Budget Headset From Razer?
রেজারের নাম শুনলেই সবার বুকের মধ্যে ধড়ফড় শুরু হয়, পকেটের মধ্যে পরতে থাকে টান। প্রিমিয়াম গেমিং পেরিফেরালসের দুনিয়ায় Razer একটি অনবদ্য নাম। আর যখন আপনাকে বলা হবে সেই Razer আপনাকে বাজেটের মধ্যে একটি গেমিং হেডসেট অফার করছে তখন সবার একটু চমকে যাওয়ারই কথা। আমরা আজকে রিভিউ করতে যাচ্ছি রেজারের সাড়ে ৬ হাজার টাকার গেমিং হেডসেট Razer Electra V2 এর। কোথায় পাওয়া যাবে তা জানতে রিভিউর শেষে থাকা বাটনে ক্লিক করতে পারেন।
Unboxing
ঝকঝকে ফুল ট্রান্সপারেন্ট প্লাস্টিকি বক্সের হাফ রেজরের সবুজ মোড়োকে ঢাকা। কাগজের মোড়োক সরিয়ে বক্স খুললেই পাবেন হেডসেটটি,রিমুভেবল বুম মাইক, ইউজার ম্যানুয়াল এবং রেজরের লোগোর স্টিকার।
Razer Electra V2 কিনুন এখান থেকে
Outlook
যাইহোক, রেজরের মেইন থিমের সাথে মিল রেখেই এতেও সবুজ এবং কালোর একটা ভাল সংমিশ্রন রেয়েছে। হেডসেটটি হাতে ধরলে প্রিমিয়াম ফিল পাওয়া যাবে। পুরা বডিতে ম্যাট ফিনিশিং দেয়া হয়েছে যা এর লুককে সিম্পল এবং এলিগেন্ট করেছে।
হেডব্যান্ড এর উপরে বড় করে রেজর লেখা। উপরের মেটাল সাপোর্ট যথেস্ট ডিউরেবল। হেডসেটটির মাইক ডিটাচেবল। হেডসেটটির কুশন অনেক কম্ফোর্টেবল।
Headset Versions
এর দুটি মডেল আছে। এর বেস মডেলটি হল ৩.৫ মিলিমিট্যার জ্যাকের যার প্রাইস প্রায় ৬০ ডলারের মত। আর ইউএসবি ভার্শনের দাম প্রায় ৭০ ডলারের মত। বাংলাদেশের বাজারে ইউএসবি ভার্শনটি এভেল্যাবল, যদিও ৩.৫ মিলিমিটার ভার্শনটি থাকলে দুটি একসাথে কম্পেয়ার করা যেত।
Hardware Features
ওয়েবসাইটের অনেক টেকনিকাল ফিচার্স আছে তার মদ্ধ্যে মেইন ফিচার্স হল,
৪০ মিলিমিটার ড্রাইভার্স, ভার্চুয়াল সারাউন্ড সাউন্ড সাপোর্টেড, ফ্লেক্সিবল ডিটাচেবল মাইক, অটো এডজাস্টিং হেডব্যান্ড, পুশ ইয়ার কুশন, এনহ্যান্সড সাউন্ড পার্ফামেন্সের জন্য ড্যাক।
সব ফিচার্স অন্যদিকে রাখলে এইটা রেজরের হেডসেট এইটাই এর মেইন ফিচার। XD
ইউএসবি ভার্শনটি অনলি পিসি অপ্টিমাইজড করে বানানো যদিও।
Review
Sound Quality
৪০ মিলিমিটার নিওডিমিয়াম ম্যাগনেটের ড্রাইভার ভার্চুয়াল ৭.১ সারাউন্ড সাউন্ড দিবে আপনাকে একুরেট নির্দেশনা। স্পেশালি পাবজি, সিএসগো, রেইনবো সিক্স সিয়েজের মত কম্পিটেটিভ গেমগুলোর ক্ষেত্রে সাউন্ড ডিরেকশন,ফুটস্টেপসের সাউন্ড বুঝাটা অনেক ইম্পর্ট্যান্ট ব্যাপার।
তবে সাউন্ডের ডিরেকশন ঠিক থাকলেও সাউন্ডটা নরমাল ইকুলাইজার সেটিং এ তেমন একটা পাঞ্চি লাগবে না। ইন গেইম মিউজিক বা ডায়লগের ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট মনে হবে এটি। তাই এক্সপ্লোশন,গান সাউন্ড এ তেমন একটা ইমারসিভ সাউন্ডের ফিল পাইনি। এবং সাউন্ডের কোয়ালিটি অনেকটা কম্প্রেসড মনে হয়েছে।
আমার কাছে হেডসেটের সাউন্ড একদমই ফ্ল্যাট প্রোফাইলের মনে হয়েছে। হেডসেটের এই ৪০ মিলিমিটার ড্রাইভার খুব একটা ব্যাস প্রোডিউস করতে পারে না। আই মিন ইয়ার শেকিং ব্যাস এর থেকে পসিবল না তবে ইকুইলাইজার দিয়ে টুইক করলে মন মত সাউন্ডের সাথে একটু বেশি ব্যাস পাওয়া সম্ভব। তাই রেজরের সিন্যাপ্স সফটওয়্যারের উপরে সবকিছু ডিপেন্ড করছে।
ইকুইলাইজার দিয়ে টুইক করার পরে একটু বেটার বেস পেয়েছি। এছাড়া নয়েস ক্যান্সেলিং এনাফ ছিল। তবে হাইলি নয়েজ ক্যান্সেল করে এমন না।
Razer Electra V2 কিনুন এখান থেকে
Comfortability
হেডসেটটি তেমন একটা ভারি নয় তাই কমফোর্ট নিয়ে তেমন একটা ভাবতে হবে না আপনাকে। হেডসেটটির ওজন প্রায় ২৯৪ গ্রাম। এছাড়া এডজাস্টেবল ওভার ইয়ার ড্রাইভারস কানের সাথে ভালভাবেই এডজাস্ট করবে। লং টাইম গেমিং সেশনের পরেও কান ব্যাথা বা এইরকম কোন প্রবলেম হয় নি।
Mic Quality
Electra V2 এর মাইক ইউনিডাইরেকশনাল বুম মাইক। যা রিমুভেবল। ইউএসবি ভার্সনের হেডসেটটি ফোনে বা ট্যাবে ইউজ করাটা প্যারাদায়ক তারপরেও ৩.৫ মিলিমিটার জ্যাকের ভার্শনটি যে কোন কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসে ব্যাবহার করা যাবে। যা একটি প্লাস পয়েন্ট।
মাইকের সাউন্ড কোয়ালিটি ভালই।তবে এর ও কিছুটা টুইকের দরকার আছে। সাধারণ ভয়েস রেকর্ডিঙে ভয়েস ঘোলা আসলেও অনলাইন গেমিং বা স্ট্রিমিঙ্গের জন্য কোয়ালিটি যথেস্ট বলে মনে করি।
Software Support
সফটওয়্যার সাপোর্ট হিসেবে বরাবরের মতোই আছে রেজারের সুপরিচিত Razer Synapse সফটওয়্যার। এটি দ্বারা সাউন্ড লেভেল টুইক,ভলিউম মিক্সার, ইকুইলাইজার সেটিং, ৭.১ সারাউন্ড সাউন্ড টেস্টিং এন্ড ক্যালিব্রেশন করতে পারবেন। এছাড়া রেজরের লোগোর লাইট অফ অন করার সুবিধাও আছে।
স্পিকিং অফ LED লাইট হতাশার কারন হল এতে কোন RGB নাই। খালি দুইপাশের দুটি রেজরের লগোতে খালি সবুজ বাতিই জ্বলে।
Overall Opinion
যা ভাল লেগেছে
১. ডিসাইন এবং বিল্ড অনেকটাই লাইট ওয়েট
২. ডিফল্ট সারাউন্ড সাউন্ড ডিরেকশন
৩. কম্ফোর্টনেস
যা ভাল লাগে নি
Razer Electra V2 সাউন্ড কোয়ালিটি টা আরো ভাল হতে পারতো। আমার মতে এই হেডফোনের নন ইউএসবি ভার্শনটা এর থেকে বেটার হতে পারে। আর সেম প্রাইস রেঞ্জের মধ্যে তাদের ক্র্যাকেন ভি২ বেটার অপশন আমার মতে। আশা করা যাচ্ছে কিছুদিনের মধ্যে এই হেডসেটের রিভিউ নিয়ে আপনাদের সামনে আসতে পারব।
তো এখানেই আমাদের রিভিউ আজকে শেষ। আপনি যদি হেডসেটটি কিনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার অভিজ্ঞতা জানাতে ভুলবেন না। আর সময় পেলে পড়ে আসতে পারেন তাইওয়ানিজ ব্র্যান্ড গেমডিয়াসের গেমিং কীবোর্ড মাউসের কম্বোর রিভিউ। আপনারা সবাই ভাল থাকুন আর সঙ্গে থাকুন পিসিবি বিডির সাথেই।