গত অর্ধযুগে আমাদের দেশের পিসি মার্কেটে Ryzen 5 5600G এর থেকে বেশি বিক্রি হওয়া প্রসেসর আর কোনো টা আছে এই কথা বলা কঠিন।একই সাথে Ryzen 7 5700G ও সমান তালে বিক্রি হচ্ছে। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই প্রসেসর দুটি একচেটিয়াভাবে ৩০-৪০ হাজার রেঞ্জ এর বাজেট বিল্ডগুলোর প্রসেসর হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। হাজার হাজার পিসি বিল্ড এ দুটি প্রসেসর দিয়ে হচ্ছে বা হয়েছে। কিন্ত এই প্রসেসরগুলো নিয়ে রয়েছে বেশ কিছু ভুল ধারণা, যেগুলোর জন্য ক্রেতারা এই প্রসেসর দিয়ে বিল্ড করার সময় বেশ কিছু ভুল কম্পোনেন্ট বাছাই করে ফেলেন, অতিরিক্ত টাকা খরচ করে ফেলেন কিন্ত পরবর্তীতে তার জন্য কোনো বাড়তি সুবিধা পান না।।
ছবিস্বত্তঃ Hardware Unboxed,PC Builder Bangladesh,UFD Tech,Gamers Nexus,Hardware Canucks
5600G বা 5700G কি অনেক শক্তিশালী? 5600G বা 5700G এর সাথে অন্যান্য প্রসেসরের মুল পার্থক্য কি?
কি ধরনের কাজ করা যায় 5600G বা 5700G দিয়ে,এগুলো থেকে কতটুকু Expectation রাখা উচিত এটা নিয়েও বড় রকমের ভুল ধারণা আছে আমাদের দেশের ক্রেতাসাধারণ এর মাঝে।প্রথমত অনেকেই মনে করে থাকেন 5600G অনেক বেশিই শক্তিশালী একটি প্রসেসর, এটা দিয়ে মিডিয়াম হাই লেভেলের গ্রাফিক্স এর কাজ, ভিডিও এডিটিং এর কাজ বা গেমিং খুব ভালো ভাবে করা যাবে অনেকেই মনে করে থাকেন। আর চারিদিকে অনেক বেশি বিল্ড Ryzen 5 5600G ও Ryzen 7 5700G দিয়ে হচ্ছে বলে কেও কেও বিনা সন্দেহে, বিনা গবেষণায় শুধুমাত্র অন্যের দেখাদেখি, হুজুগের বশে এটার প্রতি পুর্ণ আস্থা রেখে ফেলেন।
ছোট খাটো দোকান এর নিজস্ব ভ্লগ চ্যানেল,ছোট বড় নানান ভ্লগার এর টেক ভ্লগ গুলোও এর জন্য অনেকাংশেই দায়ী। মোট কথা বাংলাদেশের পিসি বিল্ডিং এর উল্লেখযোগ্য একটা অংশ দখল করে আছে, বলতে গেলে ৭০% ই দখল করে আছে ২০-৪০ হাজার বাজেট রেঞ্জ।। আর গেলো কয়েক মাসে সেই জায়গাটার এক চেটিয়া আধিপত্য এই দুটি প্রসেসরের।
কেনার পর অনেকেই দেখা যায় অনেক ভারি কাজ করতে যান, ভিডিও এডিটিং,গ্রাফিক্স ডিজাইনিং বা গেমিং করতে চান। কিন্ত তখন তাদের আশার সাথে বাস্তবতা আর মেলে না।
Why so popular
আমাদের 5600G এর সাথে অন্যান্য প্রসেসরগুলোর মুল পার্থক্য জেনে নেওয়া দরকার।একই সাথে এই প্রসেসরগুলোর জনপ্রিয়তার কারণ+কোন কোন কাজের জন্য আসলে এগুলো suitable তাও জেনে নেওয়া উচিত। AMD এর AM4 প্লাটফর্মের প্রসেসরগুলোতে ইন্টেলের মত with GPU,Without GPU ভ্যারিয়েন্ট ছিল না। যেগুলোর শেষে G suffix থাকতো,সেগুলোতেই কেবল iGPU থাকতো।
আর এই iGPU গুলোর বৈশিষ্ট্য যদি বলি, এগুলোর পারফর্মেন্স ছিল তৎকালীন ইন্টেল প্রসেসরগুলোর সাথে যে iGPU গুলো থাকতো, অর্থাৎ HD600,HD700 এগুলোর থেকে অনেকটাই ভালো। এই প্রসেসরগুলোকে AMD APU হিসেবে বাজারজাত করতো। 3000 সিরিজে Ryzen 3,5 ও 4000 ও 5000 সিরিজে Ryzen 3,5 ও 7 টিয়ারে লঞ্চ করা হয়েছিল এই প্রসেসরগুলোকে।
এই প্রসেসরগুলোর মুল টার্গেট ছিল ১০০-১৫০ ডলার এর বাজেটরেঞ্জ । পরে অবশ্য 5600G,4600G,5700G,4700G তে বাজেট রেঞ্জ কিছুটা বড় হয়েছে।। দেখা যেত যে এই বাজেটে ইন্টেলের কোর আই থ্রি প্রসেসর ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যেত না , 5000,4000 সিরিজের ক্ষেত্রে কিছু আই ফাইভ প্রসেসরের মডেল পাওয়া যেত।
শক্তিশালী iGPU, intel GPU এর ব্যর্থতা, ৩০০০ সিরিজের জনপ্রিয়তা, Corona
এই প্রসেসরগুলোর মুল সুবিধা বা শক্তির জায়গাই ছিল iGPU গুলো।যেখানে ইন্টেলের GPU গুলো দিয়ে গেম চালানোই দুষ্কর হয়ে যেত, video edit করা বা অন্যান্য productive কাজ করা একেবারেই অসম্ভব ছিল,সেখানে AMD এর VEGA GPU হালকা পাতলা ভিডিও এডিটিং এর কাজ, লো সেটিংস এ Esports,পুরাতন গেম, তুলনামুলক কম demanding বা better optimized/lighter গেম গুলো মোটামুটি খেলে নেওয়া যেত। বিশেষ করে CSGO,, VALORANT, FIFA ,League of Legends,DOTA 2 ইত্যাদি কিংবা হালের Free Fire,PUBGM। এজন্যই ব্যাপক জনপ্রিয় হয় এই প্রসেসরগুলো। আর 3000 সিরিজে মাত্র ৪ কোর পর্যন্ত থাকলেও 4000,5000 সিরিজে এসে ৬,৮ কোরের ও APU বের করে AMD।
অন্যদিকে লো বাজেটে ইন্টেলের অন্যান্য প্রসেসর ( সে সময় Intel 10th gen,9th Gen,11th Gen,8th Gen এভেইলেবল ছিল)। গুলো লো সেটিংসেও এইই ধরনের গেম গুলোতে এই APU গুলোর তুলনায় অনেক বাজে পারফর্ম করতো।। সেই সাথে গ্রাফিক্স এর অন্যান্য যেসব বেসিক কাজ,ভিডিও এডিটিং বা বেসিক প্রোডাক্টিভিটিও AMD তেই বেশি ভালো ভাবে করা যেত। এসব কারণেই বেশি জনপ্রিয় হয় এই সিরিজ। মুলত 3000 সিরিজের জনপ্রিয়তার জেরেই 5000 সিরিজের সেল,হাইপ, চাহিদা আরো কয়েক ধাপ বেড়ে যায় শুরু থেকেই। মাঝে করোনার সময়ে গ্রাফিক্স কার্ডের দাম যখন আকাশ ছুয়েছিল, তখন বাজেট বিল্ডারদের একমাত্র ভরসা ছিল এটাই।
AMD এর এই VEGA GPU এর পারফর্মেন্স মোটামুটি GT 1030 এর আশেপাশে। এটাও অনেকে প্রলুব্ধ করে এই গ্রাফিক্স কার্ডটির প্রতি আকর্ষিত হতে।
সব কাজ GPU Based নয়:
তবে এখানে একটা ব্যাপার বারবার ভুলে যান অনেকেই। বা নতুন বিল্ড করার ক্ষেত্রে ঠিকভাবে এই বিষয়ে চিন্তাও করেন না। Ryzen G প্রসেসরগুলোর ইন্টারনাল গ্রাফিক্স তুলনামুলক শক্তিশালী এ কথা যেমন সত্য তেমনি আপনার কাজের সাথে G সিরিজের প্রসেসরের শক্তি-দুর্বলতা নাও মিলতে পারে এই কথাও সত্য। গ্রাফিক্স ভালো হলেও তা দিয়ে যেমন শুধুমাত্র লো সেটিংসে পুরাতন গেম বা কিছু Esports ই কেবল ভালোমত খেলা সম্ভব(কিছু ক্ষেত্রে 720p রেজুলুশনেও যাওয়া লাগে), তেমনিভাবে এই iGPU দিয়ে গ্রাফিক্স এর কাজ,ভিডিও এডিটিং,রেন্ডারিং এর মত কাজ ও যে হাই লেভেলে বা মিডিয়াম লেভেলে ভালো ভাবে করা যাবে সে কথা বলার সুযোগ নেই… খুবই অল্প পরিমাণ VRAM, ডুয়াল চ্যানেলের আবশ্যকতা, মেইন মেমোরির স্পিডের উপর ভিডিও মেমোরির নির্ভরশীলতা,ভিডিও মেমোরির লো কনফিগারেশন ইত্যাদি নানান সীমাবদ্ধতা তো আছেই।
এগুলো ছাপিয়ে বড় সমস্যা যেটা হয় সেটা হচ্ছে, সব কাজে iGPU লাগে না। অর্থাৎ সব সফটওয়্যার, সব টাস্ক, সব ধরনের কাজই যে গ্রাফিক্স এর উপর নির্ভরশীল,গ্রাফিক্স এর পাওয়ার ব্যবহার করে এই কথাটি সত্য নয়। সব প্রোডাক্টিভিটিতেই CPU এর একটা বড় ভুমিকা থাকে। কিছু কিছু সফটওয়্যার এরকম ও আছে যে যেগুলোর কাজ সম্পুর্ণই প্রসেসর নির্ভরশীল, সেখানে iGPU কত শক্তিশালী বা কত দুর্বল সেটা সমস্যা সৃষ্টি করে না। বরং এসব ক্ষেত্রে সিপিইউ এর পারফর্মেন্সটাই বেশি গুরুত্ব পায়।
অনেক সফটওয়্যারই রয়েছে যা সিঙ্গেল কোর পারফর্মেন্স এর উপর নির্ভর করে, কিছু আবার মাল্টিকোর ডিপেন্ডেন্ট, কিছু আবার সিঙ্গেল,মাল্টিকোর পারফর্মেন্স, দুইটাকেই গুরুত্ব দেয়। বেশি কোরের গুরুত্ব যেমন রয়েছে, কোরের ক্লক স্পিড ও ফেলে দেওয়ার মত বিষয় নয়।। আবার কিছু কাজ রয়েছে ক্যাশ মেমোরি sensitive, অর্থাৎ ক্যাশ যত বেশি, কাজ তত দ্রুত।
অনেকেই ঠিকঠাক ভাবে খোজ নেন না যে তার কাজের জন্য,তার ব্যবহার করা সফটওয়্যারগুলোর জন্য আসলে তার কি প্রয়োজন।
typical G processor trends:
এই ব্যাপারটি অনেকেই জানেন, অনেকেই বা জানেন না যে জি সিরিজের ইন্টারনাল গ্রাফিক্স কিছুটা পাওয়ারফুল হলেও প্রসেসর সেকশন টা তুলনামুলক একটু দুর্বল হয়ে থাকে। দেখা যায় যে ইন্টেলের অকার্যকর iGPU যুক্ত i9 iGPU টেস্টে 5700g বা 5600g এর সাথে পারছে না বা একই রকম পারফর্ম করছে কিন্ত বাজেটের বা কম্পিটিশনের অন্যান্য প্রসেসরগুলোর সাথে প্রসেসর বেঞ্চমার্কে ঠিকই 5600G,5700G এর মত প্রসেসরগুলো পিছিয়ে থাকছে।।
একটা প্রসেসর আসলে কতটা শক্তিশালী তা বের করার জন্য একই জিপিইউ দিয়ে গেম টেস্ট যেমন করা যায়, তেমনি সিপিইউ বেজড বেঞ্চমার্ক গুলো দিয়েও বের করা যায়।।Ryzen 5 5600g এর কথাই যদি বলি, এসব ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, সমসাময়িক প্রসেসর Core i5 11400f,11400,10600k,11600k এর তুলনায় 5600G পিছিয়ে রয়েছে, 5700G পিছিয়ে রয়েছে। অর্থাৎ প্রসেসর হিসেবে এগুলো দুর্বল। নিচে কয়েকটা উদাহরণ দেওয়া আছে,সেগুলো দেখলে বুঝতে সুবিধা হবে।
পার্থক্য কি শুধু G,X এগুলোরই??
আরেকটি বিষয়, অনেকেই ভাবতে পারেন যে Ryzen 5 5600x, 5600g ও 5600 আসলে একই প্রসেসর বা একই কোয়ালিটি/একই পারফর্মেন্স এর প্রসেসর। বাস্তবে এদের স্পেসিফিকেশন আলাদা,সম্পুর্ণ ডিফারেন্ট Die এ তৈরী। এদের রিলিজ ডেট ও যেমন আলাদা, এরা দুটি ভিন্ন ভিন্ন সিরিজের অন্তর্ভুক্ত। Ryzen 5 5600G AMD এর 5000 সিরিজ Cezanne Mobile and APU সিরিজের অন্তর্ভুক্ত, অন্যদিকে Ryzen 5 5600x AMD এর 5000 সিরিজ Varmeer Desktop Lineup এর অন্তর্ভুক্ত।
শুধু তাই নয়, স্পেসিফিকেশনেও রয়েছে পার্থক্য, Ryzen 5 5600G তে L3 Cache 16MB, অন্যদিকে 5600 এ 32MB। Ryzen 5 5600G PCIe 3.0 ইন্টারফেস সাপোর্ট করে, অপরপক্ষে Ryzen 5 5600 সাপোর্ট করে PCIe 4.0। এগুলোর জন্য পারফর্মেন্স এও বেশ পার্থক্য চলে আসে। বরং Ryzen 5 5600, 5600G হতে অনেকটাই বেশি পাওয়ারফুল একটি প্রসেসর। নিচে কিছু উদাহরণ দেখালে বিষয়টা নিশ্চিত হবে। আর কিছু গেমিং বেঞ্চমার্কে বিষয়টা আরো বেশি স্পষ্ট হয়ে যায় যে 5600 বা 5600X থেকে 5600G এর ব্যবধান আসলে কতটা বেশি।
একই কথা 5700G এর জন্য ও প্রযোজ্য। 5700G Cezanne সিরিজের প্রসেসর, PCIe3 সাপোর্টেড, ক্যাশ মেমোরি কম, অন্যদিকে Ryzen 7 5700X একটি Varmeer সিরিজের প্রসেসর, ক্যাশ মেমোরি ডাবল, PCIe4 সাপোর্ট করে।এর প্রভাব পারফর্মেন্স এও দেখা যায়।
সুতরাং আমরা এখান থেকে মোটামুটি একটা ধারণা পাচ্ছি যে 5600G এর সাথে 5600, 5600X কিংবা 5700G এর সাথে 5700x,5800x এর কি পার্থক্য। এরা যে একই প্রসেসর নয়, শুধু যে iGPU না,এদের স্পেকস,ফিচার, পারফর্মেন্স ,ক্ষমতা সবই যে ভিন্ন, এবং আমরা যে একই রকম পারফর্মেন্স পাব না G সিরিজ প্রসেসর থেকে, বরং পরিস্থিতি ভেদে, App থেকে App, Game থেকে Game এ কম থেকে অনেক বেশি পারফর্মেন্স এর Gap চলে আসতে পারে ।সুতরাং ওই প্রসেসরগুলোর সমান পারফর্মেন্স আমরা পাব, এরকম আশা করাটা বোকামি হবে।
শক্তিক্রম অনুসারে আমরা এভাবে সাজাতে পারি, productivity: 5800X>5700X>5600X>5700G~5600>5600G
Gaming: 5800X>5700X>5700>5600X>5600>5700G>5600G
আরো উল্লেখ্য যে, Core i5 12400,12500,Core i5 13500,13400 এগুলো সবই 5700G,5600G থেকে অনেক বেশিই পাওয়ারফুল ও পারফর্মেন্স এর পার্থক্য ও অনেকটাই বেশি হবে। 5600G,5700G থেকে 5700X,5600X যতটা না বেশি এগিয়ে আছে, তার থেকে আরো বেশি এগিয়ে থাকবে 12400,13400 প্রসেসরগুলো।
PCIe4 SSD,Motherboard
আমরা এটা জানি যে ৩০-৪০ হাজারের মধ্যে যারা বিল্ড করেন, যাদের বাজেট খুব বেশি থাকে না, সবথেকে কম খরচে সেরাটা বের করে আনতে চান কিন্ত বেশ কিছু জায়গায় অতিরিক্ত খরচ করে ফেলেন কিন্ত তার বিপরীতে বাস্তবে উপকারিতা বলতে কিছুই থাকে না। এর মধ্যে সবথেকে বেশি দেখা যায় মাদারবোর্ড ও এসএসডিতে অতিরিক্ত খরচ।
প্রথমত, ইন্টেল এর 12,13th বা 11th Gen মাদারবোর্ড এর সাথে AMD AM4 এর পার্থক্য রয়েছে একটি জায়গায়, Intel এর বাজেট মাদারবোর্ড, যেগুলো ৮-১০-১২/১৩ হাজারে পাওয়া যায়, সেগুলোতে থার্মাল থ্রটল হয়, প্রসেসর ফুল পটেনশিয়াল এ চলতে পারে না, VRM গুলোর অবস্থা ভালো থাকে না, এগুলো নিয়ে ইউটিউবে বিস্তর রিভিউ রয়েছে। বরং ইউটিউবাররা যেসব এন্ট্রি লেভেলের বোর্ডগুলো কে Do not buy, Avoid Tier list এ ফেলে দেন,সেগুলোই আমাদের দেশের এই বাজেটে সেল হয় ,বলতে গেলে সবথেকে সহজলভ্য বোর্ড বলতে এগুলোই থাকে।।
কিন্ত, অপরদিকে, AMD এর AM4 এর বোর্ড গুলোর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এরকম নয়, একসময় B450M বোর্ডগুলোর দাম শুরু হতো ৬০০০/৬৫০০ টাকায়। ৬০০০-৮০০০ টাকায় যেসব Gigabyte,MSI,Asrock বোর্ড পাওয়া যেত (এখন দাম বেশি, এখন ৮/৯ হাজার টাকার নিচে কোনো 450 বোর্ড নেই বললেই চলে), সেসব বোর্ড দিয়ে 6,8 কোরের Ryzen প্রসেসর খুবই ভালোভাবে চালানো যেত, কোনো সমস্যা ছাড়াই, বরং ফুল স্পিড ও পটেনশিয়ালে চালানো যেত। এটা নিয়ে Hardware Unboxed এর একটি ভিডিও ও আছে যে সে Gigabyte B450M S2H (যেটার দাম দেশে ছিল একসময় ৬০০০/৬৫০০ টাকা), দিয়ে Ryzen 9 3900x টেস্ট করেছে ও সেখানে সে সম্পুর্ণ পারফর্মেন্স ই পাচ্ছে…
অর্থাৎ AMD এর জন্য খুব হাই এন্ড মাদারবোর্ড লাগে না,একদম এন্ট্রি লেভেলের 450 বোর্ড তো বটেই ,A320 মাদারবোর্ড দিয়ে 5600G এর মত প্রসেসর ভালোভাবেই চালানো যাবে।
এখানে দুই ধরনের ভুল করতে দেখেছি ক্রেতাদের, শুধুমাত্র লাক্সারি,আরজিবি এর জন্য ১৩/১৪ হাজার টাকা মাদারবোর্ড এর জন্য খরচ করেন তারা। কেও কেও ১৬/১৯ হাজার টাকা দিয়ে ওয়াইফাই মাদারবোর্ড ও নিয়েছেন। এগুলোর সবই অতিরিক্ত। এই ৩/৪/৬/৮ হাজার টাকা মাদারবোর্ডের স্থলে প্রসেসরে খরচ করলে আপনার সেটআপ এর Tier ই পরিবর্তন হবে, আপনার পিসিটি নেক্সট লেভেলে চলে যাবে। কিন্ত মাদারবোর্ডে এই খরচটা আপনি ততদিন পর্যন্ত উঠাতে পারবেন না যতদিন না আপনি আরো পাওয়ারফুল প্রসেসর ও অন্যান্য কম্পোনেন্ট এ খরচ করবেন।
অনেকেই 550 Board নিচ্ছেন, 550 এর এন্ট্রি লেভেল থেকে শুরু করে 550 Gaming মাদারবোর্ড গুলো ও নিতে দেখেছি।
অনেকে আবার PCie 4.0 এসএসডি নেন, PCIe 4.0 এসএসডি চালাবেন এটা ভেবে আবার 550 মাদারবোর্ড নেন। আবার কেও কেও 450 Board এর সাথেই PCIe4 এসএসডি নেন।।
সম্প্রতি এসএসডির দাম কমেছে, এখন PCIe3,4 এর দাম একসাথেই মিলেছে বলা যায়, পানির দামে এসএসডি পাওয়া যাচ্ছে।। কিন্ত কিছুদিন আগেও কিন্ত ব্য্যাপারটা এমন ছিল না, তখন PCIe4 তো বটেই PCIe3 এসএসডির দাম ও অনেক বেশি ছিল।। সেই সময় অনেক মানুষ Samsung এর Gen4 এসএসডি দিয়ে বিল্ড করেছেন ও এর জন্য অনেক বেশি টাকা অতিরিক্ত খরচ করেছেন।
এই খরচটা বৃথা কেন? কারণ আপনার এসএসডি যতই PCIe4 হোক, এমনকি মাদারবোর্ড ও PCIe4 সাপোর্টেড হলেও এসএসডিটি PCIe3 হিসেবে, PCIe3 এর স্পিডেই চলবে। আর এই স্পিড এর সুবিধা নিতে হলে আপনাকে Ryzen 5 5600/5600X/5700X/5800X এর মত প্রসেসর এ আপগ্রেড করতে হবে, তার জন্য আবার আলাদা গ্রাফিক্স কার্ড ও লাগবে । অথবা সম্পুর্ণ প্লাটফর্ম চেঞ্জ করে Intel 11th,12Th/13th gen এ যাওয়া লাগবে।।
আবার অনেকে মনে করেন 5700G অনেক বেশিই শক্তিশালী,ফ্লাগশিপ টাইপ প্রসেসর, ৮টা কোর,১৬টা থ্রেড আছে যেহেতু, যেমন তেমন মাদারবোর্ডে হয়তো এটা ভালোমত চলবে না। অনেক ভালো বোর্ড লাগবে, ৫৫০ হলে মনে হয় বেশি ভালো।
এটাও ভুল, একটা এন্ট্রি লেভেল এর B450 বোর্ড 5700G এর জন্য যথেষ্ট। আমরা ধরেই নিচ্ছি যে 5600G,5700G দিয়ে যারা বিল্ড করেন তারা বেশিরভাগই মধ্যবিত্ত, কেও দোকানের জন্য, বেসিক কাজের জন্য, গ্রাফিক্স ডিজাইন,ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মত কাজ ,ফ্রিল্যান্সিং করে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য পিসি বিল্ড করছেন। এসব ক্ষেত্রে এই ধরনের বাড়তি খরচ অনাকাঙ্ক্ষিত।খরচ যদি করতেই হয়, 5600G থেকে 5700G তে যাওয়ার চেষ্টা করা যেতে পারে।
GPU with 5600G, 5700G
আরেকটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়, অনেকেই 5600G/5600G এর সাথে GPU নিয়েই বিল্ড করেন। এই সিদ্ধান্তটি বেশ কয়েকটি কারণে সঠিক নয়। আমরা 5600G/5700G দিয়ে বিল্ড করি কিজন্য? যারা GPU নেব না ,তারা যাতে কিছুটা ভালো গ্রাফিকাল সাপোর্ট পাই, সেজন্য?? কিন্ত যদি আমরা GPU লাগাই, তাহলে তো সেই iGPU ,যেটার জন্য 5600G/5700G নেওয়া,সেটাই অব্যবহ্বত থাকবে। আবার আমরা এটাও এতক্ষণে জেনে ফেলেছি যে প্রসেসর হিসেবে 5600G/5700G বাজারের একই বাজেটের অন্যান্য প্রসেসর হতে স্লো।
সুতরাং আমরা যদি iGPU এর সুবিধাই না নেব, তাহলে আর 5600G/5700G নেওয়ার বিশেষ কোনো মানে নেই।GPU নিলে iGPU নাই সেরকম কোনো CPU ই নেওয়া ভালো যেমন Ryzen 5 5600,5600X,5700X কিংবা i5 Core i5 11400f,12400f।
আপনি যদি এরকম ও হয় এক মাস তিন মাস কিংবা ৬ মাস পর জিপিইউ নিবেন বা আপনি এমারজেন্সি GPU নষ্ট হওয়ার সময় কি চালাবেন এরকম ভাবছেন, তাহলে Intel এর 11400,12400 নিতে পারেন। কারণ প্রসেসর হিসেবে 5600G,5700G থেকে এগুলো অনেক বেশি পাওয়ারফুল, Dedicated GPU এর সাথে এগুলো অনেক বেশি আউটপুট দেবে ঐ দুইটি প্রসেসর এর তুলনায়।
কখন GPU নেওয়া যেতে পারে?
কেবলমাত্র তখনই GPU এর সাথেই আপনি 5600G অথবা 5700G দিয়ে বিল্ড করতে পারেন যখন বাজেটে প্রসেসর হিসেবেই 5600G/5700G সেরা হয়। যদি দেখা যায় ওই দামে আর কোনো প্রসেসর নেই, আপনার টোটাল বিল্ড ও প্রসেসরের বাজেটে কেবল 5600G/5700G ই পাচ্ছেন। কিংবা অন্য প্রসেসর গুলো নিলে আপনাকে আরো দামী মাদারবোর্ড নেওয়া লাগছে যেটা কিনা আপনার পক্ষে করা সম্ভব না, ঠিক তখনই 5600G/5700G এর সাথে GPU দিয়ে বিল্ড করা যায়।
অথবা 5600G নিলে দেখা যাচ্ছে আপনি ২০/২১ হাজারের মধ্যে মাদারবোর্ড+CPU Combo নিয়ে ফেলতে পারছেন, সেক্ষেত্রে গ্রাফিক্স কার্ড ও অন্যান্য কম্পোনেন্ট সহ সম্পুর্ণ বিল্ডের খরচ ই কমে আসছে/বা আপনার প্রসেসর+মাদারবোর্ড বাজেট একেবারেই কম,সেক্ষেত্রে 5600G একটি ভালো অপশন হতে পারে কারণ অন্যান্য সকল প্রসেসর এর ক্ষেত্রেই মাদারবোর্ড এর খরচ বেশি হবে। বিশেষ করে Intel প্রসেসর গুলোর জন্য।।
তবে যেহেতু 5600G, 5700G একটি PCIe3 প্রসেসর, তাই PCIe4 GPU নিলেও লাভ হবে না। আর গ্রাফিক্স কার্ড একান্তই নিতে হলে PCIe3 এর গুলোই নেওয়া ভালো আর যাতে বটলনেক না হয় সেই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। RX 580, RX 5500 XT/6500 XT./ GTX 1660 Super/1660 Ti/RTX 3050 পর্যন্ত সর্বোচ্চ 5600G/5700G এর সাথে পেয়ার করতে পারেন বটলনেক ছাড়া। এর উপর 7600, RTX 3060, 3060 Ti, ARC A770 16G/A750/RTX 4060 Ti সবগুলোই বটলনেক করবে।
তবে দুই তিন বছর পর GPU নিবেন, বা দেড় বছর পর GPU নিবেন, বর্তমানে কম বাজেটে একটা Value for Money Setup চাচ্ছেন, তারা অবশ্যই 5600G/5700G দিয়ে বিল্ড করতে পারেন। এতে কোনো সমস্যা নাই।।
*অনেকে বলে থাকেন, 5600G/5700G বা G series এর প্রসেসর এর সাথে GPU লাগাতে হয় না লাগালে পারফর্মেন্স ফুল পাওয়া যায় না ইত্যাদি ইত্যাদি, এগুলো ভুল। এগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। GPU লাগানোর ব্যাপারটা নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করাই হয়েছে। কোনো Technical বা Scientific সমস্যা এখানে নেই*
আপগ্রেডঃ
Ryzen 5 5600G বা Ryzen 7 5700G দিয়ে বিল্ড যারা করবেন তাদের এটাও জেনে রাখা উচিত যে একই মাদারবোর্ড ও র্যাম ব্যবহার করে পরবর্তীতে কোন কোন প্রসেসরে আপগ্রেড করতে পারবেন তারা। প্রথমত ,Ryzen 5 5600G,5700G AM4 প্লাটফর্মের প্রসেসর। AM4 Platform এ আপগ্রেড করার মত প্রসেসর রয়েছে আর অল্প কয়েকটি। B450 বা B550 মাদারবোর্ডে চলবে এরকম 5000 সিরিজ AM4 প্রসেসরের মধ্যে আর রয়েছে Ryzen 5 5600X,5600X3D,Ryzen 7 5700X ও Ryzen 7 5800X3D,Ryzen 9 5900X/5950X।
তবে এগুলোর একটিতেও Internal GPU নেই, অর্থাত এই প্রসেসরগুলোতে আপগ্রেড করতে হলে আপনাকে অবশ্যই Graphics Card নিতে হবে। আবার এগুলোর মধ্যে সবগুলো প্রসেসরই আপনার সেটআপ এর জন্য যে আপগ্রেড,তাও নয়। আপগ্রেড করলেও তার জন্য যে পরিমাণ খরচ হবে ও বিনিময়ে যে পরিমাণ সিপিইউ পারফর্মেন্স আপনি পাবেন সেটা আগে চিন্তা ভাবনা করে বুঝে নিতে হবে।
এটাও মনে রাখতে হবে যে AM4 প্লাটফর্ম আস্তে আস্তে তার শেষ সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গত এক দেড় বছরে মাদারবোর্ডের দাম যেমন বেড়েছে, তেমনিভাবে বাজারে B450,550 মাদারবোর্ডের মডেল,অপশন আগে যা ছিল তার থেকে অনেক টাই কমে গিয়েছে। আর কোনো নতুন সিরিজ,জেনারেশন আসার সম্ভাবনা নেই ।
সর্বোচ্চ কত টাকার বিল্ড করা যায়?
প্রশ্ন হচ্ছে, সর্বোচ্চ কত হাজার টাকার মনিটর সহ বা মনিটর ছাড়া বিল্ড করা যায়?
বর্তমানে 5600G এর যা দাম, তাতে 16GB RAM (যদি কারো কাজের স্বার্থে আরো বেশি র্যাম লাগে তাতে সমস্যা নাই), একটা মোটামুটি মানের কেসিং ৩০০০ টাকার আশেপাশে, প্রয়োজনমত এসএসডি ,হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ সব মিলিয়ে 5600G দিয়ে সর্বোচ্চ ৩৪/৩৫ হাজার টাকার মধ্যে বিল্ড করা যায়।।
আর একদম সর্বনিম্ন ৮ জিবি র্যাম, ছোট স্টোরেজ, সব কিছুই সর্বনিম্ন দামে নিতে গেলে মোটামুটি ২৫-২৬ হাজারেই বিল্ড সম্ভব। সেক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি মনিটর সহ সর্বনিম্ন ৩২/৩৩ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার টাকার মধ্যেই 5600G দিয়ে বিল্ড করা যায়। এর থেকে বেশি খরচ করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাবে সেটাতে অতিরিক্ত, অযৌক্তিক খরচ হয়েছে। তবে ক্রেতা প্রয়োজন অনুসারে বড় সাইজের মনিটর নিতে পারেন।
আবার, 5700G এর ক্ষেত্রে, বাজারে ১৭/১৮ হাজারে যদি 5700G পান,সেক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৩৩/৩৪ হাজারে ৮ গিগাবাইট র্যাম, রেফারেন্স স্টোরেজ দিয়ে বিল্ড করা যায়। ১৬ জিবি বা আরো বেশি র্যাম, এসএসডি, হার্ডড্রাইভ, সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৩৭/৩৮ হাজারে খুবই সুন্দর বিল্ড করা যায় । সেক্ষেত্রে মনিটর সহ ৪৫ হাজার থেকে শুরু করে ৫০-৫২ হাজারে বিল্ড করা সম্ভব।
যদি কারো বাজেট মনিটর সহ ৬০-৬৫ হাজার বা ৭০ হাজার হয়ে যায়, বা মনিটর ছাড়া ৫০-৫৫ হাজার বা ৬০ হাজার হয়, তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন Graphics Card দিয়ে বিল্ড করার। সেক্ষেত্রে 5600G,5700G এর থেকে অনেক ভালো ভালো বিকল্প বাজারে আছে, Ryzen 5 5600,5600x, Core i5 11400f,12400F এর মত প্রসেসর রয়েছে যেগুলোর সাথে গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে যথেষ্ট শক্তিশালী পিসি বিল্ড সম্ভব ।
উপরে যে বিল্ড টি দেওয়া হয়েছে সেটা গেমিং হোক বা Productivity, সব দিক দিয়েই 5600G,5700G থেকে অনেক বেশি ভালো আউটপুট দেবে। Alternative GPU হিসেবে Peladn RX 580 8G, Sapphire RX 6500 XT 8G নিতে পারেন।
পাওয়ার সাপ্লাই কত ওয়াটের নেব?
মনে রাখতে হবে এই বিল্ড গুলোতে যেহেতু কোনো গ্রাফিক্স কার্ড নেই, আর 5600G,5700G ৬০-৭০ ওয়াট মত খরচ করে ,সিস্টেমে বাকি কম্পোনেন্ট গুলো বলতে রয়েছে RAM,SSD,HDD,FANS ইত্যাদি। সব মিলিয়ে ফুল লোডেও এই সিস্টেম গুলোর জন্য ১৫০/১৬০ ওয়াটের বেশি খরচ হওয়ার কথা না। বরং এর থেকে আরো কমই খরচ হয়।
সেক্ষেত্রে এই ধরনের সিস্টেমের জন্য ২৫০/৩০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই অনেক বেশিই নিরাপদ। এখানে পাওয়ার সাপ্লাই সিলেকশন এর ক্ষেত্রে Wattage এর থেকেও বেশি গুরুত্বপুর্ণ হচ্ছে ব্রান্ড , মডেল ও সেটা কতটা নিরাপদ। যেকোনো এন্ট্রি লেভেলের ব্রান্ডেড 300/350 ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই ই যথেষ্ট এই ধরনের পিসি গুলোর জন্য।।
৫৫০/৬০০ বা ৪০০/৪৫০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই নেওয়া খুব বেশী জরুরি নয় ও এগুলোর জন্য ৪/৫ হাজার টাকা খরচ করাটাও বাধ্যতা মুলক নয়। যদি না খুব শিঘ্রই আপনার গ্রাফিক্স কার্ড না নেওয়ার পরিকল্পনা থাকে। এমনকি ২/৩ বছরের ওয়ারেন্টি যুক্ত যেসব ২০০/৩০০/৩৫০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই রয়েছে যেমন Gamdias, Antec Basic, Value-Top, 1st Player, এই পাওয়ার সাপ্লাই গুলো নিশ্চিন্তে নিতে পারেন।।
কেসিং এর সাথে যে পাওয়ার সাপ্লাই গুলো থাকে সেগুলোতে wattage এর থেকেও বড় সমস্যা Reliability ও ওয়ারেন্টি। কম্পোনেন্ট পুড়ে যাওয়া, সঠিক পাওয়ার,ভোল্টেজ কারেন্ট সাপ্লাই সেগুলো করতে পারবে কি না সেটা একটা বড় প্রশ্ন। তবে Value Top এর Real dedicated PSU যুক্ত যেসব কেসিং আছে, সেগুলো অবশ্য নিতে পারেন। তবে সেগুলোর ওয়ারেন্টি আছে কি না একটু নিশ্চিত হয়ে নিবেন।
কাদের জন্য আদর্শ 5600G,5700G
ফ্রিল্যান্সার,ওয়েব ডেভেলপার,হালকা পাতলা ফটো এডিটিং, ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, অফিস Applications এর কাজ, Emulator Gaming, Valorant,CSGO, Dota,Lol ,FIFA এর মত Esports গেমস যারা খেলেন, মনিটর ছাড়া ৩০-৪০, মনিটর সহ ৪০-৫৫ হাজার টাকা যাদের সর্বোচ্চ বাজেট তাদের জন্য এখনো সেরা, All in one solution Ryzen 5 5600G ও Ryzen 7 5700G।
তবে যারা হাই লেভেলের প্রোডাক্টিভিটির ভারি ভারি কাজ, Advanced Video editing ইত্যাদি কাজ করবেন তাদের জন্য GPU সহ বিল্ড নেওয়ারই পরামর্শ থাকলো।
GPU দিয়ে বিল্ড করলে 5600G/5700G থেকে কত বেশি FPS পাওয়া সম্ভব
GPU দিয়ে বিল্ড করলে কত বেশি FPS পাওয়া সম্ভব? তার জন্য কয়েকটি স্ক্রিনশট দিচ্ছি যেগুলোতে একদম বেসিক লেভেলের ১৫-১৭ হাজার টাকার Graphics card গুলোর সাথে 5600G, 5700G এর তুলনামুলক বেঞ্চমার্ক দেওয়া রয়েছে।