সলিড স্টেট ড্রাইভ সংক্ষেপে SSD(এসএসডি) । গতানুগতিক হার্ডড্রাইভ থেকে অনেক ফাস্ট ও বর্তমানে দামও সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে অনেক। SSD Price নিয়ে আমাদের আরেকটি বিশদ লেখা রয়েছে, SSD ক্যাটাগরিতে খুজলে পেয়ে যাবেন। ইউরোপীয় দেশগুলোতে অনেক বছর ধরেই বহুল ব্যবহত হয়ে আসলেও আমাদের দেশে অতিরিক্ত দামের জন্য এর বেশি প্রচলন ছিল না এতদিনমোটামুটি সব অঞ্চলেই দাম হাতের নাগালে হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে অন্যন্য দেশগুলোর মত আমাদের দেশেও কম প্রাইসেই এসএসডি পাওয়া যাওয়ার কারণে এসএসডি ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তবে অপেক্ষাকৃত নতুন প্রযুক্তির ও জনপ্রিয় কম হওয়ায় এখনো অনেকের মধ্যেই আছে এসএসডি নিয়ে অনেক অনেক প্রশ্ন, আছে ভুল ধারণা, আছে দ্বিধা দ্বন্দ্ব। সেগুলো পরিষ্কার করতেই আজকের লেখা। এসএসডি সম্পর্কে অন্তত নিম্নোক্ত জিনিস গুলো আমাদের জেনে নেওয়া উচিত।
- এসএসডির একদম বেসিক তথ্য ও প্রচলিত হার্ডড্রাইভ এর সীমাবদ্ধতা ।
- এসএসডির বেসিক প্রকারভেদ, প্রত্যেকটির সুবিধা অসুবিধা
- আপনার প্রয়োজন অনুসারে আপনার জন্য সেরা পছন্দ কোনটি
- আপনার সিস্টেমের সাথে চলবে কি না আপনার পছন্দ করা এসএসডিটি
- DRAM Cache, Host Memory Buffer
এসএসডির ‘অ আ ক খ’
SSD এর পুর্ণরুপ Solid State Drive । আমরা সাধারণত সবাই হার্ডড্রাইভ কে হার্ডডিস্ক হিসেবে জানি। এর ডাটা আদান প্রদান করা, রিড রাইট করার পদ্ধতিটিও একটি ডিস্ক এর সাথে সম্পর্কিত। এর মধ্যে একটি ডিস্ক থাকে এবং রিড রাইট হেড থাকে, এই ডিস্ক টি ঘুরে ঘুরে ডাটা রিড ও রাইট করে ও রিড রাইট হেড টি বিভিন্ন পজিশনে গিয়ে অবস্থান নেয় ডাটা কোথায় রিড বা রাইট হচ্ছে এবং কোথা থেকে হচ্ছে এর উপর ভিত্তি করে।যেহেতু এখানে কিছু যান্ত্রিক অংশ আছে যার সারাক্ষণ ঘোরার প্রয়োজন হয় এবং এজন্যই হার্ডডিস্ক এর মাধ্যমে খুব বেশি দ্রুত ডেটা রিড রাইট করা সম্ভব হয়না এবং এই প্রযুক্তিতে উন্নতির সম্ভাবনা ও রাস্তা ও নিতান্তই সামান্য । এবং অতিরিক্ত চাপ দিলে, একই সাথে অনেক গুলো ফাইল রিড করার ,রাইট করার প্রয়োজন হলে হার্ডড্রাইভ এর স্পিড আশানুরুপ হয়না। কারণ যান্ত্রিক অংশগুলোর জন্য একই সাথে একাধিক স্থানে পৌছানো সেখানে ডেটা রিড ও রাইট করা অসম্ভব বা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এজন্যই আমাদের ‘স্লো’/হ্যাং’/লোডিং এই সমস্যা গুলোতে প্রায় পড়তে হয়।
এসএসডির হার্ডড্রাইভ থেকে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে এর মধ্যে কোন ঘুর্ণেয়মান চুম্বক জাতীয় কোন ডিস্ক বা এ জাতীয় কিছু নেই । আমাদের ব্যবহার করা র্যাম বা হালের পেনড্রাইভের মধ্যে যে উপকরণ গুলো আছে তার সাথে অনেকটাই মিল আছে। ডিস্কের বদলে সেমিকন্ডাক্টর চিপ ব্যবহার করা হয়। কিন্ত আমরা জানি র্যামের মধ্যে যে ডাটা রাখা হয় তা ক্ষণস্থায়ী, সিস্টেম অফ হলেই ডাটা ভ্যানিশ। কিন্ত এখানে non-volatile flash মেমোরি ব্যবহার করা হয় যার জন্য ডাটা স্থায়ীভাবে স্টোর করে রাখা যায়। NAND Flash নামক ফ্লাশ মেমোরিতে ডাটা রাখা হয়ে থাকে । এই NAND এর ও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকারভেদ বের হয়েছে ও উন্নতি সাধন হয়েছে। ডাটা ট্রান্সমিশনের ফর্ম ফ্যাক্টর, প্রোটোকল, লেন এর ভিত্তিতে বেশ কিছু পার্থক্য আছে যেগুলো পরবর্তীতে আলোচনা করা হয়েছে।
কেন এসএসডি কিনবেন-
এসএসডি হার্ডড্রাইভ অপেক্ষা অনেক বেশি দ্রুত ডাটা আদান প্রদান করতে পারে ও আপনার সিস্টেমে আপনি একই সাথে (সাধারণত) এসএসডি ও হার্ডড্রাইভ ব্যবহার করতে পারেন। উইন্ডোজ, ভারি কিছু সফটওয়্যার এসএসডিতে রাখলে আপনার কাজে গতি ফিরে আসবে, পিসি হবে দৃশ্যমান ফাস্ট। আপনি আপনার ডকুমেন্টস হার্ডড্রাইভে রেখে সফটওয়্যার,গেমস ,উইন্ডোজ অনায়াসে এসএসডিতে রাখতে পারেন । সফটওয়্যার চালুর সময়, গেমের লোডিং টাইম, কম্পিউটার চালুর সময় এগুলা ব্যাপকভাবে কমে আসবে। এবং ফাইল কপি বা কাট করতে গেলে আপনি কয়েকগুন বেশি স্পিড পাবেন। একটি খারাপ এসএসডি ও ভালো হার্ডড্রাইভ থেকে ফাস্ট। হাতের নাগালে দাম হওয়ায় সিস্টেমে অন্তত একটি ছোট এসএসডি স্টোরেজ হলেও রাখা উচিত।ডিস্কে স্ক্যাচ পড়ে ডেটা আনরিডেবল হয়ে যাওয়া, ড্যামেজ হয়ে যাওয়া, নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকছে না, ভেতরের ডিস্ক, হেড এগুলোর হঠাত ফেল করার সুযোগ ও থাকছে না। এসব দিক থেকে এসএসডিতে চিন্তামুক্ত থাকছেন আপনি।
এসএসডির বেসিক প্রকারভেদঃ
বর্তমানে বাজারে সাধারণত তিন ধরনের এসএসডি পাওয়া যায় ১। SATA III ২। M.2 SATA ৩। M.2 NVMe
১। SATA III এসএসডি
দাম এবং স্পিডের বিচারে সবথেকে শুরুর দিকেই পড়বে এই প্রকারটা। কানেকশন সিস্টেম SATA CABLE (একই কেবল যা দিয়ে আমাদের প্রচলিত হার্ডডিস্ক ও ডিভিডি ড্রাইভ কানেক্ট করা হয়)। ডাটা ট্রান্সফার করে SATA Lane এর সাহায্যে। ও AHCI প্রোটোকল ইউজ করে ও এই এসএসডি গুলোর স্পিড 600MB/S হয়ে থাকে।
সুবিধাঃ
- সকল প্রসেসর, মাদারবোর্ডেই সাধারণত সাপোর্ট করে থাকে কারণ SATA3 একটি অপেক্ষাকৃত পুরাতন প্রযুক্তি।
- দাম অপেক্ষাকৃত অনেক কম
- সাধারণত মাদারবোর্ডগুলোতে একাধিক SATA port থাকায় অনেকগুলো এসএসডি লাগানোর সুযোগ থাকে একই সাথে।
- কম দামী হওয়া সত্বেও হার্ডড্রাইভ থেকে যথেষ্ট পরিমাণ ফাস্ট।
অসুবিধাঃ
- এসএসডি পরিবারে সবথেকে স্লো সদস্য । লং টাইম ইউসেজ বা বেশি ডাটা রাইটে স্লো হয়ে যাওয়ার প্রবনতা।
- ল্যাটেন্সি বেশি, অতিরিক্ত চাপ থাকে, অতিরিক্ত প্রেশার , ননস্টপ ডাটা আদান প্রদান এর ক্ষেত্রে সুবিধাজনক নয়।
- SATA হওয়ার জন্য একটা কেবল এর ঝামেলা ও থেকেই যায়।
M.2 SATA এসএসডিঃ
এখানে ইন্টারফেস এর পরিবর্তন আসছে।। এখানে কোন কেবল থাকছে না, পাওয়ার ও ডাটা সব একই কানেক্টরে থাকছে M.2 পোর্টে লাগিয়ে দিলেই ঝামেলা শেষ।। প্রোটোকল ও SATA এর মতই AHCI ইউজ করা হয়। এবং ডাটা আদান প্রদানের LANE ও সেম SATA. এজন্য স্পিড ও একদম সেম SATA III SSD এর মতই 600MBPS ।
সুবিধাঃ
- সাইজ ছোট, কেবল এর ঝামেলা থাকছে না।
- দাম SATA III এর অনুরুপ অর্থাৎ অনেক কম।
- ল্যাপটপের জন্য আদর্শ এসএসডি।
অসুবিধাঃ
- M.2 পোর্ট মাদারবোর্ড এ না থাকলে লাগানো যাবে না।
- M.2 পোর্টে একটি এই এসএসডি এক্টিভ করলে SATA port গুলোর মধ্যে একটি আপনাআপনি বন্ধ হয়ে যাবে।
- স্পিড একদম SATA III এর মতই কারণ ডাটা আদান প্রদান এর পদ্ধতি ও এক। সুতরাং SATA III এর স্লো হয়ে যাওয়ার সমস্যা গুলো এখানেও সমান ভাবেই প্রযোজ্য।
M.2 NVMe এসএসডি
এটি সবথেকে উন্নত এসএসডি বলা যায় কনজিউমার লেভেলে। PCI লেনের সাহায্যে ডাটা আদান প্রদান করে। NVMe (Non volatile memory) প্রোটোকল ব্যবহার করে । এর স্পিড 4gb/s পর্যন্ত হতে পারে। PCIE 4 SSD এর ক্ষেত্রে স্পিড আরো অনেক বেশি যদিও দেশের বাজারে তা এভেলেবল না সেরকম। এর জন্য আপনার মাদারবোর্ডে PCIe GEN 3X4 পোর্ট থাকা লাগবে ও মাদারবোর্ড এর বায়োস এও NVMe এর সাপোর্ট থাকা লাগবে।
সুবিধাঃ
- অন্য প্রকারের এসএসডির তুলনায় অনেক অনেক গুণ ফাস্ট।
- অধিক প্রেশার পড়ে যে সমস্ত বিল্ড এ, অনেক ভারি কাজের ক্ষেত্রে এই এসএসডি পারফেক্ট। SATA SSD স্লো হয়ে গেলেও NVMe সেখানে ভালো ভাবেই চাপ সামলে চলতে পারে।
অসুবিধাঃ
- অনেক বেশি দাম।
- অনেক মাদারবোর্ড এই পোর্ট/ বায়োস সাপোর্ট না থাকার জন্য চালানো সম্ভব হয় না।
আপনার জন্য কোন ধরনের এসএসডি পারফেক্টঃ
SATA:
আপনি যদি হন একদম নরমাল পিসি ইউজার, ব্রাউজিং, গান শোনা , ইউটিউব চালানো,মুভি দেখা, ওয়ার্ড,এক্সেল এর কাজ করা, হালকাপাতলা গেম খেলা, ফটোশপে শখের বশে ছবি এডিট করা এগুলো যদি হয় আপনার পিসির এক্টিভিটি। এবং আপনার পিসিতে ক্রোম,এন্টিভাইরাস, লাইটরুম/ফটোশপ,ওয়ার্ড,এক্সেল এর মত সফটওয়্যার রেগুলার ইউজ হয়ে থাকে তাহলে আপনার জন্য পারফেক্ট SATA এসএসডি।। ১২৮/১২০ বা বাজেট বেশি হলে 240/256 জিবির এসএসডি ড্রাইভ যথেষ্ট হবে আপনার জন্য, এসএসডিতে উইন্ডোজ এবং সাথে উল্লেখিত সফটওয়্যার গুলো ইন্সটল করলে দৃশ্যমান পরিবর্তন পাবেন। ফাইল ট্রান্সফার, লোডিং টাইম এগুলো অনেক কমে আসবে । আপনার চাহিদা পুরণে SATA SSD ই সক্ষম।
NVMe:
হেভি ইউজার হলে, রেন্ডারিং, এডিটিং এগুলো প্রোফেশনালি করলে। অনেক heavy Software নিয়ে বেশি বেশি কাজ করলে , Multiplayer গেমস, Esports games রেগুলার খেলে থাকলে বা AAA গেমস খেলে থাকলে আপনার জন্য NVMe এসএসডি নেওয়া ই বেশি যুক্তিযুক্ত হবে। অতিরিক্ত চাপেও স্লো, ল্যাগ হ্যাং এর সমস্যায় পড়তে হবে না। বিশেষ করে গেমার দের ক্ষেত্রে বড় বড় গেম ইন্সটল করার জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করার সমস্যায় পড়তে হবে না ।
আপনার সিস্টেম সাপোর্ট করে তো? ডেক্সটপে SATA M.2 কত যুক্তিযুক্ত!
এসএসডি কেনার আগে ,বাছার আগে আপনার সবার আগে মাদারবোর্ডে কি সাপোর্ট করে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া কর্তব্য। M.2 পোর্ট এর সাপোর্ট আছে কি না সবার আগে দেখতে হবে। PCIe Gen কত সাপোর্ট সেটাও দেখে নেওয়া জরুরি। পুরাতন মাদারবোর্ড এর ক্ষেত্রে SATA III এর স্থলে SATA II সমর্থিত হলে আবার SATA III চলবে কিন্ত স্পিড অনেক কম হবে।
***আপনার যদি বাজেট থাকে ও প্রয়োজন SATA SSD তেই মিটে যায় তাহলে m.2 SATA না নিয়ে SATA III নেওয়াই বেশি যুক্তিযুক্ত, অনেকক্ষেত্রেই ২০০/৩০০টাকা বেশি খরচ করতে হতে পারে কিন্ত আপনি স্পিড পাবেন সেম, আবার SATA port থাকতে M.2 তে লাগালে একটি SATA পোর্ট অটোমেটিক্যালি অফ হয়ে যাবে। সুতরাং ল্যাপটপ ইউজার না হলে m.2 SATA এভয়েড করাটাই ভাল।***
ল্যাপটপের জন্য M.2 SATA এসএসডি সাধারণত পারফেক্ট। তবে কেনার বা পছন্দ করার আগে অবশ্যই আপনার ল্যাপটপের মডেল দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিবেন ইন্টারনেট থেকে যে M.2 আছে কি না এবং সেটি NVMe কি না। এবং NVMe এর PCIe জেনারেশন কত এবং আপনি যেটি চয়েস করছেন সেটি মিলে কি না।
SSD এর জীবনকালঃ সময়ের সাথে স্লো হয়?
এসএসডি এর নির্দিষ্ট জীবনকাল থাকে অর্থাৎ অমুক বছর পর নষ্ট হবে বা আর কোন ডাটা রিড রাইট করতে পারবে না। এই হিসেবটা এসএসডি প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানগুলো করে থাকে দুইটি জিনিসের ভিত্তিতে, যে একটি এসএসডির দ্বারা কত গিগাবাইট বা কত টেরাবাইট ডাটা রাইট ও ডিলিট করা সম্ভব এবং গড়ে ক্রেতা (যে এসএসডিটা কিনে চালাবে) তার জন্য কতদিন লাগবে এই পরিমাণ ডাটা রাইট /ডিলিট হতে। এই হিসেবের ভিত্তিতে কয়েক বছরের ওয়ারেন্টি ও দিয়ে দেওয়া হয়।
এসএসডি এর স্লো হওয়ার ব্যাপারটা অনেকটাই নির্ভর করে ডাটা কতটুক রাখা হচ্ছে , ফ্রি স্পেস কতটুক তার উপরে। বেশি পরিমানে ডাটা স্টোর করা থাকলে আস্তে আস্তে স্লো হয়ে যেতে থাকে।
সাইজ বনাম স্পিডঃ
একটি ধারনা মোটামুটি প্রচলিত আছে যে সাইজ/ক্যাপাসিটি যত বড় তার স্পিড তত বেশি। NVMe এর ক্ষেত্রে বিষয়টি প্রযোজ্য হলেও SATA এর জন্য তা সম্পূর্ণ প্রযোজ্য না। এসএসডির স্পিড তার ভেতরের কম্পোনেন্টগুলো কিরকম তার উপর ও নির্ভর করে, কতটা উন্নত ,কি কোয়ালিটির চিপ, কন্ট্রোলার ব্যবহার করা হয়েছে বা হচ্ছে তার উপর ও স্পিড নির্ভর করে। source: Techquickie and Tech Deals
DRAM Cache ও এর এর বিকল্প হিসেবে Host Memory Buffer (HMB):
DRAM Cache বিষয়টি একটু জটিল ই বটে।। আমরা হয়তো processor এর cache এর নাম শুনেছি অনেকবার । এই ধরনের প্রযুক্তির মোটামুটি সবসময় মূল উদ্দেশ্য থাকে Ram এর সাথে প্রসেসর এর একটা ব্রিজ হিসেবে কাজ করার, প্রসেসর এর স্পিড এর তুলনায় হার্ডডিস্ক,Ram এর স্পিড অনেক কম থাকে এবং দেখা যায় যে যেই হারে প্রসেসর কাজ করছে তার সাথে Ram তাল মিলিয়ে উঠতে পারছে না। এর ফলে একটি bottleneck জাতীয় জিনিস সৃষ্টি হয়।।
SSD তে DRAM Cache বলতে সাধারণত এক্সট্রা বিশেষ মেমোরি কন্ট্রোলার জাতীয় জিনিস ব্যবহার করাকে বুঝায় যা অনেকটা এসএসডি এর Ram এর মত কাজ করে এবং এর স্পিড হয় অনেক , এবং সবথেকে বেশি ব্যবহত ডাটা গুলো এখানে স্টোর করা থাকে যাতে দ্রুত এক্সেস করা যায়।। এতে স্পিড বেশি উঠে এবং বেশি বেশি চালানো এপ্লিকেশন, ফাইল এর রিড স্পিড বেশি থাকে।।
মুলত ক্যাশ মেমোরিতে সিস্টেমের বেশি ব্যবহার করা ফাইল গুলো বা প্রোগ্রামগুলো স্টোর করা থাকে যাতে সেগুলো অনেক দ্রুত এক্সেস করা যায়।
HOST Memory Buffer :
এটিও এক ধরনের Cache . বলা যায় যে যেই এসএসডির DRAM নেই তা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে পিসির Ram এর একটি অংশ নিয়ে DRAM এর কাজ করে।
শীর্ষ কিছু ব্রান্ডঃ
সাধারণ জ্ঞান হিসেবে হাই বাজেট লো বাজেট উভয় ক্ষেত্রেই কিছু জনপ্রিয় ও শীর্ষ নাম রয়েছে । এসএসডি ইন্ড্রাস্ট্রিতে samsung, corsair,intel ইত্যাদি higher লেভেল এ ও লো বাজেটের দিকে transcend,Team,PNY,western digital আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয়।