তেলে চুবানো কম্পিউটার | The Submerged PC Build

এ কেমন তেল!! 😛

তেলের ভিতরে পিসি নাকি পিসির কেসিঙের মধ্যে তেল!

যারা ব্যাপারটা নিয়ে এখনো জানেন না তাদের জন্য ব্যাপারটা অবাক করার মত। আর যারা জানেন তারা বলবেন এ আর এমন কি! 
কিন্তু বাংলাদেশে এমন প্রজেক্ট হয়তো এটাই প্রথম।

বেশি বলে ফেললাম মনে হয়। আমরা তো ছোটখাটো একটা টেক চ্যানেল মাত্র।
যাইহোক, এতদিন আমরা জেনে এসেছি যে কোন ধরনের লিকুইড ইলেক্ট্রনিক্সের সংস্পর্শে আসলেই ইলেক্ট্রিকাল জিনিশের বারোটা বাজবে। তাহলে এইটা কিভাবে সম্ভব!
আমরা কোন যাদুটোনা বা সুপারন্যাচরাল পাওয়ার ব্যাবহার করছি না এতে বিজ্ঞান এবং কিছু টেকনিকাল আইডিয়া দিয়েই প্রোজেক্টটি করা।

বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো ২০১৭ তে আসুসের প্যাভিলিয়নে গেলেই দেখতে পারবেন একুরিয়ামের ভিতরে মাদারবোর্ড,প্রসেসর সহ পুরা আস্ত একটা পিসির প্রায় সব কম্পোনেটস রাখা একটি পিসি। আমরা ব্যবহার করেছি ক্রিস্টাল প্লাস ৭০টি খনিজ তেলটি।
শুরু থেকেই বলে এসেছি এইটা একটা বিশেষ তেল। যাকে মিনারেল অয়েল বা প্যারাফিন অয়েল বলা হয়। আসলে এটি রংহীন,গন্ধহীন এবং হালকা উচ্চতর অ্যালকেনের মিক্সচার যা মিনারেল সোর্স থেকে নেয়া হয়। আর এই সোর্সটা হল সাধারনত পেট্রোলিয়াম।
ভেবে বসবেন না আমি আপনাদের রসায়নের জৈব যৌগ পড়াতে এসেছি।
একটা কমন ধারনা দিলাম আর কি।

এসব উচ্চতর রসায়ন জানার থেকে আসল যে কথাটা জানা দরকার তা হল এই লিকুইডটি কোণ ধরনের ইলেক্ট্রিসিটি কন্ডাক্ট(বহন) করে না। ইন্ড্রাস্টিয়ালি এবং মেকানিকালি এর ব্যাপক ব্যবহার আছে।

আর আরো একটি ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল, এটি বাতাসের তুলনায় ১০ গুন বেশি তাপ শোষন করতে পারে।
তাই বলা যায় এই ধরনের বিল্ডে অত্যাধিক তাপমাত্রা নিয়ে ভাবার কিছুই নাই। ইন্ড্রাস্ট্রিয়ালি তাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে এটি ব্যবহার হয়।

https://www.facebook.com/pcbuilder.bd/videos/1126861274080029/

 

মিনারেল অয়েল পিসির কনফিগঃ

১. ইন্টেল কোর আই ৭ ৭৭০০ প্রসেসর
২. আসুস বি২৫০এফ স্ট্রিক্স
৩. এভিক্সার আরওজি সার্টিফাইড র‍্যাম ২৬৬৬ মেগাহার্জ ১৬ জিবি
৪. হার্ড ড্রাইভ
৫. গ্রাফিক্স কার্ড আসুস আর৯ ৩৯০ স্ট্রিক্স
৬. সিসনিক পাওয়ার সাপ্লাই ৭৫০ ওয়াট
৭. কুলার মাষ্টার হিট সিঙ্ক
৮. প্রিমোচিল লিকুইড কুলিং ফিটিংস
৯. ইকে ডি৫ পিডাব্লিউএম পাম্প
১০. এক্সএসপিসি ২৪০ মিমি রেডিয়েটর
১১. মিনারেল অয়েল ১৫ গ্যালন

মোট খরচ ১,৪৫,০০০ টাকা।
ক্রেডিটঃ পিসিবি বিডি এর টিম মেম্বার ওরফে মডার মাহাবুব আলম রাকিব

টেম্পারেচার ফ্যাক্টঃ
সাধারনত কোন লোড ছাড়াই মানে অলস অবস্থায় ৩০-৩৩ ডিগ্রি থাকে এবং ফুল লোডে ৪৫-৫০ এর মত থাকে সিপিউতে।

এই ধরনের বিল্ডের সুবিধা আর অসুবিধাটা বলা যাক। প্রথমে সুবিধা,
১। আনকমন একটা বিল্ড হবে যদি করা যায়। একুরিয়াম পিসি টাইপস একটা ভাব হবে। সাথে আরজিবি যোগ করলে তো পুরাই চখাম বিল্ড হবে।
২। মোটামুটি নয়েজ ফ্রী সাইলেন্ট একটি বিল্ড হবে কারন এতে ফ্যানের ইউজ তেমন থাকবেই না।
৩। কুলিং সিস্টেম ঠিকমত কাজ করতে পারলে টেম্পারেচার নিয়ে তেমন টেনশন থাকবে না।
ইত্যাদি।

অসুবিধা,
১। অনেক সময় এবং খরচের ব্যাপার।
২। মেইন্টেইন করা প্যারাদায়ক। সেজন্য এই ধরনের বিল্ড পারমানেন্ট হতে পারে না।
৩। রুম টেম্পারেচারের উপরে অনেকটা ডিপেন্ড করবে কম্পোনেন্টের টেম্পারেচার।

মেলা চলবে ২০ তারিখ পর্যন্ত। ঘুরে আসার আমন্ত্রন রইল।

Share This Article

Search
kampungbet kampungbet kampungbet toto slot link gacor kampungbet kampungbet kampungbet toto slot kampungbet link slot kampungbet kampungbet kampungbet situs toto situs togel situs slot rtp slot situs judi bola situs slot gacor link slot resmi slot gacor hari ini
toto togel monperatoto situs toto toto togel slot resmi toto togel bandar togel togel online bandar togel slot 4d toto slot toto slot