স্মার্টফোন কিন্তু বর্তমানে বেশ সুলভ মূল্যেই আমরা পাচ্ছি। কিন্তু ভালো ভালো ব্রান্ডের ফ্ল্যাগশীপ ডিভাইসগুলো এখনো সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের বাইরে। যেমন সম্প্রতি ওয়ানপ্লাস ৭ প্রো, হুয়াওয়ে মেইট পি৩০ প্রো, অ্যাপলের লেটেস্ট আইফোন কিংবা স্যামসংয়ের লেটেস্ট গ্যালাক্সি এস১০+ , এই সকল ডিভাইসগুলোর দাম বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮০ হাজারেরও উপরে হয়ে থাকে। আর এই সকল ডিভাইসগুলো আপনি প্রায় বছরখানেক পর্যন্ত কোনো সেকেন্ড হ্যান্ড সংস্করণও পাবেন না যে এর থেকে একটু কম দামে কিনে নিবেন। তাই অনেকেই রিফার্বিশড কন্ডিশনের দিকে ঝুঁকে থাকেন বিশেষ করে আইফোনের বেলায়। তবে আবার অনেকেই রিফার্বিশড ডিভাইসগুলোকে সেকেন্ড হ্যান্ডের থেকে খারাপ মনে করেন আবার অনেকেই একে বেআইনি বলেও আখ্যায়িত করে থাকেন। আজকের পোষ্টে আমি রিফার্বিশড স্মার্টফোন নিয়ে বিস্তারিত ভাবে সহজ ভাষায় সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তো চলুন মূল পোষ্টে চলে যাওয়া যাক।
রিফার্বিশড ফোন মানে কি??
প্রথম কথা হচ্ছে রিফার্বিশড স্মার্টফোনকে অনেক নামে আখ্যায়িত করা হয়, Refurbished Phone, Reconditined Phone, Pre-owed Phone কিংবা Open Box Phone ইত্যাদি বিভিন্ন নাম রয়েছে এটার। কিন্তু এর সবগুলোই হচ্চে রিফার্বিশড ফোন।
আর মনে রাখবেন যে রিফার্বিশড ফোন বিক্রি করা কোনো বেআইনী নয় কিন্তু রিফার্বিশড ডিভাইসকে নতুনের নাম দিয়ে বা রিফার্বিশড ডিভাইসকে নতুন ডিভাইস বলে মিথ্যাচারের সাহায্যে বিক্রয় করা হচ্ছে বেআইনি।
রিফার্বিশড ফোন এর সাধারণ মিনিং হচ্ছে এগুলো হচ্ছে একধরণের Pre-owed ডিভাইস যেগুলোতে কোনো সমস্যা বা বাগের কারণে ক্রেতারা কোম্পানির কাছে ফেরত দিয়ে দিয়েছেন। অনেক সময় নতুন ডিভাইস কেনার পর দেখায় যায় যে সাউন্ডে সমস্যা থাকে, ক্যামেরায় সমস্যা থাকে, ব্যাটারিতে সমস্যা থাকে ইত্যাদি সমস্যা আমরা ধরতে পারি, তখন অফিসিয়াল ফোনের বেলায় আপনি কমপ্লেইন করলে আপনার ডিভাইসটিকে কোম্পানি পাল্টিয়ে দেবে। কিন্তু আপনার সমস্যাগ্রস্থ ফোনটিকে কোম্পানি সমস্যাগুলোকে ঠিক করে নিয়ে আবারো বাজারে সেল করবে আর এই ফোনটিই তখন রিফার্বিশড ফোন হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য যে পুনরায় বিক্রি করার পূর্বে ফোনগুলো বাজারে বিক্রির উপযুক্ত এবং ব্যবহারের উপযুক্ত কিনা এ বিষয়ে কোম্পানি কর্তৃক বেশ কিছু টেষ্ট করা হয়, এবং তারপরেই ডিভাইসটি বাজারে আবারো ছাড়া হয়। কিন্তু এবার নতুন ডিভাইসের থেকে বেশ কমমূল্যে ডিভাইসটিকে বাজারে তোলা হয়। কম মূল্যের সাথে গ্যারান্টি পিরিয়ডও কমিয়ে আনা হয় (৩ কিংবা ৬ মাস)।
https://www.youtube.com/watch?v=DFTRKQY-f68
বি:দ্র: মনে রাখবেন সকল রিফার্বিশড ফোনগুলো কিন্তু সমস্যাগ্রস্থ ছিলো না। আজকাল বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে দেখবেন কোনো ডিভাইস লঞ্চ হবার আগেই তাদের কাছে ডিভাইসটির একটি রিভিউ ইউনিট চলে যায়, এই যেমন আমাদের কাছে রিয়েলমি ৩ প্রো এর রিভিউ ইউনিটটি আসার কারণে আমরা রিয়েলমি ৩ প্রো ডিভাইসটি নিয়ে একটি রিভিউ ভিডিও করতে পেরেছি।
এই রিভিউ ইউনিটগুলোও কিন্তু পরবর্তীতে কোম্পানির নিকট ফেরত দিয়ে দেওয়া লাগে এবং তারা পরবর্তীতে এগুলোকেও রিফার্বিশড ফোন হিসেবে বাজারে সেল করে। আবার অনেক “বড়লোক” ছেলেপেলে রয়েছেন যারা প্রতি মাসে ২/৩ বার করে স্মার্টফোন পরিবর্তন করে থাকেন। এই যেমন বর্তমানে হুয়াওয়ে পি৩০ প্রো ব্যবহার করছেন আগামীকাল বাংলাদেশে ওয়ানপ্লাস ৭ প্রো আসলে সেটা বদলিয়ে এটা নেবেন। এই ডিভাইসগুলোতে কোনো সমস্যা না থাকলেও এগুলোকে তারা পাল্টিয়ে নেন আর এই ডিভাইসগুলোকেও দেশের বিভিন্ন শপে রিফার্বিশড নামে সেল করা হয়ে থাকে কারণ মূলত এগুলো সেকেন্ড হ্যান্ড ডিভাইস হলেও সেকেন্ড হ্যান্ড হিসেবে সেল করলে সেল ভালো হয় না।
প্রত্যেক রিফার্বিশড ফোনই সেকেন্ড হ্যান্ড!
এটা একটি ভূল ধারণা। কারণ একটি রিফার্বিশড ফোন এবং একই ডিভাইসের নতুন সংস্করণ দুহাতে নিলেও আপনি বুঝতে পারবেন না কোনটা রিফার্বিশড আর কোনটা নতুন। রিফাবির্শড ডিভাইসগুলোর ব্যাটারি এবং কেসিং পরিবর্তন করেই এবং বিভিন্ন টেস্টিংয়ের পরেই বাজারে ছাড়া হয়ে থাকে। আর একই সাথে আপনি রিফার্বিশড ডিভাইসে ওয়ারেন্টিংও পাবেন স্মার্টফোন কোম্পানির কাছ থেকে। যেগুলো আপনি সেকেন্ড হ্যান্ড ডিভাইসে পাবেন না।
রিফার্বিশড ডিভাইসে কোনো না কোনো সমস্যা থাকে!
এটাও ভূল কথা। প্রায় সকল রিফার্বিশড স্মার্টফোনে বিভিন্ন ধরণের কোয়ালিটি চেক করেই সেটাকে মার্কেটে আনা হয়ে থাকে যেটা আমি পোষ্টের আগেও বলেছি। আর কোম্পানি খোদ নিজেই রিফার্বিশড ফোনে গ্যারান্টি সহ বিক্রি করে থাকে তাই নিশ্চিয় সমস্যাযুক্ত ফোনকে কেউ গ্যারান্টি দিয়ে সেল করবে না!
রিফার্বিশড ফোনে ভরসা নেই!
এটাও একটি ভূল ধারণা। যেখানে কোম্পানি থেকে আপনি রিফার্বিশড ডিভাইসের উপর গ্যারান্টি পাচ্ছেন যেটা নতুন ডিভাইসের বেলাও পেয়ে থাকেন এর থেকে বেশি ভরসার তো আর কিছুই নেই।
রিফার্বিশড ফোনে নকল পার্টস থাকে!
হ্যাঁ থাকে! যদি আপনি আনঅথোরাইজ এবং অন্য কোনো থার্ড পার্টিং থেকে কেনন তাহলে স্মার্টফোনে বেশি প্রফিট কামানোর জন্য রিফার্বিশড ফোনে নকল পার্টস লাগানো কোনো অসম্বব কিছু নয়। কিন্তু কোম্পানি থেকে অথরাইজ শপ থেকে গ্যারান্টি সহ কিনে থাকেন তাহলে সেখানে নকল পার্টসের কোনো প্রশ্নই উঠে না।
রিফার্বিশড ফোন কেনা উচিত?
মজার কথা হচ্ছে ২০০৭ থেকে আইফোন বিশ্বের অন্যতম দামী ফোন হিসেবে দেখে আসা হয়, আর আরো মজার কথা হচ্ছে বিশ্বের সবথেকে বেশি রিফার্বিশড ফোন হিসেবে আইফোনই বিক্রি হয়ে থাকে। তাই লেটেস্ট আইফোন যদি রিফার্বিশড হিসেবে ভালো কন্ডিশনে পেয়ে যান তাহলে অবশ্যই গ্যারান্টি সহকারে অথরাইজ শপ থেকে কিনে নেওয়া উচিত। মনে রাখবেন রিফার্বিশড জেনুইন আইফোন কিনলে আপনি ডিভাইসের কোনো সমস্যা হলে ওয়ারেন্টি থাকলে আপনি সরাসরি অ্যাপল থেকে সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার দুটো ক্ষেত্রেই সার্পোট পাবেন।
অনান্য ডিভাইসের বেলাতেও একই কথা বলা যায়। তবে মজার ব্যাপার হলো আপনি লেটেস্ট ফ্ল্যাগশীপ ডিভাইসের রিফার্বিশড সংষ্করণ খুবই কম পাবেন। তাহলে বলা যাচ্ছে যে,
১) রিফার্বিশড ফোন কিনলে সবথেকে বেশি লাভবান হবেন আপনি আর্থিক দিক থেকে। কারণ নতুন ডিভাইসের থেকে প্রায় ৪০ থেকে ৬০% মূল্যে কিনতে পারবেন। তবে নতুন এবং লেটেস্ট ডিভাইসগুলোর রিফার্বিশড পাওয়া বেশ মুশকিল।
২) বড় কোম্পানি থেকে রিফার্বিশড ফোন কিনলে আপনি সর্বোচ্চ ১২ মাসের গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি পাবেন যেমন অ্যাপল, স্যামসংয়ের থেকে সরাসরি কিনলে। আবার বসুন্ধরা শপিং বা যমুনা শপিং সেন্টারের শপ থেকে কিনলে ৩০ বা ২/৩ মাসের “লোকাল” ওয়ারেটিং পাবেন।
৩) রিফার্বিশড ফোনের সাথে চার্জার, হেডফোন, কেইস সবই পাবেন
৪) তবে প্রিমিয়াম একসেসসরিজ (যেমন ফার্স্ট চার্জার) পাবেন কিনা সেটা কোম্পানির উপর নির্ভর করবে
৫) আর নতুন ডিভাইস কিনলে নতুন ফ্রেশ বক্সের সাথে পেলেও রিফার্বিশড ফোনে বক্সের ডিজাইন বা ধরণ থেকে আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। তবে বক্সে কি আসে যায়!
রিফার্বিশড ফোনের শ্রেনীবিভাগ
রিফার্বিশড ফোনের কন্ডিশনের উপর ভিক্তি করে একে কয়েকভাগে ভাগ করা যায়। এই ভাগগুলো উপর বিশেষ করে খেয়াল করবেন:
ক) Grade A = রিফার্বিশড ফোনের সবথেকে ভালো কন্ডিশনকে গ্রেড এ বলা হয়। এগুলো দেখতে একদম নতুনই লাগবে। এই ফোনগুলোকে কেনার প্রথম ৩০ দিনের মধ্যেই ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে। তাই একে ব্রান্ড নিউ ফোন বললেও ভূল হবে না। এই কোয়ালিটির রিফার্বিশড ফোন চোখ বন্ধ করে কিনে নিতে পারেন।
খ) Grade B = এই শ্রেণির ফোনে কিছু Scratch দেখতে পারেন। মানে এগুলো দেখে মনে হবে যে আসলেই এই ফোনটি আগেও কেউ ব্যবহার করে ছিলো! তবে বেশি পুরাতন মনে হবে না।
গ) Grade C = এই শ্রেণির ফোনে সমস্যা থাকার কারণে ফেরত দেওয়া হয়েছিলো। মানে “সমস্যাগ্রস্থ” ফোনগুলো এই শ্রেণির অন্তুভূর্ক্ত হয়ে থাকে। ফোনগুলো কোম্পানি থেকে সারিয়ে নিয়ে টেস্ট করিয়ে তারপর সেল করা হয়ে থাকে।
ঘ) Grade D = রিফার্বিশড ডিভাইসের সবথেকে খারাপ কন্ডিশন হলো গ্রেড ডি। কারণ এই শ্রেণির ডিভাইসগুলোতে বেশ স্ক্রাচিং থাকে, ডিসপ্লে কোনায় কাংচিংতে ভাঙ্গা থাকবে। মানে সেকেন্ড হ্যান্ড ডিভাইসগুলোও এর থেকে ভালো কন্ডিশনে থাকে!
মনে রাখবেন ক এবং খ শ্রেণির রিফার্বিশড কিনবেন। পরবর্তীগুলো যদি নিজের ডিভাইস নিজেই নষ্ট হলে ঠিক করতে পারেন তাহলে কিনতে পারেন!
পরিশেষে কিছু কথা বলা যাক, শখের ফোনটি কি আসলেই জেনুইন? এত টাকা দিয়ে ফোন কিনছেন নাকি টাকা পানিতে ফেলছেন? দেশের বাজার থেকে দামী ফোন কেনার আগে সতর্ক অবলম্বন করা উচিত। গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্মার্টফোন মার্কেট ঘুরে এটুকু চোখে পড়লো যে অথরাইজড শপ ছাড়া ছাড়া অন্য কোনো স্থান থেকে স্মার্টফোন কিনলে প্রতারিত হবার সম্ভাবনা ৬০-৭০ ভাগ। বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ ফোনই আসে চায়না থেকে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু ব্যবসায়ী রিফার্বিশড ফোন বিক্রি করে, যা অবিকল নতুন ফোনের মত। রিফার্বিশড ফোনগুলো মূলত ব্যবহার করা পুরাতন ফোন, বিশেষ প্রক্রিয়ায় ফোনগুলোকে নতুন রুপ দেওয়া হয়। আর এসব ফোন ইন্ট্যাক্ট বক্সেই প্রধান বাজারের চেয়ে কিছুটা কম দামে বিক্রি করা হয়। আর কম দামের আশায় মানুষ এসব ফোন অহরহ কিনছে।
আপনি যদি এমন ধরণের ফোন কিনে থাকেন তবে আপনি সম্পূর্ণ প্রতারিত। এসকল ফোন কিছুদিন ব্যবহার করার পর ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের বাজারে Sony, HTC, iPhone, Lenevo, Asus, Samsung এর রিফার্বিশড ফোন খুব বেশি বিক্রি হয়ে থাকে।
এসকল ফোনের সাথে দেওয়া চার্জার,হেডফোন কিংবা ডাটা ক্যাবল গুলোর কোয়ালিটি একেবারে নিম্নমানের। যা দেখেই বুঝতেই পারবেন যে আপনি প্রতারিত হতে যাচ্ছেন। কিন্তু অনেকেই সেগুলো বোঝে না।
কোনোভাবে কি বোঝার উপায় আছে যে আমি যে ফোনটি কিনতে যাচ্ছি সেটা ব্যবহৃত রিফার্বিশড ফোন কিনা?
হ্যাঁ এটা বোঝার জন্য অনেক পদ্ধতি আছে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ফোন সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। Sony, HTC, Samsung, Asus, Lenevo ইত্যাদি ব্র্যান্ডের ফোনগুলো কেনার সময় অবশ্যই দেখবেন বক্স ইন্ট্যাক্ট আছে কিনা, যেদিক থেকে বক্স খোলা হয় সেখানে অফিশিয়াল রঙীন স্টিকার ঠিকমতো লাগানো আছে কিনা।
এরপর ফোনটি হাতে নিয়ে দেখুন এর ফিনিশিং ঠিক আছে কিনা, টাচ স্মুথলি কাজ করছে কিনা, ক্যামেরা, ফ্ল্যাশ ঠিকমত কাজ করছে কিনা।
নেটে সার্চ করলে অনেক ওয়েবসাইট পাবেন যেখানে ফোনের IMEI প্রবেশ করালে ফোনের বিস্তারিত দেখা যায়। এখানে আপনার ফোনের IMEI প্রবেশ করিয়ে চেক করতে পারেন। যদি আপনার IMEI প্রবেশ করানোর পরও কোনো তথ্য না আসে তবে বুঝবেন আপনি সবচেয়ে বড়মাত্রার প্রতারণার শিকার হতে যাচ্ছেন। আর যদি ফোনের বিস্তারিত দেখতে পান তার মানে এই না যে আপনার ফোন অরজিনাল। এর মানে বোঝায় আসলেই ওই স্মার্টফোন কোম্পানি এই ফোনটি কোনো না কোনো সময় তৈরি করেছিলো।
এবার আসি আইফোনের কথায়। নকল আইফোন গুলোতে কখনোই ios অপারেটিং সিস্টেম থাকবেনা। সেখানে অ্যান্ড্রয়েড থাকবে। এরজন্য অ্যাপস্টোর কিংবা ম্যাপস এ ক্লিক করলেই বুঝবেন সেটি আপনাকে প্লেস্টোর এবং গুগল ম্যাপসে নিয়ে যাবে। এগুলোর দাম মূল ফোন থেকে অনেক কম্ম সর্বোচ্চ দশ হাজার।
আর রিফার্বিশড আইফোন চেনার জন্য কোনো ওয়ে নাই বলে আমি মনে করি। তবে এটুকু চেক করতে পারবেন আসলেই ফোনটা কোনো সময় অ্যাপল তৈরি করেছিলো কিনা। আর সেজন্য বক্সের উপরের IMEI এবং সিরিয়াল নাম্বারের সাথে ফোন অন করার পরে সেটিংস এর IMEI এবং সিরিয়াল নাম্বার মিলিয়ে নিন। এরপর অ্যাপলের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সিরিয়াল নাম্বার ইন্সার্ট করলে কিছু তথ্য পাবেন, ফোনটির মডেল কত, কত জিবি, কবে তৈরি করা হয়েছে ইত্যাদি। সেগুলো যদি মিলে যায় তবে বুঝবেন কোনো না কোনো সময় অ্যাপল এই ফোনটি তৈরি করেছিলো।
বিক্রয় ডট কম কিংবা এখানেই ডট কমসহ আরোও অনলাইন কেনা-বেচার সাইটে দেখবেন অনেক কম দামে আইফোন বিক্রি হয়ে থাকে। আর এর বেশিরভাগই রিফার্বিশড। এগুলো ফোন কিনলেই আপনি ঠকবেন।
সকল শ্রেণির রিফার্বিশড ফোনগুলোর বেশিরভাগই চীন আর মালয়েশিয়া থেকে আসে। এসব ফোন বাইরে থেকে আসার সময় শুধুমাত্র খোলা ফোন আসে, যার সাথে কোনো বক্স, হেডফোন কিংবা চার্জার থাকেনা। দেশে আসার পরে সেগুলোকে ইন্ট্যাক্ট বক্সে রুপদান করা হয়। আর এসকল ফোনের বেশিরভাগই শুল্ক ফাঁকি দিয়ে দেশের বাইরে থেকে আনা হয়না।
তাই ব্র্যান্ডের ফোন কেনার আগে অনেক সতর্কতার সাথে কেনা উচিত অথবা অথরাইজড শপ থেকে কেনা ভালো। কারণ আপনি যে ঠকবেন না তার গ্যারান্টি কি? কষ্ট করে উপার্জিত টাকায়, শখের ফোনটি কেনার আগে একটু সতর্ক হোন।