Mi 11 কি বাংলাদেশে আসছে?

Xiaomi Bangladesh কে প্রায় আমরা ভিন্নভাবে আপকামিং প্রোডাক্ট নিয়ে বিভিন্নভাবে হিন্টস ও টিজার দিয়ে থাকতে দেখি। বাহিরের দেশের প্রেক্ষাপট চিন্তা করলে বিষয়টি মোটেই ব্যতিক্রমধর্মী কিছু না। কিন্তু আমাদের দেশে ফ্যানসদের এইভাবে ব্যস্ত রাখার প্রয়াস খুব একটা দেখা যায় না বললেই চলে। তো, দুয়েকদিন আগে  Xiaomi Bangladesh এর জেনেরাল ম্যানেজার ফেইসবুক স্ট্যাটাসের শেষে শাওমি ফ্যানসদের উদ্দেশ্য একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন যেখানে তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ- “শাওমি ফ্যানরা এমন একটি ফোন চায় কিনা যেটাতে Qualcomm এর লেটেস্ট ফ্ল্যাগশিপ চিপসেট Snapdragon 888 রয়েছে”?

এখন আমরা যদি শাওমিতে Snapdragon 888 সমৃদ্ধ ফোন খোঁজ করি তাহলে কেবল মাত্র দেখতে পাব একটি সেটি হচ্ছে শাওমির লেটেস্ট ফ্ল্যাগশিপ ফোন Mi 11। ইন ফ্যাক্ট এটি এমন একটি ফোন যেটি কিনা Snapdragon 888 এনাউন্স হওয়ার একই মাসের অর্থাৎ ডিসেম্বর ২০২০ এর মধ্যে এবং এটিও প্রথম ফোন যেটিতে Snapdragon 888 ব্যবহার করা হয়েছে। ইনিশিয়ালি এটি শুধুমাত্র চায়নার বাজারের জন্য এনাউন্স হলেও এই ফ্রেবুয়ারিতে ইউরোপে এনাউন্সমেন্টের মাধ্যমে গ্লোবালিও চলে এসেছে। এই 11 সিরিজের আন্ডারে আরো কয়েকটি ফোন আসার ব্যাপারে গুঞ্জন শোনা গেলেও এটলিস্ট চায়নার জন্য হলেও অফিশিয়ালি ঐসবের ব্যাপারে তেমন অগ্রগতি এখন পর্যন্ত নেই।

এছাড়া আগামি ২৫শে ফ্রেবুয়ারিতে চায়নার জন্য এনাউন্স হতে যাওয়া Redmi K40 সিরিজের যেকোনো একটি ফোন থাকতে পারে Snapdragon 888 চিপসেট। কিন্তু লাস্ট K সিরিজকে আমরা সরাসরি গ্লোবাল মার্কেটে প্রবেশ করতে দেখিনি। পরে পোকো সিরিজের আন্ডারে লঞ্চ হয়েছে যদিও। তাই উপরের বিশ্লেষন গুলো থেকে মোটামুটি এই সিদ্ধান্তে উপনিত হতে পারি যে, যদি অল্প কিছুদিনের মধ্যে শাওমি বাংলাদেশে Snapdragon 888 সমৃদ্ধ কোনো ফোন নিয়ে আসে সেটি হতে যাচ্ছে Mi 11.

Qualcomm এর লেটেস্ট ফ্ল্যাগশিপ চিপসেট ছাড়াও আরো বেশকিছু ফ্ল্যাগশিপ লেভেল স্পেসিফিকেশন অফার করছে এই ফোন। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে 120Hz রিফ্রেশ রেইটের QHD+ রেজ্যুলশনের OLED ডিসপ্লে যার ইন-ডিসপ্লে ফিংগারপ্রিন্ট ডিসপ্লে দিয়ে হার্টরেটও মনিটর করা যাবে। যদিও ডিসপ্লেটি ভেরিয়েবল রিফ্রেশ রেইট সাপোর্ট করে না কিন্তু এতে 10-bit HDR10+,480Hz টাচ রেসপন্স রেইট, 515ppi পিক্সেল ডেনসিটি, হায়েস্ট 1500 nits ব্রাইটনেস ইত্যাদি ফিচার রয়েছে। মেটালিক ফ্রেমের সাথে গ্লাস স্যান্ডউইচ( সামনে Gorilla Glass Victus ) ডিজাইন ছাড়াও লেদারে ব্যাক ইডিশনও রয়েছে। ক্যামেরা সেকশানে একদম অনেক ইম্প্রেসিভ কিছু অফার না করলেও ট্রিপল ক্যামেরা সেটাপে একটি প্রাইমারি ক্যামেরা 108MP with OIS, 13MP এর একটি আল্ট্রা ওয়াইড ও 5MP টেলিফটো ম্যাক্রো সেন্সর রয়েছে। লাস্টলি 4600mAh এর ব্যাটারি রয়েছে যা চার্জ করা যাবে 55W ফাস্ট চার্জার দিয়ে। আরো অনেক ছোটবড় স্পেকস আছে যা এনাউন্স হলে বিস্তারিত আর্টকেলে কভার করা হবে ভবিষ্যতে।

এইবার যদি এই ফোনের প্রাইসিং এর দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দুই মহাদেশে এনাউন্স হওয়া এই ফোনের প্রাইসের মধ্যেও দুই মহাদেশের মধ্যবর্তী দূরত্বের মত বিশাল ফারাক আমরা দেখতে পাব। চায়নাতে এই ফোনের বেস ভ্যারিয়েন্টের মূল্য যেখানে ৩৯৯৯ ইয়েন( কনভার্টেড টাকায় প্রায় ৫৩ হাজার ) অন্যদিকে ইউরোপে সেটি ৭৪৯ ইউরো(কনভার্টেড টাকায় প্রায় ৭৩ হাজার)। তো, যদি বাংলাদেশে যদি এই ফোন এনাউন্স হয় তাহলে এর মূল্য কত হতে পারে বলে মনে করেন আপনি?

Share This Article

Search