CORE ULTRA 200 SERIES: এক নজরে Price,specs,architecture,performence

অবশেষে গতকাল ইন্টেল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে ARROW LAKE বা Core Ultra 200S সিরিজের প্রসেসরসমুহ। চলুন জেনে নেওয়া যাক Arrow Lake আর্কিটেকচার, লঞ্চ হওয়া প্রসেসরগুলোর স্পেসিফিকেশনস,দাম, পারফর্মেন্স গ্রাফ ও দাম।

Arrow Lake 200S Architecture

শুরু করা যাক আর্কিটেকচার সম্পর্কে আলোচনার মাধ্যমে। Arrow Lake প্রসেসরগুলোর Performance Core (P Core) এ এবার ব্যবহার করা হয়েছে Lion-Cove আর্কিটেকচার। ইন্টেলের মতে এটা কনজিউমার গ্রেড ডেস্কটপ প্রসেসরের ক্ষেত্রে সবথেকে শক্তিশালী P(performance) Core। E-Core এর আর্কিটেকচারেও এসেছে পরিবর্তন, ব্যবহার করা হয়েছে Skymont আর্কিটেকচার। Arrow Lake এর সবথেকে বড় পরিবর্তন হয়তো Hyperthreading এর অনুপস্থিতি, অর্থাৎ প্রতিটি P-Core এর সাথে দুটি করে থ্রেড দেখতে পাবো না আমরা; থাকবে প্রতিটি কোরের সাথে একটি করেই থ্রেড।

Lion-Cove এর হাইলাইটস হচ্ছে-

  • AI ভিত্তিক পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট,
  • ১৮টি এক্সিকিউশন পোর্ট ( বেশি throughput, একাধিক ইন্সট্রাকশন  আরো ভালোভাবে সামাল দেওয়ার)
  • Optimized for PPA: PPA এর অর্থ হলো POWER, PERFORMANCE, AREA; অর্থাৎ পারফর্মেন্স,পাওয়ার এফিশিয়েন্সি, ও চিপ এরিয়া ডেন্সিটির অপ্টিমাইজেশন করা হয়েছে যাতে সর্বপরি চিপের ডিজাইন আরো উন্নততর হয়।
  • 16.67 MHz Finer Clock Intervals: ক্লক ইন্টারভাল আগের থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে, অর্থাৎ ফ্রিকোয়েন্সি বেড়েছে।এর ফলে   synchronization, timing এর উন্নতির মাধ্যমে ইন্সট্রাকশন এর কার্যকারিতা আরো এফিশিয়েন্ট ।
  • Allocation, rename, retire এই ধাপগুলোর ইন্সট্রাকশন  শিডিউলিং আরো প্রশস্ত করা হয়েছে।
  • 8X Wider predict: ব্রাঞ্চ প্রেডিকশন ইউনিটের width বাড়ানো হয়েছে ৮ গুণ যার ফলে accuracy বৃদ্ধি পাবে।
  • এই সবকিছুর ফলাফলস্বরুপ রয়েছে Raptor Cove এর বিপরীতে ৯% IPC Gain।
  • প্রতি কোরে L2 Cache এর পরিমাণ বৃদ্ধি।
  • ৩৬ মেগাবাইট এর LEVEL 3 Cache ।

Skymont আর্কিটেকচারের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো-

  • ২গুণ cache bandwidth
  • উন্নত branch prediction
  • Wider predict
  • ২গুণ AI Processing Power
  • ২৬টি dispatch port: বেশি সংখ্যক dispatch ইউনিটের জন্য একসাথে বেশি সংখ্যক executions ইউনিটে ইন্সট্রাকশন সেন্ড করা সম্ভব হবে।
  • Gracemont cove (আগের E-Core architecture) এর থেকে ৩২% IPC বৃদ্ধি।

ডিজাইন এর দিক দিয়ে Lion Cove এর বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন রয়েছে। Raptor Lake এর Monolithic Design এর পরিবর্তে এখানে Tiles এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক। ইন্টেলের মোবাইল প্লাটফর্মে ব্যবহ্বত হওয়া ডিজাইন এবার সরাসরি ব্যবহার করা হয়েছে ডেস্কটপ প্লাটফর্মে। Desktop Lineup এ Intel foveros Technology ব্যবহার করে GPU Tile,SOC Tile, IO Tile, Filter tile,Compute tile ;এগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। Arrow Lake এর main tile এর সবগুলোই TSMC থেকে ম্যানুফ্যাকচার করা হয়েছে।

 

এই এনাউন্সমেন্টে ইন্টেল বেশ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেছে Power Consumption,efficiency এর বিষয়বস্ত। Arrow Lake এর মুল প্রতিপাদ্য বিষয়গুলোর মধ্যেও এটি ছিল ভালোভাবেই। যে সমস্ত টাস্ক E-core দ্বারা পরিচালিত হয়,সেসব ক্ষেত্রে ৫৮% পর্যন্ত কম পাওয়ার  ব্যবহার করবে ARROW LAKE প্রসেসরগুলো, এমনটাই দাবী করছে ইন্টেল। গেমিং এর ক্ষেত্রেও পাওয়ার কনসাম্পশনের ব্যাপারে যুগান্তকারী সাফল্যের দাবী করেছে ইন্টেল, তাদের দেখানো ৭টি গেমের স্লাইডের ডাটা অনুসারে 14900K এর থেকে  গড়ে ৭৩ ওয়াট কম পাওয়ার খরচ করবে ultra 9 285K Arrow Lake প্রসেসর । এই ৭ টি গেমে সর্বনিম্ন ৩৪ ওয়াট থেকে সর্বোচ্চ ১৬৫ ওয়াট কম পাওয়ার খরচ করছে Core Ultra 9 2855K ।

মাল্টিকোর ওয়ার্কলোডেও ইন্টেলের দাবী বেশ বিস্ময়কর, অর্ধেক পাওয়ার খরচেই নাকি 14900K এর সমান পারফর্মেন্স দেবে ইন্টেলের নতুন ফ্লাগশিপ প্রসেসরটি।

 

এক নজরে Arrow Lake Lineup 

Arrow Lake লাইনআপে আপাতত ইন্টেল বরাবরের মতই K সিরিজের ৩টি প্রসেসর লঞ্চ করেছে। প্রতিটি জেনারেশনেই আমরা দেখে থাকি প্রাথমিকভাবে xx900k,kf,xx700k,kf ও xx600k,kf এই ৩টি প্রসেসর এর ৫/৬টি ভ্যারিয়েন্ট লঞ্চ করে থাকে। এবারেও তাই হয়েছে। উল্লেখ্য, Core Ultra ব্রান্ডিং এর প্রথম প্রজন্ম বা Core Ultra 100 সিরিজ (Lunar Lake) শুধুমাত্র ল্যাপটপ প্লাটফর্মের জন্যই সীমাবদ্ধ ছিল। প্রথমবারের মত Core Ultra 200 সিরিজের মাধ্যমে ডেস্কটপ লাইনআপেও আত্মপ্রকাশ ঘটছে ইন্টেলের নতুন কোর সিরিজের। যাই হোক, প্রাথমিকভাবে Announce করা হয়েছে Core Ultra 9 285k, Core Ultra 7 265k (&kf) ও Core Ultra 5 245k (&kf) ; মোট ৫টি প্রসেসরের।

Core Ultra 9 285k তে রয়েছে ২৪ কোর,২৪ থ্রেড ,৪টি গ্রাফিক্স কোর ও ১৩ TOPS ক্ষমতা সম্পন্ন NPU । প্রসেসরটির বুস্ট ক্লক 5.7 GHz । প্রসেসরের Base power 125W ও Turbo Power, Base Power এর দ্বিগুণ। P Core এর Base clock 3.7 Ghz। অন্যদিকে E-Core গুলোর base clock 3.2 Ghz ও Boost clock 4.6 Ghz ।

বাকি স্পেসিফিকেশন এখান থেকে দেখে নিতে পারেন।

Core Ultra 7 265k, অর্থাৎ Core i7 এর সমমানের নতুন প্রসেসরটিতে রয়েছে ২০ কোর,২০ থ্রেড; তবে জিপিইউ কোর, NPU,  285k এর সমানই দেওয়া হয়েছে এতে।  বুস্ট ক্লক 185k থেকে ২০০ মেগাহার্জ কম। প্রসেসরটির TDP 285K এর মতই। তবে বেস ক্লক,বুস্ট ক্লক ও ক্যাশ মেমোরির পরিমাণে কিছু পার্থক্য রয়েছে।

বিস্তারিত এখানে 

Core Ultra 5 245k তে রয়েছে ১৪টি কোর ১৪টি থ্রেড,5.2 Ghz boost clock, 24MB L3 Cache ও পুর্বে বর্ণিত প্রসেসরগুলোর সমান NPU,GPU Core। Core Ultra 5 245K এর base power ১২৫ ওয়াট হলেও বুস্ট পাওয়ার পুরর্বোল্লেখিত প্রসেসরগুলোর মত ২৫০ ওয়াট নয়,বরং এই মান এক্ষেত্রে অনেকটাই কম, মাত্র ১৫৯ ওয়াট।

প্রসেসরগুলোতে প্রতি ইউনিটে সর্বোচ্চ ৪৮ গিগাবাইটের DDR5 এর  র‍্যাম স্টিক ব্যবহার করা যাবে । স্টান্ডার্ড মেমোরি স্পিড রেটিং এবার ধরা হয়েছে ৬৪০০ মেগাহার্জ কে ।বাজারে অপেক্ষাকৃত নতুন ফর্ম ফ্যাক্টর CU DIMM এর সাপোর্ট ও রয়েছে প্রসেসরগুলোতে। know more

14th Gen Raptor Lake Refresh vs Arrow Lake

14th Gen Raptor Lake refresh প্রসেসরগুলোর সাথে স্পেকস অনুসারে Arrow Lake এর পার্থক্যের জায়গাগুলোতে আমরা একটু চোখ বুলিয়ে নিতে পারি।

14900K তে  ইন্টেল  থার্মাল ভেলোসিটি বুস্ট ক্লক ছিল ৬ গিগাহার্জ, সেটা আল্ট্রা সিরিজের ফ্লাগশিপে এসে ৩০০ মেগাহার্জ কমেছে। আর যেহেতু হাইপারথ্রেডিং নেই, ৮টি থ্রেড ও কমেছে অবধারিতভাবেই । আবার P-Core এর থার্মাল ভেলোসিটি ক্লক কমলেও  E-Core এর ক্ষেত্রে বুস্ট ক্লক আবার বেড়েছে ২০০ মেগাহার্জ।  আবার P-Core এর ম্যাক্স বুস্ট ক্লক বেড়েছে ১০০ মেগাহার্জ। সর্বমোট L2, L3 ক্যাশ 14900K তে ছিল যথাক্রমে ৩২ ও ৩৬ মেগাবাইট;এবার দুটিই চার মেগাবাইট করে বেড়েছে। যুক্ত হয়েছে NPU, কুখ্যাত intel uhd graphics এর স্থলে যুক্ত হয়েছে Arc iGPU।

Ultra 7 265k vs 14700k এর তুলনা করলে এখানে max thermal velocity boost  3.0 তে ১০০ মেগাহার্জ কম স্পিড পাবে 265k ( । এর পাশাপাশি P-Core এর ম্যাক্সিমাম ফ্রিকোয়েন্সিতেও ২০০ মেগাহার্জের অবনতি ঘটেছে 265k এর ভাগ্যে। পাওয়ার এফিশিয়েন্সি নিশ্চিত করতেই সম্ভবত এই ধরনের টিউনিং করা হয়েছে।

E-Core ও P-Core উভয়েরই  Base frequency তে বড় ধরনের আপগ্রেড এসেছে 265k তে। এখানেও ২০০ মেগাহার্জ করে বুস্ট ক্লক এ আপগ্রেড এসেছে E core এর।বেড়েছে ক্যাশ মেমোরিও। যুক্ত হয়েছে NPU,Arc iGPU।

Core Ultra 5 245k তেও P-Core Max ফ্রিকোয়েন্সি কমে এসেছে। (এখানে max Thermal velocity boost, thermal velocity 3.0 প্রযোজ্য নয়)। P-core এ সর্বোচ্চ ক্লক স্পিড 5.2Ghz পাওয়া যাবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ৩টি প্রসেসরেই E-Core এর বুস্ট ক্লক একই, 4.6 GHz।

পারফর্মেন্স কেমন?

3rd party বেঞ্চমার্ক প্রকাশ হওয়ার আগে আমরা ইন্টেলের দেওয়া পারফর্মেন্স চার্ট গুলো দেখে নিতে পারি। Multicore এ চারটি সফটওয়্যারের বেঞ্চমার্কে গড়ে 14900K থেকে 185k ১৫% ও 9950X থেকে ১৩% এগিয়ে আছে। সিঙ্গেল কোরে এই পারফর্মেন্স বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৮% ও ৪%। যদিও ইন্টেল 185k ব্যতীত অন্য দুইটি প্রসেসরের কোনো বেঞ্চমার্ক চার্ট প্রকাশ করেনি। গেমিং বেঞ্চমার্কে ১৪টি গেমে গড়ে একই রকম পারফর্মেন্স দিচ্ছে 285k, তবে ইন্টেলের মতে এখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনেক কম পাওয়ার কনজিউম করছে 285k। যদিও 14900k 5600MHZ RAM ও 285K 6400MHZ RAM দিয়ে টেস্ট করা হয়েছে।  9950x থেকে ১৫টি গেমের মধ্যে ৫টি গেমে ৪ থেকে ১৩% কম ফ্রেমরেট দিয়েছে ইন্টেলের নতুন প্রসেসরটি ও চারটি গেমে ৪থেকে ২৮% পর্যন্ত বেশি পারফর্মেন্স দিয়েছে। 7950X3D থেকে প্রোডাক্টিভিটিতে এটি ৫ থেকে ৩০% এগিয়ে আছে এরকম তথ্য ও চার্টে দেখা যাচ্ছে। তবে এসব ক্ষেত্রেও বেশ low-speed মেমোরি ব্যবহার করা হয়েছে রাইজেন প্রসেসরগুলোতে।

ইন্টেলের এই ARROW LAKE প্রসেসরগুলোর টেম্পারেচার ও অনেক কম হবে, এমনটাই দেখানো হয়েছে একটি চার্টে। ৬টি গেমে গড়ে  ১৩ডিগ্রী সেলসিয়াস ঠান্ডা ছিল প্রসেসরটি, দাবী ইন্টেলের।

BEST FOR AI WORKLOADS?

AI সংক্রান্ত কাজের ক্ষেত্রে অনেক ভালো পারফর্মেন্স দেবে ইন্টেলের এই সদ্য লঞ্চ হওয়া প্রসেসরগুলো। এমনটাই দাবী করছে তারা, 9950X হোক কিংবা 14900k, ইন্টেলের চার্টে তুলনা করা প্রসেসগুলোর থেকে 185k এর পারফর্মেন্স অনেকটাই বেশি দেখা যাচ্ছে।

নতুন চিপসেট ও মাদারবোর্ড:

নতুন আর্কিটেকচার, নতুন সিরিজ, নতুন প্রসেসর;তাই নতুন মাদারবোর্ড ও চিপসেট। ইন্টেল Arrow Lake 200 সিরিজের জন্য লঞ্চ করেছে LGA1851 চিপসেট ও কোম্পানিগুলো 8xx সিরিজের মাধ্যমে এই চিপসেটের মাদারবোর্ড লঞ্চ করেছে। এই সিরিজে রয়েছে ৪৮টি PCIe লেন, ২০টি PCIe5 লেন, সর্বোচ্চ ২৪টি PCIe4 লেন , ১০টি USB 3.2, ১৪টি USB 2.0, ৮টি SATA এর সমর্থন। এছাড়াও আছে Integrated wifi 6E, Thunderbolt 4.0 এর পাশাপাশি external wifi7 ও thunderbolt 5 এর সমর্থন।

দাম:

14th gen এর তুলনায় 200 সিরিজের প্রাইসিং খুব বেশি খারাপ করা হয়নি এ কথা বলতেই হচ্ছে। কেননা ৩-৪% প্রাইস কমে এসেছে বাড়ার পরিবর্তে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় এই প্রাইসিং এ পরিবর্তন আসবে।

 

 

Share This Article

Search