আপনি কিবোর্ড রিম্যাপ করবেন?যদি কিবোর্ডের কোনো Key যদি নস্ট হয়ে পড়ে কিংবা ভেঙ্গে যায় তাহলে নতুন কিবোর্ড না কিনে রিম্যাপ করেও আপনি সেই কিবোর্ডকে ব্যভহার করতে পারবেন। আর গেমার হলে আপনি এমনিতেই কিবোর্ডে রিম্যাপ করে আপনার গেমপ্লেকে Improve করতে পারবেন। আর যারা অফিসের কাজে একটি / দুটি Key কে অধিক ব্যবহার করেন তারা রিম্যাপ করে সেই কীকে সহজেই reachable করে আপনার workflow কে দ্রততর এবং সঠিক করতে পারবেন।
১) SharpKeys
আমাদের আজকের প্রথম সফটওয়্যার হচ্ছে শার্পকীস! আমি আগেই বলেছি যে, উইন্ডোজে কোনো প্রকার থার্ড পার্টি টুল ব্যবহার না করেও আপনি Registry Tweaks মডিফাই করেও কিবোর্ড রিম্যাপ করতে পারবেন। কিন্তু সেটা বেশ কঠিন এবং ঝামেলাদায়ক পদ্ধতি, আর সেখানেই থার্ড পার্টি টুলসগুলো চলে আসে। আর কিবোর্ড রিম্যাপের সবথেকে ভালো টুল হচ্ছে SharpKeys। এটি একটি ফ্রি এবং ওপেন-সোর্স টুল যেটা আপনার হয়ে সেই কঠিন কঠিন Registry Tweaks কে সহজেই করে নিতে পারবে। প্রথমে টুলটিকে ডাউনলোড করে নিন।
ডাউনলোড করে ইন্সটল করুন। চালু করে নিন এবং মেইন মেন্যু থেকে Add বাটনে ক্লিক করুন।
এটা করলে Key Mapping Window চালু হবে। এখন এখান থেকে বাম দিকের Map this key বক্সে আপনি যে Key কে অন্য কীয়ের কাজ করতে চান সেটা সিলেক্ট করুন এবং ডান দিকের To This Key বক্সে যে কিতে আপনি ফাংশনকে টান্সফার করতে চান সেটা নির্বাচন করুন।
একটি কিংবা একাধিক Key Remapping করে নিলে আপনি মেইন স্ক্রিণে সকল কীগুলোকে দেখতে পারবেন। এবার ফাইনাল ভাবে Write to Registry বাটনে ক্লিক করলেই আপনার কী / কীগুলো রেজিস্ট্রি হয়ে যাবে।
এবার আপনাকে পিসিকে রিস্টার্ট করতে হবে, তাহলেই দেখবেন যে আপনার কিবোর্ডের Key / কীগুলোকে আপনার পছন্দমতো রিম্যাপ হয়ে গিয়েছে।
KeyTweak
আমাদের আজকের লিস্টের ২য় স্থানে রয়েছে KeyTweak । কারণ এটি আমাদের লিস্টের ১মটির মতো অতো সহজ নয়। অর্থ্যাৎ আপনি KeyTweak দিয়ে প্রায় ৩ প্রকার ভাবে আপনার কিবোর্ডের কিগুলোকে রিম্যাপ করতে পারবেন। প্রথমে আপনি আগের টার মতোই দুটি কীকে ড্রপ ডাউন মেন্যু স্টাইলে রিম্যাপ করতে পারবেন। দ্বিতীয় মেথডও একই ভাবে কাজ করে। তৃতীয় মেথডে আপনাকে দুটি কীকেই প্রেস করে নিতে হবে, আর এটা একটু কনফিউজও বটে।
তবে আমার মতে ভাচুর্য়াল কিবোর্ড অপশনটি সবথেকে সহজ হবে। উপরের চিত্র মতো দেখতেই পারছেন যে আপনি ভাচুর্য়াল কিবোর্ড মেথডে Left Ctrl কীটাকে Alt কীয়ের সাথে পরিবর্তন বা রিম্যাপ করে নিয়েছি।
Microsoft Keyboard Layout Creator
আপনি যদি মাইক্রোসফটের কোনো টুল ব্যবহার করতে চান তাহলে Microsoft Keyboard Layout Creator টুলটি ব্যবহার করতে পারেন। এটা মূলত কোনো কীবোর্ড রিম্যাপের কাজে ব্যবহার করা হয় না, কিন্তু এর ব্যবহার করে আপনি নিজস্ব কিবোর্ড লেআউট তৈরি করে নিতে পারবেন। এই টুলে রয়েছে নিজস্ব ভাচুর্য়াল কিবোর্ড যেটার মাধ্যমে আপনি নিজের মতো করে কিবোর্ড লেআউট তৈরি করে নিতে পারেন। তবে এই টুলের সমস্যা হচ্ছে এতে আপনি Return, Ctrl, Alt এবং Tab, Caps, Shift, Backspace এই কীগুলোকে পরিবর্তন করতে পারবেন না।
AutoHotKey
আমাদের আজকের লিস্টের সবথেকে শেষ টুলটি হচ্ছে AutoHotKey। এটা কার্যক্রম একটু ভিন্ন। এটি সরাসরি Registry Tweaking না করে আপনাকে নিজস্ব স্ক্রিপ্ট তৈরি করে দেয় যেগুলোকে আপনি রান করে কিবোর্ড রিম্যাপিং করতে পারবেন। এছাড়াও এই স্ক্রিপ্টগুলোকে আপনি আলাদা করে Exe ফাইলস আকারে এক্সপোর্টও করিয়ে নিতে পারবেন। এটার ইন্টারফেস আগেরগুলোর মতো আকর্ষণীয় না হলেও টুলটিকে কিভাবে ব্যবহার করবেন সেটা এটার টিউটোরিয়ালেই আপনি দেখতে পাবেন। শুধুমাত্র কিবোর্ড রিম্যাপিং নয়, বরং এটা নিয়ে আপনি Key binds, create keyboard executable automation সহ বিভিন্ন কিছু করতে পারবেন।