Search

১৮-৮০ হাজার টাকা বাজেটের পিসি বিল্ড গাইড [২০২৪ সংস্করণ]

গত বছর আমাদের ওয়েবসাইটে দুই পর্বে দেওয়া পিসি বিল্ড গাইডদুটোতে ভালো সাড়া পেয়েছিলাম আমরা। মাঝে প্রায় এক বছর চলে গিয়েছে, বাজারে প্রচুর পরিমাণে নতুন ব্রান্ড,নতুন মডেল, নতুন প্রজন্মের প্রোডাক্টের আবির্ভাব ঘটেছে। এক বছরের পুরাতন বিল্ড গাইড তাই নতুন করে আপডেট করার কঠিন কাজটা করার থেকে আমরা তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি সম্পুর্ণ নতুন করে বিল্ড গাইড দেওয়ার। এবারেও দুইটি ভিন্ন ভিন্ন পর্বে ভাগ করা থাকছে বিল্ড গাইডগুলো। প্রথম পর্বে আমরা আলোচনা করবো ১৮ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাজেটে কি কি পিসি বিল্ড করা যায়।

 

ভুমিকাঃ

বাজেট অনুসারে আমরা ৫ বা ১০ হাজারের ব্যবধান রেখে বিল্ডগুলো সাজাবো। প্রতিটি বিল্ডের সাথেই সংশ্লিষ্ট কম্পোনেন্টগুলো নিয়ে আলোচনা থাকবে।পরবর্তী  আপগ্রেড/বিকল্প কম্পোনেন্ট সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হবে। কিছু বিল্ডের ক্ষেত্রে লুক ও প্রিমিয়াম কম্পোনেন্টস দিয়ে সাজানো বিকল্প বিল্ড ও প্রদান করা হবে। এবং সর্বশেষ GPU ছাড়া বিল্ড বা বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বিল্ড গুলোও পৃথকভাবে শেষের দিকে আলোচনা করা হবে। কম্পোনেন্ট সিলেকশন এর ক্ষেত্রে লুক ও ব্রান্ড ভ্যালু প্রাধান্য দেওয়া হবে কি না তা বাজেট অনুসারে নির্ভর করবে ।তবে সাধারণত আমরা চেষ্টা করবো সর্বনিম্ন খরচে মানসম্পন্ন পিসি বিল্ডগুলোর লিস্টিং দেওয়ার।কম্পোনেন্ট এর দাম এর পার্থক্য শপ থেকে শপ ২০০-৩০০-৫০০ টাকা হতে পারে, স্টক ও সব দোকানে নাও থাকতে পারে। এই বিষয়গুলো খোজ খবর নেওয়ার দায়িত্ব ক্রেতারই।।

প্রসেসর এর Raw Performance এ গুরুত্ব দেওয়া হবে। কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুসারে Intel এর বিকল্প AMD Ryzen বিল্ড বা AMD Ryzen Build এর বিকল্প Intel Build ও আলাদাভাবে দেওয়া হবে।

  • কেসিং এবং স্টোরেজ ক্রেতার পছন্দ,রুচি,চাহিদা অনুসারে ক্রেতা ইচ্ছামত নিতে পারেন।
  • আমরা সাধারণত রেফারেন্স হিসেবে কোনো একটা বাজেটের একটি কেসিং সিলেক্ট করে সেটি দিয়েই অনেকগুলো বিল্ড দেখাবো, বিল্ডের মোট বাজেট বাড়ার সাথে সাথে মাঝেমধ্যে এই কেসিং পরিবর্তন হবে। কেসিং কোনটি নেবেন সেই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ক্রেতার।
  • এন্ট্রি লেভেলের বিল্ডগুলোতে আলাদা পাওয়ার সাপ্লাই নেওয়ার খুব বেশি প্রয়োজন নেই,বিশেষ করে বাজেট যদি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
  • ৪০ হাজার ও এর উপরের বাজেটের বিল্ডগুলোর ক্ষেত্রে ৫৫০ ওয়াট এর পাওয়ার সাপ্লাই ৯০% ক্ষেত্রেই যথেষ্ট, যে ধরনের প্রসেসর ও গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করা হবে সেগুলো সম্পুর্ণ লোডে সব মিলিয়ে ২৫০ ওয়াট এর বেশি পাওয়ার ড্র করবে না। সুতরাং পাওয়ার সাপ্লাই বেশি দাম দিয়ে বেশি ক্যাপাসিটির নেওয়ার দরকার নেই একদমই,যদি না খুবই দ্রুত ক্রেতার আপগ্রেড করার ইচ্ছা না থাকে। তবে পাওয়ার সাপ্লাই এর ক্ষেত্রে মডেল,ব্রান্ড,ওয়ারেন্টি,রেটিং এই ব্যাপারগুলো অবশ্যই গুরুত্বপুর্ণ।

প্রাইসিং নিয়ে কিছু কথাঃ

  • বিল্ডগুলো করার সময় Startech, Techland, Ultratech,Creatus, Skyland,PotakaIT এর মত শপগুলোর ওয়েবসাইট অনুসরণ করা হয়েছে।
  • বিল্ডগুলো একদিনে তৈরী করা সম্ভব হয়নি। আর বাজারে বেশিরভাগ কম্পোনেন্টের প্রাইসই অনেক বেশী অস্থিতিশীল। দেখা গিয়েছে সবগুলো বিল্ড সম্পন্ন করতে করতেই অনেক কম্পোনেন্ট এর দাম ১০০-২০০/৩০০ টাকা কম বেশি হয়ে গিয়েছে । প্রতি বেলাতেই, প্রতিদিনই প্রাইস এর পরিবর্তন হচ্ছে।
  • তবে এতে করে আমাদের দেওয়া একটি বিল্ড ও অকার্যকর হয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
  • অনলাইনের প্রাইস সাধারণত যা দেওয়া থাকে, তা থেকে ফুল বিল্ড এর ক্ষেত্রে অনেকটা কম প্রাইস পাওয়া যায়, কিছু ডিস্কাউন্ট পাওয়া যায়। কিছু শপে নিয়মিত ফুল বিল্ডের অফার ও চলে, সেগুলো থেকে বিল্ড করলে হয়তো আমাদের দেওয়া বিল্ডগুলো (বিশেষ করে ৬০-৯০ হাজার রেঞ্জের বিল্ড গুলো) ১/২/৩ হাজার টাকা কমে পাওয়া সম্ভব হতে পারে।
  • বাংলাদেশের রিটেইল শপগুলোর অনলাইন ইনফরমেশন কতটা দ্রুত আপডেট করা হয়, কতটুকু সময় সঠিক থাকে সেই সম্পর্কে সবারই জানা আছে। এজন্য প্রতি কম্পোনেন্টেই দুই একটি বিকল্প হাতে নিয়ে বিল্ড সাজানোর জন্য বলা হচ্ছে। আর ক্রেতাদের অবশ্যই শপগুলোতে খোঁজ খবর নিয়ে তারপরেই বিল্ড করতে যাওয়া উচিত বলে মনে করছি।

সাধারণ বিল্ডসমুহ

বাজেট ১৮ হাজার টাকা~ : সর্বনিম্ন বাজেটে একটি এন্ট্রি লেভেলের পিসি বিল্ড

শুরুটা করা যাক একদম সর্বনিম্ন বাজেট থেকে। ধরে নিচ্ছি এই বাজেটে যিনি পিসি বিল্ড করবেন তার ধামাকাদার,ঝকঝকে চকচকে কম্পোনেন্টের প্রয়োজন নেই,সামর্থ ও নেই। বরং যারা একেবারেই কম খরচে মানসম্মত পারফর্মেন্স,আফটারসেলস দিতে পারবে এমন পিসি খুজছেন,তাদের জন্যই এই বিল্ডটি। ইউটিউবের ভ্লগিং চ্যানেলের দেখানো বাঘের বাচ্চা পিসিগুলোর কম্পোনেন্ট থাকে ৬/৭ বছর পুরাতন জেনারেশনের, যার বেশিরভাগ কম্পোনেন্টই এখন বাজারে পাওয়া যায় না, অফিশিয়াল চ্যানেল থেকে discontinued হয়ে গিয়েছে বহু আগেই, ফলে আফটার সেলস এ বেগ পেতে হয়। অনেক কম্পোনেন্ট আবার রিফারবিশড ও পাওয়া যায়। এসব ঝামেলা যারা এড়াতে চান,আমাদের ১৮ হাজার টাকার এই বিল্ডটি তাদেরই জন্য। ছোটখাট ফ্লেক্সিলোডের দোকান/ফটোকপি ,ছবি প্রিন্ট এর দোকান বা ফ্রিল্যান্সিং ফার্মে যারা পিসি কিনেন,তাদের জন্য এই পিসিটা আদর্শ হবে।

  • যেহেতু লুকস এর কোনো ব্যাপার নেই, কেসিং এও একেবারেই অতিরিক্ত খরচ করা হয়নি।
  • এই বিল্ডের জন্য আলাদা পাওয়ার সাপ্লাই এর দরকার নেই। তাই পাওয়ারসাপ্লাই যুক্ত একটি কেসিং দেওয়া হয়েছে।
  • সর্বমোট খরচ ১৮,৫৫০ টাকা। দোকানে হয়তো ৫০০ টাকা পর্যন্ত ডিস্কাউন্ট পাওয়া যেতেও পারে।
  • ব্যবহার করা প্রতিটি কম্পোনেন্টই যুক্তিসঙ্গত ও মানসম্মত।
  • এই বিল্ডটির জন্য A320 চিপসেটের মাদারবোর্ডই যথেষ্ট, ১৮ হাজার টাকার এই বিল্ডে ৬৮০০ টাকার মাদারবোর্ড ও বেশি হয়ে যায়।তবে বাজারে 320 মাদারবোর্ড সেরকম নেই।

বাজেট ২৫ হাজার টাকাঃ

২৫ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে একটু শক্তিশালী,৪ কোর ৮ থ্রেডের প্রসেসর যুক্ত,একটু ভালো iGPU যুক্ত প্রসেসর দিয়ে যারা বিল্ড করতে চান। তাদের জন্য এই বিল্ডটি।

  • প্রসেসরটির প্রাইস বিভিন্ন শপে বিভিন্ন রকম পেয়েছি আমরা। দুই এক জায়গায় ৮৩০০,৮৫০০,৮১০০ টাকায় লিস্টেড দেখতে পেয়েছি,তবে বেশিরভাগ শপেই ৮৮০০ লেখা থাকায় আমরা ৮৮০০ টাকা ধরেই বিল্ডটি বানিয়েছি। তাতে মোট খরচ এসেছে ২২,৩৫০ টাকা।

কেও যদি সমান সমান ২৫ হাজার টাকা খরচ করতে চান,সেক্ষেত্রে Ryzen 5 4600G রয়েছে। এটি নিলে 3200g থেকেই অনেকটাই শক্তিশালী ৬ কোর ১২ থ্রেডের প্রসেসর পেয়ে যাবেন।সেক্ষেত্রে আমাদের উপরের বিল্ডটি নিম্নের রুপ নেয়।

এই প্রসেসরটি বেশিরভাগ শপেই ১০,৯০০ টাকায় লিস্ট করা, অল্প কিছু শপে আমরা তার কমেও দেখতে পেয়েছি।

***যারা প্রচুর পরিমাণে মাল্টিটাস্কিং করেন, ৮ জিবি র‍্যাম যাদের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে,তারা আরো ৮ জিবির একটি স্টিক যুক্ত করে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে  ২২৩৫০ টাকার বিল্ডটির মোট খরচ  গিয়ে ২৪৫০০ টাকায় ও ২৪ হাজার টাকার বিল্ডটি ২৬৫০০ টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে।***

Budget ৩০ হাজার টাকাঃ

এবার সেই বহুল আলোচিত ও আকাঙ্ক্ষিত বাজেট রেঞ্জ, ৩০ হাজার টাকার পিসি বিল্ড। এই বাজেটে এখনো Ryzen 5 5600G ই একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে আছে । আমরাও ৩০ হাজার টাকার বিল্ডে এই প্রসেসরটিই ব্যবহার করবো, এই বাজেটে অন্যরকম কোনো বিল্ড করার সুযোগ ও নেই যুক্তি ও নেই। শক্তিশালী iGPU ও দাম অনুসারে মোটামুটি মানের প্রসেসরের জন্য এটি এখনো ভ্যালু ফর মানি; বরং অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে আছে।

  • প্রসেসরের দাম ১২৪০০-১২৯০০ এর মধ্যে উঠানামা করেছে পোস্টটি লেখার সময়।
  • এটি একটি PCIe3 প্রসেসর। সেজন্য এতে B550 মাদারবোর্ড লাগিয়ে কোনো বাড়তি ফায়দা পাওয়া যাবে না। Gen4 SSD কিংবা Gen4 GPU,কোনোটিরই সুবিধা পাওয়া যাবে না এই প্রসেসর থেকে।
  • মাদারবোর্ড হিসেবে তাই যেকোনো A520/B450 মাদারবোর্ডই যথেষ্ট। এই ধরনের বিল্ডে অতিরিক্ত খরচ যত বেশি করা হবে, বিল্ডের ভ্যালু,লজিক ,গ্রহণযোগ্যতা তত বেশি কমতে থাকবে।
  • এই বিল্ডটিও কেসিং এর পাওয়ার সাপ্লাই দিয়েই ভালোভাবে রান করা সম্ভব। কেননা ৬৫ ওয়াট টিডিপির 5600G এর সাথে দুই একটা ফ্যান ছাড়া আর তেমন কোনো পাওয়ার কনজিউমিং কম্পোনেন্ট থাকে না এসব বিল্ডে। সব মিলিয়ে ১০০ ওয়াটের আশেপাশেই সর্বোচ্চ পাওয়ার কনজিউম হয়ে থাকে। এজন্য বেশ কিছু কেসিং রয়েছে ২০০ ওয়াটের PSU এর সাথে আসে, সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
  • তবে যেহেতু ৩০ হাজার টাকা বাজেটটি একেবারে কম না, এবং ধরে নেওয়া যায় এখানে ক্রেতা টুকটাক অতিরিক্ত খরচ করতে পারবেন,সেক্ষেত্রে আলাদা একটি পাওয়ার সাপ্লাই নিয়ে নেওয়াটাই নিরাপদ। আমরাও তাই করবো।
  • এক্ষেত্রে আমরা 1STPLAYER এর 300W পাওয়ার সাপ্লাইটি ব্যবহার করছি। এটির দাম ২৪০০-২৫০০ টাকা… দোকানভেদে ৩ বছর ও ৫ বছর ওয়ারেন্টি লেখা রয়েছে। চাইলে আরেকটু বেশি ক্যাপাসিটির 1stplayer 400W ভার্সনটিও নিতে পারেন,যেটির দাম ২৮০০ টাকা। সেক্ষেত্রে পরে GPU লাগানোর সময় PSU নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করতে হবে না।
  • এই বিল্ড থেকে আসন্ন সবগুলো বিল্ডেই আমরা ২টি র‍্যাম স্টিক ব্যবহার করবো।
  • ক্রেতা হয়তো বাজেট একদমই কম হলে প্রথমদিকে একটি র‍্যাম ই লাগাতে পারেন তবে 5600G বা এরকম AMD APU গুলোর পারফর্মেন্স এর অনেকটাই DUAL CHANNEL RAM এর উপর নির্ভর করে।
  • বিল্ডে টাকা সাশ্রয় করার তেমন কোনো জায়গা নেই তবে বাড়তি টাকা খরচ করার জায়গা রয়েছে।

বিল্ডের মোট খরচ ৩১,০০০ টাকা। র‍্যাম স্টিক একটি কমিয়ে ৩০ এর নিচে নামানো যেতে পারে, তবে এই পরামর্শ আমরা দেব না। আর খরচ করার আরেকটি জায়গা হলো Motherboard, হাজারখানেক টাকা খরচ করে B450M এর দুই একটি মডেল পাওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে যাদের BIOSTAR MOTHERBOARD নিয়ে সন্দেহ, ভয় কাজ করে,দ্বিধা কাজ করে, তারা MSI B450M-A PRO MAX কিংবা MSI A520M-A MAX নিতে পারেন। কম বাজেটে AMD মাদারবোর্ডের স্বল্পতা বা ঘাটতি দেশের বাজারে অনেকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে।

৩০ হাজার টাকায় ইন্টেল বিল্ড কিরকম হতে পারে?

৩০ হাজার টাকা বাজেটে ইন্টেল দিয়ে বিল্ড করা যায় তবে তা 5600G বিল্ড থেকে কতটা বেশি ভালো হবে,শক্তিশালী হবে সে প্রশ্ন থেকেই যায়। ইন্টেলের iGPU খুবই দুর্বল তা আমরা ভালো করেই জানি। এই বাজেটে মোটামুটি ঠিকঠাক মানের কম্পোনেন্ট এর সাথে বিল্ড করতে গেলে আমাদের কাছে ইন্টেল প্রসেসর হিসেবে দেওয়ার মত থাকে Core i3 12100 প্রসেসরটি।।

এই প্রসেসরটির সিঙ্গেল কোর পারফর্মেন্স 5600G থেকে বেশ অনেকটাই ভালো, তবে কোর সংখ্যা কম হওয়ায় এটির মাল্টিকোর পারফর্মেন্স খুব বেশি ভালো হবে তা বলা যাচ্ছে না। তবে dedicated GPU লাগানোর পর গেমিং এ 5500/5600G থেকে বেশ ভালো ব্যবধানেই এগিয়ে থাকে এটি। যাদের অপ্টিমাইজেশন/কম্প্যাটিবিলিটি ইস্যু রয়েছে, বিশেষ করে প্রোডাক্টিভিটিতে এমন কিছু টুলস/সফটওয়্যার এখনো রয়েছে যেগুলো ইন্টেল প্রসেসরে ভালো চলে। তাদের জন্য এই বিল্ডটি।।

বিল্ডটি সাজানো হয়েছে ইউজার পরে এটিকে আপগ্রেড করবেন এরকম বিষয় মাথায় রেখেই, সেজন্য র‍্যাম দেওয়া হয়েছে একটি। পরবর্তীতে GPU লাগানো হবে ধরে নিয়ে পাওয়ার সাপ্লাই ও বেশ বড় ক্যাপাসিটির ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এই সিস্টেম যদি কেও আপগ্রেড করতে না চান, তাহলে পাওয়ার সাপ্লাই এ খরচ বাচাতে পারেন সেক্ষেত্রে বিল্ডটির মোট খরচ কমপক্ষে ২০০০ টাকা কমে আসবে। অথবা সেই টাকায় আরো এক স্টিক র‍্যাম ও লাগাতে পারেন। খরচ কমানোর সুযোগ থাকছে কেসিং এও। সব মিলিয়ে বিল্ডটির খরচ ৩০ হাজারে নামিয়ে আনা সম্ভব।

বাজেট ৩৫ হাজার টাকাঃ

৩৫ হাজার টাকায় আলাদা কোনো বিল্ড করার সুযোগ নেই। 5600G এর বিল্ডটিকে আরেকটু প্রিমিয়াম লুক দেওয়া যায়, আরো একটু enhancement আনা যায় ।

BIOSTAR মাদারবোর্ড নিয়ে যারা চিন্তিত, তারা বরং এই ক্ষেত্রে এই বিল্ডটির দিকে যেতে পারেন। মাদারবোর্ডে খরচ করার সুযোগ রয়েছে।

  • আরেকটু বেশি ক্যাপাসিটির পাওয়ার সাপ্লাই নেওয়া যায়।
  • কিংবা কেসিং এও কিছুটা বাড়তি খরচ করা যায়।
  • এসএসডি ও বাড়ানো যেতে পারে।
  • তবে আমাদের পরামর্শ থাকবে মাদারবোর্ড একই রেখে এসএসডির ক্যাপাসিটি বাড়িয়ে নেওয়া, পাওয়ার সাপ্লাই ও আরো একটু বেটার কিছু নেওয়া,সেক্ষেত্রে 5600G দিয়ে upgradable বিল্ড যারা করতে চান, তাদের জন্য এই বিল্ডটি একদম ঠিকঠাক হতে পারে।
  • মাদারবোর্ড ও পাওয়ার সাপ্লাই আপগ্রেড করলে বিল্ডটি এরকম হয়-

কিংবা ইন্টেলের বিল্ডটিতে প্রসেসর পরিবর্তন করা যায়/র‍্যাম/এসএসডি যোগ করা যায়।প্রসেসর পরিবর্তন করলে বিল্ডটি নিম্নরুপ দেখায়। অথবা আমরা আগের প্রসেসর রেখেই তাতে অতিরিক্ত একটি স্টিক র‍্যাম অথবা ৫০০জিবির এসএসডি লাগালেও খরচটা ৩৫ হাজার মতই হবে।

জিপিইউ দিয়ে সর্বনিম্ন কত বাজেটে মোটামুটি মানের বিল্ড করা যায়? বাজেট ৪০-৪৫ হাজার টাকা

এবার বহুল আলোচিত ও সমালোচিত একটি প্রশ্ন, সবথেকে কম টাকায় জিপিইউ সহ কিরকম বিল্ড করা যায়? কত খরচ হবে এতে?

এই বিল্ডটি রাইজেন ৫ ৫৫০০ ও PELADN/OCPC RX 580 8GB দিয়ে করা যায়। বিল্ডটি দেখতে অনেকটা এরকম হবে।

  • ব্যাপারটা এমন না যে এই বিল্ডটি অত্যন্ত পাওয়ারফুল ও সমস্ত গেম এতে হাই আল্ট্রাতে খেলা যাবে। তবে 5000G/4000G APU সিরিজের তুলনায় অনেক ভালো পারফর্মেন্স পাওয়া যাবে এবং অনেক গেমই আছে যেগুলো হাই সেটিংসেও খেলা সম্ভব ৬০ এফপিএস এ। তবে লেটেস্ট ২ বছরের টাইটেলগুলোতে সেটিংস লো/মিডিয়াম/হাই এগুলো মিক্স করেই খেলতে হবে, অনেক ক্ষেত্রেই Upscaling এর সাহায্য নেওয়া লাগতে পারে। তবে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতিতেও এই বিল্ড 5600G/5700G এর তুলনায় অনেক গুণ ভালো পারফর্ম করবে।
  • বিল্ডের মোট খরচ ৪২০০০ টাকা। দোকানভেদে কমবেশি হতে পারে, সময়ের সাথে সাথে ২০০/১০০ করে অনেক কম্পোনেন্টেরই দাম এপাশ ওপাশ হতে পারে। তবে ফুল বিল্ড করলে আশা করা যায় সব মিলিয়ে ৪০০-৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ডিস্কাউন্ট পাওয়া যেতে পারে।
  • সবার প্রথমে প্রশ্ন আসতে পারে 5500 প্রসেসরটা কেমন? 5500 বলতে গেলে Ryzn 5 3600 এর সমান পারফর্ম করা প্রসেসর, কিন্ত ৫০০০ সিরিজের। এটা PCIe3.0 support করে। অর্থাৎ Gen4 SSD,GEN4 GPU এখানে Gen3 স্পিডেই চলবে। অন্যদিকে ইন্টেলের Core i5 11400 এর সাথে এটা তুলনা করা যায়।। মোটকথা এই দামে, এই বাজেটে এর থেকে ভালো কোনো বিকল্প নেই ।
  • দ্বিতীয় প্রশ্ন, গুরুত্বপুর্ণ প্রশ্ন, এই বাজেটেও, এই বিল্ডেও কেন বায়োস্টার,কেন A520 চিপসেট? এর উত্তর ও সহজ। আমরা সবথেকে কম খরচ করতে চাচ্ছি, যে প্রোডাক্টগুলো আমাদের কম্পোনেন্ট এর জন্য যথেষ্ট। বিল্ডটি এমনভাবেই করা যে সর্বনিম্ন দামের যে প্রোডাক্টগুলো নিয়ে ঠিকঠাক ও সুন্দরভাবে সবথেকে কম খরচে কাজ চালানো যাবে। এজন্যই B450,550 এর মত বোর্ড ব্যবহার করা হয়নি। অবশ্যই ৭০০০ এর আশেপাশে ৪৫০ বোর্ড পেলে অবশ্যই তাই সিলেক্ট করা হতো।
  • লক্ষ করুন, র‍্যাম এখানে দুইটি স্টিকই ব্যবহার করা হয়েছে।। কারণ আমরা এই বিল্ডটিতে প্রসেসর যেটি ব্যবহার করছি, তাও ২০২৪ সালের হিসেবে একদমই শক্তিশালী নয়, গ্রাফিক্স কার্ডের ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য। দ্বিতীয়ত, রাইজেন প্রসেসর ডুয়াল চ্যানেল র‍্যাম থেকে অনেক বেশি উপকৃত হয়, সিঙ্গেল চ্যানেল র‍্যাম আমাদের এই প্রসেসরের পারফর্মেন্স আরো দুর্বল করে দিতে পারে। আর সবথেকে বড় কথা, ৮ জিবি র‍্যাম মোটেও গেমিং এর জন্য যথেষ্ট নয়। র‍্যাম স্বল্পতা+সিঙ্গেল চ্যানেল, ৮ জিবি র‍্যাম ব্যবহার করলে বিল্ডটি সব কিছু মিলিয়ে গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।
  • স্টোরেজ ২৫০ জিবি অবশ্যই যথেষ্ট নয়।এটা শুধুমাত্র রেফারেন্স হিসেবেই ব্যবহার করা হয়েছে।। আরো ১৫০০/১৬০০ মত খরচ করলে ৫০০ জিবি এসএসডি পাওয়া যাবে। যদি সম্ভব হয় সেটাই নেওয়া ভালো।
  • পাওয়ার সাপ্লাইঃ কেন ৪০০ ওয়াট,৪০০ তে হবে? খুবই ভালোভাবে হবে, RX 580 সর্বোচ্চ লোডে ১২০-৩০ ওয়াট টানতে পারে, আর প্রসেসর এর টিডিপি ৬৫ ওয়াট।সাথে অন্য কম্পোনেন্ট মিলিয়ে এই বিল্ডে সিপিইউ+জিপিইউ এর ১০০% লোডে সিস্টেম লস সহ ও মোট পাওয়ার কনসাম্পশন ২০০/২২০ ওয়াট এর বেশি হওয়ার সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে ৪০০ ওয়াটের ৩ বছরের ওয়ারেন্টি সহ ব্রান্ডেড পাওয়ার সাপ্লাই খুবই যৌক্তিক ও নিরাপদ পছন্দ।
  • কেসিংঃ আগেই বলেছি আমরা রেফারেন্স হিসেবে কেসিং একটি সিলেক্ট করবো এবং একাধিক বিল্ডে ব্যবহার করবো। বর্তমানে একুরিয়াম কেসের জনপ্রিয়তা অনেক, ৩০০০ টাকার নিচে তাই এখন পর্যন্ত বেশ কিছু বিল্ড এ রেফারেন্স হিসেবে এটাকেই ব্যবহার করছি। এটাও এই বিল্ডের জন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না।
  • ***গ্রাফিক্স কার্ডের দাম বিভিন্ন শপে আমরা বিভিন্ন রকম পেয়েছি***
  • ***ম্যাক্সসান এর কার্ড ও প্রায় কাছাকাছি মুল্যে লিস্টেড রয়েছে, তবে শপে আদৌ স্টক আছে কি না তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ***

enhanced version/satisfactory edition

এখন অনেকেই আছেন যাদের বাজেট ৫৫-৬০/৬৫ নয়, কিন্ত সর্বোচ্চ ৫০ হাজার। আবার উপরের বিল্ডের বেসিক পছন্দ হয়েছে, কিন্ত সব জায়গাতে কস্ট কাটিং পছন্দ হয়নি।, কেসিং পছন্দ হয়নি, বড় এসএসডি লাগবে, মাদারবোর্ড বেটার নিতে চান, আরেকটু বড় ক্যাপাসিটির পাওয়ার সাপ্লাই নিতে চান ।। অর্থাৎ RX 580 এর বিল্ডটির উন্নত,স্পেশাল,প্রিমিয়াম বা এনহ্যানসড এডিশন যাদের প্রয়োজন, এই বিল্ডটি তাদের জন্য।

  • যেহেতু মোট বাজেট ৫০ হাজার ধরে এই বিল্ডটি করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাই Ryzen 5 5600 ও আমরা অপশন হিসেবে রেখেছি। এটি 5500 এর তুলনায় অনেক বেশি পাওয়ারফুল, Core i5 12400 এর মত পারফর্মেন্স দেয় এটি, রয়েছে GEN4 সাপোর্ট । সেক্ষেত্রে এই বিল্ডটির কোয়ালিটি অন্যরকমের একটা বুস্ট পাবে যদি 5600 ব্যবহার করা যায়।
  • এর পরেই মাদারবোর্ড, MSI B450M-A PRO MAX আমরা পাচ্ছি মাত্র ১০০০ টাকা বেশি খরচ করে। চাইলে আরো ৫০০-৭০০ খরচ করলে ৫৫০ বোর্ড পাওয়া যাবে। তবে তা BIOSTAR এর, অনেকেরই তা পছন্দ হবে না। (আমরা রেকমেন্ড করি, BIOSTAR বোর্ড নিসন্দেহে নিতে পারেন, এই বাজেটে সবদিক দিয়ে ভালো অপশন, ৪টি র‍্যাম স্লট ও পাওয়া যাবে)। বিশেষ করে প্রসেসর যদি 5600 নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে PCIe4 এর সাপোর্ট পেতে 550 বোর্ডই লাগবে।
  • PELADN এর 580 নিয়ে সন্দেহ,আলোচনা,সমালোচনা,সংশয় রয়েছে প্রচুর। এক্ষেত্রে আমরা সিলেক্ট করবো OCPC এর 580 গুলো। শেষ কয়েক মাসে আসা শিপমেন্ট এ এটার দাম বেড়েছে বেশ কিছুটা। এটার আসল দাম কত তা নিয়ে সংশয় রয়েছে কেননা এক এক শপের ওয়েবসাইটে এক এক রকম প্রাইসিং পেয়েছি আমরা। কেও ম্যাক্সসান পেলেও নিতে পারেন।
  • ৫১২/৫০০ জিবি এসএসডি আমরা পাচ্ছি ১৫০০-১৬০০ টাকা এক্সট্রা খরচ করলে।
  • ৩০০০-৩৫০০ টাকা বাজেটে কেসিং এর অভাব নেই… নরমাল শেপ কিংবা একুরিয়াম শেপ, দুই ধরনেরই কেসিং রয়েছে। বিশেষ করে নরমাল শেপ এর প্রচুর ভালো কেসিং এই বাজেটে রয়েছে।পিসি পাওয়ার,মোনার্ক,এনটেক,ভ্যালু টপ,ম্যাক্স গ্রিন ইত্যাদি ব্রান্ড এর কেস মডেলের অভাব নেই এই বাজেটে। আমরা রেফারেন্স হিসেবে দুই একটার নাম উল্লেখ করে দিলাম।। এগুলোর GPU ,CPU clearance,radiator support ও মন্দ নয়।
  • কেসিং এর দাম ৩২০০ ধরে Ryzen 5 5500 আমাদের এই বিল্ডটির সম্পুর্ণ খরচ গিয়ে দাড়িয়েছে ৪৮.১ হাজারে। আর 5600 দিয়ে তা গিয়ে দাঁড়ায় ৫০,৪০০ টাকায়।

***তবে অনেক শপেই ফুল পিসিতে স্পেশাল প্রাইস দেওয়া হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে আরো ১/২ হাজার টাকা সেভ করাও যেতে পারে***

Intel দিয়ে করা যাবে কি?

ইন্টেল এর প্রসেসর দিয়ে বিল্ড করতে চাইলে আমাদের কাছে অপশন হিসেবে থাকছে 4 cores 8 thread এর Core i3 12100F। এটির সাথে একটি 610 মাদারবোর্ড যুক্ত করে বাকি সবগুলো কম্পোনেন্ট সেইম রেখে আমরা বিল্ড সাজাতে পারি। 12100f ডেডিকেটেড জিপিইউ এর সাথে 5500 কে বিট করে, তবে মাল্টিকোর ভিত্তিক প্রোডাক্টিভিটি, বা কোর ডিপেন্ডেন্ট গেমে পিছিয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। বলা বাহুল্য, যে গ্রাফিক্স কার্ড আমরা  ব্যবহার করছি, এখানে দুইটি প্রসেসরের পারফর্মেন্স এর পার্থক্য আসার সম্ভাবনা একদমই নেই।

তবে এই বিল্ডটি একদমই রেকমেন্ডেড নয়। অতিরিক্ত যে কয়েক হাজার টাকা খরচ হচ্ছে এখানে, তার বিপরীতে সুবিধা সেরকম কিছুই পাওয়া যাবে না।

Intel best Productivity Build (Ready for upgrade)

৪৫ হাজার টাকার আশেপাশের বাজেটে সিপিইউ বেজড প্রোডাক্টিভিটি বিল্ড যারা করতে চান, পরবর্তীতে জিপিইউ লাগানোর পরিকল্পনা আছে যাদের, তাদের জন্য এই বিল্ডটি। প্রথম দিন থেকেই যাতে কোনো সমস্যা ছাড়া নিশ্চিন্তে প্রোডাক্টিভ কাজ করা যায় সেরকম ভাবেই সাজানো হয়েছে বিল্ডটি। Core i5 12400 এই বাজেটের সেরা ৬ কোরের প্রসেসর। CPU ভিত্তিক কাজের জন্য এর ধারে কাছে 5600/5600x ছাড়া আর কোনো প্রসেসরই নেই। যদিও উল্লেখিত দুইটি প্রসেসরেই লাগবে আলাদা গ্রাফিক্স কার্ড। আবার iGPU যুক্ত প্রসেসর 5600G/5700G/4600G এগুলোর কোনোটাই সিপিইউ পারফর্মেন্স এ এটার ধারে কাছেও নেই, ওই প্রসেসরগুলোর মুল শক্তির জায়গা মুলত ভালো iGPU। সুতরাং যারা CPU ভিত্তিক কাজই করবেন , অথবা যাদের পরবর্তীতে আপগ্রেড করার জন্য একটি ইন্টেল সিস্টেম দরকার, গেমিং এর জন্য। তাদের ক্ষেত্রে এই বিল্ডটিই সেরা। হেভি ওয়ার্ক এর কথা মাথায় রেখে ১৬ জিবি র‍্যাম দেওয়া হয়েছে প্রথম থেকেই, দেওয়া হয়েছে ২৫৬ জিবি স্টোরেজ, হয়তো চাহিদা অনুসারে,সুবিধা অনুসারে কেও চাইলে ২৫৬ জিবি নিতে পারেন প্রাথমিকভাবে।।

বিল্ডটির খরচ একটু বেশি মনে হতে পারে, তবে মাদারবোর্ড এন্ট্রি লেভেল ৬১০ চিপসেট এর বদলে ৬৬০ দেওয়া হয়েছে, র‍্যাম ২স্টিক দেওয়া হয়েছে ও এসএসডি ৫১২ জিবির জন্যই মুলত বিল্ডটির খরচ অনেক বেশী মনে হচ্ছে। একটি র‍্যাম, ৬১০ চিপসেট এর বোর্ড (আমরা বলবো এটা ব্যবহার না করাই ভালো), আর ছোট স্টোরেজ দিয়ে এই বিল্ডটি ৪০-৪২/৪৩ হাজারের মধ্যেই সম্পন্ন করা যায়।

এই বিল্ডটির সাথে অনায়াসে পরবর্তীতে Productivity এর জন্য Arc A580 যোগ করা যায়, সেক্ষেত্রে ৬৫-৬৬ হাজার টাকার আশেপাশের সেরা প্রোডাক্টিভিটি বিল্ডে পরিনত হবে এটি। আবার চাইলে ৩০-৩২ হাজার যোগ করলে Arc A750 ও লাগানো যাবে ,সেক্ষেত্রেও ৭৫ হাজার টাকার আশেপাশের অন্যতম ব্যালেন্সড একটি গেমিং/প্রোডাক্টিভিটি বিল্ড হবে এটি।

***BIOSTAR এর 660 বোর্ড এর দাম ১০ হাজার এর নিচে, সেটি কোনো শপে এভেইলেবল পেলে নিশ্চিন্তে নিয়ে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রেও ১৫০০-২০০০ টাকা খরচ কমে আসবে***

পরবর্তী বিল্ডগুলোতে আমরা RGB RAM, আরো একটু দামী কেস, ৫১২ জিবি স্টোরেজ ব্যবহার করবো।

বাজেট ৬০-৬৫ হাজারঃ

৬০ হাজার টাকা বাজেটে ৪০-৫০ হাজার টাকায় আমরা যেসব বিল্ড দেখেছি সেগুলোর সবগুলোর তুলনায় গ্রাফিক্স কার্ডে বেশ বড় ধরনের একটা বুস্ট পাওয়া যাবে।

  • এখানে ইচ্ছা করেই RGB র‍্যাম ব্যবহার করা হয়নি। বাজেট কোনো সমস্যা না হলে অবশ্যই RGB র‍্যাম নিতে পারেন।
  • বাজেটের সমস্যা না হলে কেসিং ও দামী নেওয়া যেতে পারে।
  • পাওয়ার সাপ্লাই যেটি দেওয়া হয়েছে, এই বাজেটে যথেষ্ট ভালোই সেটি। ৫ বছরের ওয়ারেন্টি রয়েছে। আর পরবর্তীতে 3060/4060/3060 ti এর মত GPU সিস্টেমে লাগালেও সেটিও ভালোমতই কোনো সমস্যা ছাড়াই চলবে।তবে কারো বাজেট ইস্যু না হলে আরো ১০০০ টাকা বেশি খরচ করে ৫৫০/৬০০ ওয়াট এর পাওয়ার সাপ্লাইগুলো নিয়ে নিতে পারেন। 1stplayer এর 600W, FSP HYDRO,CORSAIR ও ডিপকুল এর বেশ কিছু পাওয়ার সাপ্লাই রয়েছে ৫০০০+ বাজেট রেঞ্জে।
  • ***যেহেতু প্রসেসর ও মাদারবোর্ড Resizable Bar Support করে, তাই AMD+INTEL GPU কম্বো এর পারফর্মেন্স হবার কোনো সম্ভাবনা নেই।

60K BUDGET: CPU FOCUSED BUILDS

এরকম অনেকেই আছেন যারা এই বাজেটে পিসি বিল্ড করতে চাচ্ছেন কিন্ত বিল্ডটা মুলত সিপিইউ বেজড ওয়ার্কের জন্যই। সাথে occasional গেমিং এর জন্য একটা এন্ট্রি লেভেল বা কম পাওয়ারফুল জিপিইউ রাখতে চাচ্ছেন। অর্থাৎ CPU-centric বিল্ড যারা ৬০ হাজার টাকা বাজেটে করতে চান।। তাদের জন্য এই দুইটি বিল্ড। ইন্টেল এবং AMD,উভয় প্লাটফর্মের জন্যই। অর্থাৎ এই বিল্ডে প্রসেসর এর তুলনায় গ্রাফিক্স কার্ড বেশ উইক হবে। এই প্রসেসর দিয়ে অনায়াসেই 3060,A770 এর মত জিপিইউ এর বিল্ড করা যায় ৮০-৯০ হাজার বাজেট রেঞ্জে। কিন্ত আমরা এগুলো দিয়ে কমদামী জিপিইউ এর সাথে বিল্ড করবো।এখানে এটা স্পষ্ট যে Ryzen প্লাটফর্মটি বেশি কোর থ্রেড এর সাথে আসছে, এজন্য যাদের মাল্টিকোর ভিত্তিক কাজ বেশি ,বেশি কোরের প্রসেসর চাচ্ছেন,তাদের জন্য AMD এর দিকে যাওয়া টাই যুক্তিসঙ্গত হবে।

*** এই বিল্ডটি Ryzen 5 7500F+A620 Motherboard এর সাথে DDR5 র‍্যাম দিয়েও করা যায়***

  • র‍্যাম যেটি সিলেক্ট করা হয়েছে ,মুলত RGB ও 3600 Mhz স্পিড এর জন্য সিলেক্ট করা হয়েছে। চাইলে অন্য কোনো মডেল অ নিতে পারেন।
  • এসএসডিও আমরা রেফারেন্স হিসেবেই একটি সিলেক্ট করে আসছি বেশ কয়েকটি বিল্ডে। এটা যিনি বিল্ড করবেন তার একান্তই প্রয়োজন অনুসারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
  • পাওয়ার সাপ্লাই এ চাইলে খরচ কমানো যেতে পারে যদি এই বিল্ডের ইউজারের অদুর ভবিষ্যতে বিশাল কোনো আপগ্রেড করার পরিকল্পনা না থাকে, বিশেষ করে GPU যদি অনেক বড়,4070,7700XT,4070 Super, এই ধরনের বড় জিপিইউ না লাগানোর প্লান না থাকলে এই বিল্ডের জন্য ৪৫০/৫০০ ওয়াট এর পাওয়ার সাপ্লাই যথেষ্ট ও নিরাপদ। এমনকি তাতে পরবর্তীতে আরো শক্তিশালী প্রসেসর ও লাগানো যাবে।

INTEL BUILD:

  • এই বিল্ডটির খরচ যেহেতু AMD বিল্ডথেকে কিছুটা কম আসছে,তাই এখানে বেশ কিছু আপগ্রেড করা যেতে পারে যদি বাজেট পর্যাপ্ত থাকে।
  • মাদারবোর্ড আরেকটু দামি নেওয়া যেতে পারে।
  • এসএসডি তেও বাড়তি খরচ করা যেতে পারে।

যদি কেও ৬০ হাজার টাকায় ALL INTEL PRODUCTIVITY BUILD চান, তাহলে এই বিল্ডটির গ্রাফিক্স কার্ডটি শুধুমাত্র পরিবর্তন করে ARC A380 6GB কার্ডটি নিয়ে নিন।

তবে ,ইন্টেল quick-sync এর সুবিধা পেতে হলে iGPU সহ প্রসেসর নেওয়া লাগবে।সেজন্য বাড়তি হাজার দুয়েক খরচ করা লাগতে পারে।

বাজেট ৭০-৭৫ হাজারঃ

৭০ হাজার টাকা বাজেট হলে গেমিং/গেমিং+প্রোডাক্টিভিটি,যেকোনো পারপাসের সেরা বিল্ড হলো এই দুইটা। তবে পরামর্শ থাকবে যারা শুধুমাত্র প্রোডাক্টিভিটির কাজ করবেন, তারা Intel এর 12400,অর্থাৎ iGPU সহ CPU টা নিবেন।

এই বিল্ডে আমরা ইন্টেল ও AMD উভয় প্লাটফর্মে DDR5 র‍্যাম ও মাদারবোর্ড ব্যবহার করছি। র‍্যামটি ৬০০০ মেগাহার্জ এর,বাজেট লিমিটেশন এর জন্য ১৬ জিবির বেশি মেমোরি নেওয়া যাচ্ছে না।

AMD এর সিস্টেম বিল্ড করতে গেলে এক্ষেত্রে দুইটি অপশন আছে। এক, 7500F দিয়ে DDR5 বিল্ড, ৬ কোর-১২ থ্রেড প্রসেসর বিল্ড।দুই, 5700X দিয়ে ৮ কোর-১৬ থ্রেডের DDR4 বিল্ড। তবে 7500F এর বিল্ডটিই বেশি ফিউচার প্রুফ হবে।

এই বিল্ডটি যদি কেও প্রোডাক্টিভিটির জন্য, বিশেষ করে ভিডিও এডিটিং এর জন্য করতে চান, তাহলে Core i5 12400F এর জায়গায় 12400 নেওয়ার পরামর্শ থাকবে।

AMD DDR5 BUILD:

  • প্রসেসরটি AMD AM5 প্লাটফর্মের সবথেকে দুর্বল,বলতে গেলে প্রায় এন্ট্রি লেভেলের প্রসেসর। এটির জন্য অনেক বেশি দামী মাদারবোর্ড নেওয়ার একেবারেই প্রয়োজন নেই।

AMD DDR4 BUILD:

CPU Priority edition:

এবার আমরা একই বাজেটে CPU Based বিল্ড করবো।অর্থাৎ যথেষ্ট শক্তিশালী প্রসেসর দিয়ে কিন্ত দুর্বল জিপিইউ দিয়ে।

  • ম্যাক্সসান এর এই বোর্ডটি এই বাজেটে অনবদ্য ফিচার অফার করছে। রয়েছে ওয়াইফাই।
  • লুকের পাশাপাশি 10 phase এর পাওয়ার সাপ্লাই এর জন্য পারফর্মেন্স টাও পাওয়া যাবে সলিড।
  • যদি ফুল প্রোডাক্টিভিটি বিল্ড চান,সেক্ষেত্রে RX 580 এর জায়গায় ARC A380 ও নেওয়া যেতে পারে।
  • একটা সিপিইউ কুলার ও সহজেই লাগানো যাবে বাজেট থাকলে।

AMD:

*** যেহেতু এই বিল্ডটি মাত্র ৬৯ হাজারেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।। এখানে চাইলে মাদারবোর্ডে বাড়তি খরচ করা যায় কিংবা ৩/৪ হাজারের মধ্যে একটা কুলার নিয়ে নেওয়া যায়।***

বাজেট ৮৫-৯০ হাজারঃ

বরাবরের মতই আমরা ইন্টেল এবং AMD উভয় প্লাটফর্মে একটি করে বিল্ড করবো।পাওয়ার সাপ্লাই,কেসিং এ আমরা আরো এক ধাপ বাজেট বাড়াবো এই দুইটি বিল্ডে।

INTEL BUILD:

এখানেও আমরা ম্যাক্সসান এর বোর্ডটি বেছে নিয়েছি করেছি। গ্রাফিক্স কার্ড হিসেবে ARC A750। এই বিল্ডটি গেমিং হোক বা প্রোডাক্টিভিটি, উভয় ক্ষেত্রেই অসাধারণ পারফর্ম করবে। পাওয়ার সাপ্লাই হিসেবে যে দুটি মডেল সিলেক্ট করা হয়েছে দুইটিই 80+ BRONZE, দুইটিই ৫ বছরের বার্ন ওয়ারেন্টি এর সাথে আসে। যার যেটি ইচ্ছা নিতে পারেন।

AMD BUILD:

এই বিল্ডটিতে দৃষ্টিকটু যদি কিছু থাকে তাহলে সেটা হলো মাদারবোর্ড। যেহেতু আমরা এটা ৮৫-৯০ হাজার বাজেট রেঞ্জ এর মধ্যে ধরছি, এই খুতটা সমাধান করতে হলে মাদারবোর্ডে বাজেট ২/৩ হাজার বা ৪ হাজার আরো বাড়াতে হবে। অথবা কেসিং ও পাওয়ার সাপ্লাই থেকে ২/৩ হাজার টাকা সেভ করে, অর্থাৎ ৫৫০ ওয়াট এর পাওয়ার  সাপ্লাই ও ৩০০০ টাকার রেঞ্জের কেসিং সিলেক্ট করে সেই টাকা মাদারবোর্ডে খরচ করতে হবে।

GPU PRIORITY

এবার আমরা GPU প্রায়োরিটি এডিশন হিসেবে আরো দুইটি বিল্ড দেখবো।

অর্থাৎ যারা এই বাজেটে যতটুক শক্তিশালী GPU নেওয়া সম্ভব হয় সেটি নিয়ে বিল্ড সাজাতে চাচ্ছেন, বিল্ডের মুল ফোকাসেই থাকবে গ্রাফিক্স কার্ড। সেক্ষেত্রে অন্যান্য কম্পোনেন্ট, বিশেষ করে প্রসেসরের বাজেট কমিয়ে আনতে হবে।

এই বিল্ডদুইটি মুলত সম্পুর্ণ জিপিইউ বেজড প্রোডাক্টিভ সফটওয়্যার চালানো অথবা এক্সট্রিম গেমিং এর জন্যই বানানো উচিত। এই দুইটি বিল্ডেই ২কে রেজুলুশনে বেশিরভাগ একটু পুরাতন AAA টাইটেলগুলো upscaling এর সাহায্য ছাড়াই খুবই স্মুদলি খেলা যাবে। আর upscaling দিয়ে শেষ ২/১ বছরের গেমগুলো খুবই ভালোভাবে খেলা যাবে।।

কারো যদি বাজেট নিয়ে সমস্যা থাকে,সেক্ষেত্রে আমাদের আগের কমদামি বিল্ডগুলোতে ব্যবহ্বত র‍্যাম,কেসিং ও পাওয়ার সাপ্লাই ও ব্যবহার করতে পারেন।

***গেমিং এর জন্য ARC সিরিজ এখন আগের থেকে অনেক ভালো অপ্টিমাইজড অবস্থায় রয়েছে। বিভিন্ন টাইটেলে পারফর্মেন্স সমস্যা,চালু না হওয়ার মত সমস্যা গুলো এখন অনেকটাই প্রায় শেষ হয়ে এসেছে।। আর প্রোডাক্টিভিটিতে কিছু সফটওয়্যারে official compatibility বা সাপোর্ট নেই এটা একটা সমস্যা, কিন্ত যে সকল সফটটওয়্যারে সাপোর্ট রয়েছে,সেগুলোতে ARC GPU গুলোর পারফর্মেন্স অনেক বেশি ভালো***

CPU Priority Edition (80K)

এই বিল্ডটি যথেষ্ট প্রিমিয়াম অবস্থাতেই রয়েছে। বরং চাইলে এর খরচ আরো কমানো যেতে পারে। বরং পাওয়ার সাপ্লাই ৫৫০/৫০০ ওয়াটের নিলেও এই বিল্ড সম্পুর্ণ ঠিকঠাক থাকবে। পাওয়ার সাপ্লাই, কেসিং এ সামান্য পয়সা বাচিয়ে তাতে ২৫০০-৩৫০০ টাকা রেঞ্জের একটি সিপিইউ কুলার কিনে নিলে বিল্ডটি আরো বেশি অপ্টিমাইজড হবে, কেননা ধরে নেওয়া হচ্ছে এই বিল্ডটিতে সিপিইউ এর কাজই বেশি করা হবে। তবে ARC A580 এর পারফর্মেন্স RX 6600 এর রেঞ্জে, সুতরাং ১০৮০পিতে গেম খেলতে চাইলে তাও করা যাবে খুবই ভালোভাবেই।

AMD BUILD:

Special Builds:

এবার আমরা বিশেষ কয়েকটি বিল্ড দেখবো, সবথেকে কমদামে যৌক্তিক (অর্থাৎ মানানসই প্রসেসর ও অন্যান্য কম্পোনেন্ট দিয়ে) DDR5 Build, GPU ছাড়া ৬০ হাজার বাজেটে বিল্ড ও 8000G সিরিজের APU বিল্ড গুলো থাকবে এই তালিকায়।

8000G series builds

সত্য কথা বলতে আমরা সবাই ই জানি APU নেওয়া হয় যাতে কম বাজেটের মধ্যে ভালো internal graphics এর প্রসেসর পাওয়া যায় যেটা দিয়ে জিপিইউ ভিত্তিক প্রোডাক্টিভিটি ও গেমিং বেসিক লেভেলে খুবই ভালোভাবে করা যায়। কিন্ত এবার 8000G সিরিজে APU গুলোর প্রকৃত প্রাইসই যথেষ্ট বেশি, তার উপর DDR5 হওয়ায় র‍্যাম এর খরচ ও বেশি+ মাদারবোর্ডেও অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে। এন্ট্রি লেভেল A620 বোর্ডের দাম ও ১০৫০০+ যেখানে 5000G সিরিজে 450 বোর্ড এর জন্য বেশীরভাগ সময়েই আমাদের ৭০০০-৮০০০ এর বেশি খরচ করতে হয়নি। সব মিলিয়ে সবথেকে কম টাকায় 8500G,8600G,8700G এর বিল্ডগুলো করতেও যা খরচ হবে তাতে সেই পরিমাণ খরচে এই বিল্ডগুলো গ্রহণযোগ্যতা ও যৌক্তিকতা হারায়।অবশ্যই পারফর্মেন্স আগের জেনারেশনের তুলনায় অনেক বেশি, তবে মোট বিল্ডের খরচ হিসাব করলে ওই বাজেটে ডেডিকেটেড GPU সহই বিল্ড করা যায়।

তারপরেও নিছক দেখানোর জন্য আমরা কয়েকটি বিল্ড দিয়ে দিচ্ছি। এই বিল্ডগুলো নিয়ে কোনো পর্যালোচনা আমরা করবো না।

Cheapest DDR5 Build:

DDR5 বিল্ড চাইলে Core i3 12100 দিয়েও করা যায়। তবে তা কোনো গ্রহণযোগ্য বিল্ড হবে না। ব্যাপারটা অনেকটা “বাঁশের থেকে কঞ্চি বড়” প্রবাদের মত হবে। ইন্টেল প্লাটফর্মের কথা হিসেব করলে সবথেকে কম খরচে DDR5 বিল্ডের ক্ষেত্রে Core i5 12400 দিয়ে বিল্ড করা যায়। আমরা 12400 দিয়ে ৪০-৪৫ হাজারের রেঞ্জে একটি বিল্ড দেখেছি, সেটাকেই হালকা পরিবর্তন করলেই হয়ে যাবে DDR5 বিল্ড। আর AMD সিস্টেমের ক্ষেত্রে 8500G এর বিল্ডটিই সবথেকে কম খরচের DDR5 বিল্ড। GPU Add করতে চাইলে 12400F+RX 580 নিতে পারেন।

দুইটি করে বিল্ডঃসেক্ষেত্রে কোনটা বেশি পাওয়ারফুল?

আমাদের এখানে AMD এর 5000 সিরিজের 5800X পর্যন্ত, 7000 সিরিজের 7600X পর্যন্ত প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদিকে INTEL প্লাটফর্মে 13400F পর্যন্ত প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। নিঃসন্দেহে গেমিং এ ৯০% ক্ষেত্রেই AMD এরই একচ্ছত্র আধিপত্য। এটি নিয়ে খুব বেশি আলোচনা করার প্রয়োজন ও নেই। 12400F এর সাথে তুলনা করা যায় 5700X এর, এখানেও 5700X ই বেশি এগিয়ে, আবার প্রোডাক্টিভিটিতে ,বিশেষ করে মাল্টি কোর এর কাজকর্মে,5700X এর ই বাজিমাত করার কথা।।

Ryzen 7600 ই Core i5 13500 থেকে গেমিং এ অনেকটাই এগিয়ে থাকে, সেখানে 13400 এর অবস্থান কি হবে সেটি তো বোঝা ই যায়।।

যাদের উদ্দেশ্য গেমিং, যেসব বিল্ডে ইন্টেল,AMD দুইটি অপশনই আছে। নিঃসন্দেহে চোখ বন্ধ করে AMD এর দিকে চলে যেতে পারেন।

Productivity:

Productivity এর ব্যাপারটা কিছুটা কমপ্লিকেটেড, বিশেষ করে AMD এখনো কিছুটা সমস্যায় ভুগছে এই অংশে। অনেক জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহ্বত Application রয়েছে যেগুলোতে AMD এর প্রসেসরগুলো অপ্টিমাইজেশন এর জন্য পিছিয়ে পরে। এসব ক্ষেত্রে বেঞ্চমার্ক এর থেকে রিয়েল ওয়ার্ল্ড রেন্ডারিং ,এক্সপোর্ট টেস্টগুলো বেশি ভালো ধারণা দেয়। এক্ষেত্রে যিনি বিল্ড করবেন, তিনি ঠিক কোন কোন সফটওয়্যার চালাবেন সেগুলোর ফোরাম,কমিউনিটিতে ঘাটাঘাটি করে ব্যবহার কারীদের ফিডব্যাক নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। বিশেষ করে সফটওয়্যারগুলো যদি typical সফটওয়্যার না হয়।

একথাও বলতে হচ্ছে, AMD এর রাইজেন যুগের অনেক বছরই হয়ে গিয়েছে, এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপ্টিমাইজেশন সমস্যাগুলো প্রায় শুন্যের কোটায় নেমে এসেছে। তবে কিছু কিছু এপ্লিকেশন এখনো রয়েছে যেগুলো “সাধারণত” ইন্টেল এ ভালো চলে, এমনকি সাধারণত ওই বাজেটের AMD প্রসেসরটি ওভারল বেশি শক্তিশালী হওয়া সত্বেও।

যেসব ক্ষেত্রে INTEL GPU রয়েছে,সেসব ক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে INTEL CPU এর বিল্ডটিই বেছে নেওয়ার।

12400 vs 5600 এর ক্ষেত্রে প্রোডাক্টিভিটি যদি মুল উদ্দেশ্য হয়, তাহলে 12400 এর দিকেই যাওয়া উচিত হবে। অন্যদিকে 12400 vs 5700x/7500f এর ক্ষেত্রে আমাদের ভোট AMD এর দিকেই থাকবে।

আর অপ্টিমাইজেশন এর সমস্যা যদি থেকেও থাকে, তাও 7600/7600X এর সাথে 13400F এর তুলনা চলে না, এক্ষেত্রেও প্রডাক্টিটি হোক বা গেমিং, 7600X/7600 কেই এগিয়ে রাখছি আমরা।।

আর যদি আলোচনা আসে Platform support এর। সেক্ষেত্রে AMD এর ধারে কাছেও নেই INTEL। কারণ AM5 এখনো কমপক্ষে ৩/৪ বছর বাজারে থাকবে, বিভিন্ন বাজেটে,বিভিন্ন আর্কিটেকচারের নতুন প্রসেসর আসবে।

শেষ কথা, অনেকেই আছেন যার তার নিজের ক্ষেত্রে AMD অথবা INTEL কোনটি নিলে ভালো হবে এতটুকু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে বা এই ব্যাপারটি জানেন ,কিন্ত পুর্ণাঙ্গ বিল্ডটি খুজছেন।তাদের জন্য ও ব্যাপারটি সহজ করে দেওয়া হয়েছে আলাদা আলাদা বিল্ডগুলো দেওয়ার মাধ্যমেই।

Share This Article

Search