নোকিয়া নামটা শুনলেই অতীতের কথা মনে পরে যায়। এক সময় ফোন বলতে আমরা শুধু চিনতাম নোকিয়াকেই। রাফ এন্ড টাফ ইউজ আর লং লাইফ ব্যাটারির জন্য নোকিয়া ছিল সারা দুনিয়ায় বিখ্যাত। একটা মিথ ছিল যে নোকিয়া ১১০০ দিয়ে নাকি আম পাড়া যেত। কিন্তু বেশ কয়েক বছর যাবত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনের আগমনে কালের গর্ভে নোকিয়া প্রায় বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু তারপরেও নোকিয়া উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করলেও এন্ড্রয়েড ও আইওএসের ছোবলের কারণে টিকতে পারে নি। কিন্তু সম্প্রতি নোকিয়া তাদের লেটেস্ট মডেলে ফোনগুলোতে এন্ড্রয়েড ওএস ইঙ্কলুড করে নিজেদের হারিয়ে যাওয়া জৌলুস ফিরে পাওয়ার চেস্টা করছে।
এই জৌলুস ফিরে পাওয়ার পথে নোকিয়া গত মার্চে রিলিজ করেছে তাদের ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস নোকিয়া সেভেন প্লাস। আনুমানিক ৩৮ হাজার টাকার এই ফ্ল্যাগশিপ ফোনে কি কি থাকছে চলুন আজ দেখে নেই।
Display
অন্য ব্র্যান্ডের মত কোন কার্পণ্য না করে নোকিয়া দিয়েছে ৬ ইঞ্চি আইপিএস ডিসপ্লে। স্ক্রিনের উপর দেয়া হয়েছে গরিলা গ্লাস ৩। মাল্টি টাচ সাপোর্ট করা এই ডিসপ্লের এস্পেক্ট রেশিও ১৮ঃ৯ এবং রেজোল্যুশন পাবেন 1080*2160।
Body
নোকিয়া সেভেন প্লাসের দৈর্ঘ্য ৬.২৪ ইঞ্চি, প্রস্থ ২.৯৮ ইঞ্চি আর পুরুত্ত ০.৩১ ইঞ্চি। এটির ওজন হচ্ছ ১৮৩ গ্রাম। আর এটির পুরো বডি তৈরি করা হয়েছে এলুমিনিয়াম দিয়ে।
OS, CPU & GPU
অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে আপনারা পাবেন এন্ড্রয়েড ৮.০। প্রসেসর হিসেবে দেয়া আছে স্ন্যাপড্রাগন ৬৬০ আর জিপিউ হিসেবে দেয়া আছে এড্রিনো ৫১২।
Ram & Rom
ফোনটিতে আছে ৪ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি রম। তবে চাইলে ২৫৬ জিবি পর্যন্ত মেমোরি কার্ড লাগাতে পারবেন। কিন্তু এর জন্য ডুয়াল সিম স্লটের একটি সিম ব্যাবহার করতে পারবেন না।
Battery
এই ফোনের সাথে আপনারা পাচ্ছেন নন রিমুভাল ৩৮০০ mAh ব্যাটারি।
Camera
নোকিয়া সেভেন প্লাসের রিয়ারে দেয়া আছে ১২ মেগাপিক্সেল বাই ১২ মেগাপিক্সেলের ডুয়াল ক্যামেরা। আর ফ্রন্টে পাবেন সেলফি তোলার জন্য ১৬ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। এছাড়া ভিডিও রেকর্ডিং করা যাবে 1080p বা 4K তে ৩০ এফপিএসে।
Features
যে কোন ল্যাটেস্ট ফোনের মতই এটি ফোর জি সাপোর্ট করে। এছাড়াও এতে রয়েছে ফাস্ট চারজিং। এছাড়াও প্রথম বারের মত নোকিয়া এড করল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।
কোথায় পাবেন?
নোকিয়া ৭ প্লাস প্রি বুক করতে পারবেন পিকাবু ডট কমে, দাম পরবে ৩৯ হাজার ৯ শত ৯৯ টাকা। প্রয়োজনে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ৩,৩৩৩ টাকা মাসিক কিস্তিতেও ফোনটি কিনতে পারবেন।
সবশেষে বলা যায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার মত টেকনোলজি ও ডিজাইন নিয়ে নোকিয়াও বিশ্ববাজারে হাজির হচ্ছে। তবে ফলাফল কি হতে পারে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে ব্যবহারকারিদের উপর। কিন্তু আমার মতে ওভারঅল দেখতে গেলে নোকিয়া একটি ব্র্যান্ড ভ্যালু হিসেবে ভরসা করা যায়।