The First Proper AI Camera Phone!

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স! এই দুটি শব্দ শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে সুপার কম্পিউটারের ছবি। অথবা টারমিনেটরের রোবটের কথা যারা অস্ত্র নিয়ে পুরো মানবজাতিকে ধ্বংস করার জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। কিন্তু ১০০ বছর পর কি হবে তার চিন্তা বাদ দিয়ে বর্তমান সময়ে ফেরত আসা যাক। ফোনের ক্যামেরার মধ্যে এ আই ফিচার করার ট্রেন্ড মূলত এনেছে হুয়াওয়ে তাদের Mate 10 Pro ফ্ল্যাগশিপ ফোনের মধ্যে দিয়ে। এতদিন শুধুমাত্র রিয়ার অথবা ফ্রন্ট ক্যামেরায় এই ফিচার পাওয়া গেলেও সবাইকে চমক দিয়ে হুয়াওয়ে তাদের মিডরেঞ্জ স্মার্টফোনের চারটি ক্যামেরার মধ্যেই দিয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। জি হ্যাঁ, ট্রেন্ড ধরে রাখার জন্য আজকে পিসি বিল্ডার বাংলাদেশ রিভিউ করতে যাচ্ছে সদ্য রিলিজ হওয়া প্রচন্ড হাইপড Huawei Nova 3i ফোনটি।  কিন্তু শুধু ক্যামেরার ফিচার দেখে ফোন কেনা বোকামি। তাই ২৮৯৯০ টাকা দামে ফোনটি আপনাকে ওভারঅল কি পরিমাণ পারফর্মেন্স ও সার্ভিস দিতে পারবে তা নিয়ে প্রায় দুই সপ্তাহের মত টর্চার করার পর একটু দেরীতে হলেও আজকের এই রিভিউ।

Specification

Network GSM / HSPA / LTE
Body Dimensions: 157.6 x 75.2 x 7.6 mm (6.20 x 2.96 x 0.30 in)
Weight: 169 g (5.96 oz)
SIM: Hybrid Dual SIM (Nano-SIM, dual stand-by)
Display Type: IPS LCD capacitive touchscreen, 16M colors
Size: 6.3 inches, 97.4 cm2 (~82.2% screen-to-body ratio)
Resolution: 1080 x 2340 pixels, 19.5:9 ratio (~409 ppi density)
Multitouch: Yes
Platform OS: Android 8.1 (Oreo)
Chipset: Hisilicon Kirin 710
CPU: Octa-core (4×2.2 GHz Cortex-A73 & 4×1.7 GHz Cortex-A53)
GPU: Mali-G51 MP4UI: EMUI 8.2
Memory Card slot: microSD, up to 256 GB (uses SIM 2 slot)
Internal: 128 GB, 4 GB RAM
Main Camera Dual: 16 MP, f/2.2, PDAF
2 MP, depth sensor
Features: LED flash, HDR, panorama
Video: 1080p@30fps
Selfie Camera Dual: 24 MP, f/2.0
2 MP, depth sensor
Features: HDR
Video: 1080p@30fps
Sensor Fingerprint (rear-mounted), accelerometer, gyro, proximity, compass
Battery Non-removable Li-Ion 3340 mAh battery

Battery charging 10W

Color Black, Pearl White, Iris Purple

Review

First Impression

বক্স থেকে খোলার পর শুরুতেই চোখে পরবে প্রিমিয়াম লুকিং ফোনটি। এমনকি হাতে নিলেও মনে হবে আপনি কোন ফ্ল্যাগশিপ ফোন ধরে আছেন। যদিও অফিসিয়ালি ফোনটির তিনটি কালার রয়েছে, বাংলাদেশে আপাতত পাওয়া যাচ্ছে ফুল ব্ল্যাক ও আইরিশ পার্পল এই দুটি কালারের। ফোনের ব্যাককে দেয়া হয়েছে গ্লাস বডি যাতে স্বাভাবিকভাবেই ফোনটি হয়ে গেছে আঙ্গুল ছাপ চুম্বক। এছাড়াও ফোনটি হচ্ছে কিছুটা পিচ্ছিল। তাই ফোনের নিরাপত্তা বিধানের জন্য ক্লিয়ার প্রটেকটিভ কভার ব্যাবহার করতে পরামর্শ দেব। আর গ্লাস বডি থাকায় রিমুভ করতে পারছেন না ব্যাটারি।

Display

নজর দেয়া যাক ফোনের ডিসপ্লের দিকে। এটির সাইজ ৬.৩ ইঞ্চি। এক্ষেত্রে সামান্য আফসোসের বিষয়, ফোনের মধ্যে দেয়া হয় নি ওলেড প্যানেল। এতে আপনারা পাচ্ছেন 1080 বাই 2340 রেজোল্যুশনের মাল্টিটাচ আইপিএস ডিসপ্লে যার রেশিও হচ্ছে ১৯.৫ বাই ৯। পিক্সেল ডেন্সিটি দেয়া হয়েছে ৪০৯ পিপিআই। তাই ডিসপ্লেতে ভাইব্রেন্ট কালার পাওয়া গিয়েছে এবং কালার একুরেসি যথেষ্ট ছিল। তবে কালার শার্পনেস বা কন্ট্র্যাস্ট ছিল অনেকটা সফট। ডিসপ্লের ব্রাইটনেস লেভেল আমি বলব অনেকটা চমৎকার। চরম ডে লাইটে ডিসপ্লে ফুল ব্রাইটনেসে ভালই দেখা যাচ্ছিল। ডিসপ্লের টাচ রেসপন্স অনেকটাই স্মুথ ছিল। আর ট্রেন্ডের সাথে মিল রেখে এই ফোনের ডিসপ্লের মধ্যেও আপনারা পাচ্ছেন নচ। আইফোন ব্যাবহার করতে করতে নচড ফোন ইউজ করার অভ্যাস হয়ে গেছে। কিন্তু যাদের নচ ভাল লাগে না তারা চাইলে খুব সহজেই সেটিংস থেকে নচের অংশটুকু ডার্ক করে দিয়ে ফুলভিউ ডিসপ্লের মজা নিতে পারবেন।

Size & Body

এবার আসা যাক ফোনের সাইজ ও বডির দিকে। ফোনের ডাইমেনশন হচ্ছে ১৫৭.৬ বাই ৭৫.২ বাই ৭.৬ মিলি মিটার। আর এর ওজন হচ্ছে ১৬৯ গ্রাম। ফোনের ডান পাশে পাবেন অন্যান্য মডেলের মতই পাওয়ার ও ভলিউম আপ ডাউন বাটন, বামে পাবেন ডুয়াল সিম ও মাইক্রো এসডি কার্ড স্লট এবং নচের মধ্যে পাবেন ডুয়াল ক্যামেরা ও ইয়ারপিস। ইয়ারপিসের ভেতরে ইন্টিগ্রেড করা হয়েছে নোটিফিকেশন লাইট বার যা কিছুটা ইন্টারেস্টিং। কিন্তু ফ্রন্টে পাচ্ছেন না কোন ফ্ল্যাশ। এতে করে কিছু বিউটি সচেতন মানুষের আটা ময়দার খরচ বেড়ে যাবে আর কি। ফোনের পেছনে পাবেন ভারটিক্যালি পজিশন করা বাম্পড ডুয়াল ক্যামেরা, ফ্ল্যাশ লাইট এবং পারফেক্টলি প্লেসড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি ছিল অনেকটাই ফাস্ট। অবশ্য এই প্রাইস রেঞ্জে এর থেকে কম আশা করাও যায় না। টাচ করার প্রায় সাথে সাথেই ফোন আনলক হয়ে গিয়েছে। আর এটির রেসপন্সও ছিল অনেক ভাল। সবশেষে ফোনের নীচে পেয়ে যাবেন জনপ্রিয় ৩.৫ মিলি মিটারের হেডফোন জ্যাক এবং দুঃখজনক ভাবে ফোনে এড করা মাইক্রো ইউ এস বি 2.0 পোর্ট। এই দামে ইউএসবি টাইপ সি এড না করা ছিল অনেকটা সারপ্রাইজিং। আর টাইপ সি না থাকার কারণে দুর্ভাগ্যবশত আপনারা ফাস্ট চারজিং অপশনটিও পাচ্ছেন না।

Platform & Memory

Huawei Nova 3i ফোনের মধ্যে দেয়া হয়েছে হুয়াওয়ের নিজস্ব কিরিন ৭১০ অক্টাকোর প্রসেসর যার মধ্যে ইন্টিগ্রেট করা হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এই ফিচার নিয়ে একটু পরেই আসছি। প্রসেসরের চারটি কোর চলবে ২.২ গিগাহার্টজ স্পীডে এবং বাকি চারটি কোর চলবে ১.৭ গিগাহার্টজ স্পীডে। যেহেতু হুয়াওয়ের কিরিন চিপসেট শুধুমাত্র মালি গ্রাফিক্স চিপের সাথে কম্প্যাটিবল এতে আপনারা পাচ্ছেন Mali G51 MP4 জিপিউ।

ফোনের মধ্যে আপনারা পাচ্ছেন ৪ জিবি র‍্যাম এবং ১২৮ জিবি রম যার মধ্যে ব্যাবহার করতে পারবেন প্রায় ১১০ জিবির মত। চীনে এলোকেট করা মডেলে দেয়া হয়েছে ৬ জিবি র‍্যাম ও ৬৪ জিবি রম। এক্ষেত্রে আমাদের ভাগ্য ভাল নাকি খারাপ সেটার বিচার করার দায়িত্ব আপনাদেরই। ফোনের মধ্যে দেয়া হয়েছে রিলিজের সময় এভেল্যাবল থাকা ল্যাটেস্ট এন্ড্রয়েড ৮.১ ওরিও ওএস এবং বরাবরের মতই ইউজার ইন্টারফেস হিসেবে দেওয়া আছে ইমোশন ইউ আই ভার্শন ৮.২। কিরিন ৭১০ প্রসেসর, চার জিবি র‍্যাম এবং EMUI 8.2 এর কম্বিনেশনে আমি বলব ফোনের পারফর্মেন্স অনেকটাই ফাস্ট। টানা দুই সপ্তাহ টর্চার করার পরেও এর মধ্যে কোন প্রকার ল্যাগ ফিল করিনি।

Face Unlock

এছাড়াও ফোনের মধ্যে দেয়া হয়েছে ফেস আনলক ফিচারটি। আইফোনের মত সুপার ফাস্ট না হলেও আমি বলব এই প্রাইস রেঞ্জে ফাস্ট ইনাফ। সেটিংস থেকে আপনার মুখটিকে স্ক্যান করিয়ে নিতে হবে। এরপর ব্যাটম্যানের মত গম্ভীর চোখে তাকিয়ে আই এম ব্যাটম্যান বললেই ফোন আনলক হয়ে যাবে। তবে আই এম ব্যাটম্যান বলবেন কিনা সেটা পুরো অপশনাল। এর সাথে ফোন আনলকের কোন সম্পর্ক নেই।

Battery & Gaming Performance

Huawei Nova 3i ফোনের মধ্যে দেয়া হয়েছে ৩৩৪০ মিলি এম্প আওয়ার ব্যাটারি। যদিও বলা হয় সাধারণ ব্যাবহারে এক দিনের মত ব্যাক আপ দিতে পারবে কিন্তু আমাদের টেস্টে প্রায় ২০ ঘণ্টার মত অন টাইম ছিল। আর যখন গেমিং পারফর্মেন্সের কথা আসে তখন বলব ফোনের পারফর্মেন্স ছিল এভারেজ। টানা আধা ঘন্টা গেম খেলে প্রায় ৮% এর মত চার্জ গিয়েছে। এখানে একটা ইন্টারেস্টিং জিনিস আমরা লক্ষ্য করেছি। আমাদের দুই সপ্তাহের টর্চার টেস্টে গেমিং পারফর্মেন্সে কোন ডাউন চেঞ্জ হয় নি। কিন্তু যা আশা করিনি তা হচ্ছে গেম খেলার সময় বা অন্য কোন কাজে হেভি লোড পরলে ফোন অনেকটা গরম হয়ে যায়। অবশ্য ফোনের মধ্যে যে হাই এন্ড সিপিউ ও জিপিউ দিয়েছে এতে গরম হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে আমার মতে কুলিং সিস্টেম বেটার করতে পারত হুয়াওয়ে।

Camera Quality

Still Images

সবশেষে আসা যাক Huawei Nova 3i এর মেইন ফিচার, এর ক্যামেরার দিকে। ফোনের পেছনে দেয়া হয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেল বাই ২ মেগাপিক্সেলের ডুয়াল ক্যামেরা। মেইন ক্যামেরার এপারেচার নিয়ে আনা হয়েছে ২.২ এ এবং ২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাটি কাজ করবে ডেপথ সেন্সর হিসেবে। ফ্রন্টে সেলফি ক্যামেরা হিসেবে দেয়া হয়েছে পুরো ২৪ মেগাপিক্সেল বাই ২ মেগাপিক্সেলের ডুয়াল ক্যামেরা। ফ্রন্ট ক্যামেরার এপারেচার নিয়ে আসা হয়েছে ২.০ তে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এই ফোনটি তৈরি করা হয়েছে সেই সকল মানুষদের জন্য যারা ঘন ঘন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে পছন্দ করেন। কিন্তু ক্যামেরা স্পেক্স এই ফোনের মেইন সেলিং পয়েন্ট নয়। ফোনের মেইন সেলিং পয়েন্ট হচ্ছে প্রত্যেকটি ক্যামেরার মধ্যে থাকা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স। এই এ আই আবার ট্রান্সফরমার মুভির মত আপনার ফোনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবে না। বরং এর কাজ হচ্ছে সম্পূর্ণ ইউনিক। ফোনের এ আই মূলত ডিটেক্ট করতে পারে আপনি কিসের ছবি তুলছেন। যদি গাছের ছবি তুলেন তাহলে ফোনটি ডিটেক্ট করবে আপনি গাছের ছবি তুলছেন, ফুলের ছবি তুললে ডিটেক্ট করবে আপনি ফুলের ছবি তুলছেন, এছাড়াও পোরট্রেট তুলছেন নাকি টেলিফোটো তুলছেন এসব জিনিসও ফোনের মধ্যে থাকা এই আই ডিটেক্ট করে নেবে। অন্য ফোনে ছবি তোলার পর আপলোড করার জন্য থার্ড পার্টি এপ ব্যাবহার করে ফিল্টার এপ্লাই করে থাকতে হয়। কিন্তু, ক্যামেরার মধ্যে থাকা এ আই অটোমেটিক্যালি আপনার পছন্দের ফিল্টার দিয়ে দেবে। এছাড়া কালার কারেকশন ও ডেপথ ডিটেকশনের মত কাজও এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স করে থাকে। অবশ্য আপনি চাইলে প্রো ক্যামেরা মোডে ডিজিটাল ক্যামেরার মত আইএসও, এপারেচার সহ বিভিন্ন জিনিস নিজে থেকে ম্যানুয়ালি চেঞ্জ করে নিতে পারবেন। এছাড়া ফোনের মধ্যে রয়েছে স্লো মো, সুপার স্লো মো,প্যানারোমা, লাইট পেইন্টিং, ডকুমেন্ট স্ক্যান ও টাইমল্যাপ্স সহ আরো অনেক ফিচার। চলুন দেখে নেই, এ আই ও নর্মাল ছবির কিছু কম্পারিজন।

Q-Moji Feature

এছাড়া Huawei Nova 3i ফোনের মধ্যে আপনারা পাবেন নর্মাল কিউমোজি ফিচারের পাশাপাশি এ আর কিউমোজি ফিচার। কিউমোজি ফিচারটি আমি বলব ফোনটির জন্য চমৎকার একটি এডিশন। সেলফি মোডে আপনারা পাবেন নর্মাল কিউমোজি ফিচার যা আপনার মুখের ভাব ভঙ্গি এক্সাক্ট কপি করতে পারবে। আর ব্যাক ক্যামেরার জন্য রয়েছে এ আর কিউমোজি ফিচার। ভিডিওতে দেখে নিন এক্সাম্পল দেখে নিতে পারেন।

Video Quality

ফোনটির ব্যাক এবং সেলফি উভয় ক্যামেরা ভিডিও রেকর্ড করতে পারবে 1080p রেজোল্যুশনে ৩০ ফ্রেমস পার সেকেন্ডে।  দুটো ক্যামেরার ভিডিও কোয়ালিটি লেগেছে অনেকটা এভারেজ। আর স্টিল ছবির জন্য এ আই পেলেও ভিডিওর জন্য তা পাচ্ছেন না। এছাড়া বেশিরভাগ সময় ক্যামেরা ফোকাস হান্ট করতে থাকে আর এতে নেই কোন স্ট্যাবিলাইজেশন। যার কারণে ভ্লগিং বা মুভিং সাব্জেক্ট শুট করতে গেলে ভিডিও শেকিং পাবেন।

Overall Opinion

এখন এই ফোন নিয়ে আমার ওভারঅল মতামত। Huawei Nova 3i ফোনের মধ্যে দাম অনুযায়ী অনেক ভাল ফিচার রয়েছে। ইন ফ্যাক্ট এই বাজেটে Nova 3i হতে পারে বাংলাদেশের মধ্যে বেস্ট সেলিং ফোন। কিন্তু এর ইউএসবি টাইপ সি না থাকা, ভিডিও কোয়ালিটি ও আইপিএস এল সি ডি প্যানেল আমার মতে ফোনের জন্য কিছুটা ডাউন পয়েন্ট।

Where To Buy

Huawei Nova 3i আপনারা পাবেন পিকাবু ডট কমে। ফোনের দাম পরবে ২৮ হাজার ৯৯০ টাকা, কেনার পর পাবেন ফ্রি হোম ডেলিভারি। পিকাবু ডট কমে আপনারা পাচ্ছেন ইএমআই সুবিধা। এছাড়াও বিকাশ পেম্যান্টে আপ টু ২০% ক্যাশ ব্যাক।

সময় পেলে পড়ে আসতে পারেন Huawei Nova 3e এর রিভিউ।

ফোনটি কেনার জন্য এখানে ক্লিক করুন

Share This Article

Search