কত জিবি Ram ও Graphics প্রয়োজন Gaming এর জন্য

গেমার দের মধ্যে যারা পিসি বিল্ড করতে চান বা আপগ্রেড করতে চান তারা প্রায়ই দ্বিধা-দ্বন্দে ভুগেন যে বিল্ড এ গ্রাফিক্স কার্ড কত জিবি নিব ,র‍্যামই বা কত জিবি হলে যথেষ্ট। আজকের বিস্তারিত আলোচনায় আশা করা যায় যে গ্রাফিক্স কার্ড এর video memory এবং সিস্টেম এর র‍্যাম নিয়ে সকল কনফিউশন দূর হয়ে যাবে।

Table of contents:

  • some boring conversations about র‍্যাম/গ্রাফিক্স মেমোরির ক্যাপাসিটি/স্পিড এর সাথে অন্যন্য কম্পোনেন্ট এর বটলনেক/লিমিটেশন , এবং পারফর্মেন্সে ধারাবাহিক নির্ভরশীলতা।
  • গেমিং এ রিয়েল লাইফ কন্ডিশনে টেস্টের এক্সাম্পলের মাধ্যমে আলোচনা।
  • Lab environment এ ইউটিউবার্সদের টেস্ট এর রেফারেন্সে আলোচনা।
  • সিদ্ধান্তঃ 720p, 1080p,1440p এর জন্য কত জিবি গ্রাফিক্স এবং র‍্যাম যথেষ্ট ।

পারফর্মেন্স এর priority: CPU Ability-GPU Ability>GPU Memory speed,capacity>RAM Speed,capacity

গেমিং এর পারফর্মেন্স সবার আগে ডিপেন্ড করে গ্রাফিক্স কার্ড এর উপর (বলা যায় ৫০%) । গ্রাফিক্স কার্ড এর মধ্যে আবার গ্রাফিক্স কার্ড এর ওভারল এবিলিটি আর্কিটেকচার বেশি গুরুত্বপুর্ণ, তারপর আসে তার মেমোরির ক্যাপাসিটি,ব্যান্ডউইথ।।গ্রাফিক্স কার্ড উইক হলে অর্থাৎ তার ক্লক, আর্কিটেকচার ইত্যাদি মেইন বিষয়গুলোতেই উইক হলে আট জিবি ষোলো জিবি কখনোই বেশি ভালো পারফর্ম করবে না । অর্থাৎ 8GB এর RX 570 6GB এর 980ti থেকে বেটার এফপিএস দিবে এরকম ভেবে নেওয়ার কারণ একেবারেই নেই। তাই কখনোই জিবি কে গ্রাফিক্সের মেইন ফোকাস/প্রায়োরিটি দেওয়া যাবে না ।

গ্রাফিক্স মেমোরি বা সিস্টেম মেমোরিঃ কাজ করার রিয়েল টাইম স্পেস মাত্রঃ

গ্রাফিক্স মেমোরি বা র‍্যাম , এরা শুধু টেম্পোরারি ডাটা স্টোর এন্ড আনা নেওয়া এর জন্যই থাকে। জিপিইউ এর ক্ষেত্রে সেটা শুধুই গ্রাফিক্স রিলেটেড ডেটা,রেন্ডারিং ,ডিকোড ইনকোড সংক্রান্ত ডেটা হয়ে থাকে।এরা শুধুই একটা স্পেস বা স্টোরেজ , প্রতি সেকেন্ডে বা মিলিসেকেন্ডে গ্রাফিক্স কার্ড এর বা আমাদের প্রসেসর এর কাজ করার জন্য যে ডেটা থাকে সেটা কোথাও রাখার প্রয়োজন হয় । বলা যায় এই মেমোরি সেই জায়গাটার কাজই করে । অবশ্যই গ্রাফিক্স কার্ড/প্রসেসর যদি যথেষ্ট শক্তিশালী না হয়, তারা যদি কাজ করার এবিলিটি ই থাকে লিমিটেড, তাদের ক্ষমতাই যদি থাকে কম তাহলে স্পেস থাকা না থাকা সমান কারণ কাজ করার ক্ষমতা ই কম । এই সেন্সেও মোটামুটি বুঝা গেলো যে প্রায়োরিটি গ্রাফিক্স কার্ড ,প্রসেসর এর পাওয়ার/এবিলিটির ক্ষেত্রেই বেশি , তারপরে মেমোরি।

র‍্যাম আপনার পিসিকে ফাস্ট করে নাঃ

জ্বি, উপরের প্যারা থেকে এটাও তো নিশ্চিত যে র‍্যাম কাজ করার স্পেস মাত্র। অর্থাৎ ,র‍্যাম যত বেশি, রিয়েল টাইমে বেশি পরিমাণ প্রসেস নিয়ে কাজ করতে পারবে প্রসেসর কারণ সে বেশি জায়গা পাবে, প্রসেস গুলোকে স্টোর করার সুযোগ পাবে।। এখন সেক্ষেত্রে তার ক্ষমতা অনুসারে সে প্রসেস করবে , বেশি হাই লেভেলের প্রসেসর হলে ফাস্ট কাজ করবে সবগুলোই। ভালোভাবে রেস্পন্স করবে।। র‍্যাম কখনোই স্পিড বৃদ্ধি করে না। বেশি এপ্লিকেশন, বেশি প্রসেস একসাথে চালানোর সুযোগ দেয় মাত্র।  চার জিবি র‍্যামে হয়তো একসাথে আপনি বিশেষ ২০ টা এপ্লিকেশন একই সময়ে চালাতে পারতেন , তারপরে জায়গা থাকতো না বলে সমস্যার শুরু হতো। র‍্যাম বাড়ালে আপনি এখন ২১ নাম্বার এপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে সমস্যাটা ফেস করবেন না, কারণ পর্যাপ্ত খালি জায়গা রয়েছে ।

ক্রোমে ৪ জিবি র‍্যামে হয়তো আপনি ১০ টি ট্যাব খুলতে পারতেন, এখানে ৮ জিবি র‍্যামের ক্ষেত্রে আরো বেশি ট্যাব খুলতে পারবেন।

*এপ্লিকেশন কয়টা চালাতে পারবেন এখানে কাল্পনিক উদাহরণ দেওয়া হয়েছে মাত্র, এক একটি এপ্লিকেশন যদি নিজেই ২ জিবি র‍্যাম দখল করে সেক্ষেত্রে ৮ জিবি র‍্যাম এরকম চারটি এপ্লিকেশনেই ফুল হয়ে যাবে*

একই কথা গ্রাফিক্স মেমোরির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

বটলনেকঃ

বটলনেক কি, কত প্রকার ,কেন হয় তা নিয়ে আমাদের বিস্তারিত একটি পোস্ট রয়েছে দেখে নিন এই লিংক থেকেঃ

বটলনেক এর আদ্যপান্তঃall about bottleneck

তবে অল্প কথায় কোনো একটি কম্পোনেন্ট অন্য গুলোর তুলনায় বেশি দুর্বল হলে অন্য কম্পোনেন্ট ও তার ক্ষমতা অনুসারে কাজ করতে পারে না, এটাই বটলনেক।

যখন সিস্টেম প্রসেসর বা জিপিইউ বটলনেক হবে, এই ক্ষেত্রে র‍্যাম এর স্পিড, ক্যাপাসিটি বা গ্রাফিক্স মেমোরির  সাইজ/ক্যাপাসিটির কমতি গুনায় আসার সম্ভাবনা কম বা আসবে  না … কারণ গ্রাফিক্স কার্ড বা প্রসেসর দ্বারা সিস্টেম এমনিতেই বটলনেকড।

একটি দুর্বল প্রসেসর এর সিস্টেমে আদৌ অতিরিক্ত র‍্যাম লাগিয়ে তেমন কোনো লাভ হবেই না বললেই চলে। তেমনি, গ্রাফিক্স কার্ডটি যদি তুলনামুলক দুর্বল হয় এমনিতেই, সিস্টেমে বটলনেক তৈরী করে সেক্ষেত্রে সেটি ৮ জিবি না ৪ জিবি সেই প্রশ্ন আসে না (৯০% ক্ষেত্রেই), এবং সেই একই গ্রাফিক্স কার্ডের হাই ক্যাপাসিটি ভার্সন লাগালেও বটলনেক থেকেই যাবে ।

সিস্টেমটি গ্রাফিক্স কার্ড এবং প্রসেসর যদি বটলনেক না হয়, ব্যালান্সড থাকে মোটামুটি তবেই র‍্যামের স্বল্পতার কারণে পারফর্মেন্সে ড্রপ দেখতে পাওয়া যেতে পারে, আবার গ্রাফিক্স মেমোরির ক্ষেত্রেও তাই, আমরা অনেক গেমেই দেখতে পেয়েছি বিভিন্ন বেঞ্চমার্কে যে সিস্টেমটিতে 9900k,16 gb র‍্যাম দিয়ে টেস্ট করা হয়েছে কিন্ত আল্ট্রা সেটিংসে 4GB এর কম ভির‍্যাম এর জন্য গেমটি চলছে না। অনেক গেমে দেখা যাচ্ছে ভির‍্যাম এর জন্যই কিছুটা এফপিএস কম পাওয়া যাচ্ছে।

(সেটি প্রমান হচ্ছে যখন একই জিপিইউ এর8gb/6gb/higher ভ্যারিয়েন্ট দিয়ে টেস্ট হচ্ছে ,এ থেকে প্রমান হলো এই পার্টিকুলার কেসে বটলনেক/লিমিটেশন টা আসলে ভির‍্যাম। (গ্রাফিক্স কার্ডটি প্রকৃতপক্ষে বেশি উইক হলে বা সাথে প্রসেসর ও বেশি উইক হলে তার জন্যই মেইন বটলনেক হতো ভির‍্যাম এর প্রশ্ন আসার আগেই)

এজন্য বিল্ড করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আগে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে বটলনেকের বিষয়, অবশ্যই প্রথমত আপনাকে বটলনেক হবে না , বা বটলনেক সর্বনিম্ন হবে এমন একটি বিল্ড করতে হবে, তারপর গ্রাফিক্স মেমোরি এবং র‍্যাম যাতে অতিরিক্ত কম/অবাস্তব/বেমানান হয়ে না যায় সেদিকে নজর দিতে হবে।

অর্থাৎ আগেই অতিরিক্ত র‍্যাম বা গ্রাফিক্স ক্যাপাসিটির দিকে নজর দেওয়া বোকামী বৈ কিছুই নয়। বিল্ড করার ক্ষেত্রেই তাই সামঞ্জস্য রাখতে হবে। 4GB Ram এর সাথে যেমন 2080ti, 9900k বেমানান তেমনি 1050ti, 9100f এর বিল্ডে ১৬ জিবি র‍্যাম ও গেমিং এর ক্ষেত্রে ভালো কিছু বয়ে আনবে না।

 

Flagship বিল্ডে আইডিয়াল ল্যাব কন্ডিশনে টেস্ট রেজাল্ট(by youtubers):

এখানে আমাদের মুল ফোকাস হবে HUB এর করা টেস্টে RX 5500XT 4,8GB এর ভ্যারিয়েন্ট এবং একই সাথে GTX 1060 6GB and 3GB ভ্যারিয়েন্ট ।

12 games average(1080p)

এখানে 5500XT এর ৮ জিবি ও ৪ জিবি ভার্সনের মধ্যে এভারেজ ফ্রেমরেটের পার্থক্য মাত্র ৩! (85,88)  এই সমস্ত টেস্টে 3fps এর পার্থক্য round off error হিসেবে গন্য হয় এবং রিয়েল লাইফে একেবারেই পার্থক্য বুঝা যায় না । এমনকি 1% low এর ক্ষেত্রেও পার্থক্যটা একই।

এখান থেকে প্রমাণ হচ্ছে গ্রাফিক্স কার্ডটি ৪ জিবিতে জিপিইউ মেমোরির জন্য লিমিটেড/রেস্ট্রিক্টেড ছিল না বরং তার এবিলিটি ভালোভাবেই ব্যবহ্বত হয়েছে।

এবার আসা যাক GTX 1060 তে।  এখানে আমরা একটি বড় রকমের গ্যাপ দেখতে পাচ্ছি পাফর্মেন্স এ। মোটামুটি দৃশ্যমান পার্থক্য যাকে বলা যায়। ৮০ এফপিএস এবং ৭০ এফপিএস ।(1% low তেও ৯ এফপিএস এর ডিফারেন্স) ১০ ফ্রেম এর পার্থক্য। এখানে সত্যিই স্পষ্ট যে এই সিস্টেমটির জন্য আসলেই ৩ জিবি ভিডিও মেমোরি যথেষ্ট ছিল না এবং ৩ জিবি ভিডিও মেমোরিটিই এখানে বটলনেক ছিল। গেমস গুলোর জন্য ও যথেষ্ট ছিল না । এজন্যই 3 জিবি থেকে 6 জিবি ভির‍্যাম এ যাওয়ায় পার্ফর্মেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি গ্রাফিক্স মেমোরি বটলনেক/লিমিটেশনের জন্য RX 570 থেকেও পিছিয়ে আছে 1060 3GB এডিশন।

আমরা পুর্বে একটি উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেছিলাম যে জিপিইউ যদি নিজেই উইক হয় তাহলে হাই ক্যাপাসিটির ভ্যারিয়েন্ট দিয়েও তার থেকে বেটার জিপিইউ কে বিট করতে পারবে না। এখানে সেটির উদাহরণ দেওয়া যায় GTX 1060 6GB এর সাথে 4GB 5500XT এর তুলনা দিয়ে। ২ জিবি ভির‍্যাম বেশি নিয়েও কিন্ত GTX 1060 অনেক বড় ব্যবধানে পিছিয়ে আছে । কারণ তার ইন্টার্নাল বিভিন্ন ফ্যাক্টর এর পার্থক্য রয়েছে। ক্লক, আর্কিটেকচার, মেমোরি টাইপ/স্পিড সহ আরো অনেকগুলো ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে/।

অর্থাৎ অন্ধের মত জিবি দিয়ে গ্রাফিক্স কার্ড পরিমাপ করা যে বুদ্ধিমানের কাজ নয় সেটি কিন্ত প্রমানিত।

12 games average(1440p)

1440p এর ক্ষেত্রেও কিন্ত দৃশ্য মোটামুটি একই রকম। চার জিবি থেকে আট জিবিতে সেরকম পারফর্মেন্স এর পার্থক্য দেখা যাচ্ছে না। আবার GTX 1060 এর ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে ৩ জিবির কার্ডটি বটলনেক সৃষ্টি করছে।

Test by tech deals:

GTX 1060 3gb VS 6gb comparison
GTX 1060 3gb vs 6gb comparison

উপরের গেমগুলোর মধ্যে কিছু গেমে আমরা উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখতে পাচ্ছি । উল্লেখ যে 3gb কার্ডটিতে স্পেকস এর কিছু downgrade রয়েছে যেটি পুষিয়ে দিতে ৩ জিবির কার্ডটি ওভারক্লক করা হয়েছিল।। বেশ কিছু গেমেই দেখা গিয়েছে যে বেশ অনেক বড় ব্যবধানে পিছিয়ে আছে ৩ জিবির কার্ডটি কারণ ৩ জিবি ভির‍্যাম একটি বটলনেক। (যেসব গেমে ভির‍্যাম ইউজ কম সেসব গেমে পার্থক্য কম)

ভির‍্যাম এবং র‍্যাম ইউসেজ এর সম্পর্কঃ

 

এই অংশটি কোনো প্রসিদ্ধ,প্রমানিত কোনো থিওরি নয়। বরং এই ভিডিও থেকে আমি পেয়েছি, ভালো করে লক্ষ করুন ৩ জিবির কার্ড এবং ৬ জিবির কার্ডের ভির‍্যাম ইউসেজ এর দিকে।। প্রতি ক্ষেত্রেই ৩ জিবি কার্ডের থেকে ভির‍্যাম ইউসেজ ৬ জিবির কার্ডে বেশি, ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো র‍্যাম ইউসেজ এর দিকে দেখুন, দেখতে পাচ্ছেন যে ৩ জিবির কার্ডের সিস্টেমে  র‍্যাম ইউসেজ অনেক বেশি ৬ জিবির কার্ডের সিস্টেমের থেকে । Shadow of the tomb raider এ ভির‍্যাম ইউসেজ ২০০ মেগাবাইট মত পার্থক্য , ৩ জিবির কার্ডটি প্রায় ৭০০ মেগাবাইট বেশি র‍্যাম ইউজ করছে।

২য় ছবিতে ৩ জিবির কার্ডটি থেকে ৬ জিবির কার্ডে ২ জিবির বেশি ভির‍্যাম ব্যবহ্বত হচ্ছে। এখানেও ৩ জিবির কার্ডের সিস্টেমে র‍্যাম ইউসেজ 2.5 জিবি মত বেশি।  একই ঘটনা ৩য় ছবিতেও দেখা যাচ্ছে।

অর্থাৎ র‍্যাম ইউসেজ এর সাথে ভির‍্যাম ইউসেজ এর সম্ভবত কোনো একটি সম্পর্ক রয়েছে। অবশ্যই যারা 4/3 জিবি ভির‍্যাম এর গ্রাফিক্স কার্ড কিনবেন এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

বাজেট বিল্ডে রিয়েল লাইফ কন্ডিশনে টেস্ট রেজাল্টঃ

এখানে র‍্যাম ইউসেজ ও গ্রাফিক্স মেমোরি ইউসেজ দুটি বিষয়েই আলোচনা হবে।। আমরা টেস্ট করেছি একটি বাজেট বিল্ডে (Ryzen 5 1600,RX 570 8GB, Corsairs Vengeance 8 GB 2400 Mhz Ram) যা মোটামুটি আমাদের দেশের বাজেট বিল্ড এ কমন বিল্ডগুলোর মতই।।ইউটিউবার্সদের সিস্টেম থেকে এই সিস্টেম বেশ ডিফারেন্ট।  এখানে সিস্টেমটি ক্লিন থাকবে না, একদম রেগুলার সেটাপে যেরকম কিছু এপ্লিকেশন ইন্সটল করা থাকে, ডাউনলোড ম্যানেজার, এন্টিভাইরাস,MSI Afterburner ,Avro Keyboard,DU Meter,DFX এর মত এপ্লিকেশন রানিং থাকবে, সেখানে আমরা without gaming র‍্যাম ইউসেজ কত হয় সেটিও আলোচনা করবো এবং বেশ কিছু গেম খেলে সেগুলোর র‍্যাম এবং গ্রাফিক্স মেমোরি ইউসেজ আলোচনা করবো।

রেগুলার ইউসেজঃ

ram usage of a regular windows 10 build with several background apps running

স্টার্টআপের পর অন্য কোনো এপ্লিকেশন আলাদাভাবে না চালু করলে সিস্টেম process এবং ব্যাকগ্রাউন্ড 3rd party process চালু অবস্থায় র‍্যাম ইউসেজ সাধারণত 2500/2600-2700/2800 মেগাবাইট এর মধ্যেই থাকে(30-35%)।।

ওয়ার্কলোডঃ

Ram usage when multitasking

টেস্ট করা হয়েছিল ফায়ারফক্সে ৫টি ট্যাব(pc builder bangladesh site, 1080p video playback on youtube,গুগল ড্রাইভ,Asus TUF A15 Page,Facebook(new layout)) (সাথে ছিল ডার্ক মোড, ২টি এডব্লক, ২টি ডাউনলোড ম্যানেজার এক্সটেনশন সহ ্মোট ৬টি এক্সটেনশন, আরো চালু করা হয়েছিল microsoft word, Messenger official app । এগুলো একসাথে চালিয়ে টোটাল র‍্যাম ব্যবহ্বত হতে দেখা গিয়েছে 5500 মেগাবাইট মত। তা বেশ কিছু বার ৫ জিবির নিচেও নেমে এসেছিল।। ফায়ারফক্স থেকে ৫টি এক্সটেনশন কেটে দিয়ে দেখা গিয়েছিল র‍্যাম ইউসেজ ৪ জিবিতে নেমে এসেছে।

এরপর আমরা একই সাথে Opera GX Broswer এ আরো ৭টি এক্সটেনশন (২টি এডব্লক, ২টি ডাউনলোড ম্যানেজার,ডার্ক মোড সহ ) চালু রেখে ফায়ারফক্সে চালু করা পেজ গুলোই চালিয়ে দেখি।এবার টোটাল র‍্যাম ব্যবহার হতে দেখা যায় ৬৭০০ মেগাবাইট ।

অর্থাৎ যারা মাল্টিটাস্কিং করেন তারা মোটামুটি একটা ধারণা পেলেন যে ৮ জিবি র‍্যামের পিসিতে একসাথে কতগুলো কি ধরনের এপ্লিকেশন চালানো যায়। Adobe premier pro/lightroom/photoshop যারা চালান তাদের ও নিশ্চয় ধারনা রয়েছে সেগুলো কি পরিমাণ র‍্যাম ব্যবহার করে। সুতরাং এডোবি প্রোডাক্ট চালিয়ে সাথে ব্রাউজিং/মেসেজিং/অফিস এপ্লিকেশন চালানো কিরকম যাবে ,ব্রাউজারে কতগুলো ট্যাব চালানো যাবে তা নিয়ে মোটামুটি একটি আইডিয়া তারাও পেয়ে যাবেন এখান থেকেই।

Gaming:

AAA,Sports ও অন্যন্য নতুন পুরাতন মিলিয়ে 1080p ultra/very high/custom/high সেটিংস এ  মোট ১১টি গেমের র‍্যাম ইউসেজ/গ্রাফিক্স মেমোরি ইউসেজ দেখবো আমরা।

***প্রতিটি গেমই ১০৮০পি তে খেলা হয়েছে এবং বিল্ট ইন বেঞ্চমার্ক ব্যবহার করা হয়নি, ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা বা তার বেশি টেস্ট করা হয়েছে, আরেকবার কনফিগটি মনে করিয়ে দেওয়া যাকঃRyzen 5 1600, RX 570 8GB, Corsair Vengeance 8gb 2400 BUS***

A plague tale innocence:

Ram and Graphics memory consumption:A plague tale innocence

চার্টে সর্বোচ্চ র‍্যাম ইউসেজ ৫ জিবি পর্যন্ত দেখানো হয়েছে,যদিও তা সাড়ে চার জিবি ছিল অধিকাংশ সময়। ( এখানে প্রতিটা চার্টেই গেম সহ সম্পুর্ণ সিস্টেমের ইউসেজ বোঝানো হয়েছে) ।  গ্রাফিক্স মেমোরি বা ভির‍্যাম ইউসেজ ২ জিবির উপরে ছিল সবসময়ই , সর্বোচ্চ তা আড়াই জিবি পর্যন্ত উঠতে দেখা গিয়েছে (গেমটির নির্দিষ্ট একটি অংশের ৩০,৪০ মিনিট বেঞ্চমার্ক করা হয়েছিল) ।

অন্তত এই গেমের ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে যে ৮ জিবি র‍্যাম যথেষ্ট এবং ৪ জিবি গ্রাফিক্স দিয়েও মোটামুটি একই ধরনের পারফর্মেন্স পাওয়া যাবে বাজেট বিল্ড গুলোতে।

Star Wars Jedi Fallen Order:

Ram and Graphics memory consumption:Jedi Fallen Order

অসাধারণ গ্রাফিক্স ও গেমপ্লের এই AAA টাইটেলটি যথেষ্ট resource hungry, গেমটি খেলার সময় সর্বোচ্চ র‍্যাম ব্যবহ্বত হতে দেখা গিয়েছে ৬ জিবি (prologue mission) যা সবসময়ই সাড়ে পাচ জিবি বা তার উপরে ছিল। সর্বোচ্চ গ্রাফিক্স মেমোরি ব্যবহার হয়েছিল সাড়ে চার জিবি পর্যন্ত এবং সবসময়ই তা ৩২০০ মেগাবাইট এর উপরে ছিল ।

এই ধরনের AAA গেম এর ক্ষেত্রে ৩ জিবি VRAM একেবারেই যথেষ্ট নয় বলা যায় । তবে আট জিবি র‍্যাম এখানেও enough ।

GTA V

Ram and Graphics memory consumption:GTA V

সবার প্রিয় ওপেন ওয়ার্ল্ড মাস্টারপিস জিটিএ ফাইভে র‍্যাম ইউসেজ সবসময়ই ৬ জিবি মত ছিল এবং সর্বোচ্চ তা সাড়ে ৬ জিবিতে গিয়ে পৌছেছিল। এবং ভির‍্যাম ইউসেজ 4 জিবি মত ছিল সবসময়।

Watch Dogs:

Ram and Graphics memory consumption:Watch Dogs

সেটিংস কাটাছেড়া করে, High,medium,very high এগুলো মিলিয়ে মিশিয়ে খেললে Watch Dogs এ ৪/৩ জিবি মেমোরির জিপিইউ দিয়েও ভালোই পারফর্মেন্স পাওয়া যাবে। কারণ আমাদের টেস্টে ভির‍্যাম ইউসেজ তিন জিবি মতই ছিল এবং র‍্যাম ইউসেজ ও ৫ জিবি আশেপাশেই ছিল।

Crysis 3:

Ram and Graphics memory consumption:Crysis 3

একসময়ের Hardware destroyer ক্রাইসিস ৩ ২০২০ এ এসে পারফরমেন্স যেমনই দিক, ইউসেজ এর দিক দিয়ে খুবই হালকা ছিল।। মাত্র চার জিবি র‍্যাম এর সাথে ভির‍্যাম ইউসেজ ছিল ২ জিবির কম।

Call of duty Advanced Warfare

Ram and Graphics memory consumption(Regular and maximum):Call of Duty Advanced warfare

আমার খেলা গেমগুলোর মধ্যে সবথেকে weird result পেয়েছি আমি এই গেমটিতেই।। আজ পর্যন্ত কোনো গেমেই আমি ৭জিবি বা এর বেশি গ্রাফিক্স ইউজ হতে দেখিনি। শুধু এক দুই জায়গায় না, সম্পুর্ণ গেমেই ভির‍্যাম ইউসেজ ছিল 7.2/7.4 জিবি।  ম্যাক্সিমাম আমি দেখেছি 7600 মেগাবাইট পর্যন্ত। এই গেমটি 4 এমনকি 6 জিবির গ্রাফিক্সে কেমন পারফর্ম করবে তা নিয়ে কৌতুহল বেড়েছেই মাত্র।

র‍্যাম ইউসেজ ও ছিল অন্যন্য গেমের তুলনায় অনেক বেশি। সর্বনিম্ন 6400 মেগাবাইট এবং সর্বোচ্চ 7500 মেগাবাইট। সর্বোপরি একটি ২০১৪ সালের গেম হিসেবে এই গেমের র‍্যাম ও ভির‍্যাম ইউসেজ ট্রেন্ড দেখে খুবই অবাক হয়েছি। সুতরাং ৪ জিবির গ্রাফিক্স, র‍্যামে হয়তোবা এই গেমটি বেশ সমস্যা করতে পারে। তবে এই লিস্টে আমি গেমটিকে একটি ব্যতিক্রম হিসেবেই বিবেচনা করতে চাই।

Remnant from the Ashes

Ram and Graphics memory consumption:Remnant From the Ashes

এই গেমটিতেও র‍্যাম ইউসেজ , ভির‍্যাম ইউসেজ তুলনামুলক বেশিই দেখেছি।। রেগুলার  ৫ জিবির উপরে ছিল র‍্যাম ইউসেজ এবং ম্যাক্সিমাম তা ৬ জিবির কাছাকাছি গিয়েছিল। তেমনিভাবে গ্রাফিক্স ইউসেজ ও সর্বোচ্চ ৬ জিবি পর্যন্ত দেখেছি এবং রেগুলার বিভিন্ন সময়ে ৪ থেকে 5.5 জিবি পর্যন্ত উঠানামা করেছে।

গেমটি আমার কাছে খুব বেশি আহামরি অপটিমাইজড মনে হয়নি বরং অপটিমাইজেশনের যথেষ্ট ঘাটতি আছে বলেই মনে হয়েছে।। লো লেভেলের হার্ডওয়্যার বা কম র‍্যাম, কম গ্রাফিক্স ক্যাপাসিটিতে পারফর্মেন্সে ভালো প্রভাব দেখা যাবে।

Fast and Furious Crossroads:

Ram and Graphics memory consumption:Fast and Furious Crossroads

এই গেমটিতে সর্বোচ্চ র‍্যাম ইউসেজ ছিল ৭ গিগাবাইট মত। গেমের বেশ কিছু অংশে বেশ কয়েকবারই তা দেখেছি।। কিছু অংশে ৬ জিবির বেশি র‍্যাম ইউসেজ ছিল ।আর ভির‍্যাম ইউসেজ বেশিরভাগ সময়ই ছিল ৪৬০০/৪৫০০ মেগাবাইট এর আশেপাশে। অর্থাৎ কখনো ৪৬০০ এর কিছু বেশি কখনো কিছুটা কম। সর্বোচ্চ ইউসেজ লক্ষ করেছি প্রায় ৫ জিবি (গেমটি আমার কাছে যথেষ্ট unoptimized মনে হয়েছে।( আমার সিস্টেমে ভেরি হাই সেটিংসে মাত্র ৩০ এফপিএস পেয়েছি এমন ও কিছু জায়গা ছিল, সর্বোচ্চ তা ছিল ৫০) এবং এর গ্রাফিক্স কোয়ালিটি,গেমপ্লে ফিজিক্স এর কথা বলতে গেলে গেমটি ভালোর কাতারে পড়ে না।

Sniper Ghost Warrior 3 and Gears 5:

এই দুটি গেমেই সর্বোচ্চ র‍্যাম ইউসেজ পেয়েছি ৭ জিবি। এবং সর্বোচ্চ graphics memory ইউসেজ পেয়েছি ৫ জিবি।। সময়ে সময়ে তা ৪ জিবি/ ৪ জিবির বেশি ছিল এবং কখনো ৪ জিবির নিচে ছিল না।। র‍্যাম ইউসেজ বিভিন্ন সময়ে ৬ জিবি+ 6.5gb ও ছিল কখনো ৬ জিবির নিচে যায়নি ।

Fifa 19:

Ram and Graphics memory consumption:FIFA 19

ফিফার মত গেম চালানো বরাবরই সহজ ছিল।। হাই সেটিংস এ র‍্যাম ইউসেজ ছিল ৬ জিবির উপরে এবং ভির‍্যাম ২ জিবি মত।

অর্থাৎ ফিফার মত গেম খেলতে গেলে ৩,৪ জিবির গ্রাফিক্স কার্ড কোনো সমস্যাই না।

Pro Evolution Soccer 2019:

Ram and Graphics memory consumption:PES 19

ফিফার মতই আরেকটি জনপ্রিয় ফুটবল গেম পেস বা (প্রো এভলুশন সকার ), এটির ইউসেজ প্যাটার্নটা ফিফার থেকে আরো কম বরং। (উল্লেখ্য, গেমটি ৬০ এফপিএস এ লক) । ভির‍্যাম ২ জিবির ও কম ব্যবহ্বত হতে দেখা গিয়েছে , র‍্যাম ইউসেজ ও মাত্র চার জিবি।

অর্থাৎ স্পোর্টস গেমগুলোর ক্ষেত্রে মোটামুটি খুব বেশি র‍্যাম, ভির‍্যাম দরকার হচ্ছে না বলা যায়।

Cricket 19:

Ram and Graphics memory consumption:Cricket 19

এই গেমটি সম্পর্কে অনেকেই জানেন না, একটি ক্রিকেট গেম হয়েও মাস্টারপিস তকমা পাওয়ার দাবী রাখে এটি।। বিস্তারিত রিভিউ পেতে সাথেই থাকুন।। গেমটি স্পোর্টস গেম হলেও তুলনামুলক বেশিই রিসোর্স ব্যবহার করে । র‍্যাম ইউসেজ পাচ জিবির উপরে ছিল সবসময়ই।। এবং গ্রাফিক্স মেমোরি ইউসেজ ছিল ৩ জিবি মত।

গেমটি ৩ জিবি বা ৪ জিবির গ্রাফিক্স কার্ডে সহজেই ভালো পারফর্মেন্স দিবে বলা যায়।

পর্যালোচনাঃ

মোটামুটি নতুন পুরাতন AAA,Sports সহ মোট ১৩টি গেম এর ইউসেজ রেজাল্ট আমরা দেখলাম। এখানে র‍্যাম ইউসেজ এর দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাচ্ছি ৯টি গেমেই র‍্যাম ইউসেজ ৫ জিবির উপরে। এরকম AAA টাইটেল ছাড়াও আজকাল মোটামুটি গ্রাফিক্স এর এমনকি ছোট গেমগুলো খেলার জন্য ও র‍্যাম অবশ্যই ৪ জিবির বেশিই হওয়া উচিত। আগেই আমরা দেখেছি যে উইন্ডোজ টেনের একটি টিপিক্যাল সিস্টেমে কিছু থার্ড পার্টি ব্যাকগ্রাউন্ড এপ্লিকেশন সহ র‍্যাম ইউজ হয় 2.5-3জিবি মত নরমাল অবস্থায়। এমতাবস্থায় সিস্টেমে যদি ৪ জিবি র‍্যাম লাগানো থাকে তখন গেমস গুলোর জন্য একেবারেই কম র‍্যাম বাকি থাকছে যা পারফর্মেন্সে ইস্যু তৈরী করবে।

তবে ৮ জিবি র‍্যাম যে পারফর্মেন্স এ ইস্যু ফেলছে না সেটার প্রমাণ হলো কখনোই র‍্যাম ইউসেজ ৮ একেবারে জিবির কাছাকাছি চলে যায়নি এবং একই সাথে নিয়মিত ল্যাগ/ফ্রেমড্রপ শুরু হয়নি । কেননা আমাদের এটি একটি বাজেট বিল্ড যেখানে র‍্যামের আগেই পারফর্মেন্স এর লিমিটেশন এর কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে Processor এবং Graphics Card । সেজন্য র‍্যাম ইউসেজ ৮ জিবির কাছাকাছি ও যাচ্ছে না এবং গিয়ে র‍্যাম এর অভাবে ফ্রেমড্রপ/স্টাটার/ল্যাগ ও করছে না ,করলেই প্রমাণ হতো যে আমাদের সিস্টেমে র‍্যাম প্রয়োজনের তুলনায় কম।।

এই ঘটনাটি ঘটতে পারে যদি আমরা RTX 2060,Ryzen 5 3600/i5 10600k এর মত কনফিগে টেস্ট করি। তবে সেক্ষেত্রেও আমরা যদি র‍্যামটা ৮ এর জায়গায় ১২ করি তাহলেই মোটামুটি যথেষ্ট হয়ে যাবে কেননা দেখা যেতে পারে যে র‍্যাম ইউসেজ খুব বেশি বৃদ্ধি পায়নি । 1080p তে ৮ জিবি র‍্যাম Standard.

এখান থেকে সিদ্ধান্তে মোটামুটি আসা যায় যে 1080p গেমিং এর জন্য এখনো ৮ জিবি র‍্যাম যথেষ্ট এবং ৪ জিবি র‍্যাম প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। গেমিং এর কথা বাদ দিলেও ৪ জিবি র‍্যাম সিস্টেমে থাকলে আপনার ব্রাউজার চালাতেই কষ্ট হবে ।

VRAM Usage:

এখানে আমরা ৭টি গেমে দেখেছি ৪ জিবির বেশি গ্রাফিক্স মেমোরি ব্যবহার হতে।অন্য গুলোতে ৩ জিবি বা তার কম ভির‍্যাম ব্যবহ্বত হচ্ছিল। আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে যে ৪ জিবি ভির‍্যাম যথেষ্ট। কিন্ত আসলে ব্যাপারটি বলতে হবে “৪ জিবি ভির‍্যাম চালিয়ে দেওয়ার মত” । কারণ বর্তমানে আরো প্রচুর AAA গেমস রয়েছে যেগুলো যথেষ্ট পরিমাণ VRAM ব্যবহার করে । চার জিবি ভির‍্যামে আপনি অবশ্যই গেমগুলো খেলতে পারবেন , সেটিংস টুইক করে ভালো মতই খেলতে পারবেন কিন্ত এই মুহুর্তে ৪ জিবি VRAM মোটেও ফিউচার প্রুফ নয়।  আমরা যে দুটি গেমে চার জিবির বেশি ইউসেজ দেখেছি এই ধরনের সবগুলো গেমেই এরকম ইউসেজ ই দেখা যাবে। এবং ভবিষ্যতে গেমগুলোতে আরো বেশি গ্রাফিক্স মেমোরি ইউজ করতে দেখা যাবে প্রতিনিয়ত। এজন্য ফিউচার প্রুফিং এর জন্য ৬ জিবি বা ৮ জিবির কার্ড নেওয়া বেশি বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বিষয়টি আরো পরিষ্কার হতো  (এবং ৩ জিবি  বা তার কম অবশ্যই বটলনেক )বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকার জন্য আরো কিছু AAA গেমস টেস্ট করে দেখানো সম্ভব হলো না। এরকম অনেক গেমই পাওয়া যেত যেখানে ৪ জিবির বেশি এমনকি ৫,৬ জিবি পর্যন্ত ভির‍্যাম ইউজ হচ্ছে।

Tech Deals এর টেস্টে দেখা গিয়েছে যে ভির‍্যাম কম থাকলে র‍্যাম ইউসেজ বেশি হয়, সুতরাং যারা ৪ জিবি বা ৩ জিবির কার্ড কিনবেন বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

720p এবং 1440p

720p তে যারা এখনো গেমিং করেন তাদের জন্য মোটামুটি ২ জিবির গ্রাফিক্স মেমোরিই যথেষ্ট।। যাদের ৩,৪ জিবির কার্ড রয়েছে তাদের জন্য কোনো ইস্যু ই হবে না।

তবে 1440p এর টার্গেটে যারা বিল্ড করবেন তাদের জন্য সুইট স্পট হচ্ছে ৬ জিবি। এবং ফিউচার প্রুফিং বিল্ড এর জন্য ৮ জিবি মাস্ট।  ৬ জিবি এর কম গ্রাফিক্স মেমোরি অবশ্যই অবশ্যই 1440p এর জন্য লিমিটেশন/bottleneck , আজকাল GTX 1660,5500XT/580/590 কার্ডগুলো ৬,৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যায় এবং আরো হাই বাজেটে RTX 2060,1660Ti, 5600XT রয়েছে যেগুলোর প্রত্যেকেরই ভির‍্যাম কমপক্ষে ৬ জিবি।

মেমোরি ক্যাপাসিটি কম হলে ইউসেজ নিয়ন্ত্রণ করবো কিভাবেঃ

ক্যাপাসিটি যদি কম হয় অর্থাৎ আপনার যদি গ্রাফিক্স মেমোরি ৩/৪ জিবি হয়, সেক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে যাতে করে ইউসেজ কম হয়ঃ

  • গ্রাফিক্স টুইক করাঃ গ্রাফিক্স সেটিংস মেনুতে প্রচুর অপশন রয়েছে যার পারফর্মেন্সে ইফেক্ট অনেক/ভির‍্যাম ইউসেজ অনেক কিন্ত তুলনামুলক ভিজুয়ালে চেঞ্জ সামান্যই পাওয়া যায়(চেঞ্জ করলে), এই ধরনের সেটিংস গুলো মিডিয়াম/লো বা পারলে অফ করে দিতে হবে, শ্যাডো,টেক্সচার,এনভায়রন্মেন্ট/ওয়ার্ল্ড/ওয়াটার ডিটেইলস, পোস্ট প্রসেসিং ইত্যাদি ইত্যাদি সেটিংস গুলোর মধ্যে হাই,ভেরি হাই,মিডিয়াম ইত্যাদি চেঞ্জ করে করে ভির‍্যাম এ ইফেক্ট, ভিজুয়ালে কতটুক চেঞ্জ আসছে বেশি খারাপ লাগছে কি না দেখে মিলিয়ে মিশিয়ে সেট করতে হবে যাতে ইউসেজ ও নিয়ন্ত্রণে থাকে পারফর্মেন্স ও ভালো থাকে আবার গ্রাফিক্স অনেক বাজে না হয়ে যায়।
  • ভিসিংক চালু করে রাখতে পারেন, এমনিতেও এই বাজেটের বেশিরভাগ ইউজারই 60/75 hz এর মনিটরই ব্যবহার করে থাকেন। আর অনলাইন এ কম্পিটিটিভ গেম না খেললে এমনিতেও ১০০/১২০ এফপিএস বেশি জরুরি না যদি স্টোরি বেসড এডভেঞ্চার, আরপিজি খেলে থাকেন। আর একমাত্র প্রোফেশনাল এক্সপেরিয়েন্সড প্লেয়ার ছাড়া হাইয়ার এফপিএস আর ৬০/৭০ এফপিএস এর ডিফারেন্স  খুব কম গেমারই খেয়াল করেন।Vsync চালু করলে বেশ বড় রকমের পরিবর্তন দেখতে পাবেন র‍্যাম ও গ্রাফিক্স ইউসেজে ।

সিদ্ধান্তঃ

উপরের আলোচনা থেকে বুঝা গেলো যে বাজেট বিল্ডার্স যারা রয়েছেন তারা ৪ জিবি মেমোরির গ্রাফিক্স এখনো কিনতে পারেন এবং সেটিংস টুইক করে ভালো পারফর্মেন্সই পেতে পারেন কিন্ত ফিউচার প্রুফ বিল্ডের জন্য অবশ্যই বাজেট থাকলে সম্ভব হলে ৬ জিবি বা ৮ জিবি ভ্যারিয়েন্ট এর কার্ডই নেওয়া উচিত।(এবং অবশ্যই ৪ জিবির নিচের যেকোনো কার্ড 1080p তে ২০২০ সালে একেবারেই যথেষ্ট নয়, তা পারফর্মেন্সে ইস্যু তৈরী করবে) আর যারা আল্ট্রা সেটিংসেই খেলতে চান তাদের ক্ষেত্রে তো ৬ জিবি আবশ্যক। কেননা AAA গেমসগুলো গত কয়েক বছরে অনেক বেশিই Resource hungry হতে দেখা গিয়েছে। র‍্যামের ক্ষেত্রে ৮ জিবি র‍্যাম এখনো যথেষ্ট 1080p গেমিং এর জন্য। তাই বরং অতিরিক্ত সেই 3500-4500 টাকা আরো একটি ৮ জিবি র‍্যামের পেছনে না ঢেলে হায়ার ভ্যারিয়েন্ট এর গ্রাফিক্স কার্ড নেওয়াটাই বেশি বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

আর 1440p এর ক্ষেত্রে ৬ জিবি গ্রাফিক্স এর কম কোনোভাবেই ভালো পার্ফর্মেন্স দিবে না।র‍্যামও ৮ জিবির বেশি নেওয়াটাই সেক্ষেত্রে ভালো।

ধন্যবাদ সবাইকে।

Share This Article

Search