গেমিং এর জন্য মাউস একটি অপরিহার্য উপাদান। বলতে গেলে এটি তলোয়ার যা ছাড়া যুদ্ধে যাওয়াটা বোকামি।
মাউসের দিক থেকে এক এক জনের চাহিদা এক এক রকম হতে পারে। গ্রিপ,লুকস, ডিপিয়াই প্রেফারের দিক থেকে পছন্দেরও ব্যপারটা এক এক জনের কাছে এক এক রকম।
এর পরেও আমরা চেষ্টা করেছি কিছু মাউস নিয়ে তাদেরকে বেস্ট হিসেবে এওয়ার্ড দেয়ার। এক্ষেত্রে আমরা টপ ৫ টি মাউসকে মেনশন করবো।
কম্পিউটারের বাজার ঘুরেই যেসব মাউস এভেইলেভ্ল তার উপরে ভিত্তি করেই মাউসের তালিকা করা।
সর্বনিম্ন ২০০০ থেকে ৮০০০ হাজারের মধ্যে তালিকাটি করার চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও এই রেঞ্জের বাইরে আরো মাউস আছে কিন্তু সেগুলো OP আই মিন ওভার প্রাইসড হবে।
মাউসের ভাল খারাপের বিষয়টা চিন্তা করেছি মাউসের,
-সাইজ এবং লুক,
-সেন্সর এবং বাটনস,
-ওজন এবং সফটওয়্যার সাপোর্ট।
নাম্বার ৫
প্রথমেই এন্ট্রি লেভেলের মাউস দিয়ে শুরু করা যাক। এক্ষেত্রে এর প্রাইসিং হাইয়েস্ট ২০০০ টাকা। এই প্রাইসের মধ্যে গেমিং মাউস বলতে গেলে A4tech এর Bloody সিরিজের গেমিং মাউসগুলো।
এই প্রাইসিং এর মধ্যে মাউসগুলো আসলেই অনেক ভাল। এই প্রাইসের মধ্যে Bloody A91 আসলেই একটি ভাল মাউস। ৮ বাটন বিশিস্ট মাউসটি সাইজের দিক থেকে বলতে গেলে মাউসটি যথেস্ট আরগোনমিক। তবে claw grippers এবং tip grippers দের জন্য মাউসটি একটু এডভান্টেজ হতে পারে। হাতের সাইজ এবং গ্রিপ স্টাইলের উপরে মাউসের কম্ফোর্টেবিলিটি
ডিপেন্ড করে।
সেন্সর যথেস্ট একুরেট এবং সর্বোচ্চ DPI 4000 পর্যন্ত যাবে। এছাড়া গেমারদের লোভনীয় RGB আছেই।
সবচেয়ে ভাল দিক ব্লাডি এর এই রেঞ্জের প্রতিটা মাউসেই ব্রেডেড কেবল থাকে যেটি ভাল একটি টাচ। মাউসটি ওজন প্রায় ১৪৪গ্রাম(সুত্রঃ ইবে)।
সফটওয়্যার হিসেবে আছে Bloody 6
ওভার অল মাউসটিকে দেয়া যায় ব্যাং ফর বাক এওয়ার্ড।
নাম্বার ৪
এই র্যাংকের প্রাইস রেঞ্জ ২০০০+ থেকে ৪০০০ টাকা। এই প্রাইসে মাউস চুস করা ডিফিকাল্ট কারন অনেক অপশনই আপনার সামনে আসবে। এবং এর বেশিরভাগ ব্র্যান্ডেই হবে।
এবং এই প্রাইসের মধ্যে সবচেয়ে বেস্ট মাউস হল Logitech G402 Hyperion Fury। ফিউশন ইঞ্জিন হাইব্রিড সেন্সরের মাউসটিতে টোটাল ৮ টি প্রোগ্রামেবল বাটনস আছে। ইন বিল্ট মেমরি আছে তাই প্রোগ্রাম করা বাটনগূলো নিয়ে যে কোন পিসিতে ব্যবহার করতে পারবেন।
যথেস্ট আরগোনমিক এবং যে কোন স্টাইলের গ্রিপারদের জন্য ফ্রেন্ডলি। বাটন পজিশন গুলো একদম পারফেক্ট। মাউসটি আপটু ৪০০০ ডিপিয়াই পর্যন্ত সাপোর্টেড। ডিপিয়াই কাস্টমাইজ এবং মাউসের বাটন প্রোগ্রাম করার জন্য আছে লজিটেকের গেমিং সফটওয়্যার। মাউসটির ওজন ১০৪গ্রাম।
মাউসটিতে কোন আরজিবি নেই কিন্তু লজিটেকের লোগোটি ব্লু এলঈডিতে দেয়া। যা দিয়ে স্টাটিক এবং ব্রিদিং ইফেক্ট পাবেন।
এই প্রাইসের মধ্যে আরো একটি লজিটেকের LOGITECH 300S অথবা LOGITECH G102 PRODIGY পাওয়া যাবে কিন্তু হাইপেরিওন ফিউরিই আমার মতে বেটার যদি বাজেট ৩০০০-৩২০০ এর আশে পাশে থাকে।
নাম্বার ৩
এই র্যাংকের প্রাইস রেঞ্জ ৪০০০+ থেকে ৬০০০ টাকা। সেম প্রাইস রেঞ্জের মধ্যে Razer DeathAdder Elite-Ergonomic Gaming Mouse একটি পপুলার মাউস।
১৬০০০ ডিপিয়াই সাপোর্টেড সেন্সরটি ওমরন সুইচের সাথে অসাধারন কম্বিনেশন তৈরি করেছে। ৭ টি প্রোগ্রামেবল বাটন্স যেগুলোকে রেজরের সিন্যাপস নামক ক্লাউড বেসড সফটওয়্যার দ্বারা কাস্টমাইজ করা যাবে।। মাউসটি রেজর সিন্যাপস সাপোর্টেড যেটি দিয়ে মাউসটিকে যে কোন পিসিতে নিজের কাস্টম করা সেটিংসেই ব্যাবহার করা যাবে।
৭ ফুট ব্রেডেড কেবলের মাউসটিতে কেবলের শর্টনেস নিয়ে কোন কমপ্লেইন করা যাবে না।
যাইহোক, আরগোনমিক্স আর লুকের দিক থেকে মাউসটি অসাধারন। যথেস্ট আরগোনমিক এবং গ্রিপি। সাইডে রাবারের কোটিং গুলো গ্রিপের জন্য যথেস্ট ভাল। মাউসটির ওজন প্রায় ১০৫গ্রামের মত।
এছাড়া মাউসটি ১৬.৮ মিলিয়ন RGB কালার সাপোর্টেড তাই আরজিবি নিয়ে কোন ধরনের কমতি থাকবে না এই মাউসে। কালার কাস্টমাইজিং এর জন্য রেজরের সিন্যাপস আছেই।
কিছু অনারেবল মেনশন করতেই হয় কারন এই রেঞ্জে আরো অনেক অপশন আছে। এদের মধ্যে LOGITECH G403 PRODIGY, Asus ROG Gladius এবং Razer Abyssus V2 Essential Ambidextrous অন্যতম।
নাম্বার ২
এই র্যাংক স্টার্ট হচ্ছে ৬০০০+ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০০ টাকা পর্যন্ত। এই প্রাইস রেঞ্জে সবচেয়ে পপুলার দুটি মাউস আছে। তাদের মধ্যে একটি লজিটেকের এবং অন্যটি রেজরের। দুই নাম্বারে লজিটেককে মেনশন করা হল।
মাউসটি হল Logitech G502 Proteus Spectrum RGB GAMING MOUSE।
মাউসটি ১২০০০ হাজার ডিপিয়াই পর্যন্ত সাপোর্টেড এবং 40G এর মত এক্সেলারেশন। ১১ টি প্রোগ্রামেবল বাটনের সব সুইচই ওমরন সুইচ ব্যবহার করা হয়েছে। এর সেন্সর হিসেবে আছে পিক্সার্টের PMW3366। এর স্ক্রল হুইলটি ডুয়াল মুডের যা হাইপার ফাস্ট এবং ক্লিক টু ক্লিক মুডে শিফট করা যায়।
নিচের গেমিং সেন্সরের আশেপাশে ওয়েট এডযাস্ট করার জন্য ব্লকসের সুবিধা রয়েছে। ১ মিলিসেকেন্ড রেন্সপন্স টাইমের মাউসটিতে আছে অন বোর্ড স্টোরেজের সুবিধা।
যে কোন সাইজের হাতের জন্য এবং যে কোন ধরনের গ্রিপ স্টাইলের জন্য মাউসটি যথেস্ট আরগোনমিক। বাটন পজিশন একদম পারফেক্ট। মাউসটির ওজন ১২১ গ্রাম। মাউসটির কেবল ৬ ফুট এবং ব্রেডেড কেবল।
সবশেষে মাউসটিতে আরজিবি আছে যা ১৬.৮ মিলিয়ন কালার সাপোর্টেড যা ডিপিয়াই ইন্ডীকেটর এবং লজিটেকের লোগোকে লাইটিং করবে।
অনারেবল মেনশন হিসেবে বলা যায় Asus Gladius II যার মূল্য ৬২০০ টাকা
নাম্বার ১
৬০০০ টাকা থেকে ৮০০০ টাকার মধ্যে টাই করা দুটি মাউসের মধ্যে যাকে এক নাম্বারে রাখতে হল তা মোস্ট পপুলার গেমিং মাউসের একটি। তা হল Razer Mamba Tournament Edition
স্পেসিফিকেশন হিসেবে এই মাউসটিও ১৬০০০ হাজার ডিপিআই সাপোর্টেড 5G লেজার সেন্সর। 50G পর্যন্ত এক্সেলারেশন মাউসটি ৯ প্রোগ্রামেবল বাটনের ওমরন সুইচের সাথে টীলট ক্লিক স্ক্রল হুইলের ফিচার আছে এতে। এবং মাউসটি 1ms রেন্সপন্স টাইমের।
এছাড়া অন দ্যা ফ্লাই সেন্সিটিভিটি এডযাস্টমেন্ট করা যায়।
যথেস্ট আরগোনমিক এবং গ্রিপি মাউসটি যে কোন গ্রিপারদের জন্য পারফেক্ট এবং এর রাবার টেক্সচার গুলো মাউসটিকে যথেস্ট ভাল গ্রিপ এক্সপেরিয়েন্স দিবে।
মাউসটির ওজন ১৩৩ গ্রাম (কেবল সহ)। মাউসের কেবলটি ৭ ফুট ব্রেডেড কেবল।
মাউসটি RGB সাপোর্টেড এবং এটিও ১৬.৮ মিলিয়ন কালার সাপোর্টেড। এবং ইন্টার ডিভাইস কালার সিংকোনাইজেশন ফিচার আছে যা দ্বারা এটি অন্য কোন রেজার কীবোর্ড অথবা রেজর ফায়ারফ্লাই মাউসপ্যাডের আরজিবি এর সাথে সিংক করে লাইটিং ইফেক্ট দিবে।
আর এর লাইটিং ইফেক্টগূলো নজরকাড়বে সবার।
এসব সেটিংসগূলো কাস্টমাইজ করার জন্য আছে রেজরের সিন্যাপস সফটওয়্যার।
এছাড়া এর একটি ওয়্যারলেস ভার্শন আছে তবে এর প্রাইস প্রায় ১৩ হাজারের মত।
এই প্রাইসের মধ্যে যেসব মাউসের কথা না বললেই না। তারা হল Naga Hex V2 , Razer Taipan Expert Ambidextrous Gaming Mouse.
যেসব র্যাংকিং করা হল তা অনেকের মতের অমিলও হতে পারে।
কারনটা আগেই বলেছি যে মাউসের চয়েস এক এক জনের কাছে এক এক রকম। আর বাজেট হাই হলে চয়েসের জন্য অনেক মাউস আছেই।।
এই র্যাংকিংটি করা শুধুমাত্র বাংলাদেশের বাজারে এখন যেসব মাউস এভেইলএবল সেগুলোর উপরে এবং যেসব মাউসের পপুলারিটি বেশি সেসবের উপরে।।
এই ছিল টপ ৫ মাউস লিস্ট ফ্রম পিসিবি বিডি। পিসিবি বিডির সাথেই থাকবেন।