দাম আর মানের বিস্তর তফাত ? Vivo V40 Full Review

রোজ বাজারে গিয়ে ভালো সবজি কেনা কিন্তু একটা আর্ট। সবাইরে দিয়ে কিন্তু এটা হয় না। আপনার কেনা দরকার ভেন্ডি।  আপনি যদি ভালো ভেন্ডী না  চিনে মরা, শুটকা ভেন্ডী নিয়ে বাসায় ঢোকেন তাইলে আপনার আম্মা আপনারে মারবে। ঠিক তেমনিভাবে বাজারে রোজ কত না কত ডিভাইস বের হয়, এর মধ্যে থেকে ভালো আপনার জন্য সবচেয়ে suitable ডিভাইসটা বের করে আনা কিন্তু প্যারার কাজ। আপনার এই কাজকে সহজ করার জন্যই আজকের এই blog post. আমি লাবীব সাদমান। 

কথায় আছে আগে দর্শনধারী পরে গুন-বিচারী। তাই এর রুপচর্চা কেমন কি হলো সেটা দেখা যাক । হাল্কা পাতলা গড়নের এই ডিভাইসটা বেশ সুন্দর।বড় সড় এই ডিভাইস্টা দেখে যে কারোই  ভালো লাগার কথা। vivo officially bangladesh  এ দুইটা কালার এনেছে , একটা nebula purple আর একটা moonlight white। আর  আমাদের হাতের এই সুন্দরীটা এসেছে  titanium grey কালার এ। যার অফিসিয়াল নাম Stellar Silver. বাংলাদেশে তো ২টা কালার এসেছে তাইলে এটা আবার কইত্তে আসলো? এটা UNOFFICIAL DEVICE, এবং বক্সের লেখা দেখে যা বুঝলাম এটা ভিয়েতনাম থেকে এসেছে। এছাড়া ও এই ডিভাইসের আরো কালার আছে যেমন peach, blue এগুলাও ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকে এসেছে।  তবে ভয় পাবেন না এগুলা সবই কিন্তু international variant। এক এক জায়গায় এক এক কালার এর ফোন বের করেছে  এই আর কি। সোজা কথায় বৈষম্য।  কালার এর ব্যাপারটা যার যার পারসোনাল ব্যাপার। আপনার যেটা ভাল্লাগে নিতে পারেন।  অন্যান্য ডিভাইসগুলা যেমন বড় stove design  এ এগিয়েছ, এটা হেটেছে simple but unique এই ডিজাইন  এর দিকে। vivo এর নাম দিয়েছে  gemini ring।  ক্যামেরা লেন্সটাও খুব একটা উচু না, ফ্লাটভাবে টেবিলে রাখলেও একটা দিক শুধু wobble  করে।   Curved body এর এই ফোন মাত্র ১৯০ গ্রাম ভরের। যা হাতে নিতে বেশ comfortable লাগে। সামনে পিছে গ্লাস আর মাঝে ব্রাশ ফিনিসের প্লাস্টিক দেয়া। ব্যাক পার্টে ম্যাট ফিনিশ দেয়া। তাই ত্যানা দিয়ে বার বার ফোন মুছতে  হবে না। এখন ভাবতে পারেন তাইলে তো কেস ছাড়া ইউস করায় যায়, কিন্তু ভাইয়া ঝামেলা আছে। এমনি ফোনটা  হাল্কা পাতলা তার ওপর অনেক স্লিপারি। শক্ত পক্ত ভাবে না ধরলে এটার দফা রফা হলেও হতে পারে। তাই বলতেসি কেসটা পরায় রাখা একদম must।  এই ফোনটাতে ip68 & ip69 এর certification দেয়া। এটাকে নিয়ে ১.৫ মিটার পানির নিচে আধা ঘন্টার জন্য নিতে পারবেন। আর ports and button  এর দিকে তাকালে volume rockers and power button  এক দিকে। opposite side টা একদম ফাকা। নিচের দিকে থাকছে যথারীতি sim tray, mic, type-c charging port and speakers. ডুয়াল সিম ইউস করতে পারবেন, নেই expandable memory এর অপশন। যাদের এখনো ফোনে মেমোরি  কার্ডের দরকার হয়ে থাকে তাদের জন্য সমবেদনা।   

ভিভো তাদের বক্সে, ক্যামেরা হাউজিং এ বেশ ফলাও  করে zeiss এর branding করেছে। এখন আদতেও এই zeiss কি কাজ করেছে সেটা দেখা যাক। ফোনের gemini ring নামক  ক্যামরা হাউজিং এ ২ লেন্সের বসবাস।  মেইন ক্যামেরা ৫০ মেগাপিক্সেলের। যার সেন্সর হিসেবে রয়েছে latest Samsung GNJ Iscocell sensor, যার aperture f/1.88। ১১৯ ডিগ্রী ফিল্ড অব ভিউ এর ultra wide ক্যামেরা তে ও সেম ৫০ মেগাপিক্সেলের cmos type sensor  use হয়েছে যার aperture f/2.4, তবে এটা কারা কি বানায়ছে তা খুজে পাই নি। এই ক্যামেরা সেটাপে OIS থাকছে। আর থাকছে এই রিং স্টাইলের aura light.  তবে  নাই telephoto lens.  ৫০ হাজারের এই প্রাইস রেঞ্জে এসে  যদি আমি telephoto lens না পায় এটা অনেক হতাশাজনক।

 

এত টাকা নেয় কিন্তু দেয়ার বেলায় অষ্টরম্ভা।  যাই হোক যা দিছে দিছে। এবার ছবির বিচারে আসি। দিনের বেলা এই ক্যামেরা মোটামোটি ভালো মানের ছবি তুলে।  যদি সিনারিওতে পর্যাপ্ত আলো থাকে।  ভালো লাইটিং কন্ডিশনে একটা ছিমছাম আউটপুট দিতে পারে।এর High dynamic range টাও impressive। যতগুলা profile আছে তার মধ্যে zeiss profile এ কালারটাকে ক্লোস টু ন্যাচারাল রাখার চেষ্টা করে। তাও হাল্কা contrusty করে ফেলে।   ছবির শার্পনেস মোটামুটি ঠিকঠাক।  মাঝে মধ্যে কিছুটা ওভারশার্প করে ফেলে। তখন ছবিটাকে আবার artificial মনে হয়। আর ডিটেইলসকেও ভালোর কাতারে রাখতে হচ্ছে। আপনি ভিভিড মোডে সুইচ করলে একদম সোস্যাল মিডিয়া রেডি ছবি পাবেন। ছবিগুলার ডিটেইলস, শার্পনেস এর তেমন উন্নতি হয় না, কিন্তু কালার প্রোফাইলকে আরো বুস্টেড করে তোলে। তখন কন্ট্রাস্টের পরিমান বেড়ে যায়, তখন শ্যাডো এরিয়া আরো বেশি ডার্ক লাগে।  আমাদের টেস্টিং এ zeiss এর  প্রোফাইলটা আমাদের বেশ ভালো লেগেছে। কিন্তু আপনি চাইলে ফুল ৫০ মেগাপিক্সেলে ছবি তুলতে পারবেন। ভালো আলোতে দেখার মতো ছবি ই পাবেন। তবে হাত steady রাখাটা বাধ্যতামূলক।  আল্ট্রাওয়াড লেন্স এর ছবিগুলা চলার মতো। এখানেও একি কন্ডিশন ভালো আলো তো ভালো ছবি।  ছবির মাঝখান ঠিক রেখে edges গুলাকে soft করে ফেলে। মানে মাঝখান ঠিকঠাক বাদ বাকি সদরঘাট। এই ultra-wide টা আবার macro lens এরও কাজ করে। ভালো ডিটেইলড ছবি তুলতে পারে দেখলাম। ভালোই ব্যাপারটা। ফুল ৫০ মেগাপিক্সেলে তুললে তখন বেটার রেজাল্ট পাবেন। 

 রাতের বেলায় ছবি তোলা  যেকোনো ক্যামেরার জন্য আসল চ্যালেঞ্জ।রাতের বেলা নরমাল মোডেই ছবি তুলতে এটা কিছুটা সময় নেই।  নরমাল মোডে ছবিগুলা ডিসেন্ট। corner edge এ নয়েজ, গ্রেইন দেখা যায়। আর কালার, কনট্রাস্ট  নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই। কম বেশি সবারই ভালো লাগার কথা। নাইট মোডে ছবি তুলতে নরমাল থেকেও আধা সেকেন্ড মতো বেশি সময় লাগে। আর এই সময় একদম statue হয়ে থাকলেই ভালো মানের ছবি পাবেন।  নাইট মোডে আরো বেশি আলো ঢুকে। তাই ছবিগুলাকে আরো ব্রাইট করে তোলে।  তবে ছবিগুলাতে জোর করে  শার্পনেস, ডিটেইলস এড করা হয়। তখন আবার ছবিগুলারে artificial মনে হয়।  

portrait ছবির ক্ষেত্রে ছবিগুলা দেখতে সুন্দর লাগে। ২৪ mm, 35 mm আর ৫০ mm এই ফোকাল লেনথ এ ছবি তুলতে পারবেন। সবক্ষেত্রেই ছবিগুলার edge detection, blur mode নিয়ে খুব কম্পলেইন করার মতো কিছু নেই।  এগ্রেসিভ ব্লার করে না।  সাটল ব্লার আর কি। আর এটার ব্লার লেভেল কন্ট্রোল করা যায়। যেটা আমার বেশ ভালো লেগেছে। নরমালি এর থেকে পাওয়া ছবিগুলা একদম সোস্যাল মিডিয়া রেডি, যা অনেকের ভালো লাগবে।  তবে এর কমতিও আছে। আর সেটা হলো মাঝেমধ্যে হাইলাইটসটাকে overblown করে ফেলে। তখন ছবিগুলারে বেশিই সাদা লাগে। তখন এই ক্যামেরার প্রতি ভালো লাগাটা কমে যায়। তবে portrait mode এ কিছু ফিল্টার আছে, যেমন landscape portrait, street portrait.  এগুলার মধ্যে আমার street portrait টাই সবচেয়ে সুন্দর ছবি তুলে। আর রাতের portrait কে ভালোভাবে তুলতে আর একটু হেল্প করে এই aura light. এই ধরনের ফ্ল্যাশ টিপিকাল ফ্ল্যাশ এর মতো হার্শ না। স্ফট আকারেই ফেস এ পরে। এজন্য ঝলসানো না, ভালো ছবি ই পাওয়া যায়।

ভিডিও সেকশনে এটা max 4k 30fps এ শুট কর‍তে পারে। এই দামে যেখানে অনেকেই 4k 60, 8k অনেকে দিয়ে দিল এরা এখনো পরে আছে 4k 30 তে।  4k 30 তে ডিসেন্ট।  এখানে stabilization আছে standard টা।  কালার contrast মোটামুটি চলার মত। তবে এখানেও highlights overblown করে ফেলে। তাই ফুটেজে কিছুটা সাদা সাদা ভাব চলে আসে।  1080p 60 তেও প্রায় একই রেজাল্ট পেয়েছি। 1080p 30 তে গেলে আমি ultra stabilization পাচ্ছি। তবে standard stabilization and ultra stabilization এর মধ্যে খুব একটা তফাত নেই। ভিডিও সেকশনে zeiss এর কারসাজি আছে আর সেটা সবচেয়ে ভালো দেখা যায়, zeiss cinematic video তে। এখানেও background blur করে ভিডিও করা যায়। তবে এটা শুধু ১০৮০পি ২৪ fps এ হয়ে থাকে।  এই ফিচারটা। সবচেয়ে কাজে লাগে যখন ২ জন যখন ফ্রেমে থাকে, সামনের জন যখন পিছের দিকে তাকায় তখন ফোকাস অটো শিফট হয়। গুড জব zeiss. তোমরা খালি নামেই পার্টনার হও নাই, কামের কামও  করছো। ফ্রন্ট ক্যামেরা মোটামোটি।  ছবির কালার প্রোফাইল ব্যাক ক্যামেরার মতোই।  ছবির ডিটেইলস শার্পনেস চলার মত। এখানেও সেই হাইলাইটেড এর ঝামেলা আছে। সব কিছুতে একটা সাদা সাদা ভাব। ভিডিওর ক্ষেত্রে ভিডিও হয় max 4k 30 FPS পর্যন্ত। এতে থাকছে না কোনো stabilization. Footage average level এর।  ফুটেজে খুজলে গ্রেইন, distortion পাবেন।   আর যদি stabilization চান তাইলে 1080p 60 বা 30 fps এ শুট করতে হবে। এতে আবার dual view mode আছে।  যেটা দিয়ে অনেকে ভ্লগিং এ নামতে পারবেন।  অভারঅল এর ক্যামেরা মিডরেঞ্জ লেভেলের। ১০ এ স্কোর দিতে হলে একে আমি ৭ দিব। 

এত এত ছবি ভিডিও এগুলোর চুল চেরা বিচার-বিশ্লেষণ সব হলো এই ডিস্পলের দিকে তাকিয়ে।আপনার ফোনের ক্যামেরা ভালো কিন্তু ডিস্পলেডা যদি ধজা ভাংগা হয় তাইলে তো ভালো ছবি উঠলেও বলতে হবে ছবিটা ভালো হয় নাই। তাই যেকোনো ডিভাইসেরই ডিসপ্লেটা ভালো হওয়া জরুরি। vivo v40 তে আছে ৬.৭৮” এর hdr10+, 120Hz এর  curved amoled display। Protection এর জন্য দিছে Schott Xensation Alpha। high end এর সবাই ফ্লাট display তে মুভ করে গেছে, mid, upper mid এ curve এ চলে আসছে।  

এই vivo v40  পিক ব্রাইটনেস তারা claim  করছে ৪৫০০ নিটস। কিন্তু তাদের এই ক্লেইম এর সাথে বাস্তবতার আকাশ পাতাল তফাত। Calman test এ  BrightNess এর জন্য C6 HDR 5000 ব্যবহার করি। তাদের Claim achieve করার জন্য SDR MODE এ normally 100% brightness দিয়ে 1115.04 nits পেয়েছি। এই Test কে extreme পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা 200W এর light Use করি এ ক্ষেত্রে আমরা maximum Brightness পাই 1117.74 nits। অ্যান্ড HDR Mode 200W  Focus Light Use করে maximum brightness পাই 1365.78 nits।  তাদের HBM claim সম্পর্কে কোন তথ্য বলা ছিল না, যেটা  দরকারি ছিল। তাইলে হয়ত marketing আর বাস্তবতার ফারাকটা একটু ঘুচত। বাট এই  ৪৫০০ nits বলে সেল করা একপ্রকার  false marketing.  Despite the fact এখানে false marketing হয়েছে, still outdoor এ এই ডিস্পলে ভালোমতোই ভিজিবল।  কড়া রোদের নিচে ফোনটা চালাতে খুব একটা প্যারা খেতে হয়নি।  so real life use-case এর চিন্তা করলে এটা ভালোভাবেই পাস করে যাচ্ছে। 

এরপর কালার গেমুট হিসাবে আমরা পেয়েছি 

  • SRGB – 99.9% 
  • ADOBE RGB – 91.5%
  • 3D65,  p -95.6%
  • NTSC 1953 – 89.4%
  • DELTA-E 2000 – 5.24 Avg , Max 11.99 

technical terms বাদ দিয়ে যদি বলতে হয়, কালার বেশ একুরেট। কোনো ধরনের weird reading পাই নি। 

এইবার কথা বলা যাক  RGB BALANCE নিয়ে। RED 90.5, GREEN 102.5, BLUE 103। এই ডিভাইসে লাল রঙের পরিমাণ কম, সো এইখান থেকে Warm Tone এর ভাবটা থাকবে না। যেটা অনেকেই পছন্দ করে থাকে। Green এবং Blue প্রায় সমান হওয়ায় Soft Blueish type tone provide করবে । সবশেষে আমাদের UFO GHOSTING TEST এর পালা।  দাম বিবেচনায় ghosting accepted ছিল। বাট আমরা এই phone এ ghosting Test performed করার পর কিছুটা অবার হই, Low, Mid, High Lighting Condition এ Ghosting Over shoot Noticable ছিল না। বাট মাইনর Blue Ghoating চোখে পড়েছে।  এখন যারা এই ডিভাইসগুলা কিনেছেন তারা এগুলা দেখে দুঃখ পাইয়েন না, সব কোম্পানি ই এই মুলা গুলা আমাদের সামনে ধরিয়ে দেয়। আমরা খালি চেষ্টা করছি আপনাকে সঠিক তথ্যটা জানানো। যাই হোক তাই হোক ডিস্পলেটার content watching experience ছিলো বেশ ভালো। একে তো curved display  তার ওপর উপরের নিচের বেজেলগুলাও থিন আর সেমেট্রিকাল। তাই একটা immersive feel আসে। আপনি মুভি, সিরিজ বা এনিমে যা ই দেখেন আপনি dissapoint  হবেন না। আগেই তো বলেছি এর color contrast বেশ একুরেট। viewing angle টাও ভালো, সেই সাথে আছে ডুয়াল streo speaker, which is quite loud. এখানে complain  করার কোনো জায়গা রাখেনি vivo.  তার সাথে widevine L1 থাকছে। netflix amazon এর মতো streaming platform এর ফুল রেজুলেশনের মজাটা নিতে পারবেন। Refresh rate ও constant ১২০ হার্জ পুশ কর‍তে পেরেছে। এতক্ষন শুনে মনে হচ্ছে না যে ডিস্পলেটা ভালো, তবে গ্রিন লাইনের ভয় কিন্তু আছেই। কিছু ইন্ডিয়ান ইউনিটে দেখলাম গ্রিন লাইন পরতে। 

amoled display এর ভরসা নাই, যেকোনো সময় গ্রিন লাইন পরতে পারে। কপাল ভালো থাকলে নাও পরতে পারে।   তাই কেনার আগে বুঝে শুনে ভালো মত রিসার্চ করে কিনবেন। যদি আপনার  ডিস্পলেতে গ্রিন লাইন না পরে তাইলে এর যে ভালো গুনগুলা আছে সেগুলো আরো বেশি উপলব্ধি করতে পারবেন যখন আপনি গেম খেলবেন। এই ডিভাইসের প্রসেসর হিসেবে আছে snapdragon 7 gen 3. তবে ওয়েট। এই একই চিপ তারা তাদের আগের v30 তেও দিছিল। vivo v30 release হয়  ২০২৪ এর ফেব্রুয়ারীর ৪ তারিখ। আর এই v40 release হয় জুনের ১৭ তারিখ। আচ্ছা এই ৪ মাসের মাথায় একই সিরিজের নতুন মডেলটা বের করার ফান্ডাটা কি আমারে কেউ একটু বুঝান। ভিভোর রিসার্চারা মনে হয় এই শর্ট টাইমে  আর  কিছু পাই নাই বা তাদের এই চিপ প্রচুর কেনা ছিল তাই ধরায় দিছে। পুরান জিনিস নতুন বডিতে।  innovation!!!!!! 

 

তো দেখি পুরান জিনিস নতুন প্যাকেটে কেমন কি করে। 4 nanometer এর octa core এই চিপ্সেট, বাজারে বেশ প্রুভেন একটা চিপ্সেট। এর একটা কোর 2.63 GHz এর  3 টা 2.4 GHz এর  আর বাকি  4 টা 1.8 GHz এর।

 

Gpu তে পাচ্ছি adreno 720.  সব ফোনের মত আমরা এতেও কিছু synthetic benchmark করি।  Geekbench এর সিংগেল স্কোর করেছে ১১৩৮  আর মাল্টিস্কোর এ ৩০৯৪।  antutu তে এর  score ৮ লাখ এর কিছু বেশি। Wildlife vulkan এর স্কোর পেয়েছি 5369, যেখানে এভারেজ ফ্রেমরেট ছিল ৩২.১৫। আমাদের হাতের এই ডিভাইসটা ছিল ১২/২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্ট। আরো ১২ জিবি expand করা যায় software দিয়ে। আর আমরা সবাই জানি এডা কোনো কাজের না।  হুদাই দিয়ে রাখছে আর কি।  র‍্যামটা lpddr4x এর। আর রম ufs 2.2। vivo এখনো মান্দাত্তার আমলে পরে আছে। যেই ufs 2.2 কে যাদুঘরে স্থান দেয়া উচিত সেখানে তারা এটাকে বাচায় রাখছে। আবার তারাই এর তে কম প্রাইস পয়েন্টে তাদেরই সাব ব্রান্ড iqoo neo 10 এ ufs 4.1 দিচ্ছে। সব সময় যে বলা হয় জিনিস যেটা ভালো দাম তার একটু বেশি, কথাটা সত্যি না।  যাই হোক যা দিছে তাই নিয়েই জীবনে এগিয়ে যেতে হবে। সিকুয়েন্সিয়াল রীড এ পেয়েছি ৬৬৭ mb/s আর write এ ৪৭১ mb/s. আমাদের টেস্ট রেজাল্ট তো দেখলেন,  এবার রিয়েল লাইফ টেস্টে  ফেরা যাক।  মোটামুটি সব ধরনের কাজই অনায়াসে সামলাতে পারবে এই ডিভাইস। normal facebooking, scrolling,  Tiktok দেখার মত কাজ এটা অনায়াসে সামলাতে পারবে কোনো প্রকার হিকাপ ছাড়াই। আমাদের লাবীব যখন এটা ইউস করতেছিল তখন সে কোনো প্রকার হ্যাং বা ল্যাগ এর দেখা পায় নি।  সব রান করেছে স্মুথলি। 

গেমিং এর ক্ষেত্রেও এটা একটা ভালো চয়েস।গেমিং টেস্টে আমরা পপুলার গেমগুলাই পিক করেছি। Call of duty, pubg mobile and genshin impact.  এখানে বলে রাখা ভালো android 15 এ এখন developer option থেকে যে লাইভ ফ্রেম রেট টা দেখা যেত সেটা আর হচ্ছে না, তাই এক্সাট ফ্রেমরেট টা দেখাতে পারছি না।  call of duty তে  very high graphics এর সাথে max frame rate  পেয়েছি। আর এই সেটিংস এ খুব সুন্দর গেম প্লে করতে পারবেন। টানা ২-৩ ম্যাচ খেলার পরও ফ্রেমড্রপ হতে দেখি নি। Pubg তে স্মুথ গ্রাফিক্স এর সঙ্গী হিসেবে পেয়েছি extreme frame rate কে। খেলা গেছে সুন্দর মতোই প্যারা ছাড়া। তবে লম্বা গেমিং এ হীট হবে। আর সবশেষে আমাদের মিশুর (ভাই) ফেভারেট genshin impact. তার হাতে ধরায় দিছিলাম ফোনটা। সে প্রথমে গেমটা medium গ্রাফিক্স এ রাখল, anti – aliasing  TAA  তে সেট করলো আর এর সাথে MOTION BLUR ও অফ করলো তাতেও লাভের লাভ কিছু হলো না। প্রচুর ফ্রেমড্রপ করে এর শিকার হতে হলো বেচারাকে। আপনার মন চাইলে সব হাইতে সেট করতে পারবেন ঠিকি। তখন যে গেমটা যে চলবে সেটাই হবে অনেক। তবে মিশু (ভাই) ঠিকি lowest grahics এ গেমটা  ৬০fps এ সেট করে স্মুথ একটা গেম প্লে পেয়েছে। কিন্তু এই pubg and genshin খেলার সময় ডিভাইসটা ভালো হীট হয়।  এই ঠান্ডায় হাত জমে গেলে হাত গরম করার উপায় বাতলে দিলাম।  আর এত গেমিং এর পরও ব্যাটারি নিয়ে আপনাকে খুব একটা প্যারা নিতে হবে না।  ৫৫০০ mah এর ব্যাটারি is enough. Slim এই ফিগারে এত বড় ব্যাটারি দিতে পারছে ওদের ব্লু ভোল্ট টেকনোলজির জন্য। এটা বেসিকালি 2nd gen silicon carbon anodes technology use করে achieve করছে।  হেভি ইউজাররা ১-১.৫ দিন ব্যাকাপ পাবে আর লাইট ইউজাররা অনায়াসে ২ দিন ব্যাকাপ পাবে এর থেকে। আর আপনি যদি রাতে চার্জ দিতে ভুলেও যান প্যারা নাই এর ৮০ watt flash charger আপনাকে বাচায় দিবে। around 1 hour এ  ০ to ১০০% . 

এত  hardware এর জান হলো এর স্ফটোয়্যার। funtouch os 15 on top of Android 15 এ চলতেছে এটা।  আমি funtouch os এর খুব একটা fan না।  এই os আমার চয়েস অনুযায়ী বেশ হেভি লাগে।  তবে এর কিছু useful জিনিস আছে যেমন split screen, small window, smart sidebar. এগুলা অনেকের কাজে লাগবে আমি শিউর। আমাদের এই ডিভাইসে ad এর দেখা পাই নি বাট bloatware ছিলো অনেক।  যেগুলার কিছু   uninstall possible কিছু না। আর সবশেষে security এর জন্য under display fingerprint আছে। এটা অনেক নিচের দিকে।  হাতের Gymnastics করতে হবে।  এটা মোটামুটি ফাস্ট আর একুরেট। আমাদের টেস্টিং এ miss-read হতে দেখি নাই। software based face unlock ও আছে এতে। এটাও ভালোই কাজ করে খারাপ না।  

এবার আসি আমার ফেভারিট সেগমেন্ট competitor analysis এ। unofficial ই এই মহাজনের দাম ৫০ হাজার টাকা, আর অফিসিয়ালি ৬০ হাজার। তাই আমরা ঠিক করেছি ৪৫-৬০ হাজারের মধ্যে ভালো কিছু অপশন আপনাদের দেখানো। প্রথমেই আসে xiaomi 14T. যার দাম ৬০ হাজার।  এতে পাবেন একটা ভালো মানের ডিসপ্লে, Mediatek Dimensity 8300 Ultra, leicar collaboration  এ ৫০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা । এই শাওমি 14t  ডিভাইসটা ইচ অ্যান্ড এভরি ওয়েতে বীট করছে এই ভিভোকে।  Okay আপনার শাওমি ভালো লাগে না স্টক android এ কিছু খুজছেন, পিক্সেল ৮ পাবেন ৫৭,৫০০ তে। যেটার ক্যামেরা অনেক রিলায়েবেল। all-round phone হিসেবে সাড়ে ৫৭ তে অফিসিয়াল honor 200 পেয়ে যাবেন। আনঅফিসিয়ালি কিনতে গেলে এই honor 200 পাবেন ৪২ হাজারে। এছাড়া ৫০ এর নিচে থাকছে পিক্সেল ৭ প্রো। photo-centric phone নিতে চাইলে এটা একটা অপশন। আর আপনি গেমিং ওরিয়েন্টেড ডিভাইস চাইলে  আমাদের কিছুদিন আগে রিভিউ করা iqoo neo 10 দেখতে পারেন, যেটা কিনা ৪৪,৫০০। আর এই বাজেটে আর একটা all round device nothing 2a plus. Reliable camera, software, ভালো মানের চিপ্সেট নিয়ে একটা সলিড ডিল। যেটা বাজারে ৩৬-৩৭ এর আশে-পাশে আছে। আবার স্যামসাং তরফ থেকে থাকছে samsung galaxy a55 সাড়ে ৩৭ হাজারে, এটাও nothing 2a plus এর মতো allround phone. যা প্রতিক্ষেত্রেই ভালো পারফর্ম করবে। 

তো compitetor analysis করে যা বুঝলাম ৫০ হাজার টাকার রেঞ্জে এই ভিভো ভি৪০ justified না। এর দাম যদি ৩৪/৩৫ রেঞ্জে থাকত তাহলে এটা একটা বাজারে সাড়া ফেলে দিতে পারত। এবং মানুষ আগ্রহ করে কিনতও। ভিভোর প্রাইসিং নিয়ে আরো কাজ করা উচিত। unofficially ই প্রাইস justified না তাইলে officially তো আরো না। তবে এই ফোন তাদের জন্য যারা আগে ভিভো ইউস করেছেন, তাদের ভালো-লেগেছে অন্য ডিভাইস ইউস করতে চান না। তাদের জন্য। এই Device টা কিন্তু খারাপ না।  ডিস্পলে সেকশনে ভালো কাজ করেছে যদিও এতে গ্রিন লাইন পরতে দেখা গেছে, ডিস্পলের পারফরম্যান্স তো ভালো ছিল। ক্যামেরা সেকশন এ ভালো কাজ করছে তারা।  ওভারঅল একটা balanced ডিভাইস বানানোর ট্রাই করছে। কিন্তু এর প্রাইসিং টা একে বেলেন্সলেস  করে দিছে। 

আশা করি vivo নেক্সট সেমিস্টারে এসে একটা কোপ দিবে , কারন brac, nsu এর পোলাপাইনের পরের সেমিস্টারে কোপ দেওয়া থেকে এর কোপ দেওয়া বেশি  জরুরি হয়ে গেছে। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ। 

 

The video link is here:  https://www.youtube.com/watch?v=bru8NkxvB4g&t=110s&ab_channel=PCBuilderBangladesh

 

Share This Article

Search