শাওমি পোকো এফ১ রিভিউ

পোকো এফ১ এর আইপিএস ডিসপ্লে

গত কয়েক সপ্তাহ যাবত স্মার্টফোন আর গ্যাজেট দুনিয়ায় হাইপের শীর্ষে এই পোকো নামটি।
৯০ হাজার টাকার স্যামসাং নোট ৯ এর সিমিলার স্পেক এর ফোন ত্রিশ হাজার টাকায়? ক্যামনে কি?

POCOPhone F1 Bangla Review

বাক্সের ভিতরে কি?

চলুন প্রথমেই শুরু করা যাক আনবক্সিং দিয়ে। আমাদের ইউনিটটি  কেনা বসুন্ধরা সিটিতে অবস্থিত জ্যাক এন্ড গ্যাজেট লাইফস্টাইল শপ থেকে, দাম পড়েছে ২৯,৯৯৯ টাকা। সামনে কালো বক্সটির পেছনে হলুদ, এখানে লেখা আছে ফোনটির মেই্ন সেলিং ফিচার গুলো, টপ অফ দ্যা লাইন স্ন্যাপ ড্রাগন ৮৪৫ প্রসেসর, পাশবিক এই প্রসেসর টিকে ঠান্ডা রাখার জন্য লিকুইড কুলিং, এআই বেসড ১২+৫ মেগাপিক্সেল রিয়ার ডুয়েল ক্যামেরা, ২০ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা, আর এসব কিছুকে পাওয়ার দেবে কুইক চার্জ থ্রি এনাবল্ড ৪০০০ এমএএইচ এর জায়ান্ট ব্যাটারি।

poco f1 box পোকো এফ১ বক্স

চলুন আর অপেক্ষা না বাড়িয়ে এবার বাক্সটি খুলে ফেলা যাক, বাক্স খুলে প্রথমেই কিছু কাগজ প্ত্র, এর সাথে দেয়া একটি রাবার টাইপের ব্যাক কভার। এরপরেই পাওয়া যাবে সেই কাংখিত পোকো এফ ওয়ান ফোন, এটা আপাতত সরিয়ে রেখে আমরা এর নিচে নজর দেই। এরপরেই পাওয়া যাবে কুইক চার্জ থ্রি এনাব্লড চার্জারটি, একটি ইউএসবি এ টু ইউএসবি থ্রি ক্যাবল এবং সব শেষে একটি সিম ইজেক্টর টুল। আনবক্সিং শেষ চলুন এবার আমরা এটা নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু করে দেই।

Xiaomi Poco F1 Unboxing শাওমি পোকো এফ১ আনবক্সিং

বিল্ড কোয়ালিটিতে পিছিয়ে শাওমি পোকো এফ১

ওয়ান প্লাস সিরিজ বাজার ধরে ফেলে তাদের ফ্ল্যাগশিপ কিলার টাইটেল দিয়ে, পোকো সিরিজও আসতে না আসতেই ওয়ান প্লাস কিলার টাইটেল পেয়ে গিয়েছে। পলি কার্বনেট আইমিন প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি ফোনটির বডি অন্যান্য ফ্ল্যাগশিপ গুলোর তুলনায় সত্যিকথা বলতে কিছুটা সস্তা মনে হয়, এমনকি এই একি দামে বাজারে বিকোনো অনেক ফোন থেকে এটার বিল্ড কোয়ালিটি বেশ গরিবি হালের মনে হতে পারে, তবে এটার ভেতরে স্পেক যা দেওয়া আছে তা মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেস্ট। সেই হিসাবে এটার বিল্ড কোয়ালিটি এমন হওয়ার কারন বুঝতে তেমন বিজ্ঞানি হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। পাতলা কাথার সাথে তুলনীয় মিড রেঞ্জের এই বাজেট এক দিকে টান দিলে অন্য দিকে শর্ট পড়ারই কথা।

পোকো এফ১ স্পেসিফিকেশন

ফ্ল্যাগশিপ স্পেসিফিকেশনঃ শীর্ষে পোকো এফ১

ফোনটির ৬ ও ৮ গিগাবাইট র‍্যাম এবং ৬৪, ১২৮ আর ২৫৬ গিগাবাইট রমের তিনটি ভ্যরিয়ান্ট। আমাদের ভার্সনটি ৬ গিগাবাইট র‍্যাম, ৬৪ গিগাবাইট রম এবং গ্রাফাইট ব্ল্যাক রঙের। পোকো ফোনে দেয়া আছে এক্সপান্ডেবল মাইক্রো এসডি স্লট, যা অনেক ফ্ল্যাগশিপে এ অনুপস্থিত, সো স্টরেজ নিয়ে বাড়তি চিন্তার কিছু নেই। বেশিরভাগ বিদেশি ইঊটিউবারদের কাছে দেখা আর্মারড ব্ল্যাক এর থেকে এই গ্রাফাইট ব্ল্যাক ভার্সনটি অপেক্ষাকৃত ভাল লেগেছে। ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর এবং ফেসআনলক ফিচার দেয়া আছে। ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর টি ক্যামেরার খুব কাছে তাই মাঝে মাঝেই ক্যামেরায় হাত লেগে যায়। ফেস আনলক বেশ ফাস্ট, বেশ কিছু রিভিউতে দেখেছি ওয়ান প্লাস এর থেকেও এটা ফাস্ট কাজ করে। ইনফ্রারেড সেন্সর থাকায় এটি অন্ধকার বা লো লাইটেও ভাল কাজ করে। ফোনটির নেই কোন আইপি রেটিং, অর্থাৎ এটি পানি বা ধুলা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ওয়ান প্লাস সিক্স যদিও কোন আইপি রেটিং না থাকা সত্ত্বেও স্প্ল্যাস প্রুভ তবে পোকো এফ ওয়ান কিন্তু ভিজলেই শেষ।

পোকো এফ১ এর আইপিএস ডিসপ্লে
পোকো এফ১ এর আইপিএস ডিসপ্লে

মাঝারি মানের ডিসপ্লে

এবার আসা যাক ফোনের ডিসপ্লের দিকে, স্ক্রিনটি ৬.১৮ ইঞ্চি, রেজুলুশন ২২৪৬ বাই ১০৮০ পিক্সেল আইপিএস । সারা বছরের ট্রেন্ড ধরে রেখে এতে স্ক্রিনের মাঝখানে পাবেন সুদ্রশ্য নচ, যেটা অনেকটাই আইফোন টেন এর সিমিলার। নচ থাকার পরেও বেজেল চোখে পড়ার মত, বিশেষ করে নিচের অংশের থুতনি ভদ্র ভাষায় চিন বেশ বড়। স্ক্রিনের কর্নার গুলোর রেডিয়াস একটু বেশিই বেশি, চোখের দেখায় মিনিমাম ১০ পিক্সেল মনে হয়, যা কিছুটা চায়না চায়না ফোন মার্কা ফিল এনে দেয়। আমরা বেশ কিছু ইউএইচডি ভিডিও চালিয়ে দেখেছি। স্ক্রিন বেশ ব্রাইট, রাতে ভিডিও দেখতে ভালই লাগে। তবে দিনের বেলা আউটডোরে  রিফ্লেকশনের কারনে কিছুটা স্ট্রাগল করতে হয়েছে। এই প্রাইস রেঞ্জে ডিসপ্লে অন্য দের সাথে তুলনা করা যেতে পারে তবে ওয়ান প্লাস সিক্স বা অন্য কোন এমোলেড স্ক্রিন এর থেকে টেকনোলজিকাল্লি সুপেরিয়র হবার কারনে এগিয়ে থাকবে।  পোকো এফ ওয়ানে দেয়া আছে গ্রিরিলা গ্লাস থ্রি যেখানে অন্যান্য ফ্ল্যাগশিপে ব্যবহার করা হয়েছে সামনে ও পেছনে গরিলা গ্লাস ফাইভ, আবার বাজেট ইস্যু সো বুঝে নিন।

PUBG Gameplay on Pocophone F1

গেমিং পার্ফরমেন্স

যারা অপেক্ষা করছিলেন গেমিং পার্ফরমেন্স এর জন্য, আমরা খেলেছি এতে দ্যা ওয়ান এন্ড অনলি প্লেয়ারস আন্নোন ব্যটেল গ্রাউন্ড বা পাবজি। স্ন্যাপ ড্রাগন ৮৪৫, এড্রেনো ৬৩০ জিপিউ এবং ৬ গিগস র‍্যাম এ সুবাদে, রাকিব বেশ কনফিডেন্টলি গেমটি শুরু করে। স্মুথ ফাস্ট এবং পাওয়ারফুল এক্সপেরিয়েন্স এর মাঝে গেমিং এক্সপেরিয়েন্স এর অভাবে রাকিব পোশাক খুজে পেতে অনেক সময় নেয়, বন্দুক বিহিন অনেক ক্ষণ ঘোরাঘ্রুই করে এবং কয়েক সেকেন্ড এ সব কার্তুজ শেষ করে ফেলে অসহায়ভাবে মারা যায়। সো পাওয়ার ফুল হার্ডওয়্যার এর কারনে দারুন এক্সপেরিয়েন্স গ্যারান্টেড, এই বাজেটে এমন পার্ফমেন্স আর কোন ফোনে স্বপ্নেও দেখবেন না, তবে স্কিল না থাকলে বেঘোরে মারা পড়বেন।

এপর্যায়ে বলে রাখা ভাল লিকুইড কুলিং থাকা সত্ত্বেও ফোনটি আধা ঘণ্টা গেমপ্লেতে কিছুটা গরম হয়। যারা পিসির লিকুইড কুলিং দেখে বা ব্যাবহার করে অভ্যস্ত তাদের কাছে ফোনের এই লিকুইড কুলিং শিশুতোষ গিমিক মনে হতে পারে। বেশ কিছুক্ষন গেম খেলার পরে থারমাল থ্রটলিং মানে হিটিং এর কারনে পার্ফমেন্স এবং এফপিএস লস হচ্ছিল। তবে পাওয়ারফুল এই প্রসেসর টিকে ঠান্ডা রাখতে হয়ত এই সো কল্ড লিকুইড কুলিং সিস্টেম এর কিছু ভুমিকা আছে, এটা খুলে ফেলে দিয়ে একটা কম্পারিজন করে দেখলে হয়ত টেম্প ডিফারেন্সটা বোঝা যেত, কিন্তু সে সুজোগ না থাকায় এই চিন্তা বাদ দিয়ে আমরা এর ব্যাটারি লাইফ এবং পার্ফরমেন্সে এ চলে যাই।

ব্যাটারি ও চার্জিং

পোকো এফ ওয়ানে দেয়া আছে ৪০০০ এমএএইচ ব্যাটারি যা ৯০ হাজার এর নোট নাইন এর সমান এবং ওয়ান প্লাস সিক্স এর থেকে বেশি। এই প্রাইস রেঞ্জে অন্য ব্রান্ডের ফোনগুলোতে এত বড় ব্যাটারি দেখা যায়না বললেই চলে। ওয়্যারলেস চার্জিং না থাকলেও আছে কুইক চার্জ থ্রি। ফোনের নিচে দুটি স্পিকার গ্রিলের মাঝে আছে ইএসবি টাইপ সি পোর্ট যেটা দিয়ে চার্জিং এর কাজ সারতে হবে। আর কুইক চার্জ থ্রি এর কারনে চার্জিং বেশ ফাস্ট এবং চার্জিং এর সময় ফোন সেভাবে গরম হয় না। হিউজ এই ব্যাটারি পুরো একদিন ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট তবে যারা নাওয়া খাওয়া ফোনের উপরে সারেন তাদের একাধিকবার চার্জ দিতে হতে পারে।

ইউজার ইন্টারফেস

পোকো এফ ওয়ানে বাই ডিফল্ট দেয়া আছে এন্ড্রয়েড ৮.১ যেটা পরবর্তিতে এন্ড্রয়েড ৯ এ আপগ্রেড করা যাবে। মি ইউআই পোকো নামে একটি স্পেশাল ইউআই দেয়া হয়েছে এতে। মি ইউআই ৯.৬ অন্যান্য শাওমি ডিভাইসের জন্যেও এভেলেবল, চাইলে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন। বেশ ফাস্ট এবং স্ন্যাপি ছিল ইউজার এক্সপেরিয়েন্স। দারুন স্মুথ লেগেছে মেনু এবং এপ গুলো ঘেটে। শাওমি ইউয়াই ব্যবহারে যারা অভ্যস্ত তারা খুব একটা পার্থক্য দেখতে পাবেন না। স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫ এর সোজন্যে মাল্টি টাস্কিং এবং রেগুলার কাজ কর্মের এক্সপেরিয়েন্স ছিল খুবি খুবি জোস, এক কথায় বলতে গেলে পুরো মাখন।

সাউন্ড কোয়ালিটি

শাওমি পোকো এফ ওয়ানে দিয়েছে একটি স্পিকার যদিও ইউএসবি টাইপ সি পোর্টের পাশে দুটি স্পিকার গ্রিল দেয়া, যা শুধুই ডিজাইন কন্সিস্ট্যান্সির জন্য আই গেস। ফোনের উপরে দেয়া আছে ৩.৫ এম এম এর অডিও জ্যাক, যদিও ফোনের বক্সের সাথে কোন হেডফোন আসেনি, কিন্তু আপনারা যে কোন ৩.৫ এম এম জ্যাকের হেডফোন ব্যবহার করতে পারবেন।

ক্যামেরা ও ছবি

স্মার্টফোনের আজকালকার যুগের মোস্ট ইউজড ফিচার ক্যামেরার জন্য শাওমি ডিভাইস গুলো বেশ সুনাম কামিয়েছে। বট্ম লেফটে শাওমির সিল মারা ভাইয়া এবং আপুদের ছবি আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কমন । পোকো এফ ওয়ান এ শাওমি দিয়েছে ১২ মেগাপিক্সেল এফ ১.৯ এপারচার এবং ৫ মেগাপিক্সেল এফ ২.০ এপারচার এর ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা। এর মধ্যে ১২ মেগাপিস্কেল এর ক্যামেরাটি মেইন এবং ৫ মেগাপিস্কেল এর ক্যামেরাটি ডেপথ সেন্সিং এর কাজ করবে। ক্যামেরা সেটিংস এ রয়েছে মোটামুটি কমন সব ফিচার, থাকছে  ম্যানুয়াল মোড, বোকে এফেক্ট আর আপুদের কথা চিন্তা করে বিউটি মোড তো আছেই। তবে চাইলে ভাইয়ারাও কিন্তু বিউটি মোড এবং ফেয়ার এন্ড লাভ্লি ব্যবহার করে মাসুদ রানা হওয়ার চেস্টা করতে পারেন। ছবি গুলোতে ডিটেইল খুব ভাল ছিল, যারা সিচুয়েশন অনুযায়ি ক্যামেরার পারফেক্ট সেটিংস খুজে পেতে হিমশিম খান তাদের জন্য দেয়া আছে এআই মোড, চাইলে অফ কিনবা অন করে পেতে পারেন আপনার পছন্দ অনুযায়ি ছবি।

পোকো এফ ওয়ানের সামনে দেয়া আছে বেশ বড়সড় ২০ মেগাপিক্সেল এর সেলফি ক্যামেরা। সেলফি তোলার এক্সপেরিয়েন্স ভালই ছিল। লো লাইটেও সেলফি ভাল ছিল। ইনফ্রারেড সেন্সর এবং সফটয়ার এর কারসাজিতে বেশ চমতকার বোকে এফেক্ট পেয়েছি সেলফিতে। চলুন দেখে নেই কিছু স্যাম্পল।

 

৪কে ৩০ এফপিএস এ ভিডিও ছিল চলার মত। ব্যাক্তিগত ভাবে ৪কে ভিডিও অন্যান্য কিছু ফোনে এর থেকে বেটার পেয়েছি। ভিডিওর শার্পনেস কিছুটা কম ছিল বলে মনে হয়েছে। শাওমি বলছে নেক্সট আপডেট এ এটি দিয়ে ৬০ এফপিএস এও ভিডিও করা যাবে। সামনের ক্যামেরায় ভিডিও ছিল তথৈবইচ। এছাড়া স্লো মোশন ভিডিও ফিচার ও এতে দেয়া আছে। খুব ভাল তা বলা যাবে না, তবে দেয়া আছে এই আর কি।

ওভারল, স্পেক অনুযায়ি এই প্রাইসে পোকো এফ ওয়ান এর ধারে কাছেও অন্য কোন ফোন পাওয়া যাবে না। যাদের কাছে স্পেকই সব তারা চোখ বন্ধ করে এই ফোনটি নিয়ে নিতে পারেন। তবে যারা গুনের সাথে চেহারা নিয়েও কন্সার্ন্ড থাকেন তারা অন্য ফোন চয়েস করতে পারেন। সাম্নের দিনে পোকো এফ ওয়ান মুরি মুরকির মত বিক্রি হবে বলা যায়, লুক কোয়ালিটি ডিউরেবিলিটির কথা বিবেবচনা করে অন্য ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোর বিক্রিতে খুব চাপ পড়বে বলতে পারছি না। তবে নিঃসন্দেহে পোকো এফ ওয়ান কে গরীবের ফ্ল্যাগশিপ বলা যেতে পারে। গরীবের ফ্ল্যাগশিপের প্রভাবে মধ্যবিত্তের ফ্ল্যাগশিপ ওয়ান প্লাস এ কিছুটা চাপ পড়বে সেটা বলে দেয়া যায়।

পোকো ফোন এফ ওয়ান এখনো অফিসিয়ালি বাংলাদেশে এভেলেবেল নয়, তবে শাওমির ঘোষণা এবং কিছু ইন্সাইট অনুযায়ি এটা সেপ্টেম্বর এর শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশে অফিসিয়ালি আসতে পারে, তখন হয়ত এর দাম কিছুটা ওঠানামা করবে। তবে এর আগে আপ্নারা বসুন্ধরা সিটির জ্যাক এন্ড গ্যাজেট থেকে ফোনটি সংগ্রহ করতে পারেন, হাজার তিরিশেক টাকা খরচ করে, যদিও স্টক খুব সীমিত। লিঙ্ক এবং এড্রেস দেয়া থাকবে ভিডিওর ডেসক্রিপশনে। ফোনটি নিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে। পোকো এফ ওয়ান আপ্নারা কিনতে ইচ্ছুক কিনা কিনবা এর দাম অফিসিয়ালি বাংলাদেশে কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে আপনার মতামত জানবেন আমাদের কমেন্ট বক্সে। আর আমাদের করা রিভিউ ভিডিওটি দেখতে পারেন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে।

Share This Article

Search
kampungbet kampungbet kampungbet toto slot link gacor kampungbet kampungbet kampungbet toto slot kampungbet link slot kampungbet kampungbet kampungbet situs toto situs togel situs slot rtp slot situs judi bola situs slot gacor link slot resmi slot gacor hari ini
toto togel monperatoto situs toto toto togel slot resmi toto togel bandar togel togel online bandar togel slot 4d toto slot toto slot