আসুস এবং গিগাবাইট দুটি সম্পূর্ণ আলাদা ব্র্যান্ড। কিন্তু এই দুটো প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ডের নাম যখন আপনি একই প্যাকেটে একই প্রোডাক্টের নামের পাশে দেখতে পাবেন তখন কিছুটা অবাক হবারই কথা। কিন্তু বাংলাদেশের কিছু কম্পিউটার বাজার ঘুরে মূলত এই চিত্রই দেখা গেল কিছু মাদারবোর্ডের ক্ষেত্রে।
এই নকল মাদারবোর্ডগুলো মূলত আসলে অনেক পুরোন জেনারেশনের মাদারবোর্ডের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে সেকেন্ড/থার্ড/ফোরথ জেনারেশনের কম দামি এন্ট্রি লেভেল চিপসেটের মাদারবোর্ড বানাচ্ছে এই সকল তথাকথিত চাইনিজ ও কোরিয়ান মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারক। অর্থাৎ, পুরোন জেনারেশনের হাজার হাজার চিপসেট বিভিন্ন মাদারবোর্ড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে পড়ে থাকে। সেই বছরখানেক পুরোন চিপসেট অত্যন্ত কম দামে কিনে এইসব আন্ডারগ্রাউন্ড কারখানা কোন প্রকারে মাদারবোর্ড বানিয়ে বাজারে ছাড়ে। এতে করে উৎপাদন খরচ অরিজিনাল মাদারবোর্ড হতে প্রায় ৭০ থেকে ৮০% কম হয়ে থাকে। এছাড়াও, সরাসরি সেকেন্ড হ্যান্ড বা নষ্ট মাদারবোর্ড কিনে সেগুলো ঠিক করে নতুন করে বাজার জাত করছে প্রতিষ্ঠান।
উল্লেখ্য বাজারে এখন অফিসিয়ালি আর নতুন করে থার্ড ও ৪র্থ জেনারেশনের ইন্টেল প্রসেসরের জন্য মাদারবোর্ড পাওয়া যাচ্ছে না। দোকানে যা আছে তা খুবই পুরোন অবিকৃত স্টক। কিন্তু পুরোন হলেও সব আলাদা আলাদা ব্র্যান্ড, এছাড়াও সব মাদারবোর্ডেই পাবেন ব্র্যান্ডের নিজস্ব ওয়ারেন্টি (যতদিন আর স্টক থাকে আর কি)। কিন্তু এরকম কম দামি কোরিয়ান বা চাইনিজ সেকেন্ড হ্যান্ড মাদারবোর্ড কিনলে আপনি কোন অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি পাবেন না। পরবর্তীতে নষ্ট হয়ে গেলে আপনাকে আবার নতুন করে মাদারবোর্ড কিনতে হবে।
তাই আপনারা যদি সত্যিই বাজেটের মধ্যে ভালো মানের পিসি কিনতে চান তাহলে একটু হাজার খানেক টাকা বাড়তি বাজেট রেখে (মনিটর সহ মিনিমাম ২৫ হাজার টাকা) বর্তমান জেনারেশনের প্রোডাক্ট কেনার চেস্টা করুন। কারণ এসকল ধোঁকাবাজি শুধু মাদারবোর্ড নয় জিপিউ, র্যাম সহ অন্যান্য কম্পোনেন্টেও করা হচ্ছে।