যে গেমগুলো খেললে আপনার জেল হতে পারে

অবৈধ্য! অপরাধ! এই শব্দগুলো নিষিদ্ধ পর্যায়ের হলেও সবারই এই সব জিনিসগুলোতে আপনা-আপনি আলাদা একটি টান থাকে। পৃথিবীর সব ক্ষেত্রেই যেমন আপনি অবৈধ্য বা ইলিগাল বিষয়গুলো পাবেন ঠিক তেমনি ভিডিও গেমসের বেলাতেও এই “অবৈধ্য” জিনিসটা রয়েছে। বিশ্বের প্রতিনিয়ত হাজার হাজার ভিডিও গেমস বের হচ্ছে এবং এদের মধ্যেই অহরত বিভিন্ন গেমসকে অবৈধ্য বলে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে, আর আজকের পোষ্টে বিশ্বের সেরা “অবৈধ্য” ভিডিও গেমসগুলোকে নিয়ে আমি হাজির হলাম যেসব গেমস বাংলাদেশে না হোক কিন্তু পৃথিবীর অনান্য দেশে খেলতে গেলে আপনি জেলে যেতে পারেন!
তবে উল্লেখ্য যে আজকের লিস্টে কোনো এডাল্ট বা ১৮+ গেমস নিয়ে কথা বলবো না কারণ সেগুলো জন্ম থেকেই নিষিদ্ধ! তো চলুন আর ভূমিকায় কথা না বাড়িয়ে লিস্টের গেমসগুলোকে দেখে নেই:

Manhunt

নিষিদ্ধ ভিডিও গেমস নিয়ে কথা বলতে চাইলে সবার আগে নাম চলে আসে ম্যানহান্ট গেমটির। গেমটি নির্মাণ করেছে তুমুল জনপ্রিয় গেমস সিরিজ জিটিএ এর নির্মাতা রকস্টার গেমস। ম্যানহান্ট গেমটি তার নামের সাথেই যায়, গেমটিতে আপনাকে ম্যানহান্ট বা মানুষ হান্ট করে বেরাতে হবে। গেমটি হচ্ছে একটি স্টেলথ ভিক্তিক সারভাইবাল হরর ভিডিও গেম যেটা ২০০৩ সালে মুক্তি দেওয়া হয়। গেমটিতে এত পরিমাণের ভায়োলেন্স রয়েছে যে পরবর্তীতে গেমটিকে ২০১৩ এবং ২০১৬ সালে প্লেস্টেশন ৩ এবং প্লেস্টেশন ৪ এর জন্য পুনরায় Rerelease দেওয়া হয়। গেমটিতে আপনাকে জেমস আর্ল ক্যাশ এর ভূমিকায় খেলতে হবে। জেমস হচ্ছে একজন মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী। তাকে নিজের জীবন বাঁচাতে একটি snuff film এর বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে হবে।

Manhunt 2

আমাদের আজকের সেরা নিষিদ্ধ গেমসের তালিকায় ২য় স্থানে রয়েছে ম্যানহান্ট ২ গেমটি। এটি ম্যানহান্ট গেমটির সিকুয়্যাল। তবে সিকুয়্যাল হলেও স্টোরিলাইনের মধ্যে কোনো মিল আপনি খুঁজে পাবেন না এই দুটি গেমে তবে গেমপ্লেকে আরো ভায়োলেন্ট করে এই গেমটিকে সাজানো হয়েছে। আর বরাবরের মতোই আগের গেমটির একই পরিনতি হয়েছে এই গেমটিরও, মানে একেও বিশ্বের অনেকগুলো দেশে ব্যান করে দেওয়া হয়েছে।

Grand Theft Auto

জ্বি! বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় গেমস সিরিজ গ্র্যান্ড থেফট অটো নিজেই বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ হয়ে রয়েছে। বিশেষ করে জিটিএ ৪ এবং স্যান অ্যান্ড্রেস গেম দুটি সবথেকে বেশি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আল্ট্রা ভায়োলেন্স, খুন, ডাকাতি ইত্যাদির উপাদান থাকায় এই সিরিজের গেমসগুলোকে ব্যান করা হয়ে থাকে।

Standoff

https://www.youtube.com/watch?v=Zz5Ai_zplxc

আজকের লিস্টের আসল কন্ট্রোভার্সির শুরু এই গেমটি দিয়েই! স্ট্যান্ডঅফ হচ্ছে একটি ফার্স্ট পারসন শুটার ভিডিও গেম যেটিকে ২০১৮ সালে একজন রাশিয়ান ডেভেলপার তৈরি করেছিলেন এবং গেমটি প্রথমে স্ট্রিমে মুক্তি দেওয়া হলেও পরবর্তীতে বির্তকের জন্য গেমটিকে Valve Corporation পুরোদমে পাবলিশার সহ স্ট্রিম থেকে ব্যান করে দেয় এবং গেমটি পরবর্তীতে উন্মুক্ত ভাবে মুক্তি দেওয়া হয়। গেমটির পটভূমি হচ্ছে একটি স্কুলের ভেতরে শুটিং নিয়ে। আপনি গেমটিতে সন্ত্রাসী কিংবা SWAT এর ভূমিকায় খেলতে পারবেন এবং বলা বাহুল্য যে গেমটিতে স্কুলের সিভিলিয়ান এবং পুলিশ সদস্যদের হত্যাকান্ডের সিন থাকায় গেমটির বিরুদ্ধে প্রায় ১ লক্ষ লোক গনসাক্ষরে অংশগ্রহন করে।

Postal 2

এই গেমটি বেশ আগের। ১৯৯৭ সালের পোস্টাল গেমটির সিকুয়্যাল পোষ্টাল ২ গেমটি ২০০৩ সালে মুক্তি দেওয়া হয়। গেমটি একটি “ব্ল্যাক কমেডি” ফার্স্ট পারসন শুটার গেম। এই দুটি গেমই তাদের উচ্চমানের ভায়োলেন্সের জন্য বেশ বির্তক হয়ে রয়েছে। গেমটিতে আপনি “আপনার” নিজের মতো হয়ে খেলতে পারবেন, অর্থ্যাৎ গেমটিতে আপনি জিরো ভায়োলেন্সে কমপ্লিট করতে পারবেন অথবা ভায়োলেন্স দিয়ে ভরিয়ে দিতে পারেন।

Bully

লিস্টে আবারো চলে এসেছে রকস্টার কোম্পানির নাম। কারণ Bully গেমটি বানিয়েছে রকস্টার গেমস আর গেমটি ২০০৬ সালে মুক্তি দেওয়া হয়। গেমটি জিটিএ সিরিজের মতোই একটি ওপেন ওয়ার্ল্ড গেমস যেখানে প্লেয়ার একজন হাইস্কুল স্টুডেন্ট এর হয়ে একটি স্কুলে খেলতে হবে। আপনি স্কেটবোড, স্কুটার, বাইসাইকেল এবং go-kart ইত্যাদিতে চড়তে পারবেন। গেমটিতে বাচ্চাদের জন্য ভায়োলেন্স এবং হমোসেস্ক্রুয়ালিটির জন্য বিভিন্ন দেশে গেমটি ব্যান করে দেওয়া হয়েছে। গেমটি বর্তমানে স্কলারশীপ এডিশন হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস এর জন্যেও মুক্তি দেওয়া রয়েছে।

Command & Conquer: Generals

অনেকেই এই ২০০৩ সালের জনপ্রিয় এই গেমটি খেলেছেন। কিন্তু আপনারা কি জানেন এই গেমটিও চীন এবং কয়েকটি দেশে নিষিদ্ধ! কারণ গেমটিতে আপনি আমেরিকা এবং চীন সহ একটি জঙ্গী গ্রুপের হয়ে এই দুটি দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবেন তাই!

MadWorld

এটি একটি হ্যাক এন্ড স্ল্যাশ গেম। তবে গেমটি ব্যান খায় তার মাত্রারিক্ত ভায়োলেন্সের জন্য। বিশেষ করে গেমটিতে কোপাকুপির আর রক্তের ডিজাইনের জন্য সবার আগে গেমটি জার্মানীতে ব্যান করা হয়। পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যে গেমটি “ক্ষতিকর” ট্যাগে ব্যান করে দেওয়া হয়।

Football Manager 2005

লোল! কখনো শুনেছেন ফুটবল গেমকে ব্যান হতে! জ্বি! ২০০৪ সালের এই ফুটবল ম্যানেজার গেমটি চীনে ব্যান করে দেওয়া হয়েছিলো। কারণটা শুনলে হাসবেন! কারণ হচ্ছে গেমটিতে চীন এবং তাইওয়ানকে দুটি আলাদা দেশ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাই, উল্লেখ্য যে আন্তজার্তিক ভাবে চীনের একটি পলিসি রয়েছে যেখানে চীন, তাইবেত এবং তাইওয়ান এই তিনটি দেশকে একত্রে চীনের আন্ডারে দেখানো হয়েছে।

 

Share This Article

Search