৩০ হাজার টাকায় বাজেট গেমিং পিসি বাইয়িং গাইড
যারা সীমিত বাজেটে, কম্পিউটারের বেসিক শেখা থেকে শুরু করে টুকটাক ইস্পোর্টস গেমিং ও কিছু মডার্ন গেমিংয়ের হাল্কা স্বাদ নিতে চান এবং এর পাশপাশি খুব বেসিক ভিডিও এডিটিং করার জন্য ৩০,০০০/- টাকার সাশ্রয়ী বাজেটে একটি পিসি বিল্ড করতে চাইছেন, তাদের জন্যই আজকের এই বিল্ড গাইডটির অবতারণা।
পিসি বিল্ডার বাংলাদেশ চ্যানেলে গত ডিসেম্বর মাসে যদিও একটি ৩০,০০০/- টাকা বাজেটের পিসি বাইয়িং এবং বিল্ড গাইড দেয়া হয়েছিলো, এই চার মাসে কম্পিউটার বাজেটে বেশ কিছুটা পরিবর্তন এসেছে, র্যামের দাম অনেকটাই এখন সাধ্যের অনুকুলে, তাই আমাদের সেই ভিডিওটকে একটি রেফারেন্স হিসেবে ধরে, আর কথা না বাড়িয়ে চলে যাচ্ছি আজকের পিসি বাইয়িং গাইডের কম্পোনেন্টস সিলেকশনে।
বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলে দেয়া পণ্যের মূল্যগুলো যেকোনো সময়ে পরিবর্তন হতে পারে, তাই কেনার আগে সবাইকেই পণ্যগুলোর মূল্য এবং সরবরাহ সম্পর্কে খোঁজ নেয়ার অনুরোধ রইলো।
প্রসেসর এবং গ্রাফিক্স
AMD RYZEN 3 2200G এপিইউটির ফিচারগুলো হলোঃ
- বেস ক্লক 3.5 GHz এবং বুস্ট ক্লক 3.7 GHz,
- এতে আছে চারটি কোর এবং চারটি থ্রেড,
- এতে বিদ্যমান থাকা Radeon VEGA 8 ইন্টীগ্রেটেড জিপিইউটি মার্কেটের বেশ কিছু এন্ট্রি লেভেল গ্রাফিক্স কার্ডের সমতুল্য।
- প্রসেসরটি টাইট বাজেটে এন্ট্রি লেভেল গেমিং এবং ইস্পোর্টস টাইটেলগুলোর পাশাপাশি হাল্কা কন্টেন্ট ক্রিয়েশন এবং মাল্টিটাস্কীংয়ের জন্য বেশ উপযোগী।
আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, কেন ইন্টেলের কোন প্রসেসর বেছে নেয়া হলো না? উত্তরটা খুবই সহজ। এই বাজেট রেইঞ্জে ইন্টেলের এমন কোন প্রসেসর নেই যেটিতে চারটি কোর, চারটি থ্রেডের পাশাপাশি একটি ডিসেন্ট বিল্ট ইন গ্রাফিক্স আছে যা দিয়ে টুকটাক গেমিং করা যাবে, আর এই প্রসেসরটি যেহেতু আনলকড, একটু দক্ষ ব্যাবহারকারীরা এ থেকে আরো কিছুটা পারফর্মেন্স আহরণ করতে সক্ষম হবেন এই এপিইউটির প্রসেসর এবং বিল্ট ইন গ্রাফিক্সটি অভারক্লক করে। অভারক্লকিং নিয়ে আরো বিশদ আলোচনায় আসছি একটু পরেই।
মাদারবোর্ড
মাদারবোর্ড হিসেবে আসুসের EX-A320M-GAMING মাদারবোর্ডটি পছন্দ করার কিছু কারণ তুলে ধরছিঃ
- এই মাদারবোর্ডটির ওভারঅল বিল্ড কোয়ালিটি একই চিপসেট বিশিষ্ট বা একই প্রাইস রেইঞ্জের অন্যান্য মাদারবোর্ডগুলো থেকে বেশ উন্নত।
- এএমডির A320 চিপসেটটি এন্ট্রি লেভেলের এবং ওভারক্লক করার সুবিধা এতে না থাকা সত্তেও এটি বেঁছে নেয়ার কারণ হলো এই নির্দিষ্ট মাদারবোর্ডটিতে আছে বেশ কিছু প্র্রিমিয়াম ফিচারস, যেমন আসুসের AURA Sync।
- এতে আছে চারটি মেমোরি স্লট যার ফলে ভবিষ্যতে আপনি খুব সহজেই আপনার সিস্টেম মেমোরির পাশাপাশি একটি মেইন্সট্রিম RYZEN প্রসেসর এবং একটি গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে আপগ্রেড করতে পারবেন পারফর্মেন্সে কোন রকম কম্প্রোমাইজ করা ছাড়াই।
যেহেতু বেশিরভাগ সাধারণ কম্পিউটার ব্যাবহারকারী অভারক্লকিংয়ের সাথে পরিচিত নন বা পরিচিত হলেও অভারক্লকের ঝুঁকি নিতে একটু দ্বিধা বোধ করেন, এবং এই কম্পিউটার বিল্ডটি কম্পিউটিংয়ের জগতে যারা সদ্য প্রবেশ করেছেন তাদের কথাও মাথায় রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে, তাই ভবিষ্যতে আপগ্রেড এবং অভারঅল আউটলুক্সের কথা মাথায় রেখেই এই মাদারবোর্ডটি হচ্ছে আমাদের প্রাইমারি চয়েস। তবে আসুসের পণ্য মানেই প্রিমিয়াম, কাজেই যারা সেই প্রিমিয়ামের জন্য খরচ করতে ইচ্ছুক নন কিংবা অভারক্লকিংয়ের পাশাপাশি অন্যান্য ব্র্যান্ডের অপশনগুলোতে বিশ্বাসী, তাদের জন্য আরো কিছু মাদারবোর্ডের মডেলের নাম এবং দাম দেয়া হলো:
- ASRock A320M-HDV R4.0, মূল্য ৫,৫০০/- টাকা। (সেরা বাজেট চয়েস!?)
- ASRock B450M-HDV R4.0, মূল্য ৭,৭০০/- টাকা। (অভারক্লকিং সমর্থিত B450 চিপ্সেট বিশিষ্ট)
- MSI A320M GRENADE, মূল্য ৭,৪০০/- টাকা। (যারা MSI এবং Grenade, Bazooka, Tomahawk, ইত্যাদি গালভরা এক্সপ্লোসিভ নামগুলোকে ভালোবাসেন, তাদের জন্য!)
সতর্কতাঃ এএমডি’র রাইজেন এপিইউগুলোর IHS সোল্ডারড বা ঝালাই করা নয়, যার ফলে অভারক্লকিংয়ে এটি বেশ গরম হয়, যারা অভারক্লক করতে ইচ্ছুক তারা এই বিষয়টির দিকে নজর রাখবেন বলে আশা করছি।
র্যাম
সিস্টেম মেমরী নিয়ে শুধু একটি কথাই বলবো যে এএমডি অথবা ইন্টেল, যে প্লাটফর্মই আপনি বেঁছে নিন না কেন, সবসময় বেস্ট পারফর্মেন্সের জন্য ডুয়াল চ্যানেল মেমোরি কনফিগারেশন মেইন্টেইন করার চেষ্টা করবেন। অনেকে পারফর্মেন্সে বিশাল বিশেষ করে এএমডি’র রাইজেন আর্কিটেকচারের প্রসেসরগুলো ডুয়াল চ্যানেল মেমোরি কনফিগারেশন এবং বেশি বাস স্পিডের মেমরী থেকে পারফর্মেন্সে বেশ উন্নতি দেখতে পায়। সামান্য কিছু টাকা বাচাতে গিয়ে সিঙ্গেল চ্যানেল মেমোরি কনফিগারেশনে পিসি বিল্ড করে অনেকেই পারফর্মেন্সের বিশাল কম্প্রমাইজ করে ফেলেন, যা আমাদের মতে একটি বিশাল ভুল।
র্যাম হিসেবে আমাদের রেফারেন্স ভিডিওটিতে যদিও দুটি 2400 MHz বাস স্পিডের 4GB মড্যুল নেয়ার পরামর্শ ছিলো, সেসময় র্যামের দাম ছিলো আকাশ ছোঁয়া, তবে বর্তমানের পরিস্থিতি অনেকটাই অনুকুলে, র্যামের দাম প্রতিনিয়ত কমছে বিধায় আমরা সেই একই বাজেটে এখন বেশি বাস স্পিডের র্যাম নেয়া সম্ভব হচ্ছে। র্যামের জন্য বাজারে বর্তমানে সহজলভতার উপর ভিত্তি করে আপনি নিচের যে কোন একটি কম্বিনেশন বেছে নিতে পারেনঃ
-
2 X G.Skill Ripjaws-V 4GB 2666MHz DDR4 Ram, সর্বমোট 8GB সিস্টেম মেমোরি, প্রতিটি মড্যুলের মূল্য ৩,০০০/- টাকা করে সর্বমোট খরচ ৬,০০০/- টাকা।
অথবা
- 2 X G.Skill Trident-Z 4GB 3200MHz DDR4 Ram, সর্বমোট 8GB সিস্টেম মেমোরি, প্রতিটি মড্যুলের মূল্য ৪,৪০০/- টাকা করে সর্বমোট খরচ ৮,৮০০/- টাকা। (এই বিল্ডের জন্য এটি আমাদের পছন্দ)
স্টোরেজ
আমাদের এই বাজেট বিল্ডটিতে বুট ড্রাইভ এবং প্রাইমারি স্টোরেজ হিসেবে আমরা বেছে নিয়েছি
- Adata SU 650 120GB SATA III SSD, যার বর্তমান মূল্য ২,১০০/- টাকা। (এই বিল্ডের জন্য এটি আমাদের পছন্দ)
তবে যাদের কাছে 120GB স্পেস বুট ড্রাইভ হিসেবে অপ্রতুল মনে হয় তারা সামান্য একটু বাজেট বাড়িয়ে বেছে নিতে পারেন
- Adata SU 650 240GB SATA III SSD, যার মূল্য বর্তমানে ৩,০০০/-টাকা
অর্থাৎ মাত্র ৯০০/- টাকার ব্য্যবধানে আপনি পাচ্ছেন দ্বিগুণ স্টোরেজ স্পেস এবং কিছুটা বাড়তি রিড এবং রাইট স্পিড। যেহেতু এটি একটি বেসিক বাজেট বিল্ড, এখানে বিশাল স্টোরেজ এবং দ্রুতগতির বুট ড্রাইভ, দুটি একই সাথে এই সিমিত বাজেটে সমন্বয় করা সম্ভব নয়। যাদের কাছে স্টোরেজ স্পেস বেশি প্রয়োজনীয় মনে হয়, তারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী স্টোরেজ বাছাই করে নিতে পারেন, তবে এতে বাজেট সামান্য বৃদ্ধি করতে হতে পারে।
চ্যাসিস এবং পাওয়ার সাপ্লাই
আমাদের এই সীমিত বাজেটের পিসিতে একটি দুঃখজনক বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে, সেটি হচ্ছে আমাদেরকে একটি নন ব্র্যান্ড পাওয়ার সাপ্লাই এবং মোটামুটি জাঁকজমকহীন একটি চ্যাসিস নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। আমাদের রেফারেন্স ভিডিওটিতে একটি Golden Field 6021B চ্যাসিস এবং এর সাথে আসা পাওয়ার সাপ্লাই ব্যাবহার করেছিলাম। বর্তমানে এর ইম্পোরটারের ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে যে চ্যাসিসটির স্টক শেষ, কাজেই আমরা একই বাজেটে একটি ভিন্ন চ্যাসিস ব্যাবহার করছি।
এই বাজেট বিল্ডটির জন্য আমাদের পছন্দ হচ্ছে MaxGreen G563BL চ্যাসিসটি, যার বর্তমান মূল্য ২,৬০০/- টাকা।
যদিও এই এপিইউ ভিত্তিক বিল্ডটির জন্য চ্যাসিসের সাথে আসা পাওয়ার সাপ্লাইটি যথেষ্ট, আপনার পিসির কম্পোনেন্টগুলোর সুরক্ষার জন্য ভবিষ্যতে একটি ব্রান্ডেড পাওয়ার সাপ্লাই বেছে নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
ফাইনাল কনফিগারেশন
কম্পোনেন্টের নাম | পিসিবি বিডির চয়েস | অপশন #০১ | অপশন #০২ |
প্রসেসর | AMD Ryzen 3 2200G | AMD Ryzen 3 2200G | AMD Ryzen 3 2200G |
মাদারবোর্ড | ASUS EX-A320M-GAMING | ASRock A320M-HDV R4.0 | ASRock B450M-HDV R4.0 |
র্যাম | 2 X G.Skill Trident Z 3200 MHz 4GB RAM | G.Skill Ripjaws-V 4GB 2666MHz DDR4 Ram | 2 X G.Skill Trident Z 3200 MHz 4GB RAM |
স্টোরেজ | AData SU 650 120GB SATA III SSD | AData SU 650 120GB SATA III SSD | AData SU 650 240GB SATA III SSD |
চ্যাসিস এবং পাওয়ার সাপ্লাই | MaxGreen G563BL | MaxGreen G563BL | MaxGreen G563BL |
সর্বমোট খরচ | ২৯,৭০০/- টাকা | ২৫,২০০/- টাকা | ৩০,৮০০/- টাকা |
পারফর্মেন্স এবং বেঞ্চমার্ক
এবার দেখা যাক এই ৩০ হাজার টাকার বিল্ডটির পারফর্মেন্স।
আমাদের বেঞ্চমারক মেথডোলজী জটিল কিছু নয়। প্রতিটি বেঞ্চমারক তিন বার রান করার পর প্রত্যেকটি বেঞ্চমারক রান হতে প্রাপ্ত ফল এবং তার গড় চার্টে দেখানো হয়েছে। গেমিং বেঞ্চমার্কগুলোতে অ্যাাভারেজ, মিনিমাম এবং ম্যাক্সিমাম ফ্রেমরেট ডাটা ও তুলে ধরা হয়েছে। আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী, যে কারণে শুধু গড় ফলাফলের পরিবর্তে প্রতিটি বেঞ্চমারক থেকে প্রাপ্ত অনেকটা ড় ডাটা আপনাদের সামনে উপস্থিত করছি।
কিছু সিনথেটিক সিপিইউ বেঞ্চমার্ক দিয়ে শুরু করছি।
Cinebench R15
সিনেবেঞ্চ আর১৫ একটি রিয়াল লাইফ সিপিইউ বেঞ্ছমারক টুল, এবং এখানে আমরা বেশ আশানুরূপ সিঙ্গেল এবং মাল্টি কোর পারফর্মেন্স দেখতে পাচ্ছি। আমাদের এই সিস্টেমটি সিঙ্গেল থ্রেডেড বেঞ্চে গড়ে ১৪৮ এবং মাল্টি থ্রেডেড বেঞ্চে ৫৬৪ স্কোর করে।
Geekbench 4
গীকবেঞ্চ ৪ এ বিল্ডটির সিপিইউ পারফর্মেন্স আশানরুপ। আমাদের এই সিস্টেমটি সিঙ্গেল থ্রেডেড বেঞ্চে গড়ে ৪০২১ এবং মাল্টি থ্রেডেড বেঞ্চে ১১০২৮ স্কোর করে।
এবার আসি কিছু সিনথেটিক সিপিইউ, জিপিইউ এবং সম্মিলিত রিয়াল লাইফ গেমিং বেঞ্চমার্কে।
3DMark Fire Strike
থ্রিডিমার্ক (3DMark) ফায়ার স্ট্রাইকের ফলাফলের দিকে তাকালে আমরা দেখাতে পাই যে এই বিল্ডটি বাজেট সিস্টেম হিসেবে বেশ ভালো পারফর্ম করে।
3DMark Time Spy
টাইম স্পাই বেঞ্ছমারকের পারফর্মেন্স গ্রহণযোগ্য নয়। তবে, এটি যেহেতু এই বেঞ্চমারকটি ১৪৪০পি রেজোলিউশানের, একটি এন্ট্রি লেভেল ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্সের জন্য এটা একটু বেশিই ওয়ার্কলোড।
যেহেতু রেডিওন ভেগা ৮ একটি প্রসেসরের সাথে আসা ইন্টিগ্রেটেড এন্ট্রি লেভেল জিপিইউ, এটিতে গেমিং টাইটেলের ডিম্যান্ড অনুযায়ী লো বা মিড ডিটেল ব্যাবহারে ৭২০পি থেকে ১০৮০পি রেজোলিউশানে বেশ সাচ্ছন্দে গেমিং করা যাবে, বিশেষত ইস্পোর্টস টাইটেলগুলোতে। সময়ের স্বল্পতার কারণে শুধুমাত্র ৭২০পি রেজোলিউশানের কিছু ফলাফল আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি।
Assassin’s Creed Origins
অ্যাসাসিন্স ক্রিড অরিজিন্স নিঃসন্দেহে একটি রিসোর্স হাঙরী গেম।
এই গেমটির দানবীয় হার্ডওয়্যারের ক্ষুধার বাধা উপেক্ষা করে লো প্রিসেটে গেমটির বিল্ট ইন বেঞ্ছমারকে এই এপিইউ ভিত্তিক বিল্ডটি গড়ে ৩৫ ফ্রেমস পার সেকেন্ড স্কোর করে, যা মোটামুটি উপভোগ্য, বিশেষ করে আপনি যখন বর্তমান কম্পিউটার বাজারের অবস্থা চিন্তা করেন।
Far Cry 5
ফার ক্রাই ৫ গেমটির বিল্ট ইন বেঞ্চমার্কে লো প্রিসেটে এই বাজেট গেমিং বিল্ডটি গড়ে ৪১ ফ্রেমস পার সেকেন্ড স্কোর করে।
ক্লক স্পীড এবং টেম্পারেচার
এবার আসি ক্লক স্পীড এবং টেম্পারেচারে।
প্রসেসর ক্লক স্পীড
AIDA64 এ টানা ৮ মিনিট টর্চার টেস্ট চালানোর পর সিপিইউটি সব কটি কোরে ৩.৬ গিগাহার্জ ক্লক স্পীড ধরে রাখতে সক্ষম হয়, যা এএমডির অফিসিয়াল স্পেক থেকে ১০০ মেগাহার্জ বেশি। এটি নিঃসন্দেহে আমাদের বাছাই করা মাদারবোর্ডটির কারিশমা।
টেম্পারেচার
সিপিইউটির সর্বোচ্চ টেম্পারেচার ৭৪.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং আইডল টেম্পারেচার মাত্র ৩৪.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আপনার আভ্যন্তরীণ পরিবেশের তাপমাত্রার উপর ভিত্তি করে টেম্পারেচার হিসেবে এই ফিগারগুলোর কম বেশি আপনি সিমিলার টেস্টিংয়ে দেখতে পাবেন।
গেমিঙয়ে আপনি সিপিইউ জিপিইউ এই দুই মিলিয়ে ৬৫ থেকে ৭০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের বেশি টেম্পারেচার দেখবেনা না বলেই আমার ধারণা। এটি এমন শক্তিশালী একটি এপিইউয়ের জন্য অত্যন্ত নগণ্য অপারেটিং টেম্পারেচার, যা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই।
শেষ কথা
যারা পিসিটি নিজে বিল্ড করার কথা ভাবছেন তারা একটি ধাপে ধাপে বিল্ড গাইডের জন্য আমাদের চ্যানেলে পাবলিশ করা গত ডিসেম্বর মাসের ৩০হাজার টাকার পিসি বিল্ড ভিডিওটি দেখতে পারেন। আপনার বাজেট অনুযায়ী আপনাকে আপনার আশানুরূপ পারফর্মেন্সের প্রত্যাশার মাপকাঠি ঠিক করতে হবে, নতুবা আপনাকে হয়তো আরো বড় বাজেটে অগ্রসর হতে হবে। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও আপনাদের সামনে আরো বড় পড়িসরে আরও বেশি বাজেটের বিল্ড নিয়ে উপস্থিত হবার আশা রাখছি।