PC Building : বাজেট নির্ধারণ,কম্পোনেন্ট বাছাই, সাধারণ যত ভুল

আমাদের ওয়েবসাইটে সাধারণত আমরা বিভিন্ন বাজেটের পিসি বিল্ড, ল্যাপ্টপ, জিপিইউ, মনিটর  চেয়ার  সহ বিভিন্ন প্রোডাক্টের রিভিউ, কম্প্যারিজন ও স্পেকস,পারফর্মেন্স ও কোয়ালিটি এনালাইসিস করে থাকি যাতে করে আপনারা সহজেই একটি প্রোডাক্টের ভালো দিক খারাপ দিক সম্পর্কে ডিটেইলসে জানতে পারেন ও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন সহজেই।।

আজকের আর্টিকেলের টপিক অন্যান্য সব আর্টিকেল থেকে অনেকটাই আলাদা ,আজকে থাকছে না কোনো প্রোডাক্ট  রিভিউ, কম্পারিজন বা বিল্ড গাইড । আজকের লেখাটা যারা একেবারেই বিগিনারস হিসেবে পিসি বিল্ড করবেন কিংবা পিসি বিল্ড করারপরিকল্পনা করছেন তাদের জন্য ।

কিভাবে  আপনার বাজেট ও পারপাস অনুসারে একটি ভ্যালু ফর মানি ,ব্যালেন্সড পিসি বিল্ড করা যায় ও পিসি বিল্ডিং এর কম্পোনেন্ট সিলেকশন এর সময় কোন কোন বিষয় গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে ও পিসি বিল্ড করতে গিয়ে যে কনফিউশন গুলো ক্রেতাদের মাঝে তৈরী হয় বা যে সাধারণ ভুল গুলো আমাদের দেশের ক্রেতারা করে থাকেন সেগুলো নিয়েই থাকছে বিস্তারিত আলোচনা।।

বাজেট ও উদ্দেশ্যঃ

একটি কাস্টম বিল্ট ডেস্কটপ পিসি হোক বা ল্যাপটপ , আপনি কি ধরনের পিসি বিল্ড করবেন, কি ধরনের ল্যাপ্টপই বা কিনবেন, সেটা নির্ভর করে প্রথমত আপনার পিসি বিল্ড বা ল্যাপটপ কেনার উদ্দেশ্য ও বাজেটের উপরে।প্রথমেই আপনাকে আপনার বিল্ড এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা দাঁড় করাতে হবে, দ্বিতীয়ত একটি বাজেট নির্ধারণ করতে হবে।

একটি পিসি বিল্ড এর শত শত উদ্দেশ্য থাকতে পারে, লাইট থেকে হেভি ভিডিও এডিটিং,ফ্রিল্যান্সিং, অফিস ওয়ার্ক,গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মত প্রোডাক্টটিভ কাজ যেমন পিসিতে করা হয়, তেমনি লাইট ,মিডিয়াম টু হেভি গেমিং বা কন্টেন্ট ওয়াচিং, ব্রাউজিং এর মত কাজেও পিসির দরকার হয়েই থাকে।

  • একজন পুরোদস্তুর গেমার ও একজন ভিডিও এডিটর/প্রোডাক্টিভ কাজ করেন এমন মানুষের জন্য একই ধরনের কম্পোনেন্ট প্রযোজ্য হবে না।
  • আপনি যে কাজ করবেন সেই কাজ এর জন্য আপনার বেশি শক্তিশালী প্রসেসর লাগবে নাকি বেশি শক্তিশালী গ্রাফিক্স কার্ড লাগবে সেটাও আগে থেকেই খোঁজখবর নিয়ে ভালো ভাবে জেনে নিতে হবে। এটি জানার জন্য আপনি যে সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন,সেটি সম্পর্কে গুগল,ইউটিউবে সার্চ করুন, System Requirement দেখে মিলিয়ে নিন।
  • যদি বেশি পাওয়ারফুল প্রসেসর দরকার হয় সেক্ষেত্রে বাজেটের একটা বড় অংশ প্রসেসর এর জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে।
  • এবার আসি বাজেটের কথায়, ফ্রিল্যান্সিং, অফিস ওয়ার্ক বা একেবারেই বেসিক পার্সোনাল বা কমার্শিয়াল কাজ এর ক্ষেত্রে মনিটর সহ পিসি বিল্ড করার নূন্যতম বাজেট হতে পারে আঠাশ থেকে ত্রিশ হাজার।কিছু ক্ষেত্রে টুকটাক গেমিং ও এই ধরনের পিসি দিয়ে করা সম্ভব।
  • এরপর হালকা পাতলা ভিডিও এডিটিং,গ্রাফিক্স ডিজাইনের হাতেখড়ি এর সাথে টুকটাক গেমিং করার ক্ষেত্রে 43-45 হাজার টাকায় বেশ ভালো পিসি বিল্ড করা যেতে পারে।।
  • এভাবে 50-55 হাজার টাকা পর্যন্ত বাজেটে মনিটর সহ এপিইউ বিল্ড গুলো করতে পারেন যেগুলোতে মিডিয়াম গেমিং, ভিডিও এডিটিং,গ্রাফিক্স ডিজাইনের মত কাজ গুলো বেশ ভালো ভাবেই করা যাবে।।
  • বাজেট 60/70 হাজার টাকার উপরে হলে মিডিয়াম টু হেভি কাজের জন্য পিসি বিল্ড করাটা অনেক সুবিধাজনক হয়ে যায় কারণ এই বাজেট রেঞ্জ থেকেই বিল্ড গুলোতে ভালো ভালো পাওয়ারফুল প্রসেসর, পাওয়ারফুল গ্রাফিক্স কার্ড গুলো ইনক্লুড করা সম্ভব হয়।
  • ৮০/৯০ হাজার বা এক লাখ টাকা দামের বিল্ড গুলোতে ১০৮০পি রেজুলুশনে সব  ধরনের গেমিং, এর পাশাপাশি মিডিয়াম থেকে হাই লেভেলের গ্রাফিক্স ডিজাইনিং,ভিডিও এডিটিং বা অন্যান্য প্রোডাক্টিভিটির কাজ করা সম্ভব।

প্রসেসর:

  • পিসির সবথেকে গুরুত্বপুর্ণ ও সেন্ট্রাল পার্ট হচ্ছে প্রসেসর। গ্রাফিক্স কার্ড না থাকলে সেক্ষেত্রে বিল্ড এর বাজেটের একটা বড় অংশই রাখতে হবে প্রসেসর এর জন্য। 20-22 হাজার টাকার বেসিক বিল্ড গুলোতে প্রসেসর এর জন্য 6-8 হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। অন্যদিকে বাজেট 30-35 হাজার হলে 14-15 হাজার টাকা প্রসেসর এর জন্য রাখা যায়।।
  • এক্ষেত্রে প্রসেসর সিলেকশনের আগে আপনি কি ধরনের কাজ করবেন এটা সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক জরুরি একটি কাজ।। বিশেষ করে ভিডিও এডিটিং বা গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মত ভারী কাজ যারা করবেন, তাদের প্রসেসর টা পাওয়ারফুল হওয়া খুবই জরুরি।।
  • আপনার ব্যবহার করা app টি সিঙ্গেল কোর ডিপেন্ডেড নাকি মাল্টি কোর তা সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিয়ে নিন বিল্ড এর পূর্বেই।। অনলাইনে রিভিউ গুলোতে চোখ বুলাতে পারেন আপনার পছন্দ করা প্রসেসর টি সংশ্লিষ্ট এপ্লিকেশনে বা একই ধরনের এপ্লিকেশনে ওই বাজেটে এভেইলেবল অন্যান্য প্রসেসর গুলোর তুলনায় কেমন পারফর্ম করছে সেটা জেনে নিতে পারেন।
  • এমন হতে পারে যে প্রসেসরটি আপনি পছন্দ করছেন তার সিঙ্গেল কোর পারফর্মেন্স ভালো না, কিন্ত ভুলক্রমে আপনি মাল্টিকোর পারফর্মেন্স দেখে সন্তুষ্ট হয়ে সেটি কিনে ফেলেছেন,কিন্ত আপনার কাজ সম্পুর্ণই সিঙ্গেল কোর ভিত্তিক। উল্টোটাও ঘটা অসম্ভব কিছু নয়।
  • আরেকটি বিষয় ও বলে রাখা দরকার মনে করছি, এমনিতে কোনো একটি ব্রান্ডের কোনো একটি জেনারেশন এর প্রসেসরগুলো অনেক বেশি শক্তিশালী হতে পারে, তবে এরকম ঘটনা হরহামেশা দেখা যায়  যে দুই একটি প্লাটফর্ম বা এপ্লিকেশনে ওই প্রসেসরগুলো অনেক দুর্বল, under-optimized । দুর্ভাগ্যক্রমে আপনি গড় স্কোর দেখে প্রসেসর বাছাই করার পর  যদি দেখেন আপনার সফটওয়্যারটির জন্য উক্ত ব্রান্ড ভালো পারফর্মেন্স দেয় না বা অপ্টিমাইজেশন ভালো না তাহলে ব্যাপারটি খুবই দুঃখজনক হবে। কিছু গেম এ দেখা যায় স্বভাবগত ভাবেই AMD বেশি ভালো করে থাকে, বেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি FPS দেয়, তেমনি কিছু টাইটেল বা সিরিজ রয়েছে যেখানে বরাবরই ইন্টেলের আধিপত্য বেশি। এরকম ঘটনা অনেক সফটওয়্যারের ক্ষেত্রেও ঘটে থাকে।
  • বাজেট মোটামুটি 45/50 হাজার বা এর উপরে গেলেই বেশ ডিসেন্ট স্পেসিফিকেশন যেমন ৬ কোর ১২ থ্রেড এর  প্রসেসর গুলো সিলেক্ট করা যায়, বিশেষ করে লেটেস্ট দুই তিন জেনারেশন এর কোর আই ফাইভ কিংবা এএমডির রাইজেন ফাইভ ফ্যামিলির প্রসেসর গুলো এই বাজেটের জন্য বেশ ভালো পছন্দ হতে পারে । উদাহরণ হিসেবে আমরা Ryzen 5 5500,Ryzen 5 5600/5600x, Intel core i5 11400 ইত্যাদির কথা বলতে পারি।
  • বাজেট 70/80/90 বা আরো বেশি হলে একদম লেটেস্ট জেনারেশন এর প্রসেসর গুলোও সিলেক্ট করা যায়। যেমন Core i5 12400,Core i5 13400,13500. Ryzen 7 5700x ইত্যাদি।
  • ইন্টেলের যেসব প্রসেসরের নামের আগে f রয়েছে,সেগুলোর সাথে গ্রাফিক্স কার্ড অবশ্যই লাগবে।।
  • গ্রাফিক্স কার্ড শুরুতেই নিতে চাইলে ,অর্থাৎ গ্রাফিক্স কার্ড সহ বিল্ড করতে চাইলে G সিরিজের প্রসেসরগুলো নেওয়ার কোনোই প্রয়োজন নেই। এই G সিরিজের প্রসেসরগুলো কেবল মাত্র তাদেরই জন্য যারা কয়েক বছর গ্রাফিক্স কার্ড ছাড়াই কাজ করতে চান। গ্রাফিক্স কার্ড এক দেড় মাস পর কিনবেন বা ৬ মাস পর কিনবেন এসব ক্ষেত্রে ইন্টেলের প্রসেসর গুলো (Non f) ভালো অপশন হতে পারে।
  • মনে রাখবেন, G সিরিজের প্রসেসর গুলোতে ইন্টেলের তুলনায় অনেকটাই ভালো Internal Graphics থাকলেও প্রসেসরের স্পেসিফিকেশন তুলনামুলক দুর্বল হয়ে থাকে। উদাহরণ হিসেবে আমরা এখানে 5600G কে সামনে নিয়ে আসতে পারি, 5600g কে 5600x,5600 এর মত একই রকম পাওয়ারফুল মনে করার কারণ নেই।এই প্রসেসরগুলোর স্পেসিফিকেশন,সক্ষমতা সম্পুর্ণ আলাদা। 5600g এই ৩টির মধ্যে সবথেকে দুর্বল। এর পারফর্মেন্স মোটামুটি Core i5 11400 ও 10400 এর মাঝামাঝি, একে আমরা 5500 (বা 3600) এর সাথেও তুলনা করতে পারি।
  • প্রসেসর গুলোর টেম্পারেচার কিরকম থাকছে সেটাও রিভিউ গুলো দেখে দেখে বুঝে নিতে হবে ও সেই অনুযায়ী কুলিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
  • যদি আপনার কাজ এমন হয় যে বেশিরভাগ সময়েই প্রসেসরে চাপ পরবে, সেক্ষেত্রে ইন্টেল হোক বা এএমডি, মিডরেঞ্জ হোক বা ফ্লাগশিপ বা হাই বাজেটের প্রসেসর হোক, আফটারমার্কেট কুলার নেওয়াটা খুবই জরুরি। কমপক্ষে ২-৪ হাজার টাকা রেঞ্জে যেসব এয়ারকুলার রয়েছে, সেগুলো কিনতে হবে। স্টক কুলার দিয়ে লম্বা সময় কাজ করাটা খুব বেশি সমীচীন হবে না, এখানে পারফর্মেন্স ও প্রসেসর এর হেলথ, দুটিই শঙ্কায় পরবে।
  • ওভারক্লক করার পরিকল্লনা থাকলে, Intel এর আনলকড প্রসেসর গুলো কিনলে ভালো মানের Liquid Cooler কেনা যেতে পারে।সেক্ষেত্রে ৮-১২/১৫ হাজার টাকাও খরচ হতে পারে। তবে সস্তা ৪/৫ হাজার টাকার আরজিবি লাইট ওয়ালা AIO কুলার গুলো না কেনাই ভালো। আজকাল ৫-৬ হাজার টাকায় বেশ কিছু ব্রান্ডের খুবই ভালো মানের এয়ার কুলার এসেছে বাজারে, সেগুলো তুলনামুলক ভাবে ওইসব এন্ট্রি লেভেলের AIO থেকে ভালো কাজ করে।

 

মাদারবোর্ড:

প্রসেসর বা গ্রাফিক্স কার্ড নিয়ে আমাদের দেশের মানুষের বেশ ভালো ধারণা রয়েছে ও দিন কে দিন কেবলই তা বাড়ছে, কিন্ত মাদারবোর্ড কেনার সময় অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না যে কি করবেন।।

  • আপনার প্রসেসরটি ওভার ক্লক করা যায় কি না,এর পর সিদ্ধান্তে আসতে হবে যে, আনলকড যদি হয় প্রসেসরটি, অর্থাৎ, ওভারক্লক যদি করাও যায় আপনি ওভারক্লক করবেন কি না।ওভারক্লক যদি করেন ই তাহলে Zx90 চিপসেটের মাদারবোর্ড গুলো নেওয়া বেশি ভালো হবে।অন্যথায় অন্যান্য চিপসেট এর মাদারবোর্ড নেওয়া যেতে পারে। AMD এর ক্ষেত্রে অবশ্য 450,550,470,570 সবগুলো চিপসেটই ওভারক্লকিং সাপোর্ট করে।
  • প্রসেসরটির সাপোর্ট করা PCIe Interface কত, মাদারবোর্ডে সেই Interface support আছে কি না, একই সাথে আপনি যে গ্রাফিক্স কার্ড টি ব্যবহার করবেন, সেটার PCIe Generation কত সেটাও মিলিয়ে নিতে হবে।
  • আপনার প্রসেসরটিকে ঠিকঠাক চালানোর জন্য কোন চিপসেট, কোন বাজেটের কোন টিয়ার এর মাদারবোর্ড গুলো সক্ষম, মাদারবোর্ড সিলেকশনের ক্ষেত্রে এই বিষয় গুলো জেনে নেওয়া সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ।
  • Core i3 বা Ryzen 3 এর জন্য Hx10 (H610,H510,H410 ইত্যাদি) , AX20 (A320,A520,A720 ইত্যাদি) মাদারবোর্ড গুলোই যথেষ্ট। Core i5 x400,x500 বা Ryzen 5 x600,x500 (3500,3600,5500,5600,5600x,3600x ইত্যাদি) প্রসেসরের জন্য B550,B650,B450,B460,B560,B660 চিপসেটের মাদারবোর্ড গুলো মানানসই।
  • এছাড়া Ryzen 7, Core i7, Ryzen 9, Core i9 এর মত প্রসেসরগুলোর জন্য Z690,Z790,Z590,X470,X570,X670 এর মত চিপসেট গুলো নেওয়া বেশি যুক্তিযুক্ত।

  • দেখা যায় প্রসেসর এর তুলনায় মাদারবোর্ড  ওভারকিল বা অতিরিক্ত শক্তিশালী হয়ে গিয়েছে ,আবার এরকম ও দেখা যায় যে অনেক ক্ষমতাসম্পন্ন হাই এন্ড স্পেকস এর প্রসেসর এর বিপরীতে কেও কেও অত্যন্ত দুর্বল মাদারবোর্ড কিনে ফেলেছেন যার কারণে প্রসেসরটি থেকে যেরকম পারফরম্যান্স পাওয়ার কথা তা আর পাওয়া যাচ্ছে না।। কেও কেও ১৩-১৪ হাজার টাকার প্রসেসর দিয়ে ryzen 7,intel core i7 বা core i9 এর মত প্রসেসর চালাতে চান। কেও বা 13/14 হাজার টাকার প্রসেসর গুলো যেমন ryzen 3, core i3 এরকম প্রসেসর এর সাথে অনেক দামি মাদারবোর্ড ও নিয়ে ফেলেন।
  • সাধারণত AMD এর Ryzen 5 3000-5000 সিরিজের  প্রসেসর গুলোর সাথে B450 ও 550 মাদারবোর্ড গুলো সুইটেবল, এক্ষেত্রে যদি প্রসেসর  Gen4 সাপোর্টেড না হয় সেক্ষেত্রে 550 বোর্ড না নিয়ে 450 মাদারবোর্ড ও নেয়া যেতে পারে যদি পরবর্তীতে আপগ্রেড এর পরিকল্পনা না থাকে।
  • মাদারবোর্ড কেনার ক্ষেত্রে অনেকেই স্লট,লুক এর দিকে অতিরিক্ত নজর দিয়ে ফেলেন। অবশ্যই অনেকেরই একাধিক ডিসপ্লে ব্যবহার করার দরকার হতে পারে, অনেক বেশি USB পেরিফেরাল ব্যবহার করা লাগলে USB পোর্টস ও বেশি থাকা লাগবে এ কথা সত্য। তবে প্রকৃতপক্ষে পারফর্মেন্স এর কথা চিন্তা করলে এগুলো কখনোই মাদারবোর্ড কেনার সময় প্রাথমিক নিয়ামক হওয়া উচিত নয়। বেশি র‍্যাম স্লট, এসএসডি স্লট অবশ্যই ভালো ফিচার, কিন্ত আপনার প্রসেসর এই মাদারবোর্ড থেকে সম্পুর্ণ পারফর্মেন্স এর জন্য প্রয়োজনীয় পাওয়ার নিরবিচ্ছিন্নভাবে পাবে কি না সেটা আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে। এই জিনিসটি নির্ভর করে VRM এর উপর, যত বেশি Phase এর VRM ব্যবহ্বত হবে মাদারবোর্ডে ও সেগুলোকে ঠান্ডা রাখার জন্য ব্যবস্থা যত ভালো থাকবে, হিটসিংক থাকবে, প্রসেসর এর পারফর্মেন্স তত ভালো নিশ্চিত হবে। M.2 Slot এ Heatsync থাকাটাও বেশ ভালো একটা বিষয়।
  • এখন প্রশ্ন আসতে পারে, এইযে VRM এর ব্যাপারটি, এটা বুঝবেন কিভাবে, জানবেনই বা কিভাবে? এক্ষেত্রে আপনাকে পুরোপুরি ইউটিউবের কিছু ভিডিও ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট,ফোরামের আর্টিকেল,ডিস্কাশন,কমেন্টের উপর নির্ভর করতে হবে। জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল Hardware Unboxed প্রতিটি জেনারেশনেই বিভিন্ন বাজেট রেঞ্জে,বিভিন্ন চিপসেটের মাদারবোর্ডগুলোর VRM Performance টেস্ট করে,সেখানে দেখা যায় কোন মাদারবোর্ডগুলো কোন ধরনের প্রসেসরকে ভালো মত সামলাতে পারছে,স্টেবল পাওয়ার দিতে পারছে, কোন মাদারবোর্ড গুলোতেই বা প্রসেসরগুলো ফুল স্পিডে চলতে পারছে ও আশানুরুপ স্কোর করতে পারছে। প্রতিবারই কিছু মাদারবোর্ড গড়পড়তা পারফর্মেন্স দিয়ে থাকে,খারাপ স্কোর করে থাকে, এগুলো চিহ্নিত করে avoid করা জরুরি। Best B560/660 Motherboard roundup, best z690 motherboard roundup এই Keyword এ সার্চ করলে বেশ অনেকগুলো ভিডিও পাবেন। Buildpickers নামের আরো একটি চ্যানেল আছে যারা মাদারবোর্ড টেস্ট করে থাকে।
  • আর যদি ওভারক্লক করা হয় ও Gen4 Supported  জিপিইউ লাগানো হয় ও সবথেকে বড় কথা প্রসেসরটিও Gen4 সাপোর্ট করে তাহলেই কেবল 550 বোর্ড গুলো নেওয়া উচিত।।
  • আমরা এরকম অনেক ঘটনা দেখেছি যে বাজেট বিল্ড এ পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে অনেকেই অতিরিক্ত টাকা খরচ করে স্যামসাং এর gen4 এসএসডি লাগিয়ে ফেলেছেন, অথচ ওই বাড়তি খরচটার সুবিধা তিনি প্রসেসর এর জন্য নিতেই পারবেন না কারণ তার প্রসেসর সেটা সাপোর্ট ই করে না।।।
  • আবার এরকম ও হয় যে বেশ পাওয়ারফুল প্রসেসর এর সাথে পর্যাপ্ত খোজ খবর না নিয়েই ,টাকা বাঁচানোর জন্য কোনো একটা সস্তা মাদারবোর্ড নিয়ে বসে আছেন যার ভিআরএম এর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ,ফলস্বরূপ প্রসেসরটি থেকে কাঙ্খিত পারফরম্যান্স পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।।।।।
  • ইন্টেলের ক্ষেত্রে মাদারবোর্ড এর ব্যাপারটি একটু বেশিই জটিল হয়ে গিয়েছে ,বিশেষ করে 11th gen থেকে, বেশিরভাগ বাজেট বোর্ড গুলোর ভিআরএম পারফরম্যান্স এর অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় লো বাজেটে মাদারবোর্ড চয়েস করা সত্যিই একটি কঠিন ও কনফিউজিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।।।। আমরা 11th/12th Gen এর locked I5 প্রসেসর গুলোর জন্য (যেমন 11400,11500,12400,12500) সর্বনিম্ন ১২ হাজার টাকা খরচ করতে অনুরোধ করবো, ১৫/১৬ হাজারে বেশ কিছু মাদারবোর্ড রয়েছে, সেগুলো নিতে পারলে বেশি ভালো হবে। এবং এই ধরনের প্রসেসরগুলোর সাথে H510,H610 চিপসেট এর মাদারবোর্ড না নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের মত কাজ হবে।
  • একটা কথা প্রচলিত আছে যে,  ইন্টেলের XXXK SKU,অর্থাৎ Unlocked প্রসেসর নিলে অবশ্যই ZX90 চিপসেটের মাদারবোর্ড নিতেই হবে, তাছাড়া সম্পুর্ণ পারফর্মেন্স পাওয়া যাবে না। আসলে এই ধারণাটি সম্পুর্ণ ভুল, প্রথমত এটা বুঝতে হবে যে আনলকড প্রসেসর কেনার মানে এই নয় যে সেটা ওভারক্লক করার জন্য ইউজার বাধ্যতামুলক, এটাও ভাবার কারণ নেই যে আনলকড প্রসেসর কেও কিনেছেন মানেই তিনি প্রথম দিন থেকেই সেটিকে ওভারক্লক করে চালাবেন। সত্য এটা যে, এটা সম্পুর্ণ ক্রেতার ব্যাপার যে তিনি ওভারক্লক করবেন কি না, ওভারক্লক করলে তিনি অতিরিক্ত কিছু পারফর্মেন্স তিনি পাবেন, এ কথাও যেমন সত্য, একইভাবে, ওভারক্লক না করলেও Boost Clock স্পিড তিনি ভালোমতই পাবেন (ভালো VRM থাকা সাপেক্ষে) এটাও সত্য।

  • অনেকেই দেখা যায় 12600k ,11600k এর মত প্রসেসর এর সাথে z690/z790/z590 মাদারবোর্ড নিচ্ছেন। এটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় যদি তিনি ওভারক্লক না করেন। হ্যা এ কথা আমরা বলতে পারি যে, তার সিস্টেমের সব গুলো কম্পোনেন্টই যদি হাই কোয়ালিটি,Top Tier এর হয়, Graphics card ও 3070/3080/4080 টাইপ হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে এটা ঠিক আছে। তাছাড়া যদি একটি মিডরেঞ্জ পিসি বিল্ড করতে চান, সেক্ষেত্রে ভালো মানের VRAM আছে,VRAM performance ভালো এরকম BX60 মাদারবোর্ড ই যথেষ্ট হবে।
    অনেককে আবার দেখা যায় যে কেও যদি 600K প্রসেসর এর সাথে 660 মাদারবোর্ড নেন তাহলে বলেন যে এই পিসি থেকে ফুল পারফর্মেন্স পাওয়া যাবে না । এটা সম্পুর্ণ ভুল কথা।
  • এরকম ঘটনাও দেখা যায় যে , প্রসেসর এর তুলনায় অনেক বেশি দামের মাদারবোর্ড সিলেক্ট করেছেন ক্রেতা। যেমন Core i5 11400,12400,12400 এর সাথে ২০-২৫ হাজার টাকার BX60 চিপসেটের মাদারবোর্ড অনেকে কেনেন। প্রকৃতপক্ষে এটি প্রয়োজনের অতিরিক্ত। ভালো VRAM আছে এরকম ১৫-১৭ হাজার টাকার কিছু মাদারবোর্ড মডেল রয়েছে Asus,MSI,Gigabyte এর, যেমন TUF,BAZOOKA/Mortar/Aorus।সাধারণত এই মাদারবোর্ডগুলো বেশ ভালো ফিচার ও পারফর্মেন্স এর সাথে আসে, এগুলো আমাদের উল্লেখিত প্রসেসরগুলো তো বটেই, 12600k,11600k,12500 এর মত প্রসেসরগুলোকে খুবই সুন্দরভাবে সামাল দিতে পারে। বরং আপনাকে যদি অতিরিক্ত ৫/৬/৮ হাজার টাকা খরচ করতেই হয়, তাহলে আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, আপনি চেষ্টা করুন এই টাকা দিয়ে আরো এক ধাপ উপরের লেভেলের গ্রাফিক্স কার্ড বা প্রসেসর কেনা যায় কি না।
  • AMD এর ক্ষেত্রে 450-550 বোর্ড গুলোর জন্য ৭-১৪ হাজার টাকাই যথেষ্ট । এই দামে যেসব মাদারবোর্ড রয়েছে সেগুলো দিয়ে 3600,3600x,3900x,5600x,5800x এর মত প্রসেসর খুবই ভালোভাবে চালানো সম্ভব। বিশেষ করে 12-15 হাজার এর মধ্যে Tuf,Bazooka,Mortar বা Aorus এর যেসব মডেল রয়েছে। সুতরাং এসব প্রসেসরের জন্য ১৫ হাজারের বেশি টাকা দিয়ে মাদারবোর্ড কেনা খুব একটা জরুরি নয়।

গ্রাফিক্স কার্ড

Processor এর পাশাপাশি একটি পিসির পারফরম্যান্স রিলেটেড সবথেকে গুরুত্বপুর্ণ পার্ট হচ্ছে গ্রাফিক্স কার্ড। স্পেশালি গেমিং এর জন্য বাংলাদেশে গ্রাফিক্স কার্ড এর ব্যবহার ও চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।গ্রাফিক্স কার্ড কেনার সময় ও মাথায় রাখার মত বেশ কিছু বিষয় রয়েছে।।

  • গ্রাফিক্স কার্ড কেনার আগে আপনার আবার ও কাজের হিসেব নিকেশ এর দিকেই ফিরে যেতে হবে। আপনি কি কি ধরনের কাজ করবেন, কি কি এপ্লিকেশন ব্যবহার করবেন সেগুলোর ব্যাপারে আগে স্পষ্ট সিদ্ধান্তে আসুন। সেই এপ্লিকেশন গুলো কি গ্রাফিক্স কার্ডের উপরই পুরোপুরি নির্ভরশীল, নাকি সম্পুর্ণই প্রসেসর এর মাধ্যমেই সেগুলো কাজ করে। নাকি সেগুলোর requirements এ ভালো মানের গ্রাফিক্স কার্ড/প্রসেসর উভয়েরই প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করা রয়েছে। যেই কাজে শক্তিশালী গ্রাফিক্স কার্ডের প্রয়োজন নেই, তার জন্য বিল্ড করলে খরচটা ভালো প্রসেসরের দিকেই করা উচিত, গ্রাফিক্স কার্ডে অতিরিক্ত খরচ সেক্ষেত্রে পয়সা নষ্ট ব্যতীত আর কিছুই নয়।
  • যদি কন্টেন্ট ক্রিয়েশন,এডিটিং,রেন্ডারিং বা প্রোডাক্টিভিটি যদি হয় উদ্দেশ্য, তাহলে এনভিডিয়ার জিপিইউ গুলো, বিশেষ করে আরটিএক্স 20 বা 30 সিরিজের জিপিইউ গুলো নেওয়াটাই বেশি যুক্তিযুক্ত হবে কারণ ভিডিও এডিটিং, রেন্ডারিং এ এনভেঙ্ক এনকোডার এর সুবিধাটাও এনভিডিয়া দিচ্ছে সাথে ড্রাইভার জনিত সমস্যা, বাগস ও এনভিডিয়াতে অনেক কম।
  • গ্রাফিক্স কার্ড রিলেটেড একটি প্রচলিত মিথ হচ্ছে গ্রাফিক্স মেমোরি যত ভালো,সেটি তত পাওয়ারফুল, এখনো হাটে বাজারে গ্রামে গঞ্জে VRAM দিয়ে গ্রাফিক্স কার্ড জাজ করা হয়।।
  • প্রকৃতপক্ষে মেমোরি ছাড়াও আর্কিটেকচার,ক্লক স্পিড, মেমোরি ক্লক, মেমোরি বাস, কুডা কোর এর সংখ্যা ও অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফিচার এর উপর গ্রাফিক্স কার্ড এর পারফরম্যান্স নির্ভর করে।
  • তবে এটা সত্য যে দুটি জিপিইউ এর অন্যান্য স্পেসিফিকেশন ও আর্কিটেকচার সেম বা আইডেন্টিকাল হলে সেক্ষেত্রে মেমোরির স্পিড,বাস ও ক্যাপাসিটি যার বেটার, সেটাই বেটার পারফর্ম করবে।। তবে এখানেও ব্যাপারটি নির্ভর করছে আপনার কাজের উপর, আপনি যে ধরনের এপ্লিকেশন ব্যবহার করবেন সেটা অতিরিক্ত মেমোরির সুবিধা নেবে কি না নাকি অতিরিক্ত ক্লক স্পিড/কুডা কোরের সংখ্যাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ তার উপরই নির্ভর করবে ব্যাপারটা।
  • অনেক এপ্লিকেশন রয়েছে যেগুলো স্বভাবতই অনেক বেশি মেমোরি ব্যবহার করে থাকে, সেই ধরনের এপ্লিকেশন যদি আপনি চালাতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই বেশি VRAM ক্যাপাসিটি ও VRAM Clock,bandwidth বেশি রয়েছে এরকম গ্রাফিক্স কার্ড নিতে পারেন। এই ব্যাপারে বিল্ড করার আগেই খোজ খবর নিয়ে ভালোমত জেনে নেওয়া উচিত। আবার অনেক এপ্লিকেশন এককভাবে Cuda Core ,কোরের সংখ্যা, ও ক্লক স্পিডের উপর নির্ভর করে থাকে, সেসব ক্ষেত্রে আপনার নজরটা মেমোরি থেকে এই স্পেসিফিকেশনের দিকেই দেওয়া উচিত হবে।

  • আর 2022 সালে এসে পুরনো আমলের 2 জিবি,1 জিবি ডিডিআর থ্রি,ফাইভ এর জিপিইউ গুলো নেওয়া হতে বিরত থাকতে অনুরোধ করছি, এই জিপিইউ গুলোর পারফরম্যান্স যেমন একেবারেই ভালো নয় একই সাথে ফিউচার প্রুফ ও নয়,তার থেকে বড় কথা এই জিপিইউ গুলোর জন্য ড্রাইভার সাপোর্ট ও এখন আর এভাইয়েবল নেই ,সাথে ওয়ারেন্টি পেতেও ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে।।
  •  ইসপোর্টস এর পাশাপাশি AAA গেমস ও মিডিয়াম টু হাই লেভেল এর এডিটিং ও ভবিষ্যতে আরো সর্বনিম্ন 3,4 বছর  চালানোর জন্য যদি জিপিইউ নিতেই হয় সেক্ষেত্রে আমরা বলবো ও নূন্যতম RTX 3050,2060 এর মত গ্রাফিক্স কার্ড নিতে।
  •  GTX 1650,1650 Super,1050 ti বা rx 550,560 এমনকি 6500xt এর মত চার জিবি vram এর জিপিইউ গুলো একদমই হিসেবে নেওয়া উচিত হবে না। বিশেষ করে বাংলাদেশে যে দামে এই জিপিইউ গুলো বিক্রি হয় সেগুলো একদমই যুক্তিসঙ্গত নয়।
  • আর জিপিইউ নেওয়ার আগে জিপিইউটির টিডিপি,অর্থাৎ কত পাওয়ার জিপিইউটি কনজিউম করে সেটাও মাথায় রাখতে হবে ও সেই অনুযায়ী পাওয়ার সাপ্লাই কিনতে হবে।
  • শুধুমাত্র জানাশোনার অভাবের কারণে অনেকেই কষ্টের টাকা দিয়ে অনেক বাজে একটি বিল্ড করে ফেলেন ,দেখা যায় কোর আই নাইনের সাথে GT 1030 বা 710 এর মত জিপিইউ তাকে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে কিংবা 10th gen i3 বা ryzen 5 3600/5500 এর সাথে ক্রেতা আরটিএক্স 3070 এর মত জিপিইউ নিয়ে ফেলেছেন।।।
  • কখনো কখনো তো 5600g এর সাথে বিল্ড করার সময়ই অনেকে গ্রাফিক্স কার্ড নিয়ে ফেলেন।
  • উপরে উল্লেখিত এই সব গুলো ঘটনাই এক একটা বটলনেকড বা ইমব্যালেন্সড পিসির এক্সাম্পল।
  • গ্রাফিক্স কার্ডের তুলনায় প্রসেসর অনেক বেশি দুর্বল হলে গেমিং এর ক্ষেত্রে আপনি ভালো পারফর্মেন্স পাবেন না। আবার প্রসেসর এর তুলনায় গ্রাফিক্স কার্ড এর পারফর্মেন্স লেভেল যদি অনেক কম হয়, তাহলেও কাঙ্খিত পারফর্মেন্স পাওয়া যাবে না।
  • কোনো একটি নির্দিষ্ট মডেলের গ্রাফিক্স কার্ডের পারফর্মেন্স,সুবিধা অসুবিধা, হিটিং ইস্যু আছে কি না ইত্যাদি জানতে চাইলে Guru3d,techpowerup,tomshardware এর মত সাইটগুলো রয়েছে, ইউটিউবেও মডেল লিখে সার্চ দিলে রিভিউ পাওয়া যাবে।
  • গেম খেলার জন্য পিসি বিল্ড করতে চান,সেক্ষেত্রে সবার আগে সিদ্ধান্তে আসতে হবে যে আপনি কি ধরনের গেম, কোন রেজুলুশনে, কোন সেটিংসে খেলতে চান ও আপনার সর্বনিম্ন ফ্রেমরেট টার্গেট কত।

Ram

  •  Ram নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই, চেষ্টা করবেন ডুয়াল চ্যানেল রাম নেওয়ার ,বিশেষ করে AMD সিসটেম গুলোতে একটি স্টিকের জায়গায় দুটি স্টিক র্যাম লাগালে পারফরম্যান্স অনেকখানি বেশি পাওয়া যায়।কারণ AMD এর Graphics এর VRAM বরাদ্দ থাকে র‍্যাম থেকে। সুতরাং র‍্যাম এর চ্যানেল এর কারণে পারফর্মেন্সে অনেক তারতম্য হয়।
  • 2023 সালে এসে র‍্যাম  এর সুইট স্পট হচ্ছে 16 জিবি, সেখানে ৮ জিবি হচ্ছে সর্বনিম্ন।যত কষ্টই হোক, কমপক্ষে আট জিবি  র‍্যাম রাখা উচিত বিল্ড এ।। যারা এডোবি এপ্স,ভারী এডিটিং এর কাজ,মাল্টিটাস্কিং,সাথে ব্রাউজিং করেন তাদের জন্য 32 জিবি র্যাম নেওয়ার রেকমেন্ডেশন থাকবে।।
  • যদি আপনার অল্প অল্প করে আপগ্রেড করার ইচ্ছা থাকে, সেক্ষেত্রে পিসি বিল্ড এর সময় একটি ৮ জিবি বা দুটি ৮ জিবির স্টিক নেওয়া উচিত, একবারে ১৬ জিবির একটি স্টিক নিলে পারফর্মেন্স এ যেমন কমতি দেখা যাবে, পরবর্তীতে আপগ্রেড করার  সময়েও খরচটা বেশি হবে।

  • র‍্যাম সরাসরি পারফর্মেন্স বৃদ্ধি করে না বা পিসি ফাস্ট করে না। মাল্টিটাস্কিং বেশি করার ক্ষেত্রে র‍্যামের গুরুত্ব রয়েছে, গেমিং এ র‍্যামের স্পিডের ও প্রভাব রয়েছে। তবে এগুলোর কোনোটাই গ্রাফিক্স কার্ড বা প্রসেসরের উপরে গিয়ে অতিরিক্ত প্রভাব বিস্তার করে না। সুতরাং যেখানে আপনার ৪/৫ হাজার টাকা বেশি খরচ করে বেশ অনেকখানি বেশি শক্তিশালী প্রসেসর/গ্রাফিক্স কার্ড নেওয়ার সুযোগ রয়েছে, সেখানে র‍্যামের পেছনে বেশি খরচ করা অযৌক্তিক হবে। বরং সেই টাকা টা সেই প্রসেসর/গ্রাফিক্স কার্ডে বিনিয়োগ করলে পিসিটি আরো বেশি ভারসাম্যপুর্ণ হবে। Ryzen 3 3200g,2200g, Ryzen 5 5600g এর মত সিস্টেমে ৩২ জিবি র‍্যাম নেওয়ার দরকার নেই একেবারেই, আবার ১৬ জিবির একটি স্টিক নেওয়াটাও অত্যন্ত বোকামি।
  • র‍্যাম নেওয়ার সময় একই ব্রান্ডের ও একই মডেল এর র‍্যাম বাছাই করা উচিত। কখনোই একাধিক ব্রান্ড বা ভিন্ন ভিন্ন মডেলের র‍্যাম নেওয়া উচিত নয়, এতে blue screen, crash,hang এর মত সমস্যা হতে পারে , অনেক ক্ষেত্রে channel issues, XMP চালু না হওয়ার মত ব্যাপার ও হতে পারে।

SSD

  • এসএসডি নিয়েও তেমন বেশি কিছু সাজেশন দেওয়ার নেই।।। dram cache যুক্ত এসএসডি পেলে অবশ্যই নেওয়ার চেষ্টা করবেন, অথবা হোস্ট মেমোরি বাফার বা HMB টেকনোলজি সাপোর্ট করে এরকম এসএসডি গুলো ও হতে পারে ভালো অপশন।। এসএসডি নেওয়ার ক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি, মিন টাইম বিফোর ফেইলিওর, টেরাবাইট রাইট ক্যাপাসিটির মত বিষয় গুলোতেও নজর দিবেন ও ওয়ারেন্টি, আফটার সেলস সার্ভিস ও ইমপোর্টার সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে চাইনিজ অখ্যাত ব্রান্ডের এসএসডি গুলো কিনবেন না।।
  • আর যেহেতু পারফরম্যান্স এর উপর এসএসডির সরাসরি প্রভাব নেই তাই গ্রাফিক্স কার্ড বা প্রসেসর থেকে কস্ট কাট করে দামি এসএসডি নেওয়ার ও প্রয়োজন নেই।।
  • কি ধরনের কাজ আপনি করবেন, বেশি এডিটিং,রেন্ডারিং, এক্সপোর্ট এর কাজ থাকলে M.2 NVMe টাইপ এসএসডি গুলো নেওয়া উচিত । সফটওয়্যার গুলোও এখানেই স্টোর ক্করা উচিত। তবে যদি মুভি,সিরিজ, ছবি,ব্যক্তিগত ডাটা বেশি থাকে, সেগুলোর জন্য এখনো HDD বা সর্বোচ্চ হলে SATA SSD গুলোই পারফেক্ট হবে।

  • এসএসডি কেনার আগে মাদারবোর্ডের এসএসডি স্লটের ফর্ম ফ্যাক্টর, Supported PCIe Generation ও প্রসেসর এর সাপোর্ট করা PCIe জেনারেশন ও দেখে নিতে হবে।
  • অনেকে দেখা যায় অনেক খানিক বেশি টাকা খরচ করে Gen4 SSD কিনেছেন , কিন্ত তার প্রসেসর ও Gen4 সাপোর্ট করে না, মাদারবোর্ড ও না। আবার মাদারবোর্ডে PCIe4 সাপোর্ট থাকলেও প্রসেসরে নেই, উভয় ক্ষেত্রেই এই অতিরিক্ত খরচের বিপরীতে লাভ শুন্য, Gen4 এর অতিরিক্ত স্পিড আপনি পাবেন না, কারণ এসএসডিটি Gen3 তে চলবে।
  • বিল্ডের বাজেটের সাথে অবশ্যই সামঞ্জস্যতা বজায় রাখতে হবে স্টোরেজ সিলেকশন এর সময়, ২৫/৩০ বা ৪০ হাজার টাকার বাজেটে ১ টেরাবাইট এসএসডি/Gen4 এসএসডি বা ৫০ হাজার টাকা বাজেটে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে হাই ক্যাপাসিটির এসএসডি নেওয়ার জন্য অন্যান্য কম্পোনেন্টে আপোষ করাটা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়।

Power supply

  • পাওয়ার সাপ্লাই পিসির পারফরম্যান্স হয়তো বাড়ায় না কিন্ত পাওয়ার সাপ্লাই এর জন্যই পিসি চলতে পারে,কম্পোনেন্ট গুলোতে প্রয়োজনীয় পাওয়ার এটাই যেহেতু প্রভাইড করে,সেই হিসেবে পিসির অন্যতম ইম্পরট্যান্ট কম্পোনেন্ট ও এটি।।
  • অনেকেই টাকা বাঁচানোর জন্য কোপটা পাওয়ার সাপ্লাই এর উপর ই দেন, যা ইন দা লং রান সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে।।
  • অনেকসময় অভারলোড হওয়া, কম্পোনেন্ট পুড়ে যাওয়া,পিসি বন্ধ হওয়া,গেম চালালে রিস্টার্ট নেওয়ার মত সমস্যা গুলো পাওয়ার সাপ্লাই এর জন্যই হয়ে থাকে।।দেখা যায় সিস্টেমের যে পাওয়ার দরকার তা পাওয়ার সাপ্লাই এর ম্যাক্সিমাম ক্যাপাসিটির থেকে বেশি।
  • পাওয়ার সাপ্লাই ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে আপনার ডিজাইন করা বিল্ড এ কতটুক পাওয়ার লাগবে তার একটি রাফ এস্টিমেশন পেতে পারেন,গেমার্স নেক্সাস হার্ডওয়্যার আনবক্সড এর মত চ্যানেলের রিভিউগুলো থেকেও প্রসেসর ও গ্রাফিক্স কার্ডের পাওয়ার কনসামশন এর ব্যাপারে ধারণা নিতে পারেন।।

  • 15-25 কে বাজেট এর উপরের বাজেটের বিল্ডগুলোতে কখনোই কেসিং এর সাথে দেওয়া পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করবেন না।। 3000-3500 টাকায় ডিসেন্ট 450 ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই গুলো পাওয়া যায় সেগুলো নিতে পারেন।।
  • সিস্টেমে জিপিইউ থাকলে ও হালের 6 কোর,8 কোর এর প্রসেসর গুলোর সাথে পেয়ার করলে 650 ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই গুলো মোটামুটি সুইট স্পট বলা যায়।। এই ক্ষেত্রে কর্শেয়ার এর সিএসকে বা সিএক্স ছাড়াও রয়েছে ডিপকূল,এনটেক এমএসআই বা কুলার মাস্টার এর মত ব্রান্ড যেগুলো বেশ ভালো সার্ভিস প্রভাইড করে।।
  • হাই এন্ড পিসি বিল্ড করলে ও পর্যাপ্ত বাজেট থাকলে অবশ্যই গোল্ড রেটেড, মডিউলার পাওয়ার সাপ্লাই গুলোই নেবেন। এবং এক্ষেত্রে পাওয়ার সাপ্লাই এর জন্য বাজেটের উল্লেখযোগ্য অংশ বরাদ্দ করা উচিত।
  • পাওয়ার সাপ্লাই মডেল অনুসারে কিরকম কোয়ালিটি সম্পন্ন সেটা জানতে Power Supply Tier list গুলোর সাহায্য  নিতে পারেন।

Casing

একদলের কাছে কেসিং মানেই আরজিবি লাইট ফ্যান ওয়ালা সৌন্দর্য বর্ধন এর জন্য ব্যবহার করা বাক্স, আরেকদল তো জাস্ট একটা চিকন ছোট টিনের মধ্যে পিসি রাখলেই হয় এটা মনে করেন।প্রকৃতপক্ষে ভেতরের কম্পোনেন্ট গুলোর হেলথ নির্ভর করে কেসিং এর উপরেই। সেজন্য কেসিং কেনার সময় আপনার বেশ কিছু বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত-

  • প্রথমত, কেসিং টির ডাইমেনশন, অর্থাৎ কেসিংটি কত বড়, এর দৈর্ঘ্য,প্রস্থ,উচ্চতা কতটুকু। একই সাথে এর সাপোর্ট করা মাদারবোর্ড ফর্ম ফ্যাক্টর কি কি? আপনার সিলেক্ট করা মাদারবোর্ডটি এই কেসিং এ লাগানো যাবে কি না। ভবিষ্যতে আপনার যদি অন্য ফর্ম ফ্যাক্টর এর মাদারবোর্ড দিয়ে পিসি বিল্ড এর  পরিকল্পনা থাকে, সেটাও এখানে ইন্সটল করা যাবে কি না সেটাও দেখতে হবে।
  • গ্রাফিক্স কার্ড এর জন্য ক্লিয়ারেন্স কতটুকু রয়েছে, আপনার সিলেক্ট করা গ্রাফিক্স কার্ড এর সাইজ কতটুকু, আর কেসিং এর ক্লিয়ারেন্সই বা কতটুকু। ভবিষ্যতে যদি বড় গ্রাফিক্স কার্ড লাগানোর পরিকল্পনা থাকে, সেটাও মাথায় রাখতে হবে কেসিং সিলেক্ট করার সময়।
  • সিপিইউ কুলার এর সর্বোচ্চ ক্লিয়ারেন্স কতটুকু, সেটা দেখতে হবে।
  • লিকুইড কুলিং সাপোর্ট, AIO কুলার লাগানো যায় কি না, গেলেও সর্বোচ্চ কোন সাইজ সাপোর্ট করে তা নিশ্চিত হতে হবে।

  • কুলিং,ভেন্টিলেশনঃ কেসিং এ ভেন্টিলেশন এর কিরকম ব্যবস্থা রয়েছে সেটি দেখতে হবে। ফ্যান কতগুলো লাগানো যাবে সর্বোচ্চ, কতগুলো ফ্যান লাগানো রয়েছে , সামনের দিকে মেশ রয়েছে নাকি গ্লাস তা দেখতে হবে। মেশ কেসিং এ এয়ারফ্লো গ্লাস থেকে বেশি ভালো হয় সাধারণত।
  • স্টোরেজ অপশনঃ SATA SSD কয়টা লাগানো যাবে, HDD Drives ই বা কতগুলো লাগানোর ব্যবস্থা রয়েছে তা জেনে নিন। 2.5 Inch,3.5 Inch drive সাপোর্ট কতগুলো তা স্পষ্ট জেনে না নিলে পরবর্তীতে ড্রাইভ লাগানোর সময় সমস্যা হতে পারে।
  • কেবল ম্যানেজমেন্টঃ আপনার সিলেক্ট করা কেসিং এর কেবল ম্যানেজমেন্ট কিরকম, বিল্ড করতে কতটুকু কম্ফোর্ট পাওয়া যায় তার সম্পর্কে ধারণা ও নিতে পারেন। এর জন্য ইউটিউবে ভিডিও দেখা যেতে পারে।
  • পাওয়ার সাপ্লাই সাইজঃ পাওয়ার সাপ্লাই কতটুকু সাইজের লাগানো যাবে তাও জেনে নেওয়া ভালো।
  • বিল্ড কোয়ালিটি, ওজন সম্পর্কে ধারণা পেতে ইউটিউব এর ভিডিও গুলো কাজে আসতে পারে।
  • ফ্যান এর আরজিবি যদি থাকে, তাহলে তা ARGB কি না, মাদারবোর্ড সিংক করা যায় কি না, নাকি আলাদা বাটন/রিমোট থেকে কন্ট্রোল করা যায় সেটাও আগে থেকেই নিশ্চিত হওয়া উচিত।

RGB

আরজিবি এফপিএস বাড়ায় না,সুতরাং গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট এর খরচ কমিয়ে তা দিয়ে অহেতুক আরজিবি প্রোডাক্টস,ফ্যান, ram,SSD নেওয়ার দরকার নাই।

WARRANTY

সিলেক্ট করা প্রতিটি প্রোডাক্টের ওয়ারেন্টি, ইমপোর্টার সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা নিতে হবে যাতে কোনো সার্ভিসিং বা রিপ্লেসমেন্ট এর দরকার হলে বিপদে পড়তে না হয়। বাজেট যদি একেবারেই কম না হয় তাহলে আমাদের পরামর্শ থাকবে অফিশিয়াল প্রোডাক্ট নেওয়া ।

SHOPS

  • অনেকেই কোথা থেকে বিল্ড করবেন, কম্পোনেন্ট বাছাই করবেন বা খোঁজ খবর নেবেন তা বুঝে উঠতে পারেন না কারণ ছোট ছোট জেলা শহর গুলোতে খুব একটা বড় দোকান থাকে না ও সব রকমের কম্পোনেন্ট ও এভেইলেবল থাকে না ও এসব জায়গা থেকে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা ও থাকে অনেক বেশি।
  • এক্ষেত্রে ঢাকার যে বড় বড় শপ রয়েছে সেগুলোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এভেইলেবল প্রোডাক্ট, প্রাইস,স্পেকস সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন, সেগুলোতে পিসি বিল্ডার ফিচার আছে,সেটা ব্যবহার করে অনলাইনেই পিসি সাজাতে পারেন।। পিসি কম্পোনেন্ট কেনা বা পিসি বিল্ড করার ক্ষেত্রে দারাজ এর মত সাইট ভিজিট না করাই ভালো কারণ এখানে 90% ক্ষেত্রেই প্রাইস আপডেটেড থাকে না ও ফেইক শপের ফেইক প্রোডাক্ট হাতে চলে আসার সমূহ সম্ভাবনা থাকে।।

পুর্বপ্রস্ততি

  • অনেক কেই আমরা গ্রূপে পোস্ট করতে দেখি যে এক ঘন্টা পর বিল্ড করতে যাব,সাজেশন দেন দ্রুত, কিংবা এক্ষুনি বিল্ড করতে যাচ্ছি,. নিচের বিল্ডটি কেমন হবে।।
  • কেও কেও তো আবার মাল্টিপ্লানের নিচতলায় দাঁড়িয়েও পোস্ট করেন যে আর্জেন্ট সাজেশন নিডেড।।
  • পিসি যেহেতু কষ্টের টাকা দিয়েই বানাচ্ছেন, এবং সেটার সার্ভিস অনেক বছর ধরেই পেতে চান, সেজন্য এই ধরনের তাড়াহুড়ো একেবারেই করবেন না, এতে খুবই বাজে একটি ম্যাশিন আপনার ভাগ্যে জুটে যেতে পারে, যার ফলে মাসের পর মাস দুর্ভোগ পোহানো লাগতে পারে।।
  • অন্তত কয়েক সপ্তাহ বা মাস আগে থেকে রিসার্চ,দেখাশোনা খোঁজ খবর শুরু করুন ,তারপর সিদ্ধান্ত নিন।।
  • কেও কেও কম্পোনেন্ট সিলেকশনে একেবারেই কোনো অল্টারনেটিভ চয়েস রাখেন না, শপে বা সমগ্র মার্কেটেই আপনার চয়েস করা কম্পোনেন্ট টি আউট অফ স্টক থাকতে পারে,আগে থেকে অল্টারনেটিভ অপশন না সিলেক্ট করলে ইমারজেন্সি অবস্থাতে আপনাকে দোকানদার তার পছন্দের কোনো বাজে একটা প্রোডাক্ট ও ধরিয়ে দিতে পারে। এজন্য একাধিক অল্টারনেটিভ অপশন বিবেচনায় রাখুন।।

Sosta vlogs and OLD PCs

বিভিন্ন অমুক ব্লগস তমুক ব্লগস এর সেকেন্ড জেন থার্ড জেন প্রসেসর ও চাইনিজ মোবো যুক্ত আগুন পিসি ,বাঘের বাচ্চা পিসি 10 হাজারের গেমিং পিসির ব্যাপারে আমরা আগেই সতর্ক করেছি।।

অনলাইনে রিসার্চ করার সময় সাবধানে ভেবে চিন্তে জেনে বুঝে করবেন, ইউটিউব ভিডিও আপনার জন্য অনেক বড় আশীর্বাদ , ঈদের চাদ যেমন হতে পারে, অনেক ক্ষেত্রে অভিশাপ ও হতে পারে।

Share This Article

Search