গেমিং মাউস কিনার সময় কি কি দেখে কিনবেন?

গেম খেলতে গেমিং মাউস অবশ্যই লাগবে সেটা কম্পিটিটিভ হোক কিংবা ক্যাসুয়াল। তবে গেমিং মাউস কিনার ক্ষেত্রে আমরা আরজিবি লাইটিং এবং ডিসাইন দেখে মাউস কিনে ফেলি। কিন্তু পরে দেখা যায় মাউসের ট্রাকিং ভালো না অথবা মাউসের বাটনে সমস্যা করা। যদিও এই ব্যপারে এখন অনেকেই যথেস্ট সচেতন তার পরেও অনেকেই এ ব্যাপারে জানেন না।

গেমিং মাউস কিনার ক্ষেত্রে কিছু টিপসঃ
১। আরজিবি দেখে মাউস কিনবেন নাঃ প্রথমেই যে ভুলটা আমরা করে থাকি তা হল গেমিং মাউস কিনার সময় আরজিবি দেখে মাউসটা কিনে থাকে। শুধুমাত্র লাইটিং এর জন্য গেমিং মাউস হয়ে থাকে না। যদিও এখনকার অনেক চাইনিজ ব্র্যান্ড আছে যারা খালি আরজিবি দিয়েই মার্কেটিং করে থাকে। মাউসের অন্য সুবিধাদি আগে দেখুন এর পরে অতিরিক্ত হিসেবে মাউসের আরজিবি লাইটিং আছে কিনা তা দেখুন।

২। মাউসের সেন্সর সম্পর্কে জানুনঃ মাউসের সেন্সর হল মাউসের গুরুত্বপুর্ন অংশ। কারন অধিকাংশ কাজই মাউসের সেন্সর দ্বারা হয়ে থাকে। আর মাউসের সেন্সর নস্ট হলে মাউসটি অচল। এছাড়া এডযাস্টেবল ডিপিয়াই ফিচার যাতে থেকে থাকে। সাধারনত ভালো ব্রান্ডেড অপেক্ষাকৃত দামী মাউস যেমন ASUS, Cooler Master ইত্যাদি ব্র্যান্ডে ভালো মানের সেন্সর এবং এডযাস্টেবল DPI ফিচার দেয়া থাকে যেগুলো সফটওয়ারের মাধ্যমে মাউসগুলোর DPI পরিবর্তন করা যায়। এখানে DPI  হল Dotts Per Inch। এটি বুঝায় মাউসটি কত পরিমান সেন্সিটিভ। এছাড়া ভালো সেন্সরের উপরেও মাউসের Polling Rate নির্ভর করে যেটী মাউসের রেস্পন্স করার কর্মক্ষমতাকে বুঝায়। Pixart, Hero, Mercury, Truemove ইত্যাদি কিছু ভালো মানের মাউস সেন্সর প্রস্তুতকারী ব্র্যান্ড।

৩। মাউসটি আপনার হাতের সাথে মানানসয়ী কিনাঃ আরগোনমিক্স বা আপনার হাতের সাথে মাউসটি সুবিধামত যাচ্ছে কিনা তা অবশ্যই দেখে নেয়া উচিত। হাতের আকার অনুযায়ী মাউস না কিনলে পরে মাউস চালাতে সমস্যা হতে পারে। মাউসের আকারের উপরে আপনার হাতের অবস্থান এবং গ্রিপ নির্ভর করে থাকে। আপনি যদি বামহাতি হয়ে থাকেন তাহলে মাউসটি আপনার বাম হাতের উপযোগী কিনা তা দেখে নেয়া উচিত।

৪। মাউসের প্রাইমারি বাটন কোন ধরনেরঃ মাউসের মুল ৩ টি বাটন যথা রাইট ক্লিক, লেফট ক্লিক এবং মিডল মাউস বা স্ক্রলবার এই ৩ টি জিনিশ দেখে কিনা উচিত। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ মাউস প্রস্তুতকারী কোম্পানি বলে থাকে না। কিন্তু ব্র্যান্ডেড কোম্পানিগুলো বলে থাকে তাদের মাউসগুলোর বাটন কোন ধরনের সুইচে বানানো। মাউসের বাটনে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ওমরন সুইচ যেটি ব্যাপকভাবে ব্যাবহার হয়ে থাকে।

৫। অতিরিক্ত সুবিধা আছে কিনাঃ অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে দেখা উচিত মাউসে কোন অতিরিক্ত বাটন অথবা মাউসটি সফটয়্যার দিয়ে কন্ট্রোল করা সম্ভব কিনা। এছাড়া ওজন কমানো কিংবা বাড়ানো সম্ভব কিনা, মাউসের তার ব্রেডেড বা কাপড় প্যাচানো থাকে কিনা।

৬। বাজেটঃ সবশেষে আসে বাজেটের ব্যাপার। সাধারনত বাজারে গেমিং মাউসের দাম ১৫০০ টাকার পর থেকে হয়ে থাকে। ব্রান্ডেড মাউসগুলোর দাম ২২০০ টাকা কিংবা তার বেশি হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে মাউসের ব্র্যান্ড, মডেল এবং ফিচারের উপরে নির্ভর করে

 

উপরের উল্লেখিত পয়েন্টগুলো দেখে যাচাই বাছাই করে গেমিং মাউস কিনা উচিত। এছাড়াও ফেসবুক বা সোশ্যাল ওয়েবসাইটে রিভিউ এবং আলোচনা করে গেমিং মাউস কিনা উচিত।  

Share This Article

Search
kampungbet kampungbet kampungbet toto slot link gacor kampungbet kampungbet kampungbet toto slot kampungbet link slot kampungbet kampungbet kampungbet situs toto situs togel situs slot rtp slot situs judi bola situs slot gacor link slot resmi slot gacor hari ini
toto togel monperatoto situs toto toto togel slot resmi toto togel bandar togel togel online bandar togel slot 4d toto slot toto slot