বছরের শুরুর দিকে WhatsApp যে তাঁদের প্রাইভেসি পলিসিতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছিল তা কম বেশি এখন সবাই জানেন। ঐ আপডেটের মূল সারমর্ম ছিল বেশ কিছু ডাটা WhatsApp তাঁদের প্যারেন্ট কোম্পানি Facebook এর সাথে শেয়ার করবে এবং ঐ আপডেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে WhatsApp ব্যবহার করতে হলে ঐ প্রাইভেসি পলিসিতে আপনাকে “হ্যাঁ” দিতেই হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য অন্যথায় বন্ধ হয়ে যাবে একাউন্ট। এরপর শুরু হয় চারিদিকে তুমুল সমোলোচনা। WhatsApp এর কম্পিটিটর অ্যাপগুলো দলে দলে মানুষ চলে যেতে থাকে। জবাবে WhatsApp জানায় তাঁদের প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে এবং WhatsApp প্রাইভেসি পলিসি রোল আউট তিন মাসের জন্য স্থগিত করে দেয় যাতে ইউজাররা ভালভাবে বুঝতে পারে ঐ প্রাইভেসি পলিসিতে কি আছে না আছে। স্থগিত করলেও ১৫ই মে ২০২১ এর মধ্য এগ্রি না করলে WhatsApp এর নিয়ম অনুযায়ী বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু কিভাবে বন্ধ হবে ঐটা নিয়ে এতদিন ধরে ধোঁয়াশা ছিল কারণ এই নিয়ে WhatsApp এর তরফ থেকে পরিষ্কার কোনো বক্তব্য আসতেছিল না। অবশেষে WhatsApp এক ব্লগে পোস্টের মাধ্যমে কিভাবে বন্ধ হবে তা সকলের কাছে তুলে ধরল।
১৫ই মে ২০২১ এর মধ্যে যদি প্রাইভেসি পলিসি এক্সেপ্ট করা না হয় তাহলে একজন ইউজার অন্য ইউজারকে কোনো ধরনের মেসেজ দিতে পারবে না। অন্যদিকে কেউ মেসেজ পাঠালে তাও দেখতে পারবে না। তবে কিছু সময়ের জন্য নটিফিকেশন ও কল রিসিভ করা যাবে। এইখানে কিছু সময়ের জন্য দ্বারা WhatsApp নির্দিষ্টভাবে কতদিন না জানালেও এটা জানিয়েছে যে, “কিছু সময়” কম পক্ষে কয়েক সপ্তাহ হবে।(Techcrunch)
অন্যদিকে এই “কিছু সময়” পার হওয়ার পর পরই যে আপনার একাউন্ট বন্ধ হয় যাবে বিষয়টি এমন নয়। WhatsApp এর বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ১২০ দিন ইনএক্টিভ থাকলে তারপর একাউন্ট অটোম্যাটিক্যালি বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থাৎ এইসময়ের মধ্যে যদি আপনি এক্সেপ্ট করেন তাহলে আবার আগের মতই সব ফাংশানালিটি ফিরে পাওয়া যাবে।
তাছাড়া চাইলেই চ্যাট হিস্টোরি এক্সপোর্ট ও একাউন্ট রিপোর্ট ডাউনলোড করে অন্য প্ল্যাটফর্মে মুভ করা যাবে এই সময়ের মধ্যে। তবে একবার যদি একাউন্ট বন্ধ করে দেন বা হয়ে যায় সেক্ষেত্রে আপনার সকম মেসেজ হিস্টোর ও সব ব্যাকাপ ডিলেট হয়ে যাবে এবং সব গ্রুপ থেকে অটো রিমুভ হয়ে যাবেন আপনি।
WhatsApp এর বিকল্প হিসেবে হাজির হওয়া অন্যতম অ্যাপ সিগন্যাল সম্পর্কে জানতে চাইলে – এইখানে।