আমাদের ইউটিঊব চ্যানেলে প্রাইসের ভিত্তিতে টপ ৫ টি মাউসের র্যাঙ্কিং করা হয়েছিল। তার মধ্যে এক নম্বরে রাখা মাউসটি ছিল Razer Mamba Tournament Edition
Rezer এর মাউসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কুল লুকিং এবং এলিগেন্ট মাউস এটি। যেহেতু নামের মধ্যে টুর্নামেন্ট শব্দটি আছে তাই বুঝতেই পারছেন যারা ইস্পোর্টসকে নিজের মধ্যে লালন-পালন করেন তাদের উদ্দেশ্যে বানানো এই মাউসটি।
কিছু গেমিং আর ইউজার পার্ফামেন্স এবং সফটওয়্যার পার্ফামেন্সের উপরে রিভিউ করা হবে মাউসটিকে।
শুরুতেই বলে নেই মাউসের কিছু স্পেসিফিকেশন্স,
16,000 DPI 5G laser sensor
Up to 210 inches per second / 50 G acceleration
1,000 Hz Ultrapolling / 1 ms response time
On-The-Fly Sensitivity Adjustment
Ergonomic right-handed design with textured rubber side grips
Chroma lighting with true 16.8 million customizable color options
Inter-device color synchronization
Nine independently programmable buttons with tilt-click scroll wheel
Razer Synapse enabled
2.1 m / 7 ft braided fiber USB cable
Approximate size: 128 mm / 5 in (Length) x 70 mm / 2.76 in (Width) x 42.5 mm / 1.67 in (Height)
Approximate weight: 133 g / 0.29 lbs (with cable)
স্পেকসকে আরো ডিটেইলসে তুলে ধরার চেষ্টা করবো কিন্তু তার আগে হয়ে যাক এই প্রিমিয়াম মাউসটির আনবক্সিং।
ঝকঝকে রেজরের গ্রিনিস রঙের থিমের প্যাকেটটি আনবক্স করলেই পাবেন রেজরের দেয়া কিছু ইন্সট্রাকশন্স আর স্টিকার এবং মাউসটি।
বডি ডিসাইনের ব্যাপারে বলতে গেলে খালি চোখে দেখার থেকে মাউসটিকে কানেক্টেড অবস্থায় দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগে। আর যদি আপনি রেজর ফ্যানবয় হয়ে থাকেন আর আপনার কাছে রেজরের অন্যান্য আরজিবি লাইটেড প্রোডাক্টস থেকে থাকে তাহলে তো কথাই নেই। মাউসটি অন্যান্য প্রোডাক্টসের সাথে মিশে যাবে আরজিবির খেলায়।
আচ্ছা সাহিত্য চর্চা না করে এইবার আসল কথায় আসি। রেজরের এই মাম্বা টর্নামেন্ট এডিশনটি রেজরের মাম্বা মাউসটির একটু আপডেটেড মাউস। তবে মাম্বার সাথে মাম্বা টুর্নামেন্ট এডিশনের কিছু ছোটখাটো পার্থক্য আছে।
বডি ডিসাইনটি রেজরের ডেথএড্ডার(Deathadder) এর সাথে মিল পাওয়া যাবে।
মাউসটির ডিসাইন ডানহাতিদের জন্যই করা হয়েছে। প্রাইমারি লেফট আর রাইট ক্লিক সহ মাউসটিতে টোটাল ৯ টি প্রোগ্রামেবল বাটন আছে।
কিন্তু আউটলুকে তো টোটাল ৭ টি বাটন দেখা যাচ্ছে!! বাকি ২ টা কই?
আসলে স্ক্রল হুইলটি একাই ৩ টি বাটন হিসেবে কাজ করতে পারে। স্ক্রল হুইলটির দুপাশে দুটি বাটন এবং একটি মিডল বাটন দেয়া আছে। স্ক্রল হুইলের নিচের দিকে দুটি বাটন আছে যেটা সাধারনত ডিপিয়াই সুইচিং-এর কাজ করবে।
আর ডানদিকে দুটি বাটন আছে যা ব্যাক এবং ফরওয়্যার্ড হিসেবে কাজ করে। গেমারদের এই দুটি বাটনের ইউজ এখন আর নতুন করে বুঝানো লাগবে না।
মাউসটি তার বিশিষ্ট সো রেজর মাম্বার মত এটি ওয়্যারলেস না। এছাড়া মাম্বার সাথে মাম্বা টুর্নামেন্ট এডিশনের তফাত আছে আরজিবি লাইটিং এও।
রেজরের লোগোটি,স্ক্রল হুইল এবং মাউসের দুইপাসে দুইটি স্ট্রাইপ্স ফুল আরজিবি ১৬.৮ মিলিয়ন কালার সাপোর্টেড। সো যে কোন রঙ্গে রাঙ্গাতে পারবেন এই মাউসটিকে।
এছাড়া দুই সাইডে হানিকম্ব রাবার ফিনিশ যা গ্রিপের জন্য যথেস্ট। এছাড়া ১৩৩ গ্রামের মাউসটি অনেকের কাছে একটু ভারী মনে হলেও ব্যবহার করতে করতে একসময় এডযাস্ট হয়ে যাবে।
মাউসটি ক্ল ,পাম এবং টিপ গ্রিপ তিন ধরনের গ্রিপাররা ব্যাবহার করতে পারবে।। মাউসটির কেবলটি ব্রেডেড।
এইবার আসি মাউসের ডিপিয়াই এবং অন্যান্য স্পেসিফিকেশনের দিকে । মাউসটি আপটু ১৬ হাজার ডিপিয়াই সাপোর্টেড। এত ডিপিয়াই দেয়াটা আসলেই পাগলামি কারন এত ডিপিয়াই সাধারনত ব্যবহার হয় না।
এছাড়া মাউসটি ১ মিলিসেকেন্ড রেসপন্স টাইমের। তাই কখনো মাউসটির রেসপন্স ডিলে নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না। ক্লিকের সাথে সাথেই গেমের গুরুত্বপুর্ণ ডিসিশন নিতে পারবেন।
মাউসটি রেজর সিন্যাপ্স সাপোর্টেড যে সফটওয়্যারটি দিয়ে আপনি মাউসের ডিপিয়াই, বাটন ম্যাপিং এবং লাইটিং কাসটমাইজ করতে পারবেন। এছাড়া এটি ইন্টার ডিভাইস কালার সিনকোনোরাইজেশন সাপোর্টেড মানে আপনার অন্যান্য রেজরের আরজিবি প্রোডাক্ট থাকলে তাদের সাথে লাইটিং সিংক করবে মাউসটি।
গেমিং প্রসঙ্গে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় মাউসটিতে আছে ওয়ার্ল্ডের অন্যতম বেস্ট সেন্সর এবং সেন্সরটি মাম্বা ছাড়া আর অন্য কোন মাউসে ব্যাবহার করা হয় নি। এবং সেন্সর মেকারদের সাথে রেজরের একটি চুক্তি করা আছে যাতে অন্য কোন মাউসে এটি ব্যবহার করা না হয়।
তো কিছু গেম আমরা ট্রাই করেছি যেমন ব্যাটেলফিল্ড ১, ফার ক্রাই প্রাইমাল, সিএসগো এবং ডোটা ২। সব গেমেই মোটামুটি ২০০০ ডিপিয়াইতে চালিয়েছি এবং গেমিং এক্সপেরিএন্স শেষে বলতেই হয়, অসাধারন।
মাউসটিকে সাপোর্টের জন্য আছে রেজরের সিন্যাপ্স(SYNAPSE SOFTWARE) যেটি দিয়ে সবকিছু কাস্টম করা যাবে।
সফটওয়্যারটির কথা বলতে আরজিবির কথা মনে পড়লো। কিছু লাইটিং ইফেক্টস আছে মাউসটিতে। লাইটের কালারগুলো ভাইব্রেন্ট এবং চোখে লাগার মত।
লাইটিং ইফেক্টসগুলো হল, ওয়েভ,স্পেক্ট্রাম সাইকেলিং, ব্রিদিং, স্ট্যাটিক কালার এবং রিএক্টিভ যেটি মাউসের প্রতি ক্লিকে লাইট আপ হবে।
শেষে বলতেই হয় বিষধর মাম্বা সাপের মত মাউসটিও শিকার করতে থাকবে কোন অনলাইন শুটিং দুনিয়ায় কিল করতে। মাউসটির ওভার অল পার্ফামেন্সের উপরে ভিত্তি করেই মাউসটিকে নাম্বার ১ এ রাখা হয়েছে।
আমাদের টপ ৫ মাউসের র্যাংকিংটি না দেখেলে দেখে আসতে পারেন। লিংক ডেস্ক্রিপশনে অথবা ভিডিওর শেষে আসবে।
ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন
পিসিবি বিডির সাথে থাকুন।