প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসে নতুন আইফোন লঞ্চ করে থাকলেও চলমান মহামারীর কারণে এইবছর একমাসে পরে অর্থাৎ অক্টোবর মাসের ১৩ তারিখে নতুন আইফোন লঞ্চ করার দিনক্ষণ ধার্য্য করা হয়।
তো, লঞ্চিং ইভেন্ট থেকে আমরা জানতে পারি Apple একত্রে ৪টি iPhone বাজারে আনার ঘোষনা দেয়।
Apple এর নেমিং স্কিম অনুযায়ী iPhone গুলোর নাম হচ্ছে
- iPhone 12 Pro Max
- iPhone 12 Pro
- iPhone 12
- iPhone 12 mini
iPhone 12 Pro/Max এর প্রাইসিং, এভাইভিলিটি ও স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্ট
iPhone 12 Pro Max এর দাম হচ্ছে শুরু হচ্ছে $1099 থেকে অন্য দিকে iPhone 12 Pro এর দাম শুরু হচ্ছে $999 থেকে। সর্বনিন্ম 128GB থেকে 256GB, ও 512GB পর্যন্ত স্টোরেজ অপশন থাকছে।
iPhone 12 Pro প্রি অর্ডার করা যাবে অক্টোবরের ১৬ তারিখ থেকে ডেলিভারি স্টার্ট হবে ২৩ তারিখ থেকে অন্য দিকে Pro Max এডিশনের প্রি অর্ডার শুরু হবে নভেম্বরের ৬তারিখ থেকে ডেলিভারি স্টার্ট হবে ১৩ তারিখ থেকে।
iPhone 12/mini এর প্রাইসিং, এভাইভিলিট ও স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্ট
iPhone 12 এর দাম হচ্ছে শুরু হচ্ছে $799 থেকে অন্য দিকে iPhone 12 mini এর দাম শুরু হচ্ছে $699 থেকে। সর্বনিন্ম 64GB থেকে 128GB ও 256GB পর্যন্ত স্টোরেজ অপশন থাকছে।
iPhone 12 প্রি অর্ডার করা যাবে অক্টোবরের ১৬ তারিখ থেকে ডেলিভারি স্টার্ট হবে ২৩ তারিখ থেকে অন্য দিকে mini এডিশনের প্রি অর্ডার শুরু হবে নভেম্বরের ৬তারিখ থেকে ডেলিভারি স্টার্ট হবে ১৩ তারিখ থেকে।
কিছু কমন স্পেসিফিকেশন যা iPhone 12 লাইনআপের সব ফোনেই কমন –
- সব iPhone এই Super Retina XDR ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে।
- সব iPhone এর চিপসেট সেইম অর্থাৎ গত মাসের ইভেন্টে লঞ্চ করা A14 এই।
- সব iPhone এ Face ID থাকছে।
- সব iPhone এর ডিজাইন আউটলুক সেইম।
- সব iPhone 5G সাপোর্টেড।
- সব iPhone IP68 রেটেড।
- সব iPhone এ MagSafe ফিচার দেওয়া হয়েছে।
- সব iPhone 20W ফাস্ট চার্জিং সাপর্টেড।
#আগে থেকে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল নতুন আইফোনে আউট অফ দ্য বক্স এডাপ্টর ও ক্যাবল প্রোভাইড করা হবে না। সেটা কালকে ইভেন্টে অফিশিয়াল রূপ নিল। চার্জার তো বাদ কিন্তু সাথে হেডফোনও দেওয়া হবে না। এটা নতুন পুরাতন সব আইফোনের জন্য সত্য। কারণ হিসেবে এপল এনভায়রোমেন্টের প্রতি দায়বদ্ধতাই হাইলাইট করছে। যদিও এপল তাঁদের এক্সেসরিজ গুলোর প্রাইজ রিডিউস করেছে কিছুটা। তাহলে কি বক্সে আইফোন বাদে কিছুই থাকছে না? উত্তর হচ্ছে ‘না’। কারণ বক্সে একটি USB-C to Lightning কনভার্টার থাকছে।
ডিজাইন-
ডিজাইন ল্যাঙ্গুয়েজ সব আইফোনের সেইম সাইজ কিছুটা ছোট বড় বাদে। কিন্তু এপল ডিজাইন ল্যাঙ্গুয়েজে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে। স্পেসিফিক্যালি বললে পরিবর্তন না আগের ডিজাইন ল্যাঙ্গুয়েজে ফেরত যাওয়া বলা যায়। অর্থাৎ সেই iPhone 4,5,5s এর ডিজাইনে। সামনে বিশালাকার নচ আগের মত রাজত্ব করছে। বাদবাকি বাটন পজিশনিংও আগের মতই। iPad Pro এর মত পাওয়ার বাটনে ফিংগার প্রিন্ট সেন্সর আসবে বলে রিউমার ছড়িয়েছিল যদিও এপল তা এইবছর স্কিপ করে গেছে।
ডিসপ্লে-
আগেই বলা হয়েছে সব আইফোনে Super Retina XDR ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে যা মূলত একটি OLED প্যানেল। আগের আইফোন গুলোতে LCD প্যানেল ইউস করা হত। OLED প্যানেল হওয়াতে ভেজেল আরো থিন করা সম্ভব হয়েছে। সাথে রিফ্রেশ রেইট আগের মত 60Hz এই রয়েছে। ডিসপ্লেটি HDR, true ও Dolby Vision সাপোর্টেড। ব্রাইটনেস হায়েস্ট ১২০০ নিটস পর্যন্ত যেতে সক্ষম। ডিসপ্লে প্রোটেকশনের জন্য Ceramic Sheild ব্যবহার করা হয়েছে ,এপলের ভাষ্যমতে এটা ৪গুন ড্রপ রেসিস্ট্যান্ট।
চিপসেট-
Apple A14 bionic Chip যা একটি ৫ন্যানোমিটার ফ্যাব্রিকেশনে তৈরি যা বিশ্বের প্রথম বলা চলে। এতে রয়েছে ৬ কোর সিপিউ ও ৪কোর জিপিউ। এতে 11.8 বিলিয়ন ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়েছে। এপলের ক্লেইম করা দাবি অনুযায়ী, এটি আগের জেনারেশন থেকে ৫০% বেশি পার্ফরমেন্স দিতে সক্ষম। তাছাড়া ৭০% বেশি আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলেজেন্স পার্ফরমেন্স দিতে সক্ষম। এই চিপসেটের আরেকটি বিশেষত্ব হচ্ছে এটির 5G কানেকটিভিটি। এই চিপসেটের মাধ্যমে এপল 5G এর জগতে প্রবেশ করল।
iPhone 12 Pro/Max এর ইউনিক স্পেসিফিকেশন-
আদতে এইদুটো ফোনে ডিফারেন্স খুবই কম। দুইটা জায়গায় ভিন্ন হবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। এক হচ্ছে এর ডিসপ্লে। iPhone 12 Pro এর ডিসপ্লে সাইজ হচ্ছে 6.1”। অন্যদিকে iPhone 12 Pro Max এর ডিসপ্লে সাইজ হচ্ছে 6.7”। যেহেতু বড় ডিসপ্লে তাই স্বাভাবিকভাবেই আশা করা যাচ্ছে Pro Max এডিশনে ব্যাটারি সাইজ Pro থেকে বেশি হবে। এপলের ইভেন্টে বা তাঁদের ওভেবে টেকনিক্যাল স্পেক্স থেকেও ব্যাটারির এক্সেট ডাটা নিয়ে কিছু জানা যায়নি। আরেকটা মাইনর চেঞ্জেস হচ্ছে প্রো মডেল গুলোতে সাইড ফ্রেমে অ্যালুমিনিয়ামের পরিবর্তে স্টেইনলেস স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে।
ক্যামেরা-
ক্যামেরা কাটআউট, বাম্প ও সেনসর পজিশনিং আগের মতই অর্থাৎ 11 pro/max এর মতই। ৩টি মেইন ক্যামেরা সেন্সর রয়েছে। যথাক্রমে wide,ultra wide & telephoto। সব সেন্সরের মেগাপিক্সল হচ্ছে ১২। কিন্তু 12 Pro Max এডিশনের টেলিফটো লেন্সের ফোকাল লেন্থ কিছুটা বড়। যা দিয়ে কিছুটা বেশি অপটিক্যাল জুম ক্যাপাবিলিটি পাওয়া যাবে। এছাড়া ওয়াইড ক্যামেরার এপচার হচ্ছে f/1.6। স্ট্যাবিলাইজেশনের জন্য OIS দেওয়া হয়েছে। সামনের ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা সহ সবকটিতে এখন নাইট মোড সাপোর্টেড আগে শুধু মেইন ক্যামরা(ওয়াইড)তে ছিল। এছাড়া প্রো মডেল গুলোতে Apple ProRAW নামে একটি ফিচার ইন্ট্রোডিউস করতে যাচ্ছে যা দিয়ে র ফটো ইডিট করা যাবে। আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে ডলবাই ভিশন দিয়ে রেকর্ড করা ভিডিও আইফোনেই বেসিক ইডিট করা যাবে। আরেকটি বাড়তি সেনসর দেওয়া হয়েছে তা হচ্ছে LiDAR যা দিয়ে ব্যাসিক্যালি লো লাইটে কন্ডিশনে ছবি তুলতে সহায়তা করবে সাথে আগমেন্টেড রিয়েলেটিতেও সহায়তা করবে।
কালার ভ্যারিয়েন্ট-
Silver, Graphite, Gold, Pacific Blue এই চারটি কালারে পাওয়া যাবে।
iPhone 12/mini এর ইউনিক স্পেসিফিকেশন-
iPhone 12 এর ডিসপ্লে সাইজ iPhone 11 Pro এর মতই কিন্তু iPhone 12 mini এর ডিসপ্লে সাইজ হচ্ছে 5.4″। এটাকে বলা হচ্ছে সবচেয়ে ছোট আইফোন ইভেন এইবছর লঞ্চ করা iPhone SE থেকে সাইজে ছোট হয়ে বড় ডিসপ্লে দেওয়া গেছে কারণ হোম বাটন বাদ দিয়ে চিন এরিয়া পুরোটায় ডিসপ্লের জন্য ব্যবহার করা গিয়েছে। এপলের দাবি অনুযায়ী iPhone 12 যথাক্রমে 11% থিনার, 15% স্মলার ও 16% lighter iPhone 11 থেকে।সাইড ফ্রেইম আগের জেনেরেশনের মত অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি।
ক্যামেরা-
গত বছরের iPhone 11 এর মতই দুটো ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। দুটো ক্যামেরাই ১২ মেগাপিক্সেলের। একটি মেইন ওয়াইড ক্যামেরা যার এপেচার f/1.6 আরেকটি আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরা। প্রো মডেল গুলোর মত এইখানেও সবকটি সেন্সরে নাইট মোড সাপোর্টেড।
কালার ভ্যারিয়েন্ট-
Black, White, RED , Green, Blue এই পাঁচটি কালারে পাওয়া যাবে।