অস্থির গরমে যখন অবস্থা চরমে, গ্রাফিক্স কার্ড মার্কেটেও বিরাজ করছিল অস্থিরতা, একের পর এক আন অপ্টিমাইজড গেম এর লঞ্চ ও এরপর এগুলোর বিপরীতে হায়ার টিয়ার জিপিইউ গুলোর স্ট্রাগল করছে, তা সত্বেও গরিবের বন্ধু এনভিডিয়া মাত্র আট গিগাবাইট ভির্যাম দিয়ে জিপিইউ লঞ্চ করেই চলেছে জঘন্য সব প্রাইসিং এর সাথে। অন্যদিকে জিপিইউ ইন্ডাস্ট্রির রাজা এএমডি এনভিডিয়াকে মেমোরি ক্যাপাসিটি খোচা দিলেও নিজেরাও ভির্যাম এর বেলায় কার্পন্য করা থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি।
এসবেরই মাঝে আমাদের স্টুডিও তে অনেকদিন যাবতই অবস্থান করছিল ১৬ জিবি ভির্যাম যুক্ত ইন্টেল গানার, নাকি গুনির, নাকি গানির??? এর আর্ক এ ৭৭০ গ্রাফিক্স কার্ডটি, আমাদের সুযোগ হয়েছে এই গ্রাফিক্স কার্ডটির ভেতর বাহিরের সব কিছু নেড়ে চেড়ে দেখার, আজ কথা হবে এই ব্রান্ডটির জিপিইউ এর স্পেকস,ডিজাইন,লুকস এবং প্রাইস অনুসারে গেমিং ও প্রোডাক্টিভিটি পারফর্মেন্স নিয়ে, থার্মাল পারফর্মেন্স এর পাশাপাশি ড্রাইভার ইস্যু নিয়েও হবে ময়নাতদন্ত এবং অবশ্যই আলোচনা হবে কম্পিটিশন এর তুলনায় বর্তমানে স্পেকস ও পারফর্মেন্স এর হিসেবে কতটুক ভ্যালু ফর মানি ইন্টেলের ফার্স্ট জেন এর টপ টিয়ার এর ডিস্ক্রিট জিপিইউটি…।
About the brand
জিপিইউ টির ফুল মডেল নাম হচ্ছে Gunnir ইন্টেল আর্ক এ৭৭০ ফোটন ১৬ জিবি ওসি। ব্রান্ডটির সম্পর্কে যদি বলি, গানার বা গানির/গুনির একটি চাইনিজ ব্রান্ড, এটি একটি চায়না বেজড ইন্টেল এক্সক্লুসিভ জিপিইউ ম্যানুফ্যাকচারার । ব্রান্ডটি খুব যে পুরাতন বা ম্যাচিউর তা বলা যায় না, ইন্টেল এর ডিস্ক্রিট জিপিইউ ইন্ডাস্ট্রিতে যাত্রা আর গানার এর জিপিইউ ম্যানুফ্যাকচারিং মুলত একই সাথে হাত ধরাধরি করেই শুরু হয়েছে। ফোটন ৭৭০ ছাড়াও ফোটন হোয়াইট, ফোটন ৭৫০,৩৮০, ইন্ডেক্স, ফ্লাক্স ৭৭০ ইত্যাদি মডেল এর ইন্টেল গ্রাফিক্স কার্ড রয়েছে গানার এর।
লুকস-tierdown
জিপিইউটি সাইজে বেশ ঢাউস প্রকৃতির,৩০০ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের এই জিপিইউটির থিকনেস ৫০ মিলিমিটার। কুলিং এর জন্য রয়েছে ৩টি ফ্যান, ফ্যানগুলোর মাঝে ব্রান্ডিং লক্ষ করা যায়। বেশ বড় সাইজের হিটসিংক ও চোখে পরে সাইড এঙ্গেল থেকে দেখলে। ব্যাকপ্লেটে নিচের দিকে একটি বড় অংশে ব্লু কালার এর স্ট্রাইপ ডিজাইন করা রয়েছে । এর ঠিক উপরেই ভার্টিকালি বেশ বড় বড় করে লেখা রয়েছে PHOTON। ওভারল কার্ডটির ডিজাইন সিম্পল এর মধ্যে গর্জিয়াস।
সাইজ বেশ বড় হওয়ায় ছোট কেস গুলোতে এটির জায়গা সংকুলান করতে সমস্যা হতে পারে, সো কেনার আগে আপনার কেসিং এর জিপিইউ ক্লিয়াররেন্স সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন,।,
জিপিইউটির কানেক্টিভিটি অপশন্স হিসেবে রয়েছে তিনখানা ডিস্প্লে পোর্টের সাথে একটি এইচডিএম আই ২.০ পোর্ট।
Specs and comparison with 3060,.750
Gunnir arc a770 এর স্পেকসএর দিকে দ্রুত এক নজর চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।।
DG2-512 এর ACM-G10 ভ্যারিয়েন্ট এর জিপিইউ ফিচার করছে এটি। আর্ক সিরিজের সবগুলো জিপিইউ ই টিএসএমসসির ৬ এনএম প্রসেস ব্যবহার করছে,৭৭০ ও ব্যতিক্রম নয়।জিপিইউটিতে আছে ২১.৭ বিলিয়ন ট্রাঞ্জিস্টর ,ডাই সাইজ ৪০৬ মিলিমিটার যার প্রতি মিলিমিটার স্কোয়ারে আছে মাত্র ৫৩.৪ মিলিয়ন ট্রাঞ্জিস্টর।
আর্ক এ৭৭০ এর বেইজ মডেল বা ফাউন্ডারস এর বেস ক্লক ২.১ গিগাহার্জ ও বুস্ট ক্লক ২.৪ গিগাহার্জ, গানার ফোটন এর বুস্ট ক্লক ও এক্সাক্ট ২.৪ গিগাহার্জ।জিপিইউটি ফিচার করছে ৪০৯৬ টি কুডাকোর ইকুইভ্যালেন্ট শেডিং ইউনিট। রয়্যেছে ৩২টি এক্সই কোর, রেট্রেসিং অপারেশন এর জন্য সমসংখ্যক আরটি কোর। এর পাশাপাশি আছে ৫১২টি করে ইন্টেল ম্যাট্রিক্স এক্সটেনশন বা এক্সএম এক্স কোর ও এক্সই ভেক্টর ইঞ্জিন। । টিএম ইউ এর সংখ্যা ২৫৬, এর ঠিক অর্ধেক পরিমাণে রয়েছে আর ও পি।।
মেমোরি কনফিগারেশন এর দিকে আসা যাক, আর্ক এ ৭৭০ ফিচার করছে ১৬ গিগাবাইট এর GDDR6 ভির্যাম যার বাস ২৫৬ বিট ও ব্যান্ডউইডথ ৫৬০ জিবি/সেকেন্ড।memory clock 2000 mhz (ইফেক্টিভ 17.5gb/s) ।
আর্ক এ ৭৭০ এর পিসিআই ই এক্সপ্রেস কনফিগারেশন ৪এক্স১৬, অর্থাৎ সম্পুর্ণ ১৬টি লেইন ই ইউটিলাইজ করবে এটি।ডুয়াল স্লটের এই জিপিইউটির টিডিপি ২২৫ ওয়াট, গানার এর মতে, টোটাল বোর্ড পাওয়ার ২৮৫ ওয়াটপর্যন্ত যেতে পারে। একে পাওয়ার আপ করতে প্রয়োজন হবে দুটি এইট পিনের কানেক্টর।
আর্ক এ ৭৫০, অর্থাৎ ইন্টেলের আরো এফোর্ডেবল বাজেট জিপিইউ এর সাথে আমরা স্পেকস এর একটি শর্ট কম্প্যারিজন দেখে নিতে পারি।।
একই সাথে কিছু রেলেভেন্ট সেক্টরে RTX 3060 এর সাথেও কম্পারিজন দেখা যেতে পারে।
দাম ও কম্পিটিশনঃ
সত্য কথা বলতে এই জিপিইউ এর দাম ও বাজেট রেঞ্জে কম্পিটিশন এর আলোচনায় আমাদের বারবার বদল আনতে হয়েছে মার্কেটে বারবার প্রাইস চেঞ্জের জন্য, তবে খুশির বিষয় হচ্ছে এই চেঞ্জ গুলো ছিল ইতিবাচক। শেষ দুই মাসে আমাদের দেশে অপশনস হিসেবে যেমন বেশ কিছু মডেল এর নতুন গ্রাফিক্স কার্ড ঢুকেছে বেশ ভালো প্রাইসে, একই সাথে এক্সিস্টিং জিপিইউ গুলোর দাম ও কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
প্রথমে গানার A770 Photon মোটামুটি ৪৭-৪৮ হাজার টাকায় বাজারে ঢুকেছিল , ১৬ জিবি ভির্যাম এর একটি ১৪৪০পি জিপিইউ হিসেবে স্পেকস,পারফর্মেন্স মিলে এই প্রাইসিং টা ছিল আনবিটেবল, সে সময়ে RTX 3060 Ti গুলোর দাম ছিল ৫১-৫৫ হাজার টাকার আশেপাশে, Raw পারফর্মেন্স এ কিছু ক্ষেত্রে ৩০৬০ টিআই এগিয়ে থাকলেও প্রোডাক্টিভিটি পারফর্মেন্স ও সবথেকে বড় ব্যাপার অর্ধেক ভির্যাম এর জন্য ঐ দামে ৩০৬০ টি আই বলতে গেলে টেরিবল ভ্যালু ই প্রোভাইড করছিল।
পরবর্তীতে অবশ্য এনভিডিয়ার জোক অফ দা ইয়ার ৪০৬০ টি আই ও ঢুকেছিল বাজারে ৫৭/৫৮ হাজার টাকায় ,স্পেকস ও পারফর্মেন্স। অনুসারে সেটাও ছিল খুবই হতাশাজনক ও এনভিডিয়ার জন্য লজ্জাজনক।
ইনিশিয়ালি এই সময়টাতে আরটিএক্স ৩০৬০ ১২ জিবির প্রাইস ছিল ৪৪-৪৮ হাজার টাকার মধ্যেই। অর্থাৎ সেই সময়েও সব মিলিয়ে এই ৪০-৫০ হাজার এমনকি ৫৫ হাজার পর্যন্ত বাজেট রেঞ্জে সলিড অফারিং বলতে গেলে আর্ক আ৭৭০ ই ছিল।
তবে গত দুই সপ্তাহে প্রাইস ড্রপের সুবাতাস অবশেষে বাংলাদেশের বাজারে লেগেছে,
RTX 3060 12G গুলো এখন ৩৭-৩৮ হাজারে নেমে এসেছে, Arc a750 গুলো ২৭-২৮/২৯ হাজারে পাওয়া যাচ্ছে, RTX 3060 Ti এর দাম ও ৫০ হাজারের নিচে নেমে এসেছে।
আর আমাদের টেস্ট সাবজেক্ট, অর্থাৎ আর্ক আ ৭৭০ এর দাম কমে এসে ৪১/৪২ হাজারে এসে দাড়িয়েছে। আর কয়েক সপ্তাহ আগেই বাজারে আসা রেড টিমের RX 7600 এর দাম এখন ৩৪ হাজার টাকা।
অর্থাৎ প্রেজেন্ট ডে এর প্রাইসিং এর কথা হিসেব করলে বলতে গেলে RTX 3060 12G এর সাথে নেক অন নেক অবস্থান করছে A770 16G, তবে চার গিগাবাইট এর বাড়তি ভির্যাম এর পাশাপাশি বেটার ভির্যাম স্পেসিফিকেশন, , বেটার প্রোডাক্টিভিটি পারফর্মেন্স এর জন্য ক্লিয়ার উইনার আর্ক।
আবার টিম রেড এর RX 7600 এর সাথে তুলনা যদি করি, দামের পার্থক্য ৮ হাজার টাকা হলেও প্রোডাক্টিভিটিতে এএমডির দুর্বলতা সবারই জানা, আর গেমিং পারফর্মেন্স ভালো হলেও সরাসরি ৮ গিগাবাইট মেমোরির পার্থক্য ও দুর্বল মেমোরি স্পেকস ,বিশেষ করে ১২৮ বিটের ন্যারো মেমোরি ইন্টারফেস এএমডিকে পিছিয়ে দিচ্ছে।
আরো একটি ব্যাপার ও আপনাদের মধ্যে অনেকেই জেনে থাকবেন যে, ২৯ জুন ৩০০ রিলিজ হতে যাওয়া RTX 4060 এর দাম বাংলাদেশের বাজারে ৪০ হাজারের আশেপাশেই হবে, এবং এই জিপিইউটিও ৮ জিবি ভির্যাম ফিচার করছে।
যারা ৪০৬০টি আই এর পারফর্মেন্স সম্পর্কে জানেন, যে এটি ৩০৬০ টি আই এর ওসি ভার্সন ছাড়া আর কিছু নয়, জিপিইউ হেইভি সিচুয়েশনে বরং সেম পারফর্মেন্স ই দেয় অনেক ক্ষেত্রে, ৪০৬০ এর পারফর্মেন্স কেমন হবে তারা আরো ভালো করে আন্দাজ করতে পারবেন।
Features
আর্ক সিরিজের ফিচার গুলোর মধ্যে আমরা ৭৭০ তে যেগুলোর কথা বলেছি, ডেডিকেটেড হার্ডওয়্যার এনকোডার কুইক সিংক, রে ট্রেসিং সাপোর্ট, এফপিএস বাড়ানোর জন্য ডেডিকেটেড আপ্সকেলিং মেথড XeSS উল্লেখযোগ্য। Xess বেশ অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ প্রশংসা কুরিয়েছে ও বড় বড় টাইটেলগুলোতে DLSS,FSR এর মত আরো একটি আপস্কেলিং মেথড হিসেবে ইউজড হচ্ছে।
Driver and optimization discussion:
আমাদের গ্রুপগুলোতে আর্ক জিপিইউ নিয়ে প্রশ্ন, কন্সার্ন্স, কনফিউশনের শেষ নেই, এটি নেওয়া ঠিক হবে কি না, ৩০৬০ বা এনভিডিয়ার অন্য কোনো জিপিইউ বাদ দিয়ে এটা নেওয়া কতটুক যৌক্তিক, ড্রাইভার এর অবস্থা কি, অপ্টিমাইজেশন এর কি অবস্থা, ইউজারদের এক্সপেরিয়েন্স কি এই ধরনের প্রশ্ন করে অনেকেই পোস্ট করে থাকেন।
সংখেপে বলতে গেলে DX9,dx11 বেজড পুরাতন গেম গুলোতে ইন্টেল এর এই আর্ক আর্কিটেকচার বেশ দুর্বল, যারা পুরাতন গেম খেলবেন বেশি বেশি বা পুরাতন গেম গুলো খেলার জন্য্ই নতুন করে জিপিইউ নিবেন, তাদের জন্য সমস্যা হতে পারে।
অন্যদিকে লাস্ট ৩/৪ বছরের বিভিন্ন ইস্পোর্টস, ট্রিপল এ গেম গুলোতে বেশ ভালো করছে ইন্টেল, কাউন্টারপার্ট এনভিডিয়া বা এএমডির সাথে পাল্লা দিয়ে পারফর্ম করছে, এগুলোর থেকে বে শ অনেক টাই বেশি এফপিঈস দিচ্ছে এরকম টাইটেলের সংখ্যা ও কম নয়…
এবং ড্রাইভার আপডেটের মাধ্যমে পারফর্মেন্স আরো বেটার হচ্ছে। কিছু রিলায়েবল চ্যানেল এর টেস্টিং এর রেজাল্ট স্ক্রিনে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, ইম্প্রুভমেন্ট এর পরিমাণ, গেম এর সংখ্যা ও স্পষ্ট।
https://drive.google.com/drive/folders/1yYbsUSQuovgJmFizRR7tvn5dIJ5BHh9t?usp=sharing
আর আরো একটি কথা না বললেই না, অনেকেই বাপারটা জেনে থাকবেন যে এএমডি, এনভিডিয়া ও ইন্টেল্, এই ৩ কোম্পানির মধ্য্যে শেষ ৬ মাসে সবথেকে বেশি ড্রাইভার রিলিজ করেছে ইন্টেল,
এখান থেকে কিছুটা হলেও বোঝা যায় যে ইন্টেলের ডেভেলপারস রা ড্রাইভারস ও অপ্টিমাইজেশন রিলেটেড ইস্যু গুলোতে কতটা বেশি সিরিয়াস, ইতিমধ্যেই লঞ্চ টাইমে দুর্বল পারফর্ম করা অনেক গুলো টাইটেলে বেশ বড় মাপের পারফর্মেন্স ইম্প্রুভমেন্ট এসেছে ড্রাইভার এর মাধ্য্যমে, আগামী দিন গুলোতে অপ্টিমাইজড গেমের সংখ্যা কেবল বাড়বেই এ কথা বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথে বলা যায়…
তবে এই ধারায় অপেক্ষাকৃত অজনপ্রিয়, একটু বেশি পুরাতন গেম গুলো পিছিয়েই থাকবে ও ইন্টেলের লিস্ট থেকে বাদ যাবে বা প্রায়োরিটিতে নিচের দিকে থাকবে এটাই যা একটু শংকার বিষয়।
একই কথা বিভিন্ন প্রোডাক্টিভিটি এপ্লিকেশন এর জন্য ও প্রযোজ্য, সময়ের সাথে সাথে আনঅপ্টিমাইজড সফটওয়্যার গুলো ক্রমেই অপ্টিমাইজড হবে ও বেটার আউটপুট দেবে।, একই সাথে সাপোর্ট করা সফটওয়্যার এর সংখ্যা ও বাড়বে।
প্রথম জেনারেশন এর প্রথম জিপিইউ সিরিজ হিসেবে ইন্টেল কিছুটা সময় মনে হয় ডিজার্ভ করে…
আমাদের ড্রাইভার এক্সপেরিয়েন্সঃ
সত্য বলতে প্রথম দিকে আমাদের ড্রাইভার নিয়ে বেশ ভালোই প্যারা খেতে হয়েছিল, দুইবার ড্রাইভার চেঞ্জ করেও আমরা গেম গুলো রান ই করতে পারিনি, তবে গত মাসের শেষের দিকে মোটামুটি স্টেবল ড্রাইভার রিলিজ হয়েছে, আমরা আমাদের টেস্টিং গুলো কোনো ধরনের প্রবলেম ছাড়াই সম্পন্ন করেছি। অর্থাৎ বলা যায় যে এখন ইন্টেল এর ড্রাইভার বেশ ভালোই স্টেবল। এবং পরবর্তী আপডেটগুলোতে অপ্টিমাইজেশন ও স্টেবিলাইজেশন আরো ভালো হবে আশা করা যায়।
Gaming perf
এবার আজকের ভিডিওর সবথেকে ইম্পর্টেন্ট পার্ট, পারফর্মেন্স টেস্টিং। ১০৮০পি ও ১৪৪০পি,দুটি রেজুলুশনে আমরা ১০ টি গেম টেস্ট করেছি।গানার এর পাশাপাশি ইন্টেল ফাউন্ডারস এডিশন ও টেস্ট করা হয়েছে। সবগুলো গেমই ম্যাক্সড আউট সেটিংসে টেস্ট করা হয়েছে, আরটিএক্স ও আপস্কেলিং মেথড অফ ছিল।
টেস্ট সিস্টেমের প্রসেসর হিসেবে ব্যবহ্বত হয়েছে ১৩৭০০, ৩২ গিগাবাইট ৫৩০৪ মেগাহার্জ ডিডিআর ৫ র্যাম, ৮৬০ ইভো ১ টিবি এসএসডি ও ৮৫০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই।
২কে
এফপিএস নাম্বার গুলো আপনারা স্ক্রিনেই দেখতে পাচ্ছেন,
১০৮০পি
সাইবারপাংক এ ১০৮০পি তে এভারেজে দুটি জিপিইউ ই ৮০ এফপিএস ডেলিভার করেছে, ১% লো ও ছিল ঠিক ঠিক ৬০, অর্থাৎ ডিমান্ডিং সিচুয়েশন এও ফ্রেমড্রপ ছিল না,
রেড ডেড রেডেম্পশনে দুইটি জিপিইউ ই এভারেজ ৬৫ এফপিএস মত দিতে পেরেছে, ফ্রেমরেট যথেষ্ট স্টেবল ছিল, দুটি জিপিইউ তেই ১% লো ও তাই ছিল প্রায় ৬০ ছুই ছুই,
আমরা এই টেস্টে মুলত ২কে রেজুলুশনকেই বেশি ফোকাস করেছি ও দেখতে চেয়েছি যে ২কে তে এই জিপিইউ টি কেমন করে, সেজন্য ১০৮০পি তে সেরকম গুরুত্ব দেওয়া হয়নি,
২কে বা ১৪৪০পি তে সাইবারপাংক এ এভারেজ এ ৬০-৭০ এর মত এফপিএস ডেলিভার করতে পারছে দুটি জিপিইউ ই , ১% লো ও ৫০ এর আশেপাশেই ছিল। অর্থাৎ মেজর ফ্রেমড্রপ,স্টাটার বা ল্যাগ পাওয়া যায়নি। তুলনামুলক কম ডিমান্ডিং জায়গাগুলোতে ৮০ ও ছুয়ে ফেলে এফপিএস।
ডায়িং লাইট টু এর স্কোর ও সাইবারপাংক এর মতই সিমিলার,। এভারেজ এ ৬০ এর আশেপাশে, ১% লো ৫০ ছুই ছুই। লাইট এরিয়া গুলোতে এফপিএস ৮০ মত ও উঠতে দেখা গিয়েছে।
ফরজা হোরাইজন ফাইভে আগের দুটি টাইটেলের তুলনায় আরো বেটার এফপিএস পাওয়া গিয়েছে, ফরজা তে এভারেজ এফপিএস ৮০ এর ঘরে ছিল, ১% লো স্কোর ও ছিল ৭০+। আর লেস ডিমান্ডিং জায়গা গুলোতে প্রায় ৯০ এফপিএস ও পেয়েছি।।
ফার ক্রাই ৬ এর স্কোর ও ফরজা হোরাইজন এর মতই সিমিলার, এভারেজে ৮৫, ১% লো ও প্রায় ৭০।
মার্ভেলস স্পাইডারম্যান রিমাস্টারে আমাদের দুটি জিপিইউ ই হান্ড্রেড প্লাস এফপিএস এর এক্সপেরিয়েন্স দিতে পেরেছে।। এভারেজে দুটি জিপিইউ ইই প্রায় ১১০ এফপিএস ডেলিভার করেছে, ১% লো ছিল ৭৫ এর আশেপাশে।ম্যাক্সিমাম এফপিএস পাওয়া গিয়েছে ১৫০।
জিটিএ ফাইভে পাওয়া গিয়েছে ১০০+ এফপিএস। উভয় জিপিইউ তেই। ১% লো ছিল ৬০ এর ঘরে।
রেড ডেড রেডেম্পশন এ জিপিইউ দুটি কিছুটা স্ট্রাগল করেছে, অত্যন্ত গ্রাফিকালি রিচ ও ডিমান্ডিং এই টাইটেলটিতে এভারেজে ৫৫ মত এফপিএস ই দিতে পারছিল জিপিইউ দুটি, তবে ওভারল এক্সপেরিয়েন্স খারাপ ছিল না কারণ ১% লো স্কোর ও ছিল ৫০ মত।
অর্থাৎ এই টাইটেলটিতে আপনাকে ৬০ এফপিএস মার্ক এচিভ করতে হলে Xess বা FSR এর মত আপস্কেলিং মেথড এর সাহায্য নিতে হবে।।
স্পেশাল কেসঃ
ওকে রেজুলুশনে কিছু কিছু টাইটেল যেমন এফ১ ২০২২ কিংবা ফার ক্রাই ৬ , স্পাইডারম্যান রিমাস্টার্ড এ ফাউন্ডার্স এডিশন এর এভারেজ ও ১% লো পারফর্মেন্স একটু বেশিই দৃষ্টিকটুভাবে কম ছিল, একদমই ডিফারেন্ট টিয়ারে চলে গিয়েছিল, ১৫-২০ বা প্রায় ৪০ এফপিএস এর এই মুল কারণ মুলত টেম্পারেচার ও থার্মাল থ্রটলিং।
এক্সপেরিয়েন্সঃ
এভারেজ ফ্রেমরেট থেকে সাধারণত কত এফপিএস পাওয়া যাবে তার আইডিয়া পাওয়া গেলেও গেমার এর একচুয়াল এক্সপেরিয়েন্স এর আইডিয়া পাওয়া যায় মুলত ১% লো ডাটা থেকে,। কারণ কোনো গেমেই সব জায়গায় সেম এফপিএস পাওয়া যায় না, সব ম্যাপের সব জায়গা সমান গ্রাফিকালি ডিমান্ডিং বা ইন্টেন্সিভ হয় না।। আমাদের টেস্ট করা প্রায় সবগুলো গেমেই ১% লো পাওয়া গিয়েছে ৬০-৭০ এফপিএস এর মধ্যে, অর্থাৎ মোস্ট ডিমান্ডিং বা গ্রাফিকালি ইন্টেন্সিভ সিনারিও গুলোতেও আর্ক এ৭৭০ তে সেরকম স্টাটার, ল্যাগ বা সাডেন ফ্রেম ড্রপ ছিল না ,বরং গেমপ্লে ম্যাপের সব জায়গাতেই স্মুদ ছিল। ১% লো এর অস্বাভাবিক ড্রপ এর কারণ তো আগেই আলোচনা করা হয়েছে।
সামারিঃ
দেখতেই পাচ্ছেন আর্ক এ৭৭০ তে আমাদের টেস্ট সিস্টেমে প্রায় সবগুলো লেটেস্ট AAA টাইটেলেই ম্যাক্সড সেটিংসে ১৪৪০পিতে ৬৫ থেকে ৮০-১২০/১৩০ এফপিএস পাওয়া যাচ্ছে।
রাইজেন ফাইভ বা ইন্টেল এর কোর আই ফাইভ এর 13/12th gen প্রসেসর এর বিল্ড গুলোতে আর্ক A770 পেয়ার করলে প্রায় সব টাইটেলেই 1440pতে খুবই ইজিলি ৬০-১০০ এফপিএস ভালো মতই পাওয়া যাবে, ১০৮০পি তেও বেশিরভাগ গেমেই ১০০এফপিএস বা এর আশেপাশে পাওয়া সম্ভব।
আর ইস্পোর্টস গেমগুলোও ভালোভাবেই ১০৮০পিতে তো বটেই, ১৪৪০পি তেও ২০০+এফপিএস এ খেলা সম্ভব।
টেম্পারেচারঃ
1440p ultra settings এ গেমিং করার সময় এভারেজ টেম্পারেচার ছিল ফাউন্ডারস এডিশনে ৭৮ ডিগ্রী ও গানার এ ৭৫ ডিগ্রী, তবে ম্যাক্সিমাম টেম্পারেচার ফাউন্ডারস এডিশনে অনেকটাই বেশি ছিল, ৮৩ ডিগ্রী পর্যন্ত টেম্পারেচার উঠেছিল ফাউন্ডারসে, স্বাভাবিকভাবেই এ আই বি কার্ড হিসেবে গানার এর টেম্পারেচার ম্যানেজমেন্ট ও কুলিং বেটার হওয়ার কথা, অতিরিক্ত একটি ফ্যান ভালোই কাজ করেছে বুঝা যাচ্ছে। ফাউন্ডারস এর ৮৩ ডিগ্রীর বিপরীতে গানার এর ম্যাক্স টেম্প ছিল ৭৭ ডিগ্রী, যা বেশ ইম্প্রেসিভ।
পারফর্মেন্স সেকশনে কিছু টাইটেলে আমরা দুটি জিপিইউ তে এফপিএস এর যে অস্বাভাবিক গ্যাপ দেখতে পেয়েছি এভারেজ ও ১% লো তে। মুলত ফাউন্ডারস এডিশনে থার্মাল থ্রটলিং এর জন্যই এরকম হয়েছে, টেম্পারেচার ৮০ ক্রস করার পর এফপিএস বেশ অনেকখানি কমে টেম্পারেচার ৭৫ এর দিকে ড্রপ হতে দেখা গিয়েছে।। এ কারণেই বেশ কিছু টাইটেলে আমরা এভারেজ এফপিএস ও বিশেষ করে ১% লো এর বড় ব্যবধান দেখতে পেয়েছি দুটি জিপিইউ তে।
Productivity perf
এবার কথা বলা যাক প্রডাক্টিভিটি পারফরম্যান্স নিয়ে,=
Adobe Premier Pro তে relatime 4K playback এর সময় প্রচুর Frame Drop চোখে পড়ে যেটার জন্য সম্পূর্ণ কার্ড টাকেও দোষ দেওয়া যায় না।
এখানে আসল অপরাধী হলো Premier Pro নিজেই।
কারণ অপর দিকে Davinci তে যখন আমরা 6K 60Fps এর ভিডিও প্লেব্যাক করি তখন একটি ফ্রেম ড্রপও চোখে পড়েনায়। পুরায় মাখনের মতো স্মুথ।
এর থেকে বলা যায় যে Premier Pro বছরে ৫/১০ টা আপডেট দিয়েও এখনো পর্যন্ত পিসি হার্ডওয়ার গুলো কে proper ভাবে Utilize করতে পারছে না।
Export time এর কথা বলতে গেলে।
GH5s এর 4k 60Fps 5min এর একটি sequence Premier Pro তে export হতে সময় লাগে 8min এর মতো।
অপর দিকে Davinci তে 6K 60FPS এর ১মিমিটের ফুটেছ Black Magic Gen5 Colour Grade সহ Export হতে সময় লাগে মাত্র ৬ সেকেন্ড।
Power consumption
দুটি জিপিইউ এরই টিডিপি ২২৫ ওয়াট, তবে আমাদের টেস্টিং এর সময় এভারেজ পাওয়ার কনসাম্পশন রেটেড টিডিপি থেকে বেশ অনেকটাই কম ছিল, এভারেজে ফাউন্ডারস এডিশন কার্ডটা ১৯০ ওয়াট ও গানার ১৯৭ ওয়াট কনজিউম করেছে তবে গানার এর পিক পাওয়ার কন্সাম্পশন ছিল ২০৮ ওয়াট।
কম্পিটিশন এর অন্যান্য কার্ড যেমন ৩০ সিরিজের RTX 3060, RTX 3060 Ti, ৬০০০ সিরিজের RX 6600 XT এর তুলনায় এই পাওয়ার কন্সাম্পশন অনেকটাই বেশি , এই জিপিইউ গুলোর থেকে আর্ক এর পাওয়ার কনসাম্পশন ৩০ থেকে ৬০/৭০ ওয়াট পর্যন্ত বেশি।
এমনকি পারফর্মেন্স এর অবস্থা যতই তথৈবচ হোক, RTX 40 সিরিজ বা RX 7000 সিরিজের পাওয়ার কনসাম্পশন আর্ক এর তুলনায় বেশ ভালো, স্পেশালি RTX 4060 এর TDP মাত্র ১১৫ ওয়াট ও 7600 এর পাওয়ার কন্সাম্পশন ও ১৫০ ওয়াট এর আশেপাশে।
আর্ক জিপিইউ গুলোর জন্য এই হাই পাওয়ার ইউসেজ এর ব্যাপারটি বেশ বড় একটি ড্রব্যাক কারণ ইলেক্ট্রিসিটি বিল এর সাথে সরাসরি সম্পর্কিত।
বটলনেকঃ
আপনারা যারা ইন্টেল আর্ক ৭৭০ দিয়ে বিল্ড করতে চাচ্ছেন, তাদের একটি কথা মাথায় রাখতে অনুরোধ করবো, গেমিং এর জন্য, স্পেশালি যদি ১০৮০পি তে গেম খেলার জন্য আপনারা এই জিপিইউটি নিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে প্রসেসর হিসেবে ম্যাক্সিমাম কোর আই ফাইভ ১৩৫০০ বা ১৩৪০০ কিংবা ১২৬০০কে, ১২৪০০ কিংবা এএমডির ৭৬০০এক্স, ৭৬০০ , ৫৮০০০এক্স এর মত প্রসেসর নিবেন, কোর আই সেভেন ১৩৭০০, ১৩৬০০কে বা এই টাইপের হাই এন্ড সিপিইউ গুলোর ক্ষেত্রে আর্ক ৭৭০ ১০৮০পি তে বটোলনেক ক্রিয়েট করে, অর্থাৎ মিড রেঞ্জ প্রসেসর গুলোই আর্ক এর জন্য আইডিয়াল।।
আমাদের টেস্টিং এ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জিপিইউ ইউসেজ ১০০% ছিল কিন্ত সিপিইউ এর ইউটিলাইজেশন ১৫-১৮% এর বেশি ছিল না। অর্থাৎ ১৩৭০০ এর মত প্রসেসর এর জন্য আর্ক এ ৭৭০ একটি বটলনেক।
Conclusion: pros and cons, vs 3060,which one to pick
price অনুসারে gunnir arc a770 16g এর স্পেকস ও যথেষ্ট সলিড, পারফর্মেন্স ও ।। ১০৮০ পি তে তো বটেই, ২কে রেজুলুশনে কোনো সমস্যা ছাড়াই বেশ কয়েক বছর নিশ্চিন্তে গেমিং করা যাবে এই কার্ডটি দিয়ে,
বিশেষ করে ভির্যাম হাংরি ,আন অপ্টিমাইজড গেমের এই যুগে ১৬ জিবি ভির্যাম এর সুবিধা আজ না হলেও দুই এক বছর পর বেশ ভালোমতই উপভোগ করতে পারবেন যারা এটা কিনবেন, স্পেশালি এই অতিরিক্ত ভির্যাম এর সুবাদে হেইভি ট্রিপল এ গেম গুলো হায়ার রেজুলুশনে চালানো অনেক টাই ইজি হয়ে যাবে, গেমিং ছাড়াও প্রোডাক্টিভিটিতেও এর পারফর্মেন্স যথেষ্ট ভালো।
আজকালকার গেমগুলো যেভাবে আনঅপ্টিমাইজড ও ভির্যাম হাংরি হচ্ছে, তাতে করে এক্সট্রা ভির্যাম ওয়ালা জিপিইউ গুলো ফিউচারে গেমিং তো বটেই, হেইভি প্রোডাক্টিভিটি ওয়ার্ক এর জন্য ও এক প্রকার আশির্বাদ হিসেবেই বিবেচিত হবে এ কথা বলাই যায়।
ওভারল বর্তমানে আমাদেরদেশের মার্কেটে এই জিপিইউ টি ৩০-৪৫ হাজার টাকার বাজেট রেঞ্জে ওয়ান অফ আ কাইন্ড জিপিইউ হিসেবেই অবস্থান করছে।
ড্রাইভার অপ্টিমাইজেশন ও স্টেবিলিটি ও দিন কে দিন বেটার হচ্ছে আগের থেকে, তবে একটা কথা বলে রাখা ভালো, যারা পিসি বিল্ড করবেন বেশ অনেক পুরাতন গেম যেমন ২০১৫-১৬/১৭ সালের গেম গুলো খেলার জন্য বা DX10,9 এর মত পুরাতন বা ওলডার এপিআই এর গেমস গুলো খেলার জন্য তাদের অবশ্য ভালোই প্যারা খাওয়া লাগতে পারে কারণ ইন্টেল ড্রাইভার আপডেটে গেমস গুলোর অপ্টিমাইজেশন বেটার করলেও বেশি পুরাতন গেম গুলো এই অপ্টিমাইজেশন লিস্টে থাকবে কি না সেটা একটা বড় প্রশ্ন, কারণ গেমগুলোর কারেন্ট প্লেয়ার, জনপ্রিয়তা,চাহিদা নতুন গেমগুলোর তুলনায় একেবারেই নগণ্য। সুতরাং ক্লাসিক ওল্ডার গেম এর ফ্যানরা একটু সাবধান।কেননা কেনার পর গেম ইন্সটল করে অনেক আশা নিয়ে খেলতে যাওয়ার পর গেম যদি চালু ই না হয়, তাহলে মাথা চাপড়ানো ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
তবে, পুরাতন গেম খেলার প্রতি খুব বেশি নেশা না থাকলে, অন্য কোনো ব্রান্ডের অন্ধ ফ্যানবয় না হলে এই বাজেটে আর্ক এ৭৭০ না নেওয়ার কোনো কারণ নেই।।
দুটি জিপিইউতেই রয়েছে বাড়তি এফপিএস পাওয়ার জন্য আরজিবির সুব্যবস্থা।।
ফাউন্ডার্স এডিসনের আরজিবি গুলো কন্ট্রোলের জন্য আর্ক আরজিবি কন্ট্রোলার নামের সফ্টওয়্যার রয়েছে।।এটার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ইফেক্ট রয়েছে ।বেসিক ,এডভান্স ও প্রফেশনাল,3 ধরনের কাস্টমাইজেশন মোড আছে আর breeth ,chase, rainbow সহ 8টি লাইটিং মোড বা প্রিসেট আছে।।
অন্যদিকে গানির এর আরজিবি কন্ট্রোলের জন্যকোনো সফ্টওয়্যার আমরা পাইনি।।