গ্রাফিক্স কার্ড নিয়ে হাহাকার যেন থামছেই না। বাংলাদেশ মার্কেট কিংবা ইউএসএ, লঞ্চ প্রাইসে পাওয়া যাচ্ছে না কোন জিপিউ। আবার যারা টাকা নিয়ে বসে আছেন তারাও ইউনিট পাচ্ছেন না। যাও বা আসে কিছু, দেখা যায় কিনতে গেলে জুড়ে দেয় হয় ফুল পিসি কেনার শর্ত। আবার ফুল পিসি কিনতে গেলে দেখা যায় পছন্দের কম্পোনেন্ট নাই, তাই চাইলেও একবারে পছন্দের ফুল পিসি বিল্ড করারো ওয়ে নাই। গ্রাফিক্স কার্ডের এই চরম দুর্দিনে একটা জিপিউ রিভিউ করতে খুব অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে, যাই হোক আমরা আজকে রিভিউ করবো MSI Geforce RTX 3060Ti Gaming X Trio. এটা বাংলাদেশে লঞ্চ করা হয় ৫২০০০ টাকা প্রাইসে। RTX ৩০ সিরিজ লাইন আপের মধ্যে এখন পর্যন্ত এটাই এন্ট্রি লেভেল আর অদ্ভুত একটা ব্যাপার, যেখানে TI অথবা Super ভ্যারিয়ান্ট গুলো সব সময় পড়ে বের হয়, এখানে ৩০৬০ Ti লঞ্চ করেছে আগে, আর একর্ডিং টু দ্যা লিকস এন্ড আদার ইনফরমেশনস উই হ্যাভ ইন হ্যান্ড, ৩০৬০ বাজারে চলে আসবে, মার্চের আগেই।
তো চলুন ৩০৬০ বাজারে চলে আসার আগেই ৩০৬০ TI এর রিভিউ শুরু করা যাক।
আর্কিটেকচার ও চিপ এনালাইসিস
গত নভেম্বরে আমরা আসুস টাফ আরটিএক্স ৩০৮০ রিভিউ করেছিলাম। এর পরে ৩০৭০ আর ৩০৯০ এর কোন ভ্যারিয়ান্ট আমরা পাইনি, তবে আমাদের হাতে চলে এসেছে ৩০৬০টিয়াই। রেফারেন্স মডেল গুলো বাংলাদেশে আসে না, আমরা যেটা পেয়েছি MSI এর ৩০৬০ TI Gaming X Trio ভার্স্ন। প্রথমেই এই কার্ডের মেইন জিপিউ আর্কিটেকচার টার দিকে একটু লক্ষ্য করা যাক। যদিও গ্রাফিক্স কার্ড রিভিউতে এটা খুব জরুরি কোন ব্যপার না, তারপরও আমরা কথা বলি, কারন এতে গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট গুলো স্মবন্ধে একটু বেটার আইডিয়া পাওয়া যায়। আর আমার মনে হয় অনেকেই এটা বেশ এঞ্জয় করেন। যাই হোক ৩০৬০ টি আর ৩০৭০ দুইটা চিপই GA104 যা এম্পিয়ার আর্কিটেকচার নামে সুপরিচিত, কিন্তু ৩০৬০ টি আই এর ভ্যারিয়ান্ট টা হচ্ছে GA104-200-A1 আর GA104-300-A1. দুইটা চিপই একদম একই রকম সাইজের, অলমোস্ট আইডেন্টিকাল। কিন্ত ৩০৭০ যেখানে পুরো চিপটাই ইউজ করতে পারে সেখানে ৩০৬০ টি আই এ কিছু জিনিস ডিজ্যাবল করে এর
একে বাজারে এনেছে।
৩০৭০ এর সিমুল্টেনাস মাল্টিপ্রসেসর বা এসএম কাউন্ট যেখানে ৪৬, ৩০৬০ টি আই তা ৩৮, মানে সেম চিপ হলেও আটটা এসেম কম, GA 104 এর টোটাল ৪৮ এসেমের দুইটা ডিসেবল থাকে ৩০৭০ তে আর দশটা ডিসেবল থাকে ৩০৬০টি আই এ। যারা ভুলে গেছেন এসেম কি তাদের জন্য বলে রাখা, এসেম হচ্ছে একটা গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট এর ক্ষুদ্রতম ইন্ডেপেন্ডেন্ট একক। যাই হোক , ৩০৬০টী আই তে দেয় আছে ৪৮৬৪ টা শেডীং ইউনিট। ১৫২ টা টেন্সর কোর এবং ৩৮ টা এসেমের প্রতিটায় একটা করে ৩৮ টা সেকেন্ড জেন আরটী কোর। দেয়া আছে ৮ গিগাবাইট জিডীডীয়ার৬ ভির্যাম,
MSI Gaming X Trio 3060ti MSI এর মোস্ট প্রিমিয়াম ৩০৬০টি আই কার্ড, এটার বুস্ট ক্লক এনভিডিয়ার রেফারেন্স ৩০৬০ টী আই কার্ড থেকে ৮০ মেগাহার্জ বেশি অর্থাৎ ১৮৩০ মেগাহার্জ।
Gaming X Trio গ্রাফিক্স কার্ড গুলা খুবই মোটা সোটা এবং ভারি প্রায় তিন স্লট জায়গা নিয়ে নেয় এটা একাই, অবশ্য আফাটার মার্কেট ৩০০০ সিরিজের সবগুলো ফ্ল্যাগশীপ কার্ড মোটামুটি তিন স্লট জায়গা নিয়ে থাকে।
দেয়া আছে ৩টা ডিস্প্ল্যে পোর্ট ১.৪, একটা HDMI 2.1, একটা ইউএসবি সি পোর্ট VR headset এর জন্য। দেয়া আছে দুইটা ৮ পিন পাওয়ার ইনপুট।
কার্ড টিয়ার ডাউন করার অনুমতি আমাদের দেয়া হয়নি, তাই টেক পাওয়ার আপ থেকেই তথ্য নিতে হচ্ছে, জিপিউ সার্ফেসের সাথে সরাসরি টাচ করে থাকে এরকম ছয়টা হিট পাইপ আছে। হিট সিংকে।
হিটসিঙ্ক টা ভির্যাম এবং VRM সেকশন ঠান্ডা রাখে। কার্ডের সামনের দিকে আইও পোর্ট থেকে পিসিবি বোর্ড বরাবর একটা মেটাল ব্রাকেট দেয়া আছে জিপিউ স্যাগ ঠেকানোর জন্য, কারন এত ভারি
গ্রাফিক্স কার্ড স্যাগ হওয়া নাহলে খুব সহজ হয়ে যেত।
ব্যাকপ্লেটের একটা ছবি আমরা আমাদের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছিলাম যে, মেটাল না প্লাস্টিক। এমএসয়াই বলছে এটা গ্রাফাইন নামে কিছু একটা দিইয়ে তৈরি যেটা নরমাল প্লাস্টিক না, বরং কিছুটা
তাপমাত্রা পরিবহনে সাহায্য করে। তবে টেক পাওয়ার আপ এটাকে সরাসরি প্লাস্টিক বলে দিয়েছে।
যেহেটু আমরা নিজেরা গ্রাফিক্স কার্ডটা খোলার অনুমতি পাইনি তাই পিসিবি এনালিসিস করার সুযোগ হচ্ছে না।
দেখতে কেমন?
এবার এক নজরে কার্ডটির আউটলুকের উপরে একটু নজর বোলানো যাক, কার্ড টার ব্যাক প্লেট থেকে একটু নিচে এক বারের মত আইজিবি লাইট দেয়া আছে, এর নিচে MSI লোগোটাও আরজিবি।
এছাড়া ব্যাকপ্লেটের উপরে একটা ফুল সাইজ MSI ড্রাগন লোগো দেয়া আর ডান পাশে ব্যাক প্লেটে কাটাউট দেয়া, যাতে এয়ার ফ্লো করতে পারে। নিচের দিকে তিনখানা ফ্যান, ফ্যান শ্রাউড প্লাস্টিকের, তবে বেশ
ভালো কোয়ালিটির থিক প্লাস্টিক বলেই মনে হচ্ছে। ফ্যানগুলোর মাঝে MSI ড্রাগন লোগো দেয়া আছে। মাঝ খানের ফ্যানের উপরে নিচে দুইপাশে আরজিবি লাইট দেয়া আছে, যারা ভার্টিক্যাল মাউন্ট করতে চান,
তারা ছাড়া যদিও এটা আর কেউ দেখতে পাবেন না।
টেস্ট সিস্টেম
গ্রাফিক্স কার্ড বেঞ্চমার্ক করার জন্য যে টেস্ট সিস্টেমটা আমরা ব্যবহার করছি তাতে সিপিউ হচ্ছে ১০৭০০কেএফ এর একটা ইঞ্জিনিয়ারিং স্যাম্পল। ধন্যবাদ ইন্টেল বাংলাদেশ কে এই স্যাম্পল টার জন্য।
ইঞ্জিনিয়ারিং স্যাম্পল গুলোর অভারক্লকিং এবিলিটি খুব চমৎকার। আরোজি z490জি মাদারবোর্ডে আমরা ১.৩৫ ভোল্টে এটাকে এক চান্সে ৫ গিগাহার্জে স্ট্যাবল করে ফেলি। আরেকটূ সময় থাকলে আরো একটু পুশ করা যেত। কুলার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে MSI এর নতুন ৩৬০ mm AIO, টেমপারেচার ম্যাক্সিমাম ছিল ৯২ ডিগ্রি, এভারেজ ৮৯ এর মত। র্যাম ব্যবহার করছি, এডাটা D60 8 জিবি ৩২০০ মেগাহার্জের ৪ টার কিট।
প্রডাক্টিভিটি টেস্ট
প্রডাক্টিভিটি রিলেটেড অনেক ধরণের কাজ থাকলেও, আমাদের টেস্টে আমরা শুধু প্রিমিয়ার প্রো ভিডীও এক্সপোর্ট টাই রাখি পপুলারিটির বিচারে। যথারিতি আমাদের ৮ মিনিটের টেস্ট প্রজেক্ট খানা
প্রথমে রিয়েল্টাইম প্রিভিউ করার চেষ্টা। ভিডিও এডিট এর সময় ফুটেজগুলো প্রিভিউ এর সময় জিপিউ রিয়েল্টাইম রেন্ডার করে। অর্থাৎ যত শক্তিশালী জিপিউ তত স্মুথ রিয়েলটাইম রেন্ডার। RTX 3080 রিভিউ ভিডীও তে এর একই প্রজেক্ট প্লে করে দেখেছিলাম। ৩০৬০টী আই দিইয়ে ১/৪ সাইজের ৪কে ৬০ এফিপিএস ১৫০ এম্পবিপিএস ফুটেজ প্লে ব্যাকে প্রায় ৩০% ফ্রেম ড্রপ লক্ষ করা গেছে। ১০৮০পি ফুল এইচডি প্লে ব্যাকে হয়ত এতোটা সমস্যা হবে না, তবে যেহেতু ৪কে এখন স্ট্যান্ডার্ড তাই এই ধরনের প্রজেক্টে ফুটেজ প্রক্সি করে নেবার পরামর্শ থাকছে বরাবরের মতই।
এবার এক্সপোর্ট টেস্ট। এক্সপোর্ট করা হবে প্রিমিয়ার প্রো ১৪.২ ভার্সন থেকে, এই ভার্স্ন থেকে প্রিমিয়ার প্রো, গ্রাফিক্স কার্ডের NVENC এঙ্কোডার ব্যবহার করতে পারে। তাই একবার nvenc এঙ্কোডার অন করে আরেকবার অফ করে এক্সপোর্ট করে দেখব। উভয় ক্ষেত্রে সিপিউ ইউসেজ ৪.৯৭ গিগাহার্জে ৬০% প্লাস ইউসেজ ছিল কন্সট্যান্ট। আর জিপিউ এর ক্ষেত্রে এনভেঙ্ক হার্ডোয়্যার এঙ্কোডিং অন থাকা অবস্থায়, এঙ্কোডার ম্যাক্সিমাম ৫২% আর মিনিমাম ১৭% ইউসেজ দেখা যায়। সফটওয়্যার এঙ্কোডীং এ যেটা কখনোই ১৭% এর বেশি ইউজ হয়নি। আর ভিডিওর এফেক্ট প্রসেসিং এর কুডাকোরের ব্যবহার দুই ক্ষেত্রেই সমান। এবার রেজাল্টের পালা, সফোটওয়্যার এঙ্কডীং এ এক্সপোর্ট শেষ হয় ১৭ মিনিট ৮ সেকেন্ডে আর এনভেঙ্ক হার্ডোওয়্যার
এঙ্কো্কডিং দিইয়ে এক্সপোর্ট শেষ হয় ১২ মিনিট ২৯ সেকেন্ডে। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে চার মিনিট কম সময় লাগে।
এখানে উল্লেখ্য যে এনভিডিয়ার ভিডিও এঙ্কোড ডিকোড জিপিউ ম্যাট্রিক্সে ৩০৬০ টি আই এখনো এড করা হয়নি। ৩০৯০,৩০৮০ আর ৩০৭০ পর্যন্ত আছে, এই ধরনের জরুরি বিষয় আপডেট করা নেই, ব্যাপারটা খুবই স্লপি এবং nVidia’r মত কোম্পানি থেকে একদমই আনএক্সপ্টেবল। তবে ধারনা করা যেতে পারে, এম্পিয়ার
আর্কিটেকচারের অন্যান্য চিপের মত এটায় ও সেম ৭ম জেন এঙ্কোডারের একটি চিপ দেয়া আছে, যেটা একসাথে সর্বচ্চ ৩টা থ্রেড হ্যান্ডেল কর্তে পারে। এই এক এঙ্কোডারের কারনে এনভিডিয়া জিপিউ গুলো
এএমডি থেকে এগিয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে প্রাইস পার্ফরমেন্সে এএমডি জিপিউ গুলো বেশি এফপিএস ডেলিভার করলেও আরটি, টেনসর কোরের পাশাপাশী এই এঙ্কোডার ইউজারদের আলাদা এজ দেয়।
বিশেষ করে প্রিমিয়ার প্রো কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আর যারা স্ট্রীমার তাদের জন্য ক্লিয়ার উইনার হয়ে যায় এনভিডীয়া।
গেম বেঞ্চমার্ক
প্রডাক্টিভিটি শেষ এবং এবার রিয়েল লাইফ গেম টেস্ট করা যাক।
গেম টেস্ট শুরুতে নতুন এবং পুরনো মিলিয়ে কমন কিছু টাইটেল এরপরে ইস্পোর্টস। প্রথমে জিটিএ ফাইভ দিইয়ে শুরু করা যাক, যদিও গেমটা সিপিউ বাউন্ড তাই লোয়ার রেজুলুশনে জিপিউ বটলনেক করবে।
ভেরি হাই প্রিসেটে ১০৮০পি আর ১৪৪০পি তে যথাক্রমে গড় এফপিএস ১৬৪ আর ১৬২ অর্হতাত অল্মোস্ট সেম। জিপিউ বটলনেক করার কারনে এর বেশি পার্ফরমেন্স স্কুইজ করা যায়নি।
৪কে তে এভারেজ এফপিএস ১০৭।
এরপরের গেম কনট্রোল, এটা একটা আরটিএক্স গেম, ডিএলএসেস বন্ধ করে, আরটিএক্স হাইতে রেখে আমরা ১০৮০পি বেঞ্ছমার্ক স্কোর পেয়েছি ১১৯ এফপিএস এভারজ, ১৪৪০পি ৫৮ আর ৪কে ৩৮। ডিএলএসেস
অন করে আরো বেশী এফপিএস পাওয়া সম্ভব।
তৃতীয় গেম হচ্ছে , কুক্ষ্যাত সাইবার পাঙ্ক ২০৭৭, যতই হেটার থাকুক না কেন এটা বেঞ্ছমার্ক না করলে জিপিউ টেস্টিং পরিপুর্ন বলা যাবে না। হাই প্রিসেটে আরটিএক্স আলট্রা এবং DISS অটোতে রেখে করা বেঞ্ছমার্কে,
১০৮০পিতে এভারেজ পেয়েছি ৬১ এফপইএস, ১৪৪০পিতে ৫০ আর ৪কে ৩৩ এফপিএস। সেটিংস একটু টুইক করে পার্ফরমেন্স বাড়ানো সম্ভব কিন্ত সামাঞ্জস্য বজায় রাখার জন্য আমরা ডিফল্ট প্রিসেট ট্রাই করেছিলাম।
চতুর্থ গেম হচ্ছে, মেট্র এক্সুডাস, আলট্রা প্রিসেটে, আরটিএক্স আর ডিএলেসেস দুটোই বন্ধ রেখে ইঙ্গেম বেঞ্ছমাররক টুলে স্কোর পেয়েছি ১০৮০পিতে ৮৪, ১৪৪০পিতে ৭৮ আর ৪কে ৫৯ এফপিএস।
পঞ্চম গেমটা আমরা বেঞ্ছমার্ক লিস্টে নতুন এড করেছি, হরাইজন জিরো ডন আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর গেমগুলোর একটি। ১০৮০পিতে এটার এভারেজ ছিল ১০৬ এফপিএস, ১৪৪০পিতে ৮০ আর ৪কে ৫৫ এফপিএস।
6th গেম হচ্ছে সবার পরিচিত শ্যাড অফ দ্যা টুম্ব রাইডার, ১০৮০পি এভারেজ ১৪৩, ১৪৪০পিতে ১০৫ আর ৪কে ৫৬ এফপিএস। সবগুলো গেম, ডিফল্ট সেটিংসে বেঞ্ছমার্ক করা হয়েছে।
এরপর ইস্পোর্টস টাইটেল গুলো, প্রথমে পাব্জি ,আল্ট্রা সেটীংসে ১০৮০পিতে এভারেজ ১৯২ এফপিএস, ১৪৪০পিতে ১৭৪ আর ৪কে ১৬০। অর্থাৎ আরামসে ৪কে পর্যন্ত ১৪৪ হার্জ মনিটররে কম্পিটিটিভ খেলতে পারবেন।
পরের গেমটা হচ্ছে ফ্রি ফায়ার, দুখিত ফর্টনাইট। অত্যন্ত নুব লেবেলের আমি দুই তিনবার খেলেছি, একবার আমাকে একজন পিটিয়ে মেরে ফেলে, এনিওয়ে এপিক সেটীংসে ১০৮০পিতে গড় পেয়েছি ১৭৭, ১৪৪০পিতে ১৩২ আর ৫কে সেটিংসে ট্রাই করে দেখেছিলাম, ৫১ এফপিএস এভারেজ।
শেষ গেম, ইদানিং বেশ জনপ্রিয় ভ্যালোর্যান্ট। এই গেমে বেঞ্চমার্ক স্কোর আমাদের গ্রাফের রেঞ্জে ভেঙ্গে মাঠের বাইরে চলে যায়, হাই প্রিসেটে ১০৮০পি, ১৪৪০পি আর ৪কে যথাক্রমে স্কোর পাওয়া যায়
৩৯২, ৩৭২ আর ৩৬৭। স্ট্যাটস দেখে যা বোঝার বুঝে গেছেন আশা করি।
ওভার্ক্লকিং পটেনশিয়াল
MSI geforce rtx 3060ti gaming x trio, গ্রাফিক্স কার্ডটা এমএসাই এর টপ টিয়ার জিপিউ, দামও এর কিছুটা বেশি। এর কারন হচ্ছে, টপ লেভেল জিপিউ গুলায় সুপেরিয়র হিটসিংক কুলিং এবং অভারক্লকিকং
পটেনশিয়াল থাকে। nvidia রেফারেন্স মডেলের বুস্ট ক্লক যেখানে ১৬৬৫ মেগাহার্জ সেখানে এটার বুস্ট ক্লিক ১৮৩০ মেগাহার্জ। এখানেই শেষ নয়, বেশ অনেকখন ট্রায়াল এন্ড এররের পরে ১০৪ পার্সেন্ট ভোল্টেজে
এমেসাই আফটার বার্নার দিইয়ে ১৩০+ কোর ক্লকে স্ট্যাবল অসি করতে পারি। ফলাফল স্বরুপ বুস্ট ক্লক সর্বোচ্চ ২১১৫ মেগাহার্জ পর্যন্ত স্ট্যাবল হয়, যেটা একটা চমতকার ল্যান্ডমার্ক লহুব অল্প সংখ্যক ৩০৬০ টি আই
কার্ড কেই এই পর্যন্ত পুশ করা সম্ভব। +১৫৫ এ যদিও বুস্ট ক্লক ২১৬৫ মেগাহার্জ হিট করেছিল একবার, কিন্ত্ অতখনাত ক্রাশ করে অসি ফেইল করে। জিডিডিয়ার৬ মেমেরি ওসি করেছিলাম আমরা প্রথমে ৭০০০ মেগাহার্জ ডিফল্ট ক্লকে ৮০০০ পর্যন্ত, এরপরে ৮১০০ তেও স্ট্যাবল ছিল কিন্ত্ এরপরে আর পুশ করা সম্ভব হয়নি। নাম্বারের দিক দিইয়ে যদিও বেশ চমৎকার তবে রিয়েল লাইফ পার্ফরমেন্সে এই ওসি করার বেনিফিট খুব আকাশ পাতাল হয়েছে এমন নয়। স্ট্যাবল ওসিতে শ্যাডো অফ দ্যা টুমব রাইডার আর সাইবার পাঙ্ক টুয়েন্টি সেভেন্টি সেভেন আমরা পুনরায় বেঞ্ছমার্ক করেছি। চলুন দেখে নেয়া যাক, কতটুকু পার্ফরমেন্স বুস্ট আমরা পেয়েছি।
স্যাডো অফ দ্যা টুম্ব রাইডারে, ১০৮০ পিতে ১৪৫, যা নন অসি থেকে ২ এফপিএস বেশি, ১৪৪০পিতে ১০৮ অর্থাৎ তিন এফপিএস বেশি, আবার ৪কে তেও ৩ এফপিএস বেশি, এভারেজ ৫৯ এফপিএস পেয়েছি।
সাইবার পাঙ্কে পার্ফরমেন্স ইম্প্রুভমেন্ট যদিও বেশ চোখে পড়ার মত, এতোটা ইম্প্রুভমেন্ট দেখব আমি নিজেও ভাবি না, যাই হোক নাম্বার ডোন্ট লাই। ১০৮০পিতে ৭৭ এফপিএস, নন অসি থেকে যা
১৬ এফপিএস বেশি, ১৪৪০পিতে ৬৬ এফপিএস যা নন অসি থেকে আবারও ১৬ এফপিএস বেশি, ৪কে তে ৩৬ এফপিএস, অর্থাৎ ৩ এফপিএস বেশি। যেটা চোখে পড়ল লোয়ার রেজুলুশনে অসিতে বেটার পার্ফরমেন্স
আপলিফট পাওয়া গিয়েছে।
এখন এত বেশি পার্ফরমেন্স রেইজ আমি কোন ভাবে আশা করিনি। ৪কে যতটুকু পার্ফরমেন্স বেড়েছে বাকি গুলাতেও একই রকম হবে ভেবেছিলাম। যাই হোক এ বিষয়ে অন্যান্য এন্থুসুয়াস্ট দের সাথে পরবর্তিতে আলচনা করার ইচ্ছা রয়েছে। এখন এই অসি ক্যাপাবিলিটি বাড়তি পয়সা খরচের ওয়ার্দি কিনা সেটা ক্রেতা টু ক্রেতা ভ্যারি করে। আপনার পকেটের অবস্থা, আর প্যাশন এর উপরে নির্ভর করে ডিশিশন নিয়ে নিতে পারবেন আশা করছি।
টেম্পারেচার আর পাওয়ার ড্র
এই পার্টিকুলার গ্রাফিক্স কার্ডের সর্বশেষ যে দুট ব্যাপ্রর নিয়ে কথা বলতে চাই তা হচ্ছে, এর পাওয়ার ড্র আর টেম্পারেচার নিয়ে। ফ্যাক্ট্রি ওসিতে এটা সর্বোচ্চ ২৩০ ওয়াটেরর মত টানতে দেখেছি, তবে ভোল্টেজ আনলক করে অসি করার সময় এটা সর্বোচ্চ ২৫০.৪ ওয়াট হিট করেছে। কখনোই এই নাম্বার টা ক্রস করেনি, তারমানে এটা এখানে ক্যাপ করা। যদিও অধিকাংশ সময় ২২০ থেকে ২৩০ ওয়াটের মতই টানে।
এক ঘণ্টা স্ট্রেস করে টেম্পারেচার পেয়েছি, এভারেজ ৬৮ আর ম্যাক্সটেম্প ৬৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নরমাল গেমিংয়ের সময় যা ৬২ এর আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছিল। এক ঘন্টা টানা স্ট্রেস টেস্ট বলতে গেলে আল্টিমেট টেম্প টেস্ট।আর তাতে ম্যাক্স ৬৯ ডিগ্রি খুবই সন্তোশজনক পার্ফরমেন্স।
রায়
এবার ফাইনাল ভারডিক্ট। বাজারে যে কয়টা ৩০৬০ টিয়াই এর ভ্যারিয়ান্ট পাওয়া যায় বা যাবে, তার মধ্য এটার দাম উপরের দিকেই থাকবে। প্রিমিয়াম বিল্ড কোয়ালিটী আর পার্ফরমেন্স এর দিক থেকেও এটা সেরাদের অন্যতম। তবে বাজেট যাদের লিমিটেড তারা এন্ট্রি লেভেল ৩০৬০টি আই ভ্যারিয়ান্ট গুলো নিতে পারেন। আর যারা এন্থুসিয়াস্ট এবং বাজেট তেমন বিষয় নয়, তারা এই প্রিমিয়াম জিপিউটা বিবেচনা করতে পারেন এন্ড ইয়েস অফ কোর্স যদি বাজারে এভেলবল হয় তাহলে। ইউটিউবে এই গ্রাফিক্স কার্ডটির এক ফুল রিভিউ ভিডিও পাবলিশ করা হয়েছে আমাদের চ্যানেল পিসি বিল্ডার বাংলাদেশ এ। নিচে ভিডীও এড করে দেয়া হল। ধন্যবাদ।