বাজেটে সেরা! Ajazz AJ179P Review

দ্যা স্টোরি

অনেক বছর হয়ে গেছে মাউস চেঞ্জ করা হয় না। 2024 এ এসেও আমি পুরানো তারওয়ালা steelseries rival 110 ইউজ করছিলাম।

ইয়েস এটা একটা বাজেট মাউস এবং 3500 টাকায় 2019 এ ভাল একটা অপশন ছিলো এটা। যদিও 2021 এর দিকে এটা এন্ড অফ লাইফ হয়ে যায়। লাস্ট 5 বছরে এই মাউস দিয়ে ডেইলি কাজ করা থেকে শুরু করে ক্যাসুয়াল গেম বা টুর্নামেন্ট খেলা সবই করা হয়েছে।

Logitech g402 এর পর এত লং টাইম ধরে ইউজ করা মাউস ছিল এই rival 110 এটার বিল্ড কোয়ালিটি যথেষ্ট ভাল ছিলো আর সবচেয়ে ভাল ছিল এটার সফটওয়ার সাপোর্ট। এইসব ব্র্যান্ডের মাউস সেন্সরে বা ফিচারে কার্পন্য করলেও সফটয়্যার দিয়ে সেটা পুষিয়ে দেয়ার চেস্টা করে। তবে বিল্ড কোয়ালিটি এটার ভালই ছিলো এবং কোনোভাবেই এটা একটা চিপ মাউস বলা যাবে না। যদিও Logitech G402 এবং Steelseries Rival 110 এই দুইটা মাউসই আমার কাছে এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। যাইহোক আজকের রিভিউ এর বিষয়ে ভিন্ন। যেহেতু এত বছর ধরে লেঞ্জাযুক্ত আই মিন তার ওয়ালা মাউস ইউজ করে আসছিলাম তাই ইচ্ছা হচ্ছিলো একটা ওয়ারলেস বা লেজকাটা মাউস ইউজ করি। 

এক্ষেত্রে খুব একটা স্পেন্ড করতে চাচ্ছিলাম না সর্বোচ্চ গেলেও 4 হাজার খরচ করতাম। কারণ আমার লিস্টে আরও কিছু মাউস আছে যেগুলা আমি হয়তো সামনের বছর ট্রাই দিবো। তার উপর একটা রিকুয়ারমেন্ট ছিলো আলাদা ডক থাকলে ভাল হয়। আর শেষ চাহিদা ছিলো একটা ভাল সফটওয়ার সাপোর্ট। স্টিলাসিরিজের মাউসের সফটওয়ারটি যথেষ্ট পলিশড ছিল। তবে এই রেঞ্জে মোস্টোলি চাইনিজ মাউস পাওয়া যায় আর সেগুলার সফটয়্যার অতটাও ভাল না। খুবই জেনেরিক মনে হবে সেসব। একসেপ্ট VGN VXE সিরিজের মাউসের সফটয়্যার খুবই ভাল দেখলাম।

যাইহোক বাজেটে একের মধ্যে সব পাওয়া সম্ভব না। তাই ডক থাকাটাকে আমি প্রায়োরিটি দিচ্ছিলাম কারণ পিসি অফ থাকলেও এটাকে আমি চার্জিং এ রেখে দিতে পারবো তাই ব্যাটারি ব্যাকাপ নিয়ে ভাববার তেমন কিছুই থাকছে না। মাউস খুঁজতে খুঁজতে টেক ডাইভারসিটির রিসেন্টলি লঞ্চ করা ajazz aj179 সিরিজটা চোখে পড়লো। এটা নিয়ে notsonabil(youtube) এর নাবিলকে নক দিলাম। তখন তার হতে ছিল aj139 সিরিজের মাউস। এই মাউসেও ডক ছিল কিন্তু বিল্ড কোয়ালিটি তেমন একটা ভাল ছিল না। মিডিওকোর বলা চলে ফর দ্যা প্রাইস। বিল্ড কোয়ালিটি একটু কম থাকার মূল কারণ হচ্ছে মাউসের বডিতে সাইড আরজিবি লাইট স্ট্রিপ দেয়া। যেটা আমার পার্সোনালি ভাল লাগে না। এত এফপিএস দিয়ে কি আর হবে! 😛
যেহেতু aj179 সিরিজের কথা বললাম সো বুঝতেসেন এটার আরও ভ্যারিয়েন্ট আছে। যদিও বাংলাদেশে প্রো ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায় না কিন্তু বাকিগুলা পাওয়া যায়। নিচের ছবিতে দেখতে পারবেন কোন ভার্সনে কি রয়েছে। 

নাবিলের সাথে কথা বলতে বলতে সে বলে ajazz aj179p তার হাতে আসবে কিছুদিন পর। যেহেতু তার কাছে 2 টা মাউস থাকবে সো একটা বিল্ড কোয়ালিটি এন্ড ওভারভিউ পাওয়া যাবে তার থেকে।

কারণ এই মাউসটার তেমন কোনো ইংলিশ রিভিউ নাই। নাবিলের হতে আসার পর সে বললো aj179-এর বিল্ড কোয়ালিটি বেটার কম্প্যারিং টু aj139 এর সাথে। তবে এটার ডকের সাথে ম্যাগোনটিকালি একটু দুর্বল ভাবে লাগে। যেটা খুব একটা বিগ ডিল না যদি চার্জ ঠিকমতো হইলেই হবে আমার ক্ষেত্রে। এর পর আমি আর অন্য দিক না ভেবে টেক ডাইভার্সিটির সেতু ভাইকে নক দিয়ে অর্ডার দিয়ে ফেলি। মাউসটার দাম ৩৮০০ টাকা।

মূলত নতুন যে কোনো প্রডাক্ট অর্ডার দিলে একটা ব্যাকুলতা কাজ করে সেটা যে দামেরই হোক না কেন। বার বার চেক করি আসে না কেন! 😛
প্রায় ৩ দিন পর হাতে এসে গেল মাউস।

বক্স খোলা কর্মসূচিঃ আনবক্সিং

এটার আনবক্সিং করলে মাউস, ডক এবং একটা প্যারাকর্ড ক্যাবল পাবেন যেটার কোয়ালিটি যথেষ্ট ভাল। আর কিছু কাগজপত্র ছিল। আর মাউসের ২.৪ গিগাহার্জ ডঙ্গলটা ছিলো মাউসের নিচের কম্পার্টমেন্টে।
এখানে বলে রাখা ভাল আমার ইউনিটটা ব্লাক কালারের কিন্তু ফর বেটার ভিসুয়াল হোয়াইটের ছবিগুলা দেয়া। ছবিগুলো তুলেছে notsonabil এর নাবিল ইসমাম।


কানেক্টিং দ্যা মাউস এবং বিল্ড কোয়ালিটি

যাইহোক, আনবক্স শেষে মাউসটা পিসিতে কানেক্ট করে এজাজের সাইটে সফটওয়ার খুঁজে পাই। সেটা ডাউনলোড করতে সময় লাগে প্রায় 1 ঘণ্টার বেশি। এটা খুবই পেইনফুল ছিলো। খুব সম্ভবত হোস্টিং সাইটের/সার্ভারের প্রপার রাউটিং নাই আমাদের দেশে। এই ব্যাপারটা এজজের  ইমপ্রুভ করা দরকার। যাইহোক, মাউস সফটওয়ারটা ইন্সটল দিলাম। খুব স্মুথলি কানেক্ট হয়ে গেলো যদিও সফটওয়ারটা খুবই জেনেরিক মনে হয়েছে। এই রেঞ্জে VGN VXE R1 SE এর মাউসের সফটওয়ারের সাথে কম্প্যেয়ার করলে এটাকে ডাল্ভাত মনে হবে।


যাইহোক এজাজ এখন যথেস্ট পরিচিত ব্র্যান্ড ওয়ার্ল্ডওয়াইড সো তাদের এসকল সফটওয়ার এবং এই রিলেটেড এক্সপেরিয়েন্স ইম্প্রূভ করা উচিত। এবার মাউসের ব্যাপারে আসা যাক এই মাউসের বিল্ড কোয়ালিটি যথেস্ট ভাল। হাতে ধরে মোটামুটি একটা সলিড ফিল হয়। এবং চাপ দিলে কোন প্রোকার প্লাস্টিক ক্রিকিং সাউন্ড বা নড়বড়ে টাইপ ফিল আসে না। বাট এই মাউস যেটা ল্যাক করে সেটা হলো এর সার্ফেস কোটিং। খুবই স্মুথ একটা সার্ফেস কোটিং দেয়া হয়েছে এতে সো যাদের হাত ঘামায় তাদের জন্য এটা একটা প্রবলেম হতে পারে। সেক্ষেত্রে সাজেশন থাকবে গ্রিপ টেপ লাগিয়ে নেয়ার জন্য এই মাউসে। এক্ষেত্রে এই মাউসের ডানে এবং বামে টেক্সচার থাকলে ভালো হতো এবং একটা বেটার গ্রিপ পাওয়া যেট। যাইহোক মাউসের শেপটা দুমুখো বা ambidextrous নয়। এটার ডিসাইন পুরোটাই ডান হাতের জন্যই বানানো। সো যারা লেফট হ্যান্ডে মাউস ইউজ করে থাকেন তাদের জন্য এটা একটা বিগ নো। মাউসের শেপটা মোটামুটি আরগোনমিক বলা যেতে পারে। এটার পিছনের দিকের উচু হাম্প থাকাতে ধরে মাউসটা অপারেট করাটা অনেকটা কম্ফোর্টেবল হয় বটে। এক্ষেত্রে ক্লো গ্রিপ এবং পাম গ্রিপের ক্ষেত্রে এই মাউসটা যথেস্ট বেটার। তবে ফিঙ্গারটিপ গ্রিপের ক্ষেত্রে এটা একটু লেস কম্ফোর্টেবল হতে পারে কারন এর সাইডগুলা একটু চিকন করা হয়েছে। এবং সার্ফেস স্মুথ হওয়াতে ব্যাপারটা অনেকের কাছে অদ্ভুত লাগতে পারে। বাট ফিগারটিপ গ্রিপও পসিবল যদি গ্রিপ টেপ ইউজ করেন।

Ajazz Aj179p Shape
Credit: eloshapes.com

 

এর নিচের দিকে ১০০% টেফলনের স্টিকার ইউজ করা হয়েছে। নিচের দিকে মাউস অন/অফ এবং ডিপি-আই সুইচের বাটন দেয়া। এছাড়াও ডংগল রাখার একটা পজিশনও দেয়া আছে।

নিচের দিকে এর সেন্সরের পজিশন একটু নিচের দিকে। এটার জন্য মাউসটা প্রথম দিকে অপারেট করতে আমার একটু বেগ পেতে হচ্ছিলো কারন আগের রাইভাল ১১০ মাউসটার সেন্সর পজিশন একেবারে সেন্টারে প্লেস করা। সো মাসল মেমরীর জন্য কিছুটা এডযাস্ট করতে সমস্যা হচ্ছিলো। এর মুল পার্ট মানে বাটনস এর কথা বললে বাটনের ক্লিকিং এক্সপেরিয়েন্স সলিড  ছিলো। তেমন কোন লুজ বা নড়বড়ে টাইপ ফিলিং ছিলো না এতে। সাইড বাটন্স গুলোও যথেস্ট ক্লিকি ছিলো। স্ক্রোল হুইলের কথা বললে একটা সফট এক্সপেরিয়েন্স পাওয়া যায় যেটা স্ক্রলিং এর ক্ষেত্রে গুড এনাফ বলা চলে। এটার ডিপি-আই শিফট বাটন্টা নিচে এবং ডিপি-আই শিফট করলে ইন্ডিকেটর লাইট চেঞ্জ হয়। এই ইন্ডিকেটর লাইটের লোকেশন উপরের ২টা বাটনের মাঝামাঝি। এই ব্যাপারটা দেখতে একটু চিপ লাগে কারন এল-ইডিটা একদমই এক্সপোজড মনে হয়। এছাড়াও এই মাউসের ব্যাটারি ইন্ডিকেটর বলতে কিছু নেই। ইভেন এপটা যদি লো ব্যাটারি নোটিফিকেশন দিতো তাহলেও ভাল হতো কিন্তু এইরকম কিছু দেখি নি।

ইন্সাইড দ্যা হুডঃ স্পেসিফিকেশন


এবার এটার টেকনিকাল স্পেসিফিকেশন নিয়ে কথা বার্তা বলা যাক। Ajazz aj179p হচ্ছে এই সিরিজের ২য় মডেল। একদম বেস মডেলে মানে aj179 এর সাথে কোন ডক আসে না। আর এর ম্যাক্সড আউট ভার্শনে বেটার সেন্সর, বেটার ডক উইথ ডিস্প্লে, ৮কে পোলিং রেট এসব সাপোর্ট করে। উপরের ছবিতে আরও ডিটেইলস স্পেক আছে)
যাইহোক, যেহেতু আমার মডেলটা aj179p এটার ব্যাপারে কিছু স্পেক ঝেড়ে নেই। aj179p এই মডেলটা এপ্রোক্স ৫৮ গ্রামের মত ওয়েট হবে। এটার সাইজ 117.8*65.5*41.32mm। সুতরাং মিডিয়াম কিংবা ছোট হাতের জন্য এই মাউসটা যথেস্ট ভাল অপশন হতে পারে। মাউসের সেন্সর হলো PixArt PAW3395 যেটা ২০২১ সালে রিলিজ হয়েছিলো। বলতে গেলে এটা একটা ফ্ল্যাগশিপ গ্রেডের সেন্সর বলাই চলে। সো খুবই রিলায়েবল একটা সেন্সর এতে দেয়া হয়েছে। এই সেন্সরের বাকি স্পেসিফিকেশন এখানে। Other features and specifications:

  • Tracking speed: Up to 32,000 DPI
  • Tracking accuracy: ±1%
  • Polling rate: Up to 1,000 Hz
  • Acceleration: 50 G  
  • Deceleration: 50 G
  • Frame rate: 10,000 FPS
  • MotionSync technology: Synchronizes sensor readings with polling events for smoother tracking  
  • Low latency: Ensures quick and responsive input
  • High tracking speed: Ideal for fast-paced gaming
  • Wide compatibility: Works with most gaming mice

যাইহোক, যদিও আপ-টু ৩২ হাজার ডিপি-আই এর সাপোর্ট এই সেন্সরে থাকলেও aj179p তে সর্বোচ্চ ২৬ হাজার ডিপি-আই সাপর্ট করে। এতে সুইচ হিসেবে দেয়া আছে Huanuo Green Translucent White Dot Switch. যেটা কিনা সর্বোচ্চ ১০০ মিলিয়ন ক্লিকস নিতে পারবে। এর স্ক্রল হুইল হিসেবে ইউজ করে হয়েছে Fengshi Weiqi যেটা কিনা ১ মিলিয়ন টার্ন বা রোটেশন নিতে পারবে।

এই মাউসের অন্যান্য কম্পোনেন্ট যেমন সার্কিট বা অন্যান্য পিসিবি সাপ্লাইয়ার দেখলাম ২ টা কোম্পানি। একটা হচ্ছে Tailinwei Micro Solution এবং Rongyuan Solution এই মাউসের সব ভার্শনে ইউজ করা হয়েছে ৪০০ মিলি-এম্প্যেয়ারের ব্যাটারি।

আরও কথাবার্তা এবাউট দ্যা মাউস


স্পেসিফিকেশন নিয়ে তো কথা হলো। এবং একটা ডিফারেন্স দেখতেই পাচ্ছেন। এবং আমার ইউজ করা ভার্শনটা ডুয়াল মুড আই মিন ২.৪ গিগাহার্জ এবং ওয়ার্ড মুড সাপোর্ট করে থাকে। ব্লুটুথ মুড থাকলে মন্দ হতো না বাট দেয় নাই দেখে দুঃখ নাই কারন মোস্টলি এটা ২.৪ গিগাহার্জেই ইউজ হবে। যাইহোক, এবার পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্সের ব্যাপারে কথা বলা যাক। শুরুতেই বলেছিলাম প্রিভিয়াসলি আমি স্টিলসিরিজের রাইভাল ১১০ ইউজ করছি ঐটা খুবই বেসিক ডিসাইনের মাউস ছিলো। তেমন কোন আর্গোনমিক বা হাম্প বা শেপ ছিলো না।

সে তুলনায় এই মাউসটির একটা রাইট টিল্ট টাইপের ডিসাইন রয়েছে। পিছনের হাম্পটা উচু থাকাতে ওভার-অল মাউস ধরতে খুবই সুবিধা হয়। এটাকে ওভার-অল একটু হাই প্রোফাইল টাইপ মাউস বললে ভুল হবে না। লং টাইম ধরে এই মাউসটা চালাতে তেমন কোন সমস্যা হয় নি যদিও প্রথম দিকে এই শেপে ইউজটু হতে আমার সমস্যা হয়েছিলো। তবে যে সমস্যাটা আমি বেশি ফেস করেছি সেটা হলো এর স্মুথ সার্ফেস। সার্ফেসটা আসলে বেশিই স্মুথ। মাঝে মাঝে আমি ক্লো গ্রিপ করি তখন এর স্মুথ সার্ফেসের জন্য মাউস ধরাটা একটু ঝামেলার মনে হয়। এবং একথা আগেই বলেছি যাদের হাত ঘামায় তাদের জন্য এই মাউসটা এভয়েড করাই বেটার। অথবা আলাদা করে গ্রিপ টেপ ইউজ করতে হবে। আরও একটা ব্যাপার যেটা আমার কাছে একটু প্রথম দিকে অদ্ভুত লেগেছে সেটা হলো এর সেন্সর পজিশন একটু উপরের দিকে। যেটা আমার আগের রাইভাল ১১০ এর হিসেবে একটু উপরে তাই প্রথম দিকে মনে হচ্ছিলো আমার মাউসের সেন্সিটিভিটি একটু বেশি। এজন্য আমি CS2 তে সেন্সিটিভিটি এডযাস্ট করতে হয়েছে।

ব্যাটারি ব্যাকাপ


ব্যাটারি ব্যাকাপের কথা যদি বলতে হয় এভারেজ ৪ ঘন্টার ইউসেজে মাউসের ব্যাকাপ ৭-১০% নামতে পারে। এই মাউস রিসিভ করার পর আমি এর ফুল ব্যাটারি টেস্ট করার জন্য একটা টেস্ট করি এবং অলমোস্ট ৫ দিন এর ব্যাকাপ পাই। বাট অদ্ভুত ব্যাপার ছিলো ৫ম দিন আমি বাইরে গিয়েছিলাম পিসিকে স্লিপ মুডে রেখে তখনো মাউসে ৪০% চার্জ ছিলো। বাসায় এসে পিসি অন করে দেখি মাউসের চার্জ ৫% এই ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত ছিলো। যদিও পরে এই ধরনের কিছু আমি ফেস করি নি। অন এভারেজ এর ব্যাটারি ব্যাকাপ হচ্ছে ৭ থেকে ৮ দিনের মত বা এক সপ্তাহ বলা যেতে পারে। 

আর সেন্সরের কথা যদি বলতে হয় সেন্সর দুর্দান্ত, কোন প্রকার ল্যাগ বা জিটার ফেস করি নি। এক্ষেত্রে ডকটায় ২.৪ গিগাহার্জ ডঙ্গগলটা প্লেস করা যায়। লেটেন্সি টেস্ট করার মত কিছু থাকলে হয়তো এটার লেটেন্সি জানানো যেতো বাট এটা দিয়ে সিএস২, ব্যাটেলফিল্ড, স্পেক্টার ডিভাইডের মত আরও কম্পিটিটিভ এবং ক্যাসুয়াল গেম খেলেছি কোন প্রকার ইস্যু ফেস করি নি। এছাড়াও এর সেন্সরের লিফট-অফ ডিস্ট্যান্স বা LOD সর্বোচ্চ ২ মিলিমিটার করা সম্ভব। যদিও আমি ১ মিলিমিটার দিয়েই ইউজ করি। যদিও এখন অতো গেম খেলা হয় না এখন এবং ডে-টু-ডে ইউসজে এই মাউসটা ভালই সাপোর্ট দিয়েছে।

দ্যা জেনেরিক সফটওয়্যার

সফটওয়ারের কথা বললে এটার সফটওয়্যার খুবই জেনেরিক। ডিপি-আই সেটিং হিসেবে মাউসের মাঝখানে লাইটিংটা চেঞ্জ হয়। চাইলে লাইটিং কালার কাস্টমাইজ করে রাখা যাবে। এর পরেই লাইটিং অপশন আছে যেটা আসলে কি করে এখনো আমি বুঝতে পারি নি। যদিও প্রথমে ভেবেছিলাম ডকের লাইটিং চেঞ্জ করে কিন্তু না। ডকের নিচেই একটা লাইটের বাটন দেয়া আছে যেটা কিছু স্টাইলে লাইটিং দেখায়। এটা একটা ডাউনসাইড বলা চলে। যাইহোক, লং স্টোরি শর্ট করে সামারাইজ করা যাক। অনেক বড় লিখা হয়ে গিয়েছে। Ajazz aj179 এর গুড সাইডস এবং ব্যাড সাইডস বলা যাক।

ভাল এবং খারাপ দিক (Pros & Cons)

প্রথমেই এর ভাল দিক (Pros)
১। ভাল সেন্সর (Good Sensor)
২। গুড ফর স্মল এবং মিডিয়াম সাইজের হাতের জন্য (Good For Small and medium Sized hands)
৩। ডক থাকাটা একটা প্লাস (Having a charging dock is a plus)
৪। ভাল ব্যাটারি ব্যাকাপ। যদিও আমার ব্যাটারি টেস্টে ৪০% থেকে ৫% এ নেমে যাবার ব্যাপারটা একবারই হয়েছে। অন এভারেজ এর ব্যাটারি ব্যাকাপ ভাল ছিলো। (Good battery backup)
৫। ভাল বিল্ড কোয়ালিটি (Overall good Build quality)

ব্যাড সাইড বললে (Cons)
১। ডকটা খুবই জেনেরিক, মেবি এই ডকটা চিপেস্ট ডকের মধ্যে একটা। সিমিলার ডক এটাক শার্কের মাউসেও দেখেছিলাম। এটার কোয়ালিটি বা ডিসাইন আরেটু বেটার হতে পারতো। (Though having a dock in the package but the quality of the dock is generic and this one might be the OEM type dock in the entry level market. The quality or the design could be better that fits with Ajazz)
২। মাউসের সফটওয়্যারটা। এই সফটওয়ারটা খুবই জেনেরিক টাইপ এবং এটা আরও ভাল হতে পারতো। বাকি চাইনিজ মাউস ব্র্যান্ডের কোম্পানি গুলাও সিমিলার লে-আউটের বা ভেন্ডরের সফটওয়্যার ইউজ করে থাকে সো এই ব্যাপারটা ইম্রুভ করা দরকার। (Number two, software, The app of this mouse is generic and ajazz needs to work on it as well. It seems other chinease mouse brands uses similar type app for their software.)
৩। সফটওয়ারটা এজাজের চাইনিজ ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে অনেক সময় লেগেছে। (It took a while to download the app from the ajazz’s chinease website)৪। ডকের আরজিবি চেঞ্জ করার কোন অপশন নেই। এক্ষেত্রে সফটওয়্যার দিকে ডকের আরজিবি চেঞ্জ করতে পারলে ভালো হতো। (User can’t change rgb with the software. It could be better if user can change the dock’s rgb light from the software. As the software has RGB control options)
৪। ডকের ম্যাগনেটটা একটু লুজ। (The dock’s magnets are loose)
৫। ব্লুটুথ না থাকা। এই ফিচার মোস্টলি ওয়্যারলেস মাউসে থেকে থাকে কিন্তু এটার জন্য প্রো ভার্শন নিতে হতো কিন্তু সে প্রো ভার্শন দেশে এভেইলেবল নেই। এক্ষেত্রে অনেকেই মাউসে ব্লুটুথ ফিচারটি খুঁজে থাকেন তাদের জন্য এই মাউসটা না। যদিও আমার জন্য ২.৪ গিগাহার্জ কানেকশন যথেস্ট। (Having bluetooth would be a plus but for that feature there’s a PRO version of it which is not available to our country right now. Some people might need this bluetooth feature to connect other devices. but I’m good with 2.4Ghz) এক্ষেত্রে বলতেই হয় কোন প্রোডাক্টই পার্ফেক্ট না এবং বাজেট মাউস হিসেবে মনে হয় আমি একটু বেশি কমপ্লেইন করে ফেলতেছি তবে এই ফিচারগুলা এজাজ চাইলে এই মাউসের পরের ভার্শনে দিতে পারে। ধন্যবাদ।

ছবির ক্রেডিট, notsonabil এর নাবিল ইসমাম।

পার্চেস লিঙ্কঃ https://techdiversitybd.com/ajazz-aj179p-dual-mode-gaming-mouse/

 

Share This Article

Search