Honor 400 King of the midrange??

Huawei once upon a time জনপ্রিয় ফোন কোম্পানি গুলার একটা ছিল। ২০১৮ সালে ১৬.৫% ছিল স্মার্টফোন মার্কেটে এদের market share. আর android market  এর কথা চিন্তা করলে percentage ছিল ৬৪%.  এরপর আসলো us এর চাইনিজ ব্যান। এরপরের গল্প তো সবার জানা।  Huawei হারিয়ে গেল কালের গর্ভে। এরপর Honor আলাদা হয়ে গেল ২০২০ এর শেষে। অফিসিয়ালি গুগলের লাইসেন্স নিয়ে বাজারে আবার সাড়া দিতে থাকে হুয়াওয়ে।  আর ৫ বছর পর Honor এর ক্রেজ দেশে বিদেশে আবার বাড়তে শুরু করেছে। 

Honor এর নাম্বার গেম সিরিজ  এর নিউ এডিশন Honor 400. 3 টা ডিভাইস আছে এই লাইনাপে। Honor 400 pro, Honor 400 and Honor 400 lite.  এই ৩ ভাইয়ের মধ্যে আমরা বেছে নিয়েছি মেঝ ভাই এই হনর ৪০০ কে।  এর আদ্যপান্ত সব নিয়ে কথা। Unboxing টা দেখে নেয়া যাক প্রথমে। ফুল বক্সে এসেছে ফোনটা। তাই কেস, ক্যাবল, চার্জার সবটাই পেয়ে যাচ্ছেন। তবে ইউরোপীয় ভ্যারিয়েন্ট নিলে আবার ভিন্ন কথা তখন পাবেন স্লিম বক্স, থাকছে না কোনো চার্জিং ব্রিক। এখন ইউরোপীয়দের জন্য একটা বাকি দুনিয়ার জন্য অন্যটা এর কাহিনী কি? যতদুর শুনলাম, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এর কিছু  rules and regultion এর জন্য এমন ভেদাভেদ।  

যদিও আমাদের দেশে ইউরোপীয় ভ্যারিয়েন্ট ঢুকে নাই, আমার জানা মতে তাও স্লিম বক্স দেখলে বুঝবেন এটা কোন জায়গার।বক্স ছাড়াও আরো কিছু জিনিসে difference থাকছে যা ভিডিওতে আরো গিয়ে দেখতে পাবেন। এক নজরে এর স্পেক এর দিকে চোখ বোলানো যাক। ৬.৫৫” এর ১২০ হার্জের এমোলেড ডিস্পলে,  স্নাপড্রাগন 7 gen 3.  200 mp এর মেইন ক্যামেরা এবং 12 mp এর ultrawide lens আর সর্বশেষ  6000 এর ব্যাটারি।  আর এই প্যাকেজটার দাম 43000  আর এটা আমাদেরকে provide করেছে Phone sell bd.  তাদের যাবতীয় সব info পেয়ে যাবেন description box এ।  ডিজাইন নিয়ে কথা বলতে গেলে এটা আমার খুব একটা ভালো লাগে নাই। ক্যামেরা লেন্স গুলা একটু বেশি উচু লাগছে আমার কাছে। একটু সিম্পল করা যেত। আবার স্টুডিওর অনেকের কাছে এটা ভালোও লেগেছে। সো এটা যার যার ব্যাপার। ফোনটা হাতে নিয়ে প্রথমেই রিয়ালাইজ হয়, ফোনটা প্রচন্ড হাল্কা পাতলা আর compact. ১৮৪ গ্রাম ভরের এই ফোন এক হাতে  ইউজ করা সম্ভব। হাল্কা পাতলা দেখে ভাববেন না এটা পলকা। honor এর ফোনগুলা যথেষ্ট durable হয়ে থাকে। যা sgs certified তো আছাড়, টাছাড় খাইলেও কিছু হবে না।  Honor 400 বক্সি শেপের, যেটা একে প্রিমিয়ামনেস ফিল দেয়। ব্যাকটা ম্যাট ফিনিশড, তাই ফিংগারপ্রিন্ট বা স্মাজেস নিয়ে ইস্যু নেই। ডিভাইসটা Ip66 rated. ধুলাবালি আর হাল্কা পাতলা splash থেকে বেচে যাবে ফোনটা।আজকাল যে বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে এতে honor 400 survive করতে পারবে। তবে, ইউরোপীয় ভ্যারিয়েন্ট নিলে ip65 এর রেটিং পাবেন।  তখন ফোনকে পানির কাছে না নিয়ে যাওয়ায় ভালো। 

এবার কথা বলা যাক এর ডিস্পলেকে নিয়ে। ৬.৫৫” এর ১২০ হার্জ এমোলেড ডিস্পলে ইউস করা হয়েছে এতে। যার রেজুলেশন 1264 x 2736 pixels। আর claim করা peak brightness 5000 nits. আগে আমাদের ল্যাব এ করা calman test result দেখে আসি।

 colour gamut test এর ক্ষেত্রে  

  • sRGB পেয়েছি  99.7% Adobe RGB: 85.5% DCI-P3: 86.9%  NTSC: 81.7%

 Delta-E

  • sRGB Delta-E (avg): 3.5
  • P3 Delta-E: 4.72

Brightness Test Result এ  Normal SDR Mode-এ 100% brightness পেয়েছি 618 nits।  200W লাইট সেটআপে Peak Brightness Hit করেছিল 1563 nits.  

 একটা মজার বিষয় দেখলাম Brightness Ranking e Top 2 টা phone Position Hold করে বসে আছে IQ neo 10 and Honor 400. Both phone ৪৫০০০ টাকার আসেপাশে।


আচ্ছা এবার আসি আমার user experience এর দিকে। this display is a very good display. ডিস্পলের কালার contrast ratio is very good. এতে যেকোনো ধরনের content দেখেই মজা পাওয়া যাবে। ভিউয়িং এংগেল নিয়েও কোনো কমপ্লেইন নাই। কোনো angle থেকেই green বা purple hue দেখা যায় নাই। ডিস্পল্ব এর বেজেল গুলাও চিকন। মনেই হয় না কোনো midrange device হাতে নিয়ে আছি। তাই এতে content watching experience টা ছিল ভালোর কাতারে। widevine L1 এর সাপোর্ট থাকছে তাই, নেটফ্লিক্স অ্যামাজন এ Hdr streaming করতে পারবেন। এসব সিরিজ দেখার সময় এর স্পিকারও আপনাকে বেশ ভালো সাপোর্ট দিয়ে যাবে। স্পিকার ভলিউম লাউড এনাফ, তবে রিচনেস একটু কম পেয়েছি। 

এই তো গেল মিডিয়া ওয়াচিং এক্সপিরিয়েন্স। honor তার সব ডিভাইসের মত এতেও eye protecting কিছু ফিচার রেখেছে যাতে আপনার চোখ ভালো থাকে। এই ডিস্পলেটা 3840Hz pwm dimming করে থাকে। এতে ডিস্পলে ফ্লিকারিং কম হবে তাই রাতে কাথার নিচে ফোন চালাতে আপনার কষ্ট হবে না। আবার আমরা অনেকেই ফোনে বই পড়তে পছন্দ করি, তাদের জন্য আছে e-book mode. তখন এটা display কে ফুল সাদা কালো করে ফেলে একটা ই-বুক রিডারের মত।

esthetically এটা দেখতে ভালোই লাগে। নাথিং এর ভাইব পাওয়া যায়। তবে আমার খারাপ লেগেছে এর fingerprint position নিয়ে৷  unlocking speed ok বাট এটা এত নিচের দিকে হাতের জিমন্যাস্টিকস করাই লাগে। এটা একটু উপরে হলে কাজে দিত। ওভারঅল এই ডিস্পলে নিয়ে আমি বেশ খুশি। তবে এত ভালোর মধ্যেও আপনাকে মাথায় রাখতে হবে amoled display = greenline possibility. আমাদের দেশে honor এর ডিভাইসে greenline এর ইস্যু দেখা যায় নাই এখনো, কিন্তু india তে ঠিকি দেখা গেছে। তাই এই জিনিসগুলা মাথায় রেখেই বাইয়িং ডিসিশন নিবেন।

Midrange budget এ সবাই মোটামুটি দামের মধ্যে একটা allround  camera খুজে থাকে। আর Huawei/Honor এরা যেহেতু সব সময়ই ক্যামেরা নিয়ে বেশ ফোকাসড থাকে, তো এখন দেখার বিষয় এটা কেমন করে। ফোনটাতে পাচ্ছেন, ২০০ মেগাপিক্সেলের একটা ক্যামেরা যার সেন্সর হিসেবে থাকছে  স্যামসাঙ isocell Hp3. যার কিনা সেন্সর সাইজ ১/১.৪”।  আর সেকেন্ডারি লেন্সে থাকছে একটা ultrawide lens 12mp  এর। এটা একটা cmos সেন্সর। এইখানে আমার একটা বিষয় ভালো লাগে নাই। ৪৩ হাজার টাকার ফোনে যদি আমি টেলিফোটো লেন্স না পায়, তাহলে ব্যাপারটা কেমন না।  এই বাজেটে এসে অনেকেই একটা টেলিফোটো লেন্সওয়ালা ক্যামেরা সেটাপ খুজে থাকে। তাদের চয়েস লিস্ট থেকে বাদ পরে যাবে এটা।  Telephoto lens নিয়ে এত কথা যেহেতু হচ্ছে শুরু করি potrait picture দিয়েই।  portrait এর শটগুলা একটু বেশি পাঞ্চি আর কালার বুস্টেড। সাবজেক্টকে একটু বেশি contrasty বানিয়ে ফেলে। এটা অনেকের কাছে ভালো লাগতে পারে অনেকের কাছে না।  যার যার ব্যাপার। তবে আমাদের কাছে এটা ভালো লাগে নাই। তবে একটা ব্যাপার ভালো ছবির সাবজেক্ট আর ব্যাকগ্রাউন্ড সেপারেশন সুন্দর মতই করতে পেরেছে। স্যাম্পল গুলা দেখে নিন। দিনের বেলা এই ক্যামেরা মোটামুটি ভালো মানের ছবি তুলে। ছবির কালার প্রোফাইলটা একদম বেশি পাঞ্চি করে এমনটা না, আবার ন্যাচারাল এর মত রাখে এমনটাও না৷  মোটামুটি মাঝামাঝি। ছবিগুলা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপ দেয়ার মত রেডি হয়েই আসে। ছবিতে ভালো আলো পেলে ভালো ডিটেইলস আর শার্পনেস নিয়ে আসে।  ঝড় বাদলের দিনে কিছু ছবি তোলা দেখে নিন। রাতের আধারে ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরা তার যতটুকু দরকার ততটুকু সময় নিয়ে ছবি তুলে। ছবির কোয়ালিটি এখানেও দিনের মত। স্লাইটি পপড ছবি। ভালো লাইটিং কন্ডিশনে এর রেজাল্টে আপনি হতাশ হবেন না।

 

ডেডিকেটেডলি নাইট মোড অন করে পিক তুললে স্লাইটলি বেটার রেজাল্ট পাবেন। ultrawide এর ক্ষেত্রে এর রেজাল্ট মোটামুটি মানের। ছবির কালারটা একটু  স্ফট হয়, মেইন ক্যামেরার তুলনায়।  ছবির শার্পনেস আর ডিটেইলস একটু কম কম মনে হয়৷ হবেই বা না কেন৷ মেইন ক্যাম ২০০ মেগাপিক্সেলের আর এটা ১২। ছবিগুলা দেখে আপনাদের মতামত জানাতে ভুলবেন না। ফ্রন্ট ক্যামেরাতে পাচ্ছি একটা ৫০ মেগাপিক্সেলের সেল্ফি ক্যামেরা। এটার ক্ষেত্রে কি সেন্সর ইউস করা হয়েছে তা জানা যায় নি।  সেল্ফি ক্যামেরাটার fov অন্যান্য ক্যামেরা থেকে একটু  wider. গ্রুপ সেল্ফির ক্ষেত্রে অনেক কাজে লাগবে। আর ছবির কোয়ালিটির ক্ষেত্রে মোটামুটি মানের আউটপুট দেয়। কালার প্রোফাইল ব্যাক ক্যামেরার মতোই।  ভালো শার্প ছবি পাবেন প্রতি ক্ষেত্রেই।  ভিডিও সেকশনে ফ্রন্ট and back ২ টাতেই 4k 30fps এ শুট করতে পারবেন। ফুটেজ কোয়ালিটি বেশ ডিসেন্ট।  ois and eis ২ টাই পাচ্ছেন রেকর্ডিং এর ক্ষেত্রে। এর multi-video mode টা অনেকের কাজে লাগবে, বিশেষ করে vlogger যারা আছেন। In terms of cameras  performance it is a good device but telephoto lens না থাকাটা একে পিছিয়ে রাখবে। তবে ছবি  honor বেশ কিছু কারসাজি দেখা যায় post এ গিয়ে। এগুলার মধ্যে ai eraser দিয়ে unwanted অব্জেক্ট ছবি থেকে হটিয়ে দিতে পারবেন। আবার৷ ai outpainting দিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড এক্সপ্যান্ড করতে পারবেন। এছাড়া ai upscaling and cutout কিছু ফিচার আছে। সোজা বাংলায় বললে আগে আমরা snapseed দিয়ে যে কাজ গুলা করতাম না? ওইগুলাই এখন অন ডিভাইস করতে পারবেন৷ আর একটা যে ফিচার নিয়ে খুব কথা হচ্ছে সেটা হলো image to video. একটা still image কে 5 second video বানাতে পারে।  এবং এই ভিডিওগুলা বেশ রিয়ালিস্টিক হয়। শুরুর দিকে হয়ত আপনি এটা দিয়ে টুকটাক মজার ছলে ভিডিও বানালেন। কিন্তু এটা কেউ ১/২ সপ্তাহ পর ইউস করবে কিনা? তা নিয়ে আমি সন্দিহান। 

এ তো গেল ক্যামেরার ai. এটা ছাড়াও on device কিছু ai feature আছে। যেমন magic portal, যেটা নাথিং এর essential space এর মত। ss নিবেন একটা place এ সব জমা থাকবে। আবার গুগলের circle search এর মত ফিচারও থাকছে।  এসব ai বাদ দিলে এর ui বেশ স্মুথ। magic os 9 on top of android 15. Magic os 9 এ রানিং এই ডিভাইস্টাতে খুব বেশি bloatware চোখে পরে নি। হাল্কা কিছু থাকলেও সেটা uninstall করা যায়। স্ফটোয়্যারটা খুব বেশি ভারীও না আবার একদম stock android এর মতোও না মাঝামাঝি। যারা স্যামসাং এর device use করে অভ্যস্ত তাদের কাছে এর ui টাও  সিমিলার লাগতে পারে, কারন এই magis os and one ui বেশ কাছাকাছি।

এবার বাকি থাকে এর পারফরম্যান্স সেকশন। snapdragon 7 gen 3 দিয়ে রানিং এই ডিভাইস মিডরেঞ্জার হিসেবে বেশ সলিড ও ক্যাপবল একটি soc. Mid range lineup এর মোটামোটি সব ডিভাইসেই এই soc দিয়েছে৷ আমাদের হাতের এই ডিভাইসটি ১২/৫১২.

আমরা এর অবস্থা বুঝতে এতে কিছু সিনথেটিক বেঞ্চমার্ক করেছি। antutu and geekbench এর স্কোর গুলা দেখে নিন। এই ডিভাইস ডে টু ডে যেকোনো কাজ হ্যান্ডেল করতে পারে। টুকটাক scrolling, browsing থেকে শুরু করে ক্যাপকাটে ভিডিও এডিটিং সবই সম্ভব এতে।  একটা ৩০ সেকেন্ড এর ক্লিপ আমরা capcut এ বিনা কিছু ইফেক্ট বা text promp দিয়ে  রেন্ডার এ বসাইছি। কাজ শেষ করে ৫৭.৪৫ সেকেন্ড এ। আর বিভিন্ন ইফেক্ট, প্রোমট দিয়ে রেন্ডার টাইম পেয়েছি ১ মিনিট ১৬ সেকেন্ড। pubg efootball এর মত গেমগুলা ট্রাই করেছিলাম এতে। তেমন কোনো হিক্যাপ চোখে পরে নাই। লাইট, মিডিয়াম, হেভি সব ইউজারদেরকেই  satisfy কর‍তে পারবে এই honor 400. 

এবার আসা যাক ব্যাটারির দিকে। এখানে কথা আছে আপনি যদি ইউরোপিয়ান ভার্সন নেন তাইলে ব্যাটারি ক্যাপাসিটি  5300 mah and rest of the world এর জন্য 6000 mah. আমাদের এই ৬০০০ mah এর ব্যাটারি যেটা  silicon carbon battery ইউস হয়েছে. আর এই silicon carbon tech এর জন্যই চিকন চাকন বডিতে এই ক্যাপাসিটি  দিতে পেরেছে।  আর ব্যাটারি ব্যাকাপের দিক থেকে  একটা Beast. regular  user দের 2 দিন অনায়াশে ব্যাককাপ দিয়ে যাবে এটা। বক্সে আছে ১০০ ওয়াটের চার্জার। তবে সাপোর্ট  করে সর্বচ্চো ৮০ ওয়াট পর্যন্ত। ০-১০০% চার্জ হতে প্রায় ৪৫-৫০ মিনিট মত লেগেছে আমাদের টেস্টিং এ। 

 

কম্পিটিটর অ্যানালাইসিস করতে গিয়ে দেখি এই মুহুর্তে ৪৩-৪৫ টাকার রেঞ্জে এর ডিরেক্ট কম্পিটেটর nothing 3a pro. আর এই ২ টা ফোন খুবই কাছাকাছি। শুধু  একটা telephoto lens না থাকায় এই honor পিছিয়ে থাকবে। এখন টেলিফোটো লেন্স যেহেতু নেই, সেজন্য যদি এর দাম কিছুটা কম হয়ে ৩৭/৩৮ এর মত হয় তাইলে এটা একটা বেস্ট ডিল হবে নো ডাউট। ফোনটা সবে মাত্র বের হলো। কিছুদিন পর দাম কমে যেতে পারে। তখন আরো বেশি ভ্যালু ফর মানি হবে। এই ছিল আজকের মত। দেখা হবে অন্য কোনো ভিডিওতে।  আসসালামু আলাইকুম।  

 

Share This Article

Search