একটা গেমিং ল্যাপটপের মুল ফিচার এর পোর্টেবিলিটি। এর সাথে গেমাররা অনেক কিছুই এক্সপেক্ট করে থাকেন যেমন ভাল প্রসেসর, ভাল মানের জিপিউ এর সাথে হাই রিফ্রেশ রেটের মনিটর থাকলে খারাপ হয় না।
হ্যা এইসব কিছু মিলেমিশে একটি পার্ফেক্ট বান্ডেল হিসেবে বাজারে আছে Asus ROG Strix GL504GM Scar II সিরিজের ল্যাপটপটি। রিভিউ ইউনিট হিসেবে আমাদের হাতে আছে Asus ROG Strix GL504GM Scar II যেটি কিনা জিটিএক্স ১০৬০ ভার্সন। ল্যাপটপটি প্রিমিয়াম সেগমেন্টের ল্যাপটপ।
Unboxing
প্রিমিয়াম লেভেলের ল্যাপটপের আনবক্সিংটা প্রিমিয়াম লেভেলেরই ছিল। বড় বক্সটি আনবক্সিং করলে এর সাথে কিছু গেমিং গ্যাজেটস পাওয়া যাবে যার মধ্যে ছিল হেডফোন, মাউস এবং GL504GM ল্যাপটপটি।
ল্যাপটপের মুল বাক্সটি আনবক্স করলে পেপার ওয়ার্ক্সের সাথে কিছু এক্সেসরিজ, পাওয়ার কেবল এবং কম্প্যাক্ট একটি পাওয়ার ব্রিক পাবেন।
Outlook & Build Quality
আনবক্সিং শেষে GL504GM ল্যাপটপটি হাতে নিয়ে দেখার আগে বলে দেই ল্যাপটপটির দুটি ভ্যারিয়েন্ট আছে। একটি হল স্ক্যার(SCAR) এডিশন এবং অন্যটি হল হিরো(HERO) এডিশন। স্ক্যার এডিশনটিতে wasd বাটনগুলো ট্রান্সপারেন্টভাবে হাইলাইট করা এবং হিরো এডিশনে qwer বাটঙ্গুলো ট্রান্সপারেন্টভাবে হাইলাইট করা।
এর দ্বারা বুঝাই যাচ্ছে হিরো এডিশনটি MOBA গেমারদের জন্য এবং স্কার এডিশনটি হল এফপিএস গেমারদের জন্য।
তা ছাড়া এই মডেলের দুটি ভার্শনের ল্যাপটপে চেঞ্জেস বলতে হিরো এডিশনে ব্যবহার করা হয়েছে GTX1060 অন্যদিকে স্কার এডিশনে দেয়া হয়েছে GTX1070. তা ছাড়া ডিসাইন এবং বাকি হার্ডওয়্যার স্পেসিফিকেশনস প্রায়ই সিমিলার। যাইহোক যথেস্ট স্লিম প্রোফাইলের রিভিউ ইউনিটটি গান মেটাল ভার্শনের। স্কার এডিশনে একটা মিলিটারি ক্যামো দেখা যায় বাট হিরো এডিশনে স্ট্রেইট মেটাল ডিসাইন ইমপ্লিমেন্ট করা হয়েছে।
GL504GM ল্যাপটপটি মিডিয়াম সাইজের। গেমিং ল্যাপটপগুলো সাধারনত বাল্কি হয়ে থাকে কিন্তু এই ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ভিন্ন। এর ওজন প্রায় ২.৫ কেজির মত। এর থিকনেস ২.৬১ সেন্টিমিটারস। থিকনেসের হিসেবে ল্যাপটপটি এত পাতলাও নয় আবার মোটাও বলা যায় না।
দুটির মাঝামাঝি বলা চলে। বিল্ড কোয়ালিটি প্রিমিয়াম গ্রেডের প্লাস্টিক এবং মেটাল মিক্সড রয়েছে তাই কোন ধরনের ফ্লেক্স বা বেন্ড দেখা যায়নি। তার মানে এই নয় যে ল্যাপটপটি হাতুড়ি প্রুফ।
ল্যাপটপের লিডে ROG-এর বড়সড় একটি লোগো আছে যা নরমালি সিল্ভার কালারের দেখালেও আরজিবি ইন্ট্রিগ্রেটেড। ল্যাপটপটি চালু থাকা অবস্থায় বিভিন্ন কালারে লগোটি সাইকেল করতে থাকবে। এছাড়া লোগোটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে কাস্টমাইজেবল।
ডিস্প্লে এর নিচের দিকে আরো একটি ROG-এর লোগো যার ডানপাশে ক্যামেরা এবং মাইক দেয়া আছে। যদিও ক্যামেরার পজিশনটি কনভিনিয়েন্ট না কারন ভিডিও চ্যাটের সময় ল্যাপটপের লিডটিকে নরমালের তুলনায় একটু বেশি তুলতে হবে। তবে এইসব ডিস্প্লেটিকে একটু লিফট দেয়া হয়েছে এবং এর বেজেলকে যথেস্ট ন্যারো করা হয়েছে। ডিস্প্লের ভিউইং এক্সপেরিয়েন্স আমার হিসেবে যথেস্ট ভাল ছিল। ডিস্প্লে এর ব্যাপারে পরে আসছি।
Connectivity
ল্যাপটপের ডান এবং বামপাশে যথেস্ট ইনপুট পোর্ট আছে তাই ডংগল নিয়ে ঘুরার প্রশ্নই আসে না। বামদিকে পাবেন চার্জার পোর্ট,ইথারনেট পোর্ট, মিনি ডিস্প্লে পোর্ট, এইচডিএমাই ২, ২ টি USB 3.1 gen2 পোর্ট, USB type c এবং 3.5mm অডিও জ্যাক।
ডানদিকে কেন্সিংটন লক, একটি USB 3.1 gen2 এবং SD কার্ড রিডার। SD কার্ড রিডার দেয়ার জন্য সাধুবাদ কারন ল্যাপটপটি খালি গেমিং নয় আমরা যারা মিডিয়া রিলেটেড কাজ করে থাকি তাদের জন্য ল্যাপটপটি যথেস্ট কাজের। এইসব ছাড়াও ল্যাপটপটি Bluetooth 5.0 এবং 802.11AC wave2 WIFI সাপোর্টেড। এক্ষেত্রে আসুসের ফিচার হিসেবে আসুসের Range Boost ফিচার আছে যা আসলে ওয়াইফাই এর সিগনাল পাওয়ারের হিসেবে সবচেয়ে শক্তিশালী সিগনালকে এডপ্ট করে। ল্যাপটপের সামনে এবং পিছনে থাকা মোট ৪ টি এন্টেনা এই সিগনাল ধরার কাজটি করে থাকে। তাই যারা অন দ্যা গো গেমিং করে থাকেন তাদের জন্য ফিচারটি যথেষ্ট কাজের একটি ফিচার।
ল্যাপটপের নিচের দিকে এয়ার ভেন্টস ছাড়া আর তেমন কিছুই নেই। ল্যাপটপটিতে আরজিবি কীবোর্ড দেয়া হয়েছে।এছাড়া ল্যাপটপের কীবোর্ড ৪ টি ডিফারেন্ট জোনের কীবোর্ডটি আরজিবি ব্যাকলিট। চিকলেট কীবোর্ড হলেও এভারেজ চিকলেট কীবোর্ডের তুলনায় এটি বেশ প্রিমিয়াম। কী ট্রাভেল ডিস্ট্যান্স যথেস্ট ছিল এবং টাইপিং এবং গেমিং এর জন্য যথেস্ট বাট আমি সাজেস্ট করবো হার্ডকোর গেমার হলে এডিশনাল মেকানিকাল কীবোর্ড ব্যবহার করাই বেটার। কীবোর্ডের নিচে থাকা টাচপ্যাডটি যথেস্ট বড় একটি সার্ফেস ঘিরে আছে যা রেগুলার ইউসেজের জন্য যথেস্ট ভাল এবং রেস্পন্সিভ। মাল্টিটাচের ফিচার রয়েছে এতে তবে টাচপ্যাডের চারপাশে আরজিবি বর্ডার থাকলে মন্দ হত না। যদিও এটা আমার পারসোনাল অপিনিয়ন। টাচপ্যাডের নিচে এক্সট্রা রাইট আর লেফট ক্লিকের বাটন দেয়াা আছে যা অবশ্য তেমন একটা ইম্পর্ট্যান্ট ছিল না। গেমিং এ এসব বাটন কাজেও আসবে না সাধারনত সবাই গেমিং এ এক্সট্রা মাউস ইউজ করে থাকবে আর এক্সট্রা মাউস ল্যাপটপের সাথেই দেয়া হয়ে থাকছে। যাইহোক, টাচপ্যাডের নিচে একটি আরজিবি বার দেয়া হয়েছে এস্থেটিকসের হিসেবে। এছাড়া টাচপ্যাডের আশেপাশে একটা মেটাল টেক্সচার দেয়া আছে যা এস্থেটিকালি লুকস ডোপ/বিউটিফুল।
এছাড়া কীবোর্ডের উপরে কিছু ডেডিকেটেড বাটন বা হট-কীস রয়েছে যেগুলো ভলিউম আপ,ডাউন, মাইক মিউট/আনমিউট, লাস্ট বাটনটি ROG Gaming Center সফটওয়্যারটি ওপেন করার কাজ করে থাকবে।
GL504GM ল্যাপটপের সাইডে স্পিকারর্স দেয়া আছে যা যথেস্ট ভাল সাউন্ড আউটপুট দিয়ে থাকছে। স্পিকারের যথেস্ট ভাল পরিমানের বেস, মিডস এবং হাইস ছিল।
Webcam
ল্যাপটপের ওয়েবক্যাম ৩০ এফপিএস ৭২০পি রেজুলেশন ভিডিও ধারন করতে সক্ষম। ক্যাসুয়াল ভিডিও কলিং অনায়েসে চলে যাবে কিন্তু এই ক্যাম দিয়ে স্ট্রিমিং করাটা টাফ হবে তার একমাত্র কারন এর ক্যামেরা পজিশনের জন্য। যা আগেই বলা হয়েছিল।
Specification
Processor:Intel Core i7-8750H (Intel Core i7)
Graphics adapter: NVIDIA GeForce GTX 1060 (Laptop) – 6144 MB, Core: 1455 MHz, Memory: 8008 MHz, GDDR5, 398.2
Memory(RAM): 16384 MB(16GB) , SK Hynix, DDR4-2666, PC4-21300, 19-19-19-43, Single-Channel
Display: 15.6 inch 16:9, 1920 x 1080 pixel 141 PPI, AU Optronics B156HAN08.2 (AUO82ED), IPS, Full-HD, 144 Hz, glossy: no
Mainboard: Intel HM370
Storage: Toshiba NVMe THNSN5256GPU7, 256 GB ,
Secondary: 1 TB WDC WD10SPZX-80Z10T1 HDD
Screen Size: 15.6″
Screen Type: FHD 144hz No glare, 3ms Response Screen, IPS Level Display
Screen Resolution: 1920×1080
Backlight: LED
Processor: Intel®Core™ i7-8750H Processor 2.2 GHz (9M Cache, up to 4.1 GHz)
Graphics: GeForce® GTX 1060 6GB GDDR5
Storage: 256GB PCI-e SSD, 1TB 5400rpm SSHD
Memory: 16GB DDR4 2666 mhz
Operating System: Windows 10 (64bit)
Lan Ethernet: 10/100/1000,Mbps
Wireless: 802.11 ac 2×2 Wave 2
Bluetooth: Bluetooth 5.0
USB Ports: 1 x USB 3.1 Gen2 (Type-C), 2 x USB 3.1 Gen 1, 1 x USB 3.1 Gen 2
Display Ports: 1x HDMI 2.0
1x Mini Display 1.2
Dimensions 36.1(W) x 26.2(D) x 2.61(H) cm
Weight: 2.4 kgs
Warranty: 2 Year
Extra Features: HD Webcam (30fps@720p), Card Reader, Illuminated,Chiclet Keyboard 4-Zone RGB, Kensington Lock, ROG gaming Center
স্পেক্সের গভীরে যাওয়া যাক। প্রসেসর হিসেবে আছে ইন্টেল কোর আই সেভেন 8750H যা কফিলেক সিরিজের হেক্সাকোর এবং ১২ থ্রেটের ৯ এম্বি ক্যাশযুক্ত একটি প্রসেসর তাই গেমিং এর জন্য প্রসেসরটি যথেস্ট ভাল বলা চলে। প্রসেসরটির বেস ক্লক ২.২ গিগাহার্জে যা কিনা ৪.১ পর্যন্ত বুস্ট পাওয়া সম্ভব। এছাড়া প্রসেসরের সাপোর্টে আছে ১৬ জিবি ২৬৬৬ মেগাহার্জের DDR4 র্যাম। হার্ডকোর ইউজের জন্য কোন গেমারই র্যামের কমতি ফিল করার ব্যাপার নেই এইখানে। মুল স্টোরেজ হিসেবে পাচ্ছেন ২৫৬ জিবি তোশিবা এনভিএমই সলিড স্টেট ড্রাইভ। এছাড়া সেকেন্ডারি লার্জ স্টোরেজ হিসেবে আছে ১ টেরাবাইট ওয়েস্টার্ন ডিজিটালের হার্ড ড্রাইভ।
ও জিপিঊ এর কথা তো বলাই হল না। গেমিং এর মুল চালিকাশক্তি জিপিউ হিসেবে আছে এর এনভিডিয়া জিটিএক্স ১০৬০ ৬ গিগাবাইট ভার্শনটি। একটি ডেক্সটপ গ্রেড গ্রাফিক্স কার্ড দেয়া সত্ত্বেও ল্যাপটপটি যথেস্ট স্লিম প্রোফাইলের এবং সিপিউ এবং জিপিউ ঠিকমত কুল রাখার জন্য উন্নত মানের কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে এই সিরিজের ল্যাপটপে। আসুসের ভাষ্যমতে এর হিটসিংকের ফিনগুলো ০.১মিলিমিটার। বলতে গেলে এটি সুপার থিন এছাড়া এতে যথেস্ট পাওয়ারফুল ফ্যান ইউজ করা হয়েছে। আর সেলফ ক্লিনিং এন্টি ডাস্ট ফিচার আছে যাতে এই ফ্যানের ময়লাগুলো অন্য একটি টানেলের মাধ্যমে অটোমেটিক ক্লিন হয়ে থাকে।
এছাড়া ১২ ভোল্টের স্পেসিফিক ফ্যান ব্যবহার করা হয়েছে এতে যা সাধারন ৫ভোল্টের ফ্যানের তুলনায় অনেক শক্তিশালী। ফ্যানের বুস্ট অন করতে হাইপারফ্যান মুড আছে যা Fn+F5 প্রেস করার মাধ্যমে এক্টিভ হবে।
Display
ইন্টার্নাল পার্টসের সুবিধাদি বলা শেষ, যেটি বলা হয়নি তা এর ডিস্প্লে টাইপ। এই সিরিজের ল্যাপটপে সাধারনত ৬০ হার্জ এবং ১৪৪ হার্জের মনিটর পাওয়া যায়। আমাদের রিভিউ ইউনিটটি ছিল ১৪৪ হার্জের যা ৩ মিলিসেকেন্ড রেস্পন্স টাইমের আইপিএস ডিস্প্লে। ১৯২০ বাই ১০৮০ রেসুলেশনের মনিটরটি একটি গেমিং মনিটর হিসেবে মোর দ্যান গুড বলা চলে কারন এর কালার একুরেসি, কালার গ্যামুট,ব্রাইটনেস, ভিউইং এংগেল সবই যথেস্ট ছিল। তবে কিছু ল্যাপটপে এর ব্যাকলাইট ব্লিডিং ইস্যু দেখা গিয়েছিল। কিন্তু আমাদের রিভিউ ইউনিটে তেমন কোন ব্যাকলাইট ব্লিডিং ইস্যু দেখা যায় নি। আর ল্যাপটপে বিভিন্ন কালার প্রোফাইল দেয়া আছে যা আসুসের Gamevisual এর আন্ডারে ফিচারগুলো পাওয়া যাবে। তবে একটা কথা বলা যায় এই ল্যাপটপটির প্রিভিয়াস মডেল GL503 এর তুলনায় এই ডিস্প্লেটি অনেক বেটার একটি ডিস্প্লে। প্রিভিয়ায়স জেনের হিসেবে ডিস্প্লে সেগমেন্টে যথেস্ট ভাল একটি আপগ্রেড।
User Experience & Benchmarks
এবার আসি হার্ডওয়্যার এবং সফটোওয়ারের সম্মিলিত বেঞ্চমার্কে। আমরা কিছু গেমস এবং সফটওয়্যারস বেঞ্চমার্ক করে দেখবো। দেখা যাক ল্যাপটপটি গেমসগুলোতে কেমন পার্ফামেন্স দিয়ে থাকে এবং প্রোডাক্টিভিটিতে ল্যাপটপটি কেমন ফাস্টার।
Gaming Experience
এই ল্যাপটপটি ইস্পোর্টসের জন্য মার্কেট করা হয়ে থাকলেও এতে ট্রিপল এ গেমগুলো হাই ডিটেলে বেশ ভালোভাবেই এক্সপেরিয়েন্স করা সম্ভব হয়েছে। একটি মিডরেইঞ্জ ল্যাপটপ জিপিইউতে সব গেম আল্ট্রা ডিটেলসে চলবে এমনটা আশা করা আনরিইয়ালিস্টিক। ল্যাপটপটিতে থাকা এক্সেলেন্ট ডিসপ্লে প্যানেলটির এবং হাই রিফ্রেশ রেটের কারণে গেমগুলোকে অনেক বেশি রিস্পন্সিভ এবং জীবন্ত মনে হয়েছে। যারা হাই রিফ্রেশ রেটে গেমিঙয়ের সাথে পরিচিত নন, তারা একবার এই ল্যাপটপটিতে ইস্পোর্টস থেকে শুরু করে যে কোন গেমেই যখন ৬০ এফপিএসের উপরে পারফর্মেন্স থাকবে, তখন বেশ দারুণ একটি গেমিং অভিজ্ঞতার স্বাদ আহরণ করতে সক্ষম হবেন।
Productivity
ইন্টেলের ৮ম প্রজন্মের সবচেয়ে সেরা ল্যাপটপ প্রসেসরগুলোর একটি এই ল্যাপটপটিতে ব্যাবহার করা হয়েছে, অর্থাৎ এর প্রোডাক্টিভিটি পারফর্মেন্স অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। ইন্টেলের সিঙ্গেল থ্রেডেড পারফর্মেন্স সুবিধা থাকার কারণে অডিও এনকোডিঙ থেকে শুরু করে অ্যাডোব ফটোশপ এবং লাইট্রুমের মতো আপ্লিকেশনগুলোতে পারফর্মেন্স খুবই ভালো। তুলনামুলকভাবে ভারী প্রোডাক্টিভিটির কাজ যেমন অ্যাডোব প্রিমিয়ারে ১০৮০পি ভিডিও এডিটিং করার জন্য এই ল্যাপটপটির পারফর্মেন্স ছিলো আশানুরূপ। অত্যন্ত হাই রেজোলিউশান এবং বিটরেটের ভিডিওগুলোর জন্য প্রক্সি ফাইল ব্যাবহার করার পরামর্শ রইলো। ইন্টেলের কুইকসিঙ্ক এনকোডার সহকারে অ্যাডোব প্রিমিয়ারে ভিডিও এক্সপোর্ট বা রেন্ডারিং এর কাজেও ল্যাপটপটি বেশ পারদর্শী।
Final Verdict
আগেই বলেছিলাম ল্যাপটপটি প্রিমিয়াম সেগমেন্টের মধ্যে পড়ে। প্রায় দেড় লাখ টাকা দামের ল্যাপটপটি তাদেরই জন্য যারা বাসা আর হোস্টেল/মেসের মত দুই বা ততোধিক থাকার জায়গা নিয়ে থাকেন।। দুই বাসার মধ্যে দৌড়ের মাঝখানে একটু রিল্যাক্স হবার জন্য যারা গেমিং করে থাকবেন তাদের জন্যই এই গেমিং ল্যাপটপ। এছাড়া GL504GM ল্যাপটপটি প্রোডাক্টিভিটিতে যথেস্ট ভাল সাপোর্ট দিয়ে থাকবে যার মুল কারন এর হার্ডওয়্যার। আর ল্যাপটপটি মুলত ১৪৪ হার্জের মনিটরটি থাকার জন্য বলাই যায় ল্যাপটপটি শুধুমাত্র ক্যাসুয়াল গেমারদেরই নয় বরং হার্ডকোর গেমারদের জন্যও ল্যাপটপটি তৈরী করা। সুতরাং কম্পিটিটিভ গেমগুলো অনায়াসেই ১৪৪ হার্জের মনিটরে উপভোগ করা যাবে। এই প্রাইস রেঞ্জে এটি যথেস্ট একটি ভাল ডিল বলা চলে। ল্যাপটপটির জিটিএক্স ১০৭০ ভার্শনটির দাম পড়বে প্রায় ১৯৮ হাজার টাকা।