সেরা Web Security Extensions নামের দুই পর্বের আর্টিকেল রয়েছে আমাদের সাইটে যেখানে ওয়েব ব্রাইজিং এর সময় পিসির সিকিউরিটি ও প্রাইভেসিকে strict করতে কিছু এক্সটেনশন এর পাশাপাশি কিছু টুলস,ট্রিক্স ও স্পেশাল সাইট ও দেওয়া হয়েছিল। এরও পূর্বে ‘পাইরেসির যত ফাঁদ’ নামেও একটি আর্টিকেল পাবলিশ হয়েছিল যেখানে ক্রাক সফটওয়্যার এর ডাউনলোড, ইনস্টলের কি কি ঝুঁকি রয়েছে ও কিভাবে পিসি আক্রমণের শিকার হতে পারে তার বর্ণনা ছিল। আজকে মূলত Windows PC তে মাইক্রোসফট এর বেশ কিছু স্পেশাল টুলস ও কিছু অনলাইন স্ক্যানার সাইট নিয়ে কথা বলবো যা আপনার পিসির সিকিউরিটি তে বাড়তি মাত্রা যোগ করতে পারে।
Best online Virus/Malware scanner and Database
বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে ফাইল আপলোড করে স্ক্যান করা যায়, এই সাইটগুলো অনেকগুলো এন্টিভাইরাস ইঞ্জিন দিয়ে স্ক্যান করে ও তা চাইলে তাদের কমিউনিটিতে সংরক্ষণ ও করে রাখা যায়।
যারা অনলাইনে অনেক এগ্রেসিভ ও ঝুঁকি নিয়ে ব্রাউজ করেন তাদের ক্ষেত্রে ক্রাক সফটওয়্যার ডাউনলোড এ পিসিতে ransomware বা অন্য কোনো শক্তিশালী, ক্ষতিকর ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়া অস্বাভাবিক না, বিশেষ করে যারা উইন্ডোজ ডিফেন্ডার অফ রাখেন বা ফাইল এক্সিকিউট এর সময় রিয়েল টাইম প্রটেকশন অফ করে রাখেন বা একদমই পিসিতে কোনো এন্টিভাইরাস রাখেন না।
উপরে উল্লেখিত এসব সাইটে তাই এই ধরনের ইউজার রা কোনো অজানা অচেনা বা সন্দেহজনক ফাইল রান করার আগে আপলোড দিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিতে পারেন যে ফাইলটি নিরাপদ কি না, আদৌ ফাইলটিতে বিপদজনক কিছু আছে কি না, থাকলেও আদৌ সেটা কি ধরনের।। এরকম কিছু সাইটের নাম ও সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য নীচে দিয়ে দিচ্ছি যেগুলো আপনাদের জন্য অনেক কাজে আসতে পারে।
এই সাইটগুলোর অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে যেমন:
এগুলো আপনার পিসির RAM,CPU,DISK ব্যবহার করে স্ক্যান করবে না।স্ক্যান অনলাইনে হবে। সময় লাগবে খুবই কম। একটি সিঙ্গেল স্ক্যানে বা সিঙ্গেল আপলোডে আপনি একটি দুইটি না, 20+/30+/50+/80+ এন্টিভাইরাস ইঞ্জিন দিয়ে স্ক্যান করতে পারেন ও ডিটেইলস রেজাল্ট পেতে পারেন। এতে করে আপনার ফাইলটি আদৌ কিরকম,নিরাপদ কি না, কি ধরনের থ্রেট রয়েছে ,কতটুক ঝুঁকিপূর্ণ তা স্বচক্ষে দেখতে পারবেন। অনেকসময় এই সাইটগুলোর স্ক্যান আপনাকে বড় বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
1. Virus Total
এই online scanner এর কথা আমরা আগেও উল্লেখ করেছিলাম।সবথেকে রিচ, সবথেকে জনপ্রিয় এই স্ক্যানারটি সবথেকে নির্ভরযোগ্য ও বটে । খুবই সিম্পল UI, কোনো রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই শুধু ফাইল drag and drop করলেই হলো। জনপ্রিয় ইঞ্জিন গুলো থেকে শুরু করে নাম না জানা ইঞ্জিন, ৬০-৮০টি স্ক্যানার এর রেজাল্ট চলে আসবে সম্পূর্ণ ডিটেলস সহ।এখান থেকে ইউজার একটি পরিস্কার ধারণা বা ইঙ্গিত পেয়ে যেতে পারেন তার আপলোড করা ফাইলটি কতটা নিরাপদ। virustotal এ ফাইলের পাশাপাশি url ও স্ক্যান করা যায়।
2. Hybrid-analysis.com
এটাও বেশ কার্যকর একটি রেজাল্ট প্রোভাইডার। আপলোড করার সময় আপনি ডাটা শেয়ারিং,স্যাম্পল এক্সেসিং এর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন,ইমেইল নোটিফিকেশন এর ও ব্যবস্থা আছে।। স্ক্যান এনভায়রনমেন্ট ও সিলেক্ট করা যাবে।
এটি নিজেই ভাইরাস টোটাল ও metadefender এর মাধ্যমে স্ক্যান করে ও রেজাল্ট দেয়। metadefender এর ডিটেল্ড রেজাল্ট এই পেজ থেকেই দেখা যায়।
3. Integer Analysis
এটির ক্ষেত্রে অবশ্য ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করতে হয় স্ক্যান এর জন্য ,ফাইলটি malicious কি না এর পাশাপাশি রিলেটেড স্যাম্পল,codes, strings ,ফাইল এর capabilities ও এখান থেকে দেখা যায় । এর প্রিমিয়াম এডিশন ও রয়েছে।
4. Opswat.Metadefender
এটি 35টি ইঞ্জিন ব্যবহার করে স্ক্যান করে,ফ্রি তে ফাইল সাইজ লিমিট 140 মেগাবাইট ও প্রতি ফাইলে আর্কাইভ লিমিট 50। ডিটেলড রেজাল্টের পাশাপাশি ফাইলের ইন্টারনাল ইনফরমেশন ও জানা যায় এখান থেকে।
5. Jotti .
Jotti একেবারেই সিম্পল ও লিমিটেড। এটির স্ক্যানার সংখ্যা ও কম, 15টি মত।
6. Kaspersky Threat Intelligence portal
সর্বোচ্চ 256 মেগাবাইট সাইজের ফাইল আপলোড করা যাবে । সাইট ও স্ক্যান করা যায়।
7. virSCAN.org
এটির ইঞ্জিন এর সংখ্যা অনেক।
Windows Defender offline bootable scanner
এ পর্যায়ে আমরা কিছু সিকিউরিটি টুল নিয়ে কথা বলবো। Windows defender offline scan এর কথা অনেকেই শুনে থাকবেন হয়তো, এমনিতে এটা বিশেষ কিছু না, এডভান্স লেভেলের থ্রেট,রুটকীট, সিস্টেম ফাইল,রেজিস্ট্রি বা এমন এমন কিছু জায়গা যেগুলো তে পিসি রানিং থাকা অবস্থায় এক্সেস পাওয়া যায় না সেসব জায়গা গুলো স্ক্যান করার জন্য পিসির বুটের পর স্টার্টআপ এর আগে যে এডভান্স স্ক্যান করার প্রসেস সেটিকেই বলে অফলাইন স্ক্যান ,যেটা অন্য অনেক এন্টিভাইরাস এ boot time scan নামেও পরিচিত।
যাই হোক, এটি অনেকেই জেনে থাকবেন windows defender এও এই ফিচারটি রয়েছে। কিন্ত আমাদের এই টুলটি একটু অন্যরকম । এটি দিয়ে আপনি Windows defender offline Scanner এর bootable ISO তৈরি করতে পারবেন ও পরে ডিভিডি বা পেনড্রাইভ এ বুটেবল করে নিয়ে এডভান্স স্ক্যান করতে পারবেন । এমনিতে প্রসেস মোটামুটি সাধারণ, টুলটি ডাউনলোড করে চালু করে রান করলে সে নিজেই ISO তৈরি করবে । পরবর্তী তে উইন্ডোজ বুটেবল করার মত করেই আপনি এই ISO টি dvd বা pendrive এ বুটেবল করে নিতে পারবেন।
পিসির ডিপ স্ক্যান,এডভান্স ক্লিনিং এর জন্য এটি কাজে আসতে পারে ।ডাউনলোড লিংক
Microsoft Safety Scanner
মাইক্রোসফট এর এই standalone scanner এর ব্যাপারে হয়তো অনেকেই জানেন না।ডিফেন্ডার এর বাইরেও যদি আপনি আপনার সিস্টেমে আলাদা করে কুইক স্ক্যান,টার্গেটেড স্ক্যান বা ফুল করতে চান তাহলে এই টুলটি কার্যকর হতে পারে।
বিশেষ করে যারা এন্টিভাইরাস এর জন্য পিসির ram, CPU,disk,storage usage বেশি হওয়াটা খুবই অপছন্দ করেন কিংবা ডিফেন্ডার ও বন্ধ করে রেখেছেন তাদের টুলটি কাজে আসতে পারে কারণ এটি দিয়ে আপনি যখন ইচ্ছা যেদিন ইচ্ছা মাসে একবার বা সপ্তাহে একবার বা বছরে একবার স্ক্যান করবেন, কেবলমাত্র স্ক্যানের সময়ই RAM, CPU ইউজ হবে। এছাড়া কখনোই কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড একটিভিটি থাকবে না, startup app,process, notification কোনো কিছুরই ঝামেলা থাকবে না।ডাউনলোড লিংক
ConfigureDefender
এতক্ষণ যে দুটি টুলের কথা আমরা আলোচনা করলাম সেগুলো সম্পূর্ণ অফিশিয়াল। মাইক্রোসফট এর সাইট থেকেই নামানো যাবে।
তবে ওই দুটি টুলের তুলনায় Microsoft Defender Controller টুলটি একটু আলাদা। এটি কোনো স্ক্যানার বা এন্টিভাইরাস না, এটি github এর একটি টুল ও এটি দিয়ে আলাদাভাবে Windows Defender এর অনেক অনেক key features,options, resource management মডিফাই,কন্ট্রোল করা যাবে ও defender এর কার্যকারিতা বাড়ানো কমানো যাবে।
প্রথমত রেডি অবস্থায় চারটি লেভেল এর প্রটেকশন রয়েছে। default, high, interactieve ও max. এগুলো মূলত 40,50টি সেটিংসের on off/enable disable, block ,allow,warn,% ইত্যাদি ভ্যালুর বিভিন্ন লেভেলের উপর ভিত্তি করে ডিফেন্ডার এর কার্যকারিতা এক ক্লিকেই আরো বাড়ানো, প্রটেকশন আরো জোরদার বা শিথিল করার প্রক্রিয়া। কাজগুলো চাইলে ম্যানুয়ালি ও করতে পারবেন কারণ নিচেই সেই 40-50টি অপশন দেওয়া রয়েছে।
40 50 টি বেসিক ও এডভান্স অপশন ম্যানুয়ালি চালু করা বা বন্ধ করা, ইফেক্ট,ইন্টেন্সিটি বাড়ানো কমানো, ফাইল এক্সেস,লোকেশন এক্সেস বা ব্লক,বিভিন্ন ধরনের প্রটেকশন ,ডিটেকশন চালু বা বন্ধ করার সুযোগ রয়েছে। কোনো এপ্লিকেশন, প্রসেস, সফটওয়্যার এর একটিভিটি রেস্ট্রিক্ট বা ব্লক করার toggle ও রয়েছে।download link
Productivity apps,script rule,email rule,other rules,admin smart screen,basic settings এই কয় ভাগে ভাগ করা রয়েছে সেকশন গুলো। আরো বড় সুবিধা হচ্ছে এটির কোনো সেটআপ প্রসেস নেই। চালু করুন আর কনফিগারেশন সাজিয়ে নিন।