Processor Buying Guide: Processor Price In Bangladesh

১০ হাজার থেকে শুরু করে ৮০-৯০ হাজার টাকা বাজেট রেঞ্জে ইন্টেল ও এএমডির অনেক গুলো প্রসেসর রয়েছে বাজারে। ইন্টেল এর ১৩থ জেন ও AMD এর Ryzen 7000 সিরিজের প্রসেসর এর পাশাপাশি পুরাতন জেনারেশন যেমন 5000 series ও 12th gen এর প্রসেসর ও বাজারে পাওয়া যায়। আজকের লেখায় আমরা বিভিন্ন বাজেটে সেরা প্রসেসর গুলো বাছাই করে সেগুলোর খুটিনাটি বিষয়ে আলোচনা করবো যাতে আপনাদের প্রসেসর কেনার সময় সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়।

 

The best value Allrounder Processor: Ryzen 5 5600g:12000-13000Tk

এন্ট্রি লেভেল বা লোয়ার মিডরেঞ্জে একের মধ্যে সব, এই ধরনের প্রসেসর যারা খুজেন। বিগত ২ বছর ধরে একটা প্রসেসরের সাথেই এই তকমাটা যায়, সেটা হচ্ছে Ryzen 5 5600G। জিপিইউ ছাড়া যারা ক্যাজুয়াল লাইট টু মিডিয়াম ইউসেজ,প্রোডাক্টিভিটি, ইস্পোর্টস গেমিং এর জন্য ৩০-৩৫ বা ৪০ হাজার টাকার আশেপাশে বিল্ড করতে চান, তাদের জন্য এই ৬ কোর ১২ থ্রেডের বাংলাদেশের জাতীয় প্রসেসর ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

৮ বা ১৬ জিবি র‍্যা্‌ম , পানির দামে বাজারে সয়লাব হয়ে থাকা ৫১২ জিবি এনভিএমই এসএসডি, একটা ৪৫০/৪০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই আর একটা মোটামুটি দামের  ৪৫০/৫২০ মাদারবোর্ড দিয়ে ২৭-৩৫ হাজার টাকার মধ্যে অত্যন্ত ব্যালেন্সড এন্ড ডিসেন্ট পিসি এই প্রসেসরটি দিয়ে বিল্ড করা সম্ভব।

বাজেট ১০- ১৫ হাজার টাকাঃ (With GPU Build)  Most powerful Hexa Core Processor- Ryzen 5  5600

এই বাজেটে অপশন হিসেবে ইন্টেল , এএমডি দুই প্লাটফর্মেই বেশ কিছু মডেল রয়েছে যেমন- Ryzen 5 5500,Ryzen 5 4500,Ryzen 5 4650G Intel Core i3 12100f,Intel Core i5 10400f,Intel Core i3 13100f ইত্যাদি।

এগুলোর মধ্যে পারফর্মেন্স, ভ্যালু,মাদারবোর্ড প্রাইসিং, স্পেসিফিকেশন্স, সবকিছু বিবেচনায় আমাদের কাছে সেরা প্রসেসর হলো Ryzen 5 5600। এটি একটি AM4 প্লাটফর্মের প্রসেসর যাতে ৬টি কোর ও ১২টি থ্রেড রয়েছে। 3.5 গিগাহার্জের বেস ক্লক ও 4.4 গিগাহার্জ পর্যন্ত বুস্ট ক্লক এর পাশাপাশি 32 মেগাবাইট এর লেভেল থ্রি ক্যাশ রয়েছে এতে। টিএসএমসির ৭ ন্যানোমিটার নোড এ প্রস্তুত এই প্রসেসরটির টিডিপি ৬৫ ওয়াট। এটি বাই ডিফল্ট ৩২০০ মেগাহার্জ এর র‍্যাম  ও পিসিআই ৩ ইন্টারফেস সাপোর্ট করে।

প্রসেসরটির দাম 13000-14000 টাকার মধ্যে।

এই প্রসেসরটির পারফর্মেন্স core i5 12400 এর সমতুল্য এটির সাথে আপনি চাইলে GTX 1660 Ti, RTX 3050 থেকে শুরু করে Arc750, এমনকি RTX 3060 এর মত গ্রাফিক্স কার্ড গুলো চালাতে পারবেন।

স্যাম্পল একটি বিল্ড দেওয়া হলো আপনাদের সুবিধার্থে।

alternative:(With GPU Build) Most powerful quad core processor- Intel core i3 13100f 

যদি ভবিষ্যতে আপনার DDR5 সিস্টেমে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, সেক্ষেত্রে সবথেকে সস্তা  ডিডিআর ফাইভ ইনেবলড প্রসেসর হিসেবে core i3 13100f হতে পারে একটি অপশন। ১৪০০০ টাকায় এটাকে সবথেকে শক্তিশালী  কোয়াড কোর প্রসেসর বলা যায়। কোর চারটি হলেও এর স্পেস্ফিকেশন যথেষ্ট ভালো , ৪.৫ গিগাহার্জের বুস্ট ক্লক, ১২ মেগাবাইট ক্য্যাশ, DDR5 সাপোর্ট সহ আসা এই প্রসেসরটির পারফর্মেন্স ও যথেষ্ট ভালো। তবে মাদারবোর্ড প্রাইসিং এর দিক দিয়ে ইন্টেল প্লাটফর্ম এখনো পিছিয়ে আছে এই ক্ষেত্রে।

এই প্রসেসরটির সাথে আপনারা ৩০৫০,১৬৬০টি এর মত গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে পিসি বিল্ড করতে পারেন।

বাজেট ১৫-২০ হাজারঃ

বাজেট ১৫-২০ হাজার টাকায় মুখোমুখি অবস্থান করছে দুটি প্রসেসর , ইন্টেল এর core i5 12400f/12400 , ও AMD Ryzen 5 5600x। দুটি প্রসেসরেরই রয়েছে ৬টি করে কোর, পারফর্মেন্সসএর পার্থক্য ও আহামরি কিছু নয়, ইন্টেলে যেমন রয়েছে  PCIe5 এর সাপোর্ট, DDDR5 Upgradibility, তেমনি এএমডির দিকে আবার মাদারবোর্ড এ পয়সা বাচানোর বিরাট সুযোগ রয়েছে ,গড়ে পারফর্মেন্স ও ৫৬০০এক্স এর বেশ কিছুটা বেশি।।

তবে, ১৩থ জেন এ আপগ্রেডের সুযোগ থাকায় ১২৪০০ এখানে কিছুটা বাড়তি পয়েন্ট পেয়েই যাবে। এখানে সব কিছু বিবেচনায় আমাদের পরামর্শ থাকবে ১২৪০০ নেওয়ার। তবে সেরা বিকল্পের কথা বলতে গেলে 5600X এর কথাই বলতে হয়।

এই প্রসেসরগুলো দিয়ে মিডিয়াম টু হাই লেভেলের ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স এর কাজ, প্রোডাক্টিভিটির কাজ করা যাবে যেমন, 1080p এর পাশাপাশি 1440p তেও গেমিং ও স্ট্রিমিং করা যাবে ভালোভাবেই,। RTX 3060, iNTEL ARC 750 থেকে শুরু করে 3060 Ti, RX 6650 XT এর মত গ্রাফিক্স কার্ড খুব ভালো ভাবেই যায় এই দুটি প্রসেসর এর সাথে।

দুইটি প্রসেসরেরই দাম ১৬ হাজার থেকে ১৭ হাজার টাকার মধ্যে  ।

আবার আপনার বাজেট যদি হয় ১৯ হাজার টাকার মত , তাহলে Ryzen 7 5700x নিয়ে নিন। সবথেকে কম দামে অক্টাকোর প্রসেসর যদি খুজে থাকেন, তাহলে এটিই একমাত্র অপশন।

বাজেট ২৫ হাজার এর নিচেঃ

২৫ হাজার টাকার নিচে কোনো রকমের বাছবিচার, সন্দেহের অবকাশ ছাড়াই ওয়ান এন্ড অনলি পিক হবে ইন্টেল এর কোর আই ফাইভ ১৩৪০০এফ। ১০ কোর, ১৬ থ্রেডের এই হাইব্রিড আর্কিটেকচারের বিস্ট প্রসেসরটিতে রয়েছে ২০ মেগাবাইট ক্যাশ ও ৪.৬ গিগাহার্জ বুস্ট ক্লক। ৬৫ ওয়াট এর বেস টিডিপি ও ১৫০ ওয়াট এর বুস্ট পাওয়ার যুক্ত এই প্রসেসরটির পারফর্মেন্স এর পাশাপাশি স্পেকস ও  আগের দুই তিন জেনারেশন এর অনেক গুল্লো ফ্লাগশিপ গ্রেডের  প্রসেসর গুলোর সমান বা অনেক ক্ষেত্রে বেটার।

হেইভি প্রোডাক্টিভিটি,ভিডিও এডিটিং, ৩ডি ডিজাইন এর কাজ বা হেভি গেমিং, সব দিক দিয়েই এই প্রসেসরটি বাজেট অনুসারে টপ ক্লাস পারফর্মেন্স অফার করছে।বিশেষ করে যাদের মুল কাজ মাল্টি কোর বেজড, পাশাপাশি গেমিং ও করবেন, তাদের জন্য এটিই একমাত্র অপশন।

ডিডিআর ফাইভ সাপোর্ট, পিসিআই ই ৫ এর মত টেকনোলোজির সাপোর্ট ও থাকছেই। এই প্রসেসরটির সাথে RTX 3070, 3070 Ti এর মত গ্রাফিক্স কার্ড গুলো

বাজেট ৩০ হাজার টাকার নিচেঃ

২৫ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে সবথেকে ভ্যালু ফর মানি প্রসেসর হচ্ছে ইন্টেলের।  Cpre i5 13500  প্রসেসরটি।  ১৪ কোর ২০ থ্রেড ও ৪.৮ গিগাহার্জের বুস্ট ক্লক ,২৪ মেগাবাইট ক্যাশ যুক্ত Core i5 প্রসেসরটির প্রোডাক্টিভিটি বা গেমিং, সব সেক্টরেই পারফর্মেন্স অসাধারণ ।  এএমডির গত জেনারেশন এর অনেক ফ্লাগশিপ প্রসেসর কে প্রোডাক্টিভিটিতে পেছনে ফেলে এটি । গেমিং এও Ryzen 7 5800x এর মত প্রসেসর থেকেও ভালো পারফর্মেন্স দেয় এটা।

প্রোডাক্টিভিটিতে ব্লেন্ডার, সিনেবেঞ্চ এর মত এপ্লিকেশন গুলোতে i5 13500 এর স্কোর AMD Ryzen এর 7000 সিরিজের অনেক গুলো প্রসেসর থেকে বেশি।

বাজেট ৩০-৪০ হাজারঃ

30 থেকে ৪০ হাজার টাকায় বর্তমানে এএমডি ও ইন্টেল দুই পক্ষ থেকে দুটি প্রসেসর একই দামে মুখোমুখি অবস্থান করছে। প্রসেসর দুটি হচ্ছে  Core i5 13600K/13600KF ও Ryzen 5 7600X ।

এখানে তাই ক্রেতা রাও বেশ দ্বিধার মধ্যে থাকেন।  এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব এড়ানোর জন্য আমরা বেশ কিছু পয়েন্ট ধরে ধরে আলোচনা করবো যাতে আমাদের একটি পরিষ্কার  ধারণা চলে আসে যে এই দুটি প্রসেসর এর মধ্যে আসলে কোনটা সেরা।

প্রথমত যদি স্পেকস ধরে যদি কথা বলা হয়,, AMD Ryzen 5 7600x এর কোর ৬টি ও থ্রেড ১২ টি, এর বিপরীতে হাইব্রিড আর্কিটেকচারের 13th Gen Intel Core i5 13600K তে রয়েছে ১৪ টি কোর ও ২০ টি থ্রেড।

রাইজেনের সর্বোচ্চ ক্লক স্পিড 5.3 Ghz ও ইন্টেলের ক্ষেত্রে তা 5.1 Ghz। AMD এর বেস ক্লক 4.7 Ghz, হাইব্রিড আর্কিটেকচার হওয়ায় ইন্টেলের অবশ্য একাধিক বেস ক্লক স্পিড রয়েছে।। ক্যাশ মেমোরির কথা যদি বলি, AMD তে রয়েছে 38 মেগাবাইট লেভেল টু প্লাস থ্রি ক্যাশ, ইন্টেলের ক্ষেত্রে এই ক্যাশের পরিমাণ মোট চুয়াল্লিশ মেগাবাইট। তবে ক্লক স্পিড আর ক্যাশ এ দুটির পার্থক্য খুব একটা বেশি না।

পাওয়ার রিকোয়ারমেন্ট অবশ্য্ ইন্টেলের বেশি, এএমডির টিডিপি ১০৫ ওয়াট,সেখানে ইন্টেলের বেস পাওয়ার ১২৫ ওয়াট ও টার্বো পাওয়ার ১৮০ ওয়াট।

স্পেকস এর দিক দিয়ে এখানে পাওয়ার ডেলিভারি ছাড়া প্রায়  সবগুলো জায়গাতেই ইন্টেল বেশ ভালোমত এগিয়ে আছে দেখা যাচ্ছে।

এবার আসা যাক আসল কথায়, পারফর্মেন্স কোনটার কেমন। কোরের সংখ্য্যা বেশি হওয়ায় অবধারিত ভাবেই মাল্টিকোর পারফর্মেন্স এ এএমডির থেকে অনেক বেশি ব্যবধানে এগিয়ে থাকে 13600k।  এমনকি সিঙ্গেল কোর পারফর্মেন্সেও ২০০ মেগাহার্জ কম বুস্ট ক্লক এর ইন্টেল এএমডি থেকে এগিয়ে রয়েছে।

প্রোডাক্টিভিটি বা রিয়েল ওয়ার্ল্ড পারফর্মেন্স এর কথা যদি বলি, উল্লেখযোগ্য রেন্ডারিং,এডিটিং এপ্স যেমন ব্লেন্ডার, এডোবি আফটার ইফেক্টস, ফটোশপ্স,প্রিমিয়ার প্রো   সব গুলোতেই ইন্টেল এএমডি থেকে বেটার পারফর্মেন্স দিচ্ছে।

গেমিং পারফর্মেন্স ইন্টেল থেকে এএমডি কিছুটা এগিয়ে আছে। পারফর্মেন্স পার ওয়াট এর ব্যাপারে কথা বলতে গেলে, এটাকে এক প্রকার scaled বলা যায়। ইন্টেল বেশি পাওয়ার ব্যবহার করে বেটার পারফর্মেন্স দিচ্ছে, এএমডি কম পাওয়ার ব্যবহার করছে, আউটপুটেও পিছিয়ে আছে  ।

আরো দুই তিনটি পয়েন্ট ও নোট করা উচিত বলে মনে করছি, Longer Upgrade Path বা Platform Support কোনটায় পাওয়া যাবে??  এক্ষেত্রে আমরা মোটামুটি সবাই ই জানি যে এএমডি ই এক একটা প্লাটফর্মে বেশি বছর, বেশি জেনারেশন সাপোর্ট দিয়ে থাকে। এই ধারা বহাল থাকলে এই পয়েন্টে  এএমডি এগিয়ে যায়। ইন্টেল এ DDR4  এর সাপোর্ট রয়েছে যা আবার এএমডিতে নেই এই গুরুত্বপুর্ণ বিষয় টিও কিন্ত মনে রাখতে হবে।

এবার আসা যাক ওভারল পারফর্মেন্স এর বিচারে, আমাদের মতে, প্রোডাক্টিভিটিতে তো অবধারিত ভাবেই ইন্টেল এই যুদ্ধে জয়ী।

গেমিং ও প্রোডাক্টিভিটি ,সব কিছু একসাথে বিবেচনায় আনলেও ইন্টেল এর দিকে যাওয়া টাই বেশি যুক্তিযুক্ত হবে বলেই আমাদের মনে হয়। প্রাইস পার পারফর্মেন্স রেশিও এর কথা বললেও ইন্টেল ই সেখানে এগিয়ে থাকে। দামি মাদারবোর্ড,সস্তা মাদারবোর্ড এর যে থিওরিটি এএমডির এএমফোর প্লাটফর্মের ক্ষেত্রে কাজ করতো , এখন আর সেটা ভ্যালিড নেই, যারা জানেন তারা জানেন যে ৭০০০ সিরিজে এল জি এ সকেটে যাওয়ার কারণে এএমডির মাদারবোর্ড প্রাইস সোনার দামের থেকেও বেশি। সুতরাং এখানেও দুই পক্ষের  তুলনার জায়গা নাই…

ওভারল, আমাদের পিক?? ইটস ইন্টেল।

স্পেশাল স্পটঃবাজেট 40 হাজার টাকার আশেপাশে। 

যদি আপনি কেবলমাত্র গেমিং এর জন্য পিসি বিল্ড করতে চান ও আপনার বাজেট হয়ে থাকে ৪০ হাজার টাকার আশেপাশে। তাহলে Ryzen 7 5800X3D এখনো হতে পারে আপনার জন্য সেরা প্রসেসর। হ্যা এটা সত্য যে 13th gen এর 13600k বা ryzen 7 7600x বা আরো উচু মানের  প্রসেসর গুলো 5800X3D থেকে  পাচ দশ বিশ FPS কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশি দিতে পারে, কিন্ত এটা আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে DDR4 vs DDR5  র‍্যামের দামের পার্থক্য, AM4 VS AM5 মাদারবোর্ড কিংবা 13th Gen মাদারবোর্ড এর দামের পার্থক্য হিসেবে আনলে এই পাচ দশ পনেরো এফপিএস এর জন্য আপনাকে হয়তো পনেরো বিশ হাজার টাকা বাড়তি গুনতে হবে। আর ওয়াট পার ফ্রেম এর হিসেব ও যদি আমলে নেওয়া হয়, 5800x3d কে এখনো কোনো প্রসেসর পেছনে ফেলতে পারেনি।

বিশেষ করে যারা DDR4 সিস্টেম এ গেমিং বিল্ড করতে চান ,তাদের জন্য 5800X3D এখনো সব মিলিয়ে বেস্ট অপশন।

বাজেট ৪০-৫০ হাজার টাকাঃ 

৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বাজেট এর মধ্যে ৪৬ হাজার টাকা দামে পাশাপাশি অবস্থান করছে Intel Core i7 13700K ও Ryzen 7 7700X।

এখানে এই দুটি প্রসেসর এর প্রোডাক্টিভিটি ও গেমিং পারফর্মেন্স সব কিছু বিবেচনায় আমাদের পছন্দ হচ্ছে Core i7 13700K । 13600k vs 7600x এর আলোচনায় যে পয়েন্ট গুলো নিয়ে এসেছিলাম, তার ৯০% ই  এখানেও  কার্যকর। নির্দিষ্ট করে বললে ইন্টেলের পক্ষে কার্যকর।  তবে পাওয়ার এফিশিয়েন্সির কথা চিন্তা করলে ইন্টেল থেকে যোজন যোজন এগিয়ে রয়েছে AMD।

তবে,পারফর্মেন্স প্রাইমারী কনসার্ন হলে ১৩৭০০কে নেওয়ার পরামর্শই দেব আমরা।।

 

বাজেট ৫০-৬০ হাজার টাকাঃ

৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে এখন বাজারে যে প্রসেসর গুলো এভেইলেবল রয়েছে তার মধ্যে সেরা প্রসেসর হচ্ছে Core i9 12900K 12th gen ফ্লাগশিপ প্রসেসরটি। এটির দাম ৫৭ হাজার টাকা। হয়তো এমনি সময়ে চোখ বন্ধ করে আমরা এটাকেই নিতে পরামর্শ দিয়ে দিতাম , কিন্ত, মাত্র ৬ হাজার টাকা বাড়ালেই আপনি Core i9 13900k পেয়ে যাচ্ছেন যেটা পারফর্মেন্স ও দাম এর পার্থক্য বিবেচনায় বেশি ভালো অপশন। সেজন্য আমাদের পরামর্শ হবে বাজেট যদি ৫৫ হাজার টাকা ক্রস করেই ফেলে, একবারে থার্টিন্থ জেন ১৩৯০০কে নিয়ে নিন। 13900KF এর বর্তমান মুল্য ৬৩৫০০ টাকা মাত্র।

Share This Article

Search