দেশের বাজারে DDR5 RAM এর দাম ও কয়েকটি DDR5 Builds

DDR5 RAM দেশের বাজারে আসা শুরু হয়েছে মোটামুটি ২০২২ সাল থেকে। প্রথম দিকে এগুলোর দাম ছিল অত্যন্ত বেশি, বেশিরভাগ ব্যবহারকারীরই নাগালের বাইরে। তবে দিন যত যাচ্ছে DDR5 র‍্যামের দাম কমছে, ব্রান্ড,মডেল এর সংখ্যা বাড়ছে ও আস্তে আস্তে affordable হয়ে যাচ্ছে DDR5 RAM। আজকে আমরা দেখবো দেশের বাজারে DDR5 Ram এর বর্তমান অবস্থা ও একই সাথে সেরা কিছু ডিলস এবং কয়েকটি  DDR5 এর বিল্ড সাজেশন ও থাকবে পোস্টের শেষ অংশে।

আস্তে আস্তে কমে আসছে DDR5 Ram এর দামঃ

২০২২ সালেও DDR5 RAM ছিল শুধুমাত্র উচ্চ মানের উচ্চবিত্ত পিসি বিল্ডারদের জন্য। ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করাই লাগতো DDR5 RAM এর জন্য। ছিল না খুব বেশি ব্রান্ডস,মডেল এর উপস্থিতি। গুটিকয়েক ব্রান্ডের অল্প কিছু মডেল উচ্চমুল্যে পাওয়া যেত। সাথে DDR5 মাদারবোর্ড এর অতিরিক্ত খরচ তো আছেই।

এই বছর AMD এর সম্পুর্ণ লাইনআপ টাই DDR5 ভিত্তিক, DDR5 বাজারে আসার ও অনেকদিন হয়ে গিয়েছে। তবে খুশির সংবাদ হচ্ছে যে গত কয়েক মাসে তরতর করে কমেছে DDR5 Ram এর দাম। ঝাকে ঝাকে অনেক গুলো ব্রান্ডের বিভিন্ন ক্যাপাসিটি,বিভিন্ন স্পিড ও বিভিন্ন দামের র‍্যাম বাজারে প্রবেশ করেছে। যার ফলে DDR5 র‍্যাম কেনা ও DDR5 based পিসি বিল্ড করা অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। চলুন কিছু সেরা অপশন দেখে নেওয়া যাক DDR5 র‍্যামের।

সাধারণ ধারণাঃ

DDR5 এর বেসিক স্পিড শুরু ৪৮০০ মেগাহার্জ থেকে। এখনো পর্যন্ত দেশ ও বিদেশের বাজারে ৪৮০০ থেকে শুরু করে ৬৬০০ মেগাহার্জের র‍্যাম খুবই জনপ্রিয় ও এগুলোকেই স্টান্ডার্ড রেঞ্জ হিসেবে ধরা হয়। অবশ্যই স্পিড বেশি হলে পারফর্মেন্স বেটার পাওয়া যায়। এক একটি র‍্যাম জেনারেশন এ স্পিড বৃদ্ধি পায়।

আবার স্পিড এর সাথে ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক হলো Timing/delay বা latency এর। স্পিড যত বেশি হবে, naturally বা নিয়মানুসারে ল্যাটেন্সি বেড়ে যাবে। ল্যাটেন্সি যত কম তত ভালো। আমরা DDR4 এর ক্ষেত্রে ১৪-১৮ রেঞ্জে দেখেছি র‍্যাম এর ল্যাটেন্সি। এখন DDR5 এ এসে তা ৩০-৪০ এর ঘরে চলে গিয়েছে। র‍্যাম কিনতে গেলে আমাদের লক্ষ থাকবে একই দামে সর্বোচ্চ স্পিড,ক্যাপাসিটির সাথে সাথে কম ল্যাটেন্সি কোন ব্রান্ড বা কোন মডেল দিচ্ছে সেটা খোজা, এগুলোর মধ্যে একটা ব্যালেন্স বা optimized অবস্থান এ আছে কোনটা সেটা খুজে বের করা। একই স্পিডের মধ্যে সর্বনিম্ন ল্যাটেন্সি বেশি ভালো।

ব্রান্ডগুলো ও চেষ্টা করে স্পিড বাড়িয়ে বা স্পিড একই রেখে সর্বনিম্ন latency রাখার।

কোনটা নিবেন না?

সেরা অপশন কি কি রয়েছে তা আলোচনা করার আগে কোন র‍্যাম গুলো বর্তমানে Value for Money না সেটা নিয়ে একটু কথা বলা যেতে পারে।

ADATA U-DIMM Sticks

ADATA এর ৪৫০০ টাকায় 4800 Mhz DDR5 স্টিক বাজারে এভেইলেবল রয়েছে।। এগুলো লো ভোল্টেজ U-DIMM স্টিক। তবে সমস্যা হচ্ছে এগুলো একেবারেই বেশি সাদামাটা মডেল এর র‍্যাম। যারা DDR5 বিল্ড করে থাকেন,তাদের ক্ষেত্রে পিসি টা একটু উচ্চমানেরই হয়ে থাকে। RGB, Aesthetics ,নান্দনিকতার ব্যাপার থাকে। এই র‍্যাম গুলোতে না আছে RGB না আছে Heatsink।

আর সবথেকে সহজলভ্য DDR5 র‍্যাম হলেও এটাকে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে না কারণ বাজারে অন্যান্য মডেল এর উপস্থিতি। এক দুই মাস আগেও এটা একদম Low-budget DDR5 বিল্ড এর জন্য নেওয়া যেত। তবে এখন আর তার সুযোগ নেই।

এর 16GB স্টিকের দাম ৮০০০ টাকা। বাজারে স্পিড,ল্যাটেন্সি, লুকস সব কিছু মিলিয়েই অন্যান্য ব্রান্ডের একাধিক মডেল রয়েছে যা এর থেকে যোজন-যোজন এগিয়ে। এজন্য এই ১৬ গিগাবাইট এর স্টিক নেওয়ার ও একেবারেই কারণ নেই।

Crucial U-DIMM Sticks

একই অবস্থা crucial এর ও। এই ব্রান্ডটির ও U-DIMM heatsink less র‍্যাম রয়েছে । ADATA এর মতই স্পেসিফিকেশন কিন্ত দাম আরো ১০০০ টাকা বেশি। এটাও নেওয়ার মত কোনো র‍্যাম নয়।

TEAM VULCAN RED 8GB DDR5 5200MHz

Team এর এই র‍্যামটি দেখতে মোটামুটি মানের হলেও স্পেকস এর দিক দিয়ে খুব একটা সুবিধার না। ৬০০০ টাকায় ৮ গিগাবাইট ও ৫২০০ মেগাহার্জ স্পিড। ৪০- ৭৬ ল্যাটেন্সি। এজন্য এটাও avoid এর কাতারেই চলে যাবে।

GIGABYTE AORUS 16GB DDR5 5200MHZ

দাম অনুসারে স্পেকস বা স্পেকস অনুসারে দাম, যেদিক দিয়েই বিচার করা হোক না কেন। Gigabyte Aorus 16G DDR5 5200 Mhz , এই র‍্যামটির ক্ষেত্রে একটি শব্দই বরাদ্দ। সেটা হচ্ছে- Aweful। ১৩ হাজার টাকায় ১৬ গিগাবাইট র‍্যাম যার মধ্যে শুধু ব্রান্ড এর সুনাম আর aorus এর লোগো ছাড়া আর কিছুই নেই।  ৫২০০ মেগাহার্জ এর স্পিড, নেই কোনো আরজিবি । ৪০-৮০ টাইমিং। সব মিলিয়ে এই র‍্যামটির দাম হওয়া উচিত ছিল অর্ধেক এর ও কম। আমরা উপরে যে adata, crucial বা team group এর র‍্যাম এর সমালোচনা করে এসেছি, তার থেকেও অনেক বেশি সমালোচনা এই মডেল এর প্রাপ্য। ADATA ,crucial কিংবা Team এর ক্ষেত্রে ১৬ গিগাবাইট র‍্যাম কিনতে ৮০০০,৯০০০ এবং ১২০০০ টাকা খরচ হবে।

যাই হোক, ১২ হাজার টাকায় এই র‍্যাম নেওয়ার কারণ আতশকাচ বা দুরবিন দিয়ে খুজেও পাওয়া যাবে না।

CRUCIAL 16GB DDR5 4800MHZ UDIMM DDR5

এটাও বাতিলের খাতায়।

APACER 16GB DDR5 4800MHz DESKTOP RAM

এবং আমাদের সমালোচনার অংশ শেষ হচ্ছে APACER এর ১৬ গিগাবাইট 4800Mhz র‍্যামটি দিয়ে। ৪৮০০ মেগাহার্জ এর বেসিক স্পিড , আরজিবি,হিটসিংক এর অনুপস্থিতি  ও অত্যন্ত বেশি ল্যাটেন্সির অসাধারণ প্যাকেজ কম দামে ADATA, Crucial আমাদের দিতে চেয়েছিল। সেই একই জিনিস APACER দিচ্ছে ১৩ হাজার টাকায়। অসাধারণ!!!

BEST DDR5 RAMS to buy: DDR5 RAM PRICE IN BANGLADESH

G.Skill Trident Z5 RGB 16GB DDR5 6000MHz

৭৭০০-৮৫০০ টাকায় G-Skill এরই ৩টি মডেল এর র‍্যাম রয়েছে। ৩টিই ১৬ গিগাবাইট এর সিঙ্গেল স্টিক কিন্ত এগুলোর ল্যাটেন্সি,স্পিড সবই ভিন্ন ভিন্ন।দুটিতে RGB রয়েছে, একটি তে নেই। ডিজাইন,লুক সবই বেশ প্রিমিয়াম।

7700 টাকায় 5600 Mhz Non RGB CL16, ঠিক ৩০০ টাকা বাড়ালেই RGB CL32, আর আরো ৫০০ টাকা বাড়ালে CL32 6000 Mhz।

এই বাজেট রেঞ্জে এগুলোর মধ্যে  সবথেকে value for money র‍্যাম বলতে গেলে TRIDENT Z5 RGB এর কথাই বলতে হয়। ৮৫০০ টাকায় ৬০০০ মেগাহার্জ স্পিড, CL32 Latency, অত্যন্ত প্রিমিয়াম ও স্টাইলিশ ডিজাইন এর সাথে RGB এর উপস্থিতি। সব মিলিয়ে অসাধারণ। এই বাজেটে সবথেকে tuned র‍্যাম হয়তো এটাই। সবথেকে কম ক্যাশ ল্যাটেন্সি ৩২ এই র‍্যামটিতেই পাওয়া যাচ্ছে।

আমরা যদি DDR4 র‍্যাম এর সাথে তুলনা করি। একটু প্রিমিয়াম ডিজাইন,লুক ,RGB ওয়ালা র‍্যাম গুলো ১৬ গিগাবাইট নিতে গেলে ৭০০০-৮০০০ টাকা খরচ হবেই। সেখানে ৮৫০০ টাকায় 16GB 6000 Mhz এর DDR5 র‍্যাম বেশ চমৎকার একটি অপশন।

Gskill Ripjaws S5 16GB 6000MHz DDR5 Ram

উপরে যে র‍্যামটির কথা এতক্ষণ আলোচনা করলাম, তার একটু বেসিক বা সাদামাটা ডিজাইন এর র‍্যামই এটা। এছাড়া এর স্পেসিফিকেশন মোটামুটি একই রকম। ৬০০০ মেগাহার্জ স্পিড, 32-38 timing এর এই র‍্যামটিতে আরজিবি নেই। লুকটাও তুলনামুলক সাদামাটা। তবে এই বাজেটে অন্যতম ভালো একটি অপশন এটা।

 

Kingston FURY Beast 16GB 6000MHz

Kingston Fury Beast এর দাম ১০০০০ টাকা। CL32 timing এর এই র‍্যামটির ডিজাইন ও বেশ প্রিমিয়াম। আরজিবি ও আছে।

৭০০০-১০০০০ টাকা রেঞ্জে বিকল্পঃ

একক ভাবে G-Skill ৭০০০-৯০০০ টাকার মধ্যে রাজত্ব করছে বর্তমানে। উপরে উল্লেখ করা 6000 Mhz 16G এর কিট যদি একান্তই না পান কেও। সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে রয়েছে-

G.Skill Trident Z5 RGB 16GB 5600MHz DDR5 CL36

  • ৮০০০ টাকা দাম।
  • CL16 ক্যাশ ল্যাটেন্সি
  • 5600 Mhz speed
  • RGB
  • Stylish design with Heatsink

আর এই র‍্যামটি একান্তই না পেলে Non RGB FLARE X5 রয়েছে ৭৭০০ টাকায়। সেটি নিতে পারেন। তবে ডিজাইন, লুক হিসেবে এটা সেরকম আকর্ষণীয় ডিল নয় যেখানে যথাক্রমে আর  ৩০০ টাকা ও ৮০০ টাকা বাড়ালেই উপরের দুটি মডেল পাওয়া যাচ্ছে।

৩২ জিবি র‍্যামঃ

৩২ গিগাবাইট র‍্যাম নিলে কোনটা কোনটা নেওয়া যেতে পারে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

TRIDENT-Z D5 RGB 6000 Mhz

৮৫০০ টাকায় আমরা যে র‍্যামটির কথা আলোচনা করলাম উপরে ,সেটিরই ৩২ গিগাবাইট এর কিট পাওয়া যায় ১৬৫০০ টাকায়। ৩২ গিগাবাইট র‍্যাম এর সবথেকে বেশি স্পিড, কম ল্যাটেন্সি, সব দিক দিয়ে ideal একটি পছন্দ এটাই হতে পারে।

আবার Ripjaws s5 র‍্যামটির দুটি স্টিক ও চাইলে নেওয়া যেতে পারে। দুটি স্টিকের দাম ৮০০০ টাকা। হয়তো ফিজিক্যাল স্টোরে কিনতে গেলে বা ফুল বিল্ডের সাথে এই র‍্যাম এর দাম আরো কয়েক শত টাকা কমে পাওয়া যাবে।

বাজেট এ আরেকটু টানাটানি থাকলে আমরা উপরে যে বিকল্প আলোচনা করেছি, অর্থাৎ 7700 টাকার Flare-x 5600mhz এর র‍্যাম এর দুটি কিট নিয়ে নিতে পারে। সেক্ষেত্রে ১৫ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যেই ৩২ গিগাবাইট র‍্যাম পাওয়া যাচ্ছে।

***৩২ জিবির সিঙ্গেল কিট নিতে চাইলে G.SKILL Trident Z5 32GB RGB DDR5-5600 নিতে পারেন ১৩ হাজার টাকায়।***

DDR5 এর কিছু বিল্ডঃ

এবার আমরা দেখবো DDR5 র‍্যাম এর কিছু পিসি বিল্ড।।এক্ষেত্রে আমরা আমাদের DDR5 বিল্ড এর জন্য প্রসেসর হিসেবে lowest tier ধরে নেব Core i5 13400f কে। এরপর পর্যায় ক্রমে বাজেট অনুসারে প্রসেসর পরিবর্তিত হবে। যেহেতু এটা DDR5 বিল্ড, তাই মোট বাজেটের থেকে  র‍্যাম ও মাদারবোর্ড এ বেশ উল্লেখযোগ্য একটা অংশ খরচ হবে ।এক্ষেত্রে খুব বেশি খরচ কমানোর সুযোগ নেই । একই সাথে বিল্ড এর অন্যান্য কম্পোনেন্ট গুলো নির্ধারণ করার ক্ষেত্রেও আমরা একটু ভালো মানের প্রোডাক্ট,প্রিমিয়াম প্রোডাক্ট বাছাই করার চেষ্টা করবো। ধরে নেওয়া হচ্ছে যে এই বিল্ডের ক্রেতা সাধারণের বাজেট নিয়ে সেরকম টানাটানি নেই।

তবে নিচে উল্লেখিত প্রতিটি বিল্ডেই অফলাইন শপিং এ বড় শপ গুলো ৫০০/১০০০/২০০০/৩০০০ টাকা পর্যন্ত ডিস্কাউন্ট দিতে পারে।

বাজেট ৬৫-৭০ হাজার টাকা। (পরবর্তীতে গ্রাফিক্স কার্ড লাগানো হবে)

আমাদের গ্রুপে এরকম পোস্ট আমরা প্রচুর দেখতে পাই যে বাজেট ৬০-৭০ হাজার টাকা , একটি বিল্ড সাজেস্ট করুন। গ্রাফিক্স কার্ড পরবর্তীতে লাগানো হবে। এক্ষেত্রে কিন্ত সুযোগ রয়েছে DDR5 দিয়ে বিল্ড করে ফেলার। নিচের বিল্ডটি একই সাথে DDR5 এর starting point ও বলা যেতে পারে।

PC For Google Chrome (version 1)

আরো এক শ্রেনীর পিসি ইউজার আছেন যাদের মুল কাজ ই র‍্যাম ভিত্তিক। ব্রাউজার ভিত্তিক, প্রচুর পরিমাণে ট্যাব ওপেন করে কাজ করা লাগে। ফ্রিল্যান্সার দের মধ্যেও অনেকের কাজ ভেদে র‍্যাম এর প্রয়োজন হয়। তাদের কথা মাথায় রেখে আমরা নিচের বিল্ডটি সাজিয়েছি।এই বিল্ডের মুল ফোকাস ই হলো র‍্যাম। র‍্যাম হিসেবে ১৬ গিগাবাইট এর দুটি স্টিক আমরা রেকমেন্ড করছি।

খরচ কমাতে ইচ্ছা করেই এই বিল্ডে 13500 এর জায়গায় 13400 দেওয়া হয়েছে। সম্ভব হলে 13500 নেওয়ারই পরামর্শ থাকলো কারণ সেটা value for money। আর কিছু মেগাহার্জ গচ্চা দিয়ে যদি 5600 Mhz এর দুটি স্টিক নেন 7700 টাকার,তাহলেও কিছু টাকা বাচানো সম্ভব।

পরবর্তীতে GPU লাগানো হবে এরকম আরো একটি বিল্ডঃ

পরবর্তীতে গ্রাফিক্স কার্ড লাগানো হবে কিংবা পিসিতে আরো আপগ্রেড করা হবে এরকম আরো একটি বিল্ড নিচে দেওয়া হলো। এই বিল্ডটির প্রসেসর ও মাদারবোর্ড আগের বিল্ড থেকে বেশ কিছুটা উপরের দিকেই থাকবে। পরবর্তীতে আপগ্রেড করা হবে ধরে নিয়ে আমরা ১৬ গিগাবাইট এর একটি স্টিকই আপাতত রেখেছি।

বাজেট ৯০ হাজার-১ লাখ টাকাঃ

সত্য কথা হচ্ছে যে ৯০ হাজার কিংবা এক লাখ টাকা হচ্ছে গ্রাফিক্স কার্ড সহ DDR5 বিল্ড এর জন্য এন্ট্রি লেভেল বা স্টার্টিং বাজেট। নিশ্চয় কেও GTX 1630,1050 Ti,RX 550 এর মত গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে এই ধরনের বিল্ড করবেন না। আমাদের কাছে মনে হয়েছে এই ধরনের বিল্ড এর জন্য minimum standard এর গ্রাফিক্স কার্ড হচ্ছে Arc A750।

বিল্ডটি নিয়ে এমনিতে তেমন কোনো আলোচনার জায়গা নেই। খরচ কমানোর জায়গা ও একেবারেই নেই। একটি ১৬ গিগাবাইট এর স্টিক ব্যবহার করা হয়েছে। যদি ক্রেতার বাজেট থাকে আরেকটি নিয়ে নিতে পারেন। পাওয়ার সাপ্লাই, কেসিং বাজেট ও পছন্দ সাপেক্ষে অন্য মডেল এর নিতে পারেন। মাদারবোর্ডে খরচ কমানোর সুযোগ নেই, তবে আরো অনেক দামী দামী মাদারবোর্ড রয়েছে সেগুলো ও ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রসেসর 13500 ব্যবহার করলে এই বিল্ড এর খরচ প্রায় সমান সমান এক লাখে গিয়েই দাঁড়াবে।

যাদের বাজেট ১ লাখ টাকার কিছু বেশি। তারা নিচের বিল্ডটি নিতে পারেন।

PC For Google Chrome Part 2

গুগল ক্রোম এর আগের পিসিটির আরেকটু আপগ্রেডেড ভার্সন নিচে দেওয়া হলো।

*** এই প্রসেসর এর জন্য আলাদা সিপিইউ কুলার নেওয়াটা বেশি নিরাপদ ও যুক্তিযুক্ত। Deepcool AK620 নিতে পারেন ৬৫০০-৭০০০ টাকায়।৫-৬ হাজার টাকায় বিভিন্ন আরজিবি ওয়ালা লিকুইড কুলার এর থেকে এই কুলারটি বেশি ভালো।***

বাজেট ১ লাখ ১৫-২০ হাজার টাকা

যাদের বাজেট ১ লাখ ১৫ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে। তারা নিচের পিসিটি দেখতে পারেন। 13500,RTX 3060 ও ১৬-৩২ গিগাবাইট র‍্যাম ও নিচের উল্লেখিত কম্পোনেন্ট গুলো দিয়ে বেশ ব্যালান্সড পিসি বিল্ড সম্ভব ।

চাইলে ১৬ গিগাবাইট র‍্যাম রেখে গ্রাফিক্স কার্ডে আরো ৮/৯ হাজার টাকা বেশি খরচ করে RTX 4060 Ti/3060 Ti নিতে পারেন।

PC For Google Chrome Part 3

বাজেট ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।।

এই বিল্ডটি নিয়ে কিছু আলোচনা করা যেতে পারে। এখানে চাইলে আরো দামী মাদারবোর্ড নিতে পারেন। GPU 4060 Ti না নিয়ে আরো কিছুটা খরচ বাচাতে 3060 Ti নেওয়া যেতে পারে তবে দামের পার্থক্য একেবারেই কম হওয়ায় 4060 ti নেওয়াটাই বেশি বুদ্ধিমানের কাজ।  স্টোরেজ অবশ্যই নিজের মন মত ও প্রয়োজন মত নিতে হবে। পাওয়ার সাপ্লাই যেটি সাজেস্ট করা হয়েছে সেটা পছন্দ না হলে কেও চাইলে ৬৫০ ওয়াট এর আরো কম দামী পাওয়ার সাপ্লাই নিয়ে কিছু খরচ কমিয়ে আনতে পারেন।

ভ্যালু টপের O11 সদৃশ্য কেসটিও যদি কারো পছন্দ না হয় বাজেট বাড়িয়ে অন্য কিছু নিতে পারেন।

অন্যান্যঃ

উপরের ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার বিল্ডটিতে ২০ হাজার টাকা যোগ করলে RTX 4070 পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে বাকি সব কিছু একই রেখেই ১ লাখ ৬০ হাজার এর বিল্ড করা সম্ভব। এছাড়া প্রয়োজন মত অন্যান্য কম্পোনেন্ট পরিবর্তন করে নেওয়া যাবে যেমন কেসিং,পাওয়ার সাপ্লাই ও স্টোরেজ।  আবার আরো ৫/৬ হাজার টাকা বাড়িয়ে 13600k দিয়েও বিল্ডটি করা সম্ভব।। ২৩-২৫ হাজারে দুই চারটি D5 Z690 মাদারবোর্ড রয়েছে, সেক্ষেত্রে সেগুলোর মধ্যে থেকে একটি বোর্ড ও একটি ভালো সিপিইউ কুলার নিয়ে ১ লাখ ৭০/৭৫ এর মধ্যে অত্যন্ত পাওয়ারফুল পিসি বিল্ড করা সম্ভব।

Share This Article

Search