স্মার্টফোনের ক্যামেরায় ছবি কেমন উঠবে তা অনেকটাই নির্ভর করে কি ধরনের সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে এই ক্যামেরায়। বেশ কিছু ব্রান্ড রয়েছে যারা ভালো ক্যামেরা সেন্সর সরবরাহ করে। আজ আমরা তাদের সম্পর্কে জানবো, বিভিন্ন সেন্সর এর কি কাজ, ছবি ভালো উঠার জন্য কি কি বিষয় কাজ করে, ব্রান্ডগুলোর উল্লেখযোগ্য কিছু সেন্সর সম্পর্কেও জানবো।
২০২০ সালের মার্কেট শেয়ারঃ
স্মার্টফোনের ক্যামেরা সেন্সর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবার শীর্ষে রয়েছে Samsung ও Sony । এছাড়া Omnivision এর সেন্সর ও রয়েছে।। এই ৩ প্রতিষ্ঠান বেশি জনপ্রিয় হলেও এর বাইরেও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান স্মার্টফোনের ক্যামেরা সেন্সর সরবরাহ করে থাকে।
বিশ্বজুড়েই করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব থাকা সত্বেও ২০২০ সালের প্রথমার্ধে সেন্সর মার্কেটে 44% শেয়ার নিয়ে প্রথম স্থানে আছে Sony। 32% শেয়ার নিয়ে তার পরেই আছে Samsung। চাইনিজ কোম্পানি Omnivision এর শেয়ার 9% ।
Strategy Analytics এর VP Stephen Entwistle এই pandemic এর মধ্যেও মার্কেটে প্রবৃদ্ধির কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন স্মার্টফোনগুলোতে একাধিক ক্যামেরার ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়া এবং বড় মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার প্রচলন।
স্যামসাং এর উল্লেখযোগ্য কিছু সেন্সরঃ
২০১৯ সালের শুরুর দিকেই মুলত স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রিতে বড় মেগাপিক্সেল এর ক্যামেরার জোয়ার উঠে।। ৪৮ দিয়ে শুরু হয়ে ৬৪ মেগাপিক্সেল এর ক্যামেরা দিয়েও ফোন এসেছে বেশ অনেক।। এমনকি 108 মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা সেন্সর ও রয়েছে। স্যামসাং এর উল্লেখযোগ্য কিছু ক্যামেরা সেন্সর হলোঃ
ISOCELL HM1(108MP, Video: 7680 x 4320 @ 24 fps) ব্যবহ্বত হয়েছে :Samsung Galaxy S20 Ultra, Samsung Galaxy Note 20 Ultra এই দুটি ফোনে।
ISOCELL HMX (108MP. Video: 6016 x 3384 @ 30 fps) ব্যবহ্বত হয়েছে :Xiaomi Mi MIX Alpha, Xiaomi Mi CC9 Pro,Xiaomi Mi Note 10,Xiaomi Mi Note 10 Pro,Xiaomi Mi 10,Xiaomi Mi 10 Pro,Xiaomi Mi 10T Pro,Motorola Edge+ এই ফোনগুলিতে।
ISOCELL GW2 (64MP,Video: 7680 x 4320 @ 24 fps) ব্যবহ্বত হয়েছেঃSamsung Galaxy S2্Samsung Galaxy S20+,Samsung Galaxy Note 20 এই ফোনগুলিতে।
GW1 (64MP,Video: 7680 x 4320 @ 24 fps) ব্যবহ্বত হয়েছেঃSamsung Galaxy A71,Samsung Galaxy M31,Samsung Galaxy A70s,LG V60 ThinQ,Vivo NEX 3 / NEX 3 5G,Vivo NEX 3S 5G,Realme XT,Realme X2 / X2 Pro,Realme X50,Redmi Note 8 Pro,Redmi Note 9 Pro এই ডিভাইসগুলোতে।
ISOCELL GM2 (48MP,Video: 3840 x 2160 @ 60 fps) ব্যবহ্বত হয়েছেঃSamsung Galaxy A90 5G,Samsung Galaxy A80,Samsung Galaxy A51,Samsung Galaxy A50s,Samsung Galaxy M30s,LG Velvet,Redmi Note 9S ইত্যাদি ডিভাইসে
GM1 (48MP,Video: 3840 x 2160 @ 60 fps) ব্যবহ্বত হয়েছেঃBlack Shark 2,Fairphone 3+[11],Lenovo Z6 Pro,Meizu 16Xs/Note 9,Oppo F11/F11 Pro,Redmi Note 7SRedmi Note 7,Redmi Note 8,Redmi Note 8T,Redmi Note 9,Samsung Galaxy S10 Lite,UMIDIGI F1 Play,ZTE Axon 10 Pro সহ বেশ কিছু ডিভাইসে।
এ ছাড়াও 8,5,,2,12 ইত্যাদি ছোট মেগাপিক্সেলের প্রচুর সেন্সর রয়েছে যেগুলো ম্যাক্রো লেন্স, পোর্ট্রেইট ,টেলিফটো এবং আল্ট্রাওয়াইড লেন্স হিসেবে আজকাল ব্যবহার হয়ে আসছে। আর ফ্রন্ট বা সেলফি ক্যামেরার সেন্সরগুলো এখনো তুলনামুলক ছোটই ব্যবহার করা হয় যেমন ১৩/১৬/২০/৮/৫ । তবে গত এক/দেড় বছর যাবত ২৫,৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা ও বেশ কিছু ফোনে ব্যবহার হতে দেখা গিয়েছে।
সনি এর উল্লেখযোগ্য কিছু সেন্সরঃ
Sony IMX686 (64 MP) ব্যবহ্বত হয়েছে Poco X2, Redmi K30,Asus ROG Phone 3 Strix edition,Nubia Red Magic 5S,Infinix Zero 8,Realme X7 Pro,Asus Zenfone 7 Global,Asus Zenfone 7 Pro,Redmi K30 Pro,Huawei Maimang 9,Huawei Nova 7 SE,Xiaomi POCO F2 Pro, Huawei Nova 7 International সহ বেশ কিছু ডিভাইসে।
Sony IMX682 (64 MP) ব্যবহ্বত হয়েছে
Galaxy M31s,Galaxy M51,Realme 7,Realme 7 Pro,Redmi K30 Ultra,Poco X3,Mi 10T,Mi 10T Lite,Huawei Y9a,Honor 30S ইত্যাদি ডিভাইসে।
Sony IMX689 (48 MP) ব্যবহ্বত হয়েছে Oppo Find X2 Pro Global and China,OnePlus 8 Pro China,America,Global and India ইত্যাদি ডিভাইসে।
Sony IMX586 (48 MP) ব্যবহ্বত হয়েছে OnePlus 8T (All variants),Huawei Honor 30i ,Oppo Reno 4 Pro,Oppo Reno 4(And SE),Oppo Reno 4 Z 5G,UMIDIGI Bison Global, OnePlus Nord,Oppo Reno ACE 2, Realme X50T,Realme X50 Pro Player Edition,Oppo Find X2( and Lite,Neo)Oppo A92S,Vivo S5 China,Huawei Honor Play 4T (And Pro),OnePlus 8,Vivo Z6,Galaxy S10 Lite India, Meizu 16s Pro, Nubia Z20 and Red Magic 3S, Elephant U3H সহ অন্য আরো বেশ কিছু ডিভাইসে।
Sony IMX582 (48MP) ব্যবহ্বত হয়েছে Huawei Honor 9X/9X Pro, 20S Play 3,5i Pro,Redmi K20[310],Samsung Galaxy A50s[311], A51 5G[312],,Vivo V17/V17 Pro, V19,Vivo Z1x, Z5[313],Vivo iQOO Pro,iQOO Pro 5G,Xiaomi Mi 9T,CC9e (Mix IMX582 and IMX586),Mi A3[314],TCL 10 SE, 10 Plus
Sony IMX616(32 MP) ব্যবহ্বত হয়েছে Samsung Galaxy A50s (front)[311],Samsung Galaxy A51 5G (front),Huawei Honor 20 (front),Honor 20 lite (front), 20i (front),Honor 20s (front),Huawei Honor 20 Pro (front),i Honor V30 (front),Huawei Nova 5i Pro (front),Huawei P30 and p30 pro (front), Huawei Mate 30 (front),Huawei Mate 30 Pro (front), P40 Pro (front), Nova 6 5G (front),OnePlus Nord (front),Oppo Find X2/Find X2 Pro (front),Meizu 17 Pro (ultrawide)
একই ভাবে সনির ২,৫,৮,১২ ইত্যাদি প্রচুর সেন্সর টেলিফটো, আল্ট্রাওয়াইড,ম্যাক্রো ও পোরট্রেইট লেন্স হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে । এবং সেলফির জন্য ও ১৩,১৬.২০.২৫, ১২,৮,৫ ইত্যাদি সেন্সর রয়েছে।
***sensor সংক্রান্ত তথ্য গুলো Kimovil এবং Wikipedia থেকে সংগ্রহীত***
কোন সেন্সর এর কি কাজঃ
সাধারণত ৪,৫ রকমের সেন্সর আজকাল বেশি ব্যবহ্বত হচ্ছে স্মার্টফোনগুলোতে।। একটি মেইন সেন্সর থাকে যেটি সাধারণ ছবি তোলার জন্য ব্যবহ্বত হয়ে থাকে যেটির কোয়ালিটি সাধারণত অন্যগুলোর থেকে ভালোই হয়।।
সাথে থাকে,
Portrait/Depth Sensor:
আমরা Portrait Mode নামের একটি অপশন ক্যামেরা App এ প্রায়ই দেখে থাকি। জ্বি, সাবজেক্ট এর পেছনের অংশকে ব্লার করে সাবজেক্ট থেকে আলাদা করে এবং সম্পুর্ণ ফোকাস সাবজেক্ট এর উপর দিয়ে,সাবজেক্ট এর ডিটেইলস নিয়ে একটি ছবি দেওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে থাকে এই সেন্সর। বিশেষ করে মানুষের ছবির ক্ষেত্রে এই অপশন করলে ছবি বেশ সুন্দর দেখা যায় ব্যাকগ্রাউন্ড Blur এর জন্য।
Macro Lens:
সাবজেক্ট এর অনেক কাছ থেকে ছবি তোলার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে এই সেন্সর। সাধারণত মেইন সেন্সর দিয়ে সাবজেক্ট এর ২,৩ সেন্টিমিটার কাছে ছবি তুলতে গেলে ঠিকমত ফোকাস হয়না,বারবার ব্লার হয়ে যায় , ডিটেইলস, শার্পনেস ইত্যাদি ভালো থাকে না। এজন্য এই লেন্স আজকাল অহরহই দেওয়া হচ্ছে কাছ থেকে ছবি তোলার জন্য।
Ultrawide Lens:
এই লেন্স গুলোর কাজ হচ্ছে ফ্রেম এর পরিসর বাড়ানো। অর্থাৎ বেশি জায়গায় ক্যাপচার করা।মনে করুন আপনি বড় একটি স্থাপনার সামনে ছবি তুলছেন, সেটির আপনার ক্যামেরার ফ্রেমে আটছে না, আপনাকে অনেক পিছিয়ে যাওয়া লাগছে ফলে সাবজেক্ট টি ছোট হচ্ছে ও ডিটেইলসের ঘাটতি হচ্ছে।। এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে এই সেন্সর।। একই ছবিতে অনেক মানুষ থাকলে ফ্রেমে আটানোর জন্য এই ক্যামেরা ব্যবহার করা যায়। এগুলোর field Of View বেশ বড় থাকে। সাধারণ লেন্সের 78/80 degree হলে আজকালকার আল্ট্রাওয়াইড লেন্সগুলোতে 118,119/20,23 এরকম দেখা যায় Field of View।
Telephoto Lens:
এর কাজ Portrait Mode এর পারফর্মেন্স আরো বৃদ্ধি করা এবং মুলত ডিটেলস না হারিয়ে অধিক জুম এই ফিচার দিতে এই লেন্স ব্যবহার করে স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
মেগাপিক্সেলই কি ছবির সব?
আমাদের মধ্যে এই ধারণা কমবেশি প্রচলিত আছে যে ক্যামেরার মেগাপিক্সেল যত বেশি, ছবি তত ভালো,ক্যামেরা তত ভালো।। কিন্ত এটি একটি ভুল ধারণা। মেগাপিক্সেলের গুরুত্ব রয়েছে ছবিতে কিন্ত এটিই সব নয়। বেশি মেগাপিক্সেলের জন্য আপনি বেশি জুম করতে পারবেন এবং জুম করার পরেও অধিক ডিটেইলস,শার্পনেস লক্ষ করতে পারবেন, বরং বড় মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা গুলোও ডিফল্টে ৪ ভাগের এক ভাগ মেগাপিক্সেলের আউটপুটই দিয়ে থাকে (Pixel bining এর মাধ্যমে) এখানে বেশ কিছু বিষয় রয়েছে যা নির্ভর করে একটি ছবি কত ভালো উঠবে তার উপরে।
ক্যামেরা সেন্সরঃ
ক্যামেরার সেন্সর এর উপর অনেকাংশেই নির্ভর করে যে ছবি কিরকম উঠবে। সেন্সর এর সাইজ, পিক্সেল সাইজ, output, subpixel layout ইত্যাদি বিষয়গুলো একটি সেন্সরের গুরুত্বপুর্ণ অংশ এবং এগুলোর মানের উপর বিভিন্ন লাইটিং কনডিশনে, বিভিন্ন স্থানে, বিভিন্ন সময়ে কি কোয়ালিটির ছবি উঠবে ছবিতে নয়েস, distortion থাকবে কি না, low light এ কতটুক ডিটেইলস থাকবে শার্পনেস থাকবে এগুলা নির্ভর করে।
যুগে যুগে সেন্সর প্রযুক্তিতে প্রচুর উন্নতি হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত হচ্ছে।। এতে সেন্সরের উক্ত বিষয়গুলো আগের থেকে ভালো হচ্ছে ফলে ভালো ছবি উঠানো সম্ভব হচ্ছে।
Post Processing:
ছবি ক্যাপচারই শেষ নয়, তার প্রসেসিং এর একটি স্টেজ থাকে এবং এটিও যথেষ্ট গুরুত্বপুর্ণ অংশ একটি ছবির জন্য। এখানে প্রায় পুরাটাই সফটওয়্যার কেন্দ্রিক, যে এপ্লিকেশনটির সাহায্য নিয়ে ছবিটি নেওয়া হচ্ছে সেটির সাথে সম্পর্কিত। এখানে ডেভেলপাররা কতটুক অপ্টিমাইজ করতে পারলো এপ্লিকেশনটিকে সেন্সর এর সাথে এর মাধ্যমে ছবির কালার কারেকশন, শার্পনেস, over exposing/under exposing, over saturation,under saturation,noise cancellation ,details ইত্যাদি নির্ভর করে।
এছাড়া আপনার ফোনের প্রসেসরটি কিরকম বা কতটা শক্তিশালী এটিও একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়।
ধরুন একটি সেন্সর Sony IMX 616, এতে আপনি x,y দুটি ডিভাইসে যদি ছবি তুলেন তাতে একই আউটপুট আসবে না কারণ এখানে Post Processing এর ব্যাপার রয়েছে। দুটি ডিভাইসের ক্যামেরা এপ্লিকেশন এক নয় এবং তাদের Internal factor গুলো, RAW ইমেজ কে বিভিন্ন সেক্টরে প্রসেস করার প্রবণতা এক নয়। একই সেন্সরে তোলা সত্বেও আউটপুটে কমবেশি ডিটেইলস,শার্পনেস,কালার এর পার্থক্য দেখতে পাওয়া যাবে এবং একটু হলেও একটি ছবি অন্যটি থেকে সুন্দর হবে।
প্রমাণঃ
ইমেজ প্রসেসিং,ক্যামেরা এপ্লিকেশনের সঠিক ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ও অপ্টিমাইজেশনই যে সবথেকে গুরুত্বপুর্ণ পার্ট হতে পারে এবং এটির সঠিক ব্যবহারে যে কম মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা দিয়েই মার্কেট জয় করা সম্ভব তা দেখিয়েছে Apple এবং Google. গুগল এর Google Camera বা GCAM হচ্ছে পৃথিবীর সেরা এপ্লিকেশন যেটি এক্সক্লুসিভলি তাদের ডিভাইসের প্লে স্টোরে থাকে এবং সেটি ব্যবহার করেই গুগল 12/8 মেগাপিক্সেলের সেন্সর দিয়েই অন্যন্য বেশি মেগাপিক্সেলের সেন্সর ওয়ালা ফোন অপেক্ষা অনেকগুণ ভালো crispy, detailed,sharp, less noisy ,high dynamic range এর ছবি দিয়ে আসছে।।বিশেষ করে Low light এর জন্য Night মোড এর প্রয়োগ অসাধারণ Pixel device গুলোতে।আর গুগলের ক্যামেরার astrophtography অপশনও রয়েছে যেটি দিয়ে রাতের আকাশের তারা, চাঁদ সহ ছোট ছোট ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সব বস্তুর অসাধারণ ছবি উঠানো যায়। আজকাল সেই GCAM এর MOD করে ডেভেলপাররা আনঅফিশিয়ালি আমাদের সুযোগ করে দিয়েছেন যেকোনো ডিভাইসে GCAM চালানোর ।সেটি ব্যবহার করে স্টক ক্যাম থেকে কয়েকগুন ভালো ছবি তুলতে পারছি আমরা। যা প্রমাণ করে Optimization/post processing কত গুরুত্বপুর্ণ। অনেকক্ষেত্রে ওই ছবিগুলো দেখে মনে হয় যেন অনেক দামী ফোনের ভালো ক্যামেরা দিয়ে তোলা।। কিন্ত পুরাটাই আসলে একই সেন্সরে বেটার অপ্টিমাইজেশন এর কাজ।
তেমনিভাবে Apple এর আইফোনেও আমরা দেখে আসছি যে অন্যন্য ব্রান্ডের মত মেগাপিক্সেলের প্রতিযোগিতায় না গিয়ে তারা ছোট মেগাপিক্সেল এর ভালো সেন্সর ব্যবহার করছে এবং তাদের প্রসেসর+ ক্যামেরা App এর optimization/post processing এর মিশ্রণে অসাধারণ সব আউটপুট দিতে পারছে।
আবার Oneplus, এই ব্রান্ডটিও তাদের নতুন ফোনেও পুরাতন সেন্সরই দিয়ে আসছে। বাজারে পাল্লা দিতে তারা শুধু ওই সেন্সরের অপ্টিমাইজেশন,post processing এর দিকেই জোর দিচ্ছে।
আজকের পোস্টে হালকা পাতলা আলোচনা থাকলো।। কোনো একদিন GCAM কি ,কিভাবে কাজ করে, কার ফোনে চলবে, কিভাবে জানবো চলবে কি না, কিভাবে ইন্সটল দিব, কোথা থেকে ডাউনলোড করবো, জিক্যামের ছবি কেন বেটার ইত্যাদি বিষয় অনেক ডিটেইলসে আলোচনা হবে। পিসি বিল্ডারের সাথেই থাকুন।