NID কার্ড ইস্যুতে আবারো আরেকটি পোষ্ট নিয়ে চলে এলাম। আজকের পোষ্টে আমরা দেখবো কিভাবে NID কার্ডের জন্ম তারিখ এবং জন্মস্থান পরিবর্তন করা যায়। এছাড়াও পোষ্টের শেষে NID কার্ডের ছবি ও স্বাক্ষর পরিবর্তন নিয়েও হালকা আলোচনা করা হবে। তো ভূমিকায় তেমন কোনো কথা না বাড়িয়ে সরাসরি মূল পোষ্টে চলে যাই।
NID কার্ড সংক্রান্ত যেকেনো সেবা পাবার জন্য আপনাকে বাংলাদেশ সরকারের নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটে একটি একাউন্ট থাকতে হবে। যাদের ইতিমধ্যেই সেখানে একাউন্ট রয়েছে তারা সরাসরি ২য় ধাপে চলে যান।
১ম ধাপ: নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন
সাইটের উপরে দেখুন “রেজিস্টার” বাটন রয়েছে , সেখানে ক্লিক করুন। অথবা সরাসরি লিংকে যেতে এখানে ক্লিক করুন।
এখানে এসে প্রথম ঘরে আপনার NID নাম্বারটি লিখুন, নিচের ঘরে NID তে উল্লেখিত জন্ম তারিখটি লিখুন আর নিচে ক্যাপচাটি সঠিক ভাবে লিখুন। আর এই ক্যাপচাটিও র্যান্ডম হবে, অর্থাৎ আমার এখানে nhbnm দেখাচ্ছে আপনার বেলায় এটা অন্য অক্ষরের হবে। সব তথ্য সঠিক ভাবে দিয়ে “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করুন।
যাদের NID নাম্বার নেই তারা এই পোষ্টটি দেখে সহজেই আপনার NID নাম্বারটি বের করে ফেলতে পারবেন।
এবার নতুন একটি ফরম আসবে। এখানে খুবই মনযোগ দিয়ে আপনার সঠিক বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানাটি দিন। উল্লেখ্য যে এই তথ্যগুলো আপনার NID কার্ড ইস্যু করার সময় দেওয়া তথ্যের সাথে মিলিয়ে দেখা হবে। অথার্ৎ NID কার্ড প্রথমবার করার সময় কার্ডে যে স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা দেওয়া রয়েছে সেটাই দিতে হবে। সকল তথ্য দেওয়া হয়ে গেলে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।
এবার আপনার মোবাইল নাম্বার চাইবে। আপনার নিজের মোবাইল নাম্বারটি এখানে দিবেন। তারপর “বার্তা পাঠান” বাটনে ক্লিক করুন। নাম্বারে একটি কোড দিয়ে SMS চলে যাবে।
মোবাইলে SMS এর মাধ্যমে প্রাপ্ত কোডটি “যাচাইকরণ কোডটি দিন” ঘরে সঠিকভাবে লিখুন, তারপর “বহাল” বাটনে ক্লিক করুন।
এবার দেখবেন যে আপনার কার্ডের দেওয়া ছবিটি এখানে চলে এসেছে এবং কার্ডের নামটিও এর উপরে চলে এসেছে। এবার সেট পাসওয়ার্ড বাটনে ক্লিক করে এই একাউন্টের জন্য একটি পাসওয়ার্ড সেট করে ফেলুন। তারপর “আপডেট” বাটনে ক্লিক করুন।
বি:দ্র: উল্লেখ্য যে এই ইউজারনেম এবং পাসওর্য়াডটি দিয়েই পরবর্তীতে এই সরকারি ওয়েবাসাইটে লগইন করতে প্রয়োজন হবে। তাই ইউজারনেম এবং পাসওর্য়াডটি যত্ন করে একটি স্থানে সংগ্রহ করে রাখুন।
সবকিছু সঠিক ভাবে করতে পারলে আপনার NID নাম্বার দিয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাইটে একটি একাউন্ট তৈরি করা হয়ে যাবে। এখন লগইন করে নিলেই আপনি NID কার্ডটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
২য় ধাপ: লগইন
সরাসরি রেজিস্ট্রেশন করার পর আপনি অটো লগইন হয়ে থাকবেন। তবে লগইন করার মূল প্রসেসটি দেখিয়ে দেওয়া হল যাতে পরবর্তীতে সহজেই সাইটে আপনি লগইন করতে পারেন। লগইন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন : https://services.nidw.gov.bd/login
লগইন পেজ আসলে এখানে “লগইন করুন” বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে মূল লগইন পেজে নিয়ে যাওয়া হবে।
এখানে এসে আপনার ইউজারনেম এবং পাসওর্য়াড আর সঠিক ক্যাপচাটি দিয়ে “লগইন” বাটনে ক্লিক করুন।
৩য় ধাপ: ফি প্রদান
ন্যাশনাল আইডি কার্ডে কোনো প্রকার সংশোধনের জন্য আবেদন করার পূর্বেই আপনাকে উক্ত আবেদনের জন্য নিদির্ষ্ট পরিমাণের ফি রিচার্জ করে নিতে হবে। আপনি রকেটের মাধ্যমে ফি প্রদান করতে পারবেন। ফি ওয়েবাসাইটের সার্ভারে জমা হবার পরেই আপনার সংশোধন আবেদনটি গ্রহণ করা হবে।
ফি কিভাবে প্রদান করবেন সেটা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমাদের এই পোষ্টে সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া রয়েছে। পোষ্টটি দেখে আসুন।
৪র্থ ধাপ: তথ্য পরিবর্তন
জন্মতারিখ এবং জন্মস্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আপনার নিচের কাগজপত্রগুলো লাগবে:
১. এস এস সির পাশের সার্টিফিকেট
২. পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/ট্রেড লাইসেন্স/টিন সার্টিফিকেট
৩. কাবিনামা/ডিভোর্স লেটার
৪. স্কুল সার্টিফিকেট প্রযোজ্য ক্ষেত্রে
৫. কোর্টে হলফনামা
উল্লেখ্য যে, এই কাগজগুলোর মূল কপি স্ক্যান করে কম্পিউটারে PDF আকারে সেট করে রাখবেন, তাহলে আপলোড করতে সুবিধে হবে। আর মূল কপি না থাকলে ফটোকপি দিয়েও কাজ করা যাবে কিন্তু ফটোকপির ক্ষেত্রে সেখানে সত্যায়িত কপি হতে হবে।
১) সাইটে লগইন করার পর হোম স্ক্রিণ হতে প্রোফাইল অপশনে ক্লিক করুন।
২) প্রোফাইল আসলে এখান থেকে উপরের ডান দিকের নীল রংয়ের ”এডিট” বাটনে ক্লিক করুন।
৩) এখানে একটি পপআপ উইন্ডো চলে আসবে। এখানে মূলত কিভাবে আপনি সংশোধন ফি প্রদান করতে পারবেন সেটা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। লিষ্টে দেখানো ৬টা ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি জমা দিতে পারবেন। এখানে আমরা ডাচ বাংলা ব্যাংক এর রকেট মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসেই ফি জমা দিবো। আর ফি প্রদানের ৩০ মিনিট পর আপনি আবেদন করতে পারবেন। তবে দেখা যায় যে সরকারি ছুটির দিন ব্যাতিত টাকা ভরতে বা টাকা শো করতে কমপক্ষে ২ থেকে ৪/৫ দিনও লাগতে পারে। আর এদের মধ্যে সবথেকে সোজা পদ্ধতি হলো রকেট পদ্ধতিটি। ফি ক্যালকুলেট করতে এখানে ক্লিক করুন। ফি কিভাবে দিবেন সেটা বিস্তারিত দেখতে এই পোষ্টটি দেখে আসুন।
সবুজ রংয়ের “বহাল” বাটনে ক্লিক করুন।
৪) বহাল বাটনে ক্লিক করলে নিচের মতো ইন্টারফেস চলে আসবে, এখন আপনি আপনার তথ্যগুলোকে সংশোধন করতে পারবেন।
যেহেতু আজকে দেখাচ্ছি জন্মস্থান ও জন্মতারিখ পরিবর্তন তবে আপনি অনান্য তথ্যও পরিবর্তন করতে পারবেন। অনান্য তথ্য পরিবর্তন নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে আমাদের এই পোষ্টটি দেখে আসুন।
৫) কোনো কিছু পরিবর্তন করতে চাইলে প্রথমে সেই ঘরের উপর টিক চিহ্ন দিতে হবে; তারপর পরিবর্তনীয় তথ্যটি সিলেক্ট করতে হবে। জন্মস্থান বক্সে টিক দিয়ে সঠিক জন্মস্থানটি সিলেক্ট করা হলো।
এবার সঠিক জন্মতারিখটি আপনাকে Keyboard থেকে টাইপ করে দিতে হবে।
জন্মতারিখ ও জন্মস্থান সঠিকভাবে চেঞ্জ করার পর উপরের ডান দিকের নীল রংয়ের পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন।
৬) পরিবর্তন অদলবদল উইন্ডোতে চলে আসবেন। এখানে আপনি কোন কোন তথ্যগুলো পরিবর্তন করেছেন সেটা দেখতে পারবেন। আমরা জন্ম তারিখ এবং জন্মস্থান পরিবর্তন করেছি তাই এখানে এগুলো দেখাচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আবারো উপরের ডান দিকের “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।
৭) ট্রানজেকশন ট্যাবে এসে যদি দেখেন আপনার ডিপোজিটে টাকা জমা আছে তাহলেই বুঝবেন যে আপনার ফি প্রদান করা সফল হয়েছে। সফল না হলে You have total deposit of 0 BDT লেখাটি দেওয়া থাকবে। এই উইন্ডোতে বিতরণের ধরণ বক্সে যদি আপনি স্মার্টকার্ড চান তাহলে বক্সে ক্লি করে Smart Card অপশনটি সিলেক্ট করতে পারেন। তারপর উপরের ডান দিকের “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।
৮) এবার আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলোর স্ক্যান কপি আপলোড দিতে হবে। আপনি পিডিএফ কিংবা JPG যেকোনো ফরম্যাটে কাগজগুলো আপলোড করতে পারেন।
উল্লেখ্য যত পারেন তত ডকুমেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করবেন, যত ডকুমেন্ট বেশি প্রদান করবেন; সংশোধন হবার চান্স তত বেশি থাকবে।
সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করা হয়ে গেলে উপরের ডান দিকের “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।
৯) এবার এই উইন্ডোতে আপনি ওভারঅল একটি খসড়া দেখতে পাবেন। কি কি তথ্য সংশোধন করেছেন এবং কি কি ডকুমেন্টস আপলোড দিয়েছেন সেটার একটি বিবরণ লিস্ট এখানে দেওয়া থাকবে
সকল তথ্য সঠিক ভাবে দেওয়া হলে উপরের ডান দিকের “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সংশোধন আবেদনটি নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা হয়ে যাবে।
১০) সাবমিট হবার পর আপনাকে হোম পেজে নিয়ে আসা হবে। এখান থেকে আবারো প্রোফাইল অপশনে ক্লিক করুন।
১১) উপরে সবুজ রংয়ে অ্যাপ্লিকেশন পেন্ডিং রয়েছে বার্তাটি দেখতে পাবেন, মানে হচ্ছে আপনি সফল ভাবে NID কার্ডে জন্মতারিখ ও জন্মস্থান সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পেরেছেন।
আপনি আবেদন ফরমটি আপনার পিসিতে ডাউনলোড করে রাখতে পারেন, এ জন্য উপরের নীল রংয়ের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন।
উল্লেখ্য যে, জন্মতারিখ ও জন্মস্থান সংশোধন হতে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ সরকারি কার্যদিবস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে বর্তমানে করোনার কারণে সময় আরো বেশি লাগার কথা। মাস খানেক অপেক্ষা করেও যদি দেখেন যে অ্যাপ্লিকেশন এখনো পেন্ডিং রয়েছে তাহলে আপনি আপনার উপজেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।
ছবি ও স্বাক্ষর সংশোধন
NID কার্ডের অন্যতম ঝামেলার কাজ হচ্ছে ছবি ও স্বাক্ষর সংশোধন বা পরিবর্তন। অনান্য তথ্য সংশোধনের মতো ছবি ও স্বাক্ষর আপনি অনলাইন থেকে নিজে নিজেই সংশোধন করতে পারবেন না। প্রথমে আপনাকে সাইট থেকে ‘ফরম ২’ ডাউনলোড করে নিতে হবে, ফরমটি পূরণ করে নিয়ে থানা / উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিতে হবে। বিস্তারিত বুঝিয়ে দিচ্ছি।
নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটের ফরম ডাউনলোড সেকশনে চলে যান এই লিংকে ক্লিক করে।
তারপর “আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন ফরম (উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে আবেদনের জন্য)” এই অপশনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে ‘ফরম ২’ টি আপনার পিসিতে ডাউনলোড হয়ে যাবে।
এই ফরমটি পূরণ করে তারপর আপনার থানা কিংবা উপজেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।
- এখানে আপনার নাম লিখবেন
- আপনার NID নাম্বারটি লিখবেন
- আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের নিচে হয়ে থাকে তাহলে আপনার অভিভাবকের নাম নাম লিখবেন
- অভিভাবকের NID লিখবেন
এখানে দেখুন প্রথম ব্রাকেটে একটি কথা লেখা আছে “অপ্রয়োজনীয় অংশ কাটিয়া দিন” । আমরা ছবি ও স্বাক্ষর সংশোধন করবে যেটা (ক) থেকে (জ) পর্যন্ত কোনো ঘরেই নেই। তাই (ক) থেকে (জ) ঘর পর্যন্ত আমাদেরকে কেটে দিতে হবে। আমাদের কাজ হচ্ছে (ঝ) ঘরে।
সিগনেচার:
- প্রথমে (অনান্য) ঘরে লিখতে হবে “স্বাক্ষর পরিবর্তন”, তারপর (১) ঘরে আপনার NID কার্ডের বর্তমান সিগনেচারটি দিবেন, হুবহু দিতে হবে।
- তারপর এর পরবর্তীতে ধরে আপনি যে সিগনেচারটি ব্যবহার করতে চান বা নতুন সিগনেচারটি এই ঘরে লিখে দিবেন।
কাগজপত্র:
স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে হলে আপনাকে এই ফরমের সাথে নূন্যতম ১টি ডকুমেন্টস সংযোজন করতে হবে। এমন ডকুমেন্টস সংযোজন করবেন সেখানে আপনার বর্তমানের স্বাক্ষরটি রয়েছে। যেমন :
ক) আপনার পাসর্পোটে যদি আপনার বর্তমান স্বাক্ষরটি থাকে তাহলে পাসর্পোট কপিটি এই ফরমের সাথে সংযুক্ত করবেন।
খ) আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সে যদি বর্তমান স্বাক্ষরটি থাকে তাহলে ড্রাইভিং লাইসেন্সটি সংযুক্ত করবেন।
গ) আপনার কাবিন নামায় বর্তমান স্বাক্ষরটি থাকলে কাবিন নামাকেও দলিল হিসেবে সংযুক্ত করতে পারবেন।
ঘ) সরকারি কিংবা বেসরকারি ব্যাংক একাউন্টে আপনার বর্তমান স্বাক্ষরটি থাকলে ব্যাংক একাউন্ট স্টেটমেন্টকেও দলিল হিসেবে সংযুক্ত করতে পারবেন; মনে রাখবেন স্টেটমেন্টে যাতে আপনার স্বাক্ষর ক্লিয়ার স্পষ্টভাবে দেওয়া থাকে।
ঙ) ট্রেড লাইসেন্সে বর্তমান স্বাক্ষর থাকলে সেটাও এখানে দিতে পারবেন।
চ) HSC / SSC সার্টিফিকেটে বর্তমান স্বাক্ষর থাকলে সেটাও এখানে দিতে পারবেন।
যেকোনো নূন্যতম একটি ডকুমেন্ট আপনাকে এই ফরমের সাথে থানা / উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিতে হবে, তা না হলে সিগনেচার পরিবর্তন আবেদনটি গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে চেষ্টা করবেন যত বেশি ডকুমেন্ট দেওয়া যায় তাহলে সফলভাবে পরিবর্তন হওয়ার চান্স বেশি থাকবে।
ছবি:
ছবি পরিবর্তন করতে হলে (২) ঘরে লিখবেন ছবি পরিবর্তন। তারপর (১) ঘরে কারণ লিখবেন। কারণ হিসেবে দিতে পারেন ছবি অনেক আগের, ছবি পুরোনো, ছবি ঘোলা ইত্যাদি।
ছবি পরিবর্তনের জন্য আলাদা কোনো কাগজপত্র / ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে না।
ফি প্রদান:
এবার আপনাকে রকেটের মাধ্যমে ফি প্রদান করতে হবে। ফি কত লাগবে সেটা জানার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন।
ছবি ও স্বাক্ষর পরিবর্তন করার জন্য ২৩০ টাকা ফি লাগবে। ২০০ টাকা হল ফি এবং ৩০ টাকা হল ভ্যাট।
ডাচ বাংলা রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এর নাম্বারে ডায়াল করুন।
১ নাম্বারে বিল পে অপশনটি সিলেক্ট করুন।
এখন এই বিষয়টি একটু বুঝতে হবে। এখানে self ও other অপশনটি রয়েছে। ধরুন আপনার নাম্বারটি হচ্ছে ০১৭১২ ০০ ০০ ০০ আর এই নাম্বারটি NID কার্ডে দেওয়া রয়েছে আর একই সাথে এই নাম্বারটি থেকেই আপনি রকেট পেমেন্ট করছেন তাহলে ১ অপশনটি চাপুন। আর NID BD কার্ডের সাথে রকেট নাম্বারটি না মিললে ২ চাপুন।
এবার এখানে এসে যে NID নাম্বারে পে করতে চান বা NID কার্ডের সাথে যে নাম্বারটি সংযুক্ত করা রয়েছে সেটা লিখে সেন্ড দিন।
এবার এখানে অনেকগুলো বিল পে প্রতিষ্ঠানের নাম দেখতে পাবেন। যেহেতু এখানে নির্বাচন কমিশনের নাম নেই তাই other অপশনটি সিলেক্ট করুন।
নির্বাচন কমিশনের বিলার আইডি হচ্ছে ১০০০
এবার আপনাকে আপনার NID কার্ড নম্বরটি লিখতে হবে। ভালো করে চেক করে সঠিক তথ্য ইনপুট করুন।
এবার এখানে যেহেতু ছবি ও সাক্ষর পরিবর্তনের জন্য ফি দিবেন সেটা NID INFO CORRECTION এর মধ্যে পড়বে তাই 1 লিখে Send বাটনে ট্যাপ করুন।
এবার মোবাইল স্ক্রিণে আপনাকে ফিয়ের পরিমান দেখাবে। ১ চেপে বিলটি পাঠিয়ে দিন।
রকেট অ্যাপ:
প্রথমে অ্যাপে লগইন করুন। বিল পে অপশনে ট্যাপ করুন।
এবার নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত বের করতে চাইলে উপরের সার্চ বক্সে লিখুন ১০০০ তাহলে EC বাংলাদেশকে পেয়ে যাবেন।
এবার এখানে এসে NID নম্বর দিন।
আর সংশোধন টাইপ বের করতে চাইলে এডিশনার ইনফো আইকনে ট্যাপ করুন।
এরপর এখানে এসে আপনাকে Pay For অপশনে নিজের জন্য না হলে Others অপশনে যেতে হবে, নাম্বার টি দিতে হবে, Amount অপশনে ফিয়ের পরিমাণ লিখে দিতে হবে। এখানে সমস্যা এটাই যে কোড ডায়ালের মতো আপনাকে ফি জানিয়ে দেওয়া হবে না। নির্বাচন কমিশনের সাইট থেকে আপনাকে ফিয়ের পরিমাণটা জেনে নিতে হবে।
বিলটি সেন্ড করে দিন
বি:দ্র: বিলটি সার্ভারে জমা হতে সরকারি ২/৩ কার্যদিবস (ছুটির দিন বাদে) লাগতে পারে।
ফি প্রদান করার পর (১) স্থানে আপনার ফি এর পরিমাণ হাতে লিখবেন (২৩০ টাকা)। (২) স্থানে জমা দানের রশিদ অংশে রকেট দিয়ে ফি প্রদান করার পর মেসেজে যে Transactions Number আসবে (TxnId) সেটা এখানে লিখবেন। (৩) স্থানে আপনি এই ফরমের সাথে যে সকল ডকুমেন্ট সংযোগ করেছেন সেগুলোর বিবরণ লিখে দিন।
তারপর (১) স্থানে যদি আপনি ১৮ বছরের নিচে হয়ে থাকেন তাহলে আপনার অভিভাবকের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার আর ইমেইল দিবেন। (২) স্থানে আপনার নিচের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল দিবেন। মোবাইল নাম্বার দেওয়ার আগে ভালো করে চেক করে নিবেন কারন ওই নাম্বারেই মেসেজ দিয়ে আপনাকে পরবর্তী সংশোধনের তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে।
ফরমটি প্রিন্ট করে নিয়ে আপনার থানা / উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিয়ে আসুন। জমা দেওয়ার সময় অফিসে আপনার বায়োমেট্রিক পরীক্ষাও করা হবে। জমা দেওয়ার ১৫ / ২০ দিন কিংবা ১ মাস পর আপনার মোবাইলে মেসেজ আকারে জানিয়ে দেওয়া হবে যে স্বাক্ষর সঠিকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। আর ছবি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মোবাইলে SMS এর মাধ্যমে একটি তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে, উক্ত তারিখে থানা / উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে আপনি নতুন করে ছবি তুলে দিয়ে আসবেন।
স্বাক্ষর / ছবি পরিবর্তন করা হয়ে গেলে অনলাইনে নির্বাচন কমিশনের ওয়েসাইট থেকে কার্ডটি রিইস্যু করে ফেলবেন তাহলেই আপনার ভোটার আইডি বা NID কার্ডের ছবি / স্বাক্ষর সফলভাবে পরিবর্তন হয়ে যাবে। উল্লেখ্য যে বর্তমান করোনা লকডাউন ইস্যুতে সবকিছুতেই একটু বেশি সময় লাগতে পারে।
ছবি+স্বাক্ষর একই সাথে:
ছবি ও স্বাক্ষর একই সাথে পরিবর্তন করতে চাইলে (১) স্থানে লিখবেন ছবি ও স্বাক্ষর পরিবর্তন + ছবি ঘোলা কিংবা ছবি পুরোনো কারণ লিখবেন + পুরোনো স্বাক্ষরটি দিবেন। (২) স্থানে বর্তমান স্বাক্ষরটি লিখবেন। যেহেতু ছবির সাথে স্বাক্ষরও পরিবর্তন করবেন তাই স্বাক্ষর পরিবর্তনের জন্য নূন্যতম একটি বা দুটি ডকুমেন্ট এই ফরমের সাথে সংযুক্ত করে থানা / নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে জমা দিয়ে আসুন।
সোর্স লিংক:
NID কার্ডের জন্মস্থান এবং জন্মতারিখ এডিট করার জন্য যাবতীয় তথ্য এবং স্ক্রিণশট নিচের ভিডিও থেকে নেওয়া হয়েছে।
https://www.youtube.com/watch?v=9G8ZUNrA0oE
স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের পোষ্টে ব্যক্তির পরিচয় এবং NID তথ্যকে গোপন করে রাখা হয়েছে। তবে ভিডিওতে গোপন করে রাখা নেই। একটি পাবলিক ভিডিওতে কারো NID তথ্য এভাবে ব্যবহার করা যুক্তিসংঙ্গত বলে আমি মনে করি না। যেহেতু ভিডিওটি থেকে এই পোষ্টের জন্য তথ্য নেওয়া হয়েছে তাই সোর্স হিসেবে ভিডিওকে সংযুক্ত করে দেওয়া হল। ভিডিও সংক্রান্ত কোনো দায়দায়িত্ব আমার এবং পিসি বিল্ডার বাংলাদেশের থাকবে না।