Search

বাংলাদেশেও চালু হচ্ছে অ্যাপলের ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিপিয়ার প্রোগ্রাম

অ্যাপলের প্রোডাক্ট রিপিয়ার ও সার্ভিসিং করাতে বেশ কাঠখড় পুড়াতে হয় স্পেশালি যেসব দেশে অ্যাপলের নিজস্ব কার্যক্রম নেই অফিশিয়ালি। আমাদের দেশে অ্যাপলের অথরাইজড রিসেলার থাকলেও নিজস্ব শো রুম বা অ্যাপল স্টোর নেই। যেনতেন রিপিয়ার শপ থেকে কেউ লাখ টাকার জিনিস সার্ভিসিং করাতে অনেকেই ইন্টারেস্টড হয় না। আবার অ্যাপলের অথরাইজড সার্ভিস প্রোভাইডাররাদের উচ্চমূল্যেও অনেকে এফোর্ড করতে পারে না। এইসব কিছু মাথায় রেখে কাস্টোমারদেরকে তাঁদের আফটার সেলস সার্ভিস আরো ভালভাবে দিতে পর্যায়ক্রমে ২০০ টিরও বেশি দেশে চালু করতে যাচ্ছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিপিয়ার প্রোগ্রাম। শুরুর দিকের দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। এই সার্ভিসটি কি ও চালু হলে কিভাবে অ্যাপল ব্যবহারকারীরা উপকৃত হতে পারে তার বিস্তারিত এই আর্টিকেলে-

ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিপিয়ার প্রোগ্রাম কি? 

এটি একটি থার্ড পার্টি সার্ভিস যা ওয়ারেন্টি শেষ হয়ে যাওয়া আইফোন ও ম্যাক ডিভাইসের জন্য চালু হয়েছিল ২০১৯ সালে।বর্তমানে ইউরোপ,আমেরিকা ও কানাডা মিলিয়ে প্রায় ১৫০০ এর মত ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিপিয়ার সার্ভিস প্রোভাইডার রয়েছে। বিশেষ করে করে ছোটখাট রিপিয়ার সার্ভিসের বিজনেস যাদের আছে তাঁরা এই প্রোগ্রামের আওতায় আসতে পারে।  এই প্রোগ্রামের সবচেয়ে বড় বেনিফিট হচ্ছে অ্যাপল থেকেই অরিজিনাল পার্টস, ট্রেইনিং, টুলস ও যাবতীয় রিসোর্স প্রোভাইড করা হয়ে থাকে। এই প্রোগ্রামে জয়েন করতে কোনো ধরনের ফি’র দরকার হবে না এবং ট্রেনিংও বিনামূল্য অ্যাপল দিবে। বিশেষ করে অরিজিনাল পার্টস অ্যাপল অথরাইজড সার্ভিস প্রোভাইডাররা(AASPs) যেদামে কিনে থাকে অ্যাপলের কাছে থেকে ঐ থাকে ঐ দামে কিনতে পারবে ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিপিয়ার প্রোগ্রামের আওতাধীন সার্ভিস প্রোভাইডাররা। এটি মূলত চালু করা হয়েছিল ওয়ারেন্টির শেষ হয়ে যাওয়ার পর কমন যে সমস্যাগুলো হয় যেমনঃ স্ক্রিন,গ্ল্যাসব্যাক ও ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট ঐগুলোর দ্রুত সমাধান দেওয়া। কিন্তু এর চেয়ে বড় অথবা আরো মেজর প্রবলেম হলে সেইক্ষেত্রে অ্যাপল স্টোর অথবা অথবাইরজড সার্ভিস প্রোভাইডারদের মাধ্যেমে ফিক্স করিয়ে নিতে হবে।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিপিয়ার প্রোগ্রামে জয়েন করতে শর্ত কি?

অ্যাপলের সব সার্ভিসে থাকে তাঁরা অনেক বেশি স্টার্ন্ডার্ড মেইনটেইন করে থাকে। এইখানেও তার ব্যতিক্রম নয়। তাঁদের ওয়েবসাইটে অনেকগুলো শর্তের মধ্য একটি হচ্ছে কোম্পানি বা রিপিয়ার শপের টেকনিশিয়য়ানদেরকে অবশ্যই অ্যাপল টেকনিশিয়ান সার্টিফিকেশন থাকতে হবে যাবতীয় লিগেল ও বিজনেস ডকুমেন্টের পাশাপাশি। ডিস্ট্রিবিউটর ও রিসেলেরা পার্টিসিপেট করতে পারবে না। তাছাড়া TheVerge এর একটি আর্টিকেলের মাধ্যমে জানা গেছে ফাইনাল টার্মস এন্ড কন্ডিশনের মধ্যে একটি শর্ত রয়েছে। যেখানে বলা আছে অ্যাপল না বলেই ইচ্ছামত রিপিয়ার শপ অডিট বা ইনিসিপেকশন করতে পারবে এবং নকল পার্টস পেলে জরিমানা করতে পারবে। এছাড়া অ্যাপল চাইলেই রিপিয়াল শপকে কাস্টোমারদের যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। (বিস্তারিতঃ TheVerge )

বাংলাদেশে কবে চালু হচ্ছে?

এই সপ্তাহের শেষে প্রথম দফায় যে কয়েকটি দেশে এই প্রোগামের জন্য এপ্লিকেশন নেওয়া হবে তা মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিপিয়ার প্রোগ্রাম এর আওতাধীন রিপিয়ার শপ আমাদের হাতের নাগালে আসতে দেরি হতে পারে যেহেতু একটি অনেক প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।

আরো বিস্তারিতঃ Apple Newsroom

Share This Article

Search