ঈদের আগে পবিত্র রমজান মাসে পিসি বিল্ডিং এর হিড়িক ও পরে আমাদের দেশে। বিভিন্ন কম্পোনেন্টে বিভিন্ন ধরনের অফার ও ডিস্কাউন্ট দিয়ে থাকে ছোট বড় শপ গুলো। পিসি বিল্ডারদের মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য অংশ এই সময় পিসি বিল্ড করতে চান। এসএসডি ও র্যাম এর দাম আমাদের দেশে কমেছে বেশ কয়েক মাস যাবত। সম্প্রতি এএমডি আর ইন্টেলের প্রায় সবগুলো প্রসেসরের দামই কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। সব মিলিয়ে পিসি বিল্ড এর জন্য খুবই অনুকুল সময় এটি। পিসি বিল্ড যারা এই সময়ে করতে চান, তাদের সুবিধার জন্য নিয়ে আসলাম কয়েকটি পিসি বিল্ড গাইড। প্রথম পর্বে কথা হবে ৩০ হাজার থেকে ১লাখ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বাজেট রেঞ্জের বেশ কিছু বিল্ড নিয়ে।
দ্বিতীয় পর্বঃ ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকার পিসি বিল্ড গাইড
দাম ও স্টোরেজ বাছাইঃ
- শপ থেকে শপ প্রসেসর,গ্রাফিক্স কার্ড,এসএসডি, র্যাম এর দাম ভিন্ন হতে পারে। এছাড়াও কম্পিউটার কম্পোনেন্ট এর দাম সর্বদাই পরিবর্তনশীল এই ব্যাপারটিও পাঠককে মনে রাখতে অনুরোধ করা হলো।স্টক ও সর্বদা পরিবর্তনশীল। আর একটি বিষয়, প্রতিটি কম্পোনেন্ট এর আলাদা আলাদা অনলাইন প্রাইস ধরে বিল্ড গুলো করা হয়েছে। জনপ্রিয় শপ গুলো থেকে সম্পুর্ণ বিল্ড করলে প্রতিটি বিল্ডেই এক থেকে দুই হাজার বা তিন হাজার টাকা পর্যন্ত ডিস্কাউন্ট পাওয়া যেতে পারে।
- স্টোরেজ এর ব্যাপারটি ইউজার থেকে ইউজার সম্পুর্ণ ভিন্ন, কারো অনেক বেশি ডাটা স্টোর করার জন্য হার্ড ড্রাইভ লাগতে পারে, কারো ক্ষেত্রে শুধু ২৫০ জিবির এসএসডিই যথেষ্ট, কেও বা শুধুমাত্র একটা ৫০০ জিবির এসএসডি দিয়ে বিল্ড সাজাতে পারেন, আবার হার্ড ড্রাইভ ও এসএসডি,উভয় ধরনের স্টোরেজ দিয়েই অনেকে বিল্ড করে থাকেন।এসব বিষয় মাথায় রেখে ও যেহেতু এসএসডির দাম এখন অনেকটাই কম, সেজন্য আমরা placeholder হিসেবে সবথেকে কমদামী ৫০০ গিগাবাইট M.2 NVMe এসএসডি HP EX900 ব্যবহার করেছি। এসএসডির ব্রান্ড মডেল ও ক্যাপাসিটি সিলেকশন প্রকৃতপক্ষে সম্পুর্ণ ক্রেতার উপরেই নির্ভর করছে।
কম্পোনেন্ট স্কেলিং,মাদারবোর্ড,কেসিং ও পাওয়ার সাপ্লাই
- শেষ পয়েন্ট- প্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা বাজেটে একই সাথে প্রসেসর ও গ্রাফিক্স কার্ড এর আপগ্রেড করা কঠিন, প্রসেসর এর সাথে সাথে মাদারবোর্ড ও অন্যান্য দুই একটা কম্পোনেন্ট আপগ্রেড করা গেলেও গ্রাফিক্স কার্ড এর Higher tier এ প্রত্যেক বাজেট রেঞ্জে যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না । এজন্য কিছু বাজেট রেঞ্জে আগের বাজেট এর প্রসেসর ও মাদারবোর্ড বা প্রসেসর সেম রেখে গ্রাফিক্স কার্ড আপগ্রেড করা হয়েছে অথবা গ্রাফিক্স কার্ড একই রেখে অন্যান্য কম্পোনেন্ট, যেমন প্রসেসর,মাদারবোর্ড ইত্যাদি আপগ্রেড করা হয়েছে।
- এএমডি বিল্ড গুলোর ক্ষেত্রে তুলনামুলক কম দামী মাদারবোর্ড গুলো ব্যবহার করা হয়েছে কারণ AM4 প্লাটফর্মে তুলনামুলক কমদামী মাদারবোর্ড গুলোও হাই এন্ড প্রসেসর সুন্দর ভাবে হ্যান্ডেল করতে পারে। বায়োস্টার এর মত বোর্ড গুলো তাই নিসন্দেহে ব্যবহার করা যায়।
- গ্রাফিক্স কার্ড ও প্রসেসর এর আপগ্রেডিবিলিটির কথা মাথায় রেখে হাই ক্যাপাসিটি পাওয়ার সাপ্লাই এর একই মডেল বেশ অনেক গুলো বিল্ডে ব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ক্রেতা মনমত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
- র্যাম এর প্রাইস খুবই ডিসেন্ট হওয়ায় Non-RGB অনেক গুলো বিল্ডে একই র্যাম ও RGB বিল্ডেও একই র্যাম দেওয়া হয়েছে।
- প্রসেসর গ্রাফিক্স কার্ড এর মত কম্পোনেন্ট এ বেশি জোর দিতে কেসিং এ তুলনামুলক কম টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে এবং একটি কেসিং অনেক গুলো বিল্ডে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এই কেসিং এর এয়ারফ্লো,স্পেস, যথেষ্ট ভালো হওয়ায়, রেডিয়েটর সাপোর্ট, প্রি ইন্সটল ফ্যান এর সংখ্যা বেশি হওয়ায় নিসন্দেহে ক্রেতা এটা বাছাই করতে পারেন। তবে কেসিং যেহেতু ব্যক্তিগত পছন্দ ক্রেতা আরো কম দামী বা বেশি দামী অন্য যেকোনো মডেল নিতে পারেন।
বাজেট ৩০-৩৫/৩৫-৪০ হাজার টাকাঃ
স্পেকস, ভালো আইজিপিইউ ,পারফর্মেন্স, সব মিলিয়ে অনেক দিন ধরেই আমাদের দেশের জাতীয় প্রসেসরের তকমাটা নিজের কাছে নিয়ে বসে আছে Ryzen 5 5600G। ১৫-১৭ হাজার টাকায় অনেক দিন যাবত এই প্রসেসরটি বিক্রি হয়ে আসছিল আমাদের দেশের বাজারে। তবে সম্প্রতি সর্বশেষ প্রাইস ড্রপ এর পর এর দাম নেমে এসেছে ১২০০০-১২৫০০ টাকার মধ্যে। মোটামুটি ২৮-৩৪ হাজার টাকার মধ্যেই বেশ ভালো এন্ট্রি লেভেল All In One পিসি বিল্ড করা সম্ভব Ryzen 5 5600G দিয়ে।
পর্যালোচনাঃ
বাজারের হটকেক এই প্রসেসর দিয়ে বিল্ড হচ্ছে হাজার হাজার। বাজারে মাদারবোর্ড সেরকম নেই বললেই চলে। যা আছে দাম বেশি, তারপরেও মানুষ এর আগ্রহ এর কমতি নেই।।আমরা মুলত একই প্রসেসর দিয়ে একাধিক বিল্ড সাজানোর চেষ্টা করেছি। প্রথমটি একটু প্রিমিয়াম, ৫০০ জিবি এনভিএমই এসএসডি, আলাদা পাওয়ার সাপ্লাই, ১৬ জিবি RGB র্যাম, মোটামুটি মানের মাদারবোর্ড দিয়ে। যেখানে পরবর্তীতে টুকিটাকি কম্পোনেন্ট আপগ্রেড করার ব্যাপারটি মাথায় রাখা হয়েছে। এখানে আমরা মাদারবোর্ড হিসেবে Biostar B550M MH, অপশনাল পাওয়ার সাপ্লাই হিসেবে একটি value top 500w PSU, OCPC RGB ১৬ গিগাবাইট র্যাম, 1stplayer casd বেছে নিয়েছি। (কেসিং এও পাওয়ার সাপ্লাই রয়েছে যা দিয়ে কাজ হয়ে যাবে ভালো মতই) এই বিল্ডের খরচ আরজিবি র্যাম নেওয়া না নেওয়া ও সিঙ্গেল স্টিক/ডুয়াল স্টিক র্যাম নেওয়ার উপর নির্ভর করে ৩২৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৪ হাজার টাকা পর্যন্ত যেতে পারে।
আরেকটি বিল্ড সাজানোর চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ কম খরচ করে। এক্ষেত্রে এরকম ক্রেতাদের প্রতি লক্ষ করে বিল্ডটি সাজানো হয়েছে যারা একেবারেই বাজেট এর শর্টেজে রয়েছেন। একদম যত সম্ভব কম খরচে যারা এই প্রসেসর দিয়ে একটি Allrounder PC বিল্ড করতে চান। এখানে ৮ গিগাবাইট র্যাম,২৫০ জিবি এসএসডি, একদমই বেসিক একটি মাদারবোর্ড ব্যবহার করা হয়েছে।এই বিল্ডটির সর্বনিম্ন খরচ ২৮১৫০ টাকা। চাইলে এসএসডি কম নিয়ে ও অন্য মডেলের কেসিং নিয়ে খরচ আরো কিছুটা কমানো যেতে পারে।
***একসাথে বিল্ড করতে গেলে হয়তো দুটি বিল্ডেই ৫০০-৭০০ কিংবা ১০০০ টাকা পর্যন্ত ডিস্কাউন্ট পেতে পারেন অফলাইন স্টোর থেকে।***
আরেকটি কথা বলে রাখা ভালো, জনপ্রিয় শপগুলোতে 5600g দিয়ে যেসব ফুল পিসি প্যাকেজ বা কম্বো পাওয়া যায় সেগুলো ও অত্যন্ত লোভনীয় প্রাইসে এসে থাকে ও অনেক সময়ই দেখা যায় এন্ট্রি লেভেল পিসি হিসেবে ওইসব প্যাকেজে ব্যবহার করা কম্পোনেন্ট গুলো বেশ ভালোই, দেখা যায় যে ৩-৪-৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ডিস্কাউন্ট পাওয়া যায় কম্বো গুলোতে, এই কম্বো গুলোও বাজেট বিল্ডারদের জন্য বেশ ভালো অপশন হতে পারে, চাইলে দুই একটি কম্পোনেন্ট পরিবর্তন করে নিজের মত করে সাজিয়ে নিতেও পারেন।।
***অনেক জায়গায় 5600g এর বিল্ড ২৪-২৫ হাজারে দেখা যাচ্ছে । সেটি একটি বায়োস্টারের 6000 টাকার মাদারবোর্ডের বিল্ড, এই মাদারবোর্ড এ কোনো এনভিএমই স্লট নেই। অর্থাৎ কখনোই এই বিল্ডে NVMe SSD লাগানো যাবে না। আমাদের কাছে এই মাদারবোর্ড দিয়ে বিল্ড করাটা একেবারেই যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি তাই এটাকে আমরা আমাদের বিল্ডে সাজেশন দিতে পারছি না।***
কম্পোনেন্টসঃ
৩৫-৪০ হাজার টাকায় যদি আপনি সবথেকে কম দামের অক্টাকোর প্রসেসর বিল্ড চান , সেক্ষেত্রে Ryzen 7 5700G এর বিল্ডটি আপনার জন্য। 5600G বিল্ডটির সবগুলো কম্পোনেন্টই এই বিল্ডের সাথে খুবই ভালোভাবে যায়। লাইট টু মিডিয়াম প্রোডাক্টিভিটি,গ্রাফিক্স এর কাজ, ভিডিও এডিটিং বা Esports Gaming, 5600G এর পারপাস গুলো আরো বেশি ভালো ভাবে পুরণ করে এই 5700G বিল্ডটি।
কম্পোনেন্টসঃ
পর্যালোচনাঃ
এখানেও আমরা দুই রকম ক্রেতার কথা মাথায় রেখে দুই রকম এর বিল্ড সাজিয়েছি। যার প্রধান উদ্দেশ্য যেকোনোভাবে সর্বনিম্ন খরচে 5700g দিয়ে একটি পিসি, তার কথা মাথায় রেখে একটি কম দামী পিসি বিল্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে, যিনি সবগুলো কম্পোনেন্টেই মোটামুটি একটু খরচ করতে চান, বাজেট ও রয়েছে, তার জন্য আরো কিছুটা বেশি দামী বিল্ড দেওয়া হয়েছে। অবশ্যই, বাজারে 5700g ১৮০০০ টাকার আশেপাশে পাওয়া যাচ্ছে ,কিন্ত অনলাইন প্রাইস ধরেই বিল্ড গুলো করা হয়েছে। আশা করা যায় প্রসেসর এর দাম তো বটেই ,ফুল বিল্ড করলে অফলাইন শপগুলোতে আমাদের উল্লেখ করা দাম থেকে আরো বেশ কিছুটা কম দামে বিল্ড করা যাবে।
***এখন থেকে পরবর্তী যে উচ্চতর বাজেটের বিল্ড গুলো আছে, সেগুলোর প্রত্যেকটিতেই র্যাম দেওয়া হবে ১৬ গিগাবাইট***
5600g vs 5700g?
এখন অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন যে 5600g আর 5700g দিয়ে বিল্ড এর খরচ দেখা যাচ্ছে খুব বেশি নয় , একেবারেই অল্প কয়েক হাজার টাকার ব্যবধান। সেক্ষেত্রে কোনটা নেওয়া ঠিক হবে?
উত্তর হলোঃ এই সম্পুর্ণ বিষয়টি নির্ভর করছে ক্রেতার বাজেটের উপরে। ক্রেতার যদি বাজেট ২৫-৩০ হাজার টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে সেক্ষেত্রে 5600g দিয়েই বিল্ড সম্পন্ন করে ফেলেন। উপরে আমরা দেখেছি যে ৩৫ হাজার টাকা মত খরচে 5700g দিয়ে একটি বেসিক পিসি বিল্ড করা সম্ভব, আবার 5600g এর একটু হাই ফাই ধরনের পিসি তেও ৩৫ হাজারের মত খরচ চলে আসে।
এখানে সিদ্ধান্তটা ক্রেতাকে ভেবে চিনতে নিতে হবে। একটি ১২০ জিবি এসএসডি তে আপনার কাজ হবে কি না, পরবর্তীতে এই পিসিতে আপনি টাকা খরচ করবেন কি না, গ্রাফিক্স কার্ড লাগাবেন কি না বা প্রসেসর আপগ্রেড করবেন কি না এই বিষয়গুলো ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ক্রেতাকে। 5700g থেকে 5600g এর পারফর্মেন্স এ পার্থক্য যে আকাশ পাতাল,তা কিন্ত বলার সুযোগ নেই গ্রাফিক্স এর পারফর্মেন্স ৯০% একই থাকবে। দুটি কোর ও অতিরিক্ত চারটি থ্রেড পাবেন। এখন আপনার কাজ কি 5600g তেই ভালোমত হয়ে যাবে কি না, এই দুটি কোর,অতিরিক্ত চারটি থ্রেড আপনার কাজকে কতটুকু বুস্ট দেবে সেটাও ক্রেতাকেই ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আর এখানে খরচের ব্যাপারটাও ক্রেতার উপর নির্ভর করছেন। 5600g দিয়ে সবথেকে সর্বনিম্ন খরচে বিল্ড এর চিন্তাভাবনা করতে পারেন একজন।আবার, 5600g দিয়ে ,কিছুটা ভালো, মোটামুটি মানের কম্পোনেন্ট দিয়ে কিছুটা বেশি টাকা খরচ করে বিল্ড করার কথাও ভাবতে পারেন।
একই ভাবে, যেকোনোভাবে ,সর্বনিম্ন খরচে,অন্য সব কিছুতে পয়সা বাচিয়ে 5700g দিয়ে বিল্ড এর লক্ষ থাকতে পারে কারো, আবার মানানসই ও প্রয়োজন,আপগ্রেড এর কথা মাথায় রেখে বেশি খরচ করে 5700g দিয়ে বিল্ড ও করতে চাইতে পারেন কেও কেও।
বাজেট ৩৫ হাজার টাকা ( পরবর্তীতে Graphics Card লাগানো হবে, র্যাম বাড়ানো হবে)ঃ
অনেকেই আছেন যারা পরবর্তীতে গ্রাফিক্স কার্ড এড করবেন এবং আপাতত দুই ,চার বা ছয় মাস গ্রাফিক্স কার্ড ছাড়া চালাতে চান পিসি।পরে গ্রাফিক্স কার্ড ও র্যাম আপগ্রেড করবেন এই টাইপ এর পিসি ইউজারদের কথা মাথায় রেখে এই বিল্ডটি দেওয়া।
ব্যবহার করা হয়েছে ১৩হাজার টাকা বা এর নিচে সবথেকে পাওয়ারফুল চার কোরের প্রসেসর Core i3 12100।
কম্পোনেন্টসঃ
পর্যালোচনাঃ
বিল্ডটির মোট খরচ ৩৪ হাজার টাকার মত। মাদারবোর্ড বা র্যাম এ খরচ কমানোর খুব বেশি জায়গা নেই। যেহেতু ৫০০ জিবি NVMe SSD এর দাম এখন ৩৫০০ টাকার আশেপাশে, আমরা অন্য সব বিল্ডের মত এখানেও এটাকেই standard মনে করেছি। যেহেতু ব্যবহারকারী পরে গ্রাফিক্স কার্ড লাগাবেন, সেই হিসেবে তিনি পরে একটি র্যাম ও লাগিয়ে নিতে পারবেন এটা ধরে নিয়ে র্যাম ও দেওয়া হয়েছে একটি। কেসিং এর ক্ষেত্রেও খরচ কমানোর সেরকম সুযোগ নেই, কারণ যেহেতু এই বিল্ডে গ্রাফিক্স কার্ড যাবে, সেজন্য কেসিং এর ক্ষেত্রে compromise করার সুযোগ ও কম।
বাজেট ৪০-৪৫ হাজার টাকা (Cheapest GPU Build)
সবথেকে কম ঠিক কত খরচে একটা মোটামুটি মানের এন্ট্রি লেভেল এর গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে বর্তমানে পিসি বিল্ড করা সম্ভব??? সেটাই চলুন একটু দেখার চেষ্টা করি।
বিল্ড -১ ও ২
যদি আমরা আমাদের বাজেট ৪০-৪৫ হাজার টাকার মধ্যে রাখতে চাই, আমাদের যেকোনো মুল্যে একটি গ্রাফিক্স কার্ড প্রয়োজন । প্রসেসর একটু পুরাতন,দুর্বল হলেও চলছে, মোটামুটি valorant, CSGO, R6 ইত্যাদি গেম খেলতে চান যারা, GTA 5, Far Cry এর মত গেম বা পুরাতন সব গেম ই বেশি খেলবেন ,তাদের জন্য আমরা মোটামুটি দুইটি বিল্ড সাজিয়েছি । প্রথম বিল্ড টি core i3 10100f দিয়ে, দ্বিতীয়টি 6 cores 12 thread এর 10400f দিয়ে। উভয় ক্ষেত্রেই GPU হিসেবে আছে Peladn RX 580 8GB ও মাদারবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে biostar H510-MX-E। কেসিং চাইলে ইচ্ছামত পরিবর্তন করে নিতে পারবেন। এসএসডির জন্য ও একই কথা প্রযোজ্য।
এখানে ব্যবহার করা মাদারবোর্ডটি উভয় প্রসেসরের থেকেই সর্বোচ্চ পারফর্মেন্স বের করে আনার জন্য যথেষ্ট, গেমিং বা অন্যান্য কাজে এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পরবে না।। ব্যবহ্বত পাওয়ার সাপ্লাইটিও ৫ বছরের ওয়ারেন্টির সাথে আসে, এবং এই বিল্ডগুলোতে CPU,GPU দুটিই যদি ১০০% লোডে চালানো হয়, তাও সম্পুর্ণ সিস্টেম এর পাওয়ার ২৭০-২৯০ ওয়াট এর বেশি হবে না।
কম্পোনেন্ট
পর্যালোচনাঃ
মোট খরচ দাড়াচ্ছে প্রথম বিল্ডটির ক্ষেত্রে ৪০৩৫০,৪২৩০০ হাজার টাকা। এখানে প্রশ্ন আসতে পারে ভাই Biostar এর মাদারবোর্ড কেন, উত্তর হচ্ছে, মাদারবোর্ডটি ও চিপসেটটি এই প্রসেসর এর জন্য, বরং সম্পুর্ণ বিল্ডটির জন্যই পারফেক্ট। সবগুলো কম্পোনেন্ট এর সাথেই মাদারবোর্ডটি ভালোভাবেই যায়। র্যাম দুটি স্টিক দেওয়া হয়েছে কারণ এটি দিয়ে গেমিং ও প্রোডাক্টিভিটি বেশ ভালোভাবেই করা হবে, পরবর্তীতে বছর দুয়েক অন্তত আপগ্রেড করা হবে না এরকম চিন্তা মাথায় রেখেই বিল্ডটি সাজানো হয়েছে। হার্ডডিস্ক চাইলে লাগিয়ে নিতে পারেন বিল্ডের সময়েই।চাইলে আরজিবি র্যাম নিতে পারেন,সেক্ষেত্রে অবশ্য খরচ বাড়বে…
পরের বিল্ড নিয়েও সেরকম কিছু উল্লেখ্য করার মত নেই। যাদের জন্য Core i3 একটু বেশিই দুর্বল হয়ে যায় কিংবা 4 core 8 thread এর CPU দিয়ে ২৩ সালে এসে বিল্ড করতে চাচ্ছেন না, তাদের জন্যই এই বিল্ডটি। মাদারবোর্ড হিসেবে বায়োস্টার এখানেও ঠিক আছে। কেসিং পছন্দমত, এসএসডি ও প্রয়োজন মত নিতে পারেন।
বাজেট ৪৫-৫০ হাজার টাকা
এই দুটি বিল্ড AMD দিয়ে। প্রথমটি Ryzen 5 5500 দিয়ে যেটা কি না PCIe3 CPU, এটার সাথে আমরা B450 Board ব্যবহার করেছি। চাইলে 550 ও নিতে পারেন।। বাকি কম্পোনেন্ট গুলো ও বেসিক রাখা হয়েছে। RGB RAM দেওয়া হয়নি। পাওয়ার সাপ্লাই আগের দুটো বিল্ডের মতই FSP 500W দেওয়া হয়েছে যা যথেষ্ট। এসএসডি ও কেসিং বাজেট ও প্রয়োজন,পছন্দ অনুসারে ইচ্ছামত নিতে পারেন।।
দ্বিতীয় বিল্ডটিতে অবশ্য RGB RAM ,550 Board দেওয়া হয়েছে। Ryzen 5 5600 এর দাম কম হলেও এই ৬ কোর ১২ থ্রেডের প্রসেসরটি অত্যন্ত শক্তিশালী ও PCIe4 support করে, পারফর্মেন্স এর দিক দিয়েও 5500 কিংবা Core i5 10400 থেকে অনেক বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছে, এটার পারফর্মেন্স core i5 12400 এর সাথে তুলনীয়।
এই একই প্রসেসর এর সাথে কোনো বটলনেক ছাড়া RTX 3060, ARC A750,A770 এর মত গ্রাফিক্স কার্ড ও অনায়াসেই ব্যবহার করা যাবে।। চাইলে 550W/600W এর পাওয়ার সাপ্লাই নিতে পারেন ।
বাজেট ৫৬-৫৮ হাজার টাকা (পরবর্তীতে GPU লাগানো হবে)
আপাতত বিল্ড করে দুইমাস তিনমাস বা ছয়মাস পর হাই এন্ড GPU লাগাবেন এরকম পরিকল্পনা যারা করছেন তারা নিচের বিল্ডটি দেখতে পারেন। ১৬ গিগাবাইট র্যাম, সিপিইউ কুলার, ভালো মানের কেসিং, Gen4 এসএসডি দিয়ে বেশ প্রিমিয়াম স্টাইলে বিল্ডটি সাজানো হয়েছে । যেহেতু ক্রেতা পরবর্তীতে ভালো একটি হাই এন্ড GPU লাগাবেন, তার কাজ ও এই গ্রাফিক্স কার্ড বিবেচনায় রেখেই বাকি কম্পোনেন্ট গুলো সিলেক্ট করা হয়েছে।
ঠিক ঠিক ৫০ হাজার টাকায় GPU ছাড়া বিল্ডঃ
অর্থাৎ উপরের বিল্ডটিতে আমরা র্যাম, মাদারবোর্ড এ খরচ কমিয়ে এনেছি, আর সিপিইউ কুলারটি বাদ দিয়েছি। চাইলে পাওয়ার সাপ্লাই আগের বিল্ডে উল্লেখ করা মডেলটি নিলে, সাথে র্যাম Non RGB নিলে খরচ আরো কমিয়ে আনা সম্ভব। কেসিং এও ৫০০ টাকা মত খরচ কমানো হয়েছে।
জিপিইউ সহঃ
কেও যদি GPU সহ ৫৬-৫৭ হাজার টাকার মধ্যে বিল্ড করতে চান তাহলে নিচের এই বিল্ডটি দেখতে পারেন।
বাজেট ৬০-৬৫ হাজার টাকা
বাজেট ৬০-৬৫ হাজার টাকা হলেই মোটামুটি ভালো মানের পাওয়ারফুল পিসি গুলো বিল্ড করা সম্ভব হয়। এই বাজেট থেকেই আমরা মিডিয়াম টূ হেভি Esports,AAA Gaming, বেশ ভারি ভারি ভিডিও এডিটিং এর কাজ, গ্রাফিক্স এর কাজের জন্য পিসি বিল্ড করা শুরু করতে পারি।
কম্পোনেন্টসঃ
বায়োস্টার বোর্ড কেন? বাজেটে AM4 এর বোর্ড রয়েছে খুবই কম, এর মধ্যে একমাত্র Biostar এরই 550 চিপসেট এর বোর্ড পাওয়া যাচ্ছে যা ভবিষ্যতে PCIe4 সাপোর্টেড প্রসেসর, গ্রাফিক্স কার্ড বা এসএসডি লাগানোর সময় কাজে দেবে।
পর্যালোচনাঃ
Ryzen 5 5500 ও Biostar/MSI এর মাদারবোর্ড কম্বো এর সাথে GTX 1660 ti বেশ ভালো যুগলবন্দী। যাদের বাজেট সর্বোচ্চ ৬৫/৬৬ হাজার টাকা, তাদের জন্য এটাই সেরা বিল্ড। হার্ড ড্রাইভ যোগ করার ব্যাপারটিও একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার।এসএসডির দাম যেহেতু কিছুটা কম, চাইলে ৫০০০ টাকায় ১ টেরাবাইট এনভিএমই নিতে পারেন। বাজেট বাড়িয়ে পছন্দের কেসিং,আরো দামী কেসিং নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
৬৭-৭০ হাজার টাকায় GPU ছাড়া বিল্ডঃ
যেহেতু এখানে বাজেট বেশ কিছুটা বেশি, বেশ কিছু কম্পোনেন্ট কিছুটা luxurious,দামী নেওয়া হয়েছে যেমন র্যাম। সিপিইউ কুলারটাও ভালো দেওয়া হয়েছে। এখানে চাইলে ইচ্ছামত আরো দামী মাদারবোর্ড নিতে পারেন, এসএসডি প্রয়োজন অনুসারে বাড়িয়ে নিতে পারেন+ কেসিং ও পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে।
GPU ছাড়া DDR5 বিল্ড
এই বিল্ডটিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে পারেন ক্রেতা। বাজেট ও প্রয়োজনের উপর নির্ভর করছে এই পরিবর্তন গুলো। প্রসেসর এর খরচ কমিয়ে যেমন 12400 নেওয়া যায়, আবার খরচ বাড়িয়ে 13500 ও নেওয়া যায়।।
আবার কেও যদি চান পরবর্তীতে গ্রাফিক্স কার্ড নেওয়ার সময় র্যাম বাড়াবেন,তাহলে এখন ১৬ জিবির একটা র্যাম নিলে সেই বাচানো টাকা দিয়ে 13500 প্রসেসরে আপগ্রেড করতে পারেন অথবা একই প্রসেসর ও রাখতে পারেন।
বাজেট ৭০-৭৫ হাজার টাকা
মোটামুটি এই বাজেট থেকেই আমরা তুলনামুলক প্রিমিয়াম প্রোডাক্ট গুলো সিলেক্ট করা শুরু করবো। র্যাম,কেসিং, মাদারবোর্ড ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই পারফর্মেন্স এর কোয়ালিটির পাশাপাশি আরজিবি, লুকস ও প্রাধান্য পাবে এখন থেকে। Gen4 Supported Components ও ব্যবহারের চেষ্টা থাকবে পরবর্তী বিল্ডগুলোতে।
৭৫ হাজার টাকার আশেপাশের বাজেটে Ryzen 5 5600, Intel Arc A750 8GB দিয়ে প্রোডাক্টিভিটি হোক বা গেমিং, যেকোনো সেক্টরের জন্যই অত্যন্ত পাওয়ারফুল ভ্যালু ফর মানি পিসি বিল্ড করা সম্ভব।
এই বাজেটে একচেটিয়া রাজত্ব করছে বেশ কিছুদিন Intel arc a750l বাজেট আরো ৪/৬ হাজার টাকা বাড়ালে RX 7600 রয়েছে যেটা আবার গেমিং এর ক্ষেত্রে অনেক বেশিই শক্তিশালী।
কম্পোনেন্টসঃ
***২৭৭০০ টাকায় Sparkle Arc A750 রয়েছে। দেখতেও সুন্দর ,পারফর্মেন্স ও ভালো এই কার্ডটির। নিলে হাজার খানেক টাকা আরো সেভ হতে পারে।***
পর্যালোচনাঃ
ভাই, ঘুরে ফিরে সবসময় Biostar কেন?উত্তরটা খুবই সহজ, 550 চিপসেটের বোর্ড লো বাজেটে খুবই কম রয়েছে।। TUF,AORUS বা Mortar এর 550 বোর্ড এর জন্য ১৪/১৭ হাজার টাকা খরচ করা লাগবে যা আমাদের বাজেট কে বারবার ছাড়িয়ে যাচ্ছে।। কেও যদি একান্তই চান অন্য বোর্ড নিতে পারেন।
প্রসেসর নিয়ে তেমন আলোচনার কিছু নেই, ইন্টেল এর Core i5 12400 এর মতই পারফর্মেন্স দেয় Ryzen 5 5600। এএমডির AM4 প্লাটফর্মের সুবিধা হচ্ছে মাদারবোর্ড এর দাম কম+ তুলনামুলক কমদামী মাদারবোর্ড গুলো ও অপেক্ষাকৃত হাই এন্ড প্রসেসরগুলোকে ভালো সাপোর্ট দিতে পারে।
আরজিবি র্যাম দেওয়ার জন্য কিছুটা খরচ বেশি করা হয়েছে র্যামে। ক্রেতা চাইলে র্যাম অন্য ব্রান্ডের বা RGB ছাড়াও নিতে পারেন। এসএসডি চাইলে অন্য ব্রান্ডের নিতে পারেন, Gen4 সাপোর্টেড মাদারবোর্ড ও প্রসেসর থাকায় Gen4 এসএসডি ও নিতে পারেন। কেসিং যার যার পছন্দের ব্যাপার, তবে লক্ষ রাখবেন যেহেতু বেশ ভালো একটি গ্রাফিক্স কার্ড ও প্রসেসর রয়েছে বিল্ডে, উল্লেখযোগ্য পরিমাণ এয়ারফ্লো যাতে নিশ্চিত হয় কেসিং এ।
কারো বাজেট যদি কিছুটা বেশি হয়, ১টেরাবাইট এসএসডি নিতে পারেন। আরো ৩/৪ হাজার বাড়িয়ে Asus TUF, GIGABYTE AORUS, MSI এর গেমিং সেন্ট্রিক মাদারবোর্ড ও নিয়ে নিতে পারেন।
বাজেট ৮৭-৯৫ হাজার টাকা(FOR EXTRA VRAM Concern,productivity work,gaming)
পর্যালোচনাঃ
এক্ষেত্রে আমরা বিল্ড এর উদ্দেশ্য, প্রয়োজনীয়তা,কাজের ধরন বিবেচনা করে ও ভিন্ন ভিন্ন ক্রেতার কথা মাথায় রেখে দুই রকমের বিল্ড সাজিয়েছি। প্রথমটি হচ্ছে গেমার এর জন্য, যিনি শুধু গেমিং ই করবেন, বিশেষ করে ১০৮০পি রেজুলুশনে। দুই ক্ষেত্রেই AMD এর থেকে এই বাজেটে সব কিছু বিবেচনায় Intel কেই আমাদের কাছে উত্তম মনে হয়েছে । বর্তমানে 5600x,5700x অনেক বেশিই ওভারপ্রাইসড বলা যায়। সেই হিসেবে মাদারবোর্ড ও প্রসেসর কম্বো Intel এরই ভালো রয়েছে বাজারে।
দ্বিতীয় ক্ষেত্রে RTX 3060 দেওয়ার কারণ যারা 1440p তে অনেক বছর গেম খেলতে চান ভালো ভাবে, অথবা যারা গেমিং নয়, মেমোরি ইন্টেন্সিভ অন্যান্য কাজ করবেন, প্রোডাক্টিভিটি,গ্রাফিক্স এর কাজ বা ভিডিও এডিটিং করবেন কিংবা এর পাশাপাশি গেম খেলবেন।তাদের জন্য RTX 3060 এর বিল্ডটা।
কারো যদি বাজেট ৮৯,৯০ ছাড়িয়ে কয়েক হাজার টাকা বেশি হয়, সেক্ষেত্রে বেশ কিছু জায়গায় টাকা খরচ এর সুযোগ রয়েছে। মাদারবোর্ডে আরো কিছু টাকা খরচ করা যেতে পারে। আরো একটি পরামর্শ থাকবে, সেটা হলো, একটি সিপিইউ কুলার নিয়ে নেওয়ার। বরাবরের মতই একই কথা বলতে হচ্ছে, পছন্দ অনুসারে দামি কেসিং ও নিতে পারেন। পাওয়ার সাপ্লাই যেটা দেওয়া হয়েছে স্টান্ডার্ড ও প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট, চাইলে ৭৫০ ওয়াট ও নিতে পারেন।
AMD And Arc 16G Option:
এই বিল্ডটিতে মাদারবোর্ডে খরচ বাচানোর আর কোনো জায়গা নেই।। 8 কোরের Ryzen 7 প্রসেসরের জন্য TUF, Aorus বা Mortar এর মত মাদারবোর্ড গুলো না নেওয়াটা বোকামি হতে পারে। যেখানে বিল্ডের বাজেট ও ৯০ হাজারের বেশি, তাই এই জায়গাগুলোতে খরচ না করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। একটা CPU কুলার নিয়ে নেওয়ার পরামর্শ থাকবে। পাওয়ার সাপ্লাই এর ক্ষেত্রেও আপগ্রেডের কথা মাথায় রেখে মডেল,ক্যাপাসিটি বাছাই করা হয়েছে। আর ৩০০০ টাকায় ৩৬০০ মেগাহার্জ এর সাথে আরজিবি দিচ্ছে একমাত্র প্যাট্রিয়ট,বর্তমানে এই RAM টিই সেই হিসেবে সবথেকে Value for Money। সিস্টেমটি যেহেতু Gen4 সমর্থন করে, সেজন্য Gen4 এসএসডি প্রয়োজন অনুসারে ৫০০ জিবি বা ১টেরাবাইট লাগিয়ে নিতে পারেন। আমাদের ব্যবহার করা এসএসডি গুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রেফারেন্স হিসেবেই আমরা দিয়ে থাকি। এসএসডি সম্পুর্ণ ক্রেতার সিদ্ধান্ত ও প্রয়োজনের উপর নির্ভর করছে।
বাজেট ১ লাখ টাকাঃ
১ লাখ টাকা বাজেটে উপরের বিল্ডটিতে প্রসেসর, গ্রাফিক্স কার্ড ও মাদারবোর্ড পরিবর্তন করলেই ১ লাখ-১ লাখ ৫ হাজার টাকার বিল্ডটি প্রস্তত হয়ে যাবে। এক্ষেত্রেও আমরা ইন্টেল প্লাটফর্মেই থাকতে চাই। বাজেট যেহেতু বেশি,প্রসেসরটাও শক্তিশালী, সেজন্য একটি সিপিইউ কুলার নেওয়াটা উচিত বলে মনে করি। প্রসেসর হিসেবে Core i5 13400f আমরা বেছে নিয়েছি, ২৪০০০ টাকা দাম এটার, তবে যেহেতু ফুল বিল্ড করা হবে এবং বিল্ড এর বাজেট ১ লাখ+ , সেক্ষেত্রে সব কম্পোনেন্টেই ২০০-৫০০ টাকার ডিস্কাউন্ট পাওয়া যাবে আশা করা যায়। সেক্ষেত্রে বিল্ডের খরচ আমাদের হিসাব করা খরচ থেকে আরো কিছুটা কম আসবে।
আমাদের বিল্ডের মোট খরচ আসছে এক লাখ দুই হাজার ৫০০/তিন হাজার থেকে এক লাখ সাড়ে তিন হাজার/চার হাজার মত। তবে বাস্তবে বিল্ড করতে গেলে তা এক লাখ দুই হাজার বা এর থেকেও কমে পাওয়া সম্ভব বলেই আমাদের বিশ্বাস।
DDR5 Build:
DDR5 দিয়ে বিল্ড করতে চাইলে এই বিল্ডটি দেখতে পারেন। এখানে আলোচনার কিছু নেই, কারো বাজেট যদি ১ লাখ ৫ হাজার পর্যন্ত হয়ে থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে একটা Aftermarket CPU কুলার কিনে নেওয়ার, বিশেষ করে আপনার কাজ যদি হয় গেম খেলার পাশাপাশি ভিডিও এডিটিং ও অন্যান্য প্রডাক্টিভিটির কাজ।
যদি চান একটি র্যাম স্টিকই নিবেন প্রথমে, সেক্ষেত্রে এই বিল্ডে র্যাম একটি কমিয়ে নিতে পারেন।সেই টাকায় কুলার ও লাগাতে পারেন।