GPU মার্কেট এনালাইসিস ২০২১

২০২০ সালের  সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি NVIDIA তাদের RTX 30 সিরিজ লঞ্চ করে। AMD ও নভেম্বর মাসে লঞ্চ করে RX 6000 সিরিজ। ফ্লাগশিপ থেকে মিডরেঞ্জ, বিভিন্ন বাজেট রেঞ্জে নিয়মিত বিরতিতে GPU লঞ্চ করলেও চিপ শর্টেজ, মাইনারদের উৎপাত ও স্ক্যাল্পারদের কারণে লঞ্চের কিছুদিন পর থেকেই GPU এর দাম MSRP এর দ্বিগুণ/তিনগুণ হয়ে যায়। মাঝে কেটে গিয়েছে এক বছরের ও বেশি সময়। তবে অবস্থার পরিবর্তন হয়নি বললেই চলে।

GPU শর্টেজ ও দাম বৃদ্ধির কিছু সম্ভাব্য কারণঃ

প্রথমত শর্টেজ ও Price Hike শব্দ দুটি correlated । মোটামুটি ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকেই বিশ্বব্যাপী প্রকট আকার ধারণ করতে শুরু করে Covid-19 বা করোনা ভাইরাস এর কারণে সৃষ্ট মহামারী। work from home,stay home ক্যাম্পেইনে পড়াশোনা,অফিস আদালতের কাজ ,ব্যবসা-বাণিজ্য কেনাকাটা সবকিছুই হয়ে পরে ভার্চুয়াল। হয়ে যায় কম্পিউটার,মোবাইল/ল্যাপটপ নির্ভর। উক্ত পরিস্থিতিতে প্রচুর পরিমাণ ডিভাইস মানুষ কিনে এজন্য চাহিদাও বেড়ে যায়। ল্যাপটপ,ট্যাবলেট,পিসি,স্মার্টফোনের এই বহুমুখী চাহিদার কারণে মুল চাপ গিয়ে পরে কাঁচামাল এর উপরে। ডিভাইস যেরকমই হোক, সিলিকন হলো সবথেকে বেশি প্রয়োজনীয় ও সবথেকে বেশি ব্যবহ্বত একটি মৌল ,পিসির গ্রাফিক্স কার্ড ,প্রসেসর তো বটেই, স্মার্টফোন,ল্যাপটপ,ট্যাবলেটের অনেক কম্পোনেন্টেও অপরিহার্য একটি কাঁচামাল সিলিকন।

ডিভাইসের ব্যপক চাহিদার কারণে ডিসপ্লে,প্রসেসর,মাদারবোর্ড,র‍্যাম সবকিছুরই Raw materials এর সংকট সৃষ্টি হয়।এরই মাঝে সেপ্টেম্বরে NVIDIA ও নভেম্বরে AMD লঞ্চ করে তাদের নেক্সট জেনারেশন গ্রাফিক্স কার্ডের সিরিজ RTX 30 Series, RX 6000 Series এর বেশ কিছু কার্ড।

প্রথমত এমাজনে মুহুর্তের মধ্যেই স্টক খালি হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে ও একই সময়ে Etherium,Bitcoin এর মত বেশ কিছু emerging cryptocurrency এর দাম বৃদ্ধি হওয়ায় ও লাভজনক হওয়ায় চায়না সহ বেশ কিছু দেশের মাইনিং ফার্ম গুলো ও মাইনাররা প্রচুর পরিমাণে গ্রাফিক্স কার্ড কিনে নিতে থাকে।

একদিকে bulk amount এ বিপুল পরিমাণ গ্রাফিক্স কার্ড মাইনারদের দখলে চলে যাওয়া ও অন্যদিকে শর্টেজ এর কারণে GPU এর সাপ্লাই কম থাকা। দুই এ মিলে GPU এর এভেইলেবিলিটির অবস্থা হয়ে যায় একদমই জঘন্য।

যে অল্প সংখ্যক GPU বিভিন্ন অনলাইন স্টোর ও ফিজিক্যাল স্টোরে ছিল সেগুলোর দাম ও তাই বেড়ে যায় কয়েকগুণ। মাইনিং আর কম সাপ্লাই এর থেকেও বড় একটা সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছিল scalping.

অর্থাৎ লঞ্চের মুহুর্তেই Bot দিয়ে সমস্ত কার্ড বুক দিয়ে ফেলার পর সেগুলো নিজেদের স্টকে রেখে দিয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা ও বাজারে কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি করাটাই ছিল সবথেকে বড় সমস্যা। এই কারণেই পরবর্তীতে RTX 30, RX 60 সিরিজের যেসব কার্ড লঞ্চ হয়েছে, প্রথম মিনিট থেকেই সেগুলোর দাম ছিল MSRP থেকে দ্বিগুণ বা তার ও বেশি।

আগেই বলেছিলাম শর্টেজ ও প্রাইস হাইক শব্দ দুটি কোরিলেটেড। চাহিদার বিপরীতে যখন সরবরাহ হবে সামান্য, তখন দাম বাড়বেই।। এই স্বাভাবিক বিষয়টির সাথে জ্বালানি হিসেবে যুক্ত হয়েছিল বাকি বিষয় গুলো যেমন মাইনারদের দৌরাত্ম্য, স্ক্যাল্পারদের রাজত্ব। এই সব মিলে সাধারণ কনজিউমার বা গেমার, যাদের সাধারণত মুল চাহিদা এক ইউনিট গ্রাফিক্স কার্ড, তাদের মত কাস্টোমারদের কাছে GPU কমই পৌছেছে।

the problem was recognized officially:

ব্রান্ডগুলো একপ্রকার অফিশিয়ালিই স্বীকার করে নেয় যে প্রকৃতপক্ষেই NVIDIA, AMD এর মত GPU Manufacturer রা পর্যাপ্ত chip পাচ্ছে না chip makers দের থেকে, এর ফলে খুব বেশি পরিমাণে GPU ম্যানুফেকচার করা আদৌ তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

সমস্যা সহসা সমাধান হচ্ছে নাঃ

ইন্টেল ও AMD এর মত ব্রান্ডের অফিশিয়ালরাও বিভিন্ন সময় জানান যে এই শর্টেজ সমস্যা সহসা সমাধান হচ্ছে না। Pat Gelsinger,ইন্টেলের CEO জানান যে চিপ শর্টেজ ২০২৩ সালের আগে ঠিক হবে না ।

এর আগে AMD Ceo লিসা সু জানান যে তার মতে চিপ শর্টেজ ২০২২ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলতে পারে।

এর আগে মার্কেট এনালিস্ট,গবেষকরাও মতামত দেন যে ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে গিয়ে সাপ্লাই ও ডিমান্ড রেশিও সমান হবে ও ২০২৩ সালে গিয়ে oversupply ঘটবে।

মুলত দায়ী কারা?

এখানে খালি চোখে মাইনারদের মুল দোষী মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এই সংকটের পেছনে হাত রয়েছে স্ক্যাল্পারদের। মাইনাররা অধিক সংখ্যক গ্রাফিক্স কার্ড কিনছে এ কথা সত্য, কিন্ত তাদেরকেও কার্ডগুলো দুই তিন গুন দামেই কিনতে হচ্ছে স্ক্যাল্পারদের কাছ থেকেই। অর্থাৎ গেমার হোক বা মাইনার, সবাইকে মুলত জিম্মি করে রাখছে স্ক্যাল্পাররা। প্রথমত তারা নিজেরা বিপুল পরিমাণ GPU কালেক্ট করে রাখছে বা করার চেষ্টা করছে, অন্যদেরকে GPU নিতে দিচ্ছে না,  তারপর সেগুলোকে চড়া মুল্যে বিক্রি করছে।

মাঝখানে Miner রা যাতে কার্ড না কিনে বা Gamers রা যাতে Card এর access পায় এজন্য NVIDIA LHR মডেল লঞ্চ করেছিল ।অর্থাৎ এই কার্ডগুলোতে মাইনিং পারফর্মেন্স কম হওয়ায় আগ্রহ প্রকাশ করবে না মাইনার রা এরকমই আশা ছিল NVIDIA এর। সাথে মাইনিং এর জন্য ডেডিকেটেড কার্ড ও লঞ্চ করেছিল তারা।

কিন্ত বাস্তবে তা হয়নি, এই কার্ডগুলো মাইনার রা না নিলেও স্ক্যাল্পাররা ঠিকই নিয়েছে ও তারপর আগের মতই সংকট তৈরী করে উচ্চমুল্যে বিক্রি করেছে।

এক নজরে GPU Market:

3Dcenter প্রায় প্রতি মাসেই জার্মানী ও অস্ট্রিয়ার মার্কেটে GPU প্রাইসিং এর ট্রেন্ড-গ্রাফ প্রকাশ করে থাকে। এছাড়াও জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল Hardware Unboxed ও প্রতি মাসেই Amazon,Ebay এর অনলাইন শপগুলোর এভারেজ প্রাইস এর সাথে MSRP এর তুলনা, আগের মাসের তুলনায় দামের বৃদ্ধি/হ্রাসের হিসাব,গ্রাফ প্রকাশ করে।

উপরের গ্রাফটি 3dCenter এর। এখানে green points গুলো Nvidia ও Red points গুলো Amd নির্দেশ করছে। 3080ti,3070 ti, 6600xt এর মত কার্ডগুলো হিসেবের বাইরে রাখা হয়েছে ও জার্মানীর জনপ্রিয় রিটেইলারদের মধ্যে সর্বনিম্ন দামের গড় হিসাব করেছে তারা।

এখান থেকে দেখা যাচ্ছে যে মোটামুটি জানুয়ারির আগের থেকেই দাম বৃদ্ধি শুরু হয়েছিল গ্রাফিক্স কার্ডের। জানুয়ারিতে NVIDIA এর কার্ড MSRP থেকে ২৭% ও AMD এর কার্ডগুলো গড়ে ৪০% বেশি দামে বিক্রি হচ্ছিল।

তখন থেকে এই গ্রাফ বছরের অর্ধেক সময় পর্যন্ত উর্ধ্বমুখীই ছিল। ফেব্রুয়ারির মাঝে দুই ব্রান্ডেরই কার্ডের গড় দাম ছিল MSRP থেকে ৫৮% বেশি। মার্চে NVIDIA এর ক্ষেত্রে তা ১২৫% ও AMD এর ক্ষেত্রে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৮% এ । AMD এর ক্ষেত্রে সবথেকে বড় spike টি দেখা যায় মে মাসের শুরুতে ও NVIDIA এর ক্ষেত্রে মে মাসের মাঝামাঝি। দুই ব্রান্ড এর কার্ডের দাম তখন ছিল যথাক্রমে ১১৪% ও ২০৪% বেশি।

মে মাস থেকে কিছুটা কমতে শুরু করে GPU এর দাম। তবে তা কখনোই MSRP এর ধারে কাছেও ছিল না। ফেব্রুয়ারি মাসের মত জুলাই মাসে  MSRP এর ৫০% বেশি দামে নেমে আসে দুই ব্রান্ডের কার্ডের দাম।

এরপর আবার বৃদ্ধি পেতে শুরু করে দাম, তবে দাম বৃদ্ধির হার বছরের দ্বিতীয় ভাগে ছিল খুবই কম। মাসে গড়ে ১০% করে বৃদ্ধি লক্ষ করা যায় এই পর্যায়ে। এইভাবে বছরের শেষদিকে এসে আমরা দেখতে পাচ্ছি AMD ,NVIDIA এর গ্রাফিক্স কার্ডের দাম বর্তমানে গড়ে MSRP থেকে প্রায় ১০০% বেশি। (৯৫% এর আশেপাশে)।

Hardware unboxed analysis:

হার্ডওয়্যার আনবক্সড তাদের এনালাইসিস গুলো করে Amazon,Ebay ,newegg এর মত মার্কেটগুলোর উপর। এই বিষয়ে তাদের করা সর্বশেষ ভিডিওর গ্রাফ নিম্নরূপঃ

হার্ডওয়্যার আনবক্সের গ্রাফটিও মোটামুটি নির্দেশ করছে যে মে মাসের দিকেই সবথেকে বড় মুল্যবৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল। এরপর দাম জু্লাই/আগস্ট পর্যন্ত কমতে থাকার পর আবার বাড়তে শুরু করে। HUB এর গ্রাফে আলাদা আলাদা মডেলের জন্য প্রতি মাসের দাম ও এর সাথে MSRP এর তুলনা দেখানো হয়েছে।

নিচের ছবিটিতে NVIDIA এর কার্ডগুলোর ইবেই এর MSRP,  ও শেষ কয়েক মাসের দাম দেওয়া রয়েছে। গড়ে ১১৩% বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কার্ডগুলো। ও আগের মাসের তুলনায় নভেম্বরে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে গড়ে ৬%।

AMD এর ক্ষেত্রেও অনুরূপ গ্রাফ নিচে দেওয়া হলো। মে মাসের দিকেই দাম সবথেকে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিল ও পরে তা কমতে শুরু করে । জুলাই থেকে কমা,বাড়ার মধ্য দিয়েই গিয়েছে কার্ডগুলোর দাম।

AMD এর কার্ডের অবস্থা কিছুটা ভালো বলা যায়। বিশেষ করে সদ্য লঞ্চ হওয়া 6600,6600 XT ও Flagship 6900 XT এর দাম MSRP থেকে গড়ে ৭২% বেশি। যদিও বাকি কার্ডগুলোর দাম ১৩৪%,১৪৪%,১০৪% বেশি যথাক্রমে। অর্থাৎ সবগুলো মিলিয়ে দাম বৃদ্ধির পরিমাণ ১০০%।

এক নজরে Amazon:

নিচে কিছু জনপ্রিয় কার্ডের বিভিন্ন মডেলের লেটেস্ট প্রাইস উল্লেখ করা হলোঃ

RTX 3060: Zotac Gaming,EVGA XC Gaming,Asus TUF গেমিং এর দাম যথাক্রমে 1029USD,1149 USD ও 1159 USD যথাক্রমে।

RTX 3060 TI: Asus KO 3060 Ti এর দাম ১২০০ ডলার, MSI Gaming 3060 Ti এর দাম ১২০০ ডলার ও EVGA এর FTW Ultra 3060 Ti এর দাম ১১১৬ ডলার।

RTX 3070: গিগাবাইট,এমএসআই,যোট্যাক,পিএনওয়াই এর RTX 3070 এর দাম যথাক্রমে ১২৩৯, ১৬০০, ১৩০০ ও ১১৪৯ ডলার।

RTX 3070 Ti: MSI Gaming 3070 ti 1550USD, Zotac AMP Holo 3070 TI 1900 USD,Asus Tuf Gaming 3070 ti 1500 USD.

RTX 3080: MSI Gaming RTX 3080 2400 USD, Asus Rog Strix 3080 2289 USD, Zotac RTX 3080 Trinity 1850 USD, Gigabyte Waterforce 1700 USD, Asus TUF 3080 2400 USD

RTX 3080 Ti:Asus Tuf 3080 ti 2400 USD, MSI Gaming 3080 ti 2200 USD.

পুরাতন মডেলঃ

GTX 1660:  Zotac এর GTX 1660 বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৫০ ডলারের মধ্যে, ও 1660 Super বিক্রি হচ্ছে ৮০০ ডলারে।

1050 TI: বিভিন্ন ব্রান্ডের GTX 1050 Ti গুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ ডলারে।

RX 570: পাওয়ারকালারের ইউজড  চার গিগাবাইট RX 570 লিস্টেড রয়েছে ২৯০ ডলারে, স্যাফায়ার এর নতুন 4GB 570 লিস্টেড রয়েছে ৬৫০ ডলারে। আসুস এর চার গিগাবাইট  স্ট্রিক্স মডেলটি ২৫০ ডলারে পাওয়া যাচ্ছে। expedition 570 8GB Used পাওয়া যাচ্ছে ৬০০ ডলারে।

XFX এর 8GB 570গুলো  ইউজড ৫৮০ ডলার ও নিউ সাড়ে আটশো ডলারে লিস্টেড রয়েছে।

RTX 2060: বিভিন্ন ব্রান্ডের RTX 2060 গুলো গড়ে ৭০০-৮০০/৯০০ ডলার রেঞ্জে লিস্টেড দেখা যাচ্ছে।

RTX 2070 Super:বিভিন্ন মডেলের সেকেন্ড হ্যান্ড RTX 2070 Super কার্ডগুলো ৯৫০-১২০০ ডলার রেঞ্জে লিস্টেড রয়েছে।

এএমডি দাম বাড়াবে আরো?

Board Channels forums(BCF) এর মতে AMD সিদ্ধান্ত নিয়েছে RX 6000 সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ডের দাম আরো ১০% বাড়ানোর। সেক্ষেত্রে RDNA2 ভিত্তিক কার্ডগুলোর MSRP 30-40 ডলার বেশি হবে এখন থেকে। এই দাম পরবর্তী শিপমেন্ট থেকেই কার্যকর হবে। রিপোর্ট অনুসারে TSMC এর Wafer এর দাম সম্প্রতি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে AMD.

বেড়েছে শিপমেন্ট, মার্কেট শেয়ার বেড়েছে AMD, NVIDIA এরঃ

Jon Peddie Research এর রিপোর্ট অনুসারে গত বছরের তুলনায় এই বছরের শেষ কোয়ার্টারে GPU এর শিপমেন্ট বেড়েছে ১২%। ২০২১ এর  গত কোয়ার্টার এর তুলনায় মার্কেট শেয়ার ও বৃদ্ধি পেয়েছে AMD, NVIDIA এর। AMD এর ক্ষেত্রে তা ২% ও NVIDIA এর জন্য তা ৫%। মার্কেট শেয়ার কমেছে ইন্টেলের।

Quick highlights

  • The GPU’s overall attach rate (which includes integrated and discrete GPUs, desktop, notebook, and workstations) to PCs for the quarter was 125%, up 7.6% from last quarter.
  • The overall PC CPU market decreased by -23.1% quarter-to-quarter and increased 9.2% year-to-year.
  • Desktop graphics add-in boards (AIBs that use discrete GPUs) increased by 10.9% from the last quarter.

দেশের বাজারের অবস্থাঃ

দেশের বাজারের অবস্থা ও যাচ্ছেতাই। শপগুলোর মতে তারা নিজেরাই অনেক চড়া দামে কার্ড নিয়ে আসছেন ফলে তাদের হাতেও খুব বেশি উপায় নেই বেশি দামে সেল না করা ছাড়া। সাথে সিংগেল বেচতে না চাওয়া, ফুল পিসি কিনার শর্ত তো রয়েছেই। অনেক শপ অবশ্য পিসির সাথে কার্ড কিনলে কিছুটা ডিসকাউন্ট দিচ্ছে।

লোয়ার মিডরেঞ্জ-এন্ট্রি লেভেলে কোনো কার্ড দেশে নেই বললেই চলে। 15 হাজারের 1650 বিক্রি হচ্ছে ৩৫ হাজার টাকা বা এর আশেপাশে। 1650Super এর দাম ৩৮-৪০ হাজার+। ২৩-২৫হাজারের 1660,1660Super এর দাম ৪৫ হাজার থেকে ৬২ হাজার পর্যন্ত। 1660ti বিক্রি হচ্ছে ৫৭-৬৫ হাজার টাকায়।

অর্থাৎ আগে ১৫ হাজার-১৮ হাজার টাকার GPU সহ ৫০-৬০ হাজার টাকায় মনিটর সহ একটি ডিসেন্ট 1080p গেমিং পিসি বানানো সম্ভব ছিল যেটি এখন স্বপ্নে পরিণত হয়েছে।

329 ডলারের RTX 3060 বিক্রি হচ্ছে ৭২-৮৫ হাজার টাকায়। RTX 20 সিরিজের জনপ্রিয় কার্ড 2060Super এর দাম ও ৭০ হাজারের ঘরে।

অপেক্ষাকৃত কম দামে পাওয়া যাচ্ছে Radeon RX 6600 ও 6600 XT। এই দুটি কার্ড ৫৮-৬০ হাজারে পাওয়া যাচ্ছে।

RTX 3060 Ti বা 6700XT গুলোর দাম বর্তমানে ৮০ হাজার টাকার উপরে।

একসময়ের জনপ্রিয় Polaris Architecture এর RX 580 8GB (Biostar) বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৮ হাজার টাকায়।

RTX 3070,3070 ti এর দাম এক লাখ ,এক লাখ দশ হাজার থেকে শুরু।

কাস্টোমারদের অবস্থাঃ

সবথেকে বেশি বিপদে পড়েছেন একদম লো বাজেট, মিড বাজেট এর গেমার,বিল্ডার রা। যারা ৫০-৬০/৭০ হাজারে আগে অনেক সহজেই অনেক ভালো মানের গেমিং পিসি বিল্ড করতে পারতেন তারা হাত গুটিয়ে বসে আছেন। আমাদের নিজেদেরই ৮০ হাজার টাকার পিসি বিল্ডে 2060 Super গ্রাফিক্স কার্ডটি ইউজ করা হয়েছিল যা এখন অবাস্তব দুরাশায় পরিণত হয়েছে।একই ভাবে ৪৯ হাজার টাকার পিসি বিল্ডেও ব্যবহার করা হয়েছিল GTX 1650 Super যার বর্তমান মুল্য ৪০ হাজার টাকার কাছাকাছি।

আগে অনেক অস্থায়ীভাবে বা খুব বাজেট সংকটে পড়লে ১০-১২ হাজারে GTX 1050 Ti দিয়ে বিল্ড করতেন,এই পন্থাও এখন আর কাজ করছে না । কারণ GTX 1050 Ti এর দাম ও ২৫-৩০ হাজারে গিয়ে ঠেকেছে। অনেকে in built GPU ওয়ালা প্রসেসর গুলো দিয়ে বিল্ড করছেন কারণ ১০ হাজার টাকা দিয়ে GT 1030 নেওয়ার থেকে দুই-আড়াই হাজার টাকা বেশি খরচ করে built in gpu যুক্ত প্রসেসর নেওয়াটাই ভালো।

সেকেন্ড হ্যান্ড মার্কেটেও চলছে আগুনঃ

স্বাভাবিকভাবেই GPU মার্কেটের এই অস্থিতিশীল অবস্থার প্রভাব পড়েছে সেকেন্ড হ্যান্ড GPU এর বিশাল বাজারেও। বাংলাদেশে ছোট বড় ফেসবুক গ্রুপগুলো ও মার্কেটপ্লেসে চোখ বুলালেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়। এখানে সেলার,বায়ার রা কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন ও নিজেদের মধ্যে কমেন্ট সেকশন ও ইনবক্সে কাঁদা ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত।

একদল রয়েছেন যারা কম দামে ,স্বাভাবিক সময়ের দামে কার্ড খুজছেন। এদের মধ্যে আবার দুটি ভাগ রয়েছে, একভাগে রয়েছেন true buyers যারা অনেকদিন ধরে নিজের পিসির জন্য কার্ড খুজছেন, আরেকভাগে আছেন resellers, যারা কম দামে GPU সংগ্রহ করে তা আবার বেশি দামে বিক্রি করতে চাচ্ছেন।

এদের মাঝে বিপদে পড়েছেন কিছু natural sellers, যারা নিজেদের GPU আপগ্রেড করতে চান, তাদের target GPU এর দাম বেশি হওয়ায় তারাও বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ও পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় উচ্চ মুল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তাদের পুরাতন গ্রাফিক্স কার্ডগুলো।

আর একভাগে রয়েছেন কিছু সুযোগসন্ধানী মানুষ যারা শুধুমাত্র পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ,কিছু বাড়তি টাকা কামিয়ে নেওয়ার জন্য নিজেদের পুরাতন গ্রাফিক্স কার্ডগুলো অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন বা করার চেষ্টা করছেন। তারা নিজেদের কেনা দামে বা কেনা দামের থেকেও বেশি দামে অনেকদিন ব্যবহার করা কার্ডগুলোকে বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে ৩০ হাজার,৩৫ হাজার টাকায় RX 570, RX 580, GTX 1060 এর বিক্রির বিজ্ঞাপন চোখে পড়ছে অহরহ। তেমনি আরেকদল 1660,1660Super, 1650super,2060 এর মত কার্ডগুলোও এখনকার বাজার মুল্য বা তার থেকে সামান্য কমে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এই কার্ডগুলো অনেক আগে কেনা, ওয়ারেন্টি নেই বা সামান্য রয়েছে, এবং সেটা থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে এই বিক্রেতারা কার্ডগুলো নিজেরা কত দামে কিনেছিলেন।

সর্বশেষ ভাগে রয়েছেন স্ক্যাল্পার রা, আমাদের দেশেও এরকম অনেকে রয়েছেন যারা বেপরোয়া ভাবে GPU কিনছেন একের পর এক,চাই তা নতুন হোক বা Used, এবং পরবর্তীতে বিক্রি করছেন চড়া দামে।

GPU মার্কেটের একাল সেকালঃ

অনেকেই জানেন যে এরকম ২০২০-২১ সালের মত GPU shortage তৈরী হয়েছিল ২০১৬-১৭-১৮ এর দিকেও। সেসময়ে মাইনার দের জন্য সব গ্রাফিক্স কার্ডের দাম অনেক অনেক বৃদ্ধি পেয়েছিল বিশ্বজুড়েই। তখনকার সময়ে বিশ্বের বাজার ও দেশের বাজারের সাথে বর্তমান সময়ের বিশ্বের বাজার ও দেশের বাজার এর অবস্থা,তুলনা করে একটি আর্টিকেল আমরা ফেব্রুয়ারির দিকে প্রকাশ করেছিলাম। পড়ে নিতে পারেন এখান থেকেঃ

২০১৭ vs ২০২১ঃ জিপিইউ shortage এর একাল সেকাল

 

Share This Article

Search