Cryorig M9i! The Budget Stock CPU Cooler Alternative
হ্যালো এভ্রিওয়ান, কম্পিউটেক্সের হাইপের সাথে যখন সবকিছুই গরম তখন ঠান্ডা করার জন্য কুলার তো ফরজ জিনিস। ভিডিও রেন্ডারের সময় বুঝতাম কুলারের ইম্পর্ট্যান্স। তাছাড়া, গেমিং এর টাইমে আমার গরিবি প্রসেসর Core i5 4590 এর হাই টেম্প ফেস করতাম। বলতে গেলে ৮৫ ডিগ্রি যাওয়া কোন ব্যাপারই না।
দোষটা বলতে গেলে স্টক কুলার ইউজ করে আসতেছিলাম এতদিন। অনেকদিন ধরেই CRYORIG M9i কুলারের নাম শুনতেছিলাম। অনলাইনে হালকা পাতলা রিভিউ দেখলাম। তেমন আর কিছু না ভেবে স্টারটেকে দৌড়ে নিয়ে আসি কুলারটি।
অনেক তো বাইরের রিভিউ আছে তার পরেও দেশী বাঙ্গালী রিভিউ করতে দোষ কি। আমাদের কাজই তো এটাই বাংলায় টেকনলজিকাল ব্যাপারকে এনরিচ করা।
তো শুরু করা যাক।
Specification
CRYORIG M9 এর দুটি ভ্যারিয়েন্ট আছে একটি হল CRYORIG M9a যা এমডি সিপিউ এর জন্য এবং অন্যটি হল CRYORIG M9i যা ইন্টেল সিপিউ এর জন্য।
আমি ইন্টেল ইউজার তাই CRYORIG M9i নেওয়া। কুলারটি ইন্টেল সাপোর্টেড LGA 1150,1151,1155,1156 সকেট সাপোর্ট করে। অন্যদিকে CRYORIG M9a এমডি এর FM1,FM2/+,AM2/+,AM3/+,AM4 সকেট সাপোর্টেড। বলতে গেলে অনেকটা ইউনিভার্সাল। এই কুলারটি।
যাইহোক, কুলারটির ডাইমেনশন L*W*H = 87mm*102mm*124.6mm. হাইটের দিক থেকে অনেকটা লো প্রোফাইল একটা কুলার এটি। তাই MATX বা ITX টাইপ কেসে সহজেই ব্যবহার করা যাবে। এর ওজন ৪২৫গ্রাম ফ্যান সহ এবং ফ্যানছাড়া ৩৪৫ গ্রাম।
এর ৩ টি ৬ মিলিমিটার হিটপাইপ আছে এবং এর ফিনের থিকনেস ০.৪ মিলিমিটার যার গ্যাপ রয়েছে ১.৬ মিলিমিটারের টোটাল ৪০ টি মেটাল ফিন।এর কপার বেস C1100 পিউর কপার নিকেল প্লেটেড বেস।
এর সাথে ইনক্লুডেড ফ্যানটি ৯২ মিলিমিটারের ২২০০ আরপিএম এর। যা যথেস্ট সাইলেন্ট। এর নয়েস লেভেল 26.4 dBA এবং এয়ার ফ্লো ৪৮.৪ সিএফএম।
Unboxing And Quick Look
যাইহোক বহুত হল কাগজে কলমে কথাবার্তা। এবার আনবক্সিং করা যাক।
আনবক্স করলেই ভিতরে পাবেন,
১। ব্যাকপ্লেট স্কুরু = ৪ টি
২। থাম্বস্ক্রু = ৪ টি
৩। ফ্যান ক্লিপ= ৪ টি (২ টি এক্সট্রা)
৪। ভাইব্রেশন ডাম্পেনার্স = ২টি
৫। মাউন্টিং আর্ম = ২টি
৬। ৯২ মিলিমিটার ফ্যান = ১ টি
৭। হিটসিংক
৮। এক টিউব থার্মাল পেস্ট
৯। ইন্সটলেশন ম্যানুয়াল এবং ওয়ারেন্টি কার্ড।
আনবক্স করলেই দেখবেন এটি একটি সিংগেল টাওয়ার কুলার। উপরে প্লাস্টিক বেসে ক্রায়োরিগের ব্রান্ডিং করা। 124 mm লম্বা হওয়ায় ছোট বা মাঝারি ফ্রম ফ্যাক্টরের কেসে সুন্দরভাবে এটে যাবে এছাড়া র্যাম ক্লিয়ারেন্স নিয়ে ভাবতে হবে না।
এলুমিনিয়াম ফিনসে মোড়ানো ৩ টি U শেপড নিকেল প্লেটেড কপার হিটপাইপ। ফিনসের মধ্যকার গ্যাপ অনেক কম যা ক্রায়োরিগের হিসেবে বেটার কুলিং পার্ফামেন্স এনশিউর করে।
নিচের কন্ট্যাক্ট বেসপ্লেটটি নিকেল প্লেটেড কপার বেস।
ইনক্লুডেড ৯২ মিলিমিটার ফ্যানটি ৬০০-২২০০ আরপিএম স্পিড তুলতে সক্ষম।
২২০০ আরপিএমে স্পিনের সময়ও তেমন একটা নয়েস ক্রিয়েট করে না। তাই বলতে গেলে একটি স্টেলথি একটি ফ্যান। ফ্যানে কোন আরজিবি নেই।
এছাড়া ফ্যান কানেকটরের তারটি ব্রেডেড যেটা একটি গুড টাচ এই প্রাইস রেঞ্জের একটি কুলারে। তারটি একটু লম্বাতাই রাউটিং এ কোন প্রব্লেম হবার কথা নয়।আর একটা টিউব থার্মাল পেস্ট আছে যা লং টাইম ইউজের জন্য এনাফ।
Initial Performance
হাতের কাছে থাকা ইন্সটলেশন ম্যানুয়াল ছাড়াও ইউটিউবে ইন্সটলেশন প্রসেসের অফিসিয়াল ভিডিও দেয়া আছে।
ইন্সটল করতে বেশি হলে ১০-১৫ মিনিট লাগবে। বলতে গেলে একদম টুললেস ইন্সটলেশন।
কুলারটি সেটাপ করা হয়েছে, Core i5 4590 প্রসেসরে, msi h81m-p33 মাদারবোর্ডে এবং Cooler master haf 912 advanced কেসিং এ।
আইডেল অবস্থায়(প্রায় ১০-১৫% লোডে) অলওয়েজ টেম্পারেচার ৩৬-৩৯ এর মধ্যে থাকবে। যেখানে স্টক কুলারে ছিল প্রায় ৫০ এর আশেপাশে
ফুল লোড টেস্টে(১০০% সিপিউ লোড) এ টেম্পারেচার ৬২ এর মধ্যে থাকবে। স্ট্রেস টেস্ট করার জন্য CPU-Z এর Prime 95 ইউজ করা হয়েছে। যা ডিফারেন্ট লোডে থার্মাল জাংশনের ডিস্ট্যান্সের রিপোর্ট দিচ্ছে।
ডিস্ট্যান্স যত বেশি সিপিউ থ্রটোলিং তত কম। স্টক কুলারে ফুল লোডে টেম্পারেচার প্রায় ৯০ তে উঠেছিল এইধরনের স্ট্রেস টেস্টে। কুলার লাগানোর পর রেজাল্টগুলোর ছবি নিচে দেয়া হল।
এছাড়া গেমিং এ যেমন, CSGO,PUBG ইত্যাদি গেমিং এ ৬০ এর উপরে টেম্প উঠে নি।।
কিছু অন্যান্য রিভিউতে এই কুলারের সাথে কম্প্যারিসনের চিত্র। প্রাইস পার রেশিওতে এর পার্ফামেন্সের চিত্র।
Credit: Techpowerup
Overall Opinion
এককথায় বলতে গেলে এটি হল ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট বাজেট সিপিউ কুলার। স্টক কুলারের সেরা অল্টারেনেটিভ এটি।
যা ভাল লেগেছে,
১। লো প্রোফাইল কুলার।
২। এনাফ পাওয়ারফুল সাইলেন্ট ফ্যান ফর কুলিং
৩। ব্রেডেড ফ্যান কানেক্টর কেবল
৪। ইজি টু ইন্সটল
যা ভাল লাগেনি,
১। আরজিবি বা সিংগেল লাইটের ফ্যান দিতে পারতো। যদিও এইটা নিয়ে কমপ্লেইন করার কিছুই নাই।
২। পিছনের মাউন্টিং ব্যাকপ্লেট মেটাল হলে ভাল হত। তাহলে হয়তো কিছু এক্সট্রা হিট রিডাকশনে সুবিধা করতে পারতো।
ভাল না লাগার তেমন কোন বড় কিছু দেখলাম না কিন্তু নেগেটিভ কিছু না লিখলেও রিভিউটা বায়াসড হয়ে যেত।
এককথায় ব্যাং ফর বাক এই কুলারটি। এর পার্ফামেন্স বলতে গেলে কুলার মাস্টার হাইপার ২১২ ইভো এর সমপর্যায়ের।
বাংলাদেশের মার্কেটে এর দাম ২ হাজার টাকা।
কুলারটি কেনার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এ এম ডি প্রসেসরের ভার্শনটি কেনার জন্য এখানে ক্লিক করুন
রিভিউ শেষ। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারাক।
ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। থাকুন পিসিবিবিডির সাথেই।
আর সময় পেলে পড়ে আসুন এবারের কম্পিউটেক্সে Gamdias তাদের নতুন কি কি জিনিস অফার করছে।
বি:দ্র: ছবির রিসোর্স কম থাকায় প্রোডাক্টের কিছু ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা।