স্টেলথ ভিডিও গেমস সেক্টরে হিটম্যান গেমস সিরিজের গেমসগুলো অনেক আগে থেকেই গেমারদের মনে স্থান করে রেখেছে। সিরিজের প্রথম গেমটি মুক্তি দেওয়া হয়েছিলো ২০০০ সালে। আর কিছুদিন আগে সিরিজের সপ্তম গেম Hitman 2 মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এটা ২০১৬ সালের Hitman রিবুট গেমটির সিকুয়্যাল হিসেবে বানানো হয়েছে। কিন্তু নামকরণে রয়েছে একটু কনফিউজিং ব্যাপার। কারণ ২০০৩ সালে হিটম্যান ২ নামের গেম মুক্তি দেওয়া হয়েছিলো, মানে এটা অনেকটাই NFS মোস্ট ওয়ান্টেড গেমটির মতোই অবস্থা আরকি। তবে নামে কি আসে যায় যদি গেমই ভালো না হয়! লোল!

২০১৬ সালের হিটম্যান রিবুট গেমটির সিকুয়্যাল হিসেবে আসায় যারা যারা ২০১৬ সালের হিটম্যান গেমটি খেলেছেন তারা ইতিমধ্যেই বুঝতে পারছেন যে এই গেমটি কি রকম হবে। আর মুক্তির কয়েকদিনের মাথায়ই বিশ্বের গেমিং কমিউনিটি হিটম্যান ২ গেমটি নিয়ে বিভিন্ন রিভিউ দিয়ে দিয়েছে। যারা যারা সিরিজের হার্ডকোর ফ্যান রয়েছেন তাদের জন্য Sandbox স্টাইলের গেমপ্লে নতুনত্ব এনে দেবে; তবে গেমটির কাহিনীচক্রের ডায়ালগ এবং টেকনিক্যাল ইস্যু রয়েছে। আজ আমি সেগুলো নিয়েই কথা বললো মানে গেমটির ৫টি ভালো দিক এবং ৫টি খারাপ দিন তুলে ধরার চেষ্টা করবো মানে সমালোচনা করবো। তবে যারা যারা মনে করছেন ২০১৬ সালের মতোই এই গেমটিও একই ধাঁচের হবে তাদেরকে বলবো যে না এটা ২০১৬ সালের গেমটির অনেক গেমপ্লে উপদানকে মিস করছে।

যেমন ২০১৬ সালের গেমটি এপিসোড ভিক্তিক হলেও এই হিটম্যান ২ গেমটিকে এপিসোড ভিক্তিক বানানো হয় নি। আর মিশনের কথা বলতে গেলে গেমটিতে রয়েছে মূল ৬টি মিশন যেটা ৬টি ভিন্ন ভিন্ন পটভূমিতে সাজানো হয়েছে। এদের মধ্যে একটি মিশনে হিটম্যানকে মানে আপনাকে Miami এর একটি রেসট্রাকে গিয়ে একজন রেসারকে এবং তার বাবাকে খুন করতে হবে। অন্যদিকে ২০১৬ সালের গেমটির মতোই হিটম্যান ২ গেমটিতে রয়েছে টাইম-লিমিটেড “Elusive Targets” মিশন, আর যারা যারা হিটম্যান ২ গেমটিকে প্রিঅর্ডার করেছিলেন তারা ইতিমধ্যেই Sniper Assassin নামে একটি co-operative multiplayer mode পেয়ে গিয়েছেন। এই মোডে টার্গেটগুলোকে স্নাইপার রাইফেলের মাধ্যমে নিদির্ষ্ট সময়ের মধ্যে হত্যা করতে হবে, আর Agent 47 ক্যারেক্টারের পাশাপাশি এই মোডে প্লেয়ার Knight এবং Stone ক্যারেক্টারেও খেলতে পারে, এরা নিজস্ব ইউনিক Ammo বহন করে থাকবে।

এই ছিলো গেমটির বেসিক ইনফো, এবার আসুন দেখে নেই গেমটির ভালো এবং মন্দ দিকগুলো। শুরু করছি গেমটির মন্দ দিকগুলো দিয়ে:

Hitman 2 এর নেগেটিভ সাইডগুলো

AI সিস্টেম অতটা ভালো নয়

হিটম্যান সিরিজের AI বা NPC দেরকে বেশ বুদ্ধিমত্তার সাথেই সাজানো হয়ে থাকে, এমনটাই আমরা দেখে আসছিলাম সিরিজের বিগত গেমসগুলোতে। কারণ শত্রু যত বুদ্ধিমান হবে এই জাতীয় স্টেলথ গেমে তাদেরকে মারতে ততটাই মজা পাওয়া যাবে। তবে দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে হিটম্যান ২ গেমটির AI ক্যারেক্টারগুলোকে অনেকটাই রোবেটের মতোই লাগছে। আর তাই ২০১৬ সালের হিটম্যান গেমটির থেকে তুলনামূলক সহজভাবেই মিশনগুলো পার করা যাবে। গেমস বেশি কঠিন হলেও সমস্যা আবার অনেক সহজ হলেও সমস্যা। বিশেষ করে গেমটির সিকুরিটি গার্ডদের ইন্টেলিজেন্সকে প্রায় শূন্যের কাছাকাছি নিয়ে আসা হয়েছে গেমটিতে। সিকুরিটি গার্ডদের সামনে ডেড বডি থাকলেও অনেকসময় তারা এটাকে চিনতে পারে না। এছাড়াও সিভিলিয়ানরাও ডেড বডি দেখলে তেমন “বাস্তবসম্মত” রিঅ্যাকশন দেয় না, যেটা দেখলে অনেক সময় আপনার হাসি আসতে পারে। তবে আমি বলছি না যে গেমটির AI সিস্টেম একদমই খারাপ, তবে গেমটি তুলনামূলক অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।

স্টোরিলাইন আকর্ষণীয় নয়

হিটম্যান সিরিজের সবথেকে “বোরি” স্টোরিলাইন রয়েছে এই গেমটিতে। স্টোরিলাইনটি বেশ Fast pased হিসেবে সেট করা হয়েছে এবং স্টোরিলাইন মোডে খেলার সময় আপনার সামনে অনেকগুলো ক্যারেক্টারের নাম চলে আসবে এবং গেমটি খেলতে খেলতেই আপনি তাদের অনেকেরই নাম ভূলে যাবেন। হিটম্যান ২ গেমটির স্টোরিলাইন সিরিজে অনান্য গেমের তুলনায় “Bellow Average” হয়েছে। স্টোরিলাইনের একটি জিনিসই আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লেগেছে তা হলো Agent 47 এবং তার হ্যান্ডেলার Diana এর মধ্যকার বিষয়টি। স্টোরিলাইনের ব্যাপারে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান IO তেমন গুরুর্ত্ব না দিলেও মনে হয় তাদের মূল ফোকাস ছিলো standalone assassination missions গুলোর উপর।

লোডিং টাইম অনেক বেশি

হিটম্যান সিরিজের গেমসগুলোর মূল মজা হচ্ছে এতে কোনো লাইনার গেমপ্লে স্টাইল ব্যবহার করা হয় না। একটি অবজেক্টটিভকে কমপ্লিট করতে হলে আপনি নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে বিভিন্ন রাস্তা অবলম্বন করে সেটাকে কমপ্লিট করতে পারেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন স্ট্রাটেজি আপনি অনুসরণ করতে পারেন আর সেটাও এই হিটম্যান ২ গেমটিতেও রয়েছে। তবে গেমটির এক লেভেল থেকে অন্য লেভেলে যেতে কিংবা গেমটির শুরু করার সময় লোডিং টাইম অনেক বেশি লাগছে। প্লেস্টেশন ৪ এর বেইস মডেলে লোডিং টাইম ৪০ সেকেন্ডে চলে যায়। গেমটি সেভ করতে পাক্কা ১০ সেকেন্ড লাগে যেখানে অনান্য গেমসগুলো ১ সেকেন্ডের মধ্যেই সেভ করে ফেলে। তবে যাদের কম্পিউটার মিডিয়াম বা নিম্ন পারফরমেন্সের সেখানে লোডিং টাইম বেশি লাগাটাই স্বাভাবিক কিন্তু যারা প্রিমিয়াম কম্পিউটার বা কনসোল নিয়ে খেলে থাকেন তাদের ক্ষেত্রেও লোডিং টাইম বেশি লাগছে, তাই আপনার ডিভাইসে সমস্যা আছে এটা আপনার মনে হতে পারে। অনান্য গেমসগুলোর লোডিং টাইম যেখানে ১০-১৫ সেকেন্ডের মধ্যে থাকে সেখানে এই গেমটির লোডিং টাইম ৪০ সেকেন্ড মানে অনেকটাই দেরি করে গেমটি লোড হবে।

কাটসিন চমকপ্রদ নয়

২০১৬ সালের হিটম্যান গেমটির সিনেমাটিক কাটসিনের যদি প্রেমে পড়ে থাকেন তাহলে এই হিটম্যান ২ গেমটির আপনাকে নিরাশ করবে। কারণ হিটম্যান ২ গেমের কাটসিনগুলো দেখলে মনে হবে যে এগুলো Narrated slideshows! অর্থ্যাৎ মনে হবে যে কয়েকটি stil ইমেজকে এনিমেশনের মাধ্যমে ভয়েসওভার দিয়ে সাজানো হয়েছে! এটার কারণ? গত বছর IO Interactive আর Square Enix এর মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছে আর যার ফলাফল হিটম্যানের মতো পপুলার গেমস সিরিজের উপর পড়েছে। তবে আর যাই হোক, এই গেমের Cinematics স্টাইলটি যাতে সিরিজের আপকামিং গেমসগুলোতে রিপিট না হয় সেটাই এখন ফ্যানদের চাওয়া।

হিটম্যান সিজন ২!

যারা যারা ২০১৬ সালের গেমটি খেলেছেন তাদের কাছে এই গেমটি একটি সিকুয়্যাল মনে হবে না। কারণ তেমন কোনো আপগ্রেড নেই বরং কয়েকটি ক্ষেত্রে আরো ডাউনগ্রেড হয়েছে গেমটি। তাই অনেকেই একে হিটম্যান ২ না বলে ২০১৬ সালের হিটম্যান গেমটির ২য় সিজন বলে আখ্যায়িত করছেন।

এই ছিলো হিটম্যান ২ গেমটির মন্দ বা Cons দিকগুলো। এবার চলুন দেখে নেই গেমটির ভালো দিকগুলো কি কি যেটার জন্য আপনি AAA ট্যাগলাইনের অর্থ খরচ করে গেমটি কিনবেন:

Hitman 2 এর পজিটিভ দিকগুলো

ডাইনামিক ও মজাদার মিশন


যদিও গেমটি মাত্র “৬টি” মিশন নিয়ে রিলিজ পেয়েছে তাই এ নিয়ে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করে থাকবেন, তবে মিশনগুলো বেশ ডাইনামিক ও আপনি যদি গেমটির মন্দদিকগুলোকে ভূলে যান আর আগে হিটম্যান সিরিজের কোনো গেমস না খেলে থাকেন তাহলে গেমটির স্টোরিলাইন মিশনগুলো আপনার কাছে বেশ “মজাদার” লাগবে। বিশেষ করে প্রত্যেকটি মিশনগুলো কমপক্ষে ২টি একদম ভিন্ন পন্থায় আপনি ওভার দিতে পারবেন। স্টেলথ হিসেবেও খেলতে পারবেন আবার হিট এন্ড রান মানে উড়াধুড়া গোলাগুলি পন্থায়ও গেমটি খেলতে পারবেন। আবার স্টেলথ হিসেবে খেলতে গেলে দেখবেন যে মিশন কমপ্লিট করার জন্য অনেকগুলো ভিন্ন ভিন্ন পন্থা গেমটিতে ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। আর অন্যদিকে মূল মিশনের মাঝেই আপনি পাবেন বিভিন্ন সাইড মিশন যেগুলো কমপ্লিট করলে মূল মিশনটি আপনার কাছে আরো “মজাদার” মনে হবে। আর গেমটির ফাইনাল মিশনটি ওভার করতে আপনার কমপক্ষে ১ ঘন্টার তো লাগবেই!

এপিসোড নির্ভর নয়


হিটম্যান ২ গেমটির প্লাস পয়েন্ট যদি বলতে হয় তাহলে এই বিষয়টি অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। ২০১৬ সালের হিটম্যান গেমটি বেশ ভালো ছিলো, কিন্তু সে গেমটি এপিসোড ভিক্তিক ডিজাইন করায় সেটার ৬টি স্টোরিলাইন মিশন খেলার জন্য গেমারদেরকে পাক্কা ৮ মাস ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছিলো। এই এপিসোড ভিক্তিক সিস্টেম ট্রাই করতে গিয়ে লাভ ও ক্ষতি দুটোই হয়েছে। যারা যারা প্রতিটি মিশনগুলোর সমস্ত বিকল্প পন্থাগুলো উন্মোচন করে করে খেলতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এপিসোড ভিক্তিক সিস্টেমটি দারুণ। কিন্তু যারা ক্যাজুয়াল গেমার (যাদের সংখ্যা সবথেকে বেশি) তাদের জন্য এই এক একটি এপিসোডের জন্য মাসখানেক অপেক্ষা করাটা অনেক বিরক্তিকর।

গর্জিয়াস বড়সড় Sanbox লেভেল!


Sandbox টাইপের লেভেল ডিজাইন আমরা ২০১৬ সালের হিটম্যান গেমটিতে দেখেছিলাম আর এবারের হিটম্যান ২ গেমটিতেও আমরা সেটা দেখতে পারবো। তবে গ্রাফিক্সের কথা বলতে গেলে ২০১৬ সালের গেমের গ্রাফিক্সের থেকে তেমন কোনো উল্লেখ্যযোগ্য আপগ্রেড আপনি দেখতে না পেলেও মিশনগুলোর ডাইনামিক আবহওয়া এবং মিশনগুলোর লোকেশনের ভিন্নতা গেমটিতে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর মিশনগুলোকে নিজের মতো করে কিভাবে পার করা যায় সে চিন্তাতেই আপনি গেমটির এক একটি মিশনগুলোতে বেশ সময় ব্যয় করবেন, আর এটাই হিটম্যান গেমস সিরিজের মূল আকর্ষণ।

সলিড সাইড মিশন


অনান্য গেমসগুলোতে আপনি সাইড মিশন পাবেন, আর হিটম্যান ২ গেমের আপনি পাবেন সাইড মিশন। কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে হিটম্যান ২ গেমটির মূল মিশনে থাকা অবস্থাতেই আপনি বিভিন্ন সাইড মিশন খেলতে পারবেন যেগুলো কমপ্লিট করলে আপনার মূল মিশনগুলো ওভার করা অনেকটাই সহজ হয়ে পড়বে। মানে মূল মিশনের মধ্যেই সাইড মিশন! আর আলাদা মোড তো রয়েছেই। Sniper Assassins মোডে আপনাকে স্নাইপার রাইফেলের মাধ্যমে তিনটি টার্গেটকে খুন করতে হবে তাদের পালিয়ে যাবার আগেই, এটা আপনি সোলো হিসেবে খেলতে পারবেন আবার অনলাইন বন্ধুর সাথেও খেলতে পারবেন। Ghost Mode টিতে আপনি আর আরেকজন অনলাইন প্লেয়ারের সাথে এক প্রকার রেস মাধ্যমে খেলতে পারবেন যেখানে যে সবার আগে টার্গেট কে খুন করতে পারবে সে বেশি স্কোর অর্জন করতে পারবে। এটা হিটম্যান অনলাইন গেমিংয়ের নতুন আকর্ষণীয় সংযোজন। অন্যদিকে প্লেয়ারদের নিজস্ব মিশন ক্রিয়েট করার সুযোগও থাকছে Contracts মোডের মাধ্যমে যেখানে অনলাইনে পোষ্টকৃত প্লেয়ারদের নিজস্ব হিট টার্গেট মিশনগুলোও আপনি ডাউনলোড করে খেলতে পারবেন। গেমটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান IO বলেছে যে গেমটিতে আরো কনটেন্ট অতি শীঘ্রই আনা হবে।

শক্তিশালী রিপ্লে (Re-play)


গেমটির সবথেকে ভালো এবং আকর্ষণীয় ও ইউনিক ফিচার হচ্ছে সম্পূর্ণ গেমটি ২/৩ ভাবে আপনি ওভার দিতে পারবেন। আপনি যদি গেমটিকে Rambo স্টাইলে উড়াধুড়া কল অফ ডিউটির স্টাইলে খেলেন তাহলে সম্পূর্ণ গেমটি ওভার দিতে আপনার ৫ থেকে ৬ ঘন্টার মতো লাগবে। কিন্তু আপনি যদি স্টেলথ ভাবে খেলেন তাহলে এক একটি মিশনেই গড়ে এক ঘন্টার মতো আপনার লাগতে পারে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে এখানেই আপনি গেমটিকে পূনরায় খেলতে পারবেন সম্পূর্ণ ভিন্ন স্টাইলে (স্টেলথ অথবা ডাইরেক্ট কমবাট)। অনেক সিঙ্গেল প্লেয়ার গেমস রয়েছে যেগুলো একবার গেম ওভার করে ফেললে আবার খেলতে মন চাবে না কিন্তু হিটম্যান ২ গেমটি আপনি একটি ভাবে একটি স্টাইলে গেম ওভার করে ফেলার পর চাইলে আবারো পুরো গেমটিকে অন্য স্টাইলে খেলতে পারবেন এবং সেটা আপনাকে বোর করবে না। আর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ভাষ্যমতে প্রতিটি মিশনের সম্পূর্ণ মজা পেতে হলে প্রত্যেকটি মিশন ২/৩ বার করে ওভার করা উচিত। আর অন্যদিকে মিশনগুলো re-play করলে গেমটিতে আপনার XP বুস্ট হবে, শুরুতেই শক্তিশালি অস্ত্রের লোডআউট পাবেন আর মিশনের শুরু থেকেই এরিয়াগুলোকে আপনি আনলক করার সুযোগ পাবেন। তাই বলা হচ্ছে যে মাত্র ৬টি মিশন থাকলেও গেমটি ক্যাজুয়াল গেমারদের ১৫ থেকে ২০ ঘন্টার মতো আনন্দ দিতে পারবে আর হার্ডকোর গেমারদের ৫০+ ঘন্টার বিনোদন হয়ে থাকবে গেমটি।

তো এই ছিলো Hitman 2 (2018) গেমটি নিয়ে আমার রিভিউ। সকল গেমসেরই ভালো এবং মন্দ দিক থাকে আর হিটম্যান ২ গেমটিও তার ব্যতিক্রম নয়। মন্দ দিক থাকার পরেও হার্ডকোর হিটম্যান সিরিজের ফ্যানদের জন্য গেমটি বেশ ভালো বিনোদনের উৎস হবে আর ক্যাজুয়াল গেমারাও গেমটি খেলে মজা পাবেন বলে আমি আশা করি।

নিমার্ণতা:
IO Interactive

প্রকাশক:
Warner Bros

সিরিজ:
হিটম্যান

খেলা যাবে:
মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ভিক্তিক পিসিতে
এক্সবক্স ওয়ান এবং
প্লেস্টেশন ৪ কনসোলে

মুক্তি পেয়েছে:
১৩ নভেম্বর ২০১৮

খেলার ধরণ:
স্টেলথ

খেলার মোড:
সিঙ্গেল এবং অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার

সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টস:

নুন্যতম
অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৭ (৬৪বিট)
সিপিইউ ২য় প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ৫ ৩.৩ গিগাহার্জ
এএমডি ফেনম II X4 940 ৩.০ গিগাহার্জ
র‌্যাম ৬ গিগাবাইট
GPU র‌্যাম ২ গিগাবাইট
গ্রাফিক্স কার্ড জিফোর্স জিটিএক্স ৬৬০
রাডিয়ন এইচডি ৭৮৭০
ডাইরেক্স এক্স ১১
হার্ডডিক্স ৬০ গিগাবাইট ফ্রি স্পেস

Share This Article

Search