Computex 2025 এ ASUS এর Innovative প্রোডাক্টসমুহ

তাইওয়ানে সদ্য সমাপ্ত হয়ে যাওয়া বিশ্বের সবথেকে বড় ট্রেড শো কম্পিউটেক্সে অংশ নিয়েছিল বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় টেক জায়ান্ট , প্রিমিয়াম কোয়ালিটি কম্পিউটার কম্পোনেন্ট, পেরিফেরাল ও পিসি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ASUS। চলুন দেখে নেওয়া যাক এক নজরে এবারের আসরে ASUS এর উন্মোচন করা প্রোডাক্ট সমুহ।

 

ASUS_ASCENT_GX10

 

ASCENT GX10 হলো আসুসের একটি ছোট সাইজের সুপার কম্পিউটার যেটায় রয়েছে NVIDIA এর GB10 Grace Blackwell superchip। এই অত্যন্ত শক্তিশালী কিন্ত কম্প্যাক্ট সুপার কম্পিউটার টি মুলত AI WORKLOAD এর জন্য বানানো হয়েছে, এতে আছে ১২৮ গিগাবাইট ইউনিফায়েড মেমোরি। এনভিডিয়ার GPU টির রয়েছে ২০ টি কোর ও  1000 TOPS পরিমাণ  AI প্রসেসিং পাওয়ার।

ProArt P16 (H7606)

একই নামে ২০২৪ সালে রিলিজ হওয়া ল্যাপটপ টির ২০২৫ সালের এডিশনে যুক্ত হয়েছে Ryzen™ AI 9 HX 370 Processor এর সাথে এনভিডিয়ার সদ্য লঞ্চ করা RTX 5070। সর্বোচ্চ ভ্যারিয়েন্টটিতে যুক্ত হয়েছে 3K DISPLAY, 120HZ রিফ্রেশ রেট, ৬৪ জিবি র‍্যাম।

 

ASUS ExpertBook P3

EXPERTBOOK সিরিজের এই ল্যাপটপটির দুইটি ডিসপ্লে সাইজ রয়েছে, ১৪ ও ১৬ ইঞ্চি। এর সাথে সাথে Expertbook P3 তে দেখা মিলবে সর্বোচ্চ ৩২ গিগাবাইট র‍্যাম ও AMD এর Ryzen AI সিরিজের 350 প্রসেসরটির। প্রতি ক্ষেত্রেই ডিসপ্লের রিফ্রেশ রেট থাকছে 144 hz ও রেজুলুশন (2,560×1,600)। প্রসেসরটির সাথে আছে 40 TOPS AI Processing ক্ষমতাসম্পন্ন NPU । আরো রয়েছে ২টি TYPE-C পোর্ট, Wi-Fi 7 and Bluetooth 5.4 , 70Wh লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি ও ৬৫ ওয়াটের চার্জার।

 Zenbook A14

 

ZENBOOK আসুসের টপ অফ দা লাইন প্রোডাক্ট লাইনআপগুলোর মধ্যে একটি। ZENBOOK A14 এর সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো পোর্টেবিলিটি , লাইটওয়েট ফিচারের সাথে পারফর্মেন্স। অর্থাৎ এমন একটি ডিভাইস যেখানে এক্সট্রিম লেভেলের প্রোডাক্টিভিটি করা যাবে কিন্ত ডিভাইসটির ভর,আয়তন,প্রস্থ সবই অনেক কম। THIN AND LIGHT but powerful স্লোগানে নিয়ে আসা এই ডিভাইসটিকে ASUS বলছে পৃথিবীর সবথেকে হালকা 14-inch Copilot+ সার্টিফায়েড পিসি। এতে আছে কোয়ালকমের Snapdragon® X X1 26 100 Processor , হায়ার ভ্যারিয়েন্টে Snapdragon® X Elite X1E 78 100 Processor,সর্বোচ্চ ৪২ মেগাবাইট ক্যাশ মেমোরি, উভয় ভ্যারিয়েন্টেই ৩২ গিগাবাইট এর অনবোর্ড LPDDR5X র‍্যাম । দুইটি ভ্যারিয়েন্টেই আছে OLED PANEL,  ডিসপ্লে সাইজ ১৪ ইঞ্চি হলেও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন রেজুলুশন, সর্বোচ্চ 3k 120HZ এর পাশাপাশি আছে 1200P ,60HZ প্যানেলের অপশন।

অবিশ্বাস্য বিষয় হচ্ছে ল্যাপটপটির ওজন, মাত্র 0.90KG-0.98KG  ও Thickness মাত্র 1.34 ~ 1.59 cm।

ASUS Vivobook S14 & S16:

 

এই দুটির মধ্যে ASUS Vivobook S14 টির প্রতিই পাঠক বেশি আগ্রহ দেখাতে পারেন কারণ এতে রয়েছে SNAPDRAGON এর X1 26 100 প্রসেসর, ৩০ মেগাবাইট ক্যাশ ও ADRENO GPU এর সাথে 40 TOPS ক্ষমতা সম্পন্ন NPU। এটির ফ্লাগশিপ ভ্যারিয়েন্টের ডিসপ্লে স্পেসিফিকেশন ও যথেষ্ট উন্নত, 2.5k IPS, আর 1200P ডিসপ্লেটি অবশ্য OLED। আসছে সর্বোচ্চ ৩২ গিগাবাইট র‍্যামের সাথে।

অন্যদিকে ,S16 এ আছে দুইটি ভ্যারিয়েন্ট, একদিকে 13th Gen i5,i7 প্রসেসরের সাথে ৮ গিগাবাইট র‍্যাম, অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত নতুন ও শক্তিশালী Core Ultra 200H সিরিজের ULTRA 5, ULTRA 7 প্রসেসরের সাথে ১৬ গিগাবাইট র‍্যাম। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে থাকছে সর্বোচ্চ 16 inch 2.5k 144HZ এর ডিসপ্লে।

Vivobook 14 , Vivobook 16

নামগুলো  হলেও S14,S16 থেকে 14,16 এর পার্থক্য রয়েছে অনেক। বরং Vivobook 14,16 অনেকটাই বাজেট ইউজারদের লক্ষ করে এনেছে আসুস। 14,16 দুটি সংখ্যা মুলত এখানে ল্যাপটপ দুটির ডিসপ্লে সাইজ নির্দেশ করছে। দুটি ল্যাপটপের স্পেসিফিকেশনই খুবই কাছাকাছি, দুটিতেই রয়েছে ইন্টেলের Intel® Core™ Ultra 5 Processor 225H প্রসেসর ও NPU, ১৬ গিগাবাইট র‍্যাম, ৫১২/১টেরাবাইট এসএসডি,দুটি করে TYPE-C পোর্ট, 1080p ডিসপ্লে ও INTEL ARC গ্রাফিক্স।

ASUS Chromebook Plus CX14 , Chromebook CX15

একদমই এন্ট্রি লেভেলে একাডেমিক ও বিজনেস এর উদ্দেশ্যে আসুসের Chromebook লাইনআপে যুক্ত হয়েছে ASUS Chromebook Plus CX14 ও Chromebook CX15 । ল্যাপটপগুলোর নাম থেকেই কিছুটা আন্দাজ করা যায়, এগুলো ফিচার করছে গুগল এর CHROME OS , Enterprise upgrade/Educational Upgrade। ভ্যারিয়েন্ট ভেদে প্রসেসর হিসেবে আছে Celeron® N4500 Processor, Intel® Processor N250, Intel® Processor N150 ও Intel® Core™ 3-N355 Processor। ৪কোর-৪থ্রেড থেকে সর্বোচ্চ ৮ কোর-৮থ্রেড। CX15 এ আছে 15.6 ইঞ্চির FHD ডিসপ্লে ও Chromebook Plus CX14 এ পাওয়া যাবে ১৪ ইঞ্চির FHD ডিসপ্লে যার একটি ভ্যারিয়েন্টে রয়েছে টাচস্ক্রিন। Core 3 প্রসেসরগুলোর সাথে পাওয়া যাবে 4GB থেকে 8GB পর্যন্ত LPDDR5X র‍্যাম ও বাকিগুলোতে LPDDR4X র‍্যাম। একদমই বেসিক ইউজারদের জন্য কম বাজেটে আসায় দেওয়া হয়েছে ছোট ক্যাপাসিটির EMMC স্টোরেজ। প্রতিটি ল্যাপটপেই আছে FHD রেজুলুশন পর্যন্ত Privacy Shutter সহ ওয়েবক্যাম ও 45W এর TYPE-C Adapter ও ব্যাকআপ দেওয়ার জন্য রয়েছে 42WHrs ব্যাটারি।

TUF,STRIX ও Zephyrus সিরিজের ল্যাপুটপগুলোতে ,যেমন ROG Strix G16, the Zephyrus G14, and the TUF Gaming F16, A16,  A18   এ 5060 GPU ভ্যারিয়েন্ট যুক্ত হয়েছে।

AMD X870E and B850 ROG Motherboards

ROG STRIX B850-G GAMING WIFI

AMD এর লেটেস্ট মিডরেঞ্জ চিপসেড় B850 এর সাথে আসা এই STRIX বোর্ডটি ফিচার করছে 14+2+1 ফেজের 80A এর পাওয়ার স্টেজ। সর্বোচ্চ ২৫৬ জিবি র‍্যাম এর ক্যাপাসিটি, WIFI 7 । বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে আছে ASUS এর AI CACHE BOOST, যেটা দিয়ে AI WORKLOAD এর জন্য ক্যাশ এফিশিয়েন্সি বাড়ানো যায় ফলে LLM সহ অন্যান্য AI সংক্রান্ত কাজের স্পিড বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি আছে AI ADVISOR ও AI NETWORKING II এর মত AI assistant যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইউজারকে বোর্ডের বিভিন্ন ফিচার ও ফাংশন ব্যবহার করা ও খুজে বের করার  ক্ষেত্রে সাহায্য করবে । আছে একটি PCIE 5.0 সহ মোট চারটি M.2 স্লট।

ROG CROSSHAIR X870E EXTREME

নামের মত এটি ফিচার, লুক, পারফর্মেন্স,প্রাইস সবদিক দিয়ে এক্সট্রিম। ASUS এর AMD RYZEN 9000 সিরিজের মাদারবোর্ডগুলোর মধ্যে ফ্লাগশিপ মডেল হচ্ছে এটি। সর্বোচ্চ পর্যায়ের ওভারক্লকিং, টুইকিং, মডিং এর জন্য আছে 20(110A)+2(110A)+2(80A) ফেজের পাওয়ার স্টেজ। আছে Gen5 এর ৩টি সহ ৫টি m.2 স্লট। HDMI, DISPLAY PORT এর পাশাপাশি আছে ২টি USB 4.0 Display output ও একাধিক USB 4.0 পোর্ট । পূর্বোল্লেখিত  AI ফিচার গুলোর পাশাপাশি রয়েছে DYNAMIC OC SWITCHER, CORE FLEX এর মত ফিচার।

ROG CROSSHAIR X870E APEX

APEX এও রয়েছে চারটি র‍্যাম স্লট, ৫টি m.2 স্লট, ২টি USB 4.0 Display port ও 18(110A)+2(110A)+2(80A) Power Stages।

ROG CROSSHAIR X870E HERO

HERO এর স্পেসিফিকেশন ও ফিচারগুলোর প্রায় সবই  APEX এর মতই। আছে একই স্পেসিফিকেশনের পাওয়ার স্টেজ, পাচটি m.2 এর  পাশাপাশি 1 x SlimSAS connector ।

এগুলো ছাড়াও ASUS বেশ কিছু BTF মাদারবোর্ড লঞ্চ করেছে যার মধ্যে ROG Crosshair X870E HERO BTF and Maximus Z890 HERO BTF উল্লেখযোগ্য।

 

ROG Ryuo IV SLC 360 ARGB, ROG Ryuo IV SLC 360 ARGB, white edition

কুলারটি ফিচার করছে 200mm tube, হাই পারফর্মেন্স পাম্প। তবে এগুলো ছাপিয়ে এই কুলারটির মুল আকর্ষণ হলো এর 2.5k Curved display. ডিসপ্লেটির সাইজ ও বিশাল, 6.7 ইঞ্চি, প্যানেল টাইপ: এমোলেড। কুলারটিতে ফ্যান রয়েছে ROG RYUO IV MF-12C ARGB মডেলের, যেটির সর্বোচ্চ স্পিড 2800RPM,36db(A) নয়েজ ও 89.73CFM এয়ারফ্লো । ফ্যান গুলো ডেইজি চেইন করা। ডিসপ্লেটি সর্বোচ্চ পর্যায়ের কাস্টোমাইজেশন সমর্থন করে, ASUS INFOHUB App টি দিয়ে ইউজার ইচ্ছামত সাজিয়ে নিতে পারবেন এটি।

ROG XG Station 3

এটি একটি External Graphics Card Dock ,যেটি Thunderbolt 5 Protocol এ হালের যেকোনো লেটেস্ট গ্রাফিক্স কার্ড (RTX 50/RX 90) সমর্থন করে । পোর্টেবল ডিভাইসগুলোতে এটির মাধ্যমে আলাদাভাবে GPU ইন্সটল করা যাবে। এটি সর্বোচ্চ 80Gbps Bandwidth সমর্থন করে,একই সাথে ASUS এর BTF মডেলের কার্ডগুলোও এটির সাথে সম্পুর্ণ কম্প্যাটিবল।

ROG Strix Ace XG248QSG: World’s fastest gaming monitor

সর্বনিম্ন রেস্পন্স টাইম সর্বোচ্চ রিফ্রেশ রেট এর জন্য ইস্পোর্টস গেমারদের জন্য TN প্যানেল একসময় তুমুল জনপ্রিয় ছিল। সেই স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে R0G, Strix ACE XG248QSG এর মাধ্যমে। এই ২৪ ইঞ্চির গেমিং মনিটরটি ফিচার করছে একটি ৬১০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ফুল এইচডি TN PANEL। আরো আছে 0.1ms response time ও 0.8ms input lag, যা ASUS এর মতে বাজারের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে ৫৬% কম । একই সাথে এটির COLOR GAMUT ও ২০% ওয়াইড। ELMB 2 technology এর জন্য ব্লার কমানো ও ২০% বেশী ব্রাইটনেস পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। এটি বেসিক সমস্ত এডজাস্টমেন্ট ফিচার সমর্থন করে।

ROG Strix OLED XG34WCDMTG: Ultrawide gaming monitor with Google TV

এই 2k রেজুলুশনের ৩৪ ইঞ্চি আল্ট্রাওয়াইড QD-OLED মনিটরটির রিফ্রেশ রেট ২৪০ হার্জ ও 99% DCI-P3 কালার কাভারেজ।বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে এটিতে Google TV, Geforce Now প্রি-ইন্সটল রয়েছে ,আরো আছে Wifi 6।

ROG Falcata

এই কিবোর্ডটির সবথেকে আকর্ষণীয় দিক হলো এর স্প্লিট ফাংশন। অর্থাৎ মাঝখান থেকে এটি সম্পুর্ণ আলাদা করা যায়। এই Wireless Mechanical Hot-swappable কিবোর্ডটিতে আছে ROG HFX V2 Magnetic Switches ,যেগুলোর এচকচুয়েশন  0.1-3.5mm রেঞ্জের মধ্যে চেঞ্জ করা যায়। কিবোর্ডটিতে আরো ব্যবহার করা হয়েছে  Hall sensor। এটিতে একসাথে ৩টি ডিভাইসে একসাথে কানেকশন দেওয়া যাবে, আছে 8000Hz পোলিং রেট ও ROG SpeedNova 2.4GHz wireless technology এর দরুন ৬১০ ঘন্টার ব্যাটারি লাইফ  ।

ROG Harpe II Ace

অত্যন্ত হালকা এই ইস্পোর্টস ফোকাসড গেমিং মাউসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে  ROG AimPoint Pro optical sensor যার  সর্বোচ্চ DPI 42,000,Polling Rate  8000Hz।সুইচের লাইফস্প্যান ১০০ মিলিয়ন ক্লিক। এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ROG SpeedNova 8K wireless technology ।

ROG Destrier Core in Moonlight White edition, ROG Courser  

প্রথমে উল্লেখ করা মডেলটি মুলত 2024 সালে রিলিজ হওয়া Destrier Core এর সাদা রঙের সংস্করণ। আছে মেশ, নাইলন ফ্রেম, এডজাস্টেবল হেডরেস্ট, লাম্বার সাপোর্ট প্যাডেড আর্মরেস্ট ও মোবাইল গেমিং এর জন্য বিশেষ এলিভেশন মোড।

ROG Courser  এ রয়েছে আরজিবি , বিশেষ Dynamic Synchronized Reclining system যার রেঞ্জ ৯০-১৫৫ ডিগ্রী। ফোরডি এডজাস্টেবল আর্মরেস্ট, এডজাস্টেবল লাম্বার সাপোর্ট সহ আরো অনেক গুলো সুবিধা।

ASUS TUF-BE9400

আসুসের নেক্সট জেনারেশন WIFI7 রাউটার ,TUF-BE9400 তে আছে Multi-Link Operation (MLO) টেকনোলজি,4K-QAM, 2.4G-5G-6G switching। পোর্টস গুলোর মধ্যে 2.4G পোর্টস রয়েছে চারটি। TREND-MACRO এর সাথে কোলাবোরেশনে এতে আরো দেওয়া হয়েছে Triple-Level Network Security with AiProtection।

Graphics Card:

BTF ইকোসিস্টেমের জন্য আসুস বেশ কিছু BTF গ্রাফিক্স কার্ড লঞ্চ করেছে যেমন ROG Astral GeForce RTX 5090 BTF Edition , TUF Gaming GeForce RTX 5070 Ti BTF White Edition

Share This Article

Search