করোনার মধ্যে যখন কম্পিউটার মার্কেট অনেকটাই অস্থিতিশীল, তখন অনেকেই পিসি কিনতে গিয়ে নানাবিধ ঝামেলায় পড়ছেন। দাম বেড়েছে অনেক কিছুই। আবার কিছু কিছু প্রোডাক্টের দাম স্ট্যাবল থাকলেও স্টক পাওয়া যাচ্ছে না। আজকের বিল্ড টা পুরোপুরি গেমিং ফোকাসড। শুধুমাত্র যারা গেমিং করবেন তাদের কথা চিন্তা করেই এই বিল্ড টা বানানো। ৮০ হাজার টাকার গেমিং পিসি বিল্ডের রিকোয়েস্ট ছিল অনেকেরই অনেক দিন ধরে। তারই সুত্র ধরে অনেকদিন পর পিসি বিল্ডার বাংলাদেশের চ্যানেলে আপলোড হলো বহুল আকাঙ্খিত বিল্ড গাইড। এখানে আমরা বিল্ডটির কম্পোনেন্ট, বেঞ্চমার্ক,গ্যালারি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা থাকবে। ভিডিওটি দেখে না থাকলে দেখে নিবেন। লিংক দেওয়া থাকবে।
প্রসেসর:
প্রসেসর হিসেবে আমাদের এই বিল্ডে থাকছে Intel Core i5 9400f যার বর্তমান বাজার মুল্য 14200 Taka। Ryzen 5 3600 ও ব্যবহার করা যেত কিন্ত বর্তমানে উক্ত প্রসেসরটির মুল্য প্রায় ২০ হাজার টাকা এবং যেহেতু এটি একটি গেমিং বিল্ড সেজন্য 9400f পারফেক্ট মনে হয়েছে।তবে প্রায় একই দামে Ryzen 3 3300x ও নেওয়া যেতে পারে (এটি মার্কেটে খুব বেশি এভেলেবল না)
মাদারবোর্ড:
মাদারবোর্ড থাকছে MSI এর B360M Mortar । সাম্প্রতিক সময়ে এন্ট্রি লেভেল মাদারবোর্ডগুলোর মধ্যে খুবই ভালো মানের VRM থাকায় পিসি বিল্ডারদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে ছিল MSI । এমএসআই এর এই বোর্ডটির দাম পড়বে 8400 টাকা। মাদারবোর্ডটি MicroAtx ফর্ম ফ্যাক্টরের এবং সমর্থন করবে 9th, 8th জেনারেশনের প্রসেসর।
র্যামঃ
র্যাম হিসেবে আমাদের প্রথম পছন্দ ছিল Corsairs Vengeance LPX 8×2 GB 2666 DDR4 kit কিন্ত তা স্টকে না থাকায় আমাদেরকে পাঠানো হয় Colorful এর 3600Mhz র্যাম। জেনে রাখা উচিত যে এই সিস্টেমটিতে যত মেগাহার্টজের র্যামই ব্যবহার করা হোক না কেন তা রান করবে 2666 স্পিডেই সুতরাং বাকি স্পিড টুকু অপচয় ছাড়া কিছুই নয় এজন্য আমাদের সাজেশন থাকবে 2666 Mhz এর র্যাম। 2666 এর র্যাম বাজারে একটু কম পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে Corsairs Vengeance না পেলে আপনারা G skill Ripjaw V র্যামটিও কিনতে পারেন। আরজিবি নিতে চাইলে অপশন হিসেবে থার্মালটেক এর টাফর্যাম,জিস্কিল Trident Z , Adata XPG, Corsairs RGB Pro র্যাম ও নিতে পারেন। তবে এগুলো 2666 মেগাহার্টজ নাও পাওয়া যেতে পারে।
স্টোরেজঃ
স্টোরেজ হিসেবে আমরা একটি এসএসডি ব্যবহার করছি। Colorful CN600 120GB NVMe. 500 MBps রাইট স্পিড ও Read Speed 1500Mbps স্পিড এর এই এসএসডিটি রিয়েল লাইফে ডে টু ডে ইউসেজে সেরকম কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। এই এসএসডিটির দাম 2650 টাকা। তবে চাইলে আপনারা ট্রান্সেন্ড এর 810S এসএসডিটিও নিতে পারেন।
পাওয়ার সাপ্লাই:
পাওয়ার সাপ্লাই হিসেবে এই সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়েছে Corsair এর CX550W Bronze Non Modular পাওয়ার সাপ্লাইটি। পাওয়ার সাপ্লাইটির দাম পড়বে 4800 টাকা। এই দামে আরো বেশ কিছু অপশন বাজারে আপনি অবশ্যই পাবেন যেগুলো Bronze সার্টিফায়েড। যেমন Corsair CV 550।
গ্রাফিক্স কার্ডঃ
গ্রাফিক্স কার্ডের ক্ষেত্রে আমাদের পছন্দ ছিল Colorful GeForce RTX 2060 SUPER 8GB গ্রাফিক্স কার্ড যেটি 37500 টাকাতে পেয়ে যাবেন আপনারা। কার্ডটির কুলিং এর জন্য রয়েছে দুটি ফ্যান।। তবে এটি স্টকে না থাকায় আমাদের বিল্ডে ব্যবহার করা হয়েছে Colorful Igame Geforce RTX 2060 Super Ultra-V। ট্রিপল ফ্যানের এই কার্ডটি OC ভার্সন এবং দাম পড়বে ৪১০০০টাকা। ট্রিপল ফ্যান থাকার জন্য বেটার কুলিং ও OC ভার্সন হওয়ায় ওভারক্লকেও এডভান্টেজ পাওয়া যাবে। যদিও আমাদের রেকমেন্ডেশন থাকবে ৩৭৫০০ টাকার কার্ডটিই। যেটি দ্রুত স্টকে চলে আসবে আবার। অপশন হিসেবে ৩৯ হাজারে Zotac এর কার্ডটি রয়েছে সেটিও নিতে পারেন।
সিপিইউ কুলারঃ
কুলার হিসেবে আমরা ব্যবহার করেছি জিগমাটেক হুইজ। এটা আমাদের স্টুডিওতে ছিল, দাম ২০০০ টাকার মত পড়েছিল। এর দামে আরো বেশ কিছু এয়ার কুলার বাজারে পাওয়া যায় যেগুলো আপনারা নিতে পারেন।
Casing:
Cougar এর Turret কেসিংটি আমরা ব্যবহার করেছি। ফ্রন্ট এবং সাইড প্যানেল পুরোটাই থাকবে গ্লাস এই কেসিং এ। যদিও Tinted Black Glass এর জন্য ভেতরের কম্পোনেন্ট এর লাইট খুব বেশি দেখা যায় না। মেশ দেওয়া আছে সামান্য পরিমাণ যা দিয়ে পর্যাপ্ত এয়ারফ্লো হয় না। এটির বাজার মুল্য 4500টাকা। আমাদের প্রথম পছন্দ যদিও ছিল Cougar Turret Mesh কেসিংটিও চাইলে নিতে পারেন যেটির এয়ারফ্লো আরো ভালো। Cougar Mesh এর দাম পড়বে 4100 টাকা। অন্যন্য ভালো এয়ারফ্লো এর যেকোনো কেসিং ও আপনারা চাইলে নিতে পারেন। কেসিংটিতে দুটি রেড LED ফ্যান দেওয়া ছিল।
Alternatives:
আমাদের বিল্ডে ব্যবহার করা কম্পোনেন্টগুলোর মডেল ছাড়াও আরো কিছু অপশন আপনাদের হাতে থাকছে যেগুলোর ছবি মুল্যসহ নিচে দেওয়া হলোঃ
ভিডিও লিংকঃ
বিল্ড করা শেষ, চলুন দেখে নেওয়া যাক বিল্ডের কিছু হাইলাইটসঃ
XMP ইনেবল করাঃ
শুরুতেই ডিলেট চেপে বায়োস সেটিংস এ ঢুকতে হবে। কারন র্যাম বাই ডিফল্ট ২১৩৩ মেগাহার্জে চলছে। এমএসআই এর ইউইএফআই বায়োসের উপরে বাম কোনার এক্সএমপি প্রোফাইল পাবেন। ক্লিক করে অন করে দিয়ে ডান কর্নারে ক্লোজ বাটোন দিয়ে
সেভ করে এক্সিট করতে হবে। এতে একটা রিস্টার্ট এর পরে এক্সএমপি প্রোফাইল চালু হয়ে যাবে এবং র্যামগুলো এই বিল্ডের সর্বোচ্চ ২৬৬৬ মেগাহার্জে চলবে।
পার্ফরমেন্স টেস্ট:Application Benchmarks
আমাদের পারফর্মেন্স টেস্ট শুরু করব সিনেবেঞ্চ আর ২০ দিয়ে। এটা দিইয়ে আমাদের সিপিউটার মাল্টিকোর এবং সিঙ্গেল কোর পার্ফরমেন্স এর একটা পরিষ্কার আইডিয়া পাওয়া যাবে। বেশ কয়েকবার রান করে, এভারেজ করার পরে মালটি কোরে স্কোর পেয়েছি ২৩৩৬ আর সিঙ্গেল কোরে ৪১৬।
গেমিং বেঞ্চমার্কঃ
PUBG:
যদিও বেঞ্চমার্ক এর জন্য পাবজি খুব একটা কাজের গেম না, তারপরও যেহেতু অনেকেই কম্পিটিটিভ গেমিং করেন, তাদের একটা ধারনা দেয়ার জন্য পাবজি, পাব্জি পিসি টাও আমরা বেঞ্চমার্ক করেছিলাম এমএসয়াই আফটার বার্নার দিয়ে। ১০৮০পি রেজুলুশনে সেটিংস ছিল সব আল্ট্রা।
প্রায় ২০ মিনিটের অত্যন্ত নিচু মানের স্কিল দেখিয়ে আমরা এভারেজ এফপিস পেয়েছিলাম ১৩৯ ম্যাক্সিমাম ১৮৬ আর মিনিমাম ৮৪। অর্থাৎ একটা ১৪৪হার্জ মনিটরে দারুন জমজমাট পাবজি খেলা যাবে।
Grand theft Auto v:
এবার সেই গরীবের জান, মোস্ট ফিনান্সিয়ালি সাকসেসগুল গেম অফ অল্টাইম, জিটিএ ফাইভ। প্রায় সাত বছর হলেও এই গেমটি এখনো অনেকেই খেলে থাকেন, তাই এটার বেঞ্চমার্ক অনেককেই আমাদের আজকের বিল্ডের পার্ফরমেন্স নিয়ে একটা ক্লিয়ার ধারনা দেবে।
সব সিনেমাটিক পার হয়ে, ওপেন ওয়ার্ল্ড এসে প্রায় পনের মিনিট মাইর পিট করে, ১০৮০ পি রেজুলুষনে, আল্ট্রা গ্রাফিক্স সেটিংস এ এভারেজ এফপিএস পাওয়া গেছে ১১২, ম্যাক্সিমাম ১৩৯ আর মিনিমাম ৮৩। খুব স্মুথ ছিল এক্সপেরিয়েন্স, যারা জিটিএ ফাইভ খেলার জন্যই গেমিং পিসি বানাতে চান, তারা আশা করি ধারনা পেয়ে গেছেন।
Shadow of The Tomb Raider:
তৃতীয় যে গেমটি আমরা বেঞ্চমার্ক করেছি সেটা হচ্ছে, শ্যাডো অফ দ্যা টুম্ব রাইডার। ডিরেকটএক্স ১২ এ, ডিএলএসএস অফ রেখে, হাইয়েস্ট গ্রাফিক্স প্রিসেট আর ১০৮০পি রেজুলুশনে, ইনগেম বেঞ্চমার্কে ১১৮ এভারেজ এফপিএস পেয়েছি, ম্যাক্সিমাম ছিল ২৩০ এফপিএস আর মিনিমাম ৮৭। ডিএক্সার অন করে এফপিএস বেশ কমে যায়।
যথেষ্ট ডাটা সংগ্রহ করতে না পারায় রেট্রেসিং শ্যাডো হাইয়েস্ট দিয়ে বেঞ্চমার্ক ডাটা এই ভিডিওতে ইনক্লুড করছি না কারন এটা হাইয়েস্ট প্রিসেটে অফ করা, তাই কনফিউশন তৈরি হতে পারে।
Metro Exodus:
সবশেষে গেমটি হচ্ছে, মেট্রো এক্সোডাস গেমটি বেশ বাগি। কিন্তু আরটিএক্স গেম হিসেবে এর বেঞ্চমার্ক অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন। ইন গেম বেঞ্চমার্ক টুলটি বার বার ক্রাশ করায় কিছুটা নিরুপায় হয়ে আফটার বার্নার দিয়ে বেঞ্চ করতে হয়েছে। গেমিং স্কিল খুব খারাপ হবার কারনে
৬/৭ মিনিটের বেশি টিকতে পারিনি, এর মধ্যে এভারেজ এফপিএস পেয়েছি ৬৮, ম্যাক্সিমাম ১০৪ আর মিনিমাম ৩৭। ইনগেম বেঞ্চমার্ক টুলের ডাটা থেকে এখানে কিছুটা তফাৎ থাকতে পারে, তবে সেটা অস্বাভাবিক মনে হয়নি।
স্ট্রেস টেস্টঃ
3DMark Port Royal DXAR:
গ্রাফিক্স কার্ডের পার্ফরমেন্স নিয়ে পরিষ্কার আইডিয়া পাবার জন্যে, ৩ডিমার্ক বেস্ট বেঞ্চমার্ক টুল। ৩ডিমার্ক পোর্ট রয়্যাল ডিএক্সার টেস্টে, ১৪৪০পি রেজুলেশনে গ্রাফিক্স স্কোর পেয়েছি ৫১২৯। এখানে অভারল স্কোর ইঙ্কুল্ড করা হয়নি যেহেতু গ্রাফিক্স কার্ডের পার্ফরমেন্স টেস্ট টাই ছিল আমাদের মেইন টার্গেট।
3DMark Time Spy 1440p(DX12)
৩ডিমার্ক টাইমস্পাই, ডিরেক্টেক্স টুয়েল্ভ টেস্টে, ১৪৪০পি রেজুলুশনে ৮৯১৮ গ্রাফিক্স স্কোর পেয়েছি।
3DMark Firestrike 1080p(DX11)
আর সব শেষে ৩ডি মার্ক ফায়ারস্ট্রাইকে ডিরেকট এক্স ইলেভেন, ১০৮০পি রেজুলুশনে ২২৭৩৬ গ্রাফিক্স স্কোর পেয়েছি। টাইমস্পাই এক্সট্রিম আর ফায়ারস্ট্রাইক আলট্রা বেঞ্চমার্ক করা হয়নি কারন, ২০৬০ সুপার দিয়ে করা এই বিল্ড টা ৪কে গেমিং এর জন্য সুইটেবল না।
টেম্পারেচারঃ
পার্ফরমেন্স টেস্ট একদম শেষে, টেম্পারেচার নিয়ে কথা হবে। কারন বেশি টেম্পারেচার আপনার পিসি হার্ডোয়্যার এর লাইফস্প্যান কমিয়ে দেয়, আবার ঠিকমত কুল না হতে পারার কারনে পার্ফরমেন্স থ্রটল তো আছেই।
কেসের উপরের দুটো ফ্যান ইনটেক হিসেবে সেটা করা হয়েছে, আর পেছনের টা এক্সষ্ট। সামনের ফ্যান দুটোর কাটাউট খুব কম হয়, সামান্য এয়ার ইনটেক ই হবে। আমাদের সেটাপটি কুলিং এ কতটা এফিসিয়েন্ট সেটা পরীক্ষা করার জন্য আমরা স্টেস টেস করব।
১০০% লোডে
অনেকক্ষন যাবত চালালে, সিপিউ এবং জিপিউ এর টেম্পারেচার কেমন হয় দেখা যাক। ৩২ ডিগ্রির কাঠাল পাকা রুম টেম্পে, সিপিউ ৩৮ ডিগ্রি এভারেজ আর জিপিউ ৪৭ ডিগ্রিতে ঝিমাচ্ছিল। এক ঘনটা স্ট্রেস টেস্ট প্রায় শেষ, আমরা ইউনিজিন হ্যাভেন বেঞ্চমার্ক টুলটি চালু রেখে ছিলাম সব সেটিংস ডিফল্টে রেখে শুধু রেজুলুশন ২৫৬০ বাই ১৪৪০পি সিলেক্ট করে দেই। এটা চালু থাকা অবস্থায় জিপিউ তে ১০০% এর কাছাকাছি লোড পড়ার।
একই সাথে আইডা৬৪ স্ট্যাবিলিটি টেস্টে সিপিউ, এফপিইউ এবং ক্যাশ স্ট্রেস দিয়ে চালু রেখেছি। এক ঘন্টা পরে দেখা যাচ্ছে, সিপিউ তে অল কোরে ১০০% ইউসেজ ছিল, এবং সব কোর গুলোতে মিনিমাম, ৬০ ডিগ্রি, ম্যাক্সিমাম ৭৩ ডিগ্রি এবং এভারেজ ৬৯ ডিগ্রি ছিল। থ্যাঙ্কস টু জিগ্মাটেক
হুইজ, এই আফটার মার্কেট কুলার টার বদলে স্টক কুলার টি ব্যবহার করলে টেম্প আরো কিছুটা বেশি থাকার কথা। এবার এক ঘন্টা স্ট্রেস টেস্টে গ্রাফিক্স কার্ডের কি অবস্থা দেখা যাক, মিনিমাম লোড ১৬%, ম্যাক্সিমাম লোড ৯৯% আর এভারেজ লোড ৯৪.৮%। জিপিউর সর্বোচ্চ ক্লক স্পিড ছিল ১৮৬০ মেগা হার্জ আর
এভারেজ ১৭২৮ মেগাহার্জ। তো এই মহামারী চাপের মুখে এর টেম্প দেখা যাক, মিনিমাম ছিল ৭৬ ডিগ্রি, ম্যাক্সিমাম ৮৬ ডিগ্রি আর গড়ে ৮৩ ডিগ্রি। যেটা বেশ এক্সেপ্টেবল টেম্পারেচার। রুম টেম্প ৩২ না হয়ে ২৫ এর মত হলে হয়ত টেম্প ৮০ এর নিচে থাকত।
পরিশেষেঃ
একদম সেম এক্সাক্ট কম্পোনেন্ট না হলেও, পারফর্মেন্স টেস্ট থেকে বোঝা গেল যে আমাদের বিল্ড অনুযায়ী পিসিটি এর কাছিকাছি, অল্মোস্ট সিমিলার পাররফর্ম করবে। অর্থাৎ এই বাজেটে এটাই অলমোস্ট বেস্ট গেমিং পিসি। দয়া করে আর এটার সাথে প্রোডাকভিটির ত্যানা প্যাচাবেন না। সামনে আবারও প্রোডাক্টিভিটি ফোকাসড বিল্ড ভিডিও আসবে।
বলে রাখা ভাল আমরা এই বিল্ডের সাথে ব্যবহার করেছি, আসুস vg249q ১০৮০পি 144hz মনিটরটি, তাই অনেক গেমই আমরা ১৪৪০পিতে টেস্ট করতে পারিনি। তবে ১০৮০পি এর রেজাল্ট দেখে ধারনা করা যায় এই RTX 2060 super বিল্ডে ২কে গেমিংও ভালো ভাবেই সম্ভব। গেমিং এর কথা মাথায় রেখে বিল্ড করলে এই বাজেটে আরো একটি প্রসেসর ও গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে বিল্ড করা যেতে পারতো সেগুলো হচ্ছে Ryzen 3 3300x এবং RX 5700XT তবে মাথায় রাখতে হবে যে Ryzen 3 3300x মার্কেটে বর্তমানে এভেলেবল না এবং গ্রাফিক্স কার্ডটি অর্থাৎ RX 5700XT এর দাম ৪২,৪৩ হাজার টাকা যা আমাদের রেকমেন্ডেড কার্ডটির থেকে ৫,৬ হাজার টাকা বেশি। , যাই হোক আমাদের আজকের বিল্ডটির টোটাল খরচ আসছে 80850 টাকা।
শুধু গেমিং এর কথা মাথায় রেখে,
যারা এই বিল্ডটা করতে চান, তারা যে কোন শপ থেকে দাম আর কম্পোনেন্ট গুলো চেক করে কিনবেন, যেহেতু নিজের টাকায় কিনবেন তাই বুঝে কিনবেন। ধন্যবাদ বিসিএস কম্পিউটার সিটির অরোরাল টেক লিমিটেড কে আমাদের বিল্ডের কম্পোনেন্টগুলো দেয়ার জন্য, ১ তারিখে তাদের কাছেও সব প্রডাক্ট এভেলেবল হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে, চাইলে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। অনেক সময় অনেক অসাধু ব্যবসায়ী ভালো মত রিসার্চ করে না গেলে, ক্রেতা ঠকানোর চেস্টা করে, যেমন এই স্ক্রিন শটটা।
আমাদের বিল্ড গাইড দেখেও যদি কোন কনফিউশন থাকে, তাহলে ডেসক্রিপশনে দেয়া আমাদের হেল্পলাইন গ্রুপে পোস্ট করতে পারেন, আমাদের মডারেটর রা সাহায্য করবে আর তারপরও যদি ৭৭ হাজারে এই ধরনের ডিল কিনেই ফেলেন তবে তার দায় আর ক্ষতি দুটোই আপনার।
আজকের মত ভিডিও এখানেই শেষ করছি। খোদা হাফেজ।